Category Archives: উত্তরবঙ্গ

Alipurduar News: নেশামুক্ত সমাজের লক্ষ্যে ফুটবল

আলিপুরদুয়ার: স্থানীয় ফুটবল খেলোয়াদের উৎসাহ দিতে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে বন দফতর। এই প্রথমবার এমন আয়োজন বলে জানা গিয়েছে।

বন দফতরের সহায়তায় উত্তর লতাবাড়ি যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির তরফে বিশ্বনাথপাড়া খয়েরবাড়ি ময়দানে দু’দিনের ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই দু’দিন প্রতিযোগিতা চলবে। এই প্রতিযোগিতায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১২ টি যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির দল অংশগ্রহণ করবে। এই বিষয়ে উত্তর লতাবাড়ি যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির তরফে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতাকে বন সুরক্ষা কমিটি ও বন দফতরের মেল বন্ধন বলা চলে। এছাড়া বর্তমানে অনেক যুবকই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের নেশার বদলে খেলায় আসক্ত করতে এই প্রয়াস। এছাড়াও এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি স্বনির্ভর দলের মহিলাদের হাতে তৈরি সামগ্রীর প্রদর্শনীও আয়োজিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: তাজপুর বন্দরে টেন্ডারে ডাক দিয়ে মহুয়ার পাশে থাকার বার্তা মমতার? শুরু জল্পনা

যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির তরফে ঘনশ‍্যাম ছেত্রি জানান, আমাদের লক্ষ্য নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলা। খেলাধুলো করলে ওদের মনটা গড়ে উঠবে।ভাল চিন্তা মনে আসবে। পরিবেশ রক্ষা করতে যুবরা এগিয়ে আসবে। এরপর দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। ফুটবল প্রতিযোগিতার ভাবনা এখান থেকেই।হাতি ও অন‍্যান‍্য বন‍্যপ্রাণীর উৎপাতের কথা মাথায় রেখে উত্তর লতাবাড়ির ৩১৫ টি পরিবারকে সার্চ লাইটও দেওয়া হবে। সম্প্রতি বিশ্বনাথ পাড়ার সামনে থেকেই এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছিলেন বনকর্মীরা। বন‍্যপ্রাণীর হানায় মৃত‍্যু হয়েছিল ওই যুবকের বলে জানান হয়েছিল বন দফতরের তরফে।এছাড়াও এলাকায় প্রায়শই চলে আসে হাতি। যা প্রতিরোধ করতে আরও উদ‍্যোগ নেওয়া হবে।

অনন্যা দে

Malda News: ২ সন্তানের মা এখনও নাবালিকা! শিশু বিক্রির তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

মালদহ: মালদহে দেড় লক্ষ টাকায় শিশু বিক্রির ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গলবার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা সমাজকল্যাণ দফতর। জানা গিয়েছে, দুই সন্তানের মা ওই মহিলা এখনও নাবালিকা। তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর বর্তমান বয়স মাত্র ১৫ বছর। ১৩ বছর বয়সেই ভালবাসার সম্পর্কে বিয়ে হয় তাঁর। ১৪ বছর বয়সের মধ্যেই প্রথমবার মা হন। ১৫ বছর বয়সেই দ্বিতীয়বার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

মঙ্গলবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের সিডিপিও-র নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল ওই অভাবী মায়ের খোঁজে হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামে যান।  তবে, বাপের বাড়িতে এদিন ছিলেন না তিনি। তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। সেখানেই উঠে আসে নাবালিকা বিয়ে এবং নাবালিকা বয়সেই দু’বার সন্তান ধারণের ঘটনা।তদন্তকারীরা জানতে চান, নাবালিকা বিয়ে কী করে দিলেন ? কেন বাধা দেওয়া হয়নি?  কিশোরীর মা ভারতী দাস তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেন, প্রেমের সম্পর্কে তাঁর মেয়ে বিয়ে করেছিলেন। অভিযোগ, চুপিসারে বিয়ের কথা তাঁরা প্রথমে জানতে পারেননি।

