Tag Archives: Bihar

Bihar bridge collapse: এই নিয়ে দু’ বার! বিহারে হুড়মুড়়িয়ে ভাঙল ১২ কোটির সেতু, দেখুন ভিডিও

আরারিয়া: সেতু তৈরি করলে তা যেন টিকছেই না বিহারে৷ এবার বিহারের আরারিয়া জেলায় ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মাণ সেতু৷ বাকরা নদীর উপরে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ চলছিল৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ তৈরির বরাত পাওয়া সংস্থা এবং প্রশাসনের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে৷

সেতু ভেঙে পড়ার মুহূর্তের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, বাকরা নদীর দু পাড়ে থাকা সিখতি এবং কুরসাকত্তা ব্লকের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ওই সেতুটি তৈরি করা হচ্ছিল৷

আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতে হিমশিম খাবে মোদি সরকার, যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই: রাহুল গান্ধি

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালেও ওই সেতুটি একবার নদীতে ভেঙে পড়েছিল৷ তখন সেতুর উপরে থাকা চার মোটরবাইক আরোহী সহ বেশ কয়েকজন নদীতে পড়ে যান৷ এর পর ফের সেতুটি নির্মাণের জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দ করা হয়৷ তার পরেও সেতুটির একই পরিণতি হল৷

এই ঘটনায় স্বভাবতই বিহার সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা৷ যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের তৈরি ব্রিজ নদীর জলে ভেসে গেল৷ এটা বিহারের আরারিয়া জেলার ছবি৷

বিহারে অবশ্য নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা নতুন নয়৷ চলতি বছরের মার্চ মাসেই ভাগলপুর এবং খাগারিয়া জেলার মধ্যে সংযোগস্থাপনের জন্য তৈরি একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়েছিল৷ সেই ঘটনায় এক শ্রমিকের মৃত্যুও হয়৷

২০২২ সালেও ভাগলপুর এবং বেগুসরাই জেলায় দুটি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল৷

চিঠি লিখে বাড়ি ছাড়লেও তা পড়ে হকচকিয়ে গিয়েছিল তিন কিশোরীর পরিবার; অবশেষে মথুরা থেকে প্রকাশ পেল চরম সত্যিটা!

প্রিয়াঙ্ক সৌরভ, মুজফ্ফরপুর: দিন পনেরো আগে পড়শি রাজ্য বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে পালিয়ে গিয়েছিল তিন কিশোরী। যদিও তারা প্রত্যেকেই অন্য পরিবারের। তবে তাদের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। এর মধ্যে এক কিশোরী আবার পালানোর আগে বাড়িতে একটা চিঠি লিখে রেখে গিয়েছিল। আর তাতে এমন সতর্কবাণী লেখা ছিল যে, কেউ তাদের সন্ধান করার সাহস পর্যন্ত করেননি। এদিকে মথুরায় আবার তিনটি মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে মুজফ্ফরপুরের নিখোঁজ কিশোরীদের সঙ্গে এর সম্পর্ক কী?

আরও পড়ুন– ঝড়ের ধাক্কায় নড়ে গেল আস্ত একটি বিমান ! আমেরিকার বিমানবন্দরে অবাক করার মতো দৃশ্য

পুলিশ সূত্রে খবর, মুজফ্ফরপুরের নগর থানা এলাকার যোগিয়া মঠ থেকে আকস্মিক ভাবেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল তিন কিশোরী। তাদের নাম মায়া, গৌরী এবং মাহি। তবে সেই ঘটনায় একটা বড়সড় বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের দাবি, মথুরায় রেললাইনে যে তিনটি মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা আসলে মুজফ্ফরপুরের তিন নিখোঁজ কিশোরী। যদিও সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা আবশ্যক।

সম্প্রতি ওই তিন কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্বিগ্ন তাদের পরিবারের সদস্যরাও। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে আবার একজন একটি চিঠি লিখে বাড়ি ছেড়েছিল। কিন্তু কী লেখা ছিল সেই চিঠিতে? ওই কিশোরী লিখেছিল যে, তারা হিমালয় অথবা লালগঞ্জে চলে যাচ্ছে। কেউ যেন তাদের না খোঁজে। আর খুঁজলে তারা বিষ পান করে মৃত্যুবরণ করবে।

আরও পড়ুন– ইতিহাসে প্রথমবার ! মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প; এবার কী হবে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের?

