Category Archives: হাওড়া
New business Idea: স্বনির্ভর হতে সরকারি অনুমোদিত দলিল লেখক হতে পারেন! জানুন নিয়ম কানুন
হাওড়া: স্বনির্ভর হতে দলিল লেখক, বর্তমান সময়ে এই পেশার প্রতি আগ্রহ বেশ। তবে সরকার অনুমোদিত দলিল লেখক হতে যে পথ অনুসরণ করতে হয়। দলিল লেখকের পেশা বর্তমানে এক অতি পরিচিত পেশা| এই পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করতে হলে নির্দিষ্ট বয়স সীমা রয়েছে। এই পেশা গ্রহণ করতে বয়স হতে হয় অন্তত ২৩।
এরপর সংশ্লিষ্ট সাবরেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রারের প্রত্যয়নপত্রের পর নিবন্ধন মহাপরিদর্শকের দফতর থেকে সনদ নিতে পারবেন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যারা দলিল লেখক নয় তাঁরা অবৈধভাবে দলিল লেখকের কাজে নিযুক্ত হয়ে দলিল করছে। তাতে অনেক জাল দলিল হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির। সঠিক উপায়ে দলিল লেখক পেশায় যুক্ত হতে পারলে বলা যেতে পারে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: সুগন্ধ আপনাকে বসাবে টাকার পাহাড়ে ! দেখে নিন কী করে
পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির বক্তব্য লাইসেন্স ব্যতিত অন্য কোনও দলিল লেখকের কাছ থেকে দলিল লেখা চলবে না বলে দাবি তাঁদের |অন্য কেউ রেজিস্ট্রি অফিসে যাতে ঢুকতে না পারে তার জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৯৯৭ সালে রাজ্য সরকার ল-ক্লার্ক রুলস আইন প্রণয়ন করেছিল | ওই আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি অফিসে আইনজবীদের সহায়ক হিসেবে মুহুরিদের যাওয়া, আইনজীবীর মুসাবিদা ক্রমে মুহুরিদের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা যাবে | কিন্তু সেই সময়ই ওই আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছিলেন দলিল লেখকরা | তাঁদের অভিযোগ, দলিল লেখার কাজে যাতে অন্য কোনও পেশার ব্যক্তিরা যুক্ত হতে না পারেন, সেজন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম |
আরও পড়ুন: জানেন কী কী কাজে লাগে মাছের আঁশ ? ফেলে দেওয়া এই জিনিস থেকে পকেটে আসবে মোটা টাকা
আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০০৬ সালে তত্কালীন রাজ্য সরকার ১৯৯৭ সালের প্রণীত আইন সংশোধন করে ১৯ নম্বর ধারা চালু করে | ওই সংশোধিত ১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মুহুরিদের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি করা যাবে না | কিন্তু ওই সংশোধিত আইন না মেনে রাজ্যের রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতে এখনও মুহুরিদের লেখা, এমনকি দালালদের লেখা দলিলও রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে |যেহেতু রাজ্য সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লেখকরা অন্য কোনও লাভজনক পেশার সঙ্গে যুক্ত নয় | তাই যাতে অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ করা হয়, সেজন্য রাজ্য সরকারের কাছে সমিতির তরফে দাবি জানানো হয়েছিল, সুরাহা হয়নি।
রাকেশ মাইতি
Kolkata Metro: এতদিন চলত না, কিন্তু চলবে এবার…গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো ছুটবে এইদিনেও, যাত্রীদের জন্য দারুণ সুখবর!
কলকাতা: মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর। এবার রবিবারেও গঙ্গার নীচ দিয়ে পাওয়া যাবে মেট্রো পরিষেবা। রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর গ্রিন লাইন-২ -তে এই মেট্রো সার্ভিস পাওয়া যাবে।
রেল দফতর সূত্রে খবর, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গ্রিন লাইন-২ তে মোট ৬২ টি পরিষেবা পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ৩১ টি ট্রেন ইস্টবাউন্ট (পূর্বমুখী) এবং ৩১ টি ওয়েস্টবাউন্ড(পশ্চিমমুখী)। এই পরিষেবা পাওয়া যাবে রবিবারে। মেট্রো কতৃপক্ষ মারফত জানা গিয়েছে রবিবারের প্রথম মেট্রো চলবে দুপুর ২.১৫ থেকে।
আরও পড়ুন: সাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ ৮ জেলায় ধেয়ে আসছে ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত! আবার তবে কি…
দুপুর ২.১৫-তে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডের দিকে এবং এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দানের দিকেও পাওয়া যাবে মেট্রো। হাওড়া ময়দান এবং এসপ্ল্যানেডে, রবিবারের শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯.৪৫ মিনিটে।
আরও পড়ুন: দিল্লির জরুরি তলব? সুকান্ত, দিলীপের সঙ্গে বৈঠক সেরেই রাজধানীর পথে রাজ্যপাল!
