Tag Archives: Kandi

Kandi Sub Division Hospital: শীঘ্রই ১০০ শয্যার নতুন ভবন চালু হবে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে

মুর্শিদাবাদ: হঠাৎই কান্দি মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য আধিকারিক অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর দেবাশিষ হালদার গোটা হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন। এছাড়াও ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল এবং কান্দি মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব সরকার ও হাসপাতালের সুপার রাজেশ সাহা।

মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীন হাসপাতাল এই কান্দি মহকুমা হাসপাতাল। এই হাসপাতালের ওপর নির্ভর করে থাকেন কান্দি মহকুমার পাঁচটি ব্লকের মানুষজন। কিন্তু হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা কম থাকার কারণে মাটিতে চলে চিকিৎসা। তার জন্য গত এক বছর আগে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষের দিকে। পরিকাঠামো সহ নতুন ভবন তৈরির প্রস্তুতি, চিকিৎসা পরিষেবা সবকিছুই খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।

আর‌ও পড়ুন: আর ভরসা করা যায় না! পঞ্চায়েতের উপর বিরক্তিতে চাঁদা তুলে সেতু তৈরি গ্রামবাসীদের

কান্দি মহকুমা হাসপাতালের এক্সরে বিভাগ থেকে অপারেশন থিয়েটার বিভাগ সবকিছু পরিকাঠামো তৈরি কাজ অতি দ্রুততার সঙ্গে চলছে। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনের কাজও পরিদর্শন করা হয়। পাশাপাশি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কান্দি মহকুমা হাসপাতালে বসানো হবে ডায়ালিসিস ইউনিট। সমস্ত কাজ এবং হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন খতিয়ে দেখেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। খুব দ্রুত এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

কৌশিক অধিকারী

Government Hospital: গুঁড়িয়ে যাওয়া পা ফিরে পেলেন রোগী! জটিল অস্ত্রোপচার করে নজির মহকুমা হাসপাতালের

মুর্শিদাবাদ: ডাম্পারের চাকা চলে গিয়েছিল পায়ের উপর দিয়ে। থেঁতলে গিয়েছিল গোটা পা। গুঁড়িয়ে গিয়েছিল পায়ের পাতা। কিন্তু মহকুমা হাসপাতলে জটিল অস্ত্রপ্রচার করে সরকারি চিকিৎসকরা বছর ৫৩-এর হরেকৃষ্ণ মণ্ডলের গুঁড়িয়ে যাওয়া পা আবার ফিরিয়ে দিলেন। সরকারি হাসপাতালের মুকুটে যুক্ত হল সাফল্যের আরও একটি পালক।

দুর্ঘটনার পরই হরেকৃষ্ণ মণ্ডলকে তড়িঘড়ি করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর দু’ঘন্টা টানা অপারেশন করে তাঁর পা সহ জীবন ফিরিয়ে ব্রেন চিকিৎসকরা। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে বিরল অস্ত্রোপচারে প্রাণ ফিরে পেলেন হরেকৃষ্ণবাবু।

আর‌ও পড়ুন: কালভার্টে ধাক্কা মারতেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল গাড়ি, মৃত্যু শ্রমিকের

পেশায় ব্যবসায়ী হরেকৃষ্ণ মণ্ডল কান্দি শহরে নিজের দোকান বন্ধ করে তিলিপাড়া এলাকায় নিজের ভাড়া বাড়িতে সাইকেল চালিয়ে ফিরছিলেন। সেই সময় কান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকার কাছে একটি ডাম্পার এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় হরেকৃষ্ণবাবুর ডান পা গুরুতর জখম হয়। পায়ের পাতা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আহত ওই ব্যক্তিকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন তাঁর শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তির গোড়ালি থেকে পায়ের পাতা প্রায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এইরকম ক্ষেত্রে সাধারণত মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে আহত ব্যক্তিকে উচ্চতর মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আহত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে কান্দি হাসপাতালের জেনারেল সার্জেন প্রবীর কুমার সাহা কিছুটা ‘ঝুঁকি’ নিয়েই অস্ত্রোপচার করতে রাজি হয়ে যান।

