Tag Archives: Doctors Protest

Nationwide Doctors’ Strike: চিকিৎসা পরিষেবা চালু হোক! নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চিকিৎসকদের আর্জি কেন্দ্রের

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসক এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের অবিলম্বে পরিষেবা চালু করার অনুরোধ কেন্দ্রের। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয় দেশ জুড়ে বিক্ষোভে শামিল হওয়া নবীন চিকিৎসকদের। কেন্দ্রের আশ্বাস, চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন- সাবধান! সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর ধর্ষিতার ছবি-তথ্য পোস্ট করা যাবে না, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ফোরডা), ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এবং দিল্লির সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার সমিতির প্রতিনিধিরা চলমান বিক্ষোভের মধ্যে নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে দেখা করেছেন। তার পরেই তাঁদের পরিষেবা চালু করার আর্জি জানায় কেন্দ্র।

এ দিকে, সিবিআই-এর হাতে তদন্তের ভার স্থানান্তরিত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও ধোঁয়াশা না কাটায় ক্ষুব্ধ নবীন চিকিৎসকরা। সংগঠনের তরফে ডাক্তার রুমালিকা কুমার বলেন, “অস্বচ্ছতার কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া কলকাতা পুলিশ থেকে সিবিআই-এ স্থানান্তরিত হয়েছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পরেও আমাদের যে ন্যায়বিচারের দাবি ছিল তা আদৌ পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার আগের দিনে যখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে নেমেছিলেন, ঠিক সেই রাতেই পরিকল্পিতভাবে আরজি কর-এ জঘন্য হামলা চালানো হয়।”

আরও পড়ুন- সিবিআই দায়িত্ব নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরও জট খুলল না! দাবি থেকে না সরার সিদ্ধান্ত আন্দোলনরত চিকিৎসকদের

এই আচমকা আক্রমণ আসলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, এমনই মনে করছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে সে দিন আরজি করের নার্সদেরও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান রুমালিকা। তাঁর কথায়, “এমারজেন্সি রুমে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সামাজিক ন্যায়বিচারের আন্দোলন থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার একটি বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টা ছিল আর কিছুই না।”
এর পরই জুনিয়র ডকটরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে রুমালিকা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ বলে যে রব উঠেছে তা আদতেই সত্যি নয়। তাঁদের দক্ষ অধ্যাপকরা আউটডোর এবং এমারজেন্সি ভাল ভাবেই সামলাচ্ছেন বলে দাবি জানান।

RG Kar Incident Impact: জেলার হাসপাতালগুলো কতটা সুরক্ষিত‍? অভিজ্ঞতার কথা জানালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

নদিয়া: আরজি করের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য তথা দেশ। ইতিমধ্যেই মোমবাতি মিছিল থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, মহিলাদের রাত দখল সমস্ত প্রতিবাদের ভাষায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। তবে শুধুই কি আরজি কর? নাকি এই এরকম ছোট বড় কমবেশি ঘটনার সাক্ষী আছে জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকেরাও? আরজি করের ঘটনার পরে কর্মস্থলের অভিজ্ঞতা নিয়ে কী জানালেন তাঁরা?

নদিয়ার শান্তিপুরে আছে একটি সরকারি মহকুমা হাসপাতাল। এখানে উন্নত পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও একাধিক বিরল থেকে বিরলতম রোগের চিকিৎসা ও অস্ত্রপোচারের খবর নানান সময়ে উঠে এসেছে শিরোনামে। এখানকার চিকিৎসকরা নিজেদের কাজে খুবই পারদর্শী এবং ধন্বন্তরি বলে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। তবে এই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বা নার্সিং স্টাফরা এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন কখনও হননি বলে আমাদের জানিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: রাত দখল করতে পথে মহিলাদের জনস্রোত, হাল ফেরাতে কী কী বললেন তাঁরা?

