Category Archives: বীরভূম

Healthy Lifestyle Tips: মুখ থেকে ‘ভকভক’ করে গন্ধ ছাড়বে এই ভয়ে এই সবজি খাচ্ছেন না, এই গরমে শরীরের বড় সর্বনাশ

: গরমে একটি পেঁয়াজ সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে আপনার শরীর।পেঁয়াজকে স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারি বলে মনে করা হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রোজ একটা পেঁয়াজ খাওয়া যায় তাহলে শরীরের নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
: গরমে একটি পেঁয়াজ সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে আপনার শরীর।পেঁয়াজকে স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারি বলে মনে করা হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রোজ একটা পেঁয়াজ খাওয়া যায় তাহলে শরীরের নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,এবং ভিটামিন সি -র সঙ্গে পাওয়া যায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যা অত্যন্ত উপকারী।
এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,এবং ভিটামিন সি -র সঙ্গে পাওয়া যায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যা অত্যন্ত উপকারী।
সিউড়ির বিশিষ্ট ডাক্তার কৌশিক সেন বলছেন এই অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সান স্ট্রোকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, হিট স্ট্রোকের পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
সিউড়ির বিশিষ্ট ডাক্তার কৌশিক সেন বলছেন এই অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সান স্ট্রোকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, হিট স্ট্রোকের পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
গ্রীষ্মকালে যখন প্রবল সূর্যের তাপ এবং গরম বাতাস বইতে শুরু করে, তখন আপনার খাদ্য তালিকায় কাঁচা পেঁয়াজ অত্যন্ত উপকারী।
গ্রীষ্মকালে যখন প্রবল সূর্যের তাপ এবং গরম বাতাস বইতে শুরু করে, তখন আপনার খাদ্য তালিকায় কাঁচা পেঁয়াজ অত্যন্ত উপকারী।
অনেক গুণে সমৃদ্ধ পেঁয়াজ এই ধরনের আবহাওয়ায় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধরণের রোগীদের জন্য এই পেঁয়াজ খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ৷
অনেক গুণে সমৃদ্ধ পেঁয়াজ এই ধরনের আবহাওয়ায় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধরণের রোগীদের জন্য এই পেঁয়াজ খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ৷
কাঁচা পেঁয়াজে ক্যানসার প্রতিরোধক গুণ পাওয়া যায় ৷ অর্থাৎ এর ব্যবহার ক্যানসারের মতমারাত্মক রোগ আটকাতে সাহায্য করে ।
কাঁচা পেঁয়াজে ক্যানসার প্রতিরোধক গুণ পাওয়া যায় ৷ অর্থাৎ এর ব্যবহার ক্যানসারের মতমারাত্মক রোগ আটকাতে সাহায্য করে ।
এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা পেঁয়াজ খুবই উপকারি বলে মনে করা হয়।এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা পেঁয়াজ খুবই উপকারি বলে মনে করা হয়।এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অনেকে এর গন্ধের জন্য এই সবজি খেতে নাক শিঁটকোলেও বহু মানুষ আছেন যাঁরা কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন।
অনেকে এর গন্ধের জন্য এই সবজি খেতে নাক শিঁটকোলেও বহু মানুষ আছেন যাঁরা কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন।
মুড়ি থেকে ভাত, সবের সঙ্গেই একটা কাঁচা পেঁয়াজ মুখে তোলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাদের তাগিদে খাবারটি খেলেও, অজান্তেই তাঁরা শরীরের উপকারই করছেন।
মুড়ি থেকে ভাত, সবের সঙ্গেই একটা কাঁচা পেঁয়াজ মুখে তোলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাদের তাগিদে খাবারটি খেলেও, অজান্তেই তাঁরা শরীরের উপকারই করছেন।
কারণ পেঁয়াজ খেলে বহু অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। তাই এই গরমে খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবেন না কাঁচা পেঁয়াজ। Input- Souvik Roy
কারণ পেঁয়াজ খেলে বহু অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। তাই এই গরমে খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবেন না কাঁচা পেঁয়াজ। Input- Souvik Roy

