Tag Archives: Profit

Sugarcane Cultivation: পুরনো সবকিছু ছেড়ে আখ চাষ শুরু করুন, তিনগুণ লাভ পাবেন!

উত্তর দিনাজপুর: ধান চাষ ছেড়ে আখ চাষ শুরু করতেই মালামাল হয়ে যাচ্ছেন এই এলাকার কৃষকরা! ১৫ হাজার টাকা খরচ করে চাষ করে পাচ্ছেন ৩০-৪০ হাজার টাকা। বেশিরভাগ কৃষকই আখ চাষ করে খরচের তুলনায় তিনগুণ লাভ করেছেন। এই পথ অনুসরণ করে আপনিও লাভবান হতে পারেন।

উত্তর দিনাজপুরের টাঙ্গন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আখ চাষ করে বিপুল লাভবান হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। সেই নজির অনুসরণ করে আপনিও বাড়ির অল্প জায়গায় আখের চাষ শুরু করতে পারেন। কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর অঞ্চলে টাঙ্গন নদী সংলগ্ন এলাকায় ক্রমশই বাড়ছে আখের চাষ। এই এলাকায় নদী সংলগ্ন বেলে-দোআঁশ মাটির জল ধারণের ক্ষমতা অত্যন্ত কম। তাই ধান চাষ করা যায় না। ধান চাষের বিকল্প হিসেবে লাভজনক হওয়ায় এখানে আখের চাষ বাড়ছে।

আর‌ও পড়ুন: বুদ্ধ প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন চা বলয়, বন্ধ বাগান শ্রমিকদের জন্য ‘ফাউলাই’ চালু করেছিলেন তিনিই

আখ মরশুমি ফসল হলেও এখন বাজারে সারা বছর আখের রস বা জুস বিক্রি হয়। এই জুস বিক্রেতারাই সারা বছর প্রয়োজন অনুসারে সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে পাইকারি দামে আখ কিনে নিচ্ছেন। ফলে উৎপাদিত আখ বিক্রির কোনও সমস্যা থাকছে না সারা বছর নগদ টাকার যোগান থাকে বলে রাধিকাপুর সংলগ্ন টাঙ্গন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বাড়ছে আখ চাষের প্রবণতা।

এই আখ চাষের সঙ্গে যুক্ত সন্তোষ রায় বলেন, এই আখ চাষে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ লাভ সম্ভব। তিনি জানান, এই বছর সাড়ে চার বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। এই আখের চারা কার্তিক-অঘ্রায়ণ মাসে রোপণ করেছিলেন। ৯০০ টাকা কুইন্টাল দামে এই আখ বাজারে বিক্রি করেন। একই জমিতে একবার আখ চাষ করলে তিনবার ফলন পাওয়া যায়।

পিয়া গুপ্তা

Profitable Business Ideas: কম খরচে ঘরে বসেই শুরু করুন এই ব‍্যবসা! লাভ হবে দেদার

ভারত কৃষিকাজের ক্ষেত্রে খুবই প্রসিদ্ধ। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান ও হরিয়ানার কৃষকরা সব কিছু চাষ করে থাকেন। বলে রাখা ভাল যে, এই সমস্ত এলাকায় সরষে এবং সূর্যমুখী চাষ খুব ভাল হয়।

কিন্তু কৃষকদের কাছে সঠিক তথ‍্য না থাকায়, তাঁরা তাঁদের সম্পূর্ণ শস্য বিক্রি করে দেন। আসলে ফসল ব্যবহার করে নিজের তেলের ব্যবসাও শুরু করা যায়। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন একটি সংস্থার সম্পর্কে বলব, যা তেল ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

কীভাবে তেলের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব?
এই কোম্পানির নাম হল Goyum Group। এর পরিচালক অমিত আগরওয়াল এই তেলের ব‍্যবসা সম্পর্কে বিশদে জানালেন। তাঁর কাছ থেকেই জানা গেল এই সংস্থার বয়স ৫৪ বছর। এখন তৃতীয় প্রজন্ম এটি চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান যে, কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ কিংবা তারও বেশি তেল ধারণ করে, এমন যেকোনও উদ্ভিজ্জ তৈল বীজের জন্য সম্পূর্ণ তেল মিল প্রকল্প তৈরি করে।

