আকাশে ফের কালো মেঘের ঘনঘটা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী এক ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতায়। ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে শহর জুড়ে।
মূলত মেঘলা আকাশ, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। জলীয় বাষ্প থাকার কারণে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে তাপমাত্রার পারদ আগের চেয়ে কমবে।
কলকাতা ছাড়াও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৭ জেলায়। বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ঝাড়গ্রাম পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি। বজ্রপাতের কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ আবহাওয়া দফতরের।
উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শনিবার ফের বাড়বে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে ‘ওয়াইড স্প্রেইড রেইন’-এর পূর্বাভাস রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷
দক্ষিণবঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ‘ওয়াইড স্প্রেইড রেইন’-এর পূর্বাভাস। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে প্রায় সব জেলায়। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বেশি থাকবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
মূলত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার অভাবেই বৃষ্টিপাতে অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে এ বছর। জুলাই মাসের শেষ লগ্নে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম রাজ্যজুড়ে। জুলাই মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়বে। ফাইল ছবি।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া : পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অন্যতম। রুক্ষ এই জেলায় রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই জেলার রূপ পরিবর্তন হয়। তাই কমবেশি সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই জেলায়। পর্যটনের মানচিত্রে এই জেলা অনেকখানি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পুরুলিয়ার অফবিট ডেস্টিনেশন গুলির মধ্যে অন্যতম দুয়াসিনি প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র। বাংলা-ঝাড়খণ্ডের ট্যুরিজম সার্কিটকে যুক্ত করেছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের এই দুয়ারসিনি প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র। দুয়ারসিনি থেকে মাত্র কুড়ি কিমির মধ্যেই ঝাড়খন্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডি ও ঘাটশিলা। বান্দোয়ান থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের বান্দোয়ান দুই বনাঞ্চলের কুঁচিয়া বিটের অন্তর্গত এই দুয়ারসিনি।
এখানকার মনোরম পরিবেশে মন মুগ্ধ হয়ে যাবে আপনার। শান্ত নিরিবিলি সবুজে ঘেরা মন মাতানো দৃশ্য রয়েছে সর্বত্র। তাই পর্যটকেরা এই জায়গাকে বেছে নেয় নিরিবিলিতে সময় কাটাতে। অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত এই জায়গা। এবার এই দুয়ারসিনিকে নিয়ে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছে বনদফতর। এ বিষয়ে কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের বিদায়ী ডিএফও অসিতাভ চ্যাটার্জী বলেন , ‘‘তিনটে আর্থিক বর্ষে দুয়ারসিনিতে যথেষ্টই মুনাফা লাভ হয়েছে। আগামী দিনে আমরা এখানে বেশ কিছু কটেজ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দুয়ারসিনিকে আরও সুন্দরভাবে সাজানোর পরিকল্পনা চলছে।’’
আরও পড়ুন : উজ্জ্বল রঙের পাড় ও আঁচলজুড়ে জরির সূক্ষ্ণ কাজ, অন্ধ্রপ্রদেশের এই বিশেষ হ্যান্ডলুম শাড়ি পরেই বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারমণ
২০০১ সালের বাম আমলে ফেব্রুয়ারিতে বনদফতরের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী বিলাসীবালা সহিস এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। তার পর বছর পাঁচেক বনমহলের এই দুয়ারসিনিতে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠলেও বাদ সাধে মাওবাদী কার্যকলাপ। এই ভ্রমণ কেন্দ্রের পাশেই বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতির নির্মীয়মাণ অতিথি নিবাসে মাওবাদীরা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণকরে। প্রকৃতি কেন্দ্রের কর্মীদের হুমকি দেওয়ায় ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায় এই পর্যটন কেন্দ্রের।রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রকে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়।
কিন্তু পরবর্তীকালে টাকার অভাবে সীমানা প্রাচীরের কাজই করা যায়নি। ফলে কাজ শুরুর পরেও থমকে যায় এই পর্যটন প্রকল্প। পরে বনদফতর আরও ১১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই কেন্দ্রকে ফের পূর্ণাঙ্গ পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলে। আর তার পর থেকেই এই ভ্রমণকেন্দ্র পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
*বর্ষার মরশুম তো চলেই এসেছে। অবশেষে তীব্র গরম থেকে পাওয়া গিয়েছে স্বস্তিও। কিন্তু তাপপ্রবাহের জ্বালা জুড়োলেও বর্ষা আবার নানা সমস্যা নিয়ে আসে। আসলে বর্ষার মরশুমে পাওয়া সবজি সাধারণত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। ফলে এমন অনেক সবজি রয়েছে, যা খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। সংগৃহীত ছবি।
*এই বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ সদর হাসপাতালের আয়ুষ বিভাগের ডা. মকরন্দ কুমার মিশ্র (বিএএমএস, সরকারি আয়ুর্বেদিক কলেজ বেগুসরাই বিহার, ২৪ বছরের অভিজ্ঞতা) বলেন যে, সবজির মধ্যে অনেক ধরনের পোকামাকড়, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি থাকতে পারে। আর বর্ষায় এটা আরও বেড়ে যায়। যার কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। সংগৃহীত ছবি। Disclaimer: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
*কিন্তু কোন কোন সবজি বর্ষাকালে খাওয়া উচিত নয়? ডা. মকরন্দ কুমার মিশ্রের বক্তব্য, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সবজি সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে প্রকৃতির হয়ে থাকে। যার কারণে এর মধ্যে একাধিক ধরনের ছত্রাক তৈরি হয়। সংগৃহীত ছবি।
*তিনি আরও বলেন, এই ধরনের সবজির পাশাপাশি সবুজ শাকপাতা, বাঁধাকপির মতো সবজি কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। আর একান্তই যদি তা সেবন করতে হয়, তাহলে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে ভাল ভাবে সেদ্ধ করে খেতে হবে। বর্ষাকালে বেগুনের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক পোকা হয়। তাই বেগুন খাওয়ার আগে এটিও ভাল ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। সংগৃহীত ছবি।
*ডা. মকরন্দেক কথায়, এই সব ছাড়াও মাটির নিচে জন্মায়, এমন সবজিও খাওয়া উচিত নয়। এর মধ্যে অন্যতম হল মুলো, গাজর, শালগম এবং বিটরুট। বর্ষাকালে এই সবজিগুলি আরও স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায় এবং তার মধ্যে অনেক পোকামাকড় আর ছত্রাক সৃষ্টি হতে থাকে। এছাড়াও এই সময় বন্য মাশরুমও খুব সাবধানে খাওয়া উচিত। সংগৃহীত ছবি। Disclaimer: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে বাঁচা গিয়েছে বটে, কিন্তু বর্ষা আসা মানেই আর এক উৎপাত! চুল উঠে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে মাথা। কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না চুল পড়া। কেন এমনটা হয়? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এ সময় জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বাতাস ভারী হয়ে যায়। আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বক তার স্বাভাবিক তেল ঝরিয়ে রুক্ষ শুষ্ক হতে চায়, এতেই হয় চুলের ড্যামেজ, স্প্লিট এন্ড বা খুশকির মতো সমস্যা। চুল ঝরতে থাকে এই কারণেই। এছাড়াও, অতিরিক্ত ময়েশ্চার চুলের গোড়ায় জমে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়। সেটিও বিপুল পরিমাণে চুল ঝরার কারণ।
