পাঁচমিশালি GK: পৃথিবীর একমাত্র শহর, প্রতিদিন ৫২ সেকেন্ডের জন্য ‘থেমে’ যায়! রয়েছে ভারতেই! কারণ জেনে গর্বে বুক ফুলে উঠবে Gallery August 4, 2024 Bangla Digital Desk বিশ্বের প্রতিটি দেশে নিজস্ব জাতীয় সংগীত রয়েছে। একইভাবে ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’ ভারতের জাতীয় সংগীত। এটি শোনার পরেই আমাদের সকলের লোম খাড়া হয়ে যায় এবং দেশপ্রেমের অনুভূতি জেগে ওঠে। ভারতের জাতীয় সংগীত গাওয়ার মোট সময় ৫২ সেকেন্ড। ভারতের এমন একটি শহরের কথা বলা হয়েছে, যেখানে জাতীয় সংগীত বাজার সাথে সাথে প্রতিটি মানুষ ৫২ সেকেন্ডের জন্য থেমে যায়। এটি তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা শহর, যেখানে প্রতিদিন সকাল আটটায় লাউড স্পিকারের মাধ্যমে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, তখন পুরো শহর ৫২ সেকেন্ডের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলেই এ শহরে জাতীয় সংগীত গান। শহরটির বিভিন্ন স্থানে ১২টি বড় লাউড স্পিকার স্থাপন করা হয়েছে, যাতে আশেপাশে বসবাসকারী মানুষ জাতীয় সংগীত শুনে এবং তাদের কাজ ফেলে উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে পারে। আগামী দিনে শহরের অন্যান্য স্থানেও লাউড স্পিকার বসানোর পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সংগীতকে প্রতিদিনই সম্মান করা উচিত। প্রথমে এটি জম্মিকুন্ত নামক জায়গা থেকে প্রতিদিন জাতীয় সংগীত বাজানো হত। এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নালগোন্ডার ‘জনগণমন উৎসব’ সমিতি এই প্রচার শুরু করেছে। এটি পরীক্ষামূলক ভাবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবারের মতো করা হয়েছিল। স্থানীয় কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পেরে এই কমিটির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। নগরীতে জাতীয় সংগীত বাজলে শহরের বিভিন্ন স্থানে কমিটির কর্মীরা হাতে তেরেঙ্গা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, তখন শহরবাসীর জন্য এটি একটি রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। সাধারণত আমরা প্রজাতন্ত্র দিবস বা স্বাধীনতা দিবসে তেরঙ্গাকে অভিবাদন দেওয়ার সময় আমরা জাতীয় সংগীত গাই। কিন্তু এখানকার মানুষেরা এটি প্রতিদিনই করেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এটি ভাইরাল হওয়ার পর এই উদ্যোগের ফলে তারা প্রশংসিত হয়েছেন।
পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Papaya: পেঁপে কোন দেশের ‘জাতীয় ফল’ বলুন তো…? ‘উত্তর’ শুনলে চমকে যাবেন, গ্যারান্টি! Gallery August 4, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান বা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কিত প্রশ্ন যেমন আমাদের জ্ঞানের পরিসর বাড়ায় তেমনই কাজে লাগে নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে কুইজের খেলায় তাক লাগাতে। সাধারণ জ্ঞানের এই প্রশ্নগুলির মধ্যে কিছু এমন হতে পারে যেগুলি আপনি আগে কখনও পড়েননি বা শোনেননি, আবার কিছু প্রশ্নের উত্তর আপনি খুব ভালভাবেই হয়ত জানেন। কিছু তথ্য আসলে আমরা জানার চেষ্টাও করি না। অথচ জানলে অবাক হতেই হয়। এমনই একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজব আজ এই প্রতিবেদনে। পেঁপে নামের ফলটি তো আমরা প্রায় সকলেই কম বেশি খেয়ে থাকি। পুষ্টিতে ভরপুর ও সুস্বাস্থ্যের খনি এই ফলটি কে না চেনে। অনেকেই নিয়ম করে পেঁপে খান সকালের জলখাবারে। হজমের গোলমাল কমানো থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি— পেঁপের অনেক গুণ। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ই হোক বা নিমেষে ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি— সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতেও পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— সকলেই পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন। পেঁপে শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতেও সাহায্য করে। তাই জলখাবারে যা-ই থাকুক না কেন, সঙ্গে পাকা পেঁপে চাই-ই চাই। আবার কাঁচা পেঁপে খাওয়ার কোথাও পরামর্শে বলেন চিকিৎসকেরা। বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ও প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ওটিপি বরুণ খুরানা, মুষ্টিমেয় বর্ষার ফলের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে তাঁর পরামর্শ শেয়ার করেছেন। তাঁর মতে, “পেঁপে পাপাইন-সহ নানা হজমকারী এনজাইমের একটি চমৎকার উৎস, যা প্রোটিনকে ভেঙে দিতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ ও মসৃন করে। পেঁপেতে থাকা উচ্চ ফাইবার উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, যা বর্ষাকালে একটি সাধারণ সমস্যা। উপরন্তু, এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সাধারণ বর্ষার অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। এহেন সোনায় সোহাগা, ভারতের ঘরে ঘরে জনপ্রিয় ফলটি কোথাকার জাতীয় ফল সে খবর কি রাখেন? বলুন দেখি পেঁপে কোথাকার জাতীয় ফল? নাম জানেন সে দেশের? আসলে ফলের মধ্যে পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ এবং রান্না ও কাঁচা উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে এর চাষ হয়। কিন্তু ভারত নয়, পেঁপে মালয়েশিয়ার জাতীয় ফল। পুষ্টিকর খাবারে ভরপুর এই ফলটিতে প্রচুর ভিটামিন এ পাওয়া যায়। অনেক রোগে উপকারী এই ফলটিকে বদহজমজনিত সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধু পেঁপে খেলে কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু কিছু খাবার পেঁপের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল। তা হলে পেঁপের উপকার তো মিলবেই না, বরং হিতে বিপরীত হবে। যেমন উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, দই, চা, কফি, উচ্চমাত্রার ফ্যাট যুক্ত খাবার, সাইট্রাসজাতীয় ফল ইত্যাদি কিন্তু পেঁপের সঙ্গে না খাওয়াই মঙ্গল। ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।
পাঁচমিশালি GK: মাছ মানে বাঙালি, কিন্তু ভারতের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার পশ্চিমবঙ্গেই না! তাহলে কোথায়? শুনে চমকে উঠবেন নিশ্চয় Gallery August 4, 2024 Bangla Digital Desk মাছে মন মজেছে ভারতবাসীর৷ সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ দেখা যাচ্ছে, সম্প্রতি দেশ জুড়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে মাছ খাওয়া৷ ‘Fish Consumption In India: Patterns And Trends’ শীর্ষক এই গবেষণা হয়েছে Council of Agricultural Research বা ICAR-এর তত্ত্বাবধানে৷ কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক, ভারত সরকার এবং ওয়ার্ল্ড ফিশ ইন্ডিয়ার অধীনে করা এই সমীক্ষা তথা গবেষণায় যে যে তথ্য দেখা যাচ্ছে, তা চমকে দেবে৷ গবেষক তথা সমীক্ষকরা ২০০৫-০৬ থেকে শুরু করে ২০১৯-২১ পর্যন্ত তথ্য অনুসন্ধান করেছেন৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে জনসংখ্যাবৃদ্ধি, সম্পদবৃদ্ধি এবং খাদ্যগ্রহণের পরিবর্তিত ধারায় মাছ খাওয়ার হার অনেকটাই বেড়েছে ভারতবাসীর মধ্যে৷ ২০১৯-২০ সালের পরিসংখ্যান বলছে ৫.