Tag Archives: cpim

কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদী)

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সংক্ষেপে সিপিআই (এম), সিপিআইএম বা সিপিএম নামে পরিচিত। মার্ক্সবাদী, লেনিনবাদী কমিউনিস্ট দল। সদস্যপদ এবং নির্বাচনী আসনের দিক থেকে এরাই ভারতের বৃহত্তম কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভারতের প্রধান জাতীয় দলগুলির অন্যতম। ১৯৬৪ সালের ৭ নভেম্বর সিপিআই ভেঙে তৈরি হয় সিপিআই (এম)। ২০২২ সালের হিসেবে সিপিআই(এম) তিনটি রাজ্যে ক্ষমতাসীন জোটের একটি অংশ – কেরলে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, বিহারে মহাগঠবন্ধন এবং তামিলনাড়ুতে ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল জোট। ৯টি রাজ্যের বিধানসভায় সিপিআইএমের বিধায়ক রয়েছে।

সর্বভারতীয় পার্টি কংগ্রেস হল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব। দুই কংগ্রেসের মধ্যবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি হল সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বডি। কেন্দ্রীয় কমিটি তার সদস্যদের মধ্য থেকে সাধারণ সম্পাদক-সহ পলিটব্যুরো নির্বাচন করে। পলিটব্যুরো তার দুটি অধিবেশনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাজ পরিচালনা করে। কেন্দ্রীয় কমিটি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিআইএম তৈরি হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এঁরা ত্রিপুরা তেলঙ্গানা এবং কেরলে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। তবে খুব শীঘ্রই সশস্ত্র পথ ছেড়ে তারা সংসদীয় কাঠামোয় কাজ শুরু করে। স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ঘনিষ্ঠ এবং কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলে ভারত। এর ফলে সোভিয়েত সরকার মনে করেছিল, ভারতের কমিউনিস্টরা তাঁদের পক্ষ নেবে এবং কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করবে। কিন্তু সিপিআই-এর একটি বড় অংশের দাবি ছিল, ভারত এখনও আধা সামন্ততান্ত্রিক দেশ, তাই সোভিয়েতের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিদেশনীতির স্বার্থে শ্রেণী সংগ্রামকে পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।

সিপিআইএম-এর ব্যুৎপত্তি: সিপিআই-এর সঙ্গে সিপিআইএম-এর সংঘাত মূলত মতাদর্শগত। সোভিয়েত না কি চিন, কার মতাদর্শে পার্টি চলবে এই নিয়েই বিবাদ। পার্টির অভ্যন্তরে কথিত ‘ডানপন্থীরা’ সোভিয়েতের পথ অনুসরণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ‘বামপন্থী’দের মত ছিল চিনা নীতি অনুসরণ করার পক্ষে। এই মতাদর্শগত পার্থক্যই ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করে। এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সোভিয়েত-চিনা বিভক্তির সঙ্গে মিলে শেষ পর্যন্ত সিপিআইএম-এর জন্ম দেয়।

১৯৬২ সালে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক অজয় ঘোষ মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর এসএ ডাঙ্গেকে পার্টির চেয়ারম্যান এবং ইএমএস নাম্বুদিরিপদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এভাবে দুপক্ষকে শীর্ষপদ দিয়ে একটা সমঝোতা অর্জনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু টেকেনি। ১৯৬৪ সালের ১১ এপ্রিল সিপিআই-এর জাতীয় কাউন্সিলের সভা থেকে ৩২ জন কাউন্সিল সদস্য ওয়াকআউট করেন।

৩১ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার ত্যাগরাজ হলে অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা কংগ্রেস। সেই সময়ই বম্বেতে পার্টি কংগ্রেসের আয়োজন করে সিপিআই। সিপিআইএম তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। পি সুন্দরাইয়া দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কলকাতা কংগ্রেসে মোট ৪২২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। অন্য দিকে, সিপিআইএম দাবি করে, তারা ১০৪,৪২১ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। যা মোট পার্টি সদস্যতার ৪০ শতাংশ।

