জয়পুর: রাজস্থানের হিন্দুস্থান কপার লিমিটেডের একটি খনিতে হঠাৎই আটকে পড়ল ১৫ জনের একটি দল৷ কলকাতার খেত্রি কপার কর্পোরেশন লিমিটেডের এই দলটি আটকে পড়ায় হঠাৎই বেড়ে উদ্বেগ৷ রাজস্থানের নিম কা থানা জেলায় এই ভার্টিক্যাল লিফটের মধ্যে মঙ্গলবার এই ১৫ জন আটকে পড়েন৷ ওই জেলার পুলিশের সুপারিন্টেডেন্ট প্রবীন নায়েক বলেছেন, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল৷ মনে করা হচ্ছে, আটকদের মধ্যে কয়েকজন বেশ আহত হয়েছেন৷

কোলিহান খনিতে আটকে পড়া মানুষরা কয়েকশো মিটার ভিতরে আটকে পড়েছেন৷ তাঁদের উদ্ধারকাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে৷ এ ছা়ড়াও আটকদের জন্য খাবারের প্যাকেট, ওষুধ ইত্যাদি পাঠানো হয়েছিল৷ এ ছাড়া, একটি ৮ সদস্যের মেডিক্যাল দল খনির এক্সিট গেটে দিয়ে ভিতরে গিয়েছে, আটকদের সেখানে ফার্স্ট এইড দেওয়া হবে৷

প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হয়েছে, একটি ভার্টিক্যাল লিফটটি ১৮৭৫ ফুট তলায় পড়ে গিয়েছে বলে খবর৷ একটি ইনস্পেকশনের জন্য এই প্রতিনিধি দল লিফটে করে ভিতরে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু তারপরেই তিনি আটকে পড়েন৷ তাঁরা যখন আসতে চেষ্টা করেন, তার পরেই ওই লিফটের খাঁচার মতো অংশটি ভেঙে পড়ে৷ তাতেই ১৪ জন আটকে পড়েন, পুলিশ মারফত এই কথাই জেনে গিয়েছে৷

জয়পুরঃ অর্থের লোভে রাজস্থানের ঝুনঝুনুর এক ব্যক্তি এক জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। ওই এলাকায় দোল উৎসবের সময় একটি পোড়া গাড়ি থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তের পর ওই ব্যক্তির বাড়িতে খবর দেওয়ার ৮ দিন পর প্রকৃত ব্যক্তি বাড়িতে ফিরে আসেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে আসলে গাড়িতে কে ছিল?

দোলের দিন পুলিশ মহাসড়কের পাশে একটি সম্পূর্ণ পোড়া গাড়ি দেখতে পায়। পুলিশ কোনও ভাবে গাড়িটিকে সনাক্ত করে এবং কার গাড়ি তা খুঁজে বের করে। গাড়ির ভেতরে একটি সম্পূর্ণ পোড়া কঙ্কালও ছিল। গাড়িটির মালিক ব্যক্তি এই গাড়িতে করে কোনও কাজে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন, তারপর এই দুর্ঘটনা ঘটে এমনটাই ধারণা ছিল পুলিশের। তার ভিত্তিতে, পুলিশ এটিকে ঝুনঝুনুর বাসিন্দা বিকাশ ভাস্করের কঙ্কাল বলে মনে করে এবং দাহ করে।

৮ দিন পর নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন বিকাশ। এই খবর গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশের কাছে পৌঁছে যায়। পুলিশ বিকাশকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে- তাঁর ওই গাড়িতে কে ছিলেন এবং কেন তিনি এই কাজ করলেন?

আরও পড়ুনঃ গরমে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে রোজই ঢোকে, এই ৭ খাবারই বাড়িয়ে দিচ্ছে ব্লাডসুগারের মাত্রা, খুঁজুন বিকল্প খাবার

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বিকাশ জানান, তিনি দেড় কোটি টাকার একটি বিমা পলিসি নিয়েছিলেন। এখন তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পলিসির টাকা নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু টাকা পাবেন কেবলমাত্র তিনি যদি দুর্ঘটনায় মারা যান। এই কারণে তিনি এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। বিকাশ তাঁর সঙ্গে তার কাজের লোক মহেশকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন। মহেশ মদ খেয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, এই সুযোগে বিকাশ গাড়ি ছেড়ে দেন রেলওয়ে আন্ডারপাসের দিকে সঙ্গে পেট্রোলও নিয়ে যান। আন্ডারপাসে পৌঁছে মহেশকে ড্রাইভিং সিটে বসিয়ে গাড়িতে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পাশ হলেই ধামাকা সুযোগ! রাজ্য পুলিশে ১০,২৫৫ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি! আজই আবেদন করুন

রাতে মুকুন্দগড় থানা এলাকার দুন্দলোদের বালারিয়া আন্ডারপাসে একটি পোড়া গাড়ি ও কঙ্কাল পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের সময়, পুলিশ জানতে পেরেছিল যে এই গাড়িটি বিকাশ ভাস্করের তিনি এটি নিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন এবং তারপরে আর বাড়ি ফেরেননি। বাকিদের তদন্ত করার সময়, পুলিশ কঙ্কালটিকে বিকাশ ভাস্করের বলে ধরে নেয় এবং পরিবার তা দাহ করে।

এই মামলায় একটি নতুন মোড় আসে ২৮ মার্চ যখন দুন্দলোদের উত্তরাধা এলাকার মহেশ মেঘওয়ালের পরিবারের সদস্যরা জানান, মহেশও যিনি একই দিন থেকে নিখোঁজ। ঘটনার দিন ২৪ মার্চ দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। এর সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। এরপর পুলিশ দুর্ঘটনাটি অন্য দিক থেকে তদন্ত করলে সন্দেহের পরিধি বেড়ে যায়।

৮ দিন পর গোপনে নিজের বাড়িতে পৌঁছে যান বিকাশ ভাস্কর। তবে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে হেফাজতে নেয়। হেফাজতে নেওয়ার মাত্র ৪ ঘণ্টা পরে বিকাশের মৃত্যু হয়। বর্তমানে বিকাশের মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। বিকাশের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তিনি বিষ খেয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, মহেশকে খুন করেছেন বিকাশ ভাস্কর। তাঁকে গ্রেফতার করার আগেই তিনি মারা যান, তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারা যায়নি। তার পরও তদন্ত করা হবে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।