Tag Archives: Festival

Rathyatra Speciality 2024: মূল প্রসাদ পোড়া পিঠে, এই সাবেক পরিবারের রথযাত্রায় পূজিত দশটি বিগ্রহ

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। যার মধ্যে অন্যতম রথযাত্রা। তবে বাংলা-ওড়িশা সীমানায় এই গ্রামের রথ অন্যান্য জায়গার তুলনায় ভিন্ন। একটি রথে শুধু জগন্নাথ, বলরাম আর সুভদ্রার একটি করে মূর্তি নয়, এখানে রথে আরোহণ করেন মোট দশটি বিগ্রহ। যেখানে জগন্নাথের বিগ্রহের সংখ্যা মোট চারটি। যাকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। বছরের পর বছর বংশ পরম্পরায় এই রীতি চলে আসছে বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকা দাঁতন থানার আঙ্গুয়া গ্রামে। প্রায় দেড়শো বছর ধরে এই রথযাত্রায় মেতে ওঠেন আঙ্গুয়া-সহ পাশাপাশি একাধিক গ্রামে হাজারো মানুষ। সোজারথ থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত নানা আচার পালন করা হয় পরিবারে। এর পর শুরু হয় দুর্গাপুজোর নানা প্রস্তুতি।

পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রার অনুকরণে পশ্চিমবঙ্গের ওড়িশা সীমান্তে অনেক গ্রামে রীতি মেনে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। কোথাও জগন্নাথ মন্দির রয়েছে, কোথাও আবার পারিবারিকভাবে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। ওড়িশা সীমানায় এই গ্রামে জমিদার বাড়ির কুলদেবতা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। পুরনো দিনে দু’টি রথের আয়োজন করা হত। কিন্তু নানা কারণে সেই রথ কমে হয় একটি। প্রতিবছর একটি রথে চেপে দশটি বিগ্রহ ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে আসেন জমিদার পরিবার দাস মহাপাত্র পরিবারে। সেখানে ন’দিন ধরে নানা রীতি মেনে পূজিত হন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। প্রতিদিন ফল প্রসাদ, অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। তবে ফের উল্টো রথযাত্রায় থাকে নানা আয়োজন।

আরও পড়ুন : রাত পোহালেই মনসাপুজো! মঙ্গলবারের পর আবার কবে সর্পদেবী ও অষ্টনাগপূজা? জানুন নির্ঘণ্ট

রথ এবং উল্টোরথযাত্রায় নানা আয়োজন থাকে দাস মহাপাত্রের বাড়িতে। প্রাথমিকভাবে জমিদার পরিবারে তিনজন দেবতা ছিলেন, জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা।  আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা আয়োজন করা হয় এবং দশমী তিথিতে পুনর্যাত্রা শুরু হয়। উল্টোরথে দিন দশটি বিগ্রহ এসে উপস্থিত হন দাস মহাপাত্র বাড়ির দুর্গাদালানে। সেখানে ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় পোড়া পিঠা। এরপর রথের রশি টেনে রথযাত্রা পালন করে গোটা গ্রামের মানুষ।

বংশ পরম্পরায় ক্রমশ এই ধারাকে বজায় রেখেছেন এই জমিদার পরিবার। গ্রামের মানুষের পাশাপাশি পারিবারিক আত্মীয়স্বজনরাও মেতে উঠেন। এরপর দুর্গাদালানে শুরু হয় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। স্বাভাবিকভাবে রীতির বৈচিত্র্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।

Manasa Puja 2024 Date & Timing: রাত পোহালেই মনসাপুজো! মঙ্গলবারের পর আবার কবে সর্পদেবী ও অষ্টনাগপূজা? জানুন নির্ঘণ্ট

দীর্ঘ দিন ধরে বর্ষাকালে বাংলার ঘরে ঘরে পূজিতা হন মা মনসা। প্রচলিত বিশ্বাস, সর্পদেবীর পুজো করলে তিনি রক্ষা করেন সর্প দংশন থেকে।
দীর্ঘ দিন ধরে বর্ষাকালে বাংলার ঘরে ঘরে পূজিতা হন মা মনসা। প্রচলিত বিশ্বাস, সর্পদেবীর পুজো করলে তিনি রক্ষা করেন সর্প দংশন থেকে।

 

এ পার এবং ওপার দুই বাংলায় মা মনসার পূজা করা হয়। তবে তাঁর পূজার দিন ও তিথি একাধিক। বিভিন্ন পরিবারে বিভিন্ন দিনে তাঁর পুজো করা হয়।
এ পার এবং ওপার দুই বাংলায় মা মনসার পূজা করা হয়। তবে তাঁর পূজার দিন ও তিথি একাধিক। বিভিন্ন পরিবারে বিভিন্ন দিনে তাঁর পুজো করা হয়।

 

এ বছর অর্থা‍ত ২০২৪ বা বাংলার ১৪৩১ বঙ্গাব্দের মনসাপুজোর দিনগুলি দেখে নিন।
এ বছর অর্থা‍ত ২০২৪ বা বাংলার ১৪৩১ বঙ্গাব্দের মনসাপুজোর দিনগুলি দেখে নিন।

 

দৃকসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী এ বছর মনসাদেবীর পুজোর প্রথম দিনটি ছিল ১৬ জুন বা পয়লা আষাঢ়। সে দিন পালিত হয়েছে দশহরার তিথিও।
দৃকসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী এ বছর মনসাদেবীর পুজোর প্রথম দিনটি ছিল ১৬ জুন বা পয়লা আষাঢ়। সে দিন পালিত হয়েছে দশহরার তিথিও।

 

এর পর আবার মনসাপুজোর দিন হল ১৬ জুলাই বা ৩১ আষাঢ়। আষাঢ় মাসের শেষ দিন বা আষাঢ় সংক্রান্তিতে পূজিতা হবেন দেবী।
এর পর আবার মনসাপুজোর দিন হল ১৬ জুলাই বা ৩১ আষাঢ়। আষাঢ় মাসের শেষ দিন বা আষাঢ় সংক্রান্তিতে পূজিতা হবেন দেবী।

 

১৬ জুলাই, মঙ্গলবার শুরু হবে মাসব্যাপী মনসাপূজা ও অষ্টনাগ পূজা। শ্রাবণমাসে একাধিক দিন ও তিথি আছে মনসাপুজোর।
১৬ জুলাই, মঙ্গলবার শুরু হবে মাসব্যাপী মনসাপূজা ও অষ্টনাগ পূজা। শ্রাবণমাসে একাধিক দিন ও তিথি আছে মনসাপুজোর।

 

৯ শ্রাবণ বা ২৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার পালিত হবে মনসাপূজা, নাগপঞ্চমী ও অষ্টনাগপূজা।
৯ শ্রাবণ বা ২৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার পালিত হবে মনসাপূজা, নাগপঞ্চমী ও অষ্টনাগপূজা।

 

২৪ শ্রাবণ বা ৯ অগাস্ট, শুক্রবারও পূজিত হবেন মনসাদেবী।
২৪ শ্রাবণ বা ৯ অগাস্ট, শুক্রবারও পূজিত হবেন মনসাদেবী।

 

৩২ শ্রাবণ বা শ্রাবণ সংক্রান্তি পড়েছে ১৭ জুলাই। সেই দিন সমাপ্ত হবে এক মাসব্যাপী মনসাপূজা, নাগপঞ্চমী ও অষ্টনাগপূজা।
৩২ শ্রাবণ বা শ্রাবণ সংক্রান্তি পড়েছে ১৭ জুলাই। সেই দিন সমাপ্ত হবে এক মাসব্যাপী মনসাপূজা, নাগপঞ্চমী ও অষ্টনাগপূজা।

 

এর পর ভাদ্রমাসে ৭ ভাদ্র বা ২৪ অগাস্ট, ২২ ভাদ্র বা ৮ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ভাদ্র বা ১৭ সেপ্টেম্বর মনসাদেবীর পুজো করা যাবে।
এর পর ভাদ্রমাসে ৭ ভাদ্র বা ২৪ অগাস্ট, ২২ ভাদ্র বা ৮ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ভাদ্র বা ১৭ সেপ্টেম্বর মনসাদেবীর পুজো করা যাবে।

Ulto Rath Rituals: উল্টোরথে স্নানের জলে মেশান এই জিনিস! ভাসবেন টাকার সাগরে! সংসার থেকে চোখের পলকে দূর অভাব ও অশান্তি

সোমবার উল্টোরথযাত্রা। মাসির বাড়ি থেকে রথে করে ফের মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা।
সোমবার উল্টোরথযাত্রা। মাসির বাড়ি থেকে রথে করে ফের মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা।

 

এই পুণ্যতিথিতে পালন করুন কিছু জ্যোতিষ আচার এবং টোটকা। মনে করা হয় এতে সংসারে অর্থ, শ্রী, সম্পদ, সৌভাগ্যের অভাব হয় না। বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ নন্দকিশোর মুগদল।
এই পুণ্যতিথিতে পালন করুন কিছু জ্যোতিষ আচার এবং টোটকা। মনে করা হয় এতে সংসারে অর্থ, শ্রী, সম্পদ, সৌভাগ্যের অভাব হয় না। বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ নন্দকিশোর মুগদল।

 

উল্টোরথের তিথিতে কিছু আতপচাল হলুদ কাপড়ে মুড়ে রাখুন ঠাকুরঘরে সিংহাসনের পাশে।
উল্টোরথের তিথিতে কিছু আতপচাল হলুদ কাপড়ে মুড়ে রাখুন ঠাকুরঘরে সিংহাসনের পাশে।

 

এ দিন স্নানের পর লাল কাপড় পরে কিছু লক্ষ্মীকড়িতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে নিন। তার পর সেগুলি লাল বা হলুদ কাপড়ে মুড়ে রাখুন দেবী লক্ষ্মীর চরণে।
এ দিন স্নানের পর লাল কাপড় পরে কিছু লক্ষ্মীকড়িতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে নিন। তার পর সেগুলি লাল বা হলুদ কাপড়ে মুড়ে রাখুন দেবী লক্ষ্মীর চরণে।

 