কলকাতা কংগ্রেসে ভারতের রাষ্ট্র চরিত্রের শ্রেণী বিশ্লেষণ করা হয়। বলা হয়, ভারতের বুর্জোয়ারা সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতা করছে। পরিমল দাসগুপ্তের বিকল্প খসড়া কর্মসূচি কলকাতা সম্মেলনে প্রচার করা হয়নি। দার্জিলিংয়ের অতিবাম সৌরেন বসু প্রশ্ন তোলেন, অন্যান্য কমিউনিস্ট নেতাদের সঙ্গে কেন মাও সে তুংয়ের প্রতিকৃতি রাখা হল না? বিপুল করতালি দিয়ে তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন উপস্থিত কমরেডরা।

Lok Sabha Election 2024: নেতাজিকে প্রণাম করে সুভাষগ্রামে প্রচারে সৃজন

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: সুভাষগ্রামের নাম উঠলেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা মনে পড়ে যায়। এটি হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ভিটে। সুভাষগ্রামের কোদালিয়াতে তাঁর পৈতৃক ভিটে। আর সেই থেকে এলাকার নাম সুভাষগ্রাম হয়ে ওঠে। সেখানেই এবার ভোট প্রচারে গেলেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

সুভাষগ্রামের কোদালিয়ায় নেতাজীর পৈত্রিক ভিটেতে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করে আশেপাশের এলাকায় প্রচার করেন যাদবপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি এদিন সুভাষগ্রাম এলাকার প্রতিটা মানুষের সঙ্গে দেখা করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানায় এবং এদিন তিনি প্রচারের ফাঁকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধানের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: গাছের ডালে বাঁধা হাঁড়িতে রাখা জল মেটাচ্ছে পাখিদের তৃষ্ণা

পরে সৃজন বলেন, প্রচারের পথে তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের বাড়ি পড়লে সেখানে গিয়েও ভোট চাইবেন। তিনি জানান, যাদবপুরের সব ভোটারের কাছে যাচ্ছেন। তাই কে তৃণমূল, কে বিজেপি দেখছেন না। নেতাজীর মুর্তিতে মাল্যদান করে তিনি বলেন, বাংলার এইসব আইকনরা আর‌এস‌এস-এর হাতে পড়ে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি বাংলার এই ঐতিহ্য বজায় রাখার লড়াই’ও লড়ছেন।

সুমন সাহা

Lok Sabha Election 2024: ভোটের পর জমিদারদের তৈরি এই প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার চায় গোটা গ্রাম

বীরভূম: দিন গোনার প্রহর শুরু, হাতে আর মাত্র চারটে দিন। তারই মধ্যে দিনরাত এক করে চলছে রাজনৈতিক দলগুলির ভোট প্রচার। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ হবে বীরভূমের দুটি লোকসভা আসনে। এই শেষ বেলায় এসে প্রচারে এতটুকু ঢিলে দিতে রাজি নয় কোন‌ও রাজনৈতিক দল। তবে এই প্রচার পর্বেই বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীদের। নানান দাবির কথা উঠে আসছে

এই নির্বাচনে যারা রায়দান করবেন সেই জনতা জনার্দন কেমন আছে? তা জানার জন্য আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত ময়ূরেশ্বর জমিদারি গ্রামে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন প্রিয়া সাহা, তৃণমূলের প্রার্থী এখানকার বিদায়ী সাংসদ অসিতকুমার মাল এবং সিপিএম প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধানকে।

আরও পড়ুন: গ্রামের ভরসাতেই টিকে হাতপাখা

একসময় জমিদাররা এই গ্রামে বসবাস করতেন। তা থেকেই এমন নামকরণ। এই গ্রামের মধ্যেই অবস্থিত রয়েছে জমিদারদের তৈরি করে যাওয়া সর্বমঙ্গলা মন্দির। তবে কালের করাল গ্রাসে একদিকে যখন জমিদারদের আধিপত্য কমেছে, ঠিক তেমনই এই মন্দিরের অবস্থাও ভগ্নপ্রায়। জমিদার আমলের এই সর্বমঙ্গলা মন্দির আজ প্রায় ধ্বংসের পথে। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমের এই গ্রামের বাসিন্দারা চাইছেন, যে প্রার্থীই জয়ী হোক না কেন অতি প্রাচীন এই সর্বমঙ্গলা মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব যেন নেয়। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে হাজার অজানা ইতিহাস। দুর্গাপুজোর পর দ্বাদশীর দিন এই মন্দিরে বড় পুজোর আয়োজন করা হয়। এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে দূর দূরান্ত থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এখানে ভোগ গ্রহণ করতে আসেন।

