Tag Archives: Sports

Lost Game of Childhood: হারিয়ে ‌যাচ্ছে প্রাচীন এই খেলা, স্মৃতির সরণী বেয়ে বেঁচে থাকবে ছবিতেই

বর্তমানের আধুনিকতার যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার বেশ কিছু প্রাচীন খেলা। কারণ এখন ছোট থেকেই ছেলেমেয়েরা আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল ফোনের প্রতি। ৯০ এর দশক পর্যন্ত এই খেলার দেখা মিললেও বর্তমান সময়ে বাচ্চারা জানেই না এই প্রাচীন খেলা।
বর্তমানের আধুনিকতার যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার বেশ কিছু প্রাচীন খেলা। কারণ এখন ছোট থেকেই ছেলেমেয়েরা আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল ফোনের প্রতি। ৯০ এর দশক পর্যন্ত এই খেলার দেখা মিললেও বর্তমান সময়ে বাচ্চারা জানেই না এই প্রাচীন খেলা।
সবার প্রথমে যে খেলার কথা মনে পড়ে তার নাম চু- কিত কীত বা এক্কা দোক্কা, মূলত এটি মেয়েদের পছন্দের খেলা। এই খেলার খেলার উপকরণ বলতে মাটির ভাঙ্গা হাড়ি বা কলসির টুকরা দিয়ে তৈরি চাড়া বা ঘুটি। পর্যায়ক্রমে এক এক করে প্রতিটি ঘরে চাড়া ছুঁড়ে ফেলতে হয়। তারপর এক পায়ে লাফ দিয়ে দাগে পায়ের স্পর্শ এড়িয়ে ঐ চাড়া পায়ের আঙ্গুলের টোকার সাহায্যে ঐ ঘর থেকে বের করে বাইরে আনতে হয়।
সবার প্রথমে যে খেলার কথা মনে পড়ে তার নাম চু- কিত কীত বা এক্কা দোক্কা, মূলত এটি মেয়েদের পছন্দের খেলা। এই খেলার খেলার উপকরণ বলতে মাটির ভাঙ্গা হাড়ি বা কলসির টুকরা দিয়ে তৈরি চাড়া বা ঘুটি। পর্যায়ক্রমে এক এক করে প্রতিটি ঘরে চাড়া ছুঁড়ে ফেলতে হয়। তারপর এক পায়ে লাফ দিয়ে দাগে পায়ের স্পর্শ এড়িয়ে ঐ চাড়া পায়ের আঙ্গুলের টোকার সাহায্যে ঐ ঘর থেকে বের করে বাইরে আনতে হয়।
৯০ এর দশক পর্যন্ত গ্রামীণ কিশোর ছেলেদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলা মার্বেল বা গুলি খেলা। কোন কোন অঞ্চলে এই খেলাকে বিঘত খেলাও বলে। এই খেলার নিস্পত্তি হয় অন্যের মার্বেল খেলে জিতে নিজের করে নেওয়ার মাধ্যমে। এই খেলার প্রথম প্রচলন শুরু অবিভক্ত বাংলার চট্টগ্রামে। বর্তমান সময়ে এই গুলি খেলার প্রচলন কমেছে আগের থেকে অনেকটাই।
৯০ এর দশক পর্যন্ত গ্রামীণ কিশোর ছেলেদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলা মার্বেল বা গুলি খেলা। কোন কোন অঞ্চলে এই খেলাকে বিঘত খেলাও বলে। এই খেলার নিস্পত্তি হয় অন্যের মার্বেল খেলে জিতে নিজের করে নেওয়ার মাধ্যমে। এই খেলার প্রথম প্রচলন শুরু অবিভক্ত বাংলার চট্টগ্রামে। বর্তমান সময়ে এই গুলি খেলার প্রচলন কমেছে আগের থেকে অনেকটাই।
ডাংগুলি উত্তর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলা। সাধারণত কিশোর বয়সী ছেলেরা এই খেলা খেলে। উত্তরভারতে এর নাম গোলি ডাণ্ডা। ক্রিকেট আসার পর এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই ম্রীয়মান হয়ে এসেছে। অঞ্চলভেদে এই খেলাটি ড্যাংবাড়ি, গুটবাড়ি, ট্যামডাং, ভ্যাটাডান্ডা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
ডাংগুলি উত্তর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলা। সাধারণত কিশোর বয়সী ছেলেরা এই খেলা খেলে। উত্তরভারতে এর নাম গোলি ডাণ্ডা। ক্রিকেট আসার পর এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই ম্রীয়মান হয়ে এসেছে। অঞ্চলভেদে এই খেলাটি ড্যাংবাড়ি, গুটবাড়ি, ট্যামডাং, ভ্যাটাডান্ডা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
পিট্টু বা সাতচাড়া, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন খেলা, যার উল্লেখ ভাগবত পুরাণে পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণ একটি হিন্দু ধর্মীয় পাঠ যা ৫০০০ বছর আগে রচিত বলে দাবি করা হয়। এতে উল্লেখ আছে যে ভগবান কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে খেলাটি খেলেছিলেন। এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি সর্বশেষ ৫ সহস্রাব্দ ধরে খেলা হচ্ছে।
পিট্টু বা সাতচাড়া, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন খেলা, যার উল্লেখ ভাগবত পুরাণে পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণ একটি হিন্দু ধর্মীয় পাঠ যা ৫০০০ বছর আগে রচিত বলে দাবি করা হয়। এতে উল্লেখ আছে যে ভগবান কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে খেলাটি খেলেছিলেন। এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি সর্বশেষ ৫ সহস্রাব্দ ধরে খেলা হচ্ছে।
প্রাচীন গ্রাম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা গুলির মধ্যে একটি হলো লাট্টু খেলা বা লাঠিম খেলা। একটি গোলাকার লাট্টুকে দড়ি দিয়ে পাকিয়ে হাতের কায়দায় তাকে মাটির মধ্যে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যার লাটটু বেশিক্ষণ ধরে ঘুরবে সেই হবে খেলার বিজেতা। তবে বর্তমান সময় এই লাট্টু খেলা প্রায় হারিয়ে যেতেই বসে যায়।
প্রাচীন গ্রাম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা গুলির মধ্যে একটি হলো লাট্টু খেলা বা লাঠিম খেলা। একটি গোলাকার লাট্টুকে দড়ি দিয়ে পাকিয়ে হাতের কায়দায় তাকে মাটির মধ্যে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যার লাটটু বেশিক্ষণ ধরে ঘুরবে সেই হবে খেলার বিজেতা। তবে বর্তমান সময় এই লাট্টু খেলা প্রায় হারিয়ে যেতেই বসে যায়।