সন্ধ্যায় পুজোঅর্চনার সময় এই কড়ির পুজো করুন। তার পর লাল বা হলুদ কাপড়ে বেঁধে কড়িগুলি টাঙিয়ে দিন বাড়ির সদর দরজার উপরে। তবে সকলের অগোচরে করুন এই কাজ। বাড়ি থেকে দূর হবে বাস্তু দোষ। পরিবারে ফিরবে সুখ সমৃদ্ধি ও শান্তি।
সন্ধ্যায় পুজোঅর্চনার সময় এই কড়ির পুজো করুন। তার পর লাল বা হলুদ কাপড়ে বেঁধে কড়িগুলি টাঙিয়ে দিন বাড়ির সদর দরজার উপরে। তবে সকলের অগোচরে করুন এই কাজ। বাড়ি থেকে দূর হবে বাস্তু দোষ। পরিবারে ফিরবে সুখ সমৃদ্ধি ও শান্তি।

 

এই তিথিতে গোমাতাকে রুটি ও আখের গুড় সেবন করান। তাহলে অর্থের সাগরে ভাসবেন। পরিবার থেকে দূর হবে অসুস্থতা।
এই তিথিতে গোমাতাকে রুটি ও আখের গুড় সেবন করান। তাহলে অর্থের সাগরে ভাসবেন। পরিবার থেকে দূর হবে অসুস্থতা।

 

এই তিথিতে দরিদ্র নরনারায়ণকে সেবা করলে শনিদেবের আশীর্বাদ লাভ করবেন। বাড়ির কাছে অশ্বত্থগাছ থাকলে তার গোড়ায় দিন সরষের তেল। তাহলে সংসারে সুখশান্তি বজায় থাকবে।
এই তিথিতে দরিদ্র নরনারায়ণকে সেবা করলে শনিদেবের আশীর্বাদ লাভ করবেন। বাড়ির কাছে অশ্বত্থগাছ থাকলে তার গোড়ায় দিন সরষের তেল। তাহলে সংসারে সুখশান্তি বজায় থাকবে।

 

উল্টোরথে স্নানের জলে মিশিয়ে নিন নিমপাতা। তাহলে জীবন থেকে দূর হবে সব নেগেটিভিটি। ব্যর্থতা দূর হয়ে আসবে সাফল্য ও অর্থ।
উল্টোরথে স্নানের জলে মিশিয়ে নিন নিমপাতা। তাহলে জীবন থেকে দূর হবে সব নেগেটিভিটি। ব্যর্থতা দূর হয়ে আসবে সাফল্য ও অর্থ।

 

বাড়িতে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ বা ছবি থাকলে সেখানে নিবেদন করুন কদমফুল। তাহলে প্রভু জনন্নাথদেেবর আশীর্বাদে দূর হবে জীবনের সব বাধা বিঘ্ন ও বিপদ।
বাড়িতে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ বা ছবি থাকলে সেখানে নিবেদন করুন কদমফুল। তাহলে প্রভু জনন্নাথদেেবর আশীর্বাদে দূর হবে জীবনের সব বাধা বিঘ্ন ও বিপদ।

Kharchi Puja Festival: পর্যটক টানতে খার্চি মেলার প্রচারে সচেষ্ট ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, কী এই মেলা? অবাক হবেন শুনলে!

আগরতলা: ভারতবর্ষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরা সারা বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘ প্রাচীন। খার্চি উৎসবের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সচেষ্ট ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা৷ তাঁর কথায়, “ভারতবর্ষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরা সারা বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘ প্রাচীন। নতুন প্রজন্মকে খার্চি উৎসব ও চতুর্দশ দেবতা বাড়ির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অবগত করতে হবে। এসবের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে অবহিত করতে না পারলে এই উৎসবের ঐতিহ্য অধরা থাকবে।”

ত্রিপুরার খয়েরপুরের পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতাবাড়ি চত্বরে ৭ দিন ব্যাপী রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।          প্রত্যেক বছরের মতো এবারও হাওড়া নদীর পুণ্যস্নানঘাটে চতুর্দশ দেবতাকে অবগাহনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী জাতি জনজাতি মানুষের মিলন মেলা খার্চি উৎসব। এবার ২৬৫ বছরে পদার্পন করল এই খার্চি পুজো। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, খার্চি পুজোর ফাইল আমার কাছে আসলে লক্ষ্য করি উদ্বোধনের দিনটি রবিবার ছুটির দিন। সাধারণত এধরণের সরকারি ছুটি সবাই আশা করে থাকেন। তাই অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে খার্চি উৎসবের সমাপ্তির দিন অর্থাৎ ২০ জুলাই সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করি যাতে এই উৎসবে মানুষ আরও বেশি আনন্দের সঙ্গে সামিল হতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই উৎসবে ফের একবার অংশ নিতে পেরে খুবই আনন্দিত বোধ করছি। এখানে আবার আসতে পেরে এই এলাকার বিধায়ক তথা উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী ও তাঁর সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাই।”