সৌভিক রায়

মুর্শিদাবাদে কি জিতবে সিপিআইএম? ভোটের পর কী বললেন মহম্মদ সেলিম

মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের দিন সকাল থেকে ময়দানে চেনা মেজাজে দেখা যায় কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। দিনভর ভোটের শেষে কী বলললেন তিনি। মুর্শিদাবাদ আসন কি সিপিআইএম জিতবে? দেখুন ভিডিও।

প্রযুক্তিকে হাতিয়ার বামেদের, ভোট প্রচারে এবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সমস্ত রাজনৈতিক দলের থেকে এক ধাপ এগিয়ে বামেরা। এবার ভোটের ময়দানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে তারা নিয়ে এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।

Lok Sabha Election 2024: মথুরাপুরের গণনা কেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি বাম-বিজেপির, কারণ শুনলে অবাক হবেন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হঠাৎ মথুরাপুর লোকসভার গণনাকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি তুলল বিরোধীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনার স্থান বা কেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছিল কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের নাম। কিন্তু এই স্কুলে গণনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। বিরোধী সিপিএম এবং বিজেপির দাবি, এই স্কুলে ভোট গণনা কেন্দ্র করা হলে একাধিক অসুবিধা হতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, বিরোধী দলের কাউন্টিং এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দিতে পারে তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি গণনায় কারচুপি এবং প্রভাব খাটানোর আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে বিরোধীরা।

LIVE : লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ তৃতীয় দফা ভোটগ্রহণ

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে মথুরাপুরের গণনা কেন্দ্র অন্যত্র সরানোর দাবি তোলা হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে সিপিএম। এই নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই স্কুলে গণনা কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন সঠিক কাজ করেনি। আমাদের প্রার্থী শরৎ হালদার অভিযোগ জানিয়েছে। এই স্কুল থেকে গণনা কেন্দ্র অন্যত্র সরানো উচিত। এখানে যেভাবে চাপ তৈরি হবে তাতে নিরপেক্ষ ভোট গণনা হওয়া অসম্ভব। কান্তিবাবু অভিযোগ করেন, অতীতে যখন এই স্কুলে গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল তখন বিরোধী দলের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়‌। তার উপর এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি মথুরাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার। স্বাভাবিকভাবেই এই স্কুলে গণনা কেন্দ্র হলে শাসক দল অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে পারে বলে এই বর্ষিয়ান সিপিএম নেতা প্রকাশ করেন।

আর‌ও পড়ুন: মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি! গরম বাড়ায় চাষির পেটে কিল

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে একই দাবি করেছেন মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে কি নির্বাচন কমিশন। তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূল প্রার্থী যে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সেখানেই কীভাবে গণনা কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন? বিজেপির পক্ষ থেকেও লিখিতভাবে গণনা কেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, গণনা কেন্দ্র নির্বাচনের বিষয়টি একেবারেই নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ব্যাপার। এখানে তৃণমূলের কোন‌ও যোগ নেই। ফলে গণনা কেন্দ্র সরিয়ে বিরোধীরা তৃণমূলের পাকা ধানে মই দিতে পারবে না। এরপর কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি বলেন, ‘যেখানেই গণনা কেন্দ্র করুক ওদের বিপুল ভোটে হারাব।’

নবাব মল্লিক

Murshidabad News: এবার থেকে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করবে সিপিআইএম! জানালেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম

মুর্শিদাবাদ: আগামী ২৫বৈশাখ ৮মে বিশ্বকবিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। তাই এবার প্রথম বামফ্রন্ট ও সিপিআইএম যৌথ সিদ্ধান্ত নিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করার। বহরমপুরে জেলা সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন সিপিআইএম রাজ্যে সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

মহম্মদ সেলিমজানিয়েছেন,”আমরা সিপিআইএম ও বামফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে এবছর প্রথম জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করা হবে। সেই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সমস্ত জেলা ও অঞ্চলে একই সঙ্গে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ৭তারিখ নির্বাচন শেষ হবে, ৮মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করা হবে রাজ্যজুড়েই।”

