Tag Archives: district durga puja 2024


Viral Boba Drink: কোরিয়ান স্ট্রিট সফট ড্রিঙ্ক এখন জেলার রাস্তায়! পুজোর আগেই নতুন চমক কোচবিহারে

কোচবিহার: প্রতিবছর দুর্গা পুজোর আগে জেলায় নিত্যনতুন খাবারের আকর্ষণ কিংবা পানীয় দেখতে পাওয়া যায়। চলতি বছরে দুর্গা পুজোর আর মাত্র কিছুটা সময় বাকি। ইতিমধ্যেই জেলায় এসেছে এক নতুন স্বাদের পানীয়।

বিশেষ স্বাদের এই পানীয় কিন্তু মূলত একটি কোরিয়ান স্ট্রিট সফট ড্রিঙ্ক। যা বহু মানুষের ইতিমধ্যেই মন আকর্ষণ করতে শুরু করেছে। এই বিশেষ স্বাদের পানীয় আগে কোনও সময় কোচবিহারের রাস্তায় পাওয়া যায়নি। তাইতো স্বল্প দামে এই পানীয় কোচবিহারের রাস্তায় পেয়ে সাধারণ মানুষ বেশ অনেকটাই খুশি।

আরও পড়ুন: এটা তো মেয়েদের আরও ছোট করা’! ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়ে বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা-মা

জুস বিক্রেতা ইকরাম হক জানান, “এই বোবা ড্রিঙ্ক ছোট থেকে বড় সকলের বেশ অনেকটাই পছন্দ করছে। এই বোবা ড্রিঙ্কের মূল বিষয়টি হল বিভিন্ন স্বাদের এই ছোট্ট বল গুলি। যা মূলত সাবুদানার গুঁড়োর সঙ্গে বিভিন্ন স্বাদের ফলের পাল্প মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এরপর যেকোনও ড্রিংকের সঙ্গে কিংবা শেকের সঙ্গে সেই বোবা বল মিশিয়ে দিলেই হয়। তবে সাধারণ ভাবে এই বল গুলিকে দেখতে যেমনি দারুণ, খেতেও তেমনি সুস্বাদু হয়ে থাকে। বাজারে যেমনি কিনতে পাওয়া যায় এই বল গুলি। তেমনি বাড়িতেও খুব সহজে বানানো সম্ভব।”

তিনি আরও জানান, “সাধারণ ভাবে একটি ড্রিঙ্কের যা দাম রয়েছে, সেই দামের সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দিলেই এই বোবা বল মিশিয়ে বোবা ড্রিঙ্ক বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই দাম একেবারেই সামান্য রাখা হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত বহু মানুষ আসছেন দোকানে এই নতুন স্বাদের পানীয়ের স্বাদ নিতে। চকলেট সিরাপ দিয়ে গার্নেশিং করা গ্লাসে সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই বিশেষ পানীয়। যা দেখতে আরও অনেকটাই সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে সকলের জন্য। বর্তমানে দোকানে ম্যাংগো, স্ট্রবেরী, ব্লু বেরি ওয়াটার মেলন বোবা পাওয়া যাচ্ছে।”

আরও পড়ুন: পুষ্টির ভাণ্ডার, ভিটামিনে ঠাসা, করে হজম, কমায় বাড়তি ওজন, তবু কাদের খাওয়া বারণ পেঁপে? ভুল করবেন না, এখনই জানুন

এই জুসের দোকান ইতিমধ্যেই জেলার এবং পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাগরদিঘি চত্বরের পরিবেশে বহু পর্যটক এই দোকানে এসে এই বিশেষ স্বাদের ঠান্ডা পানীয়ের স্বাদ নিচ্ছেন। পথ চলতি মানুষেরাও অনেকে দাঁড়িয়ে পড়ছেন এই জুসের দোকানে এই নতুন ড্রিঙ্কের নাম দেখে। সব মিলিয়ে জেলায় পুজোর আগেই নজর আকর্ষণ করছে এই নতুন সুস্বাদু পানীয় বোবা ড্রিঙ্ক।

