Tag Archives: Research

ISRO Research: পাট চাষ নিয়ে ইসরোর গবেষণা, নিয়ে এল অ্যাপ

পূর্ব বর্ধমান: পাট চাষ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো।দেশের কোন কোন এলাকায় কীরকম পাট চাষ হয় এবং পাট চাষ করতে চাষিদের কী সমস্যা হচ্ছে সেই নিয়ে ইসরো এই গবেষণা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, পাট চাষ নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অ্যাপও এনেছে ইসরো৷ সেই অ্যাপে কীভাবে তথ্য আপলোড করতে হবে সেই বিষয়ে মাস্টার ট্রেনারদের প্রশিক্ষণ দিলেন ইসরোর দুই বিজ্ঞানী।

পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের শ্রাবণী লজে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও বেথুয়াডহরি এবং কলকাতা মিলিয়ে মোট ৫০ জন মাস্টার ট্রেনার উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রশিক্ষণ শিবিরে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুট কর্পোরেশন অব ইণ্ডিয়ার কর্মী এবং অফিসাররা।

আর‌ও পড়ুন: যেন আস্ত এক খেলাঘর! এই স্কুলে এলে ছেলেমেয়েরা বাড়ি ফিরতে চায় না

প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল আইকেয়ার নামে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ তাদের অধীনেই রয়েছে মাস্টার ট্রেনাররা। ইসরো দেশে পাট চাষ নিয়ে এবং পাট চাষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কী করা প্রয়োজন সেই নিয়ে গবেষণা করছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নানা অংশে পাট চাষ হয়৷ পাট গাছে কোন এলাকায় কী ধরনের রোগ, পোকার আক্রমণ হয়, কোন এলাকায় উৎকৃষ্ট মানের পাট উৎপন্ন হয় এইসব কিছুই ওই গবেষণার অংশ। এছাড়াও কোন এলাকায় চাষের পদ্ধতি কীরকম সেই বিষয়ে একটি অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছে ইসরো।

নির্দিষ্ট অ্যাপে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তথ্য প্রদান করেন মাস্টার ট্রেনাররা। ট্রেনাররা প্রতিটা পাট জমিতে পৌঁছে পাট চাষিদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন৷ এছাড়াও নির্দিষ্ট জমির ছবি তুলে ওই অ্যাপে আপলোড করেন। আর এই মাস্টার ট্রেনারদের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করেই ইসরোর গবেষকরা গবেষণা করেন। এই প্রসঙ্গে এক মাস্টার ট্রেনার বলেন, আমাদের এদিন ইসরোর দুই বিজ্ঞানী এসে প্রশিক্ষণ দেন৷ কীভাবে অ্যাপে তথ্য দিতে হবে সেগুলো শেখান। অনেক সময় অ্যাপে তথ্য দিতে ভুল হয়৷ তাই সঠিক তথ্য কীভাবে দিতে হবে তা নিয়ে তাঁরা বোঝান৷

পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাট চাষ হয়। জেলার কালনা এবং কাটোয়া মহকুমা জুড়ে সবথেকে বেশি পাট চাষ হয়। কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে প্রায় ২১৫ ও মঙ্গলকোটে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়৷ কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ, জগদানন্দপুর, গাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশি পাট চাষ হয়। কেতুগ্রাম ২ ব্লক এলাকায় সীতাহাটি, মৌগ্রাম প্রভৃতি অঞ্চলে বেশি পাট চাষ হয়। তবে দু’ বছর ধরে বৃষ্টির অভাবে পাট পচানো নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন চাষিরা। পাট পচানোর জলের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বহু চাষিকে। তাঁদের আশা, ইসরোর এই গবেষণার সুফল আগামী দিনে পাবেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Research: গবেষণা করতে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেবে আলিপুরদুয়ারের গর্ব শৌর্য‍্যদীপ

প্রতিদিনই একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছে কয়লা,খনিজ তেল-সহ অন্যান্য জ্বালানির ভাণ্ডার। চলছে বিকল্প জ্বালানির খোঁজ। এবার বিকল্প জ্বালানি নিয়ে গবেষণা করতে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের শৌর্য‌্যদীপ পাল।

সেখানকার চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিয়েছেন শৌর্য‌্যদীপ। ইতিমধ্যেই তাঁর ভিসার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৪ আগস্ট তিনি মার্কিন মুলকে পাড়ি দেবেন এবং ২৬ শে আগস্ট থেকে তার গবেষণা শুরু হবে। গবেষণা শেষে দেশে ফিরে অধ্যাপনা করতে চান শৌর্য‌্যদীপ। তার সাফল্যে খুশি প্রতিবেশীরাও।

India’s Fish Eating Population: বলুন দেখি দেশের কোন রাজ্যের মানুষ সবথেকে বেশি মাছ খান? তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ নেই প্রথম পাঁচে! বাংলার স্থান জানলে চমকে যাবেনই