“অনুষ্ঠানে ডাঃ সাহা বলেন, আমাদের ভারতবর্ষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরা অনেক প্রাচীন। সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু করে হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো সভ্যতা – যা সারা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দীর্ঘ পুরনো সংস্কৃতি। এখানে খার্চি পুজোও অনুরূপ একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এর একটা সুবিশাল ইতিহাস রয়েছে। এখানে ১৪ জন দেবদেবীকে আমরা পূজা করি। স্মৃতিচারণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছোট বেলায় আমরাও খার্চি পুজোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকতাম। এখনকার সময়ের মতো তখন খার্চি পুজোয় আসা এত সহজ ছিল না। তখন নদীর এত জলস্রোত ছিল যে পার হওয়া আতঙ্কের ব্যাপার ছিল। নৌকায় চড়ে নদী পার হতে হতো। তখন অনেক দুর্ঘটনাও ঘটতো। পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে মনে হতো যে প্রকৃত অর্থে চৌদ্দ দেবতার আশীর্বাদে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরেছি। ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে যাওয়াও তখন খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। গাড়ি গেলেও সেই গাড়ি নৌকায় তুলে পার হতে হত।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য ব্যাপক উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে চলছে। উন্নয়ন এখন এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যেটা ভাবা যায় না। উল্লেখ্য, খার্চি পুজো ও মেলার এবারের ভাবনা – পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজায়ন। ডাঃ সাহা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় এধরণের চিন্তাভাবনা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিছুদিন আগে বন দপ্তরের উদ্যোগে সারা রাজ্যে ৫ মিনিটে ৫ লক্ষ চারা গাছ রোপণ করা হয়েছিল। ২০২১ সাল থেকে এধরণের কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ২ লাখ থেকে এক লাফে এবার ৫ লাখে পৌঁছে গিয়েছে। প্রকৃতিকে নিয়েই আমাদের থাকতে হবে। প্রকৃতি ছাড়া আমরা কেউ বাঁচবো না। আমাদের মহারাজারাও প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা করতেন, ভালোবাসতেন এবং পূজা করতেন। তাই আমরাও সেই দিশায় এগিয়ে চলছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেই দিশায় চলেন। আমরা জানি এখানে চৌদ্দ দেবতার মধ্যে তিনজন দেবতাকে নিয়মিত পূজা করা হয়। আর খার্চি পুজো উপলক্ষে বাকি দেবদেবীদেরও ৭দিন সমানে পুজো করা হয়। এসব ইতিহাস আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে অবগত করতে হবে। এখানে কোন পূর্ণবয়ব মূর্তিকে পুজো করা হয় না। শুধু অষ্টধাতুর তৈরি দেবদেবীর মস্তক পূজিত হয়। আর এই পরম্পরা তখনই রক্ষা করতে পারব যদি পরবর্তী প্রজন্মকে এসবের পুরো ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করতে পারি। এধরণের মেলা, এধরণের সংস্কৃতি ও পরম্পরার মাধ্যমে জাতি জনজাতির মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ববোধের মেল বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে বলেও গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
৭ দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী এই খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনী চলবে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত। মেলা ও উৎসবকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, পুলিশ হেল্প ডেস্ক সহ নিরাপত্তার অভূতপূর্ব বন্দোবস্ত। সপ্তাহ ব্যাপী এই উৎসবে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে মনে করছেন আয়োজক কমিটি। মেলায় সরকারি ও বেসরকারি প্রচুর স্টল খোলা হয়েছে। উদ্বোধনী পর্বের পর মন্দির ও স্টল ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ।

 

Ulto Rath Rituals 2024: উল্টোরথে ভুলেও মুখে তুলবেন না এই ৫ খাবার! সংসারে নেমে আসবে বিপদের কালো ছায়া

কোনও রকম তিতা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। অন্যান্যদিন তিতো খেলেও কিন্তু এদিন ভুলেও তিতো মুখে দেওয়া উচিৎ নয়। উচ্ছে, করলা, নিমপাতা, কুলেখাড়া এই শাকপাতাগুলি সেদিন না হওয়াই ভাল। সুস্মিতা গোস্বামী
কোনও রকম তিতা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। অন্যান্যদিন তিতো খেলেও কিন্তু এদিন ভুলেও তিতো মুখে দেওয়া উচিৎ নয়। উচ্ছে, করলা, নিমপাতা, কুলেখাড়া এই শাকপাতাগুলি সেদিন না হওয়াই ভাল।
সুস্মিতা গোস্বামী
পুঁইশাক কখনোই রথযাত্রার দুদিন খাওয়া উচিৎ নয়। মহাপ্রভু যদি একবার রেগে যান তাহলে জীবনে হওয়া কাজও এই সময় আটকে যেতে পারে। সুস্মিতা গোস্বামী
পুঁইশাক কখনোই রথযাত্রার দুদিন খাওয়া উচিৎ নয়। মহাপ্রভু যদি একবার রেগে যান তাহলে জীবনে হওয়া কাজও এই সময় আটকে যেতে পারে।
সুস্মিতা গোস্বামী
এই দিন কারোর কোনও রকম নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা উচিৎ নয়। মদ, গাঁজা, সিগারেট, এগুলি একদমই নয়। এমনকি কাউকে সেবন করতে দেখলে তাঁকেও বারণ করা বাঞ্চনীয়। সুস্মিতা গোস্বামী
এই দিন কারোর কোনও রকম নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা উচিৎ নয়। মদ, গাঁজা, সিগারেট, এগুলি একদমই নয়। এমনকি কাউকে সেবন করতে দেখলে তাঁকেও বারণ করা বাঞ্চনীয়।
সুস্মিতা গোস্বামী
রথযাত্রার দুদিন আমিষ খাবার, যেমন- ডিম, মাছ-মাংস, পেঁয়াজ, রসুন একদমই খাবেন না। এতে মহাপ্রভু খুব রেগে যান। যে কারণে আপনার অর্থহানি হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। সুস্মিতা গোস্বামী
রথযাত্রার দুদিন আমিষ খাবার, যেমন- ডিম, মাছ-মাংস, পেঁয়াজ, রসুন একদমই খাবেন না। এতে মহাপ্রভু খুব রেগে যান। যে কারণে আপনার অর্থহানি হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
সুস্মিতা গোস্বামী
রথের দুদিন কলমি শাক খাওয়া উচিৎ নয়। এই দিন কলমি শাক খেলে জগন্নাথ দেব কুপিত হন। তাতে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। আর্থিক অনটন শুরু হতে পারে। তাই না খাওয়াই শ্রেয়। সুস্মিতা গোস্বামী
রথের দুদিন কলমি শাক খাওয়া উচিৎ নয়। এই দিন কলমি শাক খেলে জগন্নাথ দেব কুপিত হন। তাতে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। আর্থিক অনটন শুরু হতে পারে। তাই না খাওয়াই শ্রেয়।
সুস্মিতা গোস্বামী