প্রসঙ্গত, গঙ্গার নীচ দিয়ে যাত্রার শুরু থেকেই যাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, বিজেপির ডাকা বনধ এবং ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে বাস-সহ অন্যান্য পরিষেবায় গণ্ডগোলের আশঙ্কায় কার্যত ত্রাতা হয়ে উঠেছিল কলকাতা এবং হাওড়ার যোগসূত্র এই মেট্রো পরিষেবা।
Fire Accident: দাসনগর পোস্ট অফিসে আগুন! ঘটনাস্থলে দমকল, অল্পের জন্য রক্ষা বহু নথি
হাওড়া: পোষ্ট অফিসে আগুন অল্পের জন্য রক্ষা বহু নথি! ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় স্থানীয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। দমকলের একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হাওড়া দাসনগর পোষ্ট অফিসে বৃহস্পতি বার সকালে আগুন লাগে। স্থানীয় মানুষের নজরে আসে পোষ্ট অফিস থেকে নির্গত হচ্ছে ধোঁয়া। মুহূর্তে সেই ধোঁয়া বারতে থাকায়, দ্রুত খবর দেওয়া হয় দাসনগর থানায় এবং দমকলে।
আরও পড়ুনঃ সিঙ্গাপুর, দুবাইের পর এবার কলকাতায়! প্রথমবার অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক শপিং ফেস্টিভ্যাল
ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটা ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। সূত্রে জানা যায়, বহু বছরের পুরানো ইলেক্ট্রিক লাইন হওয়ায় কারণেই হতে পারে শর্টশার্কিট। তা থেকেই এই অগ্নিসংযোগ বলেই মনে করছেন অনেকে। গ্রাহকদের মতে হাজার হাজার মানুষের কোটি কোটি টাকার নথি এখানে রয়েছে।
বহু মানুষ রয়েছে যাদের ভবিষ্যৎ বলতে এই পোস্ট অফিসে সঞ্চিত অর্থ। অল্পের জন্য সেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি রক্ষা। যদিও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন এই পোস্ট অফিস জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানায় গ্রাহকরা। দুর্ঘটনা বড়সড় ঘটার আগেই স্থানীয় মানুষের নজরে পড়ে অগ্নিকাণ্ড। একই সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, যে কারণে শেষ রক্ষা হয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয় মানুষ।
রাকেশ মাইতি
Strike: নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত ছিল হাওড়া! বুধবার বিজেপির ডাকা বনধে কী ছবি জেলায়?
হাওড়া: বুধবার ১২ ঘন্টা বন্ধে হাওড়া জেলার চিত্র! বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া মোটের উপরে সম্পূর্ণ জেলায় শান্তিপূর্ণ ছবি। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নবান্ন চত্বর। গতকালই রাজ্যজুড়ে বুধবার বনধের ডাক দেয় বিজেপি।
বুধবার সকাল থেকে রাজ্য ও জাতীয় সড়কে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা যাত্রীবাহী সাধারণ যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা মেলে। গ্রামীণ সড়ক ও রাজ্য সড়কের টোটো অটোর মত যানবাহন ও কম। ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রেও প্রায় স্বাভাবিক ছবি।
যদিও বাগনান স্টেশনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বন্ধের সমর্থনে সাময়িক অবরোধ করে। লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম দেখা যায়। সড়কপথে বিভিন্ন রুটে গাড়ির সংখ্যা কম থাকার ফলে সামান্য মানুষ সমস্যায় পড়েন।
হাওড়া শহর ও গ্রামাঞ্চলে বন্ধের প্রভাব সেভাবে দেখা যায়নি। যেমন সকালে অধিকাংশ বাজার খোলা, তবে কিছু এলাকায় দোকানপাট বন্ধ দেখা গিয়েছে। অভিযোগ কোথাও কোথাও বন্ধ সমর্থনকারীরা বলপূর্বক দোকান পাঠ বন্ধ করার চেষ্টা চালায়।