Lok Sabha Election: একশো দুশো নয়, প্রায় ৭০ হাজার মিষ্টি বিতরণ তৃণমূলের! কারণে আছে বড় চমক

বীরভূম: বীরভূমে চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচনের পরের দিনই ঢাক বাজিয়ে বীরভূমের নানুরের পাপুড়ি গ্রামে বিজয় মিছিল তৃণমূলের। ৭০ হাজার মিষ্টি বিলি কোর কমিটির সদস্য তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতির ফাইজুল হক ওরফে কাজল শেখের।

চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন গতকাল শেষ হতেই এবার নানুরের পাপুড়ি গ্রামে জয়ঢাক বাজিয়ে তৃণমূলের তরফে বিজয় মিছিল করা হল। প্রায় কয়েক হাজার তৃনমূল কর্মী সমর্থক এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এইদিন।

আরও পড়ুন: ফিরবে তাপপ্রবাহ? ঝড়বৃষ্টি কতদিন চলবে? বঙ্গের আবহাওয়ার বড় আপডেট জানুন

উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ-সহ নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাজি ও অনান্য তৃণমূলের নেতৃত্ব বৃন্দ। এদিন কাজল শেখ নিজের হাতে প্রায় ৭০ হাজার মিষ্টি বিতরণ করেন পাপুড়ি গ্রামে তৃনমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে।

সোমবার বোলপুর ও বীরভূম এই দুটি লোকসভায় লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বোলপুর লোকসভার তৃনমূলের প্রার্থী অসিত মাল তিনি প্রায় তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতবেন আগেই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।

তাই এইদিন বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয় নানুরের পাপুড়ি গ্রামে কাজল শেখের নেতৃত্বে।এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, “আমরা ৩৬৫ দিন পড়াশোনা করি। তাই আমাদের ফল ভাল হবে এটাই আশা করি। আপনারা রেজাল্ট ঘোষণার দিন মিলিয়ে নেবেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমূলের প্রার্থী অসিত মাল প্রায় ৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতে গেছেন এটা আমরা ধরেই নিয়েছি। ’’

তাই এইদিন বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়। সবুজ আবীর খেলে ঢাক ঢোল বাজিয়ে প্রায় ৭০ হাজার মিষ্টি বিতরণ করা হয় সাধারণ পথ চলতি মানুষ এবং এলাকাবাসীদের মধ্যে।যদিও এই বিজয় মিছিলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অন্যান্য দলের নেতৃত্ববৃন্দরা।

সৌভিক রায়

Weather Update: ফিরবে তাপপ্রবাহ? ঝড়বৃষ্টি কতদিন চলবে? বঙ্গের আবহাওয়ার বড় আপডেট জানুন

দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কলকাতা-সহ একাধিক রাজ‍্যে মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কলকাতা-সহ একাধিক রাজ‍্যে মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা।
তবে ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে। আবারও বাড়তে পারে রাজ‍্যের একাধিক জেলার তাপমাত্রা। সপ্তাহের শেষে উপকূল ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে।
তবে ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে। আবারও বাড়তে পারে রাজ‍্যের একাধিক জেলার তাপমাত্রা। সপ্তাহের শেষে উপকূল ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে।
ভোটের আবহ পেরোতেই ফের তীব্র গরম বীরভূমে।সকাল থেকেই পুনরায় আবার আগের মত তীব্র দাবদাহ শুরু বীরভূমে।দুপুর ১২ টার পর প্রায় জনশূন্য বীরভূমের রামপুরহাট শহর।
ভোটের আবহ পেরোতেই ফের তীব্র গরম বীরভূমে।সকাল থেকেই পুনরায় আবার আগের মত তীব্র দাবদাহ শুরু বীরভূমে।দুপুর ১২ টার পর প্রায় জনশূন্য বীরভূমের রামপুরহাট শহর।
আজ সকাল থেকেই বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি।৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও এই তাপমাত্রা যথেষ্ট অস্বস্তিকর। এর সাথে বাতাসে বইছে লু। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া এই অস্বস্তিকর পরিবেশে না বেরোনো ভালো।
আজ সকাল থেকেই বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও এই তাপমাত্রা যথেষ্ট অস্বস্তিকর। এর সঙ্গে বাতাসে বইছে লু। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া এই অস্বস্তিকর পরিবেশে না বেরোনো ভালো।
প্রসঙ্গত সোমবার চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচনে,নির্বাচন চলাকালীন অন ডিউটি এক সিআরপিএফ জাওয়ান এর মৃত্যু হয় অতিরিক্ত গরমের কারণে। তাই চিকিৎসাকরা পরামর্শ দিচ্ছেন এই গরমে হালকা কাপড় পরিধান করে তারপরে বাড়ি থেকে বের হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত সোমবার চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচনে,নির্বাচন চলাকালীন অন ডিউটি এক সিআরপিএফ জাওয়ানের মৃত্যু হয় অতিরিক্ত গরমের কারণে। তাই চিকিৎসাকরা পরামর্শ দিচ্ছেন এই গরমে হালকা কাপড় পরিধান করে তারপরে বাড়ি থেকে বের হওয়া উচিত।
ডঃ আশীষ রায় বলছেন বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি ছিল তাপমাত্রা। তারপরে বীরভূমে দুদিন সন্ধ্যে এবং রাতের দিকে বিক্ষিপ্ত থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। এরপর দুই তিন দিন আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও আবার পুনরায় গরমের পরিস্থিতির তৈরি হওয়াতে শরীরের পক্ষে হুট করে এর প্রভাব পড়তে পারে।
ডঃ আশীষ রায় বলছেন বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি ছিল তাপমাত্রা। তারপরে বীরভূমে দুদিন সন্ধ্যে এবং রাতের দিকে বিক্ষিপ্ত থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। এরপর দুই তিন দিন আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও আবার পুনরায় গরমের পরিস্থিতির তৈরি হওয়াতে শরীরের পক্ষে হুট করে এর প্রভাব পড়তে পারে।
এই গরমে চিকিৎসক পরামর্শ দিচ্ছেন গরমে ঠান্ডা জাতীয় খাবার যেমন লিচু,তরমুজ,শসা খেলে শরীরের ত্বক উজ্জ্বল থাকে।সূর্যের তাপে ত্বক যে কালো হয়ে থাকার ভয় থাকে সেখান থেকে রেহাই মিলবে।
এই গরমে চিকিৎসক পরামর্শ দিচ্ছেন গরমে ঠান্ডা জাতীয় খাবার যেমন লিচু,তরমুজ,শসা খেলে শরীরের ত্বক উজ্জ্বল থাকে।সূর্যের তাপে ত্বক যে কালো হয়ে থাকার ভয় থাকে সেখান থেকে রেহাই মিলবে।

Lok Sabha Election 2024: বীরভূমের বুথে শিশুর মাতৃদুগ্ধ পানের পৃথক ব্যবস্থা, ভোটে সাবালক হল প্রশাসন

বীরভূম: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় সোমবার ভোটগ্রহণ হল বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই। সূর্যের আলো ফুটতে না ফুটতেই লম্বা লাইন দেখা গেল বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে। বিকেল ছয়টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলার কথা তবে বেশ কিছু বুথে তারপরেও ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। তারই মধ্যে নজর কাড়ল বুথের মধ্যে শিশুকে মায়ের দুগ্ধ পানের জন্য পৃথক ব্যবস্থা।

বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য, তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায় এবং কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ। বীরভূম কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ১৯৪৩। ভোট সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল ১৩১ কোম্পানি, রাজ্য পুলিশ ছিল ৬১৭২ জন। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪০৭, ক্যামেরা এবং ওয়েব কাস্টিং হয়েছে ১৯৪৩ বুথে। মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৪ জন। মোট প্রার্থী ১২ জন।