মহম্মদ সেলিম তিনি এও জানান,”রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ফ্যাসিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। জাতীয়তাবাদের নামে উগ্র জাতীয়তাবাদকে ঘৃণা করেছেন এবং বাংলা সংস্কৃতির কথা বারবার বলেছেন। আমাদের পরিবেশকে রাজনৈতিক সামাজিক ও প্রাকৃতিক পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাই মিলন ধর্মী সমাজ আধারে তৈরি করা প্রয়োজন এবং সংস্কৃতিকে আমাদের নতুন করে সেচ দিতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে এটাই ভারতের সেরা ১১! প্রথম দলে একাধিক মহাচমক? জানুন বিস্তারিত

শেষে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, এই সব কিছুর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করতে হবে। আর নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। তাই আমাদের এই বছর প্রথম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”

কৌশিক অধিকারী

Lok Sabha Election 2024: পথ দুর্ঘটনায় আহতদের নিয়ে সেলিমের কাণ্ড দেখে হতবাক সকলে!

মুর্শিদাবাদ: নির্বাচনী আঁচে তপ্ত মুর্শিদাবাদ। মঙ্গলবার জেলার জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ পর্ব উতরোতে এই জেলায় নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তারই মধ্যে হরিহরপাড়ায় পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় আহত হলেন দু’জন পথচারী। আর তার পরবর্তী ঘটনার সূত্র ধরে শিরোনামে উঠে এলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম।

LIVE : লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ তৃতীয় দফা ভোটগ্রহণ

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, হরিহরপাড়ায় তাদের গাড়ির ধাক্কায় আহতদের নাম নৃপেন হালদার এবং কণিকা হালদার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনী প্রচার সেরে হরিহরপাড়া থেকে ফিরছিলেন মহম্মদ সেলিম। সেই সময়ই কুমড়োদহ ঘাট এলাকায় রাস্তার ধারে আহত অবস্থায় ওই দু’জনকে পড়ে থাকতে দেখেন। তৎক্ষণাৎ তাঁদের নিজের গাড়িতে তুলে বহরমপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।

আর‌ও পড়ুন: ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনা, দুর্গন্ধে অতিষ্ট কালচিনিবাসী

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাইকের ধাক্কায় নৃপেন হালদার ও কণিকা হালদার আহত হয়েছেন সেটি চালাচ্ছিলেন পুলিশ কর্মী ভাস্কর সরকার। আহত হন তিনিও। বাইকের ধাক্কায় আহত হন ওই দুই পথচারীও।

পরে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘রবিবার ছিল ভোট প্রচারের শেষ দিন। প্রচার শেষ করে ফেরার পথে দেখা যায় হরিহরপাড়ায় পথ দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় দু’জন পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের গাড়িতে চাপিয়ে সোজা বহরমপুরে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা যান।’ বর্তমানে সেখানেই ওই আহত দু’জনের চিকিৎসা চলছে। এদিকে সেলিমের এমন কাণ্ডকারখানায় চমৎকৃত স্থানীয়রা। অনেকেই তাঁকে বাহবা জানিয়েছেন।

কৌশিক অধিকারী

Lok Sabha Election 2024: ভোট কাটাকুটির অঙ্কে মুর্শিদাবাদে ‘পদ্ম’ ফোটানোর আশা

মুর্শিদাবাদ: বাংলায় ‘শূন্য’ দশা কাটাতে সিপিএম পাখির চোখ করেছে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রটিকে। এখানে লড়ছেন খোদ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর প্রচারে মানুষের ব্যাপক ঢল দেখা যাচ্ছে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে বাম-কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু প্রথমবারের জন্য এই মুর্শিদাবাদেই পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। সংখ্যালঘু ভোট কাটাকাটির অঙ্কে তারা বাজিমাত করতে পারে বলে ধারণা বিজেপি নেতৃত্বের।

মঙ্গলবার চতুর্থ দফায় জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। রবিবার শেষ হতে চলেছে এই কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচার। তার আগে সমস্ত রাজনৈতিক দল তারা তাদের মত করেই ভোটের নির্বাচনী প্রচার করছেন জোরকদমে। শনিবার এখানে জোরকদমে প্রচার করতে দেখা গেল বিজেপি নেতৃত্বকেও।