তিনি আরও দাবি করেন, জামাই মাদকাসক্ত। দীর্ঘ দিন ধরে মেয়ের সংসার খরচও দেন না।পরিবারের অভাব দেখে এদিন ওই বাড়িতে যাওয়া সিডিপিও এবং তদন্তকারীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে দরিদ্র পরিবারের হাতে চাল, ডাল, পোশাক তুলে দেন। ওই অভাবী মা এখনও সাবালক না হওয়ায় সরকারিভাবে সাহায্যে কিছু সমস্যা রয়েছে। বিকল্প কোন উপায়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানো যায় তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিক সিডিপিও আব্দুল সাত্তার। ওই পরিবারের যে আর্থিক সমস্যা রয়েছে এবং দেড় লক্ষ টাকায় শিশু বিক্রির ঘটনার পিছনে  সত্যতা মিলেছে এ কথাও স্বীকার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিক।

এদিকে সরকারি সাহায্য পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই শিশুর দিদা ভারতী দাস। তিনি বলেন, ‘‘গতকাল বিডিও এসে সাহায্য করেছিলেন। আজ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজাররা এবং সিডিপিও সাহায্য করেছেন। সকলের সাহায্য ও পরামর্শ মেনে মেয়ের ও নাতির জন্য পুষ্টিকর খাবারের এবং ওই শিশুকে বড় করে তোলার চেষ্টা হবে।’’

Offbeat Destination: খরস্রোতার শব্দ, পাখির ডাক আর সূর্যাস্তের আলো…ছোট্ট ছুটিতে কম খরচে চলুন এই গ্রামে

অনির্বাণ রায়, কার্শিয়াং : এই পৃথিবীতে ঘুরতে ভালবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতির মাঝে যদি কিছুটা সময় কাটানো যায় তাহলে তো মন্দ হয় না । যারা প্রকৃতিকে ভালবাসেন সেই ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে কার্শিয়াং এর ফাজে বস্তি। চার দিকে পাহাড়, শান্ত পরিবেশ এবং তার মাঝে একটি সুন্দর জনবসতি গড়ে উঠেছে। এখানে এলে মন ভাল হয়ে যাবে নিশ্চিত। প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর জন্য একটি আদর্শ জায়গা এটি । কার্শিয়াং এর সেপোয় ধুরা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার নিচে ফাজে বস্তি হতে পারে এই শীতে ঘুরতে যাওয়ার সেরা ঠিকানা।

পাহাড়ের মাঝে এই গ্রামটি খুব বেশি হলে ১০-১২টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে। ভোরের পাখিদের কুঞ্জন এবং সন্ধ্যাবেলা পাহাড়ের মাঝে সূর্যকে ডুবে যেতে দেখে আপনার মনে অনেক শান্তির অনুভব হতে পারে। আপনি চাইলে গ্রামের আশেপাশের পাহাড়ে ট্রেকিংও করতে পারেন। সবুজ জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা এই গ্রামটিতে বিরাজ করছে শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ। শহরের কোলাহল থেকে একদম দূরে একটি নির্জন, নিরিবিলি পরিবেশে এই গ্রামটি অবস্থিত। তবে শুনতে পাবেন নদীর স্রোতের আওয়াজ, জঙ্গলে পাখিদের গান, আর শুনতে পাবেন মৃদু হাওয়ায় পাতা নড়ার আওয়াজ।