Sarthak Pandit

Bangla Video: সীমান্তের জিরো গ্রাউন্ডে বিশেষ এই দেবীর পুজো! বহু ভক্তের ভিড়

কোচবিহার: বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলা কোচবিহার। তাইতো এই জেলার বেশিরভাগ অংশে ভারত-বাংলাদেশ কাঁটাতারের সীমান্ত দেখতে পাওয়া যায়। সারা বছর বিশেষ নিয়ম চলে এই সীমান্তকে কেন্দ্র করে। সীমান্তের কাঁটাতারের ভেতর জিরো গ্রাউন্ড এর জমিতে চলাচল করতে হয় নির্দিষ্ট সময় মেনে। তবে কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার বামন হাট এলাকায় বাংলাদেশের এই হিরো গ্রাউন্ডের জমিতে আয়োজিত হয় এক বিশেষ পুজো। এই পুজোয় প্রচুর ভক্তবৃন্দের এবং দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। সচিত্র পরিচয় প্রমাণপত্র দেখিয়ে পুজো দেখতে যান ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থীরা।

মন্দিরের পুজো দেখতে আসা এক দর্শনার্থী টুবাই মণ্ডল জানান, তিনি পাশের জেলা আলিপুরদুয়ার থেকে এসেছেন এই পুজো দেখতে। সীমান্তের কাঁটাতারের ভেতর এই পুজো দেখার ইচ্ছে ছিল বহুদিন ধরে। ভারতীয় নাগরিকত্বের সচিত্র প্রমাণপত্র দেখিয়ে এই পুজো দেখতে জিরো গ্রাউন্ডের জমিতে প্রবেশ করেছেন তিনি। আগামী দিনেও তিনি এই পুজো দেখতে আসবেন এমনটাই ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।

আরও পড়ুন: পুজোর আগে পুলিশের নিজের তলায় রদবদল

উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর ইচ্ছে ছিল সীমান্তের জিরো গ্রাউন্ডের জমির এই মন্দিরে পুজো দিতে আসবেন। তবে এবার তিনি সুযোগ পেয়েছেন পুজো দিতে আসার। চলতি বছরে এই পুজো ৪৫ বছর সম্পন্ন করে ৪৬ বছরে পদার্পণ করল। তাইতো প্রচুর দর্শনার্থী ও পুনার্থীর ভিড় ছিল মন্দিরে।

দিনহাটার বাসিন্দা অমৃতা দে জানান, দীর্ঘ সময়ের এই মন্দির লোকের মুখে মুখে বেশ অনেকটাই প্রসিদ্ধ। তাইতো এই মন্দিরের পুজোর দিনে বহু মানুষের সমাগম হয় মন্দিরের মধ্যে। শুধুই জেলার মানুষেরা নয় জেলার বাইরের মানুষেরাও আসেন এই মন্দিরে।

সার্থক পন্ডিত

Heritage Lake: বড় দেবীর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয় এই দিঘীতে! দিঘীর বেহাল দশায় দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা

কোচবিহার: প্রসিদ্ধ রাজবাড়ীর এই শহর। রাজ আমলের বহু দীঘি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই গুলির মধ্যে অন্যতম পরিচিত দিঘী হল যমুনা দীঘি বা লম্বা দীঘি। এই দীঘির মধ্যেই রাজ আমলের বড় দেবীর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। তবে বর্তমান সময়ে এই দীঘির একেবারেই বেহাল দশা।

এলাকার এক স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা বাণী পাল জানান, “সেই রাজ আমল থেকে এই দীঘির গুরুত্ব রয়েছে বেশ অনেকটাই। বিভিন্ন প্রয়োজনে এই দীঘি ব্যবহার করতেন স্থানীয় মানুষেরা। মাঝেমধ্যেই দীঘি থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এছাড়াও সাপের সাপের উপদ্রব তো রয়েছেই। তাইতো বর্তমানে এই দিঘী সংস্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন বাদেই দুর্গা পুজো। বড় দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে এই দীঘিতে। দীঘির সংস্কার না হলে সমস্যা বাড়বে।”

আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাস কেড়ে নিল দুই শ্রমিকের প্রাণ, বেঘোরে মৃত্যু এক কিশোরেরও

এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ সিনহা জানান, “একটা সময় এই দীঘির জল অনেকটাই পরিষ্কার ছিল। তখন ফিসারিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে মাছ চাষ করা হতো এই দীঘির মধ্যে। তবে বর্তমানে এই দীঘি সেই পুরনো জৌলুস হারিয়েছে। তাইতো রাজ আমলের হেরিটেজ এই দীঘিটিকে দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় মানুষেরা ওয়ার্ল্ড কাউন্সিলরকে জানিয়েছেন।

পুরসভার ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অভিজিত মজুমদার জানান, “সামনেই দুর্গা পুজো। পুজোর পর বড় দেবীর প্রতিমা এখানেই বিসর্জন হবে। তাই তিনি দ্রুত এই দীঘি সংস্কারের কাজ শুরু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন সকলকে।”

তবে রাজ আমলের হেরিটেজ এই দীঘির এমন বেহাল দশা দেখে অনেকেই হতাশ। দীঘিটিতে যদি মাছ চাষ করা সম্ভব হতো। তবে হয়তো দীঘিটির এরকম বেহাল দশা হতো না। এছাড়া দীঘির জল ব্যবহারের যোগ্য থাকত। বর্তমানে দীঘির এই পরিস্থিতি জেলার পর্যটকদের কাছেও অনেকটাই আশ করে তুলছে কোচবিহারকে।

সার্থক পন্ডিত

Durga Puja 2024: মিলছে না রোদের দেখা, ক্ষতি হলে আর্থিক সাহায্যের দাবি মৃৎশিল্পীদের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মা দুর্গার আগমনে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। তবে দু’মাস ধরে টানা রোদের দেখা নেই। ঠাকুর তৈরির পর সেগুলিকে ঠিকভাবে শুকনো করা যাচ্ছে না। ফলে পুজোর সময় পর্যন্ত ঠাকুর অর্ডার অনুযায়ী পৌঁছে দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৃৎশিল্পীরা।

অর্ডার অনুযায়ী সময়ে ঠাকুর তৈরি না করতে পারলে এবছর বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বেন মৃৎশিল্পীরা। আপাতত ঠাকুর গুলিকে ত্রিপলের ছাউনি করে ঢেকে রাখতে হচ্ছে। পাখা দিয়ে হাওয়া করে শুকনো করতে হয়। টানা রোদ হচ্ছে না। ফলে ঠাকুর কোনোভাবেই বাইরে বের করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাস কেড়ে নিল দুই শ্রমিকের প্রাণ, বেঘোরে মৃত্যু এক কিশোরেরও

এমন পরিস্থিতিতে অমিয় গায়েন নামের এক মৃৎশিল্পী জানিয়েছেন, সেই অর্থে তারা কোনওসরকারি সাহায্য পাননা। পরিস্থিতি সর্বত্র একইরকম। মৃৎশিল্পের সঙ্গে অনেকেই জড়িত। এইটাই করে তারা সংসার চালান। অন্য সময় চালিয়ে নেওয়া গেলেও, পুজোর সময় ক্ষতি হলে সেই ক্ষতির প্রভাব পড়ে। তার দাবির সঙ্গে একমত প্রতাপ চিত্রকর নামের অপর এক মৃৎশিল্পী। সবসময় না হলেও সিজনে ক্ষতি হলে সরকারি সাহায্য ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেই জানিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা।

নবাব মল্লিক

Durga Puja 2024: পুজোর আগে উপচে পড়া ভিড় বর্ধমানের এই হাটে, খুশি বিক্রেতারা

পূর্ব বর্ধমান: দেবী দুর্গার আগমনের আর কটা দিন বাকি। তার আগেই জমে উঠল তাঁতের হাট। কমবেশী এই পুজোর দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে থাকেন অনেকেই। সেরকমই এবার পুজোকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে সমস্ত ব্যবসা। পুজো আসতে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। সেরকমই ভাদ্র মাসে জমে উঠেছে পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্রগড়ের তাঁত কাপড় হাট। এদিন সকাল থেকেই হাটে ধীরে ধীরে মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন। বেচা কেনাও ভালোহয়েছে বলে জানিয়েছেন হাটে বসা কাপড়ের ব্যবসায়ীরা।