কী ভাবে যত্ন নেবেন সাধের এক ঢাল চুলের? জানাচ্ছেন দিল্লির ওয়েলনেস ক্লিনিকের কসমেটোলজিস্ট ঋতু খারিয়ান। তাঁর মতে, বর্ষায় চুলের যত্ন করতে গেলে সারা বছর যা যা করেন তার চেয়ে বেশিই করতে হবে। প্রথমত, চুল ধোওয়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। ব্যবহার করতে পারেন মাইল্ড সালফার ফ্রি শ্যাম্পু। তবে বেশি গরম জলে শ্যাম্পু একেবারেই না। গরম জল আমাদের চুল থেকে ময়েশ্চার শুষে নেয়। এতে চুলের তন্তুগুলো আরও ভঙ্গুর এবং কমজোরি হয়ে পড়বে। চেষ্টা করুন ঠান্ডা জলে চুল ধোওয়ার।
বর্ষায় চুলে বেশি স্টাইলিং কিট ব্যবহার করবেন না। স্ট্রেটনিং বা কারলিং টুল কিংবা হেয়ার ড্রায়ারের অতিরিক্ত ব্যবহারও আপনার চুল পড়ার কারণ হতে পারে। বদলে চুল শুকোন মাইক্রো ফাইবার টাওয়েলে। আলতো করে এই ধরনের তোয়ালে দিয়ে চুল মুছলেও শুকিয়ে যাবে অল্প সময়ে।
চুলে বেশি ক্লে বা জেল লাগানোর অভ্যাস থাকলেও বন্ধ রাখুন বর্ষায়। এগুলি চুলের গোড়ায় জমে গিয়ে ফাঙ্গাসের জন্ম দিতে পারে। ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানানো হেয়ার প্যাকে।
মাথা তেলতেলে দেখাচ্ছে বলে চুলে একেবারেই তেল দেবেন না সেটা নয়! বর্ষায়ও চুলের পরিচর্যায় দিতে হবে তেল। সপ্তাহে একদিন স্ক্যাল্পে তেল মাসাজ করে নরম ব্রাশের চিরুনি দিয়ে আলতো করে আঁচড়ান। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুল মজবুত হবে। চুল পড়ার সমস্যাও মিটবে।
রাতে চুল টাইট করে বেঁধে শোবেন না। ভিজে চুলও বাঁধবেন না সকালে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে চুলের গোড়ায় বাতাস চলাচল করে। বেশি টাইট করে চুল বাঁধলেও চুলের তন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সম্ভব হলে খুলে রাখুন। নয়তো চুল মাথার উপর তুলে আলগোছে খোঁপা বাঁধতে পারেন। বা ক্লাচার দিয়ে আটকে নিতে পারেন বড় চুল।
মৌসুমী অক্ষরেখা সরে গিয়েছে বাংলা থেকে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই দক্ষিণবঙ্গে। আগামী দু-তিন দিন ক্রমশ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার বাড়বে গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। উইকেন্ডে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। একুশে জুলাই রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ‘ওয়াইড স্প্রেইড রেইন’-এর পূর্বাভাস।
আগামী দু-তিন দিন রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও কমবে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা কমবে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে উত্তরবঙ্গে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷
আজ, মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। সতর্কতা রয়েছে বজ্রপাতেরও।
মৌসুমী অক্ষরেখা সরে গিয়েছে বাংলা থেকে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই দক্ষিণবঙ্গে।
আগামী দু-তিন দিন ক্রমশ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার বাড়বে গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
বর্ষার ঝমঝম বৃষ্টির মাঝে একটু অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপ করতে চান? ডুয়ার্সের পাহাড়, নদী, জঙ্গল তো অনেক হল এবার রোমাঞ্চকরের জায়গার খোঁজ রইল প্রতিবেদনে। বর্ষায় যে ডুয়ার্স সেজে উঠে প্রকৃতির রঙে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। টোটোপাড়ায় গেলে মন ফিরে আসতে চাইবে না। দেখুন বর্ষায় এর অপরূপ চেহারা।
