Tag Archives: Jamaisashthi 2024

Litchi Kheer Easy Recipe: ঘন ক্ষীরের পাকে লিচুর নরম শাঁস! জামাইষষ্ঠীতে বাড়িতেই বানান লিচুর পায়েস

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: লিচুর পায়েস! এই জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের সেরা পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন সুস্বাদু লিচু পায়েস। জামাইষষ্ঠী মানেই ভূরিভোজের এলাহী আয়োজন। ফল মিষ্টি থেকে জামাইয়ের পাতে মরশুমের প্রথম ইলিশ-এই দিন বাঙালি বাড়িতে নানা ভাবে জামাইয়ের খাতির যত্ন হয়ে থাকে। এই গরমের মরশুমি ফল লিচু দিয়ে তৈরি পায়েস সহজেই মন ভরবে।

জামাইষষ্ঠী ছাড়াও যে কোনও দিন খুব সামান্য সময়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে এই লিচুর সুস্বাদু পায়েস। এই পায়েস তৈরিতে প্রয়োজন নামমাত্র কয়েকটি উপকরণ। বড় সাইজের ১২-১৫ টি লিচু, ১ লিটার দুধ ও ৪ চামচ গুঁড়ো দুধ, চালের গুঁড়ো বা সুজি, এক চামচ ঘি, এবং চিনি, কাজু কিশমিশ ও খোয়া ক্ষীর।

আরও পড়ুন : আয় বৃষ্টি ঝেঁপে! আজ থেকে উত্তরবঙ্গের এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ! জানুন আপডেট

প্রথমে পাত্রে ঘি দিয়ে চালের গুঁড়ো ভেজে নেওয়া। এরপর দুই রকম দুধ মিশিয়ে ক্ষীর তৈরি করতে হবে, ক্ষীর পাতলা অবস্থায় অর্ধেক পরিমাণ তুলে নিয়ে, বাকিটা কড়া পাকে ক্ষীর বানিয়ে নেওয়া। অন্যদিকে লিচুর খোলা ছাড়িয়ে দানা বের করে রাখুন। কড় পাকে ক্ষীর রেডি হলে লিচুর বীজের স্থানে ক্ষীর ভরে দিন।

এ বার একটি পাত্রে লিচু সাজিয়ে তার উপর পাতলা ক্ষীর ঢেলে দিন। তারপর কাজু কিশমিশ সাজিয়ে উপর থেকে খোয়া ক্ষীর ছড়িয়ে দিন। অল্প সময়েই তৈরি লিচুর পায়েস। এই লিচুর পায়ের মুখে দিলে তার স্বাদ লেগে থাকবে। যেমন এর স্বাদ অতুলনীয়, পায়েস আরও বেশি সৌন্দর্য বাড়াতে হলে গোলাপফুলের পাপড়ি এবং কেশর দিয়ে সাজানো যেতে পারে।

Jamaisashthi 2024 Date and Time: রাত পোহালেই জামাই-আপ্যায়ন! বুধবার কত ক্ষণ থাকছে ষষ্ঠী তিথি? শাশুড়িরা জানুন নির্ঘণ্ট

বুধবার জামাইষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠমাসের শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে সন্তানাদির সঙ্গে আপ্যায়ন করা হয় বাড়ির জামাইকেও।
বুধবার জামাইষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠমাসের শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে সন্তানাদির সঙ্গে আপ্যায়ন করা হয় বাড়ির জামাইকেও।

 

এই তিথিতে মা ষষ্ঠীর থানে পুজো দেওয়ার পর সন্তান সন্ততি ও জামাইয়ের হাতে বেঁধে দেওয়া হয় তেলেহলুদে ছোপানো সুতো।
এই তিথিতে মা ষষ্ঠীর থানে পুজো দেওয়ার পর সন্তান সন্ততি ও জামাইয়ের হাতে বেঁধে দেওয়া হয় তেলেহলুদে ছোপানো সুতো।

 

ব্রতকথা পাঠ করার পর তালপাতার পাখার সঙ্গে গুচ্ছ বাঁধা ভিজে দূর্বাঘাসের সুশীতল বাতাস দেওয়া হয়।
ব্রতকথা পাঠ করার পর তালপাতার পাখার সঙ্গে গুচ্ছ বাঁধা ভিজে দূর্বাঘাসের সুশীতল বাতাস দেওয়া হয়।

 

দৃকসিদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল ৫.২৮ মিনিটেই শুরু হচ্ছে ষষ্ঠী তিথি।
দৃকসিদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল ৫.২৮ মিনিটেই শুরু হচ্ছে ষষ্ঠী তিথি।