Year Ender 2023: ২০২৩-এর সেরা ১০ স্পোর্টস ইভেন্ট ও ফলাফল, বছর শেষে ফিরে দেখা

কলকাতা: দেখতে দেখতে শেষ ২০২৩ সাল। আরও একটা নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। প্রতিটি বছরই নান ক্ষেত্রে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে বা ইভেন্ট থাকে যা বছর শেষে স্মৃতিতে থেকে যায়। তেমনই ক্রীড়া ক্ষেত্রেও ২০২৩ সালে ছিল কিছু সেরা কিছু ইভেন্ট। বছর শেষে সেই সকল ইভেন্ট আরও একবার ফিরে দেখা।

এশিয়ান গেমস ২০২৩: ২০২৩ এশিয়ান গেমসে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথমবার একশো পদকের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছে ভারতীয় অ্য়াথলিটরা। মোট ১০৭টি পদক আসে ভারতের ঝুলিতে। ২৮টি সোনা, ৩৮টি রুপো ও ৪১টি ব্রোঞ্জ। চতুর্থ স্থানে শেষ করে ভারত।

এশিয়া কাপ: চলতি বছরে এশিয়া কাপ ক্রিকেট ফাইনালে একতরফাভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় ভারত। ফাইনালে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মহম্মদ সিরাজ একাই ৬টি উইকেট নেন। জবাবে ৬.১ ওভারে ১০ উইকেটে ফাইনাল জেতে ভারত।

ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের মাটিতে আয়োজিত হয় আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ। প্রতিযোগিতায় দাপটের সঙ্গে খেলে টিম ইন্ডিয়া। তবে তৃতীয়বার ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণ হয়নি। টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে ভারত। কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের মুখ দেখতে হয়। ষষ্ঠবার ওডিআই বিশ্বকাপ জেতে ব্যাগি গ্রিনরা। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান স্কোরার হন বিরাট কোহলি ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকরী হন মহম্মদ শামি।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বারও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় মরশুমেও ফাইনালে ওঠে ভারত। কিন্তু ট্রফি জিততে পারেনি। আরও একবার ফাইনালে উঠে হারের মুখ দেখতে হয় ভারতীয় দলকে। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। ২০৯ রানে জেতে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দল।

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ২০২৩ সালের শুরুতেই আয়োজিত হয় আইসিসি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ। ভারতীয় মহিলা দল ভাল খেলে সেমি ফাইনালে ওঠে। তবে শেষ চারের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে বিদায় নিতে হয়। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।

হকি বিশ্বকাপ: চলতি বছরের শুরুতে ভারতের মাটিতে আয়োজন হয় হয় পুরুষদের হকি বিশ্বকাপ। ভারতীয় হকি দল আশানরুপ ফল করতে পারেনিষ ফাইনালে পৌছায় জার্মানি ও বেলজিয়াম। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল দাঁড়ায় ৩-৩। টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বেলজিয়াম।

আইপিএল ২০২৩: আরও এক রদ্ধশ্বাস আইপিএলের সাক্ষী থেকেছে আইপিএল ২০২৩। বৃষ্টি বিঘ্নিত ফাইনাল চলে ২ দিন ধরে। শেষ পর্যন্ত গুজরাত টাইটান্সকে হারিয়ে পঞ্চমবারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় এমএস ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ফাইনাল জেতার পর ২০২৪ সালেও আইপিএল খেলার কথা দেন ধোনি।

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান: বেঙ্গালুরু এফসি-কে টাইব্রেকারে হারিয়ে ২০২২-২৩ মরসুমের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল এটিকে মোহনবাগান। দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই এটিকে মোহনবাগান সরিয়ে নাম বদলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট করার কথা ঘোষণা করেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ‘এটিকে’ সরে যাওয়ায় খুশি মোহনবাগান সমর্থকরা

সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত: ফুটবলে চলতি বছরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নয়া ইতিহাস তৈরি করে ভারতীয় ফুটবল দল। এই নিয়ে টানা ৩ বার জিতলভারত। ফাইনালে কুয়েতের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে খেলা ছিল ১-১। তারপর পেনাল্টিতে গুরপ্রীত সিং সান্ধুর হাতে ভর করে ভারত জেতে ৫-৪ গোলে।

উয়েফা নেশনসন লিগ: ২০২২-২৩ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জেতে স্প্যানিশ আর্মাডারা। গোলশূন্যভাবে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জেতে স্পেন। ফাইনালে উঠে আরও একবার ট্রফি অধরা থেকে যায় লুকা মদ্রিচদের।

আরও পড়ুনঃ Kolkata Knight Riders: শাকিবকে কেন দলে নিল কেকেআর? এই ভিডিও দেখলে মাথা ঘুড়ে যাবে

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল: চলতি বছরের ১১ জুন আয়োজিত হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল আয়োজিত হয়। ফাইনালে মুখোমুখি হয় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান। রড্রির করা একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় ম্যান সিটি।

Hooghly News: বাবার চায়ের দোকান সামলেও জাতীয় যোগা প্রতিযোগিতায় সোনা জয় শ্রীরামপুরের মেয়ের 

হুগলি: ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। এই কথাই সত্য প্রমাণ করেছে হুগলির শ্রীরামপুরের ক্লাস ১১ এর ছাত্রী সৌমী পল্লে। বাবার চায়ের দোকান সামলে পড়াশোনা করেও জাতীয় যোগাসনে স্বর্ণ পদক জয়। হুগলির এই মেয়ের ছোট বয়সের লড়াই নজির সৃষ্টি করেছে সমাজের মধ্যে।

