Tag Archives: South 24 Parganas

চৈত্র শেষে গাজন উৎসবে মেতেছে গোটা জেলা! রইল ভিডিও

চৈত্রের সংক্রান্তিতে গাজন উৎসবে মাতেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন এলাকার মানুষ রা গ্রাম বাংলার আজও সংক্রান্তিতে গাজন ও চড়ক উৎসব এর সঙ্গে জড়িত বহু প্রাচীন ইতিহাস।

South 24 Parganas News: শুরু স্নানযোগ, কাশীনগরের পরশকুণ্ডে পুণ্য স‍ঞ্চয়ে ভিড় হাজার হাজার পুণ্যার্থীর

নবাব মল্লিক, রায়দিঘি: কাশীনগরের পরশকুণ্ডে স্নান উপলক্ষে ভিড় জমালেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। প্রতি বছরের মতো এ বছরও এই স্নানযোগ শুরু হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখনও ৮০ হাজার পুণ্যার্থী স্নান করেছেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই পুকুরে স্নান করলে পুণ্য অর্জন হয়। মূলত মনের একাধিক ইচ্ছা পূরণ করতে মনের আনন্দে ডুব দেন তাঁরা। এই পুকুরটিকে বলা হয় পরশকুণ্ড। সন্তানহীন অনেক দম্পতি আসেন এই পুকুরে স্নান করতে।

আরও পড়ুন : কখনও মন্দিরে পুজো, কখনও ময়দানে জমিয়ে ফুটবল! ভোটের প্রচারে রঙিন দিলীপ ঘোষ

স্থানীয়দের দাবি, কাশীনগর এলাকা খুবই পবিত্র। এখানে এই পুকুরে স্নান করতে প্রবল বিশ্বাসে দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এখনও আসেন। স্থানীয়দের কাছে এই পুকুরের নাম পরশকুণ্ড। অত্যন্ত পবিত্র এই পুকুরের জল সংগ্রহ করে অনেকেই নিয়ে যান বাড়িতে। একসময় এই পুকুরের জলকে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করতেন স্থানীয়রা। তবে বর্তমানে এলাকায় নলকূপ স্থাপিত হওয়ায় এই জলকে আর পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা হয়না। কিন্তু পবিত্র জল হিসাবে এই পুকুরের জল সংগ্রহ করে বাড়িতে রাখেন অনেকেই। বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এই বিশ্বাসে অনেকেই সংগ্রহ করেন এই জল।

South 24 Parganas News: বাঘের ডেরায় মধু সংগ্রহ, একই পোশাক ও টুপি কেন দেওয়া হয় মৌলেদের! জানলে চমকে যাবেন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঘের ডেরাই মধু সংগ্রহ করবে মৌলেরা। জলদস্যু থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে বনদফতর। আর এবার সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি ও বসিরহাট রেঞ্জ থেকে মধু সংগ্রহের অনুমতি পত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। অনুমতি পত্রের পাশাপাশি মধু সংগ্রহের সরঞ্জাম হিসেবে মুখোশ, গামছা, মধু সংগ্রহের বিশেষ টুপি, জার্সি, গ্লাভস-সহ নানা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে।

সূত্রের খবর, মুখোশ এবং এই বিশেষ টুপি যা মৌলেদের জীবন বাঁচাতে অনেকটাই কাজে লাগবে। কারণ এই মৌলেরা মধু সংগ্রহ করতে করতে যখনই গভীর জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে যাবে তখন যদি এই পিছনে মুখোশ থাকে তাহলে হয়তো বাঘ ভাববে তার দিকেই তাকিয়ে আছে এবং বাঘের হানার আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকে। তার পাশাপাশি এই বিশেষ টুপি এবং জার্সি যা মৌলেদের জঙ্গলের মধ্যে তাদেরকে যদি কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাহলে এই জার্সি দেখে এক নিমেষেই চিনে যেতে পারবে, অন্যান্য মৌলেরা।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত সজনেখালি ও বসিরহাট দুটি রেঞ্জেই আনুমানিক ছ’শো মৌলে মধু সংগ্রহ অভিযানে নামবেন। তবে মধু সংগ্রহের সময় এলে সুন্দরবনে বাংলাদেশী জলদস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায় প্রতিবছরই। জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করে নিয়ে আসার সময় মৌলেদের নৌকায় হানা দেয় তারা। মধু-সহ যাবতীয় সামগ্রী লুটের ঘটনাও ঘটেছে ফি বছর। আর বাংলাদেশী জলদস্যুদের হাত থেকে মৌলেদের বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প।