তিনি আরও বলেন যে, আমরা সারা ভারত এমনকী বিদেশেও সরবরাহ এবং রফতানি করি। যেমন – সরষের তেল, নারকেল তেল, সূর্যমুখী তেল, শণের বীজের তেল, নাইজার বীজের তেল, নিমের তেল, পাম কার্নেল তেল, সয়াবিন বীজের তেল, ভুট্টা বীজের তেল।

কত টাকায় তেলের ব্যবসা শুরু করা যাবে্?
অমিত আগরওয়াল জানিয়েছেন যে, কেউ যদি ছোট পরিসরে তেলের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে মাত্র ৩ লক্ষ টাকাতেই তা শুরু করতে পারবেন। আসলে এই টাকাতেই মেশিন পাওয়া যায়। এর মধ্যে দেওয়া যায় ৮০ কেজি সরষে। যা থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কেজি তেল বের হয়।

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

তিনি আরও জানান, মেশিন বসানোর পাশাপাশি উদ্যোগ পতিকে তেলের ব্যবসা থেকে শুরু করে বিনামূল্যে তা চালানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ পরামর্শ এবং পাঠ দেওয়া হবে। আর যদি কেউ নিজের তেলের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে তিনি ঘরে বসেই তা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে +91 98140 33180 এবং www.goyumgroup.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

Mixed Cultivation: এই বিশেষ পদ্ধতিতে লঙ্কা ও আদা একই জমিতে চাষ করুন, উপচে পড়বে পকেট

কোচবিহার: দুটো পয়সা বেশি লাভের আশায় গ্রামীণ মানুষজন মূলত কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে চাষ করতে না পারলে লাভের পরিমাণ কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। আর তাই বর্তমানে মিশ্র পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে লাভ পাওয়া যায় বেশি। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে একই জমিতে দু’ধরনের ফসল ফলানো যায়। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত নাটাবাড়ি এলাকার এক কৃষক এভাবেই চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন সকলকে। তিনি মাত্র সাত কাঠা জায়গায় রামধানি লঙ্কা ও আদা এই মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করছেন।

মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করে সাড়া ফেলে দেওয়া কৃষক পবিত্র বর্মন জানান, লঙ্কা ও আদা চাষের ক্ষেত্রে জলসেচের অনেকটাই দরকার পড়ে। এছাড়া জমিতে চাষ করতে হয় ভালভাবে। তবে যদি কোন‌ও কৃষক বস্তার মধ্যে এভাবে মিশ্র চাষ করেন তবে জমিতে হাল দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়া সামান্য জমিতে বেশি ফসল পাওয়া সম্ভব হবে। বর্ষার মরসুমে এভাবে চাষ করলে জল সেচ প্রয়োজন হয় না খুব একটা। এছাড়াও মাটি অনেকটাই ভাল থাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। ফলে ফসলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে চাষ করলে লাভের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়।

আর‌ও পড়ুন: কাঠের সেতুতে মরণ ফাঁদ! প্রাণ হাতে করে যাতায়াত জয়নগরে

এই এলাকায় কৃষক পবিত্র বর্মন প্রথম এই মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করছেন। তাঁকে দেখে আর‌ও অনেক কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য এগিয়ে আসছেন। তিনি এখনও পর্যন্ত জমিতে মোট ৪৮ হাজার টাকার মত খরচ করেছেন। তবে এর থেকে তিনি লাভ পাবেন লক্ষাধিক টাকারও বেশি। এছাড়া এভাবে চাষ করতে প্রয়োজন পড়ে গোবর সার ও কচুরিপানার। এই দুই জিনিস প্রয়োগ করার মাধ্যমে গাছের ফলন হয় আর‌ও একটু বেশি। তবে গাছের রোগ থেকে বাঁচতে সপ্তাহে অন্তত একবার করে কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত।