এখানের একটি হোমস্টে-এর অন্যতম কর্ণধার রতন রানা বলেন, ” মানুষ এখন শহরের কোলাহল ছেড়ে একটু সবুজের মাঝে সময় কাটাতে চায়। তাই তাদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা কার্শিয়াং এর ফাজে বস্তি। আমাদের হোমস্টের নাম সুরাকশা হোমস্টে। মাত্র ১৫০০ টাকা খরচ করলেই তিন বেলা থাকা খাওয়া মিলে যাবে এখানে।” তিনি আরও বলেন, আমাদের এই গ্রামে কিছুটা সময় কাটালে প্রকৃতির ছোঁয়ায় সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় সকলের । তাই নিজেদের ব্যস্ত জীবন থেকে সামান্য সময় বার করে চলে আসুন কার্শিয়াং এর ফাজে বস্তি। সারা জীবন একটি আলাদা অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবেন আপনি।

Jalpaiguri News: হেরিটেজ বিল্ডিং এখন বাসর ঘর! ঐতিহ্যবাহী ইউরোপিয়ান ক্লাবের গরিমা ধুলোয় লুটোপুটি

জলপাইগুড়ি: শহরের শতাব্দী প্রাচীন বিল্ডিং পরিণত হয়েছে বাসর ঘরে! ব্যপারটা ঠিক বুঝতে পারছেন না তো? তা হলে খানিক পিছিয়ে যাওয়া যাক। সালটা ১৮৯৪। ইংরেজ শাসন চলছে পুরোদমে। উত্তরে শাসন কায়েম রাখতে দুটি বিভাগীয় শহর করা হয়। একটি বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী, অপরটি জলপাইগুড়ি। সেই সময় ইংরেজ কর্তা এবং চা বাগানের মালিকদের আমোদ-প্রমোদের উদ্দেশ্যে জলপাইগুড়িতে তৈরি করা হয়েছিল ইউরোপিয়ান ক্লাব। মূলত সপ্তাহান্তে এই ক্লাবেই হাজির হতেন সাহেব-মেমরা। বিলিয়ার্ড থেকে লং টেনিস সব কিছুর ভরপুর আয়োজন ছিল। এখানেই সম্ভবত উত্তরবঙ্গের সর্বপ্রথম সরকারি পান শালা গড়ে উঠেছিল।

আরও পড়ুন: ৪৫০ বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে দেখুড়িয়া গ্রামে

সময় বদলায়, দেশ স্বাধীনতা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু চা মালিক এই ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিচালনার দায়িত্ব নেন। একসময় বাংলার বহু নামী কবি-সাহিত্যিক এই ক্লাবের দ্বিতলের অথিতি কক্ষে রাত্রি যাপনে করেন। তবে আজ এর সবটাই ইতিহাসের পাতায়। দুর্বল পরিচালনার কারণে ধুঁকছে জলপাইগুড়ি শহরের এই ব্রিটিশ স্থাপত্য। সরকার দ্বারা হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে ব্রিটিশদের তৈরি এই ভবনের এমন চেহারা হয়েছে যে তাকে এক শব্দে বলা যায় ‘ক্ষুধিতপাষাণ’।

বিভিন্ন সময়ে জলপাইগুড়ির বিশিষ্টজনেরা সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টায়। তবে নানান অদৃশ্য শক্তির কারণে সেই উদ্যোগ হারিয়ে যায় তিস্তা নদীর চোরা স্রোতে। অবশেষে ক্লাবটির বর্তমান পরিচালক মণ্ডলী ক্লাবটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জোগাতে হেরিটেজের তকমা সাঁটা প্রাচীণ ভবনটির অনেক কিছুই পরিবর্তন করে বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করার উদ্দেশ্যে ভাড়া দিতে শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির আন্তর্জাতিক শিল্পী নীহার মজুমদার বলেন, বর্তমানে ক্লাবটির যা অবস্থা এবং এ বিষয়ে রাজ্য সরকার সহ জেলা প্রশাসনের ভাবলেশহীন মনোভাবের কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে। তিনি এই ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী ভবনটি সংরক্ষণের আর্জি জানান।

সুরজিৎ দে

Vande Bharat Accident: ঝড়ের বেগে ছুটে গেল বন্দে ভারত! রেললাইনে ধারে ছিটকে পড়ল দশমের পড়ুয়া! মালদহে ভয়ঙ্কর ঘটনা