সুন্দরবনের নদী খাঁড়িতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন বন দফতর। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সুন্দরবনে ঢোকার সমস্ত পথেই নজরদারি চালানো হচ্ছে। বন দফতরের এই উদ্যোগে খুশি মৌলেরা। গত বছর থেকে নজরদারি বাড়িয়েছে বন দফতর। আর এবার আরও বেশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সুমন সাহা

লোকসভার ভোটের আগে ভাইরাল বাউলের কাণ্ড! দেখুন ভিডিও

নির্বাচন কমিশনার তরফ থেকে এ রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে শেষ দফাতে হবে ভোট অর্থাৎ আগামী ১ জুন সপ্তম দফায় জয়নগর এসসি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হবে। এবার ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য অবাক কাণ্ড বাউলের।

South 24 Parganas News : ‌যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে মঞ্চে নামলেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান

জয়নগর: হারিয়ে ‌যাওয়া যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা চেষ্টা জয়নগরে।জয়নগর শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে যাত্রা শিল্পী সমন্বয়ের পরিচালনায় হয়ে গেল নটী বিনোদিনী যাত্রা পালার মধ্য দিয়ে। এদিনের যাত্রাপালার শুভ সূচনা করেন জয়নগরের স্থানীয় বিধায়ক।

সারা রাজ্যেই লোক শিল্পীদের উৎসাহিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ তারই রেশ ধরে রাখতে যাতে যাত্রাপালা হারিয়ে না যায় সেই কথা মাথায় রেখে জয়নগর যাত্রাশিল্পী সমন্বয় এবার মঞ্চস্থ করল নটী বিনোদিনী যাত্রা পালা। জয়নগর এলাকার শিল্পীদের নিয়ে এই নটী বিনোদিনী যাত্রা পালা মঞ্চস্থ হল জয়নগর শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে।

আরও পড়ুন: দিল্লি হাইকোর্টে জোর ধাক্কা, জেলেই থাকছেন কেজরিওয়াল! রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও খারিজ

বহুকাল পর এলাকার মানুষ ভাল একটি যাত্রাপালা উপভোগ করলেন। তার উপর এলাকার ভাইস চেয়ারম্যান অভিনয় দেখে সকলেই মুগ্ধ হয়ে যান। এই যাত্রাপালাটি পরিচালনা করেন বিপুল বরণ হালদার। নটী বিনোদিনী যাত্রা পালা ঠাকুর রামকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করছেন শেখর চক্রবর্তী৷

এই যাত্রাপালায় কুমার বাহাদুরের চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রথিন মণ্ডল । জয়নগর যাত্রা শিল্পী সমন্বয়কে সাধুবাদ জানিয়ে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন , যাত্রাশিল্প প্রায় অবলুপ্তির পথে৷ তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে। জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের এই অভিনব উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।প্রতিবেশী শিল্পীদের অভিনয় দেখতে এদিন শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে দর্শক আসন সংখ্যা ছিল পরিপূর্ণ।

সুমন সাহা

Traditional Puja: বসেছে জমজমাট মেলা, নামখানায় ‘কাঁকড়াবুড়ির পুজো’ উপলক্ষে ৫০ হাজার পুণ্যার্থীর সমাগম

নবাব মল্লিক, নামখানা: নামখানার ঐতিহ্যবাহী পুজো হল কাঁকড়াবুড়ির পুজো। প্রতি বছর এই পুজো উপলক্ষে এলাকায় উৎসবের আমেজ দেখা দেয়। এক সপ্তাহ ধরে চলে মেলা। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে নামখানার শিবনগর আবাদে শুরু হয় এই পুজো। এলাকায় তখন বসন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। সেই রোগের হাত থেকে বাঁচতে মেদিনীপুর থেকে আসা এক তান্ত্রিক পুরোহিতের কথা অনুসারে শুরু হয়েছিল পুজো। আসলে কাঁকড়া বুড়ি আর কেউ নন, দেবা শীতলা।