৯৫% ভারতবাসী রোজ মাছ খান৷ সপ্তাহে অন্তত ১ দিন খান ৩৪.৮% এবং মাঝে মাঝে মাছ মুখে তোলেন ৩১.৩৫% দেশবাসী৷ তবে, বাঙালি মাছে ভাতে থাকতে পছন্দ করলেও মাছ খাওয়ার ঝোঁক কমেছে আমাদের রাজ্যে। কাঁটা বাছায় অধৈর্য্য না কি রুই-কাতলায় অনীহা? অন্য রাজ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আচমকাই পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়েছে মাছ খাওয়ায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে জানেন কি, দেশের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার কোন শহরে? কাতলার কালিয়া হোক কিংবা সরষে ইলিশ, অথবা গলদা চিংড়ির মালাইকারি, মাছ খাওয়ার নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম স্থানে লাক্ষাদ্বীপ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং ত্রিপুরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেশের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার এ রাজ্যে নয়। বরং এ বিষয়ে এগিয়ে মহারাষ্ট্র। দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ মাছের বাজারের নাম ক্রফোর্ড মার্কেট। মুম্বইয়ের এই বাজার অন্যতম পুরনো। এখানে জ্যান্ত কই থেকে ড্রায়েড সিফুড, সবটাই পাওয়া যায়। হেন কোনও প্রজাতির মাছ নেই যা মুম্বইয়ের এই বাজারে মিলবে না। এই বাজার মঙ্গলবার বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিনে, এটি সকাল ১১:০০ থেকে রাত ৮:০০ পর্যন্ত খোলা থাকে। এই বাজারে পাইকারি ফল, শাকসবজি এবং হাঁস -মুরগি থেকে শুরু করে কাপড়, পোশাকের সামগ্রী, খেলনা, গয়না এমনকি পোষ্য প্রাণীর দোকান পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু মাছের জন্য এই বাজার বিখ্যাত।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণীর রয়েছে ৩টি হার্ট? উত্তর দিতে পারলে আপনি জিনিয়াস Gallery August 3, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে নিয়ে প্রশ্ন প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি যার উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। বলুন তো, পৃথিবীতে কোন প্রাণীর ৩টি হার্ট রয়েছে? উত্তর হল ক্যাটল ফিশ। ক্যাটল ফিশ একটি সামুদ্রিক প্রাণী। এরা প্রাণীজগতের অন্যতম বিস্ময়কর প্রাণী। চতুরতার জন্য এই প্রাণীরা বিশেষভাবে পরিচিত। এরা সেফলপোডা গোত্রের প্রাণী। এরা আসলে মাছ নয়। এদের বলে মোলাক্স বা শামুক জাতীয় প্রাণী। এরা অত্যন্ত নরম দেহের দৈত্যাকৃতির প্রাণী। এদের আটটি হাত রয়েছে। এদের দাঁতের সামনে একটি শোষক আছে। তারা এই শোষকের সাহায্যে তাদের শিকারটিকে ধরে থাকে। এই শোষকের আকার সাধারণত ১৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ক্যাটল ফিশের সমস্ত শরীর ম্যান্টল দিয়ে আবৃত থাকে। ম্যান্টল হল এক প্রকার বিশেষ থলি। সামনের দিকে মাথা ও টেন্টাকল নামক সরু এবং নরম অঙ্গ ম্যান্টল থেকে বাইরে প্রসারিত হয়। শরীরের গা ঘেঁষে থাকে দুইটি পাখনা। এদের দুইটি টেন্টাকল রয়েছে। কাটল ফিশের তিনটি আলাদা আলাদা হৃৎপিণ্ড থাকে। দুইটি হৃৎপিণ্ড কানকোর গোঁড়ায় থাকে। এই দুইটির কাজ হলো সমস্ত দূষিত রক্তকে পাম্প করে কানকোয় নিয়ে যাওয়া। কানকোয় পৌঁছে তাদের দূষিত রক্ত অক্সিজেন শোষণ করে। তারপর সেই রক্ত তৃতীয় হৃৎপিণ্ডে চলে যায়। তৃতীয় হৃৎপিণ্ডটি সেখান থেকে রক্ত প্রাণীটির সারা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সঞ্চালিত করে।