শান্তিপুর হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট প্রতিমা ঘোষ বলেন, আমি আমার সার্ভিস লাইফে এত বড় ঘটনার সম্মুখীন এর আগে হইনি। তবে আজ যেটি আরজি করে হয়েছে মহিলা হিসেবে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। এই হাসপাতালে আমি দু’বছর আগে এসেছি, এখানে তেমন কোন‌ও বড়সড় ঘটনা ঘুরতে দেখিনি। যদি কোন‌ও ছোট বড় ঘটনা আমার চোখের সামনে ঘটে, সেটি সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। তাঁরাই সেটির সমাধান করার ব্যবস্থা করেন। আমরা যে কাজটি করি তাতে রোগীদের জীবন নির্ভর করে। অনেক সময় কোন‌ও মুমূর্ষু রোগী এলে পরে তাঁদের পরিবারের লোকেদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে না। এতে অনেক সময় খারাপ পরিস্থিতি দেখা দেয়, তবে আমরাও সহনশীলতার সঙ্গে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করি। ফলে তেমন বাড়াবাড়ি কিছু হয় না। বরং পরে ভুল বুঝতে পেরে সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীদের জন্য সরকার থেকে কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই আবাসন থেকে হাসপাতাল আসার রাস্তাগুলি কতটা সুরক্ষিত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সমস্ত জায়গাতেই ভাল-মন্দ মিশিয়ে থাকে। সেগুলো সবাই মিলে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করি। হাসপাতাল থেকে কোয়ার্টার অনেকটাই দূরে। তবে আজ পর্যন্ত তেমন কোনও লাঞ্ছনা বা অন্য কোনও অভিযোগ আমি পাইনি। তা সত্ত্বেও সকলেরই বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।

শান্তিপুর হাসপাতালের সহকারী সুপার সোমা দাস বলেন, যেহেতু আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট, তাই আমাদের অনেক সময় নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে। আমি মানুষ হিসেবে চাইছি যেই পরিষেবা আমরা এখানে দিয়ে থাকছি, তাতে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক। বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বিগুণ হলে সকলের মঙ্গল হবে। শুধু মহিলা বলে নয়, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।

মৈনাক দেবনাথ

Reclaim the Night: রাত দখল করতে পথে মহিলাদের জনস্রোত, হাল ফেরাতে কী কী বললেন তাঁরা?

উত্তর ২৪ পরগনা: এমন প্রতিবাদ এর আগে হয়ত দেখেনি কেউ। মহিলাদের উপর নৃশংস অত্যাচার, খুন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা অতীতে ঘটলেও, আরজি কর কাণ্ড যেন টলিয়ে দিয়েছে নারীর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার ভিতকে। এরই প্রতিবাদে এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী থাকল রাজ্য।

বুধবার মধ্যরাতে কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নারী শক্তির দখলে চলে গেল রাজপথ। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের চরম শাস্তির দাবির পাশাপাশি নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি নিয়ে মধ্যরাতে মিছিল করলেন মহিলারা। সেই মিছিলে সহযোগী হিসেবে পুরুষরাও যোগ দেন। জেলার সর্বত্রই দেখা গেল মহিলাদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’স্লোগানে মুখরিত হতে। উত্তর ২৪ পরগনার নিউ টাউন থেকে শুরু করে দমদম, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, হাবরা, অশোকনগর, গোবরডাঙা, বনগাঁ, সোদপুর, ব্যারাকপুর, পানিহাটি, বেলঘড়িয়া সহ জেলার প্রতিটি জায়গায় মহিলাদের রাজপথে নেমে প্রতিবাদের শামিল হতে দেখা গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: বাড়ি থেকে শুরু করে রিসর্ট, হাতির হানায় লণ্ডভণ্ড মাদারিহাট

কিন্তু এটাই কি শেষ? একদিনের এই গর্জনে পর কি আর হবে না মহিলাদের উপর অত্যাচার! ধর্ষণ বা মহিলাদের উপর অত্যাচারের এই ব্যাধি সারাতে আদৌ কি কোন‌ও উপায় আছে? বিভিন্ন স্কুলগুলিতে সেক্স এডুকেশন চালু করলে কি কিছুটা হলেও বদলাতে পারে মহিলাদের প্রতি সমাজের এমন কুরুচিকর দৃষ্টিভঙ্গি? এই প্রসঙ্গে কী বললেন রাত দখল করতে রাজপথে নামা বিভিন্ন বয়সের মহিলারা?