আরও পড়ুন: ইভিএম ছিনতাইয়ের চেষ্টা বিজেপির এজেন্টের! হাতে নাতে গ্রেফতার

অন্যদিকে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৩৪ জন। মোট প্রার্থী ৮ জন। মোট বুথ সংখ্যা ১৯৩৯ টি, মোট কেন্দ্রীয় বাহিনী ৬৫ কোম্পানি। মোট স্পর্শকাতর বুথ ৬৪০ টি। ক্যামেরা এবং ওয়েব কাস্টিং প্রায় সমস্ত বুথে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোট দাতাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বীরভূমের রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনকে গড়ে তোলা হয়েছে পিঙ্ক মডেল বুথ হিসাবে। সেখানে শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানির জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত রাখা ছিল। এর ফলের সদ্যজাত শিশুদের নিয়ে মায়েরা সহজেই বুথে ভোট দিতে আসতে পেরেছেন।

সৌভিক রায়

Loksabha Elections 2024: অনুব্রত মণ্ডল নেই! গুরুর শিক্ষা গুড় বাতাসা! ভোটারদের হাত তুলে দিলেন অনুগামীরা

বোলপুর: গুরু যেভাবে শিষ্যকে শিক্ষা দিয়ে যান ঠিক সেভাবেই যেন অনুব্রতর দাওয়াই গুড় বাতাসা ভুলতে পারছে না বোলপুরের সমর্থকরা। ঠিক ভোটের দিন নকুল দানা এবং গুড় বাতাসা দিয়ে শরীর ঠাণ্ডা করছে তৃণমূল নেতা বাবু দাস এবং কর্মী সমর্থকেরা। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বোলপুর শহরে, গোয়াল পাড়ার ১৬৩ নম্বর বুথ সংলগ্ন এলাকায় ভোটার এবং পথিকদের গুড় বাতাসা দিয়ে অনুব্রতর কথা মনে করিয়ে দিল তারই সমর্থকরা।

তৃণমূল নেতা বাবু দাস বলেন, এটাই নাকি? গ্রামের রীতি। গোয়ালপাড়ায় ভোট এলে গুড়বাতাসা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

আরও পড়ুন – Diabetes Control Tips: গাছে ভর্তি-ভর্তি হয়, দাম কম, এই ফলের গুণে ডায়াবেটিস বশ, কোলেস্টোরলের যম, স্লিম হওয়া আটকায় কে

এছাড়াও অনুব্রত মন্ডলকে গুরু এবং নিজেকে শিষ্য বলেই দাবি করছেন সমর্থকেরা। চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসার মত শব্দগুচ্ছ গুলি ভাইরাল হয় অনুব্রত মণ্ডলের মুখ দিয়েই। এবার সেই মর্মেই তার অনুপস্থিতিতে  ‘গুরু’ অনুব্রতকে স্মরণ করেই তার দেওয়া শিক্ষা অনুযায়ী গুড় বাতাসা বিলি করে নজির সৃষ্টির চেষ্টা।

এছাড়াও বিপুল ভোটে অসিত মাল জয়ী হবেন বলেই মনে করছেন বোলপুর লোকসভার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচন আসবে যাবে। কলি থাকলেও কেষ্ট নেই। তবে অনুব্রত মণ্ডলের সৃষ্টি করা ট্রেন্ড যেন ভুলতে পারছেনা বোলপুর।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Anubrata Mondal: থমথমে বোলপুর! ‘তাঁর’ অনুপস্থিতিতে ফিকে ভোট! কী বলছে অনুব্রতর পাড়া-বুথ? জানুন

বোলপুর: ভোট হচ্ছে, বুথ আছে কিন্তু নেই বীরভূমের তৃণমূলের কমান্ডার ইন চার্জ অনুব্রত মণ্ডল। চতুর্থ দফায় ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচন চলছে বোলপুরে। তবে অনুব্রত রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। সেই কারণেই থমথম করছে বোলপুর। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি কালিকাপুরের বাসিন্দাদের মন ভারাক্রান্ত। কেউ কেউ বলছেন ভোট মনেই হচ্ছে না।

আজকের দিনে তাঁর বাড়ির সামনে মানুষের ঢল নামত। দলের কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ আসতেন দেখা করতে। তবে ভোট শুরু হয়েছে প্রায় ৩ ঘণ্টা। আজ খাঁ খাঁ করছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। এই বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলে করে ভোট দিতে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল। কালিকাপুরের সরু ওলি-গলি পেরিয়ে যেতে হত ভোটকেন্দ্র ভাগবত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়।