এহেন চিঠি পড়ে পরিবারের সদস্যরাও হতবাক হয়ে গিয়েছিল। আর এরপর একটি অভিযোগও দায়ের করা হয় নগর থানায়। এরপর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। এদিকে ওই মেয়েটির ফোনের লোকেশন দেখাচ্ছিল উত্তর প্রদেশে।

ইতিমধ্যেই একটা খবর আসে যে, উত্তরপ্রদেশের মথুরা-আগ্রা রেললাইন থেকে তিনটি মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল মেহেন্দি। এক কিশোরীর হাতের মেহেন্দিতে আবার লেখা ছিল এসবিজি। এর পাশাপাশি তার পোশাকে গ্লোব টেলর মুজফ্ফরপুর-এর লেবেল দেখা যায়। আর সেই কারণেই সন্দেহ করা হচ্ছে যে, যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা আসলে মুজফ্ফরপুর থেকে হারিয়ে যাওয়া তিন কিশোরী গৌরী, মায়া এবং মাহি। তবে শুধুমাত্র ডিএনএ পরীক্ষা করা হলেই বিষয়টা নিশ্চিত রূপে বলতে পারবে পুলিশ।

Heatwave in India: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! ভারতের এই শহরে মৃত্যুমিছিল! হিটস্ট্রোকে শেষ ১৯ জন, কোন শহর বলুন তো?

পটনা: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বিহারে। চলছে তুমুল তাপপ্রবাহ। আর তারই জেরে ঔরঙ্গাবাদে দুঘণ্টায় প্রাণ হারালেন ১৬ জন! বুধবার বিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার তা সামান্য কমে দাঁড়ায় ৪৪ ডিগ্রিতে। এই শহরই এই মুহূর্তে বিহারের সবচেয়ে উষ্ণ অঞ্চল। রাজ্যের বাকি জায়গাও রীতিমতো পুড়ছে তাপপ্রবাহে। গত বুধবার বুধবার বিহারের শেখপুরা জেলার আরিয়ারি ব্লকের মানকোল মিডল স্কুলে বহু পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছিল গরমে। এবার সামনে এল ১৬ জনের মৃত্যুর খবর।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিতে গরমের বলি হয়েছেন বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা বছর চল্লিশের এক যুবক। রাজধানীর রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে বুধবার তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণ হিটস্ট্রোক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি যে ঘরে থাকতেন, সেখানে পাখা বা কুলার কিছুই ছিল না। ওই যুবকের শরীরের তাপমাত্রা একটা সময় ১০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায়। যা স্বাভাবিকের থেকে অন্তত ১০ ডিগ্রি বেশি।

আরও পড়ুন: পাল্টে গেল বেশভূষা, ধ্যানে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি! ১ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত কী ঘটতে চলেছে?

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বোধহয় বিহারের ঔরঙ্গাবাদেই। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ৩৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ঔরঙ্গাবাদের এক হাসপাতালে। সকলেই গরমের প্রকোপে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৮ জুন পর্যন্ত সমস্ত সরকারি, বেসরকারি স্কুল, কোচিং ইনস্টিটিউট ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে, দিল্লির স্কুলে গরমের ছুটি ৩০ জুন অবধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বয়স্ক এবং শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১ কোটি নগদ, ১ কেজি সোনা, জমির দলিল! বিহারের প্রাক্তন কাউন্সিলারের বাড়ি তল্লাশিতে কুবেরের ধন পেল আয়কর দফতর

মুজফ্ফরপুর: বিহারের মুজাফফরপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলার বিজয় কুমার ঝা-র বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। তিনদিন ধরে চলছে তল্লাশি। অবৈধ জমির ব্যবসা এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে বিজয়ের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে প্রাক্তন কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর প্রথম দিন তাঁর বাড়ি থেকে নগদ ১ কোটি টাকা এবং তাঁর স্কুল থেকে ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। দ্বিতীয় দিন ব্যাঙ্কের লকার থেকে ১ কেজি সোনা এবং কিছু নগদ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন– ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে নামলেন যুবক, তক্কে তক্কে ছিল জিআরপি, ব্যাগ খুলতেই সবাই অবাক

এখন পর্যন্ত কোটি টাকার বিনিয়োগের দলিল, কোটি টাকার জমির দলিল এবং সাদা কাগজে স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষর করা দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। বিজয়ের মালিকানাধীন বিবাহ ভবন থেকে ৬ বোতল মদ উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আয়কর বিভাগের একটি দল প্রাক্তন কাউন্সিলর বিজয় ঝা এবং তাঁর স্ত্রী বর্তমান কাউন্সিলর সীমা ঝাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আরও পড়ুন- উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠতেই বিপত্তি, একেবারে হাতেনাতে ধরলেন টিকিট পরীক্ষকরা; তারপর…