মালদহ: রেললাইনের ধারে শৌচকর্ম করতে যাওয়ায় কাল হল। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু দশম শ্রেণির ছাত্রীর। হাওয়ায় গতিতে ছুটে আসা বন্দে ভারত দেখে হতভম্ব হয়ে যায় দশম শ্রেণির ছাত্রী। দূরে সরতে না পারায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়।‌ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। মালদহের সামসী রেল গেটের ঘটনা।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত স্কুল ছাত্রীর নাম বাসন্তী মণ্ডল (১৬)। বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার চাকলাঘাটে। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ আগে মালদহের ভুতনি থানার নীলকন্ঠ গ্রামে ঘুরতে আসে।

আরও পড়ুনঃ বালিশ জড়িয়ে ঘুমের অভ্যাস! আজই ছাড়ুন…নচেৎ শরীরে দেখা দিতে পারে ভয়ঙ্কর এই সমস্যা

এ দিন জামাইবাবুর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। দিদিও ছিল। সন্ধ্যা নাগাদ সামসি রেল গেটের কাছে পৌঁছয় তারা। রেলগেট পড়ে থাকায় জামাইবাবু বাইক দাঁড় করায়। সেই সময় বাসন্তী মণ্ডলের প্রস্রাব পায়। বাইক থেকে নেমে দিদিকে সঙ্গে নিয়ে রেললাইনের ধারে কিছুটা দূরে প্রস্রাব করতে যায়। ঠিক সেই সময়ে ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটে আসছিল। হঠাৎ দ্রুত গতিতে ট্রেন ছুটে আসায় হতভম্ব হয়ে পড়ে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। কী করবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের নিমেষে ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে।

ট্রেন চলে যেতেই দিদি জামাইবাবু ছুটে গিয়ে দেখে তার ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহ রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে। মৃত স্কুল ছাত্রীর জামাইবাবু পাণ্ডব মণ্ডল বলেন, আমার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলাম। সামসি রেল গেটের কাছে আমার শ্যালিকা প্রস্রাব করার জন্য বাইক থেকে নামে। হঠাৎ দ্রুতগতিতে ট্রেন চলে আসায় পালাতে পারেনি। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে তার। পুলিশ এসে পড়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। আমি শ্বশুর বাড়িতে খবর জানিয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামসী রেল স্টেশনে কর্তব্যরত রেল পুলিশ ও জিআরপি। দ্রুত পুলিশ রেললাইনের ধার থেকে স্কুল ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য দেহ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

হরষিত সিংহ

Street Food: মোমোর থেকে বড় তিব্বতি এই খাবার, একটা খেলেই পেট ভরে থাকবে সারাদিন

শিলিগুড়ি: মোমো সকলেরই পচ্ছন্দের একটি খাওয়ার আর সেটা যখন নির্দিষ্ট আকৃতি থেকে বড় হয় তখন তা আরও আকর্ষনীয় ও লোভনীয় হয়ে ওঠে। ঠিক এমনি একটি খাবার হল টাইপো। মোমোর মত স্বাদ। কিন্তু মোমোর থেকে আকারে অনেকটাই বড়। এই ‘টাইপো’-কে মোমোর বড় ভাই বলা যেতেই পারে। ভেতরে মাংসের পুর দেওয়া আবার সঙ্গে ডিম ও রয়েছে। একটা খেলেই মন সন্তুষ্ট। এই টাইপো খেতেই এখন ভিড় বাড়ছে শহরের কলেজপাড়ার এই ফাস্ট ফুডের দোকানে।

আরও পড়ুনঃ মালদহে বাড়ির ছাদে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল সিআইডি, পাকড়াও দুই পান্ডা