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণীর পায়ে কান থাকে? উত্তর খুব সহজ, কিন্তু জানে না অনেকেই Gallery August 3, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে নিয়ে প্রশ্ন প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি যাক উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। বলুন তো, পৃথিবীতে কোন প্রাণীর কান পায়ে থাকে? National Geographic এর ডকুমেন্টারি অনুযায়ী, ঘাসফড়িং এবং পঙ্গপাল এদের পায়ে কান থাকে। আরও ভাল করে বললে এদের সকলের হাঁটুকে থাকে কান। ঘাসফড়িং বা পঙ্গপালদের কানটি সামনে পায়ে অবস্থিত এবং এটি চারটি অ্যাকোস্টিক ইনপুট সহ একটি সাউন্ড রিসিভার থাকে। এর মাধ্যমেই এরা বাহ্যিক আওয়াজ শুনে থাকে।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণীর হৃৎপিন্ড মাথায় থাকে? উত্তর দিতে ব্যর্থ ৯০ শতাংশ Gallery August 2, 2024 Bangla Digital Desk আমরা জানি যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জেনারেল নলেজ হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো চাকরির পরীক্ষাতে জিকে নিয়ে প্রশ্ন প্রায়শই এসে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি জেনে রাখা উচিত। এগুলি যেমন নলেজ বাড়াতে সাহায্য করে তেমন দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যগুলি জানা যায়। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন একটি প্রশ্নটি নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি সেটি খুব চেনা একটি প্রশ্ন, কিন্তু তারপরও অনেকেই এর উত্তর দিতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। বলুন তো, কোন প্রাণীর হৃৎপিন্ড মাথায় থাকে? এই প্রাণীটি আমাদের সকলেরই খুবই পরিচিত। বাঙালির হেঁশেলে খুব পরিচিত ও নানারকনের সুস্বাদু পদও হয়ে থাকে এই প্রাণীটিকে দিয়ে। উত্তর হল ছোট চিংড়ি, ইংরেজিতে যাকে বলে Shrimp। একে বাগদা চিংড়িও বলা হয়ে থাকে। এই ছোট আকারের চিংড়ির হৃদযন্ত্র বা হার্ট থাকে মাথায়। শ্রিম্প বা ছোট চিংড়ির শরীরের দুটো ভাগ হয়– মাথা ও লেজ। হৃদযন্ত্রটি অবস্থিত থোর্যাক্স অঞ্চলে, ঠিক মাথার উপরে। মাথা ও থোর্যাক্স ঢাকা থাকে একটিই এক্সোস্কেলিটন দিয়ে।
পাঁচমিশালি Knowledge Story: বলুন তো, কোন জায়গায় ঘড়িতে কখনও ১২টা বাজে না? উত্তর জানলে চমকে যাবেন Gallery August 2, 2024 Bangla Digital Desk এ বিশ্বে অনেক কিছু রয়েছে যা আমাদের অজানা। আর অজানাকে জানার কৌতুহল সকলেরই রয়েছে। বলুন তো দেখি, এ বিশ্বে কোন শহরে এমন ঘড়ির ব্যবহার করা হয় যেখানে কখনও ১২টা বাজে না? ১১টা-তেই শেষ ঘড়ির কাটা। ঘড়িতে ১২ ঘণ্টা থাকবে এমনটা দেখেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু যদি সেখানে ১১ ঘণ্টা থাকে তা দেখলে অবাক হওয়ারই মত। আর তেমনই ঘড়ি রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমের শহর সোলোথার্নে । যেখানে কখনই ১২টা বাজে না। জানা গেছে, সোলোথার্নে