 

অরণ্যষষ্ঠী বা জামাইষষ্ঠী তিথি থাকবে বুধবার সন্ধ্যা ৭.১৬ মিনিট পর্যন্ত।
অরণ্যষষ্ঠী বা জামাইষষ্ঠী তিথি থাকবে বুধবার সন্ধ্যা ৭.১৬ মিনিট পর্যন্ত।

 

দীর্ঘ ক্ষণ পর্যন্ত জামাইষষ্ঠী তিথি থাকায় শাশুড়িরা অনেক সময় পাচ্ছেন জামাইকে যত্ন করে আপ্যায়ন করার।
দীর্ঘ ক্ষণ পর্যন্ত জামাইষষ্ঠী তিথি থাকায় শাশুড়িরা অনেক সময় পাচ্ছেন জামাইকে যত্ন করে আপ্যায়ন করার।

Jamai Sasthi Weather Update: আর দু’দিন পরেই জামাইষষ্ঠী…! গরমের জ্বালাপোড়াই থাকবে নাকি বৃষ্টিস্নাত হবে বাংলা? হাওয়া অফিসের ‘বিরাট’ আপডেট

আসছে জামাইষষ্ঠী৷ ষষ্ঠীর রীতি পালনে বাঙালি বারাবরই এগিয়ে৷ আর কথায় আছে জামাই আদর৷৷ ফলে জামাইষষ্ঠীর এই নিয়মে যেন একটু বেশিই আয়োজন৷ জামাইষষ্ঠী শুধু জামাইয়ে বসিয়ে, আদর-যত্নে নানা পদ খাওয়ানো নয়, এর পিছনে রয়েছে অনেক নিয়মকানুন৷ বিভিন্ন আাচর পালনের মাধ্যমে হয় জামাইষষ্ঠী৷
আসছে জামাইষষ্ঠী৷ ষষ্ঠীর রীতি পালনে বাঙালি বারাবরই এগিয়ে৷ আর কথায় আছে জামাই আদর৷৷ ফলে জামাইষষ্ঠীর এই নিয়মে যেন একটু বেশিই আয়োজন৷ জামাইষষ্ঠী শুধু জামাইয়ে বসিয়ে, আদর-যত্নে নানা পদ খাওয়ানো নয়, এর পিছনে রয়েছে অনেক নিয়মকানুন৷ বিভিন্ন আাচর পালনের মাধ্যমে হয় জামাইষষ্ঠী৷
বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। ছোট থেকে বড়, যেরকম উৎসবই হোক না কেন, পাত পেড়ে অতিথিকে বসিয়ে খাওয়ানোটা সবেতেই দেখা যায়। আর কয়েক মাস বাদেই তেমন এক উৎসব আসছে। এক দিনের উৎসব হলেও খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করতে অনেক বাঙালি মা-ই দু’তিনদিন ব্যয় করেন।
বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। ছোট থেকে বড়, যেরকম উৎসবই হোক না কেন, পাত পেড়ে অতিথিকে বসিয়ে খাওয়ানোটা সবেতেই দেখা যায়। আর কয়েক মাস বাদেই তেমন এক উৎসব আসছে। এক দিনের উৎসব হলেও খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করতে অনেক বাঙালি মা-ই দু’তিনদিন ব্যয় করেন।
আপাতত সবার প্রশ্ন একটাই। আর সেটা হল জামাইষষ্ঠীতে কেমন থাকবে আবহাওয়া
আপাতত সবার প্রশ্ন একটাই। আর সেটা হল জামাইষষ্ঠীতে কেমন থাকবে আবহাওয়া
বর্ষা আসতে এখনও দেরি। তার আগে আরও এক দফা গরমে পুড়ছে বঙ্গবাসী। গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চলছে।
বর্ষা আসতে এখনও দেরি। তার আগে আরও এক দফা গরমে পুড়ছে বঙ্গবাসী। গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চলছে।
বাংলাজুড়ে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।বর্ষার ঢোকার এখনও সম্ভাবনা নেই। ১৪ তারিখ পর্যন্ত বর্ষা আসছে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বাংলাজুড়ে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। বর্ষার ঢোকার এখনও সম্ভাবনা নেই। ১৪ তারিখ পর্যন্ত বর্ষা আসছে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আগামী বুধবার জামাইষষ্ঠী। আবহবিদদের অনুমান, এই গরম আরও বাড়বে জামাইষষ্ঠীতে। তাপপ্রবাহও জারি থাকবে পশ্চিমের একাধিক জেলায়।
আগামী বুধবার জামাইষষ্ঠী। আবহবিদদের অনুমান, এই গরম আরও বাড়বে জামাইষষ্ঠীতে। তাপপ্রবাহও জারি থাকবে পশ্চিমের একাধিক জেলায়।
উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ু ঢুকেছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। ১৩ তারিখ দক্ষিণের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ু ঢুকেছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। ১৩ তারিখ দক্ষিণের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমীবায়ু দেরিতে প্রবেশ করেছে।১৪ তারিখ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া দক্ষিণের সব জেলায়।
দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমীবায়ু দেরিতে প্রবেশ করেছে। ১৪ তারিখ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া দক্ষিণের সব জেলায়।
পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ চলবে আগামী ৩ দিন।গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তীব্র গরম সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি সব জেলায়। ১৪ তারিখ থেকে তাপমাত্রা কমবে। ১৪ তারিখ থেকে ১৬ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ চলবে আগামী ৩ দিন। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তীব্র গরম সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি সব জেলায়।
১৪ তারিখ থেকে তাপমাত্রা কমবে। ১৪ তারিখ থেকে ১৬ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, এক ধাক্কায় কলকাতার তাপমাত্রা বাড়ল চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। চল্লিশের কাছাকাছি কলকাতা। দক্ষিণবঙ্গে সোমবার ও মঙ্গলবার চরমে অস্বস্তি। আগামী তিন দিন শুষ্ক আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে।
আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, এক ধাক্কায় কলকাতার তাপমাত্রা বাড়ল চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। চল্লিশের কাছাকাছি কলকাতা। দক্ষিণবঙ্গে সোমবার ও মঙ্গলবার চরমে অস্বস্তি। আগামী তিন দিন শুষ্ক আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে।
উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারত পর্যন্ত হিট ওয়েভ রয়েছে। উত্তর-পশ্চিমের গরম হাওয়া ঢুকছে বাংলায়। বাঁকুড়া পশ্চিম বর্ধমান-সহ পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৪ ডিগ্রি ছুঁতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারত পর্যন্ত হিট ওয়েভ রয়েছে। উত্তর-পশ্চিমের গরম হাওয়া ঢুকছে বাংলায়। বাঁকুড়া পশ্চিম বর্ধমান-সহ পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৪ ডিগ্রি ছুঁতে পারে।
তীব্র গরমের দাপট চলছে সর্বত্র। গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম এই সমস্ত জেলায়।
তীব্র গরমের দাপট চলছে সর্বত্র। গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম এই সমস্ত জেলায়।
দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এখনই কমছে না গরম। তেমনটাই জানাল হাওয়া অফিস।
দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এখনই কমছে না গরম। তেমনটাই জানাল হাওয়া অফিস।