শ্রীরামপুরের দম্পতি বিশ্বজিৎ পল্লে ও মলতি পল্লের মেয়ে সৌমি। বাবা বিশ্বজিৎ শারীরিক ভাবে অসুস্থ, তার জীবিকা নির্বাহের জন্য ভরসা একটি ছোট্ট চায়ের দোকান। চায়ের দোকান চালিয়েই চলে তাদের সংসার। ছোটবেলায় মেয়ে যখন ক্লাস থ্রিতে, তখন তার পায়ের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য তাকে যোগাসনে ভর্তি করেছিলেন। সেই থেকেই শুরু সৌমির যোগাসনের অধ্যায়। তারপর থেকেই একের পর এক সাফল্য অর্জন করে আসছে ছোট্ট সৌম্। সম্প্রতি আসামের গৌহাটিতে আয়োজিত জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে স্বর্ণ পদক নিজের নামে করেছে সে।

এখন সৌমি শ্রীরামপুর রমেশ চন্দ্র গার্লস স্কুল এর ক্লাস ১১-এর ছাত্রী। পড়াশোনা ও যোগাসনের পাশাপাশি প্রতিদিন তাকে থাকতে হয় বাবার চায়ের দোকানে, মা-বাবাকে কাজে সাহায্য করার জন্য। সকালে স্কুল যাওয়ার আগে ও বিকালে স্কুল থেকে ফেরার পর বেশ কিছুটা সময় তাকে কাজ করতে হয় বাবার চায়ের দোকানে। পুরষ্কার জয়ের পরের দিনই তার বাড়ি গেলে সৌমিকে দেখা যায় বাবার চায়ের দোকানে চা তৈরি করতে। এরই মধ্যে সময় বার করে চলে যোগাসনের প্র্যাকটিস।

আরও পড়ুন-        সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা, আবহাওয়ার বিরাট বদল বাংলায়

এই বিষয়ে সৌমি জানায়, পরিস্থিতির চাপে পড়ে তাকে সব কাজ করতে হচ্ছে। বাবার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয় তাই সে বাবাকে কাজে সাহায্য করে। সমস্ত কাজ করেও দিনে ২-৩ ঘন্টা সে যোগাসনের অধ্যাবসায় জন্য অতিবাহিত করে। সৌমির স্বপ্ন আগামীতে আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে যোগাসনে পদক জয় করার। তবে তাদের পরিবারের যে আর্থিক সঙ্কট, দুশ্চিন্তাই তাকে বিচলিত করে তোলে। সৌমি আরও জানায়, সরকারিভাবে যদি কোনও সাহায্য মেলে তাহলে আগামীতে আরও বেশি করে ভাল ফল করার চেষ্টা করবে সে।

আরও পড়ুন-        বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন

সৌমির বাবা বিশ্বজিৎ বলেন, মেয়ে যখন ক্লাস থ্রি তে তখন তার পায়ে ব্যথা ছিল। সেই ব্যথা দূর করার জন্য তাকে যোগাসনে ভর্তি করা। তাদের সংসার ভালই চলছিল কিন্তু কাল হয়ে আসে শারীরিক অসুস্থতা। বছর ৫ আগে হঠাৎ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সেই থেকেই চলছে তাদের পরিবারের আর্থিক সঙ্কট। পরিবারের জন্য তার মেয়ে ও স্ত্রী তাকে কাজে সাহায্য করে।

সৌমির যোগাসনের কোচ দেবাশিস বলেন, ছোটবেলায় যখন তার কাছে ভর্তি হয়েছিল তার এক বছরের মধ্যেই প্রথমবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। সেই থেকেই শুরু যোগাসনে পদক জয়ের পালা। সম্প্রতি জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক জয় করেছে। আগামীতে আন্তর্জাতিক স্তরেও ভাল ফলাফল করবে সৌমি, এমনটাই আশাবাদী তার কোচ।