ঘুরতে গিয়ে পর্যটকেরা কিছু সময়ের জন্য থমকে যান শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কয়ারের সামনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে। সেই ঘড়িতে আছে ১১টি সংখ্যা। অর্থাৎ কখনো ১২টা বাজে না এই ঘড়িতে। শুধু ঘড়ি নয়, এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটার সম্পর্ক একটু বেশিই নিবিড়। শহরের কমবেশি সবকিছুর সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। যেমন এই শহরে রয়েছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝরনা-সহ আরও অনেক কিছু। প্রায় ২০০০ বছর আগে রোমানরা সোলোথার্নে শহরের পত্তন করেছিলেন। যদিও তখন এতটা জনপ্রিয় ছিল না ওই শহর। তবে যত দিন গিয়েছে এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে কাকতালীয়ভাবে। ১২১৫ সালে যখন সোলোথার্নে কাউন্সিলর নির্বাচনে হয়, তখন ১১ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৪৮১ সালে সোলোথার্ন সুইস কনফেডারেশনের ১১ তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয়। ওই সময় ১১ জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল। এর পর ১৫ শতকের শুরুর দিকে শহরে সেন্ট আরসুস গির্জা নির্মাণ করা হয়। সেই গির্জায় রয়েছে ১১টি দরজা, ১১টি জানলা, ১১টি সারি এবং ১১টি ঘণ্টা। ওই গির্জা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ১১ রকমের পাথর। এই শহরের ১১ সংখ্য়ার সঙ্গে এমন নিবিড় সম্পর্কের জন্যই এই ঘড়ি বলে মনে করা হয়। যদিও ১২-র কাঁটা না থাকার আসল কারণ সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে আজও এই ঘডি বিস্ময় হয়ে থেকে গিয়েছে।
পাঁচমিশালি Microwave: একটি মাইক্রোওয়েভ বানিয়েছে চিন, তা নিয়েই আতঙ্কে সব দেশ! কেন? ঘটনা শুনে ভয়ে শিউরে উঠছেন সকলে Gallery August 2, 2024 Bangla Digital Desk প্রযুক্তিতে বরাবরই বাকি বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে চিন। আর এই প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন নতুন সব অস্ত্র উদ্ভাবনও দেশটির জন্য নতুন নয়। এবার ‘হাই–পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ’ বা এইচপিএম নামে নতুন এক অস্ত্র উদ্ভাবন করেছে বেইজিং। বলা হচ্ছে, এই অস্ত্রের মাধ্যমে যে কোনও ড্রোন অকেজো করার পাশাপাশি বিকল করে দেওয়া যাবে সামরিক আকাশযান এবং স্যাটেলাইটও। সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হাই–পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ স্টার্লিং ইঞ্জিনের মাধ্যমে কাজ করে। এতে এই ধরনের মোট চারটি ইঞ্জিন রয়েছে। এসব ইঞ্জিনের মাধ্যমে থার্মাল এনার্জিকে মেকানিক্যাল এনার্জিতে রূপান্তরিত করা যাবে। এর মাধ্যমে তৈরি করা হবে বিশেষ ওয়েভ। আর সেই ওয়েভ বা তরঙ্গের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা যাবে শক্তিশালী ড্রোন, আকাশযান ও স্যাটেলাইট। এই প্রথম এই ধরনের কৌশল ব্যবহার করে অস্ত্র বানানো হয়েছে বলে ঘোষণা করল কোনও দেশ। আর সেই ওয়েভ বা তরঙ্গের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা যাবে শক্তিশালী ড্রোন, আকাশযান ও স্যাটেলাইট। এই প্রথম এই ধরনের কৌশল ব্যবহার করে অস্ত্র বানানো হয়েছে বলে ঘোষণা করল কোনও দেশ। তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। এছাড়া আরও কিছু ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বও