সার্থক পণ্ডিত

Paddy Cultivation: এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করে দেখুন, খরচ অনেক কমবে, বাড়বে ফলন

ধান চাষের জন্য চাষিদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাছাড়া চাষের খরচও হয় অনেকটাই বেশি। সার, চারা তৈরি, সেচের জল নিয়ে একটা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় চাষিদের।
ধান চাষের জন্য চাষিদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাছাড়া চাষের খরচও হয় অনেকটাই বেশি। সার, চারা তৈরি, সেচের জল নিয়ে একটা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় চাষিদের।
এছাড়াও চারা রোপণের জন্য ঠিকে শ্রমিক বা ক্ষেতমজুরদের বেতন দিতে গেলেও ভাল অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে যায়। আজকাল আবার নানান কারণে প্রয়োজনের সময় ক্ষেতমজুর পাওয়া যায় না। ফলে ফসল তুলতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় চাষীদের। তবে এবার আর চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। এসে গিয়েছে সহজ সমাধান।
এছাড়াও চারা রোপণের জন্য ঠিকে শ্রমিক বা ক্ষেতমজুরদের বেতন দিতে গেলেও ভাল অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে যায়। আজকাল আবার নানান কারণে প্রয়োজনের সময় ক্ষেতমজুর পাওয়া যায় না। ফলে ফসল তুলতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় চাষীদের। তবে এবার আর চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। এসে গিয়েছে সহজ সমাধান।
ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে সহজেই করতে পারবেন ধান চাষ। এতে ফলন হবে যেমন বেশি তেমনই ধান চাষের খরচও কমবে। কিন্তু কী এই ড্রাম সিডার পদ্ধতি? কীভাবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে সহজেই করতে পারবেন ধান চাষ। এতে ফলন হবে যেমন বেশি তেমনই ধান চাষের খরচও কমবে। কিন্তু কী এই ড্রাম সিডার পদ্ধতি? কীভাবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-১ ব্লক বীজ খামারের কর্মচারী হেমন্ত দাস জানান, বীজ প্রথমে জলে ভিজিয়ে নিতে হয়, তারপর সেখান থেকে অল্প অঙ্কুর বের হলে সেটাকে শোধন করে নিতে হয়। সেই বীজ ড্রাম সিডারের ড্রামের মধ্যে রাখতে হয়। তারপর চাকাযুক্ত ড্রাম সিডার মেশিন জমির মধ্যে দিয়ে লাইন বরাবর টানলে, সেখান থেকে সমানভাবে বীজ পড়তে থাকে। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাছ তৈরি হয়। সাধারণ পদ্ধতির থেকে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেক সুবিধাজনক। এতে সময় অনেকটা কম লাগে।
এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-১ ব্লক বীজ খামারের কর্মচারী হেমন্ত দাস জানান, বীজ প্রথমে জলে ভিজিয়ে নিতে হয়, তারপর সেখান থেকে অল্প অঙ্কুর বের হলে সেটাকে শোধন করে নিতে হয়। সেই বীজ ড্রাম সিডারের ড্রামের মধ্যে রাখতে হয়। তারপর চাকাযুক্ত ড্রাম সিডার মেশিন জমির মধ্যে দিয়ে লাইন বরাবর টানলে, সেখান থেকে সমানভাবে বীজ পড়তে থাকে। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাছ তৈরি হয়। সাধারণ পদ্ধতির থেকে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেক সুবিধাজনক। এতে সময় অনেকটা কম লাগে।
আউশগ্রাম-১ ব্লকের বীজ খামারে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে লেবার খরচ অনেকটা কমে যায়। এছাড়াও অনেকে তাড়াতাড়ি বীজ রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে। রোগ-পোকার আক্রমণ কম থাকার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে চাষ করলে জল কম লাগে। স্বভাবতই জলের খরচ বাবদ অনেকটা টাকাই বেঁচে যাবে চাষিদের।
আউশগ্রাম-১ ব্লকের বীজ খামারে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে লেবার খরচ অনেকটা কমে যায়। এছাড়াও অনেকে তাড়াতাড়ি বীজ রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে। রোগ-পোকার আক্রমণ কম থাকার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে চাষ করলে জল কম লাগে। স্বভাবতই জলের খরচ বাবদ অনেকটা টাকাই বেঁচে যাবে চাষিদের।