Market Ownership Problem: জামাইষষ্ঠীর বেচাকেনা পণ্ড, বাজারের মালিকানা নিয়ে সাতসকালে দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার

নদিয়া: একদিন বাদেই জামাইষষ্ঠী। এইসময় আম, কাঁঠাল, লিচু সহ নানান ফল, নানান টাটকা আনাজ, দই-মিষ্টি সবকিছুরই চাহিদা তুঙ্গে। ব্যবসায়ীরাও এই সময় পসরা সাজিয়ে প্রতীক্ষায় থাকেন ভাল বিক্রি বাটা হওয়ার আশায়। কিন্তু সেসব দুর অস্ত, সকাল হতেই শান্তিপুর রেল বাজার বোস মার্কেটে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বাজারের মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোলে পণ্ড হয়ে গেল যাবতীয় ব্যবসা।

নদিয়ার এই বাজারে প্রায় দু’শো দোকানদার আছেন। তাঁদের কেউ ৪০-৫০ বছর ধরে, আবার কেউ কেউ তারও বেশি সময় ধরে বংশপরম্পরায় এখানে ব্যবসা করছেন। ২০১১ সালে স্থানীয় অসিত ঘোষ (ওরফে বেচা) নামে এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী দাবি করেন, গোটা বাজার তিনি কিনে নিয়েছেন। তারপর থেকেই চলছে আইনি লড়াই। গত বছরেও জামাইষষ্ঠীর আগের দিন চলেছিল ডামাডোল, এইবছর একই পরিস্থিতি তৈরি হল।