রয়েছে। এ অবস্থায় চিনে বিশেষ ধরনের অস্ত্র রফতানি নিষিদ্ধ করেছে ওয়াশিংটন। এই কারণে বিকল্প ধরনের অস্ত্র বানাচ্ছে শি’র দেশ। বিশ্লেষকদের মতে, লেসার ও এইচপিএম হচ্ছে ভবিষ্যতের শক্তিশালী অস্ত্র। আর ভবিষ্যতের লড়াইটা হবে অ্যান্টি–ড্রোন ও অ্যান্টি–স্যাটেলাইট কেন্দ্রীক। এ কারণে গত বছরই এ ধরনের অস্ত্র বানানো শুরু করে চিন। অস্ত্রের আকার ও ওজন কম থাকা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা এই ধরনের অত্যাধুনিক যন্ত্রে সহজ ব্যাপার। তাইওয়ানে হামলা করার চিন্তাভাবনা থেকেই চিন এই লেসার ও এইচপিএম অস্ত্র বানাতে শুরু করেছে বলে ধারণা অনেকের। এছাড়া বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অস্ত্রের মাধ্যমে আমেরিকাকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
পাঁচমিশালি GK: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যাদের পুরুষরা সন্তানের জন্ম দেয়! বলুন তো কোন প্রাণী, শুনে কিন্তু চমকে উঠবেনই Gallery August 2, 2024 Bangla Digital Desk আমাদের সাধারণ অভিজ্ঞতা হলো, সন্তান ধারণ, লালন-পালন এসব মায়েরাই করেন। দীর্ঘ সময় সন্তান পেটে ধারণ করা এবং নির্দিষ্ট সময় পর তীব্র প্রসব বেদনা সহ্য করে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান মা। এরপর রক্ত জল করা পরিশ্রম দিয়ে সেই সন্তানকে লালন পালন ও নিরাপত্তা দিয়ে আগলে রাখেন। এই কারণেই বিশ্বের সব সমাজেই মাকে নিয়ে এত মাহাত্ম্যগাঁথা। কিন্তু প্রকৃতিতে এটাই পরম ধারণা নয়। একটি প্রাণীর ক্ষেত্রে গর্ভধারণ করে পুরুষ প্রজাতি। নারীর মতোই নির্দিষ্ট সময় ছানাগুলোকে পেটের মধ্যে রাখে। এরপর দীর্ঘ প্রসব বেদনা সহ্য করে সন্তান জন্ম দেয়। আবার বেশ কিছু পাখি প্রজাতি আছে যাদের ক্ষেত্রে ডিমে তা দেওয়া, এরপর ছানার জন্য খাবার সংগ্রহ, নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে পুরুষেরা। তবে পুরুষ প্রজাতির গর্ভে সন্তান ধারণের ঘটনা বিরলই। প্রাণী জগতে একটিমাত্র পরিবারে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। সিংনাথিডি পরিবারের একটি মৎস্য গোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষেরা গর্ভে সন্তান ধারণ করে। এরা মূলত সি-হর্স এবং এই জাতীয় মৎস্য যেমন পাইপ ফিশ এবং সি-ড্রাগন। এরা সবাই সামুদ্রিক প্রাণী। সারা বিশ্বেই সামুদ্রিক অঞ্চলে কমবেশি এসব প্রাণী দেখা যায়। এদের শরীরের গঠনও অনন্য। এই গঠনের কারণেই শিশু ধারণ ও লালন পালনের দায়িত্ব নারীর কাছ থেকে পুরুষের কাছে স্থানান্তরিত হয়। প্রথমে স্ত্রী প্রাণীটি পুরুষ প্রাণীটির পেটে ডিম স্থানান্তর করে। এর মধ্যে সি-হর্সের পেটে বিশেষ থলি আছে, যেখানে সেটি ডিমগুলো তা দিতে পারে। ডিমগুলো নিষিক্ত হয় পুরুষের দেহেই। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ডিমে তা দেয়। এই সময়টাতে ডিমে পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করে এবং ছানা ফুটে বের হওয়ার পর জীবাণু থেকে রক্ষা করার সব ব্যবস্থা নেয়। সি-হর্সের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়া ও প্রসব পর্যন্ত দুই থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। প্রসবের দৃশ্যটা খুবই মজার। একটি সি-হর্স এক সঙ্গে ৫০ থেকে ১ হাজার ছানার জন্ম দেয়। এই প্রসব বেদনাটা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। জন্মের দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ছানাগুলো