নয়াদিল্লি: মাছে মন মজেছে ভারতবাসীর৷ সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ দেখা যাচ্ছে, সম্প্রতি দেশ জুড়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে মাছ খাওয়া৷ ‘Fish Consumption In India: Patterns And Trends’ শীর্ষক এই গবেষণা হয়েছে Council of Agricultural Research বা ICAR-এর তত্ত্বাবধানে৷ কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক, ভারত সরকার এবং ওয়ার্ল্ড ফিশ ইন্ডিয়ার অধীনে করা এই সমীক্ষা তথা গবেষণায় যে যে তথ্য দেখা যাচ্ছে, তা চমকে দেবে৷

গবেষক তথা সমীক্ষকরা ২০০৫-০৬ থেকে শুরু করে ২০১৯-২১ পর্যন্ত তথ্য অনুসন্ধান করেছেন৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে জনসংখ্যাবৃদ্ধি, সম্পদবৃদ্ধি এবং খাদ্যগ্রহণের পরিবর্তিত ধারায় মাছ খাওয়ার হার অনেকটাই বেড়েছে ভারতবাসীর মধ্যে৷ ২০১৯-২০ সালের পরিসংখ্যান বলছে ৫.৯৫% ভারতবাসী রোজ মাছ খান৷ সপ্তাহে অন্তত ১ দিন খান ৩৪.৮% এবং খান মাঝে মাঝে মাছ মুখে তোলেন ৩১.৩৫% দেশবাসী৷

পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারত এবং উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি, তামিলনাড়ু, কেরল, গোয়ার মানুষ বেশি হারে মাছ খান৷ উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি যেমন পঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানের মানুষ খুব কম মাছ খান, মাত্র ৩০%৷ কিন্তু সুদূর উত্তরে জম্মু কাশ্মীরে আবার মাছ খাওয়ার হার বেড়েছে অনেকটাই৷ রিপোর্ট বলছে, দৈনিক আহারে সবথেকে বেশি মাছ খান কেরল ও গোয়ার মানুষ৷

আরও পড়ুন : ডাইজেস্টিভ বিস্কুট খেলে কি সত্যি ওজন কমে? এই বিস্কুট উপকারী না ক্ষতিকর? জানুন সত্যিটা

পাশাপাশি সার্বিক ভাবে শতকরার দিক থেকে সবথেকে বেশি মাছ খান ত্রিপুরার মানুষ৷ তার পর আছেন যথাক্রমে মণিপুর, অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ৷ অর্থাৎ শতকরার হিসেবে সর্বোচ্চ মাছ ভক্ষণকারীদের তালিকায় বাংলার স্থান ষষ্ঠ৷ অন্যদিকে সারা দেশে সবথেকে কম মাছ খান হরিয়ানাবাসী৷ মাত্র ২০.৬%৷ তার পরে আছে পঞ্জাব এবং রাজস্থান৷

দেশের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে পার ক্যাপিটা বার্ষিক হিসেবে সবথেকে বেশি মাছ খান লক্ষদ্বীপের বাসিন্দারা৷ তার পর তালিকায় আছে যথাক্রমে গোয়া, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ত্রিপুরা এবং ছত্তীসগঢ়৷ অর্থাৎ এই পরিসংখ্যানেও প্রথম পাঁচে নেই বাংলা! বাঙালি মানেই মাছে ভাতে-আমাদের চেনা ভাবনার এই মৎস্যপুরাণ বাস্তবের সমীক্ষায় দেখা দিল উলটপুরাণ হয়ে৷

Lifetyle: মেয়েদের কী শুঁকলে ‘উত্তেজনা’ কমে যায় পুরুষদের? গবেষণায় চমকে দেওয়া রিপোর্ট

