Tag Archives: district durga puja 2024


Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর! লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষার দিন শেষ! এ বার এক ক্লিকেই হাতের মুঠোয় সব অনুমতি

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: লাইন দিয়ে এ বার আর দমকল কিংবা পুলিশের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভিড় এড়াতে এবার জেলা প্রশাসনের নয়া উদ্যোগ।অনলাইনেই এবার পুজোর আবেদন করতে পারবে সব ক্লাব।পশ্চিম মেদিনীপুর পুজো পারমিশন’ পোর্টালের উদ্বোধন হল জেলা প্রসাশনের হাত ধরে।পুজোর আগে এমন আয়োজনে খুশি উদ্যোক্তারা। নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে অনলাইন মাধ্যমে আবেদন জানালে মিলবে পুজোর অনুমতি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে যাতে কোনও বন্ধকতা না সৃষ্টি হয় তার জন্য এই আয়োজন জেলা প্রশাসনের।স্বল্প সময়ে মিলবে অনুমতি।

পুজোর পারমিশন বা অনুমতির জন্য আর ছোটোছুটির প্রয়োজন নেই। আবেদন করা যাবে ঘরে বসেই। ‘পশ্চিম মেদিনীপুর পুজো পারমিশন’ (Paschim Medinipur Pujo Permission) পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনেই করা যাবে পুজোর আবেদন। প্রসঙ্গত বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। যার মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুজো।এই সময় উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। পাশাপাশি দমকল, পুলিশ, এমনকি বিদ্যুতের সংযোগের জন্যও অনুমতি লাগে পুজোর জন্য। এ ক্ষেত্রে লাইন দিয়ে উদ্যোক্তাদের দাঁড়িয়ে পারমিশন করাতে হত। তবে এবারে আর দাঁড়িয়ে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশেষ ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে অনুমোদন।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘এই পোর্টাল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুজো উদ্যোক্তারা খুব সহজেই পুজোর অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি এজন্য জেলা পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাব।’’

অপরদিকে, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা বা জটিলতা কমানোর জন্যই আবেদন পদ্ধতি অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়েছে। জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগেই এটা করা হয়েছে। এই অনলাইন ব্যবস্থা সফল করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলাশাসকদের অবদান অনস্বীকার্য।”

আরও পড়ুন : এখনও মহাশূন্যেই আটকে সুনীতা ও বুচ, মহাকাশচারীদের ছাড়া ‘খালি হাতে’ই পৃথিবীতে ফিরল স্টারলাইনার

জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ (Paschim Medinipur District Police)। পুজোর প্রায় এক মাস আগেই, জেলা পরিষদের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পোর্টালের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং মহকুমাশাসক বৃন্দ।

Darjeeling Tour: পাইনবনের ফাঁকে টয়ট্রেনের ছোট্ট স্টেশন, নেমে পড়লেই হাতছানি দিয়ে ডাকবে রংটং