স্ত্রী সীমা ঝা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দু’জনেই জেলে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষককেও জেলে পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলার বিজয় কুমার ঝা পেশায় আইনজীবী। বহুদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পত্তির লেনদেন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। বিজয় কুমার ঝা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে চুক্তিভিত্তিক কাজও করেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী সীমা ঝা পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আয়কর দফতরের একাধিক দল প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিজয় কুমার ঝা-এর নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তিতে একযোগে হানা দেয়।

এর আগে ৮০ লাখ টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছিল: বলে রাখা ভাল, বিহারের মুজাফফরপুরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সীমা ঝা-এর নামে থাকা সম্পত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি জায়গা থেকে ৮০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে আয়কর দফতর। অনেক জায়গায় নগদ টাকা ছাড়াও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নথি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ অন্যান্য জিনিসও উদ্ধার হয়। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তদন্ত শেষে অবৈধ সম্পত্তির আসল পরিমাণ জানা যাবে।

ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে নামলেন যুবক, তক্কে তক্কে ছিল জিআরপি, ব্যাগ খুলতেই সবাই অবাক

বেগুসরাই: রুটিন চেক আপের সময় বড় সাফল্য। বেগুসরাই স্টেশন থেকে ধৃত এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল ৬৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ধৃতের নাম নীতীশ কুমার। তিনি পটনা জেলার মারাঞ্চির বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, এই টাকা তাঁর নয়। তাঁর এক আত্মীয়ের। তিনি তেঘরা থানার পিধৈলির বাসিন্দা অনুরাগ কুমার। ধৃত জানান, অনুরাগ সিকিউরিটি এবং কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা করেন। সুরক্ষার কারণেই তিনি আত্মীয়ের মাধ্যমে এই টাকা আনিয়েছেন।

আরও পড়ুন– নেশার ঘোরে মাত্র ‘১০৫ টাকা’ দিয়ে কিনেছিলেন শস্যের গোলা; এখন সেটাই হয়ে উঠেছে এক দম্পতির সাধের আস্তানা

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ট্রেন নম্বর 22233 NGP-পটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বেগুসরাই রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি তল্লাশি অভিযান শুরু করে। ওই সময় ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ট্রেন থেকে নামেন এক ব্যক্তি। জিআরপি-র সন্দেহ হয়। আটক করা হয় ব্যক্তিকে। শুরু হয় তল্লাশি। ট্রলি ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে অফিসারদের। ব্যাগে থরে থরে সাজানো টাকা। পরে গুণে দেখা যায় মোট ৬৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা রয়েছে।

আরও পড়ুন– উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠতেই বিপত্তি, একেবারে হাতেনাতে ধরলেন টিকিট পরীক্ষকরা; তারপর…

বেগুসরাই জিআরপি-র তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মদের ব্যবসা রোধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালানো হচ্ছে। সেই জন্যই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থামতেই স্টেশনে অভিযান চালায় জিআরপি। তখনই আটক করা হয় নীতীশ কুমারকে। বর্তমানে আয়কর দফতরকেও বিষয়টি জানিয়েছে জিআরপি। অভিযুক্ত নীতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে আয়কর দফতর। তাহলেই বোঝা যাবে এত বিশাল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এল।

আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন: বেগুসরাই জিআরপি স্টেশনের ইনচার্জ সুশীল কুমার ভার্মা বলেন, ‘‘১৬ মে এনজিপি-পটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বেগুসরাই স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায়। তল্লাশি চালানোর জন্য উপর থেকে নির্দেশ ছিল। ঠিক তখনই এক ব্যক্তি ট্রলি ব্যাগ হাতে ট্রেন থেকে নামেন। তাঁর ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৬৭ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। টাকার বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এমনকী, কোনও কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি। এরপর সঙ্গে সঙ্গে আয়কর আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। বিষয়টা নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন আয়কর কর্মকর্তারা।’’

Newly wed couple death in Bihar: ১৪ বছরের শ্যালিকাকে বিয়ে জামাইবাবুর, থানায় তুলে নিয়ে গেল পুলিশ! তার পর যা ঘটল…

পটনা: স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৪ বছর বয়সি শ্যালিকাকে বিয়ে করেছিলেন জামাইবাবু৷ নাবালিকাকে বিয়ের অভিযোগে ওই দম্পতিকে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ পরে সেই থানার ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় দম্পতির দেহ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল বিহারের আরারিয়া জেলায়৷ ক্ষুব্ধ জনতা ওই থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়৷

এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের আরারিয়া জেলার তারাবাড়ি গ্রামে৷ এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার ১৪ বছর বয়সি বোনকেই বিয়ে করেন ওই যুবক৷ নাবালিকাকে বিয়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিয়ের পর পরই ওই দম্পতিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ থানার ভিতরে নব দম্পতিকে পিটিয়ে পুলিশ খুন করেছে বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা৷