শিক্ষিকা থেকে গৃহবধূ, মা থেকে দিদিদের মুখে ফুটে উঠল ঠিক কেমন সমাজ আশা করছেন তার বর্ণনা। কীভাবে আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিলে এই ধরনের ব্যাধি সমাজ থেকে কিছুটা হলেও নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তাঁরা, সেটাও বিস্তারিত জানান। নির্যাতিতা তরুণীর উপর যে নৃশংসতা রাজ্যবাসী দেখেছে, তা যেন আর কোন‌ও মহিলাকে দেখতে না হয় সেই লক্ষ্যেই সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের ডাক শোনা গেল এদিনের নারী শক্তিদের গলায়।

রুদ্রনারায়ণ রায়

RG Kar Doctor Murder Impact: আরজি কর কাণ্ডের রেশ, জেলার এই হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে বিপাকে রোগীরা

বীরভূম: আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যব্যাপী চিকিৎসকরা। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে চিকিৎসকদের কর্ম বিরতি, অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। ষষ্ঠ দিনে পড়েছে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের কর্ম বিরতি। এদিকে চিকিৎসকদের টানা আন্দোলনের জেরে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা।

রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ইনডোরের চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত হচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগীদের।আউটডোর পরিষেবা বুধবার থেকে চালু করা হলেও স্বাধীনতা দিবসের কারণে বৃহস্পতিবার তা বন্ধ থাকছে। সব মিলিয়ে রোগীদের ভোগান্তি ক্রমশই বাড়ছে।

আর‌ও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড় তীব্র গতিতে আছড়ে পড়ল গ্রামে গ্রামে, মধ্যরাতে যা হল…

প্রসঙ্গত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চার দিন বন্ধ ছিল রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের আউটডোর পরিষেবা। এর পর বুধবারথেকে এই পরিষেবা চালু হয়। যদিও হাসপাতালের আউটডোরে পরিষেবা চালু করে দেওয়া হলেও রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ারা এখনও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা জানিয়েছেন দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এই কর্ম বিরতি চলবে।

সৌভিক রায়

Reclaim the Night: কন্যাশ্রী দিবসের মধ্যরাতে নারীদের দখলে রাজপথ, উঠল এই দাবি…

মালদহ: কন্যাশ্রী দিবসের মধ্য রাতেই গর্জে উঠল নারী শক্তি। কন্যাশ্রীদের, নারীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে রাস্তায় নামলেন হাজারে হাজারে মহিলা। মূল লক্ষ্য আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার হলেও মিছিল থেকে উঠে এল সার্বিক নারী নিরাপত্তা ও নারী অধিকারের দাবি। মধ্য রাতের এই আন্দোলনে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিলেন মহিলারাই।

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক-মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে মেয়েদের স্বাধীনতার দাবিতে ব্যাপক সাড়া ফেলল এই আন্দোলন। গোটা রাজ্যের সঙ্গে মালদহেও রাত দখলে সামিল হলেন হাজার হাজার যুবতী থেকে মহিলা। কেউ মোমবাতি হাতে, আবার কেউ মশাল জ্বালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হলেন। আন্দোলনকারী মেরিনা খাতুন বলেন, রাজ্যে কন্যাশ্রী দিবস পালন হচ্ছে। কিন্তু কন্যাশ্রীদের নিরাপত্তা নেই। আমরা আমাদের নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।