দার্জিলিং:পাহাড়ের বুকে রংটং পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম পছন্দের জায়গা। প্রতিনিয়ত প্রচুর পর্যটক পাহাড়ের টানে নিরিবিলিতে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে ছুটে যায় এই রংটং-এ। এছাড়াও আপনি যদি ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের স্টিম ইঞ্জিন চালিত টয় ট্রেনে করে দার্জিলিং যেতে চান তাহলে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুকনা হয়ে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে এই রংটং এর মাঝ দিয়েই ছুটে চলবে টয় ট্রেন।
দার্জিলিং:পাহাড়ের বুকে রংটং পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম পছন্দের জায়গা। প্রতিনিয়ত প্রচুর পর্যটক পাহাড়ের টানে নিরিবিলিতে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে ছুটে যায় এই রংটং-এ। এছাড়াও আপনি যদি ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের স্টিম ইঞ্জিন চালিত টয় ট্রেনে করে দার্জিলিং যেতে চান তাহলে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুকনা হয়ে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে এই রংটং এর মাঝ দিয়েই ছুটে চলবে টয় ট্রেন।
আপনিও যদি পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং যেতে চান তাহলে একবার ঘুরেই যেতে পারেন প্রকৃতির মাঝে অনবদ্য এই জায়গা রংটং থেকে।বর্তমানে রংটং এ প্রচুর পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়, সে অর্থে সারি সারি রেস্তোরাও গড়ে উঠেছে।
আপনিও যদি পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং যেতে চান তাহলে একবার ঘুরেই যেতে পারেন প্রকৃতির মাঝে অনবদ্য এই জায়গা রংটং থেকে।বর্তমানে রংটং এ প্রচুর পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়, সে অর্থে সারি সারি রেস্তোরাও গড়ে উঠেছে।
তবে রংটং থেকে কিছুটা উপরে যাকে রংটং ২ নং ফুলবাড়ি বলে জানা যায় সেই জায়গায় রয়েছে বহু পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী একটি পার্ক, দীর্ঘদিন ধরে জঞ্জালে ভর্তি হয়ে বন্ধ ছিল ওই পার্ক ,অবশেষে সেই পার্ককে নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে, সেই অর্থেই জায়গাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
তবে রংটং থেকে কিছুটা উপরে যাকে রংটং ২ নং ফুলবাড়ি বলে জানা যায় সেই জায়গায় রয়েছে বহু পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী একটি পার্ক, দীর্ঘদিন ধরে জঞ্জালে ভর্তি হয়ে বন্ধ ছিল ওই পার্ক ,অবশেষে সেই পার্ককে নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে, সেই অর্থেই জায়গাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই পার্কটি নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছে এক দুটি ছোট ছোট দোকান।
অন্যদিকে এই পার্কটি নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছে এক দুটি ছোট ছোট দোকান।
সেই অর্থে সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন এই পার্কটি নতুন করে তৈরি হচ্ছে ফলে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই আয়ও বাড়ছে।
সেই অর্থে সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন এই পার্কটি নতুন করে তৈরি হচ্ছে ফলে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই আয়ও বাড়ছে।
প্রকৃতির মাঝে অনবদ্য এই জায়গায় পার্কটি গড়ে উঠলে পর্যটকদের কাছে এই জায়গা যেন এক বাড়তি পাওনা হয়ে দাঁড়াবে। Input- Sujay Ghosh
প্রকৃতির মাঝে অনবদ্য এই জায়গায় পার্কটি গড়ে উঠলে পর্যটকদের কাছে এই জায়গা যেন এক বাড়তি পাওনা হয়ে দাঁড়াবে। Input- Sujay Ghosh

Durga Puja 2024: সামনেই দুর্গাপুজো, চরম ব্যস্ততায় এই শিল্পীরা! দেখুন

কোচবিহার: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। আর এই পুজোকে ঘিরে বাঙালির মধ্যে উন্মাদনা থাকে চরমে। আর পুজো করতে প্রয়োজন হয় বাঁশ আর কাপড় সহযোগে তৈরি প্যান্ডেলের। অতীতে অস্থায়ী বাঁশের ছাউনি আর কাপড়ের ভাঁজেই তৈরি হতো এই প্যান্ডেল। তবে বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়ার পাল্টেছে সেই পুরোনো নিয়ম। এখন দুর্গাপুজো হোক কিংবা হোক কালীপুজো, থিমের লড়াই লেগেই থাকে সর্বত্র। আর এই থিমকে তৈরি করতে প্রয়োজন উন্নত মানের প্যান্ডেল। তবে কতখানি দক্ষতায় যে গড়ে ওঠে এই দৃষ্টিবিলাস সেটা সত্যি অকল্পনীয়। বহু মানুষের রুটি-রুজির নির্ভর করে প্যান্ডেলের কাপড়ের শিল্পের ওপর।

জেলার বেশকিছু বেকার যুবক-যুবতীদের, বৃদ্ধ কারিগরের এই পেশায় কর্মসংস্থান খুঁজে নিয়েছেন। প্যান্ডেল কাপড়ের শিল্পী আমির হোসেন জানান, বেশ কিছুটা সময় হয়েছে তিনি এই কাজ শুরু করেছেন। তবে দুর্গা পুজোর সময় তাঁদের খুবই চাপ থাকে। মূলত তাঁরা যে কাপড় তৈরি করেন। সেই প্যান্ডেলের কাপড় সমস্ত ধরনের প্যান্ডেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পুজোর আগে প্যান্ডেলের কাপড়ের অর্ডার সাপ্লাই করার প্রচুর চাপ থাকে। শুধু কোচবিহার নয়, জেলার বাইরেও গিয়ে থাকে এই প্যান্ডেলের কাপড়।