আরও পড়ুন: ‘ভিটেহারা’ হবেন খোদ জেলাশাসক? বাংলো নিলামে তুলতে বলল আদালত, বর্ধমানে শোরগোল

যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দম্পতি থানার লক আপের ভিতরেই আত্মহত্যা করেছে৷ থানার ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবক লক আপের দরজা বেয়ে উঠে একটি কাপড় গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন৷

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই থানা ঘেরাও করে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন গ্রামবাসীরা৷ থানায় ভাঙচুর করে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আশপাশের থানা থেকেও পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ মারধর করার পর তাদের গাফিলতির সুযোগেই মৃত্যু হয়েছে ওই দম্পতির৷ যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি৷

Migrant Labours Accident: পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজে এসেছিলেন, নদীতে নামতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই তরুণীর

পূর্ব বর্ধমান: বুধবার জেলায় ঘটে গেল একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজ করতে এসে নদীতে তলিয়ে গেলেন দুই তরুণী! তাঁদের সন্ধানে ভাগীরথী নদীতে জোরদার তল্লাশি অভিযান চলছে।

এদিন দুপুরে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে ছিলেন বিয়ার থেকে আসা প্রতিমা কুমারী মাঝি ও মালতী কুমারী মাঝি। পেটের দায়ে তাঁরা বাংলার ইটভাটায় কাজ করতে এসেছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার অন্তর্গত নন্দগ্রাম এলাকার একটি ইটভাটাতে কাজ করতেন তাঁরা। এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ইটভাটার পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীতে স্নান ও জামা কাপড় কাচার জন্য ওখানকার শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই নেমেছিলেন। মোট সাতজন ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ‌ই প্রতিমা ও মালতী তলিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: বাড়িতেই মজুত কোটি কোটি টাকার মাদক! সঙ্গে নগদ ৩২ লক্ষ, টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালনা থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। দুপুর দুটো নাগাদ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরা নিখোঁজ ওই দুই তরুনীর খোঁজে নদীতে নামেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে জলের মধ্যে চলে তল্লাশি। তবে বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ তরুণীদের কোনও খোঁজ মেলেনি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Sushil Kumar Modi Demise: বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদি প্রয়াত, রাজনীতির জগতে শোকের ছায়া

পটনা: প্রয়াত হলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদি। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত এক মাস ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন দিল্লির এইমস-এর আইসিইউ বিভাগে। সোমবার রাতে তাঁর প্রয়াণ সংবাদ জানানো হয় বিহার বিজেপি-র তরফে। বিহারে বিজেপি-র অন্যতম মুখ ছিলেন এই রাজনীতিক। অসুস্থতার কারণে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। গত ৩ এপ্রিল তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘গত ৬ মাস আমি লড়াই করছি কর্কটরোগের সঙ্গে। এখন এটা জনসাধারণকে জানানোর সময় হয়েছে বলে মনে করি। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কিছু করার মতো অবস্থায় আমি সক্ষম নই। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সব জানিয়েছি। দেশের প্রতি আমি সর্বদা নিবেদিত।’

সোমবার তাঁর প্রয়াণের খবর জানিয়ে বিহারের বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধরি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন। লেখেন, ‘বিহারে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমর মোদির প্রয়াণে আমি শোকস্তব্ধ। বিগত কয়েক দশক ধরে তিনি দলে আমার অমূল্য সহকর্মী এবং বন্ধু ছিলেন। বিহারে বিজেপি-র উত্থান এবং সাফল্যে তাঁর মূল্যবান অবদান রয়েছে।’

 

সুশীল মোদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রীও। তিনি লেখেন, ‘জরুরি অবস্থার কঠোর বিরোধিতা করে তিনি রাজনীতিতে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী ও জনপ্রিয় বিধায়ক ছিলেন। রাজনীতির নানা বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।’

 

২০০৫ থেকে ২০২০-র মধ্যে ১১ বছরের বেশি সময় ধরে সুশীলকুমার মোদি ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভাব লোকসভা নির্বাচনে অনুভূত হবে মনে করছেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। তাঁর প্রয়াণে এক্স হ্যান্ডলে শোকবার্তা পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখেছেন, ‘বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী সুশীলকুমার মোদির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’