আর‌ও পড়ুন: শঙ্খ ধ্বনি, ফ্ল্যাশ লাইটে নতুন স্বাধীনতার ভোর দেখল কাটোয়া

১৪ অগস্ট রাজ্য জুড়ে পালিত হয় কন্যাশ্রী দিবস। সাহসিকতা সহ বিভিন্ন কাজের জন্য কন্যাশ্রীদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সন্মান দেওয়া হয়। সেদিন‌ই মধ্য রাতে রাজ্য জুড়ে এই রাজ্যের কন্যাশ্রীরা প্ল্যাকার্ড, মোমবাতি হাতে নারী নিরাপত্তা চেয়ে পথে নামলেন। আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে গলা ফাটালেন এক সুরে। মালদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে মধ্যরাতে শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকা থেকে বহু মহিলাদ এসে জমায়েত করেন। বিক্ষোভ প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি করেন তাঁর।‌ পাশাপাশি এদিন গভীর রাতে শহরের রাস্তা জুড়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয় আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ সহ দোষীদের শাস্তির দাবিতে। আন্দোলনকারী লিলি বিশ্বাস বলেন, রাজ্যে কন্যাশ্রী দিবস পালন হচ্ছে। এদিকে আমাদের কন্যা সুরক্ষিত নয়। সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে আন্দোলন করতে হচ্ছে, পথে নামতে হচ্ছে।

সকলেই চান আরজি করের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের কঠোর শাস্তি। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে মহিলাদের সুরক্ষা, নিরাপত্তার দাবিতে এদিনের আন্দোলন। তাই সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মহিলারা এদিনের এই আন্দোলনের সামিল হয়েছিলেন। শুধুমাত্র নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে। আন্দোলনকারীরাও প্রশ্ন তুললেন, এই রাজ্যে কন্যাশ্রীদের সুরক্ষা নিয়ে। কন্যাশ্রী সম্মান দেওয়া হলেও সত্যি কি বাংলার কন্যাশ্রীরা সুরক্ষিত? এদিনের আন্দোলন এই প্রশ্ন তুলে দিল।

হরষিত সিংহ

RG Kar Doctor Murder: চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে রোগী দেখলেন হাসপাতালের সুপার

পূর্ব বর্ধমান: এক অন্যরকম ভূমিকায় দেখা গেল কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার চন্দ্রশেখর মাইতিকে। আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে বহু সরকারি হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ। ফলে ডাক্তার দেখাতে এসে দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন রোগীরা। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের দুর্ভোগ কিছুটা কমাতে নিজেই রোগী দেখলেন কালনা হাসপাতালের সুপার।

এদিন কালনা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করায় কার্যত পরিষেবা থমকে যায়। রোগীরা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কালনা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে রোগীদের লম্বা লাইন দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি। রোগীদের কথা ভেবে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে তিনি নিজেই হাতে স্টেথোস্কোপ তুলে নেন। আউটডোরে এসে রোগী দেখতে শুরু করেন।

আর‌ও পড়ুন: দণ্ডায়মান অবস্থায় দহকার্য হয়েছিল এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর! শেষদিনেও মাথা নত করেননি

পরে এই বিষয়ে সুপার বলেন, চিকিৎসকদের কর্ম বিরতির কারণে রোগীরা সমস্যায় পড়েছিলেন। তাই নিজেকে এগিয়ে আসতে হল। রোগীরাও সুপারের এহেন ভূমিকার প্রশংসা করেন। এই প্রসঙ্গে রাজীব শেখ নামের এক ব্যক্তি বলেন, আজ এখানে চিকিৎসা করানোর জন্য এসেছিলাম। দূর দূরান্ত থেকে আরও অনেক রোগী এসেছিল। কিন্তু মেডিসিন বিভাগে কোনও ডাক্তার ছিল না। দীর্ঘক্ষণ আমাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে কালনা হাসপাতালের সুপার এসে রোগী দেখতে শুরু করেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

RG Kar Doctor Death: যে ঘরে ধর্ষিত হন ডাক্তার তরুণী, তার উল্টোদিকেই চলছে সংস্কার! প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? 

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের ভয়াবহতার জেরে উত্তাল রাজ্য। প্রতিবাদী স্বর শোনা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও। রাজ্য জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা বেহাল। শহর ও জেলার ডাক্তাররা বিচার চেয়ে বিক্ষোভে শামিল। সে পরিস্থিতিতে নিঃশব্দে সেজে উঠছে আরজি কর? এমনই জানালেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ।

আরজি কর হাসপাতালের যে চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের সেমিনাররুমে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল, তার বিপরীতেই নাকি চলছে সংস্কারের কাজ। তবে কি সূত্র লোপাটের চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? সেই প্রশ্ন উঠছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-এর একাংশের থেকে। ডিসি নর্থ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।

যদিও সংস্কার কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। যা ছবি নজরে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘরে ভাড়া বাঁধা। দরজার জায়গায় বড় খোঁদল। চলছে মেরামতি।

আরও পড়ুন- মাফিয়ারাজ চালাতেন সন্দীপ! আরজি করের প্রাক্তন সহকর্মীর বিরুদ্ধে কী বললেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল সুপার?