আরও পড়ুনঃ সাতসকালে পুজো দিলেন মা তারার মন্দিরে, বীরভূমের আনাচকানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শতাব্দী

এই কেন্দ্রে চারটি বুথ। ১৮৮, ১৮৯, ১৯০ এবং ১৯১। মানুষের ভিড় ঠেলে কালিকাপুরের সরু রাস্তা পেরিয়ে ভাগবত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ১৯০ নম্বর বুথে ভোট দিতে যেতেন তিনি। কিন্তু এ বার দেওয়া হল না সেই ভোট। চলছে ভোট গ্রহণ। ওই একই বুথে ভোট দিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, থমথম করছে ভোটকেন্দ্র। সেই সাজো সাজো রব আর নেই। বোলপুরের মানুষ মিস করছে অনুব্রত মণ্ডলকে।

রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে বীরভূমের গুরুত্ব অনেক। সেই গুরুত্বের সিংহভাগই অনুব্রত মণ্ডলের জন্য। তবে তাঁর অনুপস্থিতি যেন কিছুটা ফিকে করেছে বোলপুরের ভোটের রং। এবং এই অনুপস্থিতি দলের উপরে কিছুটা প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

TMC: সাতসকালে পুজো দিলেন মা তারার মন্দিরে, বীরভূমের আনাচকানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শতাব্দী

বীরভূম: চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচন বীরভূমে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। সূর্যের আলো ফুটতে না ফুটতেই লম্বা লাইন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে। বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত মোট দুটি লোকসভা এক বীরভূম লোকসভা অন্যটি বোলপুর লোকসভা। ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সকাল সাতটা থেকে চলবে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য, তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় এবং কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ।

বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথ সংখ্যা ১৯৪৩, মোট কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৩১ কোম্পানির, মোট রাজ্য পুলিশ ৬১৭২ জন, নাকা পয়েন্ট ৯৪টি, স্পর্শকাতর সংখ্যা ৪০৭ ক্যামেরা এবং ওয়েব কাস্টিং ১৯৪৩ বুথে। দায়িত্বে রয়েছেন সাধারণ পর্যবেক্ষক রবিকান্ত, পুলিশ পর্যবেক্ষক বিজয় সিং। মোট ভোটার সংখ্যা ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৪ জন। মোট প্রার্থী ১২ জন।

আরও পড়ুনঃ সোমবার কোন কোন জেলায় ঝড়বৃষ্টি? মঙ্গল থেকে বাড়বে তাপমাত্রা! ফের তাপপ্রবাহ বাংলায়? লেটেস্ট আপডেট

অন্যদিকে, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৩৪ জন। মোট প্রার্থী ৮ জন। বিধানসভার সংখ্যা সাতটি কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, আউসগ্রাম, বোলপুর, নানুর, লাভপুর, ময়ূরেশ্বর। মোট বুথ সংখ্যা ১৯৩৯ টি, মোট কেন্দ্রীয় বাহিনী ৬৫ কোম্পানি মোট রাজ্য পুলিশ ৩০৮৬ নাকা পয়েন্ট ১৪টি, স্পর্শকাতর বুথ ৬৪০টি। ক্যামেরা এবং ওয়েবকাস্টিং প্রায় সমস্ত বুথে। দায়িত্বে রয়েছেন সাধারণ পর্যবেক্ষক রাজেন্দ্র ভারুড, পুলিশ পর্যবেক্ষক বিজয় সিং।

এ দিন সকালে মা তারার মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরেই রামপুরহাটের নিজের ফ্ল্যাট থেকে বেরোলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। আর এরপরই তিনি প্রত্যেক বুথে বুথে গিয়ে পরিদর্শন করেন ঠিকঠাক ভাবে ভোট প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পাশাপাশি বিভিন্ন লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

সৌভিক রায়

Loksabha Elections 2024: জোর কদমে চলছে চতুর্থ দফার ভোট, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র কত ভোটার জানেন, রইল সব হিসেবনিকেশ