Bipattarini Puja Rituals: আজ বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও খাবেন না এটা! সংসারে অর্থ, উন্নতি ও সৌভাগ্য আনতে করবেন না এই কাজ

প্রচলিত বিশ্বাস বিপত্তারিণীদেবীর পুজো করলে সংসার থেকে সব বিপদ আপদ ও বাধা বিঘ্ন দূর হয়। আষাঢ় মাসে সোজা রথ এবং উল্টো রথযাত্রার মাঝে মঙ্গল এবং শনিবার এই ব্রত পালিত হয়।
প্রচলিত বিশ্বাস বিপত্তারিণীদেবীর পুজো করলে সংসার থেকে সব বিপদ আপদ ও বাধা বিঘ্ন দূর হয়। আষাঢ় মাসে সোজা রথ এবং উল্টো রথযাত্রার মাঝে মঙ্গল এবং শনিবার এই ব্রত পালিত হয়।

 

এ বছর মা বিপত্তারিণী ব্রতর বাৎসরিক উদযাপন হয়েছে ৯ জুলাই৷ তার পর শনিবার ১৩ জুলাই পালিত হচ্ছে উদযাপনের আর এক পর্ব৷ আজকের এই বিশেষ দিনে কী করবেন, কী করবেন না, তার কিছু বিধিনিষেধ আছে৷
এ বছর মা বিপত্তারিণী ব্রতর বাৎসরিক উদযাপন হয়েছে ৯ জুলাই৷ তার পর শনিবার ১৩ জুলাই পালিত হচ্ছে উদযাপনের আর এক পর্ব৷ আজকের এই বিশেষ দিনে কী করবেন, কী করবেন না, তার কিছু বিধিনিষেধ আছে৷

 

মনে করা হয় বিপত্তারিণী পুজো এবং ব্রতপালনে এই নিয়মগুলি পালন করলে সংসারে বিপদ আপদ থাকে না৷ সৌভাগ্য, অর্থ, শ্রী ও সম্পদে ভরে থাকে জীবন৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ নন্দকিশোর মুদগল৷
মনে করা হয় বিপত্তারিণী পুজো এবং ব্রতপালনে এই নিয়মগুলি পালন করলে সংসারে বিপদ আপদ থাকে না৷ সৌভাগ্য, অর্থ, শ্রী ও সম্পদে ভরে থাকে জীবন৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ নন্দকিশোর মুদগল৷

 

বিপত্তারিণী ব্রতের পুজো চলাকালীন কখনও কারওর সঙ্গে কথা বলবেন না৷ নিষ্ঠা ভরে পুজোয় অংশ নিন৷ পালন করুন সব রীতিনীতি৷
বিপত্তারিণী ব্রতের পুজো চলাকালীন কখনও কারওর সঙ্গে কথা বলবেন না৷ নিষ্ঠা ভরে পুজোয় অংশ নিন৷ পালন করুন সব রীতিনীতি৷

 

পুজোর সময় কথা বললে বিঘ্ন ঘটতে পারে ব্যবসায়ে৷ দেখা দিতে পারে শারীরিক অসুস্থতা৷
পুজোর সময় কথা বললে বিঘ্ন ঘটতে পারে ব্যবসায়ে৷ দেখা দিতে পারে শারীরিক অসুস্থতা৷

 

অপরিষ্কার স্থানে মা বিপত্তারিণীর পুজো করবেন না৷ তাহলে গৃহে অশান্তি আসবে না৷
অপরিষ্কার স্থানে মা বিপত্তারিণীর পুজো করবেন না৷ তাহলে গৃহে অশান্তি আসবে না৷

 

বিপত্তারিণী পুজোয় সব উপকরণ ১৩ টি করে নিবেদন করুন৷ পুজোর পর উপবাস ভঙ্গ করুন লুচি খেয়ে৷
বিপত্তারিণী পুজোয় সব উপকরণ ১৩ টি করে নিবেদন করুন৷ পুজোর পর উপবাস ভঙ্গ করুন লুচি খেয়ে৷

 