আর‌ও পড়ুন: লোকালয়ে চিতাবাঘ! আতঙ্ক ছড়াতেই খাঁচা পাতল বন দফতর

বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, এদিন সকালে রোজের মতই তাঁরা কারবার শুরু করেছিলেন। সেই সময় পুরোহিত নিয়ে এসে অসিত ঘোষ ভিত পুজো চেষ্টা করেন। তাতে আপত্তি জানান ব্যবসায়ীরা‌। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়, হয় হাতাহাতি। বাজারের বিক্রেতাদের মধ্যে এক মহিলা সহ দুই পুরুষ ব্যবসায়ী মার খান বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চলা সমস্যার সমাধানের জন্য আজ সকালে বাজারে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু বেশকিছু ব্যবসায়ী তাঁদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। গোটা বিষয়টা বাজারের কাছের একটি বিল্ডার্সের দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধরা আছে বলে দাবি করা হয়।

এদিকে বিতর্কিত ওই বাজারের মালিক বলে দাবি করা অসিত ঘোষ বলেন, ২০০২ সালে এই বাজার কেনার সময় তৎকালীন বাজার কমিটির সভাপতি, সম্পাদক সহ অনেকেরই সই স্বাক্ষর আছে। কিন্তু ২০১১ সালে হঠাৎ কেন আমার বিরুদ্ধে কিছু ব্যবসায়ী আদালতে গেল তা জানি না। তবে আইনি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজে পরিদর্শনে এসে কাজ করার অনুমতি দিয়ে গেছেন বলে তিনি দাবি করেন। সেই নির্দেশ মেনেই আজ কাজ করতে গিয়ে বাধা পান বলে অসিত ঘোষের অভিযোগ।

এই গোটা ঘটনায় শান্তিপুর কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এবং নদিয়া জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ট্রেডের সহ-সম্পাদক অরুণ কুমার ঘোষকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলে খবর। এদিকে রেলবাজার ব্যবসায়িক কল্যাণী সমিতির সভাপতি সনাতন পালের দাবি, মালিকানার বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন। ফলে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে ভিত পুজো করা ঠিক নয় বলে তিনি জানান। পাশাপাশি তাঁর দাবি, অসিত ঘোষ বহিরাগতদের নিয়ে এসে বাজারের ব্যবসায়ীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেন।

দু’পক্ষই বিষয়টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়। এই সমস্যাটি আপাতত জেলা প্রশাসনের উচ্চস্তর থেকে দেখা হচ্ছে বলে খবর।

মৈনাক দেবনাথ

Jamaisashthi Special Lal Doi Easy Recipe: জামাইষষ্ঠীর ভূরিভোজে বাড়িতেই বানান ঘন সুস্বাদু লাল দই! রইল সহজ রেসিপি

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের জন্য বাড়িতে বানিয়ে নিন সুস্বাদু লাল দই! দই খেতে কে না পছন্দ করে! আবার সেই দই যদি হয় লাল দই, তাহলে তো আর কথা নেই। মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির অতি পছন্দের খাবার এই দই। বেশ কয়েকটি উৎসব আবার এই দই ছাড়া বেমানান। তেমনি একটি উৎসব হল বাঙালির জামাইষষ্ঠী। সারা বছর জামাইদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জ্যৈষ্ঠমাসে আসে জামাই ষষ্ঠী। এই জামাইষষ্ঠী মানে আম কাঠাল কলা লিচুর চিঁড়ে- মুড়কির সঙ্গে দই। এছাড়াও শ্বশুরবাড়িতে জামাই এর জন্য হয়ে থাকে এলাহি আয়োজন। ষষ্ঠী উপলক্ষে জামাইয়ের জন্য ভাল বা নামিদামী দোকানের দই খোঁজ করেন শ্বশুর শাশুড়ি। সেই দিক থেকে এবার জামাইয়ের জন্য নিজে হাতে লাল দই বানিয়ে ফেলতে পারেন। যে দই হার মানাবে দোকানের দইকে।

উপকরণ 

লাল দই তৈরির জন্য সামান্য কয়েকটা উপকরণ। আর সহজ পদ্ধতিতেই সুস্বাদু লাল দই তৈরি করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন, দুধ, চিনি এলাচ, গুঁড়ো দুধ, টক দই এবং মাটির হাঁড়ি। এক লিটার বা এক কেজি দুধের দই তৈরি করতে প্রয়োজন প্রায় ১২৫ গ্রাম চিনি।

আরও পড়ুন : মেয়ে জামাই আসছে জামাইষষ্ঠীতে? তাঁদের মঙ্গলকামনায় ডালায় রাখুন এই সাদা মিষ্টি ও এই গাছের পাতা

