Tag Archives: Flood

Flood: নিজেরাই ভাঙছেন নিজেদের ঘর! কেন? কোন ‘করাল গ্রাসের’ ত্রাসে এমন কাজ? জানলে অবাক হবেন

আলিপুরদুয়ার: শিশামারা নদীর ভয়াল রূপ দেখে নিজেদের বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। নদী বাড়ি ভাসিয়ে নেবে এই দেখে অনেকেই নিজের বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে।

এই ছবি দেখা যাচ্ছে শিশামারা তীরবর্তী জলদাপাড়ার নতুন পাড়া এলাকায়। ক্রমাগত ভাঙ্গন হয়ে চলেছে জলদাপাড়া নতুনপাড়া এলাকায়। শিশামারা নদীর ভাঙ্গনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই নিজেদের ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন । কেননা যেকোনও মুহুর্তে নদী গর্ভে চলে যেত পারে গোটা এলাকা। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণী জল, খাবার কোনও কিছু না খেয়েই ৩০ বছর দিব‍্যি বেঁচে থাকতে পারে? ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

এমনকী নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে জলদাপাড়ার বনাঞ্চল। ভুটানের শিশামারা নদীর জল ঢুকে পড়ছে জলদাপাড়া জঙ্গল ও সংলগ্ন গ্রামে।পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে এই পরিস্থিতি।

এক কথায় ভয়ানক পরিস্থিতি শিশামারা নদীর। নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছে অনেক আগেই।গ্রামে ঢুকে পড়েছে শিশামারা নদীর জল। ভুটান থেকে ধেয়ে আসা নদী শিসামারা। এই নদী এলাকার ত্রাসে পরিনত হয়েছে। জঙ্গল থেকে অনেক গাছ ভেসে আসছে নদীর জলে। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নদী। আতঙ্কিত রয়েছে গোটা জলদাপাড়ার মানুষজন।

আরও পড়ুন: বাড়ির ইনভার্টারই হয়ে যাবে ‘বোমা’! দাউ দাউ করে জ্বলবে আগুন, কখনও করবেন না এই ৫ ভুল

রীতিমতো ফুঁসছে নদীর জল। রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না এলাকাবাসীরা। স্থানীয় নেতারা এসে পরিস্থিতি দেখছেন, তবে যা অবস্থা তাতে কেউ আর কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা।
Annanya Dey

Alipurduar News: চা বাগান জলের তলায়, বন্যার আতঙ্কে মেচপাড়া ও চুয়াপাড়াবাসী

আলিপুরদুয়ার:গত বছর এরকম সময়েই ডুবে গিয়েছিল চা বাগান। নদীর কূল ছাপিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মেচপাড়া চা বাগানে। সেই ১৩ জুলাই আসতে আর বেশি দেরি নেই। আতঙ্কিত আলিপুরদুয়ারের চুয়াপাড়া, মেচপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। অতি বৃষ্টিতে ভুটানের পার্বত্য এলাকার পানা নদীর জল বাড়তেই প্রমাদ গুনছেন এলাকাবাসী।

কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগানে গতবার বন্যা পরিস্থিতির পর জেলা প্রশাসনের আর্জিতে কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১৭ জন জওয়ানের একটি দল এসেছিলেন কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জে। প্রতি বর্ষায় তাঁরা আসবেন এই এলাকাতে, এমনই জানিয়েছিলেন। বৃষ্টি বেশি হতেই ফুঁসে উঠেছে নদীর জল। ইতিমধ্যে নদীটি বালির বাঁধ ভেঙে ফেলেছে। লাগাতার ভারি বৃষ্টি চলতে থাকলে জল গ্রামে প্রবেশ করে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। বালির বাঁধ নয়, এলাকায় পাকা বাঁধ দিলে তবেই এই সমস্যা মিটবে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির পরই ভাঙন! বেহাল রাস্তায় আতঙ্কের দিন কাটছে কোচবিহারের নথিবাড়ির

গত বছর ১৩ জুলাই পানা নদীর জল মেচপাড়া চা বাগানে প্রবেশ করায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। বেশ কয়েকঘণ্টা আটকে থাকেন পাকা লাইন এলাকার বাসিন্দারা। বায়ুসেনার জওয়ানরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। এ বছরেও একই পরিস্থিতি হতে চলেছে, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

অনন্যা দে

Flood Situation: লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি জেলায়, বাঁধহীন এলাকায় আতঙ্ক

দক্ষিণ দিনাজপুর: গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুনর্ভবা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তপন ব্লকের বজ্রাপুকুর, বাসইর, সুথল, জিগাতলী, গোপীনাথপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকাতে নদীর জল প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এভাবে যদি আর কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি হয় তবে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়বেন।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকা জুড়ে বাঁধ নির্মাণের কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ-এর কাছেও একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি আজও। নদীর জল বাড়লেই রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়, এমনকি অন্যান্য এলাকা থেকে এই ১০-১২টি গ্রাম একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: আম চিনতে পড়ুয়াদের জন্য আমের মেলা! উপভোগ করল কচিকাঁচারা