বন্ধ সমর্থনে হাওড়া শহরের কদমতলা পাওয়ার হাউস এলাকায় বিজেপি সমর্থকরা জোর করে দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। অন্যদিকে বন্ধ কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে হাওড়ার পাঁচলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে পাঁচলা ও রাজাপুর সংযোগস্থলে বাজারে সকাল থেকে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই সাধারণ দিনের মত উপস্থিত। বাজারে স্থায়ী অস্থায়ী বহু দোকান খোলা। সে সময় কিছু মানুষ মাইকিং করে বন্ধের সমর্থনে বাজারে বন্ধ করতে চেষ্টা করলে শুরু দুপক্ষের মধ্যে ইট বৃষ্টি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজাপুর ও পাঁচলা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: নবান্নের সামনেই চলে এল বিক্ষোভকারীরা! দফায় দফায় ইটবৃষ্টি, রেড রোড বন্ধ, ছুটে গেল বিরাট পুলিশ বাহিনী
পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার। এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছুই সচল ছিল। এদিকে জেলা জুড়ে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল রাস্তার মোড় গুলিতে পুলিশি পাহারা ও রাস্তায় পুলিশের টহলদারি চলে।বুধবার দুপুরের পর থেকে যানচলাচল কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দের দিকে।
রাকেশ মাইতি
Recipe: মাছ-মাংস মুখে একঘেয়ে? বানিয়ে ফেলুন লোভনীয় চিলি সয়াবিন
হাওড়া: চিলি ফিশ বা চিলি পনির কিংবা চিলি চিকেন তো অনেক খেলেন। এবার স্বাদ বদল করতে বানিয়ে ফেলুন চিলি সয়াবিন। বানাতে সময় লাগে খুব কম, উপাদান-ও লাগে খুব সামান্য। দুপুর বা রাতে ফ্রায়েড রাইস, পোলাও বা লুচি-রুটির সঙ্গে বেশ জমে যায়।
চিলি সয়াবিন বানাতে লাগে টম্যাটো, চিলি এবং সয়া সস। ক্যাপসিকাম, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, অল্প ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার। প্রথমে সোয়াবিন গরম জলে সিদ্ধ করে নিন। এরপর সয়াবিন থেকে জল ঝরিয়ে নিয়ে, আদা বাটা রসুন,কর্নফ্লাওয়ার,ময়দা,অল্প লঙ্কাগুড়ো, গরমমশলা, মরিচগুঁড়ো,নুনো হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে রসুন কুচি, পেঁয়াজ,ক্যাপসিকাম ভেজে নিন। ম্যারিনেট করে রাখা সোয়াবিন, পরিমাণ মত জল দিয়ে কিছুক্ষণ ফোটান। এবার জলে গুলে রাখা কর্নফ্লাওয়ার ঢেলে দিন। পরিমাণ মত নুন দিয়ে, কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।
রাকেশ মাইতি
Howrah News: মন্ডপ সজ্জায় হোগলা পাতা! পুজোর মরশুমে বেশী লাভে মুখে চওড়া হাসি চাষী থেকে ব্যবসায়ীর
হাওড়া: মন্ডপ সজ্জায় হোগলা, আশার আলো ব্যবসায়ীদের! বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পুজো মানেই নানা থিমের চমক মন্ডপে মন্ডপে। শিল্প সমৃদ্ধ বাংলা, এই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে নানা উপকরণে তৈর শিল্প। বর্তমান সময়ে সারা বাংলা জুড়ে নানা শিল্পের জনপ্রিয়তা প্রচুর। এই সমস্ত উপকরণ মানুষের বেশ পছন্দের। সেই পছন্দকে সামনে রেখেই মন্ডপ সজ্জায় ফুটে উঠছে গ্রাম বাংলার চিত্র। একই সঙ্গে গ্রাম্য মানুষের জীবন জীবিকা মন্ডপের দেওয়াল ফুটে উঠতে দেখা যায়। এবার সারা বাংলা জুড়ে মন্ডপ সজ্জায় দারুন চাহিদা হোগলা। সেই দিক থেকে পুজোর মরশুমে মুখে চওড়া হাসি হোগলা ব্যবসায়ী ও কারিগরদের।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৩০ বছর পর সরস্বতী নদী সংস্কার শুরু হতেই বাধা দিলেন গ্রামবাসীরা! কেন জানেন?
দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মন্ডপে নানা থিমের সাজ। বিশাল আকার মন্দির প্যালেস বা কোন ঐতিহাসিক এর প্রতীকি হিসাবে মন্ডপ দেখা যায়। তবে দুর্গাপুজোর মন্ডপ সজ্জায় থিমে সর্বাধিক লক্ষণীয় বাংলার হস্তশিল্পের ছোঁয়া। মাটি বাঁশ পাট সবাই বিভিন্ন গাছপাতা এর উপকরণ হিসেবে সর্বাধিক প্রচলিত। একই সঙ্গে মন্ডপ সজ্জায় দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হোগলা। হাওড়া জেলার গ্রাম অঞ্চলে জলাভূমিতে প্রচুর পরিমাণে হোগলা জন্মায়। বর্তমানে চাহিদা বেড়ে গ্রামীণ এলাকার বহু মানুষের জীবিকা হয়ে উঠেছে। চাষী থেকে ব্যবসায়ী সকলের কাছে আশার আলো দূর্গা পুজো।
আরও পড়ুন: হাওড়ার রাস্তায় শয়ে শয়ে রাধা-কৃষ্ণ! ব্যাপারটা কী?
বর্তমান সময়ে উলুবেড়িয়া আমতা বাগনান সহ বিভিন্ন এলাকায় হোগলার চাষ হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেই সমস্ত হোগলা নিমদিঘির বাজারে আসে। সেখানেই ব্যবসায়ীরা চাষীদের থেকে হোগলা মজুদ করে কারিগর কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কাজের উপযোগী হোগলা ম্যাট তৈরি করে।এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী শেখ সইফ আলী জানান, কমবেশি সারা বছর হোগলারে চাহিদা থাকে। তবে পুজোর সময় সৌখিন ও বাছাই কাজের অর্ডার পাওয়া যায়। যা বেশ লাভজনক। পুজোর মন্ডপে কারুকার্যর জন্য বিগত কয়েক বছরে দারুণভাবে বেড়েছে হোগলার চাহিদা। হোগলা চাষী থেকে ব্যবসায়ী সকলের মুখে চওড়া হাসি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাকেশ মাইতি
Bangla Bandh BJP: বুধবারের বিজেপির বনধে কেমন প্রভাব পড়ল নবান্নে? উপস্থিতির হার কতটা?
হাওড়া: বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ সে অর্থে কোন প্রভাব পড়ল না নবান্নে। বুধবার সকাল থেকে নবান্নে কর্মচারীদের দীর্ঘ লাইন।
বুধবার বিজেপির ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ হলেও সকাল থেকেই নবান্নের বিভিন্ন গেটে কর্মচারীদের লাইন। অন্য দিকে, গতকালের পর আজও কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নবান্ন চত্বরে। মঙ্গলবারই রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বুধবার অনুপস্থিত থাকলেই শোকজ করা হবে। শুধু তাই নয় তারপরে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বনধের বিরোধিতায় করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ, মামলাকারীকে গুনতে হল জরিমানা
মঙ্গলবার যারা ছুটি নিয়েছিলেন বুধবার তাদের উপস্থিত থাকতে হবে। এমনটাই নির্দেশিকা মঙ্গলবার দিয়েছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। তবে শুধু নবান্ন নয়, রাজ্যের একাধিক দফতরে সকাল থেকে কর্মচারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল।
আরও পড়ুন: বিহারে চোর সন্দেহে যুবককে বেঁধে গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
নবান্নে আসা কর্মচারীদের কথায়, “বাস, ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের আসতে কোনও অসুবিধা হয়নি। কোথাও কোন অবরোধ নজরে পড়েনি”। মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের পর বুধেও নবান্ন চত্বরের বাইরে কড়া পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাওড়া পুলিশ কমিশনার নিজেও নবান্নের বাইরে থাকা পুলিশ আউট পোস্টে বসেই নজরদারি করছেন। মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের তরফে এসপি, সিপিদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় কোথাও কেউ অবরোধ করতে চাইলে তার প্রতিরোধ করতে হবে। সূত্রের খবর, আজ নবান্নে প্রায় ৯৫ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য দফতর মিলিয়ে মোট উপস্থিতি ৯৭%।
Saraswati River: দীর্ঘ ৩০ বছর পর সরস্বতী নদী সংস্কার শুরু হতেই বাধা দিলেন গ্রামবাসীরা! কেন জানেন?