এই প্রসঙ্গে কাপড় বিক্রেতা ননী সূত্রধর জানিয়েছেন, “ভিড় হচ্ছে, আমাদের বিক্রিও ভালই হচ্ছে। পুজোর এখনও কিছুদিন বাকি রয়েছে। আশা করছি আরও বেশি বেচাকেনা হবে।”

গনেশ চন্দ্র কর্মকার তাঁত কাপড় নামক এই হাট মূলত তাঁতিদের এলাকা। সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম, পূর্বস্থলী, শ্রীরামপুর, কালনা এই সকল এলাকায় বসবাস করেন তাঁতিরা। পূর্ব বর্ধমানের এই সকল এলাকায় প্রায় কিছু না হলেও হাজার হাজার তাঁতি বসবাস করেন। তাদের উৎপাদিত কাপড় এই হাটে আসে। সেইসব কাপড় অন্যান্য জায়গার থেকে এখানে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। কারণ এখানে উৎপাদন এলাকা রয়েছে, তাই সরাসরি উৎপাদন হয়ে হাটে চলে আসে। ভিন রাজ্যের পাইকাররাও এখানে এসে কাপড় কিনে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে গেল অটো, রাস্তাতেই মৃত্যু বধূর

এই প্রসঙ্গে হাটের মালিক সুবীর কর্মকার জানান, “সারাবছর ডামাডোল চললেও পুজোর আগে এই একমাস ভাল কেনাবেচা হয়। ব্যবসায়ীরা খুব আনন্দে, আশায় থাকে। আশা করছি এবারেও বিক্রিবাটা ভালই হবে।”মালদা, শিলিগুড়ি, হুগলি, নামখানা থেকেও পাইকাররা পূর্ব বর্ধমানের এই হাটে কাপড় কিনতে আসে। পুজোর আগে প্রত্যেকবছর যেন জমজমাট হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের এই হাট।

সেরকমই এবছরও এই হাটে জোরকদমে চলছে বিক্রিবাটা। পুজো যেরকম এগিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে এই হাটে। এই হাটে বিভিন্ন সময় গড়ে কোটি কোটি টাকার কেনাবেচা হত। স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর আগে হাটে ভাল ভিড় হওয়ায় এবং বেচাকেনা ভাল হওয়ার কারণে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। আগামী দিনে আরও ভাল বেচাকেনা হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bangla Video: পুজোয় ডিজে’র উৎপাত ঠেকাতে বাজারে পরিবেশবান্ধব বাদ্যযন্ত্র! পুরোটা দেখুন

হুগলি: নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও ডিজের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন। শব্দ দূষণ রোধ করতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকেও। তবে এই বছর ডিজে ও শব্দ বাজি রুখতে অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানা।

জাঙ্গিপাড়া থানার সহযোগিতায় জাঙ্গিপাড়া ডি এন হাই স্কুলে আয়োজন করা হয় পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে  থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অনিল রাজ অঙ্গীকার করেন সমাজে অসুর নামক ডিজে ও নিষিদ্ধ শব্দবাজিকে সমাজ থেকে একেবারে নির্মূল করার অঙ্গীকার বদ্ধ হলো পুলিশ। অনিল রাজ বলেন এই অভিযান জাঙ্গিপাড়া থানার উদ্দ্যোগে বিগত কয়েক বছর ধরে ডিজে ও সব্দবাজি নির্মূল করার প্রয়াস শুরু করা হয়। আজ পুলিশ দিবসে শপথ নেওয়া হলো গোটা রাজ্য থেকে ডিজে ও নিষিদ্ধ শব্দবাজি নির্মূল করা হবে যা জাঙ্গিপাড়া থানা পথ দেখাল।