গুরুতর আহত রামকৃষ্ণ মণ্ডলকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে পাঠাতে গিয়ে সময় নষ্ট না করে কান্দি হাসপাতালেই তাঁর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। অ্যানাস্থেটিস্ট, নার্সিং স্টাফ এবং অন্য কয়েকজন চিকিৎসককে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। চিকিৎসকদের সেই দলটি প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে হরেকৃষ্ণ মণ্ডলের পায়ে জটিল অপারেশন করেন। আহত হরেকৃষ্ণ মণ্ডলের স্ত্রী মমতা মণ্ডল বলেন, দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় আমার স্বামী দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ তিনি রাস্তাতেই পড়েছিলেন। পরে কিছু লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। অন্যদিকে বিরল অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করে তোলায় কান্দি মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার।

কৌশিক অধিকারী

Football Tournament: যুব সমাজকে খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন কান্দিতে

মুর্শিদাবাদ: সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল। আর সেই ফুটবল জ্বরে কাঁপলো কান্দির মোহনবাগান ময়দান। বর্তমানে যুব সমাজকে খেলার প্রতি আরও আগ্রহ তৈরি করতে এবং মোবাইলমুখী থেকে মাঠমুখি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতেই শনিবার বিকালে কান্দির মোহনবাগান ময়দানে এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বর্তমানে যুব সমাজ মাঠ ছেড়ে মোবাইলে গেমে সীমাবদ্ধ। তাই যুব সমাজ এবং ফুটবল খেলার প্রতি আরও আগ্রহ তৈরি করতেই ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। কান্দি থানা, কান্দি পৌরসভা ও কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। কলকাতা একাদশ বনাম কান্দি একাদশের এই ফুটবল খেলা দেখতে উপচে পড়েছিল দর্শকদের ভিড় কান্দির মোহনবাগান ময়দান।

কলকাতা একাদশের হয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে দেখা যায় রহিম নবি থেকে মেহেতাব হোসেন, দিপঙ্কর দে, ষষ্ঠী দুলে, সুর্য বিকাশ চক্রবর্তী, আলফিটো রোনাল্ডো থেকে অশিম বিশ্বাস, গোলকিপার ভুমিকায় ছিলেন সংগ্রাম মুখার্জি সহ অনেক ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কান্দি একাদশের ছিল এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার।

শনিবার বিকেলে প্রথমে কান্দি থানার মোড় থেকে একটি বনাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কান্দি বিধায়ক অপূর্ব সরকার, বেলডাঙা বিধায়ক হাসানুজ্জামান, কান্দি থানার আইসি মৃনাল সিনহা, কান্দি পৌরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্থ প্রতিম সরকার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুনঃ West Medinipur News: আকাশ থেকে পড়ল ওটা কী! এলিয়ান নয় তো? হুলুস্থুল চন্দ্রকোণায় 

পরে কান্দির মোহনবাগান ময়দানে শুরু হয় ফুটবল খেলা। প্রথম ধাপে গোল না হলেও বিরতির পর ১গোল দেয় কলকাতা একাদশ কান্দি একাদশ কে।ফলে ১-০ গোলে জয়ী হয় কলকাতা একাদশ। খেলায় অংশগ্রহণকারী সকলকে বিশেষ উপহার ও জয়ী বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয় খেলার শেষে।

কৌশিক অধিকারী

Railway News: বন্ধ রেলের টিকিট কাউন্টার! চরম ভোগান্তি ট্রেন যাত্রীদের, কারণ জানলে অবাক হবেন