পদ্ধতি

প্রথমে দুধ ঘন করে ফুটিয়ে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে টক দই জল ঝরিয়ে নিয়ে, শুকনো ঝরঝরে নিতে হবে। এবার পাত্রে অল্প পরিমাণ জল দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম চিনি জলে দিয়ে আগুনে ক্যারামেল কালার করে নিন। তাতে জ্বাল দেওয়া দুধ ঢেলে দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে কয়েকটা এলাচ ও পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে আবারও ভাল করে জ্বাল দিয়ে দুধ নামিয়ে নিন। এবার নতুন হাঁড়ি পরিষ্কার করে নিন। পাত্রে জল ঝরানো দই ভাল করে মাখিয়ে নিন। তার পর হাতসওয়া গরম দুধ নতুন হাঁড়িতে উপর থেকে ঢেলে হাঁড়ির উপর টিস্যু পেপার জড়িয়ে তার উপর তোয়ালে জড়িয়ে গরম জায়গায় ৬-৮ ঘন্টা রাখলেই দই জমে যাব। এরপর  ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা জমাট বাঁধা পরিবেশন করুন।

Hand Fan: জামাইষষ্ঠী এলেই কদর বাড়ে এই পাখার, এখন দাম কত জানেন?

জলপাইগুড়ি: তাল পাতার পাখা নাকি প্লাস্টিকের পাখা, জামাইষষ্ঠীতে বাজিমাত করবে কে? বছরের ঠিক এই সময়টায় হঠাৎ করেই অনেকটা কদর বেড়ে যায় হাতপাখার। আর সেইটা নিয়েই প্রতিযোগিতা চলে পুরনো তালপাতার হাতপাখা ও আধুনিক প্লাস্টিকের তৈরি হাত পাখার মধ্যে।

আর ক’দিন পরেই জামাইদের পার্বণ। কোঁচা বেঁধে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হবেন জামাইরা। শ্বশুর বাড়িতে এই দিন জামাইয়ের জন্য থাকে এলাহি ব্যবস্থা। সঙ্গে ফল, মিষ্টি থেকে শুরু করে নানান সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। তীব্র গরমে জামাইকে স্বস্তি দিতে থাকে হাত পাখার শীতল বাতাস। তাই শ্বশুর বাড়িতে জামাইয়ের জন্য একখানা হাতপাখা রাখা পুরা কালের ঐতিহ্য। আগে সেই পাখা ছিল একেবারে অনন্য সাজে বিভিন্ন নকশায় কারুকার্যময় তালপাতার পাখা। তবে দিনকাল বদলেছে। তাই এখন অনেকে প্লাস্টিকের হাতপাখা দিয়েই কাজ সেরে ফেলেন।

আর‌ও পড়ুন: চলন্ত বাস থামিয়ে যান পুজো! এই লৌকিক দেবীর মাহাত্ম্য অবাক করবে

তবে আজও শাশুড়িদের মধ্যে প্রবণতা থাকে তালপাতার পাখা দিয়ে জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে হাওয়া করার। এ বছর জলপাইগুড়ির বাজারে জামাইষষ্ঠীর আগেই রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে তালপাতার হাত পাখা। ৩০ টাকা দরে দেদার বিক্রি হচ্ছে এই পাখা। পাল্লায় অবশ্য খুব একটা পিছিয়ে নেই প্লাস্টিকের পাখাও। মাত্র ১০ টাকা দাম সেই পাখার। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বছরে অন্য সময় চাহিদা না থাকলেও জামাইষষ্ঠীর আগে কদিন অন্তত প্লাস্টিকের হাতপাখা প্রতিযোগিতায় হেরে যায় তালপাতার তৈরি হাতপাখার কাছে। ফলে হাসি ফোটে বিক্রেতাদের মুখেও।

সুরজিৎ দে

Litchi Price before Jamaisashthi 2024: জামাইষষ্ঠীর আগেই সস্তা লিচু! বাজারে যাওয়ার আগে জানুন দরদাম

হরষিত সিংহ, মালদহ: আমের ফলনে ব্যাপক ঘাটতি। সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে লিচু। মালদহের ফুটপাত থেকে বিভিন্ন এলাকায় এখন শুধু দেখা যাচ্ছে লিচুর পশরা। আবার ঠেলাগাড়িতে করেও মালদহ শহরের বাজারে বিক্রি হচ্ছে পাকা লিচু। এই গরমে সস্তায় এবার মিলছে রসাল ফল লিচু। বাজারে দেদার বিক্রি শুরু হয়েছে লিচু। দেশি প্রজাতির গুটি থেকে বোম্বাই প্রজাতির লিচু দেদার বিক্রি হচ্ছে মালদহের বাজারে।