আরও পড়ুন: পুজোর আগে মাথায় হাত বাঁশবেড়িয়ার গেঞ্জেস জুটমিলের শ্রমিকদের

এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশকে সাধুবাদ জানাই এই উদ্দ্যোগে নেওয়ার জন্য আগামী দিনে এই মডেল গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে। তবে শব্দ দূষণ একটা বড় ব্যাধীর জন্য আমরাই দায়ী।

এই বিষয়ে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ডিজে যে তান্ডব তা রোখার চেষ্টা অনেক দিন থেকেই করছিল প্রশাসন। এই পদক্ষেপে এলাকার ক্লাবগুলি আনন্দ উৎসবের দিনে ডিজে না বাজিয়ে বরং ব্যান্ডপার্টি বাজালে তার মধ্যে দিয়ে একদিকে শব্দ দূষণ বাঁচবে অন্যদিকে বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখে অন্যান্য অনুষ্ঠানে ক্লাবগুলি নিজেরা ভাড়া দিয়ে একটি উপার্জনের খুঁজে পাবে।

রাহী হালদার

Durga Puja 2024: ১৩ রকমের ভাজা, ১৩ রকমের তরকারি, পায়েসে সাজানো ভোগ! মজুমদারবাড়ির ঠাকুরদালানে ৬০০ বছরের দুর্গো‍ৎসবে পূজিতা দশভুজা

সৌভিক রায়, বীরভূম: এ বছর আশ্বিন মাসের ২৩ তারিখ বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপুজো। গোটা একটা বছর বাঙালিরা অপেক্ষা করে থাকে এই দুর্গাপুজোর জন্য। এই মুহূর্তে দাড়িয়ে প্রস্তুতি একেবারেই তুঙ্গে।কোথাও চলছে প্যান্ডেল সাজানো, কোথাও বা এক তাল মাটি  রূপ পাচ্ছে প্রতিমার।

তবে এ তো গেল থিমের পুজো। এর বাইরেও রয়েছে বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো। বীরভূমের মাড়গ্রামের রানি ভবানীর সময়কালের মজুমদার বাড়ির দুর্গাপুজো। জানা যায় এই পুজো শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে।

আরও পড়ুন : দেবীকে অর্পণ করুন এই বিশেষ ফুলের মালা! পাবেন আশীর্বাদ! কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে যেতে না পারলেও বাড়িতে এভাবে করুন পুজো

এই প্রাচীন পুজোতে নেই কোনও বলির রীতি। কিন্তু এখানে মায়ের পুজোতে ভোগে রয়েছে বিশেষত্ব।মজুমদার বাড়ির এক সদস্য সীমান্ত মজুমদার আমাদের জানান পুজোর সপ্তমী অষ্টমী এবং নবমী এই তিন দিন মাকে অন্নভোগে ১৩ রকমের ভাজা, ১৩ রকমের তরকারি,মোচার বড়া ভাজা,পাশাপাশি মোচার বড়া দিয়ে রসা,মুগ ডাল, পরমান্ন, চাটনি এবং দারুচিনি লবঙ্গ গেঁথে একখিলি পান ও  জল সহযোগে মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়। দশমীর দিন চিঁড়ে, দই, খই দিয়ে মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। সপ্তমী,অষ্টমী,নবমী-এই তিনদিনে গোটা গ্রামের প্রায় ১৫০০ থেকে ১৬০০ ভক্তকে ভোগ খাওয়ানো হয়ে থাকে।

South Dinajpur News: অস্থির বাংলাদেশ! আদৌ হবে দুর্গাপুজো? আশঙ্কায় পূর্ব গোবিন্দপুরের বাসিন্দারা

দক্ষিণ দিনাজপুর: আসন্ন বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এখন চারিদিকে রীতিমত সাজো সাজো রব। তবে এমতাবস্থায় চোখে এক রাশ আশা নিয়ে দিন গুনছে হিলি ব্লকের তিন নম্বর ঢল পাড়া পঞ্চায়েতের অধীনে পূর্ব গোবিন্দপুর এলাকার গ্রামবাসীরা। গ্রামে ছোট বড় মিলেমিশে ৫০ পরিবার রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৩৫০ জন ভোটার।