রাহী হালদার

South 24 Parganas News: ৬৭-তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্কুল গেম-২০২৩ এ সাফল্য পেল ডায়মন্ডহারবারের দুই কিশোরী

ডায়মন্ডহারবার: ৬৭-তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্কুল গেম-২০২৩ এ সাফল্য পেল ডায়মন্ডহারবারের দুই কিশোরী। ওই দুই কিশোরীর নাম প্রিয়া হালদার ও বীথিকা বারুই। রাজ্য স্তরের গন্ডি পেরিয়ে তারা এবার খেলতে যাবে জাতীয় স্তরে। তাদের এই সাফল্যে খুশি ডায়মন্ডহারবারের বাসিন্দারা। দুজনেই ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সাফল্য লাভ করেছে।

আরও পড়ুন: কুলতলির পর আবার নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়াল জি-প্লটে 

ডায়মন্ডহারবার ভারত সেবাশ্রম সংঘের মাঠে প্রশিক্ষক বিজয় প্রামাণিকের কাছে তাঁরা প্রশিক্ষণ নেন। তাদের মত আরও অনেকেই এই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন সেখানে।শুধু প্রিয়া বা বীথিকা নয় আরও দুইজন এবার রাজ্য স্তরে পৌঁছেছিল এই সেন্টার থেকে। তবে প্রিয়া ও বিথীকা রাজ্যস্তরে প্রথম হয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। তাদের এই সাফল্যে খুশি তাদের প্রশিক্ষক বিজয় প্রামাণিকও।

আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত সহকর্মীর পাশে স্কুলের শিক্ষকরা, মানবিকতার নজির জয়নগরে

আগামীদিনে ছাত্রীরা যাতে সাফল্যের সঙ্গে জাতীয় স্তরের গন্ডি টপকে আন্তর্জাতিক স্তরে জেতে পেরে সেই লক্ষ্যেই তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রিয়া বা বীথিকার মত আগামীতে আরও ছাত্র-ছাত্রী সাফল্য পাক সেটাই চাইছেন তিনি। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের সেভাবেই তৈরি করছেন তিনি। ক্যারাটে শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যা সমাজে খুবই জরুরি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সেজন্য দিন দিন এই ক্যারাটে প্রশিক্ষণের দিকে ঝুঁকছেন অনেক অভিভাবকই। তারমধ্যে এই খবর সেইসব অভিভাবকদের মুখে হাসি ফোটাবে।

নবাব মল্লিক

Bankura News: শাড়ি পরেই দড়িতে টান মহিলাদের! তারপরই যা ঘটল…

বাঁকুড়া: দড়ি টানাটানি খেলা। মহিলারা খেললেন দড়ি টানাটানি। দুই দল মিলে শক্তি প্রয়োগ করে চললো দড়ি টানাটানি। একদল হারল আর এক দল জিতলো। এদিন বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের দক্ষিণ পাড়া মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেল দড়ি টানাটানি খেলা।

খেলায় মাতলেন একাধিক মহিলা। কোমরে শাড়ি বেঁধে দড়িতে টান। এই ঐতিহ্যবাহী খেলা আগে দেখা যেত গ্রাম বাংলার বিভিন্ন এলাকায়। তবে ধারাবাহিকভাবে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের দক্ষিণপাড়া মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৩-৪ বছর ধরে চলছে এই বিনোদন।

আরও পড়ুন: মেনে নিতে পারেননি বিশ্বকাপে ভারতের হার! আত্মঘাতী ক্রিকেটপ্রেমী রাহুল

গ্ৰাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খেলা হল দড়ি টানাটানি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই খেলা আজও প্রচলিত। দড়ি টানাটানি খেলা মূলত শক্তি পরীক্ষার খেলা।পেশি শক্তির পাশাপাশি খুব বল প্রয়োগের দরকার হয় এই খেলায়। যদিও এক অংশগ্রহণকারী মহিলা বলেন, ” দড়ি টানাটানি খেলতে খুব একটা কষ্ট হয়নি। আমরাই জিতলাম এবারের দড়ি টানাটানি।”