প্রায়ই মানুষ মনে করে বর্ষায় সবজি কম পাওয়া যায় তাই এই সময় সবজির দাম হয় আকাশ ছোঁয়া। তবে, বাস্তবে মোটেই তা সত্যি নয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন সবজি খাওয়া বর্ষায় উপযুক্ত। দেখে নেওয়া যাক তালিকা।
বলুন তো বর্ষাকালে কোন সবজি জন্মায়? আমরা যদি আপনাকে এই প্রশ্নগুলি করি, আপনিও কিছুক্ষণ চিন্তা করবেন। এর পিছনে একটি কারণ হল বর্ষার সময় বাজারে সবজির ঘাটতি নিয়ে আমাদের মনে আগে থেকেই কিছু চিন্তা থাকে। এই মরশুমে অনেক সময়ই দেখা যায় বাজারে টাটকা সবজির আকাল পরে যায়।
এই সময় সবজির দামও বাড়তে থাকে। সবজি ব্যয়বহুল হয়ে পরে এবং সবজিতে সহজেই পোকামাকড় ধরে যায়। কিন্তু, এই সমস্ত কিছু ছাড়াও, এ কথা সত্যি যে বৃষ্টির সময় আমাদের ক্ষেতে অনেক ধরনের শাক-সবজি জন্মায়।
বাস্তবে টানা বৃষ্টির জেরে সবজি বাজারে পৌঁছতে অসুবিধা সৃষ্টি হয় আবার অনেক সময় বাজারে পৌঁছানোর আগেই পচে যায়। তবে এর মানে এই নয় যে বৃষ্টিতে সবজি পাওয়া যায় না, তাই ডাল-ভাত খেয়েই থাকা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন সবজি এইসময় খাওয়া ভাল। তাদের পুষ্টিগুণই বা কী? দেখে নেওয়া যাক এই সবজিগুলি সম্পর্কে।
ডাঃ নিতিকা কোহলি তাঁর সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ও সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া তাঁর পরামর্শে বর্ষা ঋতুতে কোন সবজি খাওয়া উচিত আর কোনটি এড়ানো প্রয়োজন তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।
ডাঃ নিতিকা কোহলির কথায়, “আমাদের শরীর এবং মরশুমি শাকসবজির মধ্যে একটি সুন্দর সিম্ফনি রয়েছে৷ ঋতুগুলি আমাদের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে তবে আমরা যদি আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে ব্যালান্স করে এই সবজি আহরণ করতে পারেন তবে জীবন সুরক্ষিত থাকে ও জীবন ধরণের আনন্দও দ্বিগুন হয়ে যায়।”
বর্ষায় একটি সুষম খাদ্য খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কিন্তু সব শাকসবজি বর্ষা ঋতুর জন্য উপযুক্ত নয় এবং কিছু কিছু সবজি হজম প্রক্রিয়াকে বিশেষ ভাবে ব্যাহত করতে পারে। বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং পালং শাক জাতীয় সবজির নানা গুনাগুন থাকা সত্ত্বেও এগুলি বর্ষা কালে আপনার বিপাক প্রক্রিয়ায় ক্ষতি করতে পারে। তাই বর্ষাকালে এগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
বর্ষায় কোন সবজি খাওয়া উচিত: ১. বিনস: বর্ষাকালে চাষের ক্ষেতে যথেচ্ছ পরিমানে বিনস জাতীয় সবজি কিন্তু দেখতে পাওয়া যায় যায়। প্রকৃতপক্ষে, বিনস লতানো সবজিগুলির মধ্যেই আসে। এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিনস মাটির উপরে থাকে এবং তাই বৃষ্টিতেও তরতাজাই থাকে। সবজি, ভাজাভুজি ও পোলাও রান্নাতে খাদ্যগুণে ভরপুর বিনস ব্যবহার করতে পারেন।
২. কাউপিয়া বা বরবটি: কাউপিয়া একটি শিমজাতীয় সবজি এবং আপনি বর্ষাকালে বাজারে এটি প্রায়ই দেখতে পাবেন। রান্না করাও বেশ সহজ। আপনি এটি স্যুপ থেকে শাক সবজি সবেতেই ব্যবহার করতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও বিশেষ ভাল।
৩. লেডিসফিঙ্গার বা ভেন্ডি: ভেন্ডি সম্পর্কে অনেকেই ভাবেন যে এটি একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি কিন্তু একথা সত্যি নয়। চাইলেই আপনি এই ঘোর বর্ষাতেও পাবেন টাটকা ভেন্ডি বা ঢ্যাঁড়স। আপনি অনেক ধরনের তরিতরকারিতেই ভেন্ডি ব্যবহার করতে পারেন।
৪ . করলা: এই বর্ষার মরশুমে করলাও যথেচ্ছ ভাবে পাবেন। আসলে, এটি উল্লেখযোগ্য পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ সবুজ সবজিগুলির মধ্যে একটি। আপনি এটি আপনার বাড়িতেও চাষ করতে পারেন। করলা ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগীদের জন্য উপকারী। তাই এই বর্ষার মরশুমে আর কিছু না পেলে শরীর ভাল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমানে করলা খান। স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। স্বাদ ও পাবেন।