আরও পড়ুন: রেল চালকের তৎপরতা! পৃথক দুটি ঘটনায় প্রাণ বাঁচল বন্যপ্রাণের 

এই বিষয়ে সুবল চন্দ্র নন্দী এবং পীযুষ নন্দী জানান, শুধু দুর্গাপুজো নয়। অন্যান্য বিগ বাজটের পুজোর প্যান্ডেলের বরাত‌ও আসে এইসব শিল্পীদের কাছে। জোরকদমে চলে প্যান্ডেলের কাপড় তৈরির কাজ। কোচবিহার থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় যায় তাঁদের বানানো এই কাপড়। এখনও মাঝে মধ্যে রাত জাগতে হলেও, পুজোয় কয়েকদিন আগে থেকে প্রতিদিন রাত জাগতে হয়। তখন চাপ থেকে অনেকটাই বেশি।

বর্তমানে জেলায় এবং বাইরে যেভাবে এই থিম প্যান্ডেলের চাহিদা বেড়েই চলেছে ক্রমশ। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই শিল্পীরা দুর্গা পুজোর সময় বেশ অনেকটাই মুনাফা অর্জন করতে পারেন। বছরের অন্যান্য সময়ে মুনাফার পরিমাণ কম থাকলেও এই সময়ে মুখে হাসি ফোটে শিল্পীদের।

সার্থক পন্ডিত

Durga Puja 2024: গ্রামে দুর্গাপুজো আয়োজনে মহিলারা, সাহস জোগিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

: গ্রামে দুর্গাপুজো হত না। গ্রামের মহিলাদের অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে যাওয়া হোক কিংবা পুজো দেখতে যেতে হত পার্শ্ববর্তী এলাকার পুজো মণ্ডপে। গ্রামের মহিলারা গ্রামের দুর্গা পুজোর আয়োজনে উদ্যোগী হয়। আর তাদের এই পুজো আয়োজনে সাহস যোগায় রাজ্য সরকারের দেওয়া মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভাতা। সেই ভাতা থেকেই গ্রামের মহিলারা চাঁদা দিয়ে শুরু করেন দুর্গাপুজো। ২০২৩ সালে প্রথম গ্রামের মহিলারা নিজেদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে প্রাপ্ত অর্থ থেকে শুরু করেন দুর্গাপুজো। চলতি বছর সেই পুজো দ্বিতীয় বছরে পড়ল।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত ধুরপা গ্রাম। এই গ্রামে হত না দুর্গাপুজো। আশ্বিনের সারদের আকাশ যখন কালো মেঘ সরিয়ে নীল সাদা মেঘের ভেলা সাজিয়ে প্রকৃতি আহ্বান জানায়দেবী দুর্গাকে,তখন এই গ্রামে মন খারাপের মেঘ ভিড় করে থাকত। চারিদিকে যখন পুজো, পুজো গন্ধতখন এই গ্রামে পরিবেশ গুরুগম্ভীর। কোথাও যেন বিষাদের ছোঁয়া! কারণ গ্রামে বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আয়োজন হত না কোনওদিনই। পুজোয় মন খারাপের মেঘ দূর করতে গ্রামের মহিলারা সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন। শুরু করেন গ্রামে দুর্গাপুজো। আর তাদের এই দুর্গাপুজোর আয়োজনে সাহস যোগায় রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

আরও পড়ুন: আর নয় দার্জিলিং এবার বোলপুর গেলেও মিলবে চা পাতার দেখা

চলতি বছর তমলুক থানার অন্তর্গত ধুরপা গ্রামের মাতৃশক্তি পুজো কমিটির দুর্গাপুজো দ্বিতীয় বছরে পড়ল। শহরের দিকে মেয়েরা দুর্গাপুজোর আয়োজন করে থাকলেও গ্রামে মহিলাদের আয়োজিত পুজোর দৃষ্টান্ত খুব কমই পাওয়া যায়। আর সেই জায়গায় গ্রামের মহিলারা নিজেদের লক্ষীর ভান্ডার থেকে পুজোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদিকা শম্পা জানা বলেন,  গ্রামে দুর্গাপুজো হত না। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠা হত না সেভাবে। সে ভাবনা থেকেই গ্রামে দুর্গাপুজোর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামের মেয়েরা সেভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় দুর্গাপুজো কীভাবে আয়োজন করা হবে সে নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়। আর সব চিন্তার অবসান ঘটে লক্ষী ভান্ডারে। গ্রামের মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এক মাসের টাকা পুজোর জন্য দেওয়া হয়।