মুর্শিদাবাদ: দুর্গাপুজোর মরশুমে কোথাও বেড়াতে যেতে চাইছেন। ভরসা ভারতীয় রেল। কিন্তু সেই রেলের টিকিট কাউন্টার আজকে প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরেই বন্ধ। আর টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকার জেরে সমস্যায় পড়েছেন কান্দি মহকুমার চারটি বিধানসভার সাধারণ মানুষ। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি বাসস্ট্যান্ডে ২০১২ সালে তৈরি হয় রেলের টিকিট কাউন্টার। কিন্তু বর্তমানে লিঙ্ক সমস্যার জন্য বন্ধ আছে টিকিট কাউন্টার পরিষেবা।

আছে কম্পিউটার, আছে রেলের সিস্টেম। কিন্তু অকেজো হয়ে পড়ে আছে রেলের টিকিট কাউন্টার। কারণ, বিএসএনএলের ইন্টারনেট পরিষেবা অকেজো। আর তার জেরেই ২৭শে ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রেলের টিকিট কাউন্টার। পুর্ব রেলের অধিনস্থ কান্দি মহকুমার মানুষের কথা মাথায় রেখে তৎকালীন সময়ে রেল প্রতিমন্ত্রী থাকা কালীন কান্দি বাসট্যান্ডের ওপর রেলের টিকিট কাউন্টার পরিষেবা চালু করা হয়। ২০২০ সালে কোভিড মহামারির সময়ে বন্ধ ছিল বেশ কয়েক মাস টিকিট কাউন্টার।

আরও পড়ুন-   গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

পরবর্তীতে কর্মীর অভাবে কয়েক মাস বন্ধ থাকলেও কান্দি পৌরসভা এবং কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলে আবার পুনরায় চালু হয় টিকিট কাউন্টার। কিন্তু ২৬শে ফেব্রুয়ারি হঠাৎই অকেজো হয়ে পড়ে পরিষেবা। বিএসএনএলের তার কেটে যাওয়ার কারণেই ২৭শে ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে এই টিকিট কাউন্টার। বারবার BSNL বা রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের জানানো হলেও সুরাহা মেলেনি বলেই অভিযোগ।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

কান্দি রেলের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। যার কারণে সালার, খাগড়াঘাট এমনকি সাঁইথিয়া ষ্টেশনে যেতে হয় মহকুমার বাসিন্দাদের ট্রেনে চাপার জন্য। এমনকি কান্দি মহকুমার বহু মানুষ পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে যুক্ত ।ভিন রাজ্যে কাজে গেলেও রেলের টিকিট কাটতে পারছেন না কাউন্টার থেকে। পুজোর মরশুমে টিকিট কাটতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
তবে টিকিট কাউন্টার থাকলেও কবে তা চালু হবে এই প্রশ্ন এখন শহরবাসীর।

কৌশিক অধিকারী

Bangla Video: জলকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে যা কেউ পারল না সেটাই করে দেখাল পুলিশ!

মুর্শিদাবাদ: ফের কান্দি থানার আইসি’র মানবিক মুখের সাক্ষী থাকল মানুষ। বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র গরমে রাস্তায় বেরোলেই মানুষের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিচ্ছে জলকষ্ট। কান্দি মহকুমা আদালতেও জল কষ্টের সমস্যা অত্যন্ত তীব্র। এদিকে এখানকার জলের ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল কান্দি মহকুমার পাঁচটি ব্লকের সাধারণ মানুষ। বিচারের আশায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এখানে আসেন। কিন্তু আদালত চত্বরে মেলে না পানীয় জলের পরিষেবা।

কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, জলের কল থাকলেও তা থেকে পড়ে না জল। টিউবওয়েল অকেজো থাকার কারণে পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হয় সাধারণ মানুষ। তাই কান্দি থানার আইসি মৃণাল সিনহা নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করে দুটি পাম্প বসানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন কান্দি মহকুমা আদালত চত্বরে। কান্দি মহকুমা আদালতে আসা সাধারণ মানুষজনের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক গরমে ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন, বৃষ্টির অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