হাওড়া: নদী সংস্কারের সিদ্ধান্তেও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ! সরস্বতী নদী সংস্কার ঘিরে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এটি হুগলি ও হাওড়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। গত ৩০ বছর ধরে সংস্কার না হওয়া ক্ষুব্ধ ছিল সাধারণ মানুষ। তবে এখন সংস্কারের কাজ শুরু হওয়াতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন একাংশ।
প্রায় ৩০ বছর পর সরস্বতী নদী সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। যা দেখে প্রাথমিকভাবে খুশি হয়েছিল সবাই। তবে নদীর পাড় দখল করে থাকাদের একাংশ এই সংস্কার কাজ নিয়ে খুব প্রকাশ করেছে। আবার স্থানীয়দের একটি অংশের অভিযোগ, সঠিকভাবে খনন কাজ হচ্ছে না। কোনওরকমে দায়সারা কাজ করা হচ্ছে। তারা সরস্বতী নদী সম্পূর্ণ সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৫ দিন সময়, হঠাৎ রেলের নোটাশে ঘুম উড়ল হকারদের
মনসামঙ্গল কাব্যে সরস্বতী নদীর উল্লেখ রয়েছে। চাঁদ সওদাগর এই নদীপথে বাণিজ্য করতে যেতেন বলে কথিত আছে। আবার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই নদী পথে যাত্রা করেছিলেন এমনটাও কথিত আছে। হুগলির উত্তর দিক থেকে ত্রিবেণী সপ্তগ্রাম হয়ে হাওড়ার সাঁকরাইল নাজিরগঞ্জ এসে হুগলি নদীতে মিশেছে সরস্বতী নদী। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে নদীটি আবর্জনাময় হয়ে পড়ে। নদীর পাড় দখল করে বাজার-দোকান গড়ে ওঠে। অবশেষে সেই নদী সংস্কারের কাজ শুরু হলেও ডোমজুড়ের মহিয়াড়ি চাঁদনি বাগান এলাকায় তাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। পথ অবরোধ করে গ্রামবাসীরা কাজে বাধা দান করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে এই নদী সংস্কারের কাজ করতে হবে সেচ দফতরকে। এখানে কোনরকম বাধা এলেও তা মানা চলবে না।
রাকেশ মাইতি
Janmashtami 2024: হাওড়ার রাস্তায় শয়ে শয়ে রাধা-কৃষ্ণ! ব্যাপারটা কী?
হাওড়া: প্রায় ২০০ রাধা-কৃষ্ণ নিয়ে আয়োজিত হল জন্মাষ্টমীর পুজো! হাওড়ার রঘুদেবপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মহা উৎসব আয়োজিত হয়। সেখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকলে হাজির হয়েছিলেন। রাধা ও কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তা নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে মানুষের মধ্যে।
প্রতি বছরের মত এবারও জন্মাষ্টমীর দিন প্রতিযোগীরা হাজির ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দারুন উৎসাহের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সবাই। এরপর রাধা ও কৃষ্ণ সাজে সকলকে নিয়ে বের হয় শোভাযাত্রা। নন্দ উৎসবের এই শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার ধারে মানুষের ভিড় জমে যায়, সে এক অপূর্ব দৃশ্য।
আরও পড়ুন: হেলমেট না পরে স্কুটি চালানোর মাশুল, কাজ থেকে বাড়ি ফেরা হল না কিশন খড়িয়ার
প্রায় ঘণ্টা তিনেকের প্রদর্শনী শেষে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে কয়েক হাজার মানুষ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র থেকে নানা সাজে সজ্জিত মানুষের এই শোভাযাত্রা বের হয়েছিল বেলা ১১.৩০ নাগদ। পাঁচলা মোড় থেকে বুড়িখালি পর্যন্ত শোভাযাত্রা চলে। বাদ্যযন্ত্র সহ বিভিন্ন থিমে সাজানো এই শোভাযাত্রা দেখতে কয়েক হাজার মানুষ হাজির ছিলেন।
রঘুদেবপুর শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাসঙ্ঘের ব্যবস্থাপনায় এই গোটা আয়োজন হয়েছিল। গত কয়েক বছরের মত এবারও মহা ধুমধাম করে যাবতীয় রীতি মেনে এখানে জন্মাষ্টমীর পুজো হয়েছে। ভক্তরা এসে অত্যন্ত তৃপ্তি অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
রাকেশ মাইতি