এ দিকে আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, হাই কোর্টের নজরদারিতে হবে সিবিআই তদন্ত।

আরজি কর মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসন কখনওই নিহত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষে ছিল না। সেই সঙ্গে আদালত আরও বলে, এই ঘটনা ব্যতিক্রমী। এই মামলায় মৃতের পরিবারের মামলাকে মূল মামলা ধরে এগোনো হবে বলে মঙ্গলবার শুনানিতে জানায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে তিন সপ্তাহ পরে, সেই সঙ্গে আদালতের নজদারিতেই হবে শুনানি। সেই পরিস্থিতিতে আরজি করের সেই অভিশপ্ত সেমিনার রুমের বিপরীত দিকে মেরামতির ঘটনা সন্দিগ্ধ করছে বিক্ষুব্ধদের।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন সেই তরুণী। গভীর রাতে ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশে মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর দেহ মাটিতে পড়ে ছিল সংজ্ঞাহীন অবস্থায়। তাঁর সারা দেহে গভীর এবং ভয়ানক ক্ষতের নমুনা মিলেছে ময়নাতদন্তে।

RG Kar Doctor Death: ‘যথাযথ তদন্ত হচ্ছে’, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে পরিষেবা চালুর অনুরোধ স্বাস্থ্যসচিবের

কলকাতা: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরুপ নিগম জানালেন, তিনি নিজে গিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। চিকিৎসা পরিষেবা চালু না হলে যে ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, সে বিষয়ে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ স্বাস্থ্য সচিবের।

আরও পড়ুন-  পাচ্ছেন না রোগী! হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মমতার

তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীও নিজে গিয়ে দেখা করে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আমরা আবার বলছি যথাযথ তদন্ত হচ্ছে। একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসকদের কাছে আমাদের অনুরোধ, যথাযথ ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিন। যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়।”

নিগম আরও বলেন, “আমরা চাই এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়। রাজ্য চায় পরিষেবা যথাযথ হোক। রোজ এক লক্ষ টেলিমেডিসিনে চিকিৎসা হয়। ১২-১৫ লক্ষ আউটডোর হয়।” সেখানে বর্তমানে যে অব্যবস্থা চলেছে তাতে রোগী মৃত্যু এবং হয়রানির ছবি স্পষ্ট। মমতা নিজেও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই গতকালের বৈঠক ডেকেছিলেন নবান্নে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। বিক্ষোভের আঁচ শহরের হাসপাতাল ছাড়িয়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছে জেলা হাসপাতালগুলিতেও। রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। বন্ধ পরিষেবা। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে লাগাতার বিক্ষোভ হাসপাতাল চত্বরগুলিতে। কী ভাবে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন-  পাচ্ছেন না রোগী! হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মমতার

অন্য দিকে, মঙ্গলবার হাইকোর্টে পৌঁছেছে আরজি কর কাণ্ডের কেস ডায়েরি। সিপিএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন গতকাল এক প্রাক্তন সরকারি ফরেনসিক এক্সপার্টের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, এ হেন ভয়াবহ অপরাধ একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বিকাশ সাফ বলেন, “আদালত জানতে চাইলে সেই নাম আমি বলতে পারি।”
অন্য দিকে প্রশাসনের দাবি, পরিবারের তরফে তদন্ত নিয়ে যে অনুরোধ রাখা হয়েছে তা মেনে চলছে পুলিশ। প্রতিদিন একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার পরিবারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেছেন।