আর‌ও পড়ুন: উপহারের ঠেলায় বারবার থামতে হল মোদিকে

একটা সময় বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পদ সামলেছেন। ২০২১ সালে তৃণমূলকে পরাজিত করে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা আসনে পদ্ম ফুটিয়েছিলেন গৌরীশঙ্কর ঘোষ। তিনিই মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী। মুর্শিদাবাদ, ভগবানগোলা, হরিহরপাড়া, ডোমকল, রানিনগর, জলঙ্গির পাশাপাশি নদিয়া জেলার করিমপুর নিয়ে গঠিত এই লোকসভা কেন্দ্র। ফলে দিনরাত এক করে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলছে নির্বাচনী প্রচার। কোথাও রোড শো কোথাও বা ছোট ছোট পথসভা, কোথাও আবার পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের কাছে জনসংযোগ তৈরি করে ভোট প্রার্থনা করছেন বিজেপি প্রার্থী।

মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন মানেই অশান্তি, বোমা বারুদ গুলির আওয়াজ। তাই এই লোকসভা কেন্দ্রে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এমনকি মহিলা পরিচালিত বুথের জন্য মহিলা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। চলছে রুট মার্চ পর্ব। তবে নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ।

কৌশিক অধিকারী

Lok Sabha Elections 2024 West Bengal: চতুর্থ দফা থেকেই বাংলায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা, কত কোম্পানি বাহিনী আসছে রাজ্যে?

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের জন্য কাশ্মীরের থেকে বেশি বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে বরাদ্দ করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রথম দুই দফায় উত্তরবঙ্গের ৬টি আসনে প্রায় নির্বিঘ্নেই ভোট হয়েছে। এ বার নির্বাচন কমিশনের নজরে দক্ষিণবঙ্গ।

আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিল থেকে চাকরিহারা শিক্ষকদের ধর্নামঞ্চের দিকে ইট ছোড়ার অভিযোগ, তমলুকের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কমিশনের

দক্ষিণবঙ্গের একাধিক আসনে অশান্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর উপর নজর দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, চতুর্থ দফা থেকেই বাড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। ১৩ মে চতুর্থ দফায় নির্বাচন হবে রাজ্যের ৮টি আসনে। চতুর্থ দফায় রাজ্যে মোতেয়েন করা হবে ৫৯৬ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরের দফাগুলিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। পঞ্চম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বেড়ে হবে ৭৬২ কোম্পানি, ঘটনাচক্রে পঞ্চম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭টি আসনে।

আরও পড়ুন: এ বার আকাশপথে প্রচারে যাবেন সুকান্ত! পদ্মের রাজ্য ’সেনাপতি’র সফর শুরু পুরুলিয়া দিয়ে

ষষ্ট দফাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বেড়ে হবে প্রায় সাড়ে ন’শো। উল্লেখ্য ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রস্তাব ছিল পশ্চিমবঙ্গে ৯২০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে রাজ্যে। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে দক্ষিণবঙ্গের মোট ৮টি আসনে। প্রথম দু’দফায় নির্বাচন নিয়ে প্রায় খুশি সব দলই, মঙ্গলবার ৭ মে তৃতীয় দফায় রাজ্যের মোট চারটি আসনে ভোট রয়েছে।

Lok Sabha Election 2024: ‘আমিই তমলুকের হেভিওয়েট প্রার্থী’, মনোনয়ন পেশের পর সায়ন

পূর্ব মেদিনীপুর: মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর নিজেকে হেভিয়েট প্রার্থী বলে ঘোষণা তমলুকের সিপিএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই তরুণ আইনজীবী প্রার্থী শুক্রবার জেলাশাসকের কার্যালয়ে জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্তের হাতে মনোনয়ন পেশ করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ‘হেভিওয়েট প্রার্থী’ সংক্রান্ত এই মন্তব্য করেন।

এদিন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পেশ করেন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী উর্বশী ব্যানার্জী ভট্টাচার্য। তাঁরা প্রায় দুই কিলোমিটার পথ সুসজ্জিত শোভাযাত্রার মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছন।

আর‌ও পড়ুন: বাড়ির উঠোনে শখ করে লাগানো গাছ ফলে ভরে উঠবে, শুধু মেনে চলুন এই টিপস

কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা এবং উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মত ছিল। জেলাশাসকের দফতরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হয়। এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সায়ন বলেন, ‘এত বিপুল জনসংখ্যা, সমর্থক আমাদের পাশে আছে। বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি একজোট হয়ে এবারের নির্বাচনে ময়দানে নেমেছে। তমলুকে অন্য কেউ নয়, সায়ন ব্যানার্জি হেভিওয়েট প্রার্থী। বিপুল মানুষের সমর্থন আছে, ফলে ভোটের ফলাফলে আমরাই জয়ী হব।’

সৈকত শী