পরাজিত হওয়া দলের অংশগ্রহণকারী অপর একটি মহিলা জানান, “খেলায় হার-জিত থাকেই, আসছে বছর আবার হবে।” বিলুপ্ত প্রায় রশি টানাটানি খেলা দেখতে ভিড় উপচে পড়ল এদিন।

আনন্দ বিনোদনের সময় কমছে, এমনকি মানুষ মাঠমুখীও তেমনভাবে হচ্ছেননা, এর পিছনে দায়ী মোবাইল। এই কথা যখন অনেকেই বলছেন ঠিক তখনই অন্য ছবি দেখা গেল বাঁকুড়ার ইন্দাসের গোবিন্দপুর গ্রামে। সব কিছু দাবীকে ভুল প্রমাণ করে একসময়ের গ্ৰাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা দড়ি টানাটানিতে মাতলেন তাঁরা। বিশেষ ভাবে মহিলারা প্রদর্শন করলেন তাঁদের শক্তি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

ঘোষিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০২২-এর তালিকা, মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পাচ্ছেন শরথ কমল

#নয়াদিল্লি: জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করল ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রক। সোমবার ঘোষণা করা হয় পুরস্কার প্পাকদের তালিকা। এবার সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পাচ্ছেন ভারতের তারকা টেবিল টেনিস খেলায়ার অতন্ত শরথ কমল। এই বছর বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসে কমল দারুন পারফর্ম করেছিলেন। তিনি গেমসে চারটি পদক জিতেছিলেন, যার মধ্যে তিনটি সোনা।

এছাড়া অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন হকিতে ধরমবীর সিং, কবাডিতে বি সি সুরেশ, ব্যাডমিন্টনে লক্ষ্য সেন, এইচএস প্রণয়, বক্সিংয়ে অমিত পাঙ্ঘল, নিখাত জারিন সহ অন্যান্য একাধিক ক্ষেত্রের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। দ্রোণাচার্য পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন বক্সিংয়ে মহম্মদ আলি কামার, তিরন্দাজিতে জীবনজ্যোৎ সিং তেজা সহ অনন্যান্যরা। এছাড়া দ্রোণাচার্য লাইফ টাইম ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন ভারতীয় দলের অধিনাক রোহিত শর্মার কোচ দীনেশ লাড।

এক ঝলকে দেখে নিন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০২২-এর তালিকা-

মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন : অচন্ত শরথ কমল (টেবিল টেনিস)।

দ্রোণাচার্য পুরস্কার (রেগুলার ক্যাটেগরি): জীবনজ্যোৎ সিং তেজা (তিরন্দাজি), মহম্মদ আলি কামার (বক্সিং), সুমা শিরুর (প্যারা শ্যুটিং), সুজিত মান (কুস্তি)।

দ্রোণাচার্য (লাইফটাইম ক্যাটেগরি) পুরস্কার: দীনেশ লাড (ক্রিকেট), বিমল ঘোষ (ফুটবল), রাজ সিং (কুস্তি)।

জীবনকৃতী ধ্যানচাঁদ পুরস্কার: অশ্বিনী আকুঞ্জি সি (অ্যাথলেটিক্স), ধরমবীর সিং (হকি), বি সি সুরেশ (কবাডি), নীর বাহাদুর গুরুং (প্যারা অ্যাথলেটিক্স)।

অর্জুন পুরস্কার: সীমা পুনিয়া (অ্যাথলেটিক্স), এলধোস পল (অ্যাথলেটিক্স), অবিনাশ সাবলে (অ্যাথলেটিক্স), লক্ষ্য সেন (ব্যাডমিন্টন), এইচএস প্রণয় (ব্যাডমিন্টন), অমিত (বক্সিং), নিখাত জারিন (বক্সিং), ভক্তি কুলকার্নি (দাবা), আর প্রজ্ঞানানন্দ (দাবা), দীপ এক্কা (হকি), সুশীলা দেবী (জুডো), সাক্ষী কুমারী (কবাডি), নয়নমণি সাইকিয়া (লন বোল), সাগর ওভালকর (মল্লখম্ব), এলাভেনিল ভালারিভান (শ্যুটিং), ওমপ্রকাশ মিঠারভাল (শ্যুটিং), সৃজা আকুলা (টেবিল টেনিস), বিকাশ ঠাকুর (কুস্তি), আনশু (কুস্তি), সরিতা (কুস্তি), প্রবীণ (উশু), মানসী যোশী (প্যারা ব্যাডমিন্টন), তরুণ ধিলোঁ (প্যারা ব্যাডমিন্টন), স্বপ্নিল পাতিল (প্যারা সাঁতার), জারলিন অনিকা জে (বধিরদের ব্যাডমিন্টন)।