মনে করা হয়, তিব্বতীদের আগমনের সঙ্গেই মোমো, টাইপোও ভারতে এসেছিল। প্রতিবেশী দেশ নেপালেও টাইপো বেশ জনপ্রিয়। দক্ষিণ এশিয়ার জনপ্রিয় খাবারগুলির মধ্যে টাইপো অন্যতম। টাইপো হল দক্ষিণ এশিয়ার এক প্রকার ডাম্পলিং। এই খাবার সবজি বা মাংসের পুর দিয়ে তৈরি করা হয়। অনেকে ভাবে এই খাবার প্রস্তুত করা হলেও, মূলত সেদ্ধ টাইপো বেশি জনপ্রিয়। ধীরে ধীরে ভারতের আসাম, সিকিম ও উত্তরবঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবারে পরিণত হয়েছে এই টাইপো। গরম স্যুপ ও ঝাল লাল লঙ্কার চাটনি দিয়ে টাইপো খেতে এখন সকলেই বেশ পছন্দ করে।

অন্যদিকে এই মোমো স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকাতেও পড়ে। খিদে পেলে পেট ভরানোর কাজ করে মোমো। যেহেতু কোনও মশলা ছাড়াই মোমো প্রস্তুত করা হয় তাই স্বাস্থ্যের জন্যও এই খাবার ভাল বলে মনে করেন অনেকে। শিলিগুড়ির এই দোকানের মালিক স্বাগত রাই বলেন, “এই টাইপো আসলে মোমোর মত, কিন্তু স্বাদ একটু ভিন্ন। ভেতরে ডিম থাকে। টাইপোর যে ময়ম তৈরি করা হয় সেটা মোমোর থেকে একটু বেশি মোটা। শিলিগুড়ির মানুষ বেশ পছন্দ করছে এই টাইপো। আমাদের দোকানে দিনে প্রায় ১০০ টা টাইপো বিক্রি করে থাকি । প্রতিটি টাইপো দাম মাত্র ৫০ টাকা।”

অনির্বাণ রায়

Dakshin Dinajpur News: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় দুর্ঘটনায় মৃত পুলিশকর্মীর পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা সাহায্য

দক্ষিণ দিনাজপুর: গত ১৪ নভেম্বর কালীপুজোর বিসর্জনের সময় এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে জেসিবির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল কর্তব্যরত পুলিশকর্মী সন্দীপ বর্মনের (৩৪)। ওই মৃত পুলিশকর্মীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরাম থানার গোপালবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সেওই গ্রামে। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তান আছেন। তাঁর এই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করেছিলেন। এই ঘটনার পর তিনি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সর্বতোভাবে ওই পুলিশকর্মীর পরিবারের পাশে থাকার জন্য। সেই নির্দেশ মেনে মৃত পুলিশকর্মীর পাশে দাঁড়াল জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন: জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে লক্ষ্মীকান্তপুর

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, কালী প্রতিমা বিসর্জনের সময় একটি শিশু পিছু পিছু গঙ্গার দিকে ছুটে যাচ্ছিল। তাকে না আটকালে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তখন শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে জেসিবির ধাক্কায় আহত হন কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল সন্দীপ বর্মন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ভর্তি আরজিকর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দক্ষিণ দিনাজপুরের এসপি চিন্ময় মিত্তাল ও জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা মৃত পুলিশকর্মীর বাড়িতে যান। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশমতো মৃত পুলিশ কর্মীর স্ত্রী সোমা সরকার বর্মনের হাতে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি মৃত পুলিশ কর্মীর একমাত্র পুত্রের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তোস প্রকাশের পাশাপাশি মৃত পুলিশকর্মী স্ত্রীর জন্য সরকারি চাকরির আর্জি জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ওই পরিবারের সুবিধা-অসুবিধাগুলি জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাঠানো দু’লক্ষ টাকার চেক ওই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও প্রয়োজনমতো পরিবারের পাশে থাকা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সুস্মিতা গোস্বামী