East Bardhaman News:৭৫ বছর বয়সে একমাত্র এই ফল চাষ করে লাভ করছেন বৃদ্ধ! জলও লাগে না

পূর্ব বর্ধমান: গোলাপি রঙের খাঁজকাটা আকৃতি, অনেকটা হৃৎপিণ্ডের মতো দেখতে। কয়েকবছর আগেও সকলের কাছে অপরিচিত ছিল এই ফল। ইদানীং ঘরে ঘরে জনপ্রিয় ড্রাগন ফ্রুট। স্থানীয় বাজারে এখন এই ফল বিক্রিও হচ্ছে দেদার। চাহিদা বাড়তে বর্তমানে অনেকেই ড্রাগন ফ্রুটের চাষও শুরু করেছেন। সেরকমই পূর্ব বর্ধমানেও ড্রাগন ফ্রুট চাষ করতে দেখা গেল ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধকে। কেতুগ্রাম ১ ব্লকের পালিটা গ্রামের বাসিন্দা উদয়ন ঘোষ। ড্রাগন ফ্রুট চাষ করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন তিনি।

এই বয়সে এসে কী ভাবে পেলেন অনুপ্রেরণা? কী ভাবে শুরু করলেন ড্রাগন ফলের চাষ? উদয়ন বলেন, “কৃষি দফতর থেকে গ্রুপের মাধ্যমে একটা ড্রাগন ফ্রুটের বাগান করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তার পর কৃষি দফতর থেকেই আমাকে এই চাষ করার জন্য বলা হয়।” শুরুতে রাজি হননি উদয়ন। পরে লাভের কথা ভেবেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হন। তাঁর কথায়, “যে জায়গায় চাষ করা হয় না, সেই জায়গাতেও এই চাষ করলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে।”

আরও পড়ুন: বারে খানাপিনার বিল ১৮হাজার ৭৩০টাকা! বিএমডবলু কাণ্ডে নয়া মোড়

প্রায় তিন বছর ধরে ড্রাগন ফলের চাষ করছেন উদয়ন। জানান, শুরুতে টাকা লাগলেও পরবর্তী সময়ে কোনও খরচ নেই। স্বল্প পরিশ্রমে এই চাষ করে বছরে ভাল টাকা উপার্জন করা সম্ভব বলে তিনি জানিয়েছেন। বাড়ি সংলগ্ন এক ফালি জমিতে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করেছেন উদয়ন। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে এখনও গাছের পরিচর্যাকরা এই বয়সে সবটাই একা হাতে সামলান তিনি।

আত্মা প্রকল্পের আওতায় ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করছেন বলে জানান। চাষ করে ইতিমধ্যেই ভাল ফলন হয়েছে তাঁর। বাজারে সেই ফল বিক্রি করে বেশ কিছু টাকা উপার্জনও করেছেন উদয়ন।

খরচ কেমন? উদয়ন জানান, ১০ কাঠা জমিতে প্রথমে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। এর পর আর বিশেষ খরচ নেই। শুধু জৈব সার ও কীটনাশক দিতে হয়। তাতেই প্রতি বছর ১০ কাঠা জমি চাষে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব বলে জানান। এমনকি জলও বেশি লাগে না। পরিচর্যার সেরকম কিছু নেই। কাঁটা জাতীয় গাছ বলে ছাগল, গরুর উপদ্রবও কম।

কৃষি দফতরের সাহায্য পেলে আরও বড় আকারে এই চাষ করার ইচ্ছে রয়েছে উদয়নের। ইদানীং গ্রামের অনেকেই উদয়নের কাছে ড্রাগন ফ্রুট চাষের জন্য পরামর্শ নিতে আসেন। কারণ, অন্যান্য চাষের থেকে এই চাষ বেশি লাভজনক, এমনটাই মনে করেন উদয়ন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Fish Farming: বর্ষায় এই মাছের চাষ করে সহজেই মালামাল হয়ে যান!