রাষ্ট্রীয় খেল প্রোৎসাহন পুরস্কার: ট্রান্সস্টাডিয়া এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেজ, কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি, লাদাখ স্কি অ্যান্ড স্নোবোর্ড অ্যাসোসিয়েশন।

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ট্রফি: অমৃতসরের গুরু নানক দেব ইউনিভার্সিটি।

স্টেডিয়ামে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় বয়ফ্রেন্ডকে সপাটে চড় বান্ধবীর, কিন্তু কারণটা কী, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

মনের মানুষকে প্রেম নিবেদন বা বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াটা একটু স্পেশাল করে রাখতেন চান সকলেই। জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলির মধ্য়ে অন্য়তম বলে কথা। তাই সম্প্রতি খেলার মাঠে প্রেমিকাকে হাঁটু গেড়ে বসে প্রেমের বা বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াটা নতুন ট্রেন্ড হয়েছে। তা সে বিদেশের ফুটবল লিগ হোক ভারতের আইপিএল এমন দৃশ্য় দেখা গিয়েছে বারবার।

শুধু দর্শকরাই নন এই স্রোতে গা ভাসাতে দেখা গিয়েছে ক্রীড়া ব্য়ক্তিত্বদেরও। মেজর লিগ সকারে নিজের বান্ধবীকে বিয়ের প্রস্তাব মাঠেই দিয়েছিলেন এক ফুটবলার। আইপিএলে সিএসকে তারকা দীপক চাহার তার প্রেমিকা ফিল্মি কায়দায় স্টেডিয়ামেই বলেছিলেন মনের কথা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন প্রস্তাব পেয়ে রাজি হয়ে গিয়েছেন তাদের বান্ধবীরা।

কিন্তু সবসময় যে এমনটা ঘটবে তাও ঠিক নয়। ভাগ্য় খারার থাকলে ঘটতে পারে অন্য় কিছুও। সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্য় দেখা গেল মার্কিন মুলুকে মেজর লিগ বেসবল গেমে স্টেডিয়ামে। প্রেমিকাকে ভরা গ্য়ালারির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে প্রেম প্রস্তাব দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে যান ওই তরুণী। বয়ফ্রেন্ডের গালে সপাটে চড় বসিয়ে দেন তিনি। হতবাক হয়ে যায় আশেপাশের দর্শকরা।

এই ঘটনার ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। ভিডিওতে দেখা যায় টরন্টো ব্লু জেস ও বোস্টন রেড সোক্সের মধ্যে চলছিল ম্যাচ। গার্লফ্রেন্ডকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে চুমু খাচ্ছেন যুবক। যাতে বেশ অবাক তরুণী। তবে চুমু হজম করে হেসেও ফেলেছিলেন সেই তরুণী। এরপরই তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন যুবক। একটি বাক্স থেকে আংটি বের করে তরুণীর সামনে তুলে ধরে দিলেন বিয়ের প্রস্তাব। ব্যস, তখনই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন প্রেমিকা। সপাটে চড় কষান বয়ফ্রেন্ডের গালে।

কিন্তু যে মহিলা ভরা গ্য়ালারিতে চুমু খাওয়াতে কোনও আপত্তি জানালেন না, তিনি কেন হঠা বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে চড় মারলেন তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। পরে জানা যায় ওই যুবক যে আংটি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা বাবল গামের। আর এমন মসকরা মেনে নিতে পারেননি ওই তরুণি। তাই রেগে গিয়ে চড় বসিয়ে দেন। যেই ভিডিও এখন সকলের হাতে হাতে।