বিপত্তারিণী পুজোর আগের দিন এবং পুজোর দিনে নিরামিষ ও সাত্তিক আহার গ্রহণ করুন৷ যিনি ব্রতী নন, বাড়ির বাকি লোকজনও নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন৷
বিপত্তারিণী পুজোর আগের দিন এবং পুজোর দিনে নিরামিষ ও সাত্তিক আহার গ্রহণ করুন৷ যিনি ব্রতী নন, বাড়ির বাকি লোকজনও নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন৷

 

বিপত্তারিণী ব্রত পালনের দিন কাউকে কটুকথা বলবেন না৷ এই তিথিতে নিজে কারওর কাছে ধার করবেন না৷ কাউকে টাকা ধার দেবেনও না৷ (সব ছবি-নেটমাধ্যম)
বিপত্তারিণী ব্রত পালনের দিন কাউকে কটুকথা বলবেন না৷ এই তিথিতে নিজে কারওর কাছে ধার করবেন না৷ কাউকে টাকা ধার দেবেনও না৷ (সব ছবি-নেটমাধ্যম)

Bipattarini Puja Offerings: রাত পোহালেই শনিবার বিপত্তারিণী ব্রতপালন! কোন কোন ফল দেবেন দেবীর পুজোয়, জেনে নিন

শনিবার পালিত হবে বিপত্তারিণী পুজো৷ আষাঢ় মাসে সোজা রথ এবং উল্টো রথযাত্রার মধ্যে যে মঙ্গল ও শনিবার পড়ে, সেই দু’টি দিনে পালিত হয় এই ব্রত ও পুজো৷
শনিবার পালিত হবে বিপত্তারিণী পুজো৷ আষাঢ় মাসে সোজা রথ এবং উল্টো রথযাত্রার মধ্যে যে মঙ্গল ও শনিবার পড়ে, সেই দু’টি দিনে পালিত হয় এই ব্রত ও পুজো৷

 

বিপত্তারিণী দেবীর পুজোয় সব উপকরণ লাগে ১৩ টি করে৷ মনে করা হয় এই ব্রত পালন করলে সব বিপদ, বাধা, বিঘ্ন দূর হয়৷ (ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া)
বিপত্তারিণী দেবীর পুজোয় সব উপকরণ লাগে ১৩ টি করে৷ মনে করা হয় এই ব্রত পালন করলে সব বিপদ, বাধা, বিঘ্ন দূর হয়৷ (ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া)

 

কোন কোন ফল দেবী বিপত্তারিণীকে নিবেদন করবেন? জেনে নিন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ নন্দকিশোর মুদগল কী বলছেন৷ (ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া)
কোন কোন ফল দেবী বিপত্তারিণীকে নিবেদন করবেন? জেনে নিন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ নন্দকিশোর মুদগল কী বলছেন৷ (ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া)

 

এই সময়ে যে মরশুমি ফল পাওয়া যায় সেগুলি দিতে পারেন দেবী বিপত্তারিণীর পুজোয়৷ আম, জাম, কলা সাজিয়ে দিতে পারেন অর্ঘ্যে৷
এই সময়ে যে মরশুমি ফল পাওয়া যায় সেগুলি দিতে পারেন দেবী বিপত্তারিণীর পুজোয়৷ আম, জাম, কলা সাজিয়ে দিতে পারেন অর্ঘ্যে৷

 

পাশাপাশি দিতে পারেন কাঁঠাল, ডালিম, পেয়ারা এবং লিচু৷ বেছে নিতে পারেন পাকা পেঁপে, জামরুল এবং মুসাম্বি৷
পাশাপাশি দিতে পারেন কাঁঠাল, ডালিম, পেয়ারা এবং লিচু৷ বেছে নিতে পারেন পাকা পেঁপে, জামরুল এবং মুসাম্বি৷

 

সেইসঙ্গে পুজোর অর্ঘ্যে রাখতে পারেন বাতাবি লেবু, শশা, আঙুর এবং খেজুর৷ অর্থাৎ যে যে ফল পাওয়া যাবে, তার মধ্যে থেকে ১৩ রকম ফল বেছে নিয়ে সাজিয়ে তুলুন পুজোর অর্ঘ্য৷
সেইসঙ্গে পুজোর অর্ঘ্যে রাখতে পারেন বাতাবি লেবু, শশা, আঙুর এবং খেজুর৷ অর্থাৎ যে যে ফল পাওয়া যাবে, তার মধ্যে থেকে ১৩ রকম ফল বেছে নিয়ে সাজিয়ে তুলুন পুজোর অর্ঘ্য৷

Bipattarini Vrat Puja Food Rituals: সংসারের মঙ্গলকামনায় বিপত্তারিণী পুজো করলে ভুলেও খাবেন না এটা! উপবাস ও ব্রত ভঙ্গ করুন এই খাবার খেয়ে

আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথির মধ্যে যে শনি ও মঙ্গলবার পড়ে, সেদিন মা বিপত্তারিণীর বাৎসরিক পুজো উদযাপিত হয়৷
আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথির মধ্যে যে শনি ও মঙ্গলবার পড়ে, সেদিন মা বিপত্তারিণীর বাৎসরিক পুজো উদযাপিত হয়৷

 