তমলুকের এই ধুরপা গ্রামে মাতৃ শক্তি পুজো কমিটিতে মোট ৮০ থেকে ৯০ জন মহিলা রয়েছেন। মহিলারা তাদের লক্ষীর ভান্ডারে প্রাপ্ত টাকা থেকে এক মাসের টাকা দুর্গাপুজোর আয়োজনে তুলে দেন। এর পাশাপাশি মহিলারা পাড়ায় পুজোর জন্য চাঁদা আদায় করেন। মহিলারা জানান তাদের এই পুজো আয়োজনে সব থেকে বড় সাহস জোগিয়েছে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। চলতি বছর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার পরিমাণ বেড়েছে। ফলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে আয়োজন হওয়া এই পুজোর জৌলুসও শেষ বছরের তুলনায় এ বছর বাড়বে বলে জানান মহিলারা।

সৈকত শী

Bankura News: পুজোর আগে বাঁকুড়ায় খান এই খাবার,লেগে থাকবে মুখে স্বাদ

পুজোর আগে মহারাষ্ট্রের খাবার বাঁকুড়ায়। দাম শুরু মাত্র ২৫ টাকা থেকে।
পুজোর আগে মহারাষ্ট্রের খাবার বাঁকুড়ায়। দাম শুধু মাত্র ২৫ টাকা থেকে।
চপ মুড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিক্রি হচ্ছে বড়া পাও। বাঁকুড়ার যুব সমাজ গ্রহণ করেছে উৎসাহের সঙ্গে।।
চপ মুড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিক্রি হচ্ছে বড়া পাও। বাঁকুড়ার যুব সমাজ গ্রহণ করেছে উৎসাহের সঙ্গে।।
পাওয়া যাচ্ছে নরমাল বড়া পাও, চিজ বড় পাও, চিজ বাটার বড়া পাও, চিজ মেয়োনিজ বড়া পাও। একটি খেলে পেটে ভরে যাচ্ছে।
পাওয়া যাচ্ছে নরমাল বড়া পাও, চিজ বড় পাও, চিজ বাটার বড়া পাও, চিজ মেয়োনিজ বড়া পাও। একটি খেলে পেটে ভরে যাচ্ছে।
জনপ্রিয় ফাস্টফুড
জনপ্রিয় ফাস্টফুড “বড়া পাও” যা দেখতে অনেকটা বার্গারের মতো। এই জনপ্রিয় খাবার গোটা ভারতবর্ষে তথা পৃথিবীতে ভারতীয়দের হাত ধরে ছড়িয়েছে দ্রুত গতিতে
“পকেট ফ্রেন্ডলি” দামে, মাত্র ২৫ টাকায় “বড়া পাও” বিক্রি করছেন দুই বোন খুশবু কানোই এবং মুশকান কানোই।
বড়া পাও কে এক কথায় দেশী বার্গার বলা চলে। যা মহারাষ্ট্র থেকে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে দেশ-বিদেশে।
বড়া পাও কে এক কথায় দেশী বার্গার বলা চলে। যা মহারাষ্ট্র থেকে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে দেশ-বিদেশে।

Travel Destination: পাহাড়, ঝর্না, চা বাগান…পুজোর ছুটি কাটাতে চান প্রকৃতির কোলে? এই ‘অচেনা’, ‘নির্জন’ জায়গার খোঁজ জানেন তো?

দার্জিলিং: পুজোর ছুটিতে যাঁরা একটু অন‍্যরকম জায়গায় ঘুরতে যেতে চান তার জন্য অপেক্ষা করছে একেবারে অচেনা এই জায়গাটি। পাহাড়ে ঘোরার এখন অনেক ছোট বড় জায়গা হয়েছে। একাধিক অফবিট লোকেশন তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই দারুন একটি জায়গা হল কালেজ ভ্যালি। রংবুলের কাছে এই জায়গা। দার্জিলিং থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে।

কালেজ পাখি দেখা যায় এখানে প্রচুর, সেই থেকেই নাম হয়েছে কালেজ ভ্যালি। চারদিকে চা বাগান আর পাইন গাছের সারি। পরিবার নিয়ে আসুন বা বন্ধুদের সঙ্গে অথবা মধুচন্দ্রিমায়, প্রকৃতিকে যদি আপনি ভালোবাসেন তাহলে এখানে আসতেই হবে।

আরও পড়ুন: অপরাজিতা বিল পাস, এবার? নবান্নে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক মমতার, নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত

কালেজ ভ্যালিতে রয়েছে মাত্র দুটো হোম স্টে– কালেজ ভ্যালি কানন হোম স্টে আর রেনবো ভ্যালি রিসর্ট। দুটোই একবারে চা বাগানের ধার ঘেঁষে। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেরোতে বেরোতেই দেখবেন কখন যেন সময় কেটে গিয়েছে।

সকালের প্রাতরাশ সেরে চলে যান রেনবো ফলস দেখতে। অবশ্য এই ঝর্নার আরও একটা নাম আছে, ইন্দ্রানী ফলস্। আসলে সূর্যের আলো পড়ে ঝর্নার বুকে রামধনু তৈরি হয় বলে নাম হয়েছে রেনবো ফলস। দুটো হোমস্টে থেকে রেনবো ফলসের দূরত্ব ২ কিমির মতো। হেঁটে যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টার কাছাকাছি। পাহাড়ি রাস্তা ধরে ট্রেকিং করার শখ যাদের রয়েছে, তাঁদের অসাধারণ লাগবে এই অভিজ্ঞতা।

আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থীতে বিরল যোগ! ৩ রাশি হবে সোনায় সোহাগা, হু হু করে বাড়বে ব‍্যাঙ্ক ব‍্যালেন্স

হাঁটার কষ্ট ভুলিয়ে দেবে চারপাশের প্রকৃতি। আর একবার ঝর্নার কাছে পৌঁছে গেলে তো চোখ ফেরাতেই পারবেন না। সশব্দে নেমে এসেছে জলের ধারা। বর্ষায় যার রূপ আরও সুন্দর। খুব সুন্দর বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝর্নার পাশটা। তাই পাশে বসে জিরিয়েও নিতে পারবেন।

এখানে আসতে হলে আগে আপনাকে ট্রেনে করে আসতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি বা প্লেনে বাগডোগরা। এবার সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে আসতে পারেন কালেজ ভ‍্যালি। অথবা শেয়ার গাড়িতে আসুন রংবুল পর্যন্ত। সেখান থেকে হোম স্টে-তে বলে রাখলেই তারা গাড়ি পাঠিয়ে দেবে।

অনির্বাণ রায়

Durga Puja 2024: পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিয়ে ‘সুন্দরবন’ থিম! সুবর্ণ জয়ন্তীতে জেলার পুজোয় বড় চমক

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই জেলা কোচবিহারে দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। জেলার বিগ বাজেটের পুজোগুলোর মধ্যে এবারে নজর রয়েছে সকলের। তাই জেলার বিগ বাজেটের পুজোর কর্তৃপক্ষরাও ভারি ব্যস্ত। জেলায় এবার বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল মহিষবাথান বিদ্যাসাগর ক্লাব ও পাঠাগারের পুজো। সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের পুজোয় এবারে একেবারে পরিবেশ বান্ধব থিম তৈরি করা হচ্ছে এই ক্লাবে। পরিবেশরক্ষার বার্তায় ‘সুন্দরবন’ নামের থিম তৈরি করা হচ্ছে এবছর এই ক্লাবের পুজোয়।

ক্লাবের সম্পাদক দীপঙ্কর দাস জানান, চলতি বছরে তাঁদের ক্লাবের পুজোর মোট বাজেট রয়েছে আনুমানিক ৬০ লক্ষ টাকা। যা আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি। এছাড়া এবারে একেবারেই অন্যরকমের এক নতুন থিম নিয়ে আসা হচ্ছে সকলের জন্য। চলতি বছরে তাঁদের পুজো সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। সেই উপলক্ষে এই বিশেষ আয়োজন করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব জিনিস দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গোটা পুজো মণ্ডপ। যা দেখতে দারুণ আকর্ষণীয় লাগব। ছোট থেকে বড় সকলের এই পুজো মণ্ডপ পছন্দ হবে, এটুকু নিঃসন্দেহে বলা সম্ভব।

আরও পড়ুন: নৌকায় টহলদারি পুলিশের, বন্যার জলের তলায় থানা, ভয়াবহ অবস্থা উত্তরবঙ্গে

ক্লাব কমিটির সদস্য দেবাশিস পাল জানান, ক্লাবের পুজোয় পরিবেশরক্ষার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তাই এই থিম পছন্দ করেছেন তাঁরা। সকলে চায় একটু আলাদা ধরনের থিম। তাই এই বিশেষ থিম তৈরি করা হল। সকলের প্রত্যাশা এই থিম সকল দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের মন জয় করবে। থিম আর্টিস্ট সুকান্ত বণিক জানান, দীর্ঘ প্রায় দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ চলছে। মহালয়ার আগেই এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। গোটা মণ্ডপটি তৈরি করা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব উপকরণ বাঁশ, কাপড়, মাটি ও সুতো দিয়ে। সকলের এই থিম পছন্দ হবে, এমনটাই প্রত্যাশা তাঁদের।

যদিও জেলার বুকে এবারে বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে। তাই এটুকু বলা সম্ভব বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে জেলার এই পুজো বেশ অনেকটাই মন আকর্ষণ করবে সকলের।

Sarthak Pandit

Durga Puja 2024: বরাত পেয়েছেন ভিন রাজ্যের ৫০টি বেশি প্রতিমা, তাই চরম ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রহর গুনছে আপামর বাঙালি। একদিকে যখন এক এক করে দিন গোনা শুরু, অন্যপ্রান্তে ব্যস্ততা তুঙ্গে কুমোর পাড়ায়। নাওয়া খাওয়া ভুলে শিল্পীরা প্রতিমা প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। কারণ দিন কয়েক পরে মৃন্ময়ী দেবীকে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পালা। তবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা প্রস্তুত করতে ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি অর্ডার পেয়ে দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছেন এক শিল্পী।

তার তৈরি একাধিক মূর্তি শুধু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নয়, রাজ্যের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দেবে। একদিকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা আর অন্যদিকে একের পর এক দিন এগিয়ে আসা। স্বাভাবিকভাবে চরম ব্যস্ততা শিল্পীদের মধ্যে।পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের বালিচক এলাকার মৃৎশিল্পী কুশধ্বজ বেরা। প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। এবছর প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি তার অর্ডার মিলেছে।

আরও পড়ুন: বয়সের ভারে অবশেষে বন্ধ বর্ধমানের ২ টাকার পাঠশালা!

সাবেকি প্রতিমা, সোলার প্রতিমা এবং সম্পূর্ণ মাটির প্রতিমা তিনি তৈরি করছেন। শুধু তাই নয় এই প্রতিমা কলকাতা পাশাপাশি রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে যেমন ঝাড়খন্ডের টাটা, জামশেদপুর এলাকায় পাড়ি দেবে পুজোর আগে। প্রসঙ্গত বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ হলেও দুর্গাপুজো সকলের কাছে বড় উৎসব। এই উৎসবে আপামর বাঙালি মেতে ওঠে। তবে বেশ কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হয় তার প্রস্তুতি। কোথাও প্যান্ডেল, আবার কোথাও প্রতিমা তৈরির তোড়জোড় থাকে।

স্বাভাবিকভাবে বালিচকের হরিহরপুর এলাকায় মৃৎশিল্পীর এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রায় ৫০ জন সহকারি শিল্পী মিলে কাজ করছেন মূর্তি গড়ার। যে মূর্তি পাড়ি দেবে বিভিন্ন জায়গায়। মৃন্ময়ী মূর্তি গড়তে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে।সাবেকি প্রতিমা, বিভিন্ন থিমের কাজ এমনকি সম্পূর্ণ মাটির প্রতিমা তৈরিতে তোড়জোড়। নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত কাজ করছেন শিল্পীরা।

রঞ্জন চন্দ

Durga Puja: এবার পুজোয় ১৫০ টাকায় জামা কাপড়, ব্যাপক ভিড় ক্রেতাদের! কোথায় জনুন

দক্ষিণ দিনাজপুর : রঙ বেরঙের জামা কাপড় ঝাঁ-চকচকে দোকানগুলির কাঁচের দেওয়ালের ওপার থেকে উঁকি দিতে শুরু করেছে। আর এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে পুজোর আর খুব বেশিদিন নেই। পুজো মানেই অনেকের কাছে ব্যাগ ভর্তি করে শাড়ি কেনা। পুজোর চারটি দিন শাড়ি পরতেই পছন্দ করেন বাঙালিরা।

আরও পড়ুন:  ক্রমশ হারিয়ে ‌যাচ্ছে পুজোবার্ষিকী! পুজো এলেও ব্যস্ততা নেই প্রিন্টিং প্রেসগুলিতে

তবে পুজোর এই কয়টি দিন সকাল-বিকেল শাড়ি পরা বেশ ঝক্কির বিষয়। তার পরিবর্তে পড়া যেতেই পারে কুর্তি থেকে টু পিস, থ্রী পিস, সালোয়ার। তবে তা যে দামি হতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। নামমাত্র টাকা খরচ করলেই কিন্তু নতুন কুর্তি পাওয়া যাবে বালুরঘাটে। সাধারণ মানুষদের কথা চিন্তা ভাবনা করেই বালুরঘাটে পসরা সাজিয়েছে একাধিক দোকানি। দাম শুরু মাত্র ১৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যেই। তবে কোথা থেকেই বা কিনবেন? রইল তার খোঁজ। কম দামে কুর্তি পেতে হলে আসতে হবে বালুরঘাটে। শহরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। সকাল থেকেই ক্রেতাদের ব্যাপক ঢল বাজারগুলিতে। বিকেলের পরে জনসমুদ্রের সেই ভিড়। জানা গেছে পুজো উপলক্ষে চলছে ২০ শতাংশ ছাড়।

বিক্রেতা শৈলেন্দ্র শর্মা বিগত কয়েক বছর যাবৎ ঠিক পুজোর আগে সুদূর মধ্যপ্রদেশ থেকে বালুরঘাটে আসেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে। যে সমস্ত পরিবার নামিদামি সংস্থার জামাকাপড় কিনতে পারেনা, ঠিক সমস্ত পরিবার শৈলেন্দ্র বাবুর কাছে প্রতিবছরই এই পুজোর সময় ভিড় জমিয়ে থাকে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Durga Puja 2024: ক্রমশ হারিয়ে ‌যাচ্ছে পুজোবার্ষিকী! পুজো এলেও ব্যস্ততা নেই প্রিন্টিং প্রেসগুলিতে

দক্ষিণ দিনাজপুর : শারদীয়ার ছুটির সঙ্গে পুজো সংখ্যার একটি নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আর এই যোগাযোগ তখনই পরিপূর্ণ হয়, যখন শারদ উৎসবে ঠিক প্রাক মুহূর্তে শারদ সংখ্যা হাতে আসে। তবে যুগ এখন বদলেছে, বর্তমানে পুজো এগিয়ে এলেও সেই কর্ম ব্যস্ততা নেই তেমনভাবে। বালুরঘাট শহর ও শহর লাগোয়া প্রিন্টিং প্রেস গুলিতে পুজোর আগে কর্মীদের কর্মব্যস্ততা থাকত তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাস কেড়ে নিল দুই শ্রমিকের প্রাণ, বেঘোরে মৃত্যু এক কিশোরেরও

বইপ্রেমীরা মূলত পুজোর আগে অপেক্ষা করে থাকেন রঙিন কাগজের মলাটে আচ্ছন্ন জেলা থেকে প্রকাশিত পুজো সংখ্যার। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ঐতিহ্য হারিয়ে ‌যেতেবসেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে প্রায় দশটি পুজো সংখ্যা প্রকাশিত হত। প্রত্যুষ,কাল কন্ঠ, রুদক, কৃষ্টি বীনা, বালুরঘাট বার্তা, দধীচি, এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বার্তা।মুদ্রক থেকে প্রকাশক সকলেরই অভিযোগ, জেলা স্তরে এই সমস্ত ক্ষুদ্রপত্র পত্রিকা গুলিকে সচল রাখতে বা উৎসাহিত করতে সেভাবে কোন পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে না। পাশাপাশি একটা সময়ে জেলার তথ্য সংস্কৃত দফতরের পক্ষ থেকে এই সমস্ত পুজো সংখ্যায় প্রচুর বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। বর্তমানে যেটুকু বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়, এখন আর সে বিজ্ঞাপন জেলা স্তরে পাওয়া যায় না। ক্ষুদ্রপত্র পত্রিকার পুজো বার্ষিকী প্রকাশের যে বিপুল খরচ সেই খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না প্রকাশকদের পক্ষে। সেই কারণে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেলার সাহিত্য সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ এই সমস্ত পুজো বার্ষিকীগুলো।

চলতি বছরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত দুটি পুজো সংখ্যা বের হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেই পুরনো দিনের পুজো সংখ্যা বের করার আগ্রহ আবারও ফিরে আসবে বলে আশায় শহরের একাধিক লেখক।

সুস্মিতা গোস্বামী