Jalpaiguri News: সদ্যজাতের মৃত্যুতে চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে মামলা পরিবারের

জলপাইগুড়ি: সদ্যজাতের মৃত্যুতে চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আদালতের দরস্ত হল পরিবার। মৃত সদ্যজাতের বাবা এই নিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতে চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ির ভেমটিয়া এলাকার এক মহিলা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। তিনি সন্তান প্রসব করার পর সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সেইসময় কোন‌ও চিকিৎসক বা নার্সকে পাওয়া যায়নি বলে পরিজনদের অভিযোগ। এরপর মা সহ সন্তানকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছিল। শুক্রবার ভোরে সেই শিশুটির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার।

আরও পড়ুন: ৫০ ভরি সোনার গয়নায় দেবী জগদ্ধাত্রী সেজে ওঠেন রাজরাজেশ্বরী মহারানী রূপে

মৃত সদ্যজাতের বাবা এই ঘটনায় দোষী চিকিৎসক এবং নার্সদের শাস্তি চেয়ে মামলা করেছেন। প্রথম শুনানির পর বিচারক পুলিশকে অভিযোগ গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।

সুরজিৎ দে

Winter Flower: শীতে একদম কম খরচে এই রঙিন ফুলের চাষ শুরু করুন, দ্বিগুন লাভবান হবেন, জানুন পদ্ধতি

কোচবিহার: শীত মানেই প্রাণের ছোঁয়া। হিমের কনকনে ঠান্ডা আর চারিদিক কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। সঙ্গে পুলিপিঠের এক আলাদা অনুভুতি। যেন এক অপূর্ব পরিবেশের মেলবন্ধন। তবে এর সঙ্গে বাড়তি পাওনা বাহারি রঙের শীতকালীন সমস্ত ফুল। এমন কোনও মানুষ নেই যে ফুল ভালবাসে না। শীতকালীন ফুল লাগানোর উপযুক্ত সময় হল এই নভেম্বর মাস। শীতকালে বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফুল ফুটতে দেখা যায়। অনেকেই টবে রঙিন ফুল লাগিয়ে থাকেন। আবার অনেকে এই সময় রঙিন ফুল চাষ করে থাকেন কিছুটা লাভের আশায়। তবে শীতকালীন সময়ে চন্দ্রমল্লিকা ফুল খুব কম খরচেই চাষ করা সম্ভব।

আরও পড়ুন: চায়ে মেশান কয়েক চিমটে এই দুই মশলা…! পুরুষরা ফিরে পাবে হারানো যৌবন, বাড়বে পৌরুষ, বলছেন বিশেষজ্ঞ

কোচবিহারের এক কৃষক দুলাল সরকার জানান, এই ফুল চাষ করার জন্য মূলত কিছুটা খোলা জায়গা থাকা প্রয়োজন। জমি তৈরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই ফুল চাষে। প্রথমে গোবর সার এবং কিছুটা রাসায়নিক সার দিয়ে ভাল করে তৈরি করে নিতে হয় জমি। এছাড়াও এই গাছের পাতায় ফাঙ্গাস আক্রমণ হয় বেশি এবং ধসা ধরে যায়। এই কারণে ফাঙ্গিসাইট প্রতি ১০ থেকে ১২ দিন অন্তর অন্তর স্প্রে করা প্রয়োজন। চারা লাগানোর কিছুদিন পর গাছের আগা কেটে দিতে হয়। এতে গাছ লম্বা না হয়ে ছোট ঝোপের মতো হয়। চারা গাছে তাড়াতাড়ি ফুল এলে দ্রুত তুলে নিতে হয়। বড় আকারের ফুল পেতে হলে মাঝের কুঁড়িটি রেখে পাশের দু’টি কুঁড়ি কেটে ফেলতে হয়।