প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে বিজ্ঞান। বাড়ছে নানা জিনিস, নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা। সেই সকল গবেষণা থেকে উঠে আসছে অজানা তথ্য। যা অবাক করে দেওয়ার মত। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরে হল তেমনই একটি গবেষণা। (প্রতীকী ছবি)
প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে বিজ্ঞান। বাড়ছে নানা জিনিস, নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা। সেই সকল গবেষণা থেকে উঠে আসছে অজানা তথ্য। যা অবাক করে দেওয়ার মত। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরে হল তেমনই একটি গবেষণা। (প্রতীকী ছবি)
কোনও কারণে পুরুষরা খুব উত্তজিত হয়ে গেলে কী করলে নিমিষে ঠান্ডা করা যায়? এর জন্য নানা উপায় রয়েছে। কিন্তু কখনও শুনেছেন মেয়েদের শরীর কোন জিনিস শুঁকলে উত্তেজনার মুহূর্তে ঠান্ডা হয়ে যায় পুরুষরা। (প্রতীকী ছবি)
কোনও কারণে পুরুষরা খুব উত্তজিত হয়ে গেলে কী করলে নিমিষে ঠান্ডা করা যায়? এর জন্য নানা উপায় রয়েছে। কিন্তু কখনও শুনেছেন মেয়েদের শরীর কোন জিনিস শুঁকলে উত্তেজনার মুহূর্তে ঠান্ডা হয়ে যায় পুরুষরা। (প্রতীকী ছবি)
এলওএস বায়োলজি (PLOS Biology)-র গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। 'দ্য গার্ডিয়ানের' প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষণা বলছে, নারীর অশ্রুর ঘ্রাণ পুরুষের আগ্রাসী মনোভাবকে অনেকটা শান্ত করে দিতে পারে। পুরুষের আগ্রাসী মনোভাব অন্তত ৪৪ শতাংশ কমে আসে মেয়েদের চোখের জল শুঁকলে। (প্রতীকী ছবি)
এলওএস বায়োলজি (PLOS Biology)-র গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। ‘দ্য গার্ডিয়ানের’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষণা বলছে, নারীর অশ্রুর ঘ্রাণ পুরুষের আগ্রাসী মনোভাবকে অনেকটা শান্ত করে দিতে পারে। পুরুষের আগ্রাসী মনোভাব অন্তত ৪৪ শতাংশ কমে আসে মেয়েদের চোখের জল শুঁকলে। (প্রতীকী ছবি)
গবেষণার জন্য ৬ জন মহিলার চোখের জল সংগ্রহ করা হয়। তাদের পুরুষ সঙ্গীদের ভিডিও গেম খেলতে দেওয়া। ভিডিও গেম খেলার সময় স্ক্যানার দিয়ে তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিমাপ করা হয়। তাতে গবেষকরা বুঝতে পারেন গেম খেলতে খেলতে তারা কখন উত্তেজিত হয়ে উঠছেন। (প্রতীকী ছবি)
গবেষণার জন্য ৬ জন মহিলার চোখের জল সংগ্রহ করা হয়। তাদের পুরুষ সঙ্গীদের ভিডিও গেম খেলতে দেওয়া। ভিডিও গেম খেলার সময় স্ক্যানার দিয়ে তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিমাপ করা হয়। তাতে গবেষকরা বুঝতে পারেন গেম খেলতে খেলতে তারা কখন উত্তেজিত হয়ে উঠছেন। (প্রতীকী ছবি)
গেম খেলার উত্তেজনার মুহূর্তে ওই ৬ পুরুষ সঙ্গীকে তাদের সঙ্গীর চোখর জলের গ্রাণ শুঁকতে দেওয়া হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চোখের জলের গ্রাণ শুঁকতেই পুরুষদের আগ্রাসী আচরণ ৪৩.৭ শতাংশ কমে গিয়েছে! (প্রতীকী ছবি)
গেম খেলার উত্তেজনার মুহূর্তে ওই ৬ পুরুষ সঙ্গীকে তাদের সঙ্গীর চোখর জলের গ্রাণ শুঁকতে দেওয়া হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চোখের জলের গ্রাণ শুঁকতেই পুরুষদের আগ্রাসী আচরণ ৪৩.৭ শতাংশ কমে গিয়েছে! (প্রতীকী ছবি)
সঙ্গিনীদের কান্নার ঘ্রাণ পেয়ে গবেষণায় অংশ নেওয়া পুরুষদের আগ্রাসী আচরণ ৪৩.৭ শতাংশ কমে গিয়েছে! ব্রেন ইমেজিং পরীক্ষায় দেখা যায়, কান্নার গন্ধ পেয়ে আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত মস্তিষ্কের অংশটি তার কার্যকলাপের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। (প্রতীকী ছবি)
সঙ্গিনীদের কান্নার ঘ্রাণ পেয়ে গবেষণায় অংশ নেওয়া পুরুষদের আগ্রাসী আচরণ ৪৩.৭ শতাংশ কমে গিয়েছে! ব্রেন ইমেজিং পরীক্ষায় দেখা যায়, কান্নার গন্ধ পেয়ে আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত মস্তিষ্কের অংশটি তার কার্যকলাপের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। (প্রতীকী ছবি)
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ওয়াইজম্যানস ব্রেন সায়েন্সেস' বিভাগের বিজ্ঞানী নোয়াম সোবেল বলেন, 'অশ্রু মস্তিষ্কের ঘ্রাণজনিত রিসেপ্টরগুলোকে সক্রিয় করে তোলে আর আগ্রাসন-সম্পর্কিত অংশটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ফলে, অশ্রুতে আগ্রাসী আচরণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে'। (প্রতীকী ছবি)
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়াইজম্যানস ব্রেন সায়েন্সেস’ বিভাগের বিজ্ঞানী নোয়াম সোবেল বলেন, ‘অশ্রু মস্তিষ্কের ঘ্রাণজনিত রিসেপ্টরগুলোকে সক্রিয় করে তোলে আর আগ্রাসন-সম্পর্কিত অংশটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ফলে, অশ্রুতে আগ্রাসী আচরণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে’। (প্রতীকী ছবি)