কথিত, এই পুজোর প্রথম বর্ষে যখন ঘটোত্তোলন করা হচ্ছিল তখন আকাশে দেখা দিয়েছিল শঙ্খচিল, ঘটে বসেছিল কাঁকড়া। সেই থেকেই এই দেবীর এই রকম নাম হয়। সেই প্রথা পালন করা  হয় এখনও।  স্থানীয়দের দাবি, এখনও পুজোর ঘটোত্তোলনের সময় আসে কাঁকড়া। এই মন্দিরে এখনও ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয় কাঁকড়াভোগ। এলাকার মানুষজনের কাছে এই কাঁকড়াবুড়ি খুবই জাগ্রত দেবী।

আরও পড়ুন : যতই ভাল লাগুক, ভুলেও মুগডাল খাবেন না এঁরা! জানুন কারা মুগডাল খেলেই সর্বনাশ! হবে বড় বিপদ

বর্তমানে এই পুজো উপলক্ষে মেলা বসে। প্রায় এক সপ্তাহ জুড়ে চলে মেলা। এ বছর প্রায় ৭০০-র বেশি দোকান ও প্রায় পঞ্চাশ হাজার পুণ্যার্থী এখানে এসেছেন। বর্তমানে নামখানা নয়, এই কাঁকড়াবুড়ির পরিচিতি ছড়িয়েছে জেলার অন্যান্য জায়গাতেও। তাহলে আর দেরি কিসের! ঘুরে আসুন নামখানার এই মন্দির থেকে।

South 24 Parganas News: মত্ত অবস্থায় বড় তাণ্ডব, কাঠগোলায় ধরল দাউদাউ করে আগুন, সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল

দক্ষিণ ২৪ পরগণা : মধ্যরাতে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল জয়নগরের একটি কাঠের গোলা। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় এলাকারই কয়েকজন যুবক আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়েই সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জয়নগর থানার পুলিশ এবং ঘটনা তদন্ত শুরু করে।

জয়নগর থানার অন্তর্গত হরিনারায়নপুর অঞ্চলের রামচন্দ্রপুর পাঁচঘড়া গ্রামের বাসিন্দা অশোক নস্করের কাঠের গোলা ভোর তিনটে নাগাদ দাউদাউ করে জ্বলতে দেখে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে ওই গোলার মালিকদের খবর দিলে এলাকার মানুষের প্রচেষ্টায় দীর্ঘক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কাঠের গোলায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় যে এলাকারই কয়েকজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় পরিকল্পনা করেই কাঠের গোলায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে এই ঘটনাস্থলে পৌঁছে জয়নগর থানার পুলিশ এবং আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে। তবে কাঠের গোলার মালিক অশোক নস্কর হরিনারায়নপুর অঞ্চলের বানেশ্বরপুর গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি হওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। প্রশ্ন উঠছে নির্বাচনের আগে বিরোধী দল আগুন লাগিয়ে দিল না তো ? যদিও জয়নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষী ব্যক্তিদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সুমন সাহা

Offbeat News: হাতের আঙুলেই বাঁশির সুর, তবুও যুবকের অনটনের সংসার চলে তাঁর দিনমজুরিতে

সুমন সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : ছোট্ট আঙুল দিয়ে কেউ কি বাঁশি বাজাতে পারে? শুনলে হয়তো আপনি বিশ্বাস করবেন না। হ্যাঁ, এমনই এক যুবক মুখের মধ্যে হাতের একটা ছোট্ট আঙুল রেখে হিন্দি বাংলা বিভিন্ন ধরনের গানের সুর তুলে আঙুলের সাহায্যে তিনি বাঁশি বাজান।

সেই ছোট্টবেলা থেকেই অভাবের সংসার। তেমনভাবে পড়াশোনাও করতে পারেননি। খুব অল্প বয়সেই অভাবে তাড়নায় বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি পাড়ার যেকোনও মোড়ে মুখের মধ্যে আঙুল দিয়ে এভাবেই বিভিন্ন ধরনের গানের সুর তুলে ফেলেন। তবে যদি কেউ দূর থেকে ওর এই বাঁশির সুর শোনেন, মনে হবে যেন কেউ বাঁশি বাজাচ্ছে। তবে কাছে গেলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে। আপনাকে দেখলে মনে হবে তাঁর কি আঙুলের মধ্যে কোনও বাঁশি আছে তাহলে কীভাবে সুর তুলছে?