বীরভূম: বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ২০২৪ সালে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল এবং ভারতের কমিউনিস্ট মার্কসবাদী প্রার্থী শ্যামলী প্রধান।  সব মিলিয়ে মোট প্রার্থী ৮ জন। মোট ভোটার ১৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৩৪ জন। মোট বুথ ১৯৭৯, স্পর্শ কাতর এবং অতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা চূড়ান্ত নেই। মোট বিধানসভা ৭ টি কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট,আউসগ্রাম, বোলপুর, নানুর, লাভপুর, ময়ূরেশ্বর।

কেতুগ্রাম ছিল তৃণমূলের দখলে। তৃণমূল পেয়েছিল১০০২২৬, বিজেপি ৮৭ হাজার ৫৩৭ বাম কংগ্রেসের জোট ২০ হাজার ৯২, মঙ্গলকোটে তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ৭ হাজার ৫৯৬, বিজেপি পেয়েছিল ৮৫২৫৯, বাম কংগ্রেসের জোট পেয়েছিল ১৬ হাজার ৭৮৩ আউসগ্রামে তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ৩৯২, বিজেপি পেয়েছিল ৮৮৫৭৭ বাম কংগ্রেস ২০ হাজার ৩৯৯৷

আরও পড়ুন – Heatwave 2024: তুমুল তাপপ্রবাহে জেরবার, কাজ করছে না এসি,কুলার, বরফের টুকরো বিকোচ্ছে কয়েক হাজার টাকায়

বোলপুরে তৃণমূল ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৪৩, বিজেপি পেয়েছিল ৯৪১৬৩, বাম কংগ্রেসের জোট পেয়েছিল ৯৯৬৫, নানুর তৃণমূল ১ লক্ষ ১২ হাজার১১৬, বিজেপি পেয়েছিল ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪৪৬, বাম কংগ্রেসের জোট পেয়েছিল ১২৮৭৮, লাভপুরে তৃণমূল পেয়েছিল ১লক্ষ ৮হাজার ৪৩২, বিজেপি পেয়েছিল ৯০৪৪৮, বাম এবং কংগ্রেসের জোট পেয়েছিল ৬৪৭৯, এবং ময়ূরেশ্বরে তৃণমূল পেয়েছিল ১ লক্ষ ৪২৫,বিজেপি পেয়েছিল ৮৮৩৫০, এবং বাম কংগ্রেসের জোট পেয়েছিল ৫৫৬২৷

২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী ছিল অসিত কুমার মাল,বিজেপি প্রার্থী ছিল রামপ্রসাদ দাস, সিপিআইএম প্রার্থী ছিল রামচন্দ্র গম্বুজ।২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৪২৯ জন ভোটদাতা নির্বাচনী অংশগ্রহণ করেছিলেন। যদিও ২০২৪ সালের সমীকরণ বলছে তৃণমূলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রার্থী তেমন কেউ নেই। এখন দেখার শেষ হাসি কে হাসে৷

Souvik Roy

Lok Sabha Election 2024: ‘নজরে বীরভূম’ চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচনে কত ভোটার, প্রার্থী কতজন?

বীরভূম: বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত মোট দুটি লোকসভা। এক বীরভূম লোকসভা আর একটি বোলপুর লোকসভা। রাত পেরোলে লোকসভা নির্বাচন বীরভূমে। আর এই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জেনে নিন গত বছর কে ছিল এই ভোটে আর কোন প্রার্থী জয়ী হয়েছে। এবং এই বছর কোন প্রার্থী রয়েছে এই লোকসভা নির্বাচনে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় যিনি দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে সাংসদ ছিলেন।বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ।

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ চতুর্থ দফা লাইভ

আরও পড়ুনঃ কাল রাজ‍্যে চতুর্থ দফার ভোট! কোন কোন আসনে? হেভিওয়েট প্রার্থী তালিকায় কারা? দেখে নিন এক ঝলকে

বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত রয়েছে মোট সাতটি বিধানসভা।মুরারই, নলহাটি, হাসান, রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, সিউড়ি। ২০১৯ সালে শতাব্দী রায় পেয়েছিলেন ৬৫৪০৭৭ ভোট, বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মন্ডল পেয়েছিলেন ৮৮৯২৪ ভোট, সিপিএম প্রার্থী রেজাউল করিম পেয়েছিলেন ৯৬৭৬৩, এই বছর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য, তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় এবং কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ।