স্থানীয় গ্রামবাসী মোহন বর্মন বলেন, প্রায় প্রতি বছর বন্যা পরিস্থিতির শিকার প্রত্যেকে। যেভাবে নদীতে জল বাড়ছে একদিনের মধ্যে বাড়িতে জল ঢুকে যেতে পারে। এই এলাকায় নদী বাঁধ দেওয়া হলে খুব ভাল হয়। বাড়িতে জল ঢুকে গেলে কোথায় গিয়ে উঠতে হবে তা জানা নেই। পাড়ায় বেশিরভাগই মাটির বাড়ি। সরকারি বাড়ি পেলে হয়ত ঘর ছাড়তে হত না।

রাতভর বৃষ্টি হলে এলাকার লোকজনের বাড়িতেও জল ঢুকে পড়বে, তা নিয়েআতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। এদিকে সকাল থেকে নদীর এমন জলস্তর বৃদ্ধির ফলে জলে ডুবে যেতে থাকে এলাকার কৃষিজ ফসল। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। পুনর্ভবা নদীর ধার দিয়ে বাঁধ নির্মাণ না করার ফলে প্রতিবছরই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

সুস্মিতা গোস্বামী

Flood Situation: অগ্রাসী তিস্তার জলে ভাসছে টোটগাঁও বস্তি, আশ্রয় শিবিরে প্রায় গোটা গ্রাম

জলপাইগুড়ি: পাহাড় এবং সমতলে অবিরাম ভারী বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা নদী। বেশ কিছু জায়গা প্লাবন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। তিস্তার জল ঢুকে প্লাবিত মালবাজার মহকুমার টোটগাঁও গ্রাম। তিস্তা নদী ধীরে ধীরে গ্রাস করছে এই গ্রামকে। বৃষ্টি যত বাড়ছে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে এখানকার বাসিন্দাদের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিস্তার জল ঢুকে এই এলাকার প্রায় ৫০-এর বেশি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তিস্তার হড়পা বানে নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে কোথায় রাস্তা আর কোথায় কৃষি জমি দেখে বোঝার উপায় নেই। গ্রামে ঢোকার রাস্তা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই জলমগ্ন। নষ্ট হয়েছে জমির ফসল।

আরও পড়ুন: বাঁধের জন্য জমি দিলেও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত দক্ষিণ কনকদিঘির মানুষ

প্রতিবছর বর্ষা এলেই এই এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়ে। তবে এই বছর পরিস্থিতি যেন আরও বেশি খারাপ। আগে যেদিক দিয়ে তিস্তা নদী বয়ে যেত সেখান থেকে ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে। বর্ষার শুরু থেকেই এই এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। তিস্তার ভয়াল রূপ দেখে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। নিজেদের সম্বলটুকু নিয়ে বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছে ত্রান শিবিরে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে টোটগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, গবাদি পশু সহ প্রায় সবকিছু নিয়েই আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিবার।

ঘরে উনুন জ্বালানোর পরিস্থিতি নেই, তাই ত্রাণ শিবিরের খাবার খেয়ে খিদে মেটাচ্ছেন সকলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহুবার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও এই এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করেনি। বাঁধ থাকলে আজ এই পরিস্থিতি হত না। বর্তমানে নদী যেভাবে গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে ভবিষ্যতে এর থেকেও আর‌ও বেশি ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে। সমগ্র গ্রামটাই চলে যেতে পারে তিস্তার গর্ভে, এমনটাই আশঙ্কা গ্রামবাসীদের। সকলে চাইছেন এই বিপদ থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পেতে এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করুক প্রশাসন।

সুরজিৎ দে

Kaziranga National Park flood: অসমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজিরাঙা, মৃত একাধিক পশু, সাঁতরে আপ্রাণ বাঁচার চেষ্টা অবলাদের

