Tag Archives: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024: শুধু এই জেলাতেই ১৬০০ বুথের সব দায়িত্ব সামলাবেন মহিলা ভোট কর্মীরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে দেশে শুরু হচ্ছে সাত দফায় নির্বাচন। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ভোট হবে। তবে নির্বাচন হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট প্রচার থেমে নেই। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মত করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে।

আরও পড়ুন: পাইকারি দর চড়া, বেশি লাভের আশায় হিমঘরে না রেখে আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা

এবার প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১৬০০-এর বেশি মহিলা পরিচালিত বুথ করা হবে। শহরাঞ্চল ঘেঁষা কেন্দ্রগুলিতে মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত ভোটকর্মীর অভাব পূরণ করতেই এই পদক্ষেপ বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় ১৫০০’র সামান্য বেশি বুথে মহিলা কর্মীরা ভোট পরিচালনা করেছিলেন। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে বুথ বিশেষভাবে সক্ষমদের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বুথের সংখ্যা ৮,৮৪১ টি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বুথে চারজন করে ভোটকর্মী লাগে। তার বাইরে রিজার্ভেও রাখতে হয় কিছু কর্মীকে। সব মিলিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় ন্যূনতম ১২৫ শতাংশ ভোটকর্মীকে তৈরি রাখা হয়। কারণ বিপদ-আপদ বা আপৎকালীন পরিস্থিতির কারণে কোনও ভোটকর্মী যদি হাজির হতে না পারেন বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন রিজার্ভ থেকে কাউকে তাঁর জায়গায় পাঠানো হয়। বর্তমানে জেলা প্রশাসনের হাতে ৫২ হাজারের সামান্য বেশি ভোটকর্মী রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের মতে, নির্বাচন ঘোষণার পর অনেকেই ভোটের ডিউটি করবেন না বলে আবেদন করে। এর মধ্যে কিছু সত্যি ঘটনা থাকে। তাছাড়া অনেক সরকারি কর্মী, নেতা-মন্ত্রী বা প্রভাবশালীদের ধরে ভোটের ডিউটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। দেখা যায়, এভাবে কয়েক হাজার নাম বাদ চলে যায়। ফলে সব বুথ পুরুষ ভোটকর্মী দিয়ে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তাই মহিলা ভোটকর্মী পরিচালিত বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে সেই ঘাটতি মেটাতে হয়। সূত্রের খবর, বহু বিধানসভা কেন্দ্রে সেই সংখ্যা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কোথাও ৫০টি, কোথাও আবার ৭০টি। এমনকি কোথাও শ’খানেক মহিলা বুথ হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, মহিলা বুথ করলেই শুধু হল না। আরও অনেক বিষয় খতিয়ে দেখতে হয়। যে ভোটকেন্দ্রে মহিলা ভোটকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে সেখানে যাতে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকে সেটা যেমন দেখা হয়, তেমনই নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়।

সুমন সাহা

Lok Sabha Election 2024: দেওয়াল লিখন মুছে দিচ্ছে কমিশন! ভোটের শুরুতেই বিতর্ক কোচবিহারে

কোচবিহার: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গোটা দেশে সাত দফায় ভোট হবে এবং এই সাতটি তফাতেই বাংলার কোথাও না কোথাও নির্বাচন হবে। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে একেবারে উত্তর থেকে। তারপর ধীরে ধীরে দক্ষিণে নেমে আসবে। প্রথম দফাতেই ভোট হবে কোচবিহার জেলায়। ফলে রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে গোটা জেলাজুড়ে।

আরও পড়ুন: বদলে যাওয়া যুগের চাকা উল্টো পথে ঘোরাতে নাটকের আসর

এখন রোজ‌ই কোন‌ও দলের নেতৃত্বরা দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন। আবার কেউ বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিতে ব্যস্ত ভাল ফলের আশায়। তবে সব মিলিয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। এদিকে আজও গ্রাম বাংলার ভোট প্রচারে সব থেকে পুরনো প্রচার মাধ্যম হল দেওয়াল লিখন। যদিও ধীরে ধীরে দেওয়াল লিখনের চোল কমছে। এদিকে সেই দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়াকে কেন্দ্র করেই তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।