প্রসঙ্গত, পূর্ব গোবিন্দপুর সীমান্তবর্তি এলাকা, কাঁটাতারে ঘেরা এপার-ওপার। কাঁটাতারের এপারে ভারত ওপারে বাংলদেশ। তবে ওপারের কিছুটা অংশ ভারত, সেই গ্রামের নাম পূর্ব গোবিন্দপুর। এই গ্রামে একটি দুর্গা পুজো হয়। যা এক প্রকার ব্যাপক সাড়া ফেলে চারিদিকে। জানা যায়, রীতিমত প্রশাসনিক কড়া নিরাপত্তায় হয় এই দুর্গাপুজো। করোনা অতিমারীর সময় কিছুটা বিঘ্ন ঘটে পুজোয়।

জানা যায়, এক প্রকার বিশেষ গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই দুর্গা পুজোর। সারা ভারতবর্ষে এক প্রকার ব্যাপক নাম রয়েছে কাঁটাতারের এই পূর্ব গোবিন্দপুরের দুর্গা পুজোকে নিয়ে। পুজো উপলক্ষে বন্ধু থেকে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা হয় গ্রামবাসীদের। তবে মাঝে রয়েছে কাঁটাতার। যা ভাগ করে দিয়েছে এপার ওপারকে। এবারের আদৌও পুজো হবে কিনা সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে কাঁটাতারের পূর্ব গোবিন্দপুরের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বলুন তো, একটি মশার মোট কতগুলি দাঁত থাকে? জানলে চমকে যাবেন

কারণ ওপার বাংলায় অস্থির পরিবেশ। কোটা আন্দোলন, পরবর্তী হিংসার পর অন্তর্বর্তী নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি শান্তি এখনও ফেরেনি। পূর্ব গোবিন্দপুর একেবারে সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় কম-বেশি প্রভাব পড়েছে। ফলে এবার দুর্গা পুজো নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা।

সুস্মিতা গোস্বামী

Durga Puja 2024: সুন্দরবনের প্রত্যন্তে মহিলাদের উদ্যোগে এবারের দুর্গাপুজো

উত্তর ২৪ পরগনা: মাতৃশক্তির জয়! সুন্দরবনের মহিলাদের উদ্যোগে দুর্গাপুজোর শুভ সূচনা। প্রচীনে এক সময় মাতৃপ্রধান ছিল ভারতীয় সমাজ। নারীশক্তির সেই জয়ের সঙ্গে আন্তর্যোগ রয়েছে দুর্গাপুজোর। সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে সুন্দরবনের মহিলারা।

ছোট থেকেই নদীর স্রোত ও গতিবিধি দেখে অভ্যস্ত সুন্দরবনের মায়েরা। কয়েকজন গৃহবধূ হঠাৎ একদিন ঠিক করেন যে তারাও দুর্গা পুজোর আয়োজন করবেন। সেই ভাবনা মাথায় আসা মাত্রই এক যোগে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অন্য কিছু চিন্তা না করেই কী করে সেই পুজোর সফল করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করেন তারা।

আরও পড়ুন: ফালাকাটা পুরসভা এলাকায় এখনও চলে নৌকা

সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের আমবেড়িয়া নতুনহাটে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন হল খুঁটিপুজোর মাধ্যমে। প্রথম বছরের এই পুজো সাড়া ফেলে দিয়েছে এলাকায়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকার মানুষজনকে আগে প্রতিমা দর্শনের জন্য দূরে যেতে হত। সেই ভাবনা থেকে এলাকায় পুজো করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়। সেই চিন্তাভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এগিয়ে আসে গ্রামের মহিলারা। এরপর মহিলারাই একত্রিত হয়ে পুজো কমিটি গড়ে তোলে। নাম দেওয়া হয় “মাতৃ সংঘ”। ঠিক যেন মাতৃত্বের বন্দনা, মাতৃ শক্তির জয়।