কান্দি থানার আইসি মৃণাল সিনহার এই উদ্যোগে খুশি সকলেই। তীব্র দাবদহের কারণে মাটির নিচে অনেকটাই জলস্তর নেমে গিয়েছে। যার কারণে জল সঙ্কট তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গাতে। কান্দি মহকুমা আদালতে আসা সাধারণ মানুষজন জলকষ্টে ভুগতেন। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই দুটি সাবমার্সিবল টিউবওয়েল বসানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কান্দি থানার আইসি। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি সকলেই।

কৌশিক অধিকারী

Yusuf Pathan: ‘মাঠে’ নামলেন তৃণমূলের পাঠান, প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দিলেন একাধিক চমক!

মুর্শিদাবাদ: শনিবার ইউসুফ পাঠানের প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হল কান্দির হেলিফক্স মাঠে। এদিনের কর্মীসভায় কান্দি, বড়ঞা ও ভরতপুর এই তিনটি ব্লকের কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে পিছুপা হলেন না রাজনীতির পিচে নব্য পাঠানও।

এদিন পাঠান দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি অনেক ম্যাচে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকছি আমার সঙ্গীদের সহযোগিতায়। আমার মনে পড়ে রঞ্জি ট্রফি খেলার সময় আমি মাত্র ১৫ রানে ছিলাম। আমার দলের সাতজন আউট হয়ে গিয়েছিল। দু’জন মাত্র বাকি ছিল। তাদেরকে বলেছিলাম শেষ পর্যন্ত তোমরা আমার সঙ্গে থাকো। আমিও সেঞ্চুরি করব, তোমাদেরকেও সেঞ্চুরি করার সুযোগ করে দেব। শেষ পর্যন্ত আমি সেঞ্চুরি করেছিলাম।

আরও পড়ুন-   গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!

এদিন হুমায়ুন কবীরও বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, ১৯-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী প্রায় ৩৮ হাজার ভোট  পেয়েছিল। সেইবার তৃণমূলের প্রার্থী ছিল আপনাদের ঘরের ছেলে অপূর্ব সরকার। এইবার যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। যদিও আপনারা ২০২১-এ তৃণমূলের প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। আমরা নিশ্চিত এইবার পাঠানের হাত আপনারা শক্ত করবেন। এদিনের সভায় উচ্ছ্বসিত জনতাদের কাউকে ব্যাটে আবার কাউকে টি-শার্টে হাসিমুখে আটোগ্রাফ দিলেন ইউসুফ।

এদিন ইউসুফ পাঠান বলেন, অধীর চৌধুরী পাঁচবারের সাংসদ উনাকে সম্মান করি। আমার সঙ্গে উনার কোনও লড়াই নেই। কিন্তু মানুষ এখন উন্নয়নের জন্য বদল চায়। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় এখনও অনেক উন্নয়ন বাকি আছে। আমি সেইসব কাজ করতে চাই। এই জেলায় এখনও ক্রীড়া ক্ষেত্রে কোনও কাজ হয়নি। আমি এখানে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি করতে চাই। মানুষের থেকে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। জনতায় শেষ পর্যন্ত ঠিক করবে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ কে হবে। এদিন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল আমাকে হারাতে চায়। আর বিজেপি আসন সংখ্যা বাড়াতে চায়। দিদি ও মোদি পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আমাকে হারাতে চাইছে। একজন ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে হলে তাকে আগে রাজ্যসভায় সুযোগ দিতে হত। তারপরে না হয় লোকসভার প্রার্থী করা হত। লোকসভা পরাজিত হলেও জানত সে রাজ্যসভার সদস্য রয়েছে। কিন্তু এখানে শ্রীখন্ডি খাড়া করে কাকে জেতাতে চাইছে, কার সুবিধা করতে চাইছে, কার নির্দেশ মানতে চাইছে তৃণমূল তা এলাকার মানুষ ভালভাবেই জানে।