দক্ষিণ ২৪ পরগনার: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে দেশে শুরু হচ্ছে সাত দফায় নির্বাচন। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ভোট হবে। তবে নির্বাচন হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট প্রচার থেমে নেই। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মত করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পাইকারি দর চড়া, বেশি লাভের আশায় হিমঘরে না রেখে আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা
এবার প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১৬০০-এর বেশি মহিলা পরিচালিত বুথ করা হবে। শহরাঞ্চল ঘেঁষা কেন্দ্রগুলিতে মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত ভোটকর্মীর অভাব পূরণ করতেই এই পদক্ষেপ বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় ১৫০০’র সামান্য বেশি বুথে মহিলা কর্মীরা ভোট পরিচালনা করেছিলেন। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে বুথ বিশেষভাবে সক্ষমদের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বুথের সংখ্যা ৮,৮৪১ টি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বুথে চারজন করে ভোটকর্মী লাগে। তার বাইরে রিজার্ভেও রাখতে হয় কিছু কর্মীকে। সব মিলিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় ন্যূনতম ১২৫ শতাংশ ভোটকর্মীকে তৈরি রাখা হয়। কারণ বিপদ-আপদ বা আপৎকালীন পরিস্থিতির কারণে কোনও ভোটকর্মী যদি হাজির হতে না পারেন বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন রিজার্ভ থেকে কাউকে তাঁর জায়গায় পাঠানো হয়। বর্তমানে জেলা প্রশাসনের হাতে ৫২ হাজারের সামান্য বেশি ভোটকর্মী রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের মতে, নির্বাচন ঘোষণার পর অনেকেই ভোটের ডিউটি করবেন না বলে আবেদন করে। এর মধ্যে কিছু সত্যি ঘটনা থাকে। তাছাড়া অনেক সরকারি কর্মী, নেতা-মন্ত্রী বা প্রভাবশালীদের ধরে ভোটের ডিউটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। দেখা যায়, এভাবে কয়েক হাজার নাম বাদ চলে যায়। ফলে সব বুথ পুরুষ ভোটকর্মী দিয়ে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তাই মহিলা ভোটকর্মী পরিচালিত বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে সেই ঘাটতি মেটাতে হয়। সূত্রের খবর, বহু বিধানসভা কেন্দ্রে সেই সংখ্যা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কোথাও ৫০টি, কোথাও আবার ৭০টি। এমনকি কোথাও শ’খানেক মহিলা বুথ হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, মহিলা বুথ করলেই শুধু হল না। আরও অনেক বিষয় খতিয়ে দেখতে হয়। যে ভোটকেন্দ্রে মহিলা ভোটকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে সেখানে যাতে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকে সেটা যেমন দেখা হয়, তেমনই নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়।
সুমন সাহা