সমুদ্রের প্ল্যাঙ্কটনের সঙ্গে ভেসে বেড়ায়। এই সময় শিকারি প্রাণীর কবলে পড়ার ভয় থাকে বেশি। দেখা যায় হাজারে মাত্র একটা সি-হর্স ছানা বয়ঃপ্রাপ্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। অপরদিকে পাইপ ফিশের ক্ষেত্রে পদ্ধতিটা একটু আলাদা। সি-হর্সের মতোই এদের মুখ এবং ক্ষুদ্র শরীর। তবে সি-হর্সের চাইতে বেশি লম্বা। সি-হর্সের মতোই স্ত্রী পাইপ ফিশ পুরুষের জনন থলিতে ডিম পাড়ে। এটি থাকে তাদের মাথার কাছে। থলিতে ডিমগুলো নিষিক্ত হয় এবং দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ডিমে তা দেয় পুরুষ পাইপ ফিশ। এরপরই বাচ্চা ফুটে বের হয়। পুরুষ পাইপ ফিশ তাদের জনন থলিতে ৫ থেকে ৪০টি ছানা ধারণ করতে পারে। পাইপ ফিশের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম এবং মজার বৈশিষ্ট্য হল- একেক বাচ্চার জন্য একেক ধরনের যত্নআত্তি নেয়। যে স্ত্রী পাইপ ফিশ থেকে ডিম এসেছে তাকে যদি পছন্দ না হয় তাহলে ছানাগুলোর খুব একটা যত্ন নেয় না পুরুষটি। বড়, আকর্ষণীয় স্ত্রীর ডিম ও বাচ্চার জন্য পুরুষটি বেশি পুষ্টি সরবরাহ করে ও যত্নআত্তি নেয়। ছানা যদি সুস্থ সবল হয় তাহলে সেটির প্রতি তেমন একটা আর খেয়াল দেয় না।
পাঁচমিশালি GK: মানুষের চিহ্ন মুছে গেলেও পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে একটি মাত্র প্রাণী! বলুন তো, কোন প্রাণী? শুনে কিন্তু চমকে উঠবেন Gallery August 1, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবী থেকে মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পরেও বেঁচে থাকবে হাফ মিলিমিটারের একটা প্রাণী। সূর্য মরা না পর্যন্ত মরবে না এই প্রাণীটি। ৩০ বছর খাবার ও জল ছাড়া দিব্যি বাঁচতে পারে এই প্রাণীটি। ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট উত্তাপ এবং -৪৫৭ ডিগ্রি ঠান্ডাও গায়ে আঁচড় কাটতে পারবে না এই প্রাণীটির। পৃথিবী ধ্বংসের ঠিক আগে পর্যন্ত বেঁচে থাকবে কে? মানুষের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হওয়ার পরেও কি প্রাণ থাকবে? যতক্ষণ না সূর্য তার গনগনে তাপ হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়বে, ততক্ষণ বেঁচে থাকবে এই একটি মাত্র প্রাণীই। আট পেয়ে ওই প্রাণীর নাম টার্ডিগ্রেড। বাংলায় বলা হয় জল-শূকর। পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে এই প্রাণীটি। একটা জল-শূকরের এত ক্ষমতা? ৩০ বছর খাবার ও জল ছাড়া দিব্যি বাঁচতে পারে এই প্রাণী। ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট উত্তাপ এবং -৪৫৭ ডিগ্রি ঠান্ডাও গায়ে আঁচড় কাটতে পারবে না জল-শূকরের। মাত্র ০.৫ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এই জল-শূকর। ফুটন্ত জলে সেদ্ধ হোক বা ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেওয়া হোক, তার পরেও ২০০ বছর বেঁচে থাকবে এই প্রাণী। কোনও গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে সব কিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। সুপারনোভার আকারে তারার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। গামা রশ্মির বিস্ফোরণে ধ্বংসের বীজ পোঁতা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একা কুম্ভের মতো জেগে থাকবে জল-শূকর। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বড় কঠিন প্রাণ এই জল-শূকরের। ভয়ানক ডাইনোসরের চেয়েও বেশি।