আরও পড়ুন : মাত্র ৩০ টাকায় বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন ১০০ টি ফুচকা! রইল সহজ রেসিপি

তবে শুধু হয়তো এই অভাবের জন্য তার এই প্রতিভা খ্যাতি অর্জন করতে পারলেন না। এখন পেশায় জনমজুরি কাজ করে। প্রতিদিন সকালে বার হন আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে। যেই ক’টা টাকা আয় করে তা দিয়েই তাঁর সংসার চালান। যেদিন কাজে না যান এলাকার মানুষ তাঁকে বার বার অনুরোধ করেন একটু গান শোনানোর জন্য। তবে গান শোনালে তাঁকে হয়তো কেউ পয়সা দেন না। কিন্তু ওই যুবক  চা খেতেই পেলেই খুশি। যদি হয়তো কারওর নজরে আসত, আজকের তাঁর এই প্রতিভা ঠিক জায়গায় তুলে ধরা যেত। তাহলে হয়তো তাঁকে এই জনমজুরি কাজ করে খেতে হত না। কিন্তু সে কথা অতীত। তাঁর এই প্রতিভা কোনওভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এভাবেই বাকি জীবন জনমজুরি কাজ করে কাটিয়ে দেবেন, বলেছেন ওই যুবক।

South 24 Parganas: কয়েক মিনিটের ঝড়ে তছনছ সুন্দরবনের এই গ্রাম! দেখুন ভিডিও

খানিকটা স্বস্তি দিয়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায়। আর সেই ঝড়ের তাণ্ডবেই বাড়ির চাল উড়ে যাওয়া থেকে গাছ পড়ে যাওয়া সবই ঘটেছে। পুরোপুরি তোলপাড় হয়ে যায়।

Old Rituals: বাবা পঞ্চাননের আশীর্বাদে মনস্কামনা পূরণে মাথায় মালসা রেখে ধুনো পোড়ান ভক্তরা

সুমন সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গা পূজা, কালী পুজো , লক্ষ্মীপুজো এই ধরনের পুজো আমরা জানি তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম এক লৌকিক দেবতা হলেন বাবা পঞ্চানন। আর এই পঞ্চানন বাৎসরিক পুজোতে মানুষের মানত পূর্ণ করতে মাথার উপর মালসা দিয়ে ধুলো পুড়িয়ে দেবতাকে নিবেদন করেন বিভিন্ন ভক্তরা।

কেনই বা এই ধুলো পোড়ানো বা এই ধুনো কি? ধুনো শব্দের অর্থ গন্ধ দ্রব্য বিশেষ যা শালগাছের নির্যাস। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সমকালীন, জনপ্রিয় বনেদি বাড়ির পুজো জলেশ্বরীর পুজো প্রসঙ্গ এলেই ‘ধুনো পোড়া’-র কথা শোনা যায়। এই পুজোর ঐতিহ্যে এক বিশেষ আকর্ষণ ‘ধুনো পোড়া’। ভক্তরা বাবা পঞ্চাননের কাছে মানত করেন ধুনো দেওয়ার, আর মানত পূরণ হলে দেবীকে ধুনো অর্পণ করেন।

আরও পড়ুন : বিধিনিষেধ পেরিয়ে বৈদিক রীতি মেনে উপনয়নে পৈতে পরল ছকভাঙা চিকিৎসক দম্পতির মেয়ে

ভক্তদের মানত পূরণ হলে তাঁরা সরা নিয়ে বসেন বাবা পঞ্চাননের সামনে। এই সরায় আগুনে দেওয়া হয় ধুনো। ধুনোর আগুন যত উঁচুতে ওঠে, ততই শুভ বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর এই ধুনো পোড়া স্বচক্ষে দেখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে এই বাবা পঞ্চাননের মন্দিরে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই পঞ্চানন বাস্তু দেবতা বলে প্রচলন আছে। মহিলারা ধুনো পোড়া প্রথা পালন করতে – দু হাতে দুটি সরা ও মাথায় একটি মালসা, কূল কাঁটায় আগুন জ্বেলে তাতে ধুনো দিতে থাকেন ব্রাহ্মণ। পুরোহিত বা ব্রাহ্মণ ধুনো পোড়া অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি করেন একটি মালসা ও দুটি সরায় কুল কাঁটার ছোট ছোট টুকরো ভর্তি করে। এভাবেই আজও এই মানত পূরণের কথা চলে আসছে।