দামেও সস্তা এবার লিচু। কারণ মালদহের বাগানগুলিতে এবার ব্যাপক ফলন হয়েছে এই ফলের। মালদহের লিচু ইতিমধ্যে পাড়ি দিচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা-সহ ভিন রাজ্যে।‌ মালদহের বাজারে মাত্র ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লিচু। তবে গুটি প্রজাতির লিচুর দাম কিছুটা কম হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে পাকতে শুরু করেছে বোম্বাই প্রজাতির লিচু। জামাইষষ্ঠীর আগেই বাজারে অনেকটাই সস্তায় মিলছে লিচু। আগামী কয়েকদিনে বাজারে আরও বেশি পরিমাণে বিক্রি শুরু হবে বোম্বাই প্রজাতির লিচু। মালদহ জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, ‘‘লিচুর ফলন ভাল হয়েছে আর রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনা। বাজারে এখন থেকে কিছু কম দামে বিক্রি হচ্ছে, মালদহের লিচু ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে।’’

আরও পড়ুন : ফলহারিণী অমাবস্যায় এই ৩ ফল দেবীকে নিবেদন করুন, পূর্ণ হবে মনস্কামনা! পাবেন সুখসমৃদ্ধি ও অর্থ

এই বছর লিচুর ফলন বেশি হয়েছে। তাই অনেকটাই সস্তায় মিলছে এবার লিচু। মালদহের কালিয়াচকের তিনটি ব্লকে সব থেকে বেশি লিচুর চাষ হয়। এছাড়াও ইংরেজবাজার, মানিকচক ও রতুয়া ব্লকে লিচুর চাষ হয়ে থাকে। চলতি মরশুম প্রথম থেকেই লিচু চাষের পক্ষে অনুকূল। এই বছর মালদহে লিচুর রেকর্ড ফলন হয়েছে। এই বছর মালদহ জেলায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন লিচুর ফলন হয়েছে। এখন বাগানগুলিতে লিচু পাকতে শুরু করেছে। বিক্রিও শুরু হয়েছে বাজারে। প্রথম দিকে দাম বেশি থাকলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে দাম কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিনে মালদহের বাজারে আরও কম দামে লিচু বিক্রি হতে পারে।

Jamaisashthi Rituals 2024: মেয়ে জামাই আসছে জামাইষষ্ঠীতে? তাঁদের মঙ্গলকামনায় ডালায় রাখুন এই সাদা মিষ্টি ও এই গাছের পাতা

বাঙালির বারো মাসে তেরো ষষ্ঠী পালিত হয় মাসের শুক্ল পক্ষে। জ্যৈষ্ঠ মাসের অরণ্যষষ্ঠী বেশি পরিচিত জামাইষষ্ঠী নামে।
বাঙালির বারো মাসে তেরো ষষ্ঠী পালিত হয় মাসের শুক্ল পক্ষে। জ্যৈষ্ঠ মাসের অরণ্যষষ্ঠী বেশি পরিচিত জামাইষষ্ঠী নামে।

 

অরণ্যষষ্ঠীতে সন্তান সন্ততির সঙ্গে মঙ্গলকামনা করা হয় পরিবারের জামাইয়েরও। ষষ্ঠীর থানে পুজো দেওয়ার পর সকলের সঙ্গে তাঁকেও দেওয়া হয় তালপাতার শীতল বাতাস। হাতে বেঁধে দেওয়া হয় মাঙ্গলিক সুতো।
অরণ্যষষ্ঠীতে সন্তান সন্ততির সঙ্গে মঙ্গলকামনা করা হয় পরিবারের জামাইয়েরও। ষষ্ঠীর থানে পুজো দেওয়ার পর সকলের সঙ্গে তাঁকেও দেওয়া হয় তালপাতার শীতল বাতাস। হাতে বেঁধে দেওয়া হয় মাঙ্গলিক সুতো।

 

জামাইষষ্ঠীতে পুজোর থালা সাজানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পরিবারে একে ষষ্ঠীর বাটা-ও বলা হয়। কিছু পরিবারে বলা হয় ঝুড়ি।
জামাইষষ্ঠীতে পুজোর থালা সাজানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পরিবারে একে ষষ্ঠীর বাটা-ও বলা হয়। কিছু পরিবারে বলা হয় ঝুড়ি।

 

পারিবারিক রীতি মেনে বাঁশের ঝুড়ি বা কাঁসার থালা বা কাঠের পাত্রে সাজানো হয় ষষ্ঠীপুজোর ডালা। তার প্রধান উপকরণ ফল।
পারিবারিক রীতি মেনে বাঁশের ঝুড়ি বা কাঁসার থালা বা কাঠের পাত্রে সাজানো হয় ষষ্ঠীপুজোর ডালা। তার প্রধান উপকরণ ফল।

 