অসমে ভয়াবহ বন্য়ায় বিপন্ন কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। বন্যায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বন দফতরের ১৬৭টির মধ্যে ২০৬টি তাঁবু। (ছবি: এক্স থেকে)
অসমে ভয়াবহ বন্য়ায় বিপন্ন কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। বন্যায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বন দফতরের ১৬৭টির মধ্যে ২০৬টি তাঁবু। (ছবি: এক্স থেকে)
উদ্যান জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সেখান থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালাতে শুরু করেছে বন্যপ্রাণীরা। শুধু তাই নয়, বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৪টি প্রাণীর। পশুদের বাঁচাতে ইতিমধ্যেই ২৪টি বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। (ছবি: বিটুপান কোলোঙ, সৌজন্যে এক্স)
উদ্যান জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সেখান থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালাতে শুরু করেছে বন্যপ্রাণীরা। শুধু তাই নয়, বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৪টি প্রাণীর। পশুদের বাঁচাতে ইতিমধ্যেই ২৪টি বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। (ছবি: বিটুপান কোলোঙ, সৌজন্যে এক্স)
অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে অন্যতম। কাজিরাঙায় প্রায় ১২১টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়ছে। বর্তমানে কাজিরাঙার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে অন্যতম। কাজিরাঙায় প্রায় ১২১টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়ছে। বর্তমানে কাজিরাঙার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
 ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে একাধিক প্রাণী প্রাণ বাঁচাতে বন্যার জলে সাঁতার কাটছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের উঁচু জায়গাগুলিতে এক শৃঙ্গ গণ্ডার, মহিষ এবং মাংসাশী প্রাণীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে একাধিক প্রাণী প্রাণ বাঁচাতে বন্যার জলে সাঁতার কাটছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের উঁচু জায়গাগুলিতে এক শৃঙ্গ গণ্ডার, মহিষ এবং মাংসাশী প্রাণীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ বাহিনী পাঠিয়েছে অসম সরকার। সেই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ বাহিনী পাঠিয়েছে অসম সরকার। সেই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বন্য়ায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণীদের উদ্ধার করতে এবং পরিবেশ বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছে অসম সরকার।
বন্য়ায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণীদের উদ্ধার করতে এবং পরিবেশ বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছে অসম সরকার।

Continuous Rain: টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীর বাঁধ ভেঙে ভাসছে ডুয়ার্স

জলপাইগুড়ি: ফের জলমগ্ন ডুয়ার্স। পাহাড়ে বর্ষার টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল সমতলে। পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে ভাসছে ডুয়ার্স। চরম দুর্ভোগের মুখে জলপাইগুড়ির মানুষ।

আবহাওয়া দফতরের আগাম পূর্বাভাস অনুযায়ী গত শনিবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে সমতল ও পাহাড় জুড়ে। স্বাভাবিকভাবেই ফুঁসছে তিস্তা, করলা, জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের সব কটি পাহাড়ি নদী। এদিন লিস নদীর বাঁধ ভেঙে জলপাইগুড়ির অন্তর্গত চান্দা কলোনির বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপর্যয় মোকাবিলা টিম উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে মালবাজারেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কার্যত ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অনেকেই জাতীয় সড়কের উপর এসে দাঁড়িয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: একটানা বৃষ্টিতে বানভাসি কুমারগ্রাম, রাতের ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের

একেই নদীর গতিপথের পরিবর্তন অন্যদিকে, তিস্তার বুকে পলি জমে উঁচু হয়ে গিয়েছে নদীখাত। স্বাভাবিকভাবেই সব মিলে বিপদ সীমা ছুঁয়ে বইছে তিস্তা নদীর জল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকটি পকলিং মেসিন ও জেসিবি মেসিনের সাহায্যে চ্যানেল কেটে নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বাঁধের ভাঙা অংশে লোহার জাল ও পাথর দিয়ে দ্রুত গতিতে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বাগরাকোট অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি রাজেশ ছেত্রী জানান, নদীর গতিপথ মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। দরকার হলে আরও জেসিবি নামানো হবে।

রাতভর পাহাড় ও সমতল জুড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি চলায় পাহাড়ের লিস, ঘিস সহ বিভিন্ন নদীর মধ্য জলধারা দিয়ে সমতল অভিমুখে নেমে আসছে। এতেই লিস নদীতে জলস্ফীতি দেখা দেয়। প্রবল জলস্রোতের ধাক্কায় লিস নদীর জাতীয় সড়ক ও রেললাইনের মাঝে থাকা গাইড বাঁধের প্রায় ২০-২৫ মিটার অংশ ভেঙে মঙ্গলবার সকালে জলস্রোত ঢুকে পড়ে চান্দা কলোনিতে। জাতীয় সড়কের পাশে জল জমে সড়ক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়। অন্যদিকে, তিস্তা নদীর জলোচ্ছাসে আবারও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মাল ব্লকের টটগাঁও বস্তি।

সুরজিৎ দে

Flood Situation: একটানা বৃষ্টিতে বানভাসি কুমারগ্রাম, রাতের ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের

আলিপুরদুয়ার: জল বেড়েছে সংকোশ ও রায়ডাক নদীর। একটানা বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বৃদ্ধির পাশাপাশি বানভাসি অবস্থা কুমারগ্রামের। বন্যার আশঙ্কায় ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন এখানকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় হু হুঁ করে জল ঢুকতে শুরু করেছে।

ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলায়। নদীর জলের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে রীতিমত ভীত এলাকাবাসীরা। ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির জল এসে মিশছে এই নদীগুলোতে। যে কোনও সময় কুমারগ্রাম ব্লকে বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফেও হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: বর্ষায় আত্রেয়ীর বাঁধে ফাটল, সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন

পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা একত্রিত হয়েছেন নদীর ধারে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে প্রশাসন কড়া নজরদারি চালু করেছে বলে খবর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফ্লাড সেন্টার চালু না হওয়ায় কুমারগ্রামের মানুষ বেশ চিন্তিত। দু’রাত ধরে চোখের পাতা এক করতে পারছেন না তাঁরা। নদীর ধারেই দিন কাটছে সকলের। রান্না বন্ধ, কোন‌ওরকমে জোগাড় করা শুকনো খাবার খাচ্ছেন তাঁরা।

অনন্যা দে

Flood Situation: ভুটান পাহাড়ের জলে হড়পা বানের আশঙ্কা জয়গাঁয়

আলিপুরদুয়ার: ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির কারণে হড়পা বানে ভাসছে জয়গাঁ। এখনও জলে ডুবে রয়েছে এখানকার বহু এলাকা। ফুলেফেঁপে উঠেছে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁর নদীর জল। এখনও বৃষ্টি থামার নাম গন্ধ নেই। ফলে বিপদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে ভুটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জয়গাঁর রাইগাঁও, মঙ্গলাবাড়ি, বৈরবাড়ি, খারখোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।বাসিন্দাদের ঘরের মধ্যে জল ঢুকে যাচ্ছে। ফলে সারাদিন এলাকায় রান্না বন্ধ। বৃষ্টি একটু থামলে ঘর পরিষ্কার করতে দেখা যায় বাসিন্দাদের। রাইগাঁও, মঙ্গলাবাড়ি এলাকাটি ভুটান পাহাড় লাগোয়া হওয়াতে সেখানে প্রবেশ করেছে কাদাজল। প্রতিটি বাড়ি কাদায় ডুবে রয়েছে। বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন! কলকাতার পর এবার তারকেশ্বরে

এদিকে সকাল থেকেই বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন জয়গাঁ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল পাখরিন। কিন্তু পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ায় এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা যোগীখোলা, খারখোলা, গোবরজ্যোতি, তোর্ষা সহ বিভিন্ন ঝোরা বয়ে যায় এই এলাকা দিয়ে। বর্ষা টানা বৃষ্টিতে সবকটি নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়ঁগা স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে।সেখানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা কবলিত প্রায় ৩৫ টি পরিবার।তাদের জন্য খাবার তৈরি হচ্ছে কমিউনিটি কিচেনে।

অনন্যা দে

Torsha Erosion: তোর্ষার দাপটে ভাঙন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আধিকারিকরা

আলিপুরদুয়ার: ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি নদীতে জলস্তর ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভয়াবহ অবস্থা তোর্ষা নদীর। তোর্ষার দাপটে নদী ভাঙন সমস্যা তীব্র হয়ে উঠেছে। নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শুরু হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। কালচিনির বিডিও মিঠুন মজুমদার ও অন‍্যান‍্য সরকারি আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে দেখেন।

ভুটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁর বড় ও ছোট মেচিয়াবস্তির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে তোর্ষা নদী। বর্ষা এলেই ভয়াবহ হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গে এই নদী। ২০২১-২৩ সাল পর্যন্ত ৪০ টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল তোর্ষার জলে।তবে গবাদী পশু ও সুপরি গাছ কত যে ভেসে গিয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফের বাড়তে শুরু করেছে তোর্ষার জল। আবার তীব্র হয়ে উঠেছে ভাঙন সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকা পরিদর্শন করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: বিরাট কুসুম সিনেমা, প্রেক্ষাগৃহ আজ যেন পরিত্যক্ত ক্যানভাস

জল বাড়তেই ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্ক চোখেমুখে বাসিন্দাদের। তাঁদের কথায়, প্রচুর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। তবুও এখনও বাঁধ তৈরি হয়নি নদীতে। এভাবে চললে হয়ত গ্রামটাই থাকবে না। প্রশাসনের কর্তারা ঘুরে দেখলেন গোটা এলাকা, শুনলেন বাসিন্দাদের অভিযোগও। এলাকার একটি আইসিডিএস সেন্টারকে ফ্লাড সেন্টার করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। এই বিষয়ে বিডিও মিঠুন মজুমদার বলেন, বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললাম।ওনারা পাকা বাঁধ চাইছেন। ব্লক প্রশাসনের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। জেলাশাসক ও সেচ দফতরে এই বিষয়টি জানানো হবে। এছাড়া জল বাড়লে বাসিন্দাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে।ৎতাঁদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।

অনন্যা দে