আসন্ন লোকসভা ভোট প্রসঙ্গে এসডিএমও অরিজিৎ দাস জানান, ইতিমধ্যেই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট শুরু হয়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে। তাই ভোট প্রচার ও ভোট সংক্রান্ত অন্যান্য সকল কার্যকলাপে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বেশকিছু দল ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে। তবে এবারের নির্দেশিকাতে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, দেওয়ালের মালিকের অনুমতি নিয়ে তারপর লিখতে হবে। অনুমতি না নিয়ে কিংবা মৌখিক অনুমতি নিয়ে কিছু করা যাবে না। তাই যেগুলি অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে সেগুলি ইতিমধ্যেই সাদা রং করে মুছে দিচ্ছে প্রশাসন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই বিষয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দায়িত্বপ্রাপ্ত কনভেনর অভিজিৎ বর্মন জানান, দলীয় ভাবে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে কাজ করবেন। যদি অনুমতি না নিয়ে করা হয়ে থাকে তবে মুছে দিতেই পারে নির্বাচনের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে লিখিত অনুমতি নিয়েই তাঁরা আবার দেওয়াল লিখবেন। কিন্তু, তৃণমূলের কোন‌ও দেওয়াল লিখন কেন‌ও মুছে দেওয়া হল না, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় জানান, নির্বাচন কমিশনের কোন‌ও কাজে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে সহযোগিতা করা উচিত। তবে যারা নিয়ম মানবে না তাঁদের দেওয়াল তো মুছে দেওয়াই হবে। সব মিলিয়ে ভোটের শুরুতে দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে জেলায়।

সার্থক পণ্ডিত

Nawsad Siddique: লোকসভায় ভোটে ‘টার্গেট’ কত? বলে দিল ISF! শুধু ডায়মন্ড হারবার নয়, রাজ্যজুড়ে প্রচারে নওশাদ সিদ্দিকী

কলকাতা: লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। উঠে পরে লেগেছে রাজনৈতিক দলগুলি। ময়দান ছাড়তে নারাজ কেউই। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, প্রধান বিরোধী দল বিজেপির পাশাপাশি বামেরাও নেমে পড়েছে ভোটযুদ্ধে। এবার লোকসভায় ভোটের টার্গেট বেঁধে দিল ISF। নূন্যতম ১০% ভোটের টার্গেট বেঁধে এগোতে চায় নওশাদ সিদ্দিকীর দল।

লোকসভায় নিজেদের প্রতীকে লড়াই করবে ISF। EVM -এ খাম চিহ্নের পাশে থাকবে ISF নাম। এতদিন RSMP প্রতীক নিয়ে লড়তো ISF অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিস পার্টি (RSMP)।তারপরে বিধানসভায় ৩২ আসনে লড়াই করে জেতে শুধু ভাঙড়। এখন ISF দলের প্রতীক হবে ‘খাম’ চিহ্ন। তাই আর শুধু ভাঙড় নয় রাজ্যজুড়ে ভোট শতাংশ বাড়াতে ঝাঁপাচ্ছে ISF ।

নিয়ম অনুযায়ী ৬% এর বেশি ভোট পাওয়া দল নিজেদের প্রতীক ধরে রাখতে পারে। প্রয়োজনে একাধিক আসনে বাম – কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করতে চলেছে আইএসএফ। এমনটাই সূত্রের খবর।

ভাঙড়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এবার কোমর বাঁধছে ISF.
প্রাপ্ত ভোট শতাংশেে গ্রাফকে উর্দ্ধমুখি করার চেষ্টা। সূত্রের খবর, তাই শুধু ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হয়ে নিজেকে আটকে রাখা নয় সারা রাজ্যে প্রচারে পৌঁছতে চাইছেন নওশাদ সিদ্দিকী। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের মতন সংখ্যালঘু জেলায় বিশেষ নজর দিতে চলেছে নওশাদের দল, এমনটাই সূত্রের খবর। এই সব জায়গাতেই আগামী কইদিনে প্রচারে পৌঁছে যাবেন নওশাদ।

Lok Sabha Election 2024: এই জেলাতেই ২০০-এর বেশি স্পর্শকাতর বুথ, ভোটার বাড়ল অনেকটাই

পশ্চিম বর্ধমান: নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তৃণমূল বাংলার ৪২ টি আসনেরই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। বিজেপি ২০ টি এবং বামেরা ১৭ টি আসনে প্রার্থীর নাম জানিয়েছে। ঘোষিত প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। যে সকল আসনে রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি সেখানেও তারা নিজেদের মত করে সাংগঠনিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে। এরই পাশাপাশি তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: বাড়িতে পোষ্য আছে? তবে এই সুখবর আপনার জন্য

এই প্রতিবেদনে আমরা পশ্চিম বর্ধমান জেলার ভোট চিত্রের দিকে একবার নজর রাখব। জেলায় মোট বুথ সংখ্যা কত, ভোটারের সংখ্যা‌ই বা কতজন? কত নতুন ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছেন এই সব কিছু সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরই নির্বাচন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক এস পোন্নাবলম।