মরশুমি নানা ফলের মধ্যে বৃন্ত-সহ করমচা ও বৃন্ত-সহ খেজুর রাখতেই হবে ডালায়। এছাড়া সিঁদুরের ফোঁটা সমেত ৬ টি কাঁঠালি কলা রাখুন ডালায়। প্রধান উপকরণের মধ্যে পড়ে ৬ টি পান, ৬ টা সুপারি।
মরশুমি নানা ফলের মধ্যে বৃন্ত-সহ করমচা ও বৃন্ত-সহ খেজুর রাখতেই হবে ডালায়। এছাড়া সিঁদুরের ফোঁটা সমেত ৬ টি কাঁঠালি কলা রাখুন ডালায়। প্রধান উপকরণের মধ্যে পড়ে ৬ টি পান, ৬ টা সুপারি।

 

ফলের পরে ষষ্ঠীর ডালায় গুরুত্বপূর্ণ হল ক্ষীরের নাড়ু। মা ষষ্ঠীর উদ্দেশে নিবেদন করুন ৬ টি ক্ষীরের নাড়ু ও দই। অনেক বাড়িতে ক্ষীরের বিড়ালিনীও তৈরি করা হয়।
ফলের পরে ষষ্ঠীর ডালায় গুরুত্বপূর্ণ হল ক্ষীরের নাড়ু। মা ষষ্ঠীর উদ্দেশে নিবেদন করুন ৬ টি ক্ষীরের নাড়ু ও দই। অনেক বাড়িতে ক্ষীরের বিড়ালিনীও তৈরি করা হয়।

 

একটি সাদা কাপড়ে তেল হলুদ লাগিয়ে নিন। তাতে জড়িয়ে রাখুন ৬ টা কচি বাঁশপাতা। নতুন তালপাতার পাখায় সিঁদুরের ফোঁটা অবশ্যই দিন। তেল হলুদ মাখানো হলুদ সুতো পুজোর পর পরিয়ে দিন সন্তান সন্ততি এবং জামাইকে।
একটি সাদা কাপড়ে তেল হলুদ লাগিয়ে নিন। তাতে জড়িয়ে রাখুন ৬ টা কচি বাঁশপাতা। নতুন তালপাতার পাখায় সিঁদুরের ফোঁটা অবশ্যই দিন। তেল হলুদ মাখানো হলুদ সুতো পুজোর পর পরিয়ে দিন সন্তান সন্ততি এবং জামাইকে।

 

 এছাড়াও ৬ টা করে হলুদ মাখানো বট, অশ্বত্থ বা পাকুড় পাতা রাখতে পারেন ষষ্ঠীর ডালায়।
এছাড়াও ৬ টা করে হলুদ মাখানো বট, অশ্বত্থ বা পাকুড় পাতা রাখতে পারেন ষষ্ঠীর ডালায়।

 

অনেক পরিবারে ১০৮ টা দূর্বাঘাস রাখা হয় ডালায়। আবার অনেক জায়গায় ৬০ বা ৬৩ টি দূর্বাঘাস দেওয়া হয়। এটা রাখুন পরিবারিক রীতি ও নিয়ম মেনে।
অনেক পরিবারে ১০৮ টা দূর্বাঘাস রাখা হয় ডালায়। আবার অনেক জায়গায় ৬০ বা ৬৩ টি দূর্বাঘাস দেওয়া হয়। এটা রাখুন পরিবারিক রীতি ও নিয়ম মেনে।

 

এর সঙ্গে ডালায় রাখুন ধান, ফুল এবং বেলপাতা।
এর সঙ্গে ডালায় রাখুন ধান, ফুল এবং বেলপাতা।

Jamaisashthi Rituals 2024: মেয়ে-জামাইয়ের মঙ্গল চান? এভাবে সাজান জামাইষষ্ঠীর পুজোর ডালা! অবশ্যই রাখুন এই ফলের ছড়া! জানুন নিয়ম

বাঙালি বাড়িতে ১২ মাসে ১৩ ষষ্ঠী। এর মধ্যে জ্যৈষ্ঠমাসে পালিত হয় অরণ্যষষ্ঠী। এই ব্রত বেশি প্রচলিত জামাইষষ্ঠী নামে।
বাঙালি বাড়িতে ১২ মাসে ১৩ ষষ্ঠী। এর মধ্যে জ্যৈষ্ঠমাসে পালিত হয় অরণ্যষষ্ঠী। এই ব্রত বেশি প্রচলিত জামাইষষ্ঠী নামে।

 