৫. আমরান্থ বা লাল নোটে শাক: লাল শাক বা অমরান্থ খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ভাবে উপকারী। যাঁদের হাড় সংক্রান্ত সমস্যা আছে তাঁদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। আপনি এই লাল শাক গরম ভাতের সঙ্গে খান অথবা এই শাক দিয়ে পকোড়া বানিয়ে খান বা আলু দিয়ে সবজি বানিয়ে খান, যে ভাবে খুশি খেলেই উপকার পাবেন বর্ষাতেও।”
৬ চালকুমড়ো: চালকুমড়ো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা বেশি করে চালকুমড়ো খান। আপনি এটি দিয়ে সবজি বানিয়ে যেমন খেতে পারেন, তেমনই রায়তা বা জুস তৈরি করেও খেতে পারেন। এই বর্ষার মরশুমে এই সবজিটি দেদার মেলে বাজারে আর খাওয়াও দুর্দান্ত উপকারী।
৭. ঝিঙে জুচিনি বা ঝিঙে সবজির মধ্যে অন্যতম উপকারী। এই বর্ষার মরশুমে আপনি সহজেই পেতে পারেন জলপূর্ণ এই সবজিটি। বাজারে গেলে অবশ্যই থলি ভরে এই সবজি বেশি করে বেছে নিতে ভুলবেন না। ঝিঙে অন্য অনেক সবজির তুলনায় সস্তা হলেও এগুলি খাওয়া খুবই কার্যকরী।শরীরকে পুষ্টিগুণ দিতে দারুণ কাজে দেয় এই সবজি আবার দাম ও বেশ কম।
শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। একটু ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়ে ব্যাগ গুছিয়ে। সামনেই ১৫ অগাস্ট। স্বাধীনতা দিবসের উইকেন্ডে অফবিট কোথায় বেড়়াতে যাবেন ঠিক করেছেন? রইল কয়েকটি ঠিকানা, যেগুলি বৃষ্টিতেও দারুণ উপভোগ করা যায়।
টানা ৪ দিনের ছুটিতে দিঘা, পুরীর মতো জায়গা অনায়াসে ঘুরে আসার সুযোগের পাশাপাশি আবার সুযোগ রয়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার।
অগাস্ট মাসের টানা ৪ দিনের ছুটির সুযোগ রয়েছে মূলত ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে। টানা ৪ দিনের ছুটির জন্য অবশ্যই একটু ম্যানেজ করতে হবে। কেননা ১৫ অগাস্ট এবার পড়েছে বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার দিনটি বাদ দিলেই পড়ছে শনিবার ও রবিবার।
বেড়ানোর তালিকায় বাঙালির বরাবরের জন্য হট ফেভারিট উত্তরবঙ্গ। এই বর্ষায় ঘুরে আসুন নেপাল সীমান্তের মানেভঞ্জন থেকে। এখানেই রয়েছে রঙ্গিত মাজুয়া গ্রাম। পাহাড়ি গ্রামের নৈঃস্বর্গিক সৌন্দর্য্য আপনাকে মোহিত করে দেবে। সবুজে সবুজ দিয়ে সাজানো এই গ্রামের অপরূপ শোভা লেখনিতে বর্ণনা করা বেশ কঠিন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই গ্রামের সবদিক থেকেই দেখা মিলে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার।
মহারাষ্ট্রের পাহাড় ও উপত্যকা ঘেরা এই জায়গা লোনাভালা বিশেষ ভাবে বিখ্যাত এখানকার অবাক করা সৌন্দর্যের জন্য। ঐতিহাসিক দুর্গ, প্রাচীন গুহা আর টলটলে জলের শান্ত হ্রদ ঘিরে আছে এই জায়গাটিকে। স্থানীয়দের কাছে অসম্ভব প্রিয়। মুম্বই বেড়াতে গিয়েও এ অঞ্চলে বহু বহু জন বেড়াতে যান। বর্যা দিনে এখানে বেড়ানোটা অন্য অভিজ্ঞতা।
শুধু পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কেন, খোদ উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এলাকার জঙ্গলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুন্তালেখোলা। নেওরা ভ্যালির কাছেই এই জায়গাটি বিশেষ ভাবে পরিচিত অপুর্ব জলহাওয়ার জন্য। টিলা, পাহাড়ি ঝোরা, অফুরন্ত গাছ, অসংখ্য পাখি। এক টুকরো স্বর্গ বুঝি।
হাতে আর কটা দিন যোগ করলে বৃষ্টি দেখার আদর্শ জায়গা হল চোখ ধাঁধানো মেঘের দেশ মেঘালয় রাজ্য। ছোট্ট গ্রাম এই মৌসিনরাম। ঝর্ণার সশব্দ হাজিরা আর নৈসর্গিক সবুজে ঘেরা এই জায়গায় বর্ষাকালের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার জন্য একেবারে ফাটাফাটি।
Posts navigation
Just another WordPress site