গত ১৬ মার্চের হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত জেলায় ২০০-টির বেশি স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জেলাশাসক জানান। যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী এই সংখ্যা বদলাতে পারে। এখনও পর্যন্ত ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এসেছে। তারা বিভিন্ন স্পর্শকাতর বুথ এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় রুটমার্চ করছে। ইতিমধ্যেই ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী আদর্শ আচরণবিধি লাগু করা হয়েছে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী কী করা যাবে, কী কী করা যাবে না সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। নির্বাচন বিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে নজর রয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ৪২৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৪০ জন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্র। একটি আসানসোল, অপরটি বর্ধমান-দুর্গাপুর। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ২৪৯৮ টি। অন্যদিকে জেলায় ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল উত্তর এবং সবথেকে ছোট পাণ্ডবেশ্বর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নতুন ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে অনেকটা। এই লোকসভা নির্বাচনে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ভোটারদের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৩৮ জন। যার মধ্যে ১৯,৭২৬ জন পুরুষ এবং ১৫,৭১১ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। তাছাড়া রয়েছেন একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় এমন ২৪ টি বুথ থাকবে যেগুলির সমস্ত দায়িত্ব থাকবে মহিলা ভোট কর্মীদের উপর।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: ভোটে দেদার কালো টাকার ব্যবহার, দক্ষিণ মালদহের চার বিধানসভা কমিশনের নজরে

মালদহ: নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ও ঘোষণা করার পরই শান্ত শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ প্রশাসন। নির্বাচনে পেশী শক্তির ব্যবহার ঠেকানোর পাশাপাশি কালো টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার ঘটনা ঠেকানোর কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আর তারপরই দক্ষিণ মালদহ লোকসভার চারটি বিধানসভাকে এর জন্য বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হল।

আরও পড়ুন: ভুটান থেকে আসা ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

গত নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহের বিভিন্ন জায়গায় কালো টাকা ব্যবহার হয়েছে, এমনই তথ্য রয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই তথ্যসূত্র ধরেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাড়তি নজরদারি দক্ষিণ মালদহ লোকসভার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনার পক্ষ থেকে ওই চারটি বিধানসভা ক্ষেত্রে ওপর বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন দক্ষিণ মালদহ লোকসভার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে তদারকি চালাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি।

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর জেলা প্রশাসনিক ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের চারটি বিধানসভাকে লক্ষ্য করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এমন নির্দেশি কার্যত নজিরবিহীন। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের চারটি বিধানসভা চিহ্নিত করা হয়েছে। গত নির্বাচনগুলিতে দেখা গিয়েছে এই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে বেআইনি কার্যকলাপ, কালো টাকার ব্যবহার ব্যাপক মাত্রায় হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাই এবার এই বিধানসভাগুলোকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে। ভোট পর্ব চলাকালীন কেন্দ্রীয় একাধিক এজেন্সি এই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালাবে। ওই চারটি বিধানসভা কেন্দ্র হল- ইংরেজবাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর ও ফারাক্কা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এরমধ্যে বাকি তিনটি বিধানসভা মালদহ জেলার অন্তর্গত হলেও ফারাক্কা মুর্শিদাবাদ জেলায় পড়ে। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশের ফলে আয়কর বিভাগ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এই চার বিধানসভার ওপর ভোট চলাকালীন বিশেষ নজরদারি চালাবে।

হরষিত সিংহ

Lok Sabha Elections: লোকসভা ভোটেও ‘হিংসা’ নিয়ে জিরো টলারেন্স! রাজভবন চালু করল বিশেষ পোর্টাল

কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে হিংসা মুক্ত করতে রাজভবনের তরফে চালু করা হয়েছিল পিস রুম। মূলত পিস রুমে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ভোট না দিতে পারার অভিযোগ একাধিক ব্যাবস্থা করেছিল রাজভবন। পিস রুমে আসা অভিযোগগুলো তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ এর নির্দেশ ও দিয়েছেন রাজ্যপাল রাজ্যের স্টেট ইলেকশন কমিশনারকে।

আর এবার রাজ্যপাল লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ পোর্টাল চালু করল রাজভবন। পোর্টালের নাম দেওয়া হয়েছে লোগসভা (log sabha)। রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে কেউ এই পোর্টালে অভিযোগ জানাতে পারবেন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।logsabha.rajbhavankolkata@gmail.com এই ইমেইল আই ডির মাধ্যমে জানানো যাবে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বড়লোক হয়ে যাবেন….! বাড়িতে কাক আসার ‘এই’ লক্ষণগুলি চিনুন! কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন? কখন সৌভাগ্য পায়ে পায়ে ঘুরবে? জেনে নিন!

রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে এখানে অভিযোগ আসার পর সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হবে রাজভবনের তরফে। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনের আগের দিন থেকেই ভোর ৬ টা থেকে তিনি রাস্তায় থাকবেন। যাতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও হিংসা বা অশান্তির ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

কার্যত জিরো টলারেন্স নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।গোটা লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ও শান্তির সঙ্গে করা হবে বলেও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে যে অভিযোগ গুলি আসবে সেই অভিযোগ নিয়ে দিল্লির জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ ও রাখা হবে।

এই পোর্টাল ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী চালু থাকবে বলে জানান হয়েছে রাজভবনের তরফে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের একাধিক জেলায় যান রাজ্যপাল। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও রাজ্যপাল একাধিক জেলায় যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।পাশাপাশি জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক ও করতে পারেন রাজ্যপাল, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Lok Sabha Election 2024: রবিতে ভাঙড়ে ভোট প্রচার সায়নী ঘোষের! কী বললেন যুব নেত্রী? কতটা আত্মবিশ্বাসী?

ভাঙড়: রবিবাসরীয় সকালেই ভোট প্রচারের ময়দানে সায়নী ঘোষ। আজ তাঁকে দেখা গেল ভাঙড়ে। কী বললেন তিনি? শুনুন।

ভোটের প্রচারে চমক হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছে দিদি No.1 রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের প্রচারে চমক দিলেন রচনা।

Lok Sabha Election 2024: দু’টি লোকসভা আসনেই অধিক ভোটে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থীরা, বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ মানিক সাহার

আগরতলা: জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে খুবই আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে খুবই আন্তরিক। তিনি জনজাতিদের সম্মান প্রদান ও তাদের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন। এজন্য ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। রাজ্যের বর্তমান সরকারও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা অধিক ভোটে বিজয় অর্জন করবেন।

আগরতলা টাউন হলে জনজাতি কার্যকর্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ সত্যিই খুবই আনন্দের দিন। এই অনুষ্ঠানস্থলে আসার সময় জনজাতি ভাই বোনদের আসতে দেখে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে ভারতীয় জনতা পার্টি দুটি আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পশ্চিম আসন থেকে এবং মহারানি কৃতি সিং দেববর্মা পূর্ব আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমি উভয় আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টির জয়ের ব্যাপারে একেবারে নিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদা উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নের জন্য গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং জনজাতিদের উন্নয়ন ছাড়া ত্রিপুরার উন্নয়ন কখনও সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন-  গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকারও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় কাজ করছে। অতীতে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে জনজাতিদের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের নানাভাবে নিপীড়ন করা হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এধরনের কাজে বিশ্বাস করে না। এই সরকার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে।

আরও পড়ুন-  চমকে দেওয়া খবর! জনপ্রিয় বাঙালি পরিচালকের হাত ধরে সিনেমায় নামছেন উরফি জাভেদ! নাম শুনলে আঁতকে উঠবেন

প্রয়াত মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরকে সম্মান প্রদর্শন করতে বিমানবন্দরের নাম তাঁর নামে রাখা হয়েছে। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং এডিসির নাম ত্রিপুরা টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল হিসেবে পরিবর্তন করার জন্য কেন্দ্রের কাছে একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছি রাজ্য সরকার। এই সরকার সম্মান দেখাতে জানে। আর সিপিএম শুধুমাত্র শ্লোগানের জন্য পরিচিত ছিল। তাদের মূল অ্যাজেন্ডাই ছিল জাতি জনজাতিদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা। সেই জায়গায় বর্তমান সরকার জনজাতিদের উন্নয়নে কাজ করছে।

এর পাশাপাশি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের সমস্যার সমাধান না করার জন্য সিপিএমের তীব্র সমালোচনা করেন। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিজেপি সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা তাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। আইপিএফটিও আমাদের সরকারে সঙ্গে রয়েছে এবং এখন তিপরা মথাও পাশে রয়েছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে যে জনজাতিদের উন্নয়ন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই করতে পারেন। আমরা দেখেছি কীভাবে সিপিএম তাদের শাসনামলে কংগ্রেস কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছিল। আর এখন তারা নিজেদের মধ্যেই আঁতাত করেছে। তারা শুধু নিজেদের কথাই ভাবে, মানুষের কথা নয়। বিজেপিতে সবাই কার্যকর্তা। আমরা জাতি ও জনজাতিদের উন্নয়নের মাধ্যমে ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। জনজাতিদের আগে কেউ সম্মান দেয়নি। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই জনজাতিদের প্রাপ্য সম্মান প্রদর্শনে কাজ করেছেন।