 

Milkha Singh: ‘এবার অন্তত মিলখাকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক’, গণদাবির উত্তর দিল ক্রীড়ামন্ত্রক

#নয়াদিল্লি: কেউ বলছেন, মিলখা সিংয়ের পরিবারের ট্র্যাক রেকর্ড একবার দেখে নিন। খেলাধূলা তাঁদের রক্তে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে মিলখা সি মোট আটটি সোনার পদক জিতেছেন। তাও মিলখার শৈশব ছিল দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত। তাঁকে ভারতরত্ন না দেওয়া হলে আর কাকে দেওয়া হবে! ধ্যানচাঁদের সঙ্গে তাঁকে যেন ভারতরত্ন দেওয়া হয়। কেউ আবার লিখলেন, আমাদের দেশে মানুষ প্রয়াত হলেই তাঁকে সম্মানজ্ঞাপনের কথা ভাবা হয়। বেঁচে থাকতে কিংবদন্তিদের কদর হয় না। মিলখা সিং ভারতরত্নের যোগ্য দাবিদার। এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতেই পারে না। সরকার সেটা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করলে প্রতিবাদ জানানো উচিত ক্রীড়াপ্রেমীদের। আমরা পথে নামতেও রাজি। কারও আবার দাবি, ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য ভারতরত্ন খুব নগন্য একটা পুরস্কার। তবে এর থেকে বেশি তাঁকে আর কিছু দেওয়ার নেই। বেঁচে থাকতে তো আমরা তাঁকে এই সম্মানে ভৃষিত করতে পারলাম না। এবার অন্তত মিলখাকে সেই সম্মান দেওয়া হোক।

স্ত্রীর মৃত্যুর পাঁচদিনের মাথায় গোটা দেশকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন মিলখা সিং। করোনা আরও এক কিংবদন্তিকে কেড়ে নিল। প্রায় দেড়শো কোটির দেশে দ্বিতীয় মিলখা সিং জন্মাবে না। এমন কথা এখন সবাই বলছে। তবুও কেন মিলখার মতো একজন কিংবদন্তিকে ভারতরত্নের জন্য ভাবল না সরকার! এই প্রশ্নের জবাব কারও কাছে নেই। মিলখা সিং প্রয়াত হওয়ার পরই এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়ে উঠল। ধ্যানচাঁদকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবিতে অনেকদিন ধরেই ক্রীড়াপ্রেমীরা সরব। এবার মিলখার জন্যও আওয়াজ উঠল। যদিও মিলখা সিংয়ের পরিবারের তরফে এই ব্য়াপারে এখনও কোনও দাবি তোলা হয়নি। তবে মিলখার ভক্তরা তাঁর জন্য সওয়াল করলেন। এমন একজন ক্রীড়াবিদ হয়তো শতাব্দীতে একবারই জন্মান। খিদে, দারিদ্র, দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে নিয়েও রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছিলেন মিলখা।

ক্রীড়াপ্রেমীদের গণদাবি চাপ সৃষ্টি করল ক্রীড়ামন্ত্রকের উপর। আসলে হক ছিনিয়ে নিতে হলে আওয়াজ তো তুলতেই হয়। মিলখার ভক্তরা সেই আওয়াজ তুললেন। ক্রীড়ামন্ত্রী সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখলেন, আমি এখন মিলখার শেষযাত্রায় অংশ নিতে চণ্ডিগড় যাচ্ছি। তাঁর পরিবারে প্রতি সমবেদনা রয়েছে। মিলখা সিং ভারতের গর্ব। তিনি কিংবদন্তি। একটা প্রজন্মের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা। সারাজীবনে তিনি যে সাহজ ও উদ্যম দেখিয়েছেন তা বহু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি আসলে সবরকম পুরস্কারের অনেক উপরে। পুরস্কার দিয়ে তাঁকে বিচার করা যাবে না। তাঁর মতো কিংবদন্তির যোগ্য কোনও পুরস্কারও হয়তো নেই।