RG Kar Doctor Murder Case: তৃতীয় দিনেও রামপুরহাট মেডিকেলে আন্দোলন জারি

বীরভূম: কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ন্যাকারজনক ঘটনায় জড়িত সকলের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি পথে নেমেছে আমজনতাও। সোমবার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবির পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির পথে হাঁটেন চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন।

বীরভূমের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের আন্দোলন তৃতীয় দিনে পা দিয়ে দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এই দাবিগুলো নিয়ে শনিবার তাঁরা মিছিল করে প্রতিবাদ জানান। সন্ধেয় মোমবাতি মিছিলের পর হাসপাতালের মূল প্রবেশ পথ বন্ধ করে তার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসকরা। তবে মূল প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হলেও খুলে রাখা হয়েছিল জরুরি বিভাগের প্রবেশ পথ।

আর‌ও পড়ুন: গাছের ডালে গাছের চারা রোপণ! কী এই ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন? কেন করা হয়?

অবস্থান বিক্ষোভের তৃতীয় দিন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে আসেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক। সমস্ত দাবি দাওয়া শুনে তিনি দ্রুত এগুলির সমাধান করার আশ্বাস দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের বিক্ষোভে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।মহকুমাশাসককে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, যতদিন পর্যন্ত আরজি করের ঘটনার মূল অভিযুক্তদের শাস্তি হচ্ছে এবং তাঁদের সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই বক্তব্যের পরে মহকুমাশাসক সৌরভ পান্ডে হাসপাতাল থেকে তাঁদের বিক্ষোভ তুলতে অনুরোধ করেন। কারণ তাঁদের বিক্ষোভের জেরেই সম্পূর্ণ ভারতে ব্যাহত হচ্ছে বহির্বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা। সমস্যায় পড়ছেন রোগীর পরিবার।

সৌভিক রায়

RG Kar Doctor Murder Case: আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব জেলাতেও, দু’ঘণ্টা বন্ধ রইল চিকিৎসা পরিষেবা

পূর্ব বর্ধমান: দু’ঘণ্টার জন্য পরিষেবা বন্ধ থাকল হাসপাতালে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা বাদে অন্যান্য সমস্তরকম পরিষেবা বন্ধ রাখলেন চিকিৎসক এবং নার্সরা। ঘটনাটি কালনা মহকুমা হাসপাতালের। এদিন সকালের দিকে প্রায় ২ ঘণ্টা কালনা মহকুমা হাসপাতালে জরুরী পরিষেবা বাদে বাকি অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ রাখেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এইভাবেই তাঁরা রাজ্যব্যাপী চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার সকাল ন’টা থেকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। যদিও এগারোটার পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় হাসপাতালে পরিষেবা। চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সিং স্টাফ এবং হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। মূলত চিকিৎসকদের আন্দোলন হলেও বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মী তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: বাঁকে ফুটে উঠছে শিল্পের কারুকাজ, দেখতে শ্রাবণ মাসে রাস্তার দুই ধারে উপচে পড়ছে ভিড়

শিখা চক্রবর্তী নামে কালনা মহকুমা হাসপাতালের এক নার্স এই প্রসঙ্গে বলেন, নার্সিং-এর মেয়ে ছাড়া ডিউটি হয় না, হাসপাতাল চলে না। ডাক্তাররা যেমন ছাদ, সেরকম আমরা মেয়েরাও পিলার। ডাক্তার এবং নার্স ছাড়া কোনও হাসপাতাল চলতে পারে না। প্রত্যেকদিন আমাদের মেয়েরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করে চলেছে। বেশিরভাগ সময় কোনও সিকিউরিটি থাকে না। অমরা চাই উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।

এদিনের এই আন্দোলন থেকে স্লোগান ওঠে ‘নো সেফটি, নো ডিউটি’। পাশাপাশি চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সিং স্টাফ সকলেই জানান, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার প্রচন্ড অভাব রয়েছে। আরজি করে’র মহিলা চিকিৎসকের নারকীয় মৃত্যুর পর তাঁরা আরও ভয় পেয়েছেন বলে জানান।

অন্যদিকে চিকিৎসায়ক ও নার্সদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির ফলে আউটডোরে টিকিট কাটার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে রোগীদের। টিকিটের লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী