Tag Archives: Student protest

School Student Protest: কেবল নিজের ঘরে এসি, উন্নয়নের নামে টাকা নিয়েও অপরিষ্কার স্কুল, প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবিতে পড়ুয়ারা

উত্তর ২৪ পরগনা: বাগদার বেয়ারা হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এভাবেই যেন নৈতিক শিক্ষা দিল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে। ভর্তির সময় টাকা নেওয়া হলেও সময় মতো দেওয়া হয়নি বিদ্যুৎ বিল। আর তাই স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিতেই সমস্যায় পড়ে পড়ুয়ার। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে বিক্ষোভে ফেটে করতে দেখা যায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। এমনকি স্কুলের পরিবেশও ভাল নয় বলে অভিযোগ তোলে বেয়ারা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই পেটে টান, বিদেশি সাজের রমরমায় বরাত কমেছে শোলা গ্রামের শিল্পীদের

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এমন ভূমিকায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তারা রীতিমতো আওয়াজ তোলে। তাদের অভিযোগ, স্কুলের বাথরুম অপরিষ্কার, ময়লা-জঞ্জালে ভরে থাকে সর্বত্র, দুর্গন্ধ বের হয়। বিভিন্ন ক্লাসরুম পর্যন্ত পৌঁছে যায় সেই গন্ধ। আরও অভিযোগ, কোনও দিন জল থাকে, কোনও দিন থাকে না। খেলার জন্য ছাত্রছাত্রীদের থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল কিন্তু সেই খেলার সরঞ্জাম আজও আসেনি। তাদের প্রশ্ন, এত টাকা তাহলে গেল কোথায়?

প্রধান শিক্ষকের ঘরে চলে এসি। ছাত্রছাত্রীরা গরমে ক্লাস করে। স্কুলে নাইটগার্ড, পরিষ্কার করার জন্য কর্মী থাকলেও তাঁরা কাজ করেন না বলেও জানান ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলের বিরুদ্ধে এমন নানা অভিযোগ নিয়েই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন দত্তের ঘরে তালা দিয়ে দেয় স্কুলের পড়ুয়ারা। পাশাপাশি দাবি জানানো হয় প্রধান শিক্ষকের বদলির। যদিও পড়ুয়াদের অভিযোগ অস্বীকার করে চক্রান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তবে সর্বশেষ পাওয়া খবরে, স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য ও শিক্ষকরা পড়ুয়াদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বলেই জানা গিয়েছে। এখন দেখার ছাত্রদের দাবি মেনে কতটা বদল ঘটে পরিস্থিতির।

Rudra Narayan Roy

Student Protest: শিক্ষকের দাবিতে সে কী কাণ্ড! পথে নামল পড়ুয়া ও অভিভাবকরা

জলপাইগুড়ি: দু’জন শিক্ষিকা দিয়ে চলছে স্কুল। ক্ষোভে স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিল অভিভাবকরা। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি ১ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। জানা গিয়েছে, খাতায় কলমে এই স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৩ জন। একজন শিক্ষিকা পেপার ট্রান্সফারে জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে থাকায় বর্তমানে স্কুলে রয়েছেন মাত্র দু’জন শিক্ষিকা।

১০৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য শিক্ষিকা মাত্র দু’জন। পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা অভিযোগ অভিভাবকদের। শিক্ষা দফতরে বহুবার জানানো সত্ত্বেও শিক্ষক দেওয়া হয়নি। আর সে কারণেই সোমবার স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবক সহ পড়ুয়ারাও।

আরও পড়ুন: গরু চড়িয়ে ফিরছিলেন, রেললাইন পেরোতে গিয়ে সব শেষ!

অভিভাবকদের দাবি, শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। পড়াশোনা ঠিকমতো না হলে স্কুলের বাচ্চাদের পাঠিয়ে কি লাভ প্রশ্ন তুলছে অভিভাবকরা। অতি শীঘ্রই স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা দেওয়া হোক দাবি তুলছে বিক্ষোভকারী অভিভাবকরা। অভিভাবকদের সঙ্গে সহমত স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাও।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অমৃতা বাগচী জানিয়েছেন, মাত্র দুজন শিক্ষিকা থাকায় পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে এতজন পড়ুয়াদের দেখভালের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্ত কি কারণে এই বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না তা বুঝে উঠতে পারছি না।

সুরজিৎ দে

BJP Bangla Bandh: কোথাও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, কোথাও বা ট্রেনে পাথর-বাসে আগুন, বিজেপির বাংলা বনধ কি আদৌ সফল

উত্তর ২৪ পরগনা: ১২ ঘণ্টার বনধে মিশ্র প্রভাব জেলায়। সীমান্ত শহর বনগাঁয় এদিন সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বনধ সফল করতে নামেন রাস্তায়। প্রথমেই অবরোধ করা হয় বনগাঁ স্টেশন। যার ফলে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া-সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এদিন ট্রেন লাইনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের উপর পুলিশি প্রতিরোধ লক্ষ করা গিয়েছে গতকাল, মঙ্গলবার। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ, বুধবার স্লোগান চলে বিভিন্ন জায়গায়। যার ফলে সকালে নিত্যযাত্রীদের প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে পড়তে হয় ট্রেনেই।

পরবর্তীতে তৃণমূলের তরফ থেকে বনগাঁ আইএনটিটিইউসি সভাপতি নারায়ণ ঘোষ কর্মীদের নিয়ে স্টেশনে হাজির হলে স্টেশন চত্বরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রীতিমত তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। পরিস্থিতির সামাল দিয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর ট্রেন চলাচল শুরু করাতে পারে পুলিশ।

অপরদিকে বনধ সফল করতে পতাকা হাতে বনগাঁর রাজপথেও মিছিল করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। যে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলকে। বিজেপির তরফে জানানো হয়, সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকেও রাস্তায় নেমে জনজীবন সচল রাখার চেষ্টা চালানো হয় জেলায়। বনগাঁর দোকানপাট অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কিছু বন্ধ থাকায়, বনধের প্রভাব লক্ষ করা গেল সীমান্ত শহরে।

আরও পড়ুন: অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! বাড়িতে ডেকে ঘরবন্দি করে হেনস্থা অভিনেত্রীকে

অপরদিকে জেলা সদর শহর বারাসতে প্রথমে কলোনি মোড়ে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নেমে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচল করা বাস ও লরি-সহ অটো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। রাস্তার মাঝেই আড়াআড়ি ভাবে বাস ও লরি দাঁড় করিয়ে দিতেও দেখা যায় বিজেপি সমর্থকদের। এরপর পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বারাসত স্টেশনে গিয়ে ট্রেন অবরোধ করেন। খবর শুনেই বারাসত স্টেশনে পৌঁছান স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি-সহ তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের সময় বেঁধে দিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বনধ-সমর্থকদের সরিয়ে স্বাভাবিক করে ট্রেন চলাচল। পরবর্তীতে আবারও চাপাডালি মোর সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই রীতিমতো তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এরপরই উত্তেজনার সামাল দিতে ময়দানে নামে পুলিশ।

অপরদিকে শিল্পাঞ্চলে সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল কাজ। তবে ভাটপাড়া এলাকায় অর্জুন সিং অনুগামীর উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় গোটা এলাকায়। পরবর্তীতে দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও বচসা বাঁধলেও পরিস্থিতির সামাল দেয় পুলিশ। কলকাতা বিমানবন্দরে যদিও তেমনভাবে বনধের কোনও প্রভাব লক্ষ করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। সকালের দিকে জেলার নানা প্রান্তে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনজীবন অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যায় অনেকটা।

সরকারি বাস সেভাবে নজরে না পড়লেও বেসরকারি বাস চলতে দেখা যায়। এদিনের বনধ ঘিরে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

Rudra Narayan Roy

Student protest: অভিনব প্রতিবাদ! ঘরে এসি নেই, তাই হস্টেলের ক্যান্টিনে ঘুমিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা

অমৃতসর: উত্তর ভারত জুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। অনেক জায়গার তাপমাত্রাই ৪৫-এর আশেপাশে। এমন অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সেখানকার পড়ুয়াদের। এই নিয়ে কলেজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ করার সিদ্ধন্ত নিলেন পড়ুয়ারা। ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসরের আইআইএমে, এসির দাবিতে পড়ুয়ারা হস্টেলের ক্যান্টিনে ঘুমিয়ে প্রতিবাদ করেন।

আরও পড়ুন: রুদ্রপ্রয়াগে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, পাহাড় থেকে নদীতে পড়ল যাত্রীবোঝাই বাস, মৃত বহু

জানা গিয়েছে, অমৃতসর আইআইএমের হস্টেলের ঘরগুলিতে এসির ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এসি রয়েছে কলেজের ক্যান্টিন এবং লাইব্রেরিতে। অমৃতসরের তাপমাত্রা প্রায় ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি, তাই অসহ্য গরম থেকে বাঁচতে দীর্ঘ দিন ধরে  এসির দাবি তুলছিলেন পড়ুয়ারা, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। তাই এমন অভিনব পদ্ধতিতে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। তাঁরা হস্টেলের ক্যান্টিনে গিয়ে কেউ টেবিলে শুয়ে পড়েন, কেই কেউ আবার চেয়ারেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভাইরাল হয়ে যায় ছাত্রদের এমন অভিনব প্রতিবাদের ভিডিয়ো।

এমন প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়ায় আইআইএম অমৃতসরের ডিরেক্টর এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ এখনকার যে হস্টেল রয়েছে, সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা এসির মতো যন্ত্রের লোড নিতে পারবে না”। তবুও গরম থেকে ছাত্রদের বাঁচাতে তিনি আশ্বাস দেন, “অতিরিক্ত গরমের মোকাবিলা করতে আমরা কিছু দিনের মধ্যেই হস্টেলের ঘরগুলিতে এয়ার কুলার লাগাব”।

Student Agitation: কলেজ খুললেও শুরু হয়নি ক্লাস, চরম ক্ষোভ পড়ুয়াদের 

শিলিগুড়ি: লোকসভা ভোটের জন্য প্রায় আড়াই মাস ধরে শিলিগুড়ি কলেজকে অধিগ্রহণ করেছিল ইলেকশন কমিশন। কলেজে বানানো হয়েছিল ডিসি-আরসি। যে কারণে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল পঠন-পাঠন। অবশেষে ১০ জুন কলেজ খোলে। কিন্তু কলেজ খুললেও পঠন-পাঠন বন্ধ। কলেজ পড়ুয়াদের মিলছে না সঠিক পরিষেবা। কার্যত বেহাল পরিস্থিতি শিলিগুড়ি কলেজ। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলেজের পড়ুয়ারা।

কলেজ খুললেও পঠন-পাঠন শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায়। পাশাপাশি হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কলেজের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে। এরপর কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।

আর‌ও পড়ুন: সরকারি স্কুলের ক্লাসরুমে এসি!

দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিলিগুড়ি কলেজের ছাত্র ওম চক্রবর্ত্তী জানান, গত দু’মাস ধরে কলেজ বন্ধ ছিল। এরপর কলেজ খুলেছে চারদিন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ক্লাস শুরু হয়নি। কারণ ক্লাসের সমস্ত বেঞ্চ বাইরে। বয়েজ হোস্টেলের ছাত্ররা দু’মাস ধরে ভাড়া বাড়িতে রয়েছে। তারা এখনও কলেজে ঢুকতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, কলেজের মধ্যে নোংরা আবর্জনা পড়ে আছে। কলেজের পঠন-পাঠন বন্ধ থাকায় ইউনিভার্সিটি থেকে নোটিশ এসেছিল ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ক্লাস করানোর জন্য। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গাফিলতিতে সেই ক্লাস হয়নি। তিনি দাবি জানান, পুনরায় কলেজ মেরামতি করে দ্রুত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা চালু করা হোক।

অন্যদিকে শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ বলেন, ইলেকশন কমিশনের ৯ জুঞ পর্যন্ত একটা রিকুইজিশন ছিল। সেটা সম্পূর্ণ হওয়ার পরই ১০ তারিখ কলেজ শুরু হয়। নির্বাচনের সময় কলেজ থেকে যে সমস্ত বেঞ্চ বার করা হয়েছে তার মধ্যে কিছু জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সমস্ত জিনিস সারিয়ে বেঞ্চগুলো আবার ক্লাসে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে বারবার চিঠি লিখেছেন। কিন্তু তারা কোন‌ওরকম সদুত্তর দেয়নি বলে অভিযোগ। এই কারণেই ক্লাস শুরু করা যাচ্ছে না বলে অধ্যক্ষের যুক্তি।

অনির্বাণ রায়

Students Protest: স্কুলেই আসেন না জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা, সাদা খাতা জমা দিয়ে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের

পশ্চিম বর্ধমান: দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসেন না জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই অভিনব প্রতিবাদ পড়ুয়াদের। প্রতিবাদে পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিল তারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাঁকসার চাকতেতুল রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে।

জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা কণিকা মণ্ডলের দীর্ঘ অনুপস্থিতির প্রতিবাদে সোমবার বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, গত বছর প্রায় ৮ মাস স্কুলে আসেননি ওই শিক্ষিকা। ফলের নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জীবন বিজ্ঞান বিষয়ে স্কুলে সেভাবে ক্লাস‌ই হয়নি। আর তাই পড়ুয়াদের গড় নম্বর দিয়ে পাস করিয়ে দিতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই বছরেও প্রায় ৩ মাস ওই শিক্ষিকা স্কুলে আসেননি বলে পড়ুবাদের দাবি। এতে তাদের পড়াশোনার মান খারাপ হচ্ছে বলে পশ্চিম বর্ধমানের ওই হাই স্কুলের পড়ুয়ারা জানিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: তারাদের খোঁজে পাঠশালা, পথ শিশুদের নিয়ে কী হচ্ছে জানেন?

শিক্ষিকার অনিয়মিত স্কুলে আসার প্রতিবাদে এদিন বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিতে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। পাশাপাশি জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা না দিয়ে সাদা খাতা জমা দিয়ে তারা বাইরে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানায়।

অন্যদিকে পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভের জেরে বিদ্যালয়ে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা এদিন প্রবেশ করতে পারেনি। পড়ুয়াদের বিক্ষোভ দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক শিক্ষিকা। তাঁকে দ্রুত বিদ্যালয়ের ভিতরে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। জীবন বিজ্ঞান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও স্বীকার করেছেন। তবে এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা কণিকা মণ্ডল অথবা বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ মুখ খুলতে চাননি।

নয়ন ঘোষ