কোচবিহার: উত্তরবঙ্গে বর্ষার মরশুম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে বিভিন্ন চাষের জমির মধ্যে জল জমে রয়েছে অনেকটাই। এই সময় অন্যান্য ধারাবাহিক চাষের পাশাপাশি উপার্জন বাড়াতে এই বিশেষ চাষ করে দেখতে পারেন। এতে সহজেই আপনার লাভ হবে অনেকটাই।

এই বিশেষ চাষে সময় লাগে অনেকটাই কম। তবে খরচ তুলনামূলকভাবে একটু বেশি পড়ে। কিন্তু ঠিকঠাকভাবে সবটা করতে পারলে লাভ পাওয়া যায় দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে কৃষকেরা নিজেদের আয় বাড়াতে এই বিশেষ চাষ করতে পারেন। পতিত জমি কিংবা তলা জমিকে এই চাষের জন্য তৈরি করে নিলেই হবে। কোচবিহার জেলায় ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই বিশেষ চাষ।

আর‌ও পড়ুন: যেতে দেব না! আবদার নিয়ে শিক্ষককে ঘিরে ধরলেন পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা, তারপর যা হল….

দীর্ঘ সময় ধরে এই চাষ করে লাভবান হ‌ওয়া বাপি দত্ত জানান, তিনি বহুদিন ধরে মাছের হ্যাচারি ও মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত। এর থেকে প্রতিবছর বেশ ভাল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে পারেন। চারা পোনা বিক্রি করা থেকে শুরু করে বড় মাছ বিক্রি করা পর্যন্ত সবেতেই লাভ থাকে। এক একটি চারা পোনা বিক্রি করা হয় তিন থেকে চার টাকা দামে। আর সেই মাছ বড় হয়ে গেলে এক একটি মাছ বিক্রি করা হয় আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ টাকা দামে। কিছু ক্ষেত্রে সেই দাম আরও বাড়ে। ফলে খুব সহজেই এই চাষ করা অত্যন্ত লাভজনক।

বর্তমানে কোচবিহার জেলার বহু কৃষক ও সাধারণ ব্যক্তি এই চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আগামী দিনে এই চাষের কদর আরও অনেকটাই বেড়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সার্থক পণ্ডিত

Ivy Gourd Cultivation: একসময়ের অবহেলিত কুদরি ফল ভাগ্য ফেরাচ্ছে বহু কৃষকের

উত্তর ২৪ পরগনা: বেশ কিছুদিন হল ধীরে ধীরে বাংলার কৃষক সমাজ চিরাচরিত ধ্যান-ধারণা ছেড়ে ক্রমশ বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছে। এর একটাই কারণ অতিরিক্ত মুনাফা লাভ করা। কারণ গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে ধান, পাটের মত চিরাচরিত ফসল উৎপাদন করে সেভাবে লাভ হচ্ছে না। বরং অনেক সময় ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ফসল, সবজি চাষ অনেক কৃষকের ভাগ্য খুলে দিয়েছে।

বিকল্প চাষের অন্যতম একটি উদাহরণ হল কুদরি ফল চাষ। এক সময় বাড়ির পাশে কিংবা বাগানে অবহেলায় বেড়ে উঠত এই কুদরি ফল। সেটাই এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বসিরহাটের বাদুড়িয়ায়। কুদরি ফল আদতে দেখতে অনেকটা পটলের মত, কিন্তু আকারে বেশ ছোট হয় এই সবজি। একসময় গৃহস্থ বাড়ির বেড়া, বাগান কিংবা ছাদের কার্নিসে অনাদরে বেড়া উঠত এই ফলের গাছ। কিন্তু বর্তমানে বাজারে কদর বেড়েচে এই উপকারী সবজির।

আরও পড়ুন: যোগীর রাজ্যে দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু, ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেহ পাঠিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশ!

কুদরি ফলে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি এবং বিটা ক্যারোটিন থাকাই চিকিৎসকরা নিয়মিত এই ফল বা সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি পরিপাকে সহায়তা করে, এটি রক্ত প্রবাহ পরিষ্কার করতেও সহায়তা করতে পারে। এর ডি টক্সিফিকেশন এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী ক্ষমতাও রয়েছে। তবে আগে উত্তর ২৪ পরগনায় কুদরি ফল চাষের তেমন চল ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা জুড়ে বদলেছে চাষের ধরণ। বসিরহাটের বাদুড়িয়া এলাকার একাধিক কৃষক প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে কুদরি চাষ করেছেন। এতে লাভও হচ্ছে বেশি।

জুলফিকার মোল্যা

Vegetable Cultivation: ঋতুভিত্তিক ধান, পাট ছেড়ে সবজি চাষে মেতেছেন কৃষকরা

উত্তর ২৪ পরগনা: চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক ধান, পাট চাষে লাভের পরিমাণ কমছে। তাই এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সংসার খরচ সামলাতে চিরাচরিত চাষ ছেড়ে সবজি চাষে জোর দিচ্ছেন বাদুড়িয়ার কৃষকরা।

গতানুগতিক চাষ করে এখন বাজার উপযোগী আয় করা ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়ছে কৃষকদের কাছে। পরিবর্তে মরশুমি সবজি চাষে আয় আছে ভাল। আর সেই বিষয়টাই আকৃষ্ট করছে একের পর এক কৃষককে। অল্প পরিশ্রম ও স্বল্প সময়ে অনেক বেশি দিন ধরে ফলন ও লাভের আশায় এবার চাষিরা চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষ প্রথা ছেড়ে সবজি চাষে জোর দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: দেবকে টেক্কা দিতে হিরণের পাশে শাহ, থাকল বিশাল মালার চমক

যদিও আগে চিরাচরিত নিয়ম মেনে শীতের সময় সবজি চাষ বেশি হত। তবে এবার বিশেষ বিশেষ প্রকারভেদে সবজির জলবায়ু অনুযায়ী সারা বছরই চাষ হচ্ছে। ফলে বাজারে এবার সবজির জোগান পাওয়া যাচ্ছে সারা বছর। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়া বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে সবজি চাষ শুরু করেছেন।

এখানে মাঠে গেলে দেখা যাবে সবুজ ঘেরা শ্যামল ক্ষেতে ঝিঙে, উচ্ছে, বেগুন, পটল, করলা সহ একাধিক সবজি চাষ হচ্ছে। মাঠে সবুজ অবায়বে ভরপুর সবজির ক্ষেত। গাছে ঝুলে আছে থোকা থোকা একাধিক সবজি। আর তা দেখে মুখে চওড়া হাসি কৃষকদের। দিনের পর দিন এভাবেই সবজি চাষের চাহিদা ক্রমশই বেড়ে চলেছে।

জুলফিকার মোল্যা

Muskmelon Cultivation: গরমে এই ফল চাষ করলে লাভের টাকায় উপচে পড়বে পকেট

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এখন সেভাবে দেখা যায় না এই ফল। তবে আগেকার দিনের মানুষের এই ফল ছিল খুব পছন্দের। এটি হল ফুটি। সাধারণ যেকোনও জমিতেই চাষ করা যায় ফুটি। সাধারণত বেশ বড় আকারের হয়। কাঁচা ফুটি সবুজ হয়, পাকলে হলুদ রঙের হয়। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ফল ফেটে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

ফুটির বাইরের দিকটা দেখতে অনেকটাই কুমড়োর মত হালকা ডোরাকাটা হয়। খেতে তেমন মিষ্টি নয়। তবে আগেকারদিনে মানুষরা গুড় বা বাতাসা দিয়ে এই ফুটি খেত। কিন্তু এখন আর সেভাবে জমিতে চাষ হতে দেখা যায় না ফুটি। তবে এবার সুন্দরবনে এই ধরনের ফল চাষ হতে দেখা যাচ্ছে। এবং কৃষকরা ভাল মুনাফাও করছেন। কারণ এই ফল খেলে নানান উপকার‌ও হয়।

আরও পড়ুন: পর্যটক টানতে বড় সিদ্ধান্ত এই পুরসভার, থাকবে বোটিং-এর ব্যবস্থা

ফুটি কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া যায়। তার পাশাপাশি এই ফল হজম শক্তি বাড়ায়। মিষ্টি কম থাকায় ডাইবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও এই ফল খেতে পারেন। এইটা সাধারণত শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ুতে উর্বর দোআঁশ ও পলি মাটিতে ভাল চাষ হয়। আপনি যদি ফুটি চাষ করতে চান তবে এর জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হল ফেব্রুয়ারি মাস। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বীজ রোপণ করতে হবে। এতে খুব একটা সারের প্রয়োজন পড়ে না। তবে ভাল ফলন ও গাছের পোকা রোধ করার জন্য রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। এবং ফল জন্মানোর পর যাতে ফল পচে না যায় যার জন্য জমিতে ফলের নিচে খড় বিছিয়ে দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ফল এক কেজি থেকে দু কেজি, এমনকি আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই ফল অনেক সময় ফেটে যায়। সেটা রোধ করতে গেলে জমিতে নিয়মিত পরিমাণ মত জল দিতে হবে। তাতে ফাটার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।

সুমন সাহা

Peanut Cultivation: আলু-ধান-পাট ছেড়ে চিনা বাদামের চাষ, পকেট উপচে পড়ছে চাষিদের

হুগলি: চিরাচরিত ধান, পাট চাষ করে অনেক সময় আকাঙ্ক্ষিত লাভ পাচ্ছেন না কৃষকরা। সেখানে এই জিনিসের চাষ নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে কৃষি প্রধান আরামবাগের চাষিদের। এখানের কৃষকরা আলু, ধান বা পাট নয় বরং চিনা বাদাম চাষ করে লক্ষ্মী লাভের আশায় বুক বাঁধছেন।

প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে বাদাম চাষকে বেছে নিতে শুরু করেছেন হুগলির আরামবাগের চাষিরা। আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এখন চিনা বাদামের চাষ হচ্ছে। চৈত্র মাস থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত এই চাষ হয়। গোঘাটের বালি দেওয়ানগঞ্জ, পুড়শুরা, খানাকুল এলাকা বন্যা কবলিত বলে পরিচিত। বন্যার কারণে জমিতে চাষ করলেও ফসল অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। সেই ক্ষতি থেকে রেহাই পেতে এবার বাদাম চাষ করছেন চাষিরা। বিঘার পর বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়ে ব্যাপক লাভের মুখ দেখছে তাঁরা। চাষিরা জানান, গোঘাটের বালি দেওয়ানগঞ্জ সহ খানাকুল, পুড়শুরা এলাকা অনেকটাই নিচু। বন্যার সময় কিছু এলাকা অনেকটাই জলে ডুবে থাকে। যার ফলে আলু চাষের পরে ধান চাষ ও তিল চাষ সে পরিমাণে হয় না। পাশাপাশি বালি দেওয়ানগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা বালি মাটি। এই বালি মাটিতে বাদাম চাষ ভাল হয়।

আর‌ও পড়ুন: বিয়ে বাড়ির ভোজ রইল পড়ে, মারামারি করে হাসপাতালে কনে ও পাত্রপক্ষের লোকেরা!

গত কয়েক বছর ধরে আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চিনা বাদামের চাষ শুরু হয়েছে। তাই আলু চাষের পরে অন্য ফসল চাষের পরিবর্তে বাদাম চাষ করে লাভের মুখ দেখাছেন চাষিরা। চাষিরা জানাচ্ছেন, আসতে আসতে বাদামের চাহিদা বাড়ছে বাজারে। কম খরচে বেশি লাভ পাচ্ছেন। বাদাম থেকে তেল উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি হয়। মূলত বৃষ্টির জলের সমস্যার কারণে এখন বাদাম চাষের উপর নির্ভর করছে চাষিরা । তিন মাস পর বাদাম চাষের ফল পাওয়া যায়। বাদাম একদিকে বাড়িতে খাবার কাজে লাগে এবং বাজারে বিক্রি করাও হয়।

রাহী হালদার