Bangla Video: ১৪ বছর পর পালিত মা-বাবাকে ছেড়ে ঘরে ফিরল যুবক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মায়ের বকা খেয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ১৪ বছর আগে। বিহারের সেই বালক পথে ঘুরতে ঘুরতে এরপর চলে আসেন কলকাতায়। তারপর উঠে বসেছিলেন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখারলক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে। ট্রেনের মধ্যে দেখা হয় এক সবেদা বিক্রেতার সঙ্গে। ভয়ে সেই ফেরিওয়ালাকে জড়িয়ে কেঁদেফেলেছিল সেদিনের সেই বালকটি।

কোন‌ও এক মায়ার বন্ধনে তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই ফেরিওয়ালা। তারপর তাকে নিয়ে দক্ষিণ বারাসতের হরিনারায়নপুরের বাড়িতে চলে আসেন। তারপর তাকে কোলে পিঠে করে ধীরে ধীরে বড় করে তোলেন। স্কুলে ভর্তি করে পড়াশোনা শেখান। নিজের পরিচয় বেড়ে ওঠে বিহারের মোফুজ মোল্লা। সে জানত এটাই তার বাবা-মা। কিন্তু সে একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি পোস্ট করতেই সব কিছু পাল্টে যায়।

আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে এসে বাংলায় কথা বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার সেই ছবি দেখতে পান বিহারে বসবাসরত আসল মা-বাবা। যোগাযোগ করে তাঁরা জানতে পারেন, ছেলে দক্ষিণ বারাসতের কাছে একটি পরিবারে বড় হচ্ছে। তাঁরা এসে হাজির হন সেইদিনের সেই সবেদা বিক্রেতার বাড়িতে। সেখানে এসে দেখেন ছেলে অনেক বড় হয়ে গেছে। তাঁদের আর চিন্তেই পারছে না। তারপর মায়ের কোলে বসে থাকা পুরনো ছবি দেখে ধীরে ধীরে সবটা খোলসা হয়। যথারীতি পালিত মা-বাবাকে ছেড়ে আসল মা-বাবার কাছে ফিরে যায় মোফুজ। যদিও তিনি জানিয়েছেন, আসল মা-বাবার মতই পালিত মা-বাবাও তাঁর কাছে নিজের। তাই দু’জায়গাতেই যাতায়াত করবেন।

সুমন সাহা

ভারতের প্রথম ‘ডিজিটাল ভিখারি’র করুণ পরিণতি, গলায় ঝুলত QR Code

পাটনা: অনলাইন ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। বলা হয়, তিনিই ভারতের প্রথম ডিজিটাল ভিখারি। সেই রাজু প্রয়াত। বিহারের বেত্তিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।

রাজু নিজেকে দেশের প্রথম ডিজিটাল ভিক্ষুক মনে করতেন। বিহারের বেত্তিয়া রেলস্টেশনে ভিক্ষা করতেন রাজু। বেত্তিয়ার প্রতিদিনের যাত্রী হোক বা স্টেশনে আসা লোকজন, সবাই রাজুকে চিনতেন। রাজুর গলায় ঝোলানো থাকত ডিজিটাল কিউআর কোড। সেটাই হয়ে উঠেছিল তাঁর পরিচয়।

আরও পড়ুন- শিশুকে পথকুকুরের কামড়! সেই সারমেয়দের খেতে দেওয়ার ‘অপরাধে’ হামলা তরুণ দম্পতিকে

দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও সরকারী তথ্য নেই। ভিক্ষুকরা প্রায়ই রাস্তার মোড়ে, মন্দির, রেলস্টেশন এবং বাস স্ট্যান্ডের বাইরে ভিক্ষা করেন। কিন্তু বিহারের বেত্তিয়া রেলস্টেশনে ৩২ বছর ধরে ভিক্ষা করা রাজুর গল্প ছিল আলাদা।

সময়ের সঙ্গে রাজুও নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।  গলায় ঝুলত ফোন পে, Google Pay এবং Paytm-এর বার কোড। হাতে ট্যাবলেট। বেত্তিয়া রেলস্টেশনে ভিক্ষা করা রাজুর পরিচয় এটাই।

রাজু বিহারের নেতা লালু প্রসাদ যাদব এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভক্ত ছিলেন। তিনি লালু প্রসাদ যাদবকে পাপা বলে ডাকতেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘মন কি বাত’-এর পর্বগুলি শুনতেন নিয়মিত।

আরও পড়ুন- মদ্যপান করে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেফতার তিন মহিলা

যারা প্রায়ই রাজুকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতেন তাঁরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। অনেকেই রাজুকে পছন্দ করতেন। রাজু নিজেকে লালু যাদবের ছেলে বলতেন। লালু যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, রাজু সেই সময় রেলের ক্যান্টিন থেকে খাবার পেতেন। রাজুকে দেখতে ভিড় জমত স্টেশনে।