প্রত্যেক ষষ্ঠীতেই সন্তানের মঙ্গলকামনা করেন মায়েরা। জামাইষষ্ঠী ব্রতপালনের দিন জামাইয়ের জন্য পুজো ও মঙ্গলকামনা করেন শাশুড়িমায়েরা।
প্রত্যেক ষষ্ঠীতেই সন্তানের মঙ্গলকামনা করেন মায়েরা। জামাইষষ্ঠী ব্রতপালনের দিন জামাইয়ের জন্য পুজো ও মঙ্গলকামনা করেন শাশুড়িমায়েরা।

 

যে কোনও ষষ্ঠীপুজোয় গুরুত্বপূর্ণ হল পুজোর ডালি সাজিয়ে তোলা। অরণ্যষষ্ঠীতে পুজোর ডালায় কাঁঠালপাতার উপর সাজিয়ে দিন বিজোড় সংখ্যক ৫,৭ বা ৯ রকম মরশুমি ফল। বলছেন পণ্ডিত হিতেন্দ্রকুমার শর্মা।
যে কোনও ষষ্ঠীপুজোয় গুরুত্বপূর্ণ হল পুজোর ডালি সাজিয়ে তোলা। অরণ্যষষ্ঠীতে পুজোর ডালায় কাঁঠালপাতার উপর সাজিয়ে দিন বিজোড় সংখ্যক ৫,৭ বা ৯ রকম মরশুমি ফল। বলছেন পণ্ডিত হিতেন্দ্রকুমার শর্মা।

 

এই ফলের মধ্যে একটি হতেই হবে একছড়া করমচা। এবং ১০৮ গাছা দূর্বাঘাস।
এই ফলের মধ্যে একটি হতেই হবে একছড়া করমচা। এবং ১০৮ গাছা দূর্বাঘাস।

 

জামাইষষ্ঠীর দিন ভোরে স্নান সেরে নিন শাশুড়ি মায়েরা। তার পর ঘটস্থাপন করুন। ঘটে দিন সিঁদুর লাগানো আম্রপল্লব। আমের পাতা থাকতে হবে বিজোড় সংখ্যায়।
জামাইষষ্ঠীর দিন ভোরে স্নান সেরে নিন শাশুড়ি মায়েরা। তার পর ঘটস্থাপন করুন। ঘটে দিন সিঁদুর লাগানো আম্রপল্লব। আমের পাতা থাকতে হবে বিজোড় সংখ্যায়।

 

সঙ্গে রাখুন জামাইষষ্ঠীর অপরিহার্য উপকরণ তালপাতার পাখা। একটি সুতোয় সরষের তেল ও হলুদ লাগিয়ে তাতে ফুল বেলপাতা বেঁধে দিন।
সঙ্গে রাখুন জামাইষষ্ঠীর অপরিহার্য উপকরণ তালপাতার পাখা। একটি সুতোয় সরষের তেল ও হলুদ লাগিয়ে তাতে ফুল বেলপাতা বেঁধে দিন।

 

সেই সুতো মেয়ে, জামাই ও নাতি নাতনিদের হাতে বেঁধে দেন শাশুড়িমা। মেয়েদের বাঁ হাতে এবং ছেলেদের ডানহাতে বাঁধা হয়।
সেই সুতো মেয়ে, জামাই ও নাতি নাতনিদের হাতে বেঁধে দেন শাশুড়িমা। মেয়েদের বাঁ হাতে এবং ছেলেদের ডানহাতে বাঁধা হয়।

 

তার আগে এই পুজোর থালি পুজো দেওয়া হয় মা ষষ্ঠীর থানে। তার পর ব্রতকথা পাঠ, হাতে সুতো বাঁধা হয়। তালপাতার পাখায় ভেজা দূর্বাঘাস নিয়ে বাতাস করা হয় মঙ্গলকামনায়।
তার আগে এই পুজোর থালি পুজো দেওয়া হয় মা ষষ্ঠীর থানে। তার পর ব্রতকথা পাঠ, হাতে সুতো বাঁধা হয়। তালপাতার পাখায় ভেজা দূর্বাঘাস নিয়ে বাতাস করা হয় মঙ্গলকামনায়।

 

 এর পর শাশুড়িমায়ের উপবাস ভঙ্গের পালা সাত্তিক আহারে। পাশাপাশি কব্জি ডুবিয়ে ভূরিভোজও অন্যতম অঙ্গ এই পার্বণের। ( সব ছবি: নেটমাধ্যম)
এর পর শাশুড়িমায়ের উপবাস ভঙ্গের পালা সাত্তিক আহারে। পাশাপাশি কব্জি ডুবিয়ে ভূরিভোজও অন্যতম অঙ্গ এই পার্বণের। ( সব ছবি: নেটমাধ্যম)