প্রসঙ্গত, এই বীরভূম লোকসভা নির্বাচনে প্রথম থেকেই বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দেবাশীষ ধর , তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় এবং কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ। তবে একদম শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেবাশীষ ধরের পরিবর্তে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয় দেবতনু ভট্টাচার্য। দেবাশীষ ধর ছিলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। তবে বেশ কিছু কারণে তার প্রার্থী পথ বাতিল হয়। এরপরেই বিজেপির নতুন মুখ হয়ে দাঁড়ায় দেবতনু ভট্টাচার্য।

এবছর বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মোট ভোটার ১৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ২২ জন। লড়াই করছেন তিন জন নির্দল সহ ১২ জন প্রার্থী। ১৯৪৩ টি ভোট গ্রহন কেন্দ্র। তার মধ্যে ৬৪০ টি স্পর্শকাতর বুথ। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ১৩১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকছে ৬,১৭২ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী। এবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সিউড়ির আইটিআই ও রামপুরহাট কলেজ এই দুটি জায়গায় ডিসিআরসি কেন্দ্র করা হয়েছে। ২০১৯ শের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে লড়াই থাকলেও ২০২৪ শের নির্বাচনে বামফ্রন্টের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ মূল ফ্যাক্টর। ১৯ শের নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস আলাদা আলাদা ভাবে লড়াই করে ১,৭২,৩০৯ টি ভোট পেয়েছিল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হয়েছেন মিল্টন রশিদ।

সুতরাং, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটে জোটের প্রার্থী থাবা বসালে সংকটে পড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়। তাতে আখেরে লাহবান হতে পারে বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। পেশায় আইনজীবী তথা হাঁসনের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদের শক্ত গড় হাঁসন। পাশাপাশি নলহাটি ও মুরারই দুটি বিধানসভাতেও সংখ্যালঘু ভোটের একটা বড় অংশ মিল্টন রশিদের পক্ষে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটে ঘাটতি পড়তে পারে।

সৌভিক রায়

Lok Sabha Election 2024: এই গ্রামের মানুষ অন্য কিচ্ছু চায় না, প্রার্থীদের কাছে শুধু একটাই দাবি

বীরভূম: আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে শনিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এদিন সবকটি রাজনৈতিক দলের ভোট প্রচার তুঙ্গে ওঠে। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে সব কটি রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিটি এলাকার মানুষকে ছুঁয়ে যাওয়ার মরিয়া প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু যাদের জন্য এই নির্বাচন সেই আমজনতা কী চাইছে?

গত পাঁচ বছরে কতটা উন্নয়ন হয়েছে তার খোঁজ নিতে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নারায়ণঘাঁটি গ্রামে। উল্লেখ্য এইবার বোলপুর থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিদায়ী সাংসদ অসিত কুমার মাল, বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়া সাহাকে। অপরদিকে সিপিএমের প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধান।

আর‌ও পড়ুন: ‘চৌধুরী’ গড়ের পতন ঘটাতে বদ্ধপরিকর পাঠান! ভোটের আগেই আবেগে ভাসছেন ইউসুফ

নারায়ণঘাঁটি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, তাঁদের প্রধান দাবি কৃষিকাজে পর্যাপ্ত সেচের জলের সরবরাহ নিশ্চিত হয় যেন। বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর-২ ব্লক এলাকা মূলত কৃষি প্রধান বলে পরিচিত। এই এলাকায় বছরের সব সময়ই চাষবাস হয়ে থাকে। কিন্তু জল সেচের উন্নত পরিকাঠামো না থাকায় এখানে কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

কৃষি কাজে জল সেচের জন্য বাম আমলে পাকা নালা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা আজ ভগ্নপ্রায়। এখনও বিভিন্ন চাষযোগ্য জমিগুলোতে পাকা নালার অভাবে ঠিকমত হচ্ছে না চাষ। তাই গ্রামবাসীরা সবার আগে চান তাঁদের জীবিকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে। সেই কারণেই উন্নত জল সেচের পরিকাঠামো করে তোলার দাবি জানিয়েছেন।

সৌভিক রায়