তিনি আরও জানান, মূলত দু’ধরনের, ছোটো সাইজের এবং বড় সাইজের চন্দ্রমল্লিকা বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। বড় সাইজের চন্দ্রমল্লিকা প্রতিটি পিস প্রায় ৮ থেকে ১০ টাকা পাইকারি দামে বিক্রি হয়। তবে ছোটো সাইজের চন্দ্রমল্লিকা গোছা করে বিক্রি হয়। দশ থেকে বারোটি ফুলের একটি গোছা করে বিক্রি করা হয়। বেশ অনেকটা সময় পর্যন্ত ভাল পরিমাণ ফুল পাওয়া যায় একটি গাছ থেকে। তাই দুই ধরনের ফুলেই লাভ হয়ে থেকে প্রচুর পরিমাণে। ছোটো ফুলের চারার দাম প্রতিটি ৪ থেকে ৫ টাকা হয়। এছাড়া বড় ফুলের চারার দাম ৫ থেকে ৬ টাকা হয়ে থাকে। শীতকালে এই ফুলের চাহিদা থাকে বাজারে প্রচুর পরিমাণে। তাই এই ফুল চাষ করে যে কোনও কৃষক ভাল মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন খুব সহজেই।

Sarthak Pandit

Jagaddhatri Puja: ছোটদের জয় রাইড থেকে মন ভোলানো খাবার! জেলার জগদ্ধাত্রী পুজোর এই মেলা জমজমাট

কোচবিহার: কোচবিহারে জগদ্ধাত্রী পুজো খুব একটা চোখে পড়ে না। কোচবিহার জেলায় হাতেগোনা কয়েকটি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে থাকে। এই পুজো গুলির মধ্যে চান্দামারি এলাকার জগদ্ধাত্রী পুজো অন্যতম। এবারেও চান্দামারিতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। চান্দামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনহাটে এই পুজো উপলক্ষে মেলাও বসে। আট দিন ধরে চলে এই জগদ্ধাত্রী পুজোর মেলা।

এই বছর পুজোয় মণ্ডপ সাজান হয়েছে আকর্ষণীয় ভাবে। বাঁশ ও কাপড় দিয়ে তৈরি মণ্ডপ সাজানো হয়েছে কৃত্রিম ঘাস ও কৃত্রিম ফুল দিয়ে। এছাড়া এবার মেলাও আয়োজন করা হয়েছে বেশ বড় করে। এবারের পুজোয় জাঁকজমক রয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। পুজোর পরিচালন কমিটির সদস্য বিনয় মোদক জানান, “এবার এই পুজো ২১তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর ধরে এখানে এই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে জাঁকজমক এর সঙ্গে। কুড়ি বছর আগে তাঁদের হাতেই এই পুজোর সূচনা করা হয়েছিল।”

তখন এলাকার ছোটদের নিয়ে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। বর্তমানে এই পুজোর আয়োজন আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন রীতিমতো থিমের মাধ্যমে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করা হয়। এই পুজো উপলক্ষে এখানে বিরাট মেলাও বসে। মেলায় বাচ্চাদের বিভিন্ন জয় রাইড দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও থাকে আকর্ষণীয় সমস্ত দোকান।

আরও পড়ুন: শীতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন এই নতুন স্বাদের কফি! জমে যাবে সন্ধ্যার আড্ডা

পুজো ও মেলা কমিটির সম্পাদক সুব্রত বর্মন জানান, “এই বছর পুজোর বাজেট রয়েছে আনুমানিক প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। যা বিগত বছর গুলির তুলনায় অনেকটাই বেড়ে উঠেছে। তবে গ্রাম্য পরিবেশের এই পুজোর জাঁকজমক দেখলে অনেকেই অবাক হবেন। আগামীতে এর চাইতেও আরোও অনেক বেশি আয়োজন করতে চলেছেন তাঁরা।” তবে গ্রাম্য এলাকার এই পুজোয় শুধুমাত্র কোচবিহারের মানুষেরাই নয়। জেলার বাইরের মানুষেরাও ভিড় জমান।

Sarthak Pandit