প্রতি বছর সোজা রথ ও উল্টোরথযাত্রা মধ্যেই উদযাপিত হয় এই ব্রত৷ চলতি বছরে বিপত্তারিণী ব্রত পড়েছে ৯ জুলাই মঙ্গলবার এবং ১৩ জুলাই শনিবার৷
প্রতি বছর সোজা রথ ও উল্টোরথযাত্রা মধ্যেই উদযাপিত হয় এই ব্রত৷ চলতি বছরে বিপত্তারিণী ব্রত পড়েছে ৯ জুলাই মঙ্গলবার এবং ১৩ জুলাই শনিবার৷

 

বিপত্তারিণী দেবীর পুজোয় যাঁরা উপবাস করে ব্রতপালন করেন, তাঁদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট রীতিনীতি আছে৷ সে বিষয়ে বলছেন বিশারদ নন্দকিশোর মুদগল৷
বিপত্তারিণী দেবীর পুজোয় যাঁরা উপবাস করে ব্রতপালন করেন, তাঁদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট রীতিনীতি আছে৷ সে বিষয়ে বলছেন বিশারদ নন্দকিশোর মুদগল৷

 

যাঁরা বিপত্তারিণী পুজোয় উপবাস করেছেন তাঁরা পুজোর আগের দিন এবং পুজোর দিন নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন৷
যাঁরা বিপত্তারিণী পুজোয় উপবাস করেছেন তাঁরা পুজোর আগের দিন এবং পুজোর দিন নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন৷

 

পুজো হয়ে যাওয়ার পর পাঠ করুন বিপত্তারিণী ব্রতকথা৷ তার পর ফলমূল, মিষ্টান্ন এবং লুচি খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করুন৷
পুজো হয়ে যাওয়ার পর পাঠ করুন বিপত্তারিণী ব্রতকথা৷ তার পর ফলমূল, মিষ্টান্ন এবং লুচি খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করুন৷

 

পুজোর দিনে চালের জিনিস বা অন্নজাত খাবার খাবেন না ব্রতীরা৷
পুজোর দিনে চালের জিনিস বা অন্নজাত খাবার খাবেন না ব্রতীরা৷

 

কোনও সেঁকা বা পোড়া খাবারও এই তিথিতে খাবেন না৷
কোনও সেঁকা বা পোড়া খাবারও এই তিথিতে খাবেন না৷

 

বাড়িতে বিপত্তারিণী পুজো হলে যাঁরা ব্রতপালন করছেন না, অর্থাৎ পরিবারের বাকি পরিজনরাও নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন৷
বাড়িতে বিপত্তারিণী পুজো হলে যাঁরা ব্রতপালন করছেন না, অর্থাৎ পরিবারের বাকি পরিজনরাও নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন৷

Bipattarini Puja Offerings: আজ দেবী বিপত্তারিণীর পুজোয় কোন ১৩ টি ফুল নিবেদন করবেন? ডালিতে অবশ্যই রাখুন এই লাল ফুল

আষাঢ়মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব রথযাত্রা৷ সোজা রথ এবং উল্টোরথের মাঝে মঙ্গল ও শনিবার পালিত হয় বিপত্তারিণীদেবীর পুজো৷
আষাঢ়মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব রথযাত্রা৷ সোজা রথ এবং উল্টোরথের মাঝে মঙ্গল ও শনিবার পালিত হয় বিপত্তারিণীদেবীর পুজো৷

 

অনেকেই বছরভর মঙ্গল ও শনিবার মা বিপত্তারিণীর পুজো করেন৷ তবে বাৎসরিক উদযাপন হয় আষাঢ়ে রথযাত্রার সময়েই৷
অনেকেই বছরভর মঙ্গল ও শনিবার মা বিপত্তারিণীর পুজো করেন৷ তবে বাৎসরিক উদযাপন হয় আষাঢ়ে রথযাত্রার সময়েই৷

 

এ বছর, মঙ্গলবার ৯ জুলাই এবং ১৩ জুলাই, শনিবার পালিত হবে বিপত্তারিণীদেবীর পুজো৷ তাঁর পুজোয় কী কী ফুল ও ফল নিবেদন করবেন, জেনে নিন৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশারদ নন্দকিশোর মুদগল৷
এ বছর, মঙ্গলবার ৯ জুলাই এবং ১৩ জুলাই, শনিবার পালিত হবে বিপত্তারিণীদেবীর পুজো৷ তাঁর পুজোয় কী কী ফুল ও ফল নিবেদন করবেন, জেনে নিন৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশারদ নন্দকিশোর মুদগল৷

 

মা বিপত্তারিণীর পুজোয় সব উপকরণ ১৩ টি করে নিবেদন করা হয়৷ মা দুর্গার প্রিয় ফুল বা মা দুর্গার পুজোয় নিবেদিত ফুল দেওয়া হয় দেবী বিপত্তারিণীকেও৷
মা বিপত্তারিণীর পুজোয় সব উপকরণ ১৩ টি করে নিবেদন করা হয়৷ মা দুর্গার প্রিয় ফুল বা মা দুর্গার পুজোয় নিবেদিত ফুল দেওয়া হয় দেবী বিপত্তারিণীকেও৷

 