ভবিষ্যতে এই পুজো চালিয়ে যেতে চান তাঁরা। গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে এভাবে একটি বড় প্রয়াস নেওয়া যায় সেটি তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন। এই পুজো উপলক্ষ্যে অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের ভাবনাও রয়েছে আয়োজকদের মধ্যে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় এভাবে মহিলাদের এগিয়ে এসে পুজো করার এই উদ্যোগ নজর কেড়েছে সকলের।

জুলফিকার মোল্যা

Durga Puja 2024: প্রাচীন মদনমোহন মন্দিরে বসে ২০০ বছরের প্রাচীন দুর্গোৎসবের আসর, প্রস্তুতি তুঙ্গে

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: কোচবিহারের রাজ আমলে স্থাপিত অন্যতম আকর্ষণীয় ও ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন মন্দির হল মদনমোহন বাড়ি। তবে এই মন্দিরের একেবারে বাঁ দিকে রয়েছে কাঠামিয়া মন্দির। যেখানে করা হয় দেবতাদের মূর্তি পুজো। এই মন্দিরে দুর্গাপুজোর সময় করা হয় দুর্গা পুজো। তবে এই পুজো প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে শুরু করা হয়েছিল। এই মূর্তি তৈরির কারিগরেরা দীর্ঘ সময় ধরে বংশ পরম্পরায় এই মূর্তি তৈরি করে আসছেন রাজ আমল থেকেই। এই দুর্গামূর্তি নির্মাণ করা হয় কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় থাকা ডাঙর আই মন্দিরে।

বর্তমানে এই দুর্গা মূর্তির প্রধান কারিগর সৌভিক পাল জানান, ‘‘দীর্ঘ সময় আগে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ ভূপ বাহাদুর তাঁর দাদুকে ওপার বাংলা থেকে নিয়ে এসেছিলেন এখানে মূর্তি নির্মাণের জন্য। তখন থেকেই রাজ পরিবারের মূর্তি নির্মাণের কারিগর হিসেবে কাজ করছেন তাঁরা। বর্তমানে এটা তাঁদের পঞ্চম প্রজন্ম। দীর্ঘ সময় বাদেও মূর্তির ধরন ও কাঠামো কিছুই পরিবর্তন হয়নি। মূর্তির কাঠামো আজও একই রয়েছে। তবে বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে মূর্তির প্রধান কাঠামোয়। রথের মেলার পর কাঠামো পুজো করে শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ।’’

আরও পড়ুন : আজ অন্নদা একাদশী! বৃহস্পতিবার ভাদ্রমাসের সর্বশ্রেষ্ঠ এই একাদশী তিথি কত ক্ষণ আছে? শুভ সংযোগের মুহূর্ত কখন? জানুন পঞ্জিকা কী বলছে

প্রতিমা শিল্পী সৌভিক পাল আরও জানান, ‘‘এই দুর্গা প্রতিমার মহালয়ার দিন করা হয় দেবীর চক্ষুদান। দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়মনীতি মেনেই মূর্তি তৈরি থেকে শুরু করে মূর্তিপুজো পর্যন্ত সমস্ত কিছু একই রয়েছে।” শিল্পীর স্ত্রী সুস্মিতা পাল জানান, রাজ আমলের এত প্রাচীন একটি পুজোর মূর্তি তাঁর স্বামী তৈরি করেন ভেবেই অনেকটা আনন্দ লাগে। মূলত সেই কারণেই তাঁদের মধ্যে বেশ উদ্দীপনা কাজ করে এই পুজোকে ঘিরে। বিগত বছর থেকে তিনি এই মূর্তি নির্মাণের কাজ দেখছেন।

বর্তমান সময়ে মদনমোহন বাড়ির দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বেশ অনেকটাই উদ্দীপনা দেখতে পাওয়া যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। বহু দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান এই মূর্তি নির্মাণের কাজ দেখতে।