মা বিপত্তারিণীপ পুজোয় প্রধান ফুল জবা৷ নিবেদন করুন রক্তজবা৷ দিতে পারেন অন্যান্য রঙের জবাফুলও৷
মা বিপত্তারিণীপ পুজোয় প্রধান ফুল জবা৷ নিবেদন করুন রক্তজবা৷ দিতে পারেন অন্যান্য রঙের জবাফুলও৷

 

পদ্মফুল অবশ্যই নিবেদন করুন দেবী বিপত্তারিণীর পুজোয়৷
পদ্মফুল অবশ্যই নিবেদন করুন দেবী বিপত্তারিণীর পুজোয়৷

 

 নীল অপরাজিতাও উৎসর্গ করতে পারেন তাঁর আরাধনায়৷
নীল অপরাজিতাও উৎসর্গ করতে পারেন তাঁর আরাধনায়৷

 

এছাড়াও গাঁদাফুল, দোপাটি, কাঠমালতী, কাঠগোলাপ, আকন্দ, বেল, জুঁই, নয়নতারা, চাঁপাফুলে সাজিয়ে তুলুন পুজোর ডালি৷
এছাড়াও গাঁদাফুল, দোপাটি, কাঠমালতী, কাঠগোলাপ, আকন্দ, বেল, জুঁই, নয়নতারা, চাঁপাফুলে সাজিয়ে তুলুন পুজোর ডালি৷

 

যদি সম্ভব হয়, তাঁকে নিবেদন করতে পারেন পলাশ ও শিউলিফুলও৷ সব মিলিয়ে মোট ১৩ টি ফুল রাখুন মা বিপত্তারিণীর পুজোয়৷
যদি সম্ভব হয়, তাঁকে নিবেদন করতে পারেন পলাশ ও শিউলিফুলও৷ সব মিলিয়ে মোট ১৩ টি ফুল রাখুন মা বিপত্তারিণীর পুজোয়৷

Ulto Rath Date & Rituals: উল্টোরথ কবে? জানুন কোন কোন খাবার এই পুণ্যতিথিতে একদম খাবেন না! খেলেই সংসারে আসবে অনটন ও দারিদ্র

রবিবার, ৭ জুলাই দেশজুড়ে পালিত হল রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথযাত্রা উ‍ৎসব৷
রবিবার, ৭ জুলাই দেশজুড়ে পালিত হল রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথযাত্রা উ‍ৎসব৷
এর পর আগামী ১৬ জুলাই, পুরীতে পালিত হবে উল্টোরথযাত্রা৷ কারণ ৫৩ বছর পর শ্রীক্ষেত্রে এ বার সোজা রথযাত্রা পালিত হচ্ছে ৭ জুলাই এবং ৮ জুলাই-দু’দিন ধরে।
এর পর আগামী ১৬ জুলাই, পুরীতে পালিত হবে উল্টোরথযাত্রা৷ কারণ ৫৩ বছর পর শ্রীক্ষেত্রে এ বার সোজা রথযাত্রা পালিত হচ্ছে ৭ জুলাই এবং ৮ জুলাই-দু’দিন ধরে।
উল্টো রথযাত্রার দিনটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন ও সনাতন বিশ্বাস মতে৷ এই দিনটির জন্য পালনীয় কিছু আচার আচরণ আছে৷ মনে করা হয় সেগুলি অনুসরণ করলে জীবনে অনটন, দুঃখ থাকে না৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশারদ পণ্ডিত যোগেশ চৌরে৷
উল্টো রথযাত্রার দিনটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন ও সনাতন বিশ্বাস মতে৷ এই দিনটির জন্য পালনীয় কিছু আচার আচরণ আছে৷ মনে করা হয় সেগুলি অনুসরণ করলে জীবনে অনটন, দুঃখ থাকে না৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশারদ পণ্ডিত যোগেশ চৌরে৷

 

রথযাত্রার মতো উল্টোরথেও পটল খাবেন না৷ পটলের তৈরি যে কোন খাবার এই তিথিতে এড়িয়ে চলুন৷
রথযাত্রার মতো উল্টোরথেও পটল খাবেন না৷ পটলের তৈরি যে কোন খাবার এই তিথিতে এড়িয়ে চলুন৷

 

 কোনওরকম শাক খাবেন না উল্টোরথ তিথিতে৷ দিনভর খাওয়ার সময় মনে রাখুন এই কথাটা৷
কোনওরকম শাক খাবেন না উল্টোরথ তিথিতে৷ দিনভর খাওয়ার সময় মনে রাখুন এই কথাটা৷

 

তিক্ত খাবার বা তেতো খাবারও খাওয়া থেকে দূরে থাকুন এই দিনে৷
তিক্ত খাবার বা তেতো খাবারও খাওয়া থেকে দূরে থাকুন এই দিনে৷

 

এই পুণ্যতিথিতে আমিষ খাবার না খেয়ে গ্রহণ করুন নিরামিষ আহার৷
এই পুণ্যতিথিতে আমিষ খাবার না খেয়ে গ্রহণ করুন নিরামিষ আহার৷

 

এই রীতি পালন করলে জীবনে অভাব, অনটন, দারিদ্র থাকবে না বলে বিশ্বাস করা হয়৷
এই রীতি পালন করলে জীবনে অভাব, অনটন, দারিদ্র থাকবে না বলে বিশ্বাস করা হয়৷