Category Archives: হাওড়া

Nabanna Abhijan: রণক্ষেত্র হাওড়া-সাঁতরাগাছি! ইটবৃষ্টি, কাঁদানে গ‍্যাস, লাঠিচার্জ…নবান্ন অভিযানে এখন কী পরিস্থিতি?

হাওড়া: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্নে যাওয়ার ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। অভিযান ঘিরে তুলকালাম। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোঁড়া হয়। অভিযোগ, সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতেই পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। ফাটানো হয়েছে টিয়ার গ্যাসের শেল।

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে মিছিল পৌঁছতেই হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে নবান্নের রাস্তায় ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এরপর তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও তাদের পিছনে ছুটতে শুরু করে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ ও ধস্তাধস্তিতে ভাঙে পুলিশের ব্যারিকেড ৷ চলল লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ৷

আরও পড়ুন: নবান্নের সামনেই চলে এল বিক্ষোভকারীরা! দফায় দফায় ইটবৃষ্টি, রেড রোড বন্ধ, ছুটে গেল বিরাট পুলিশ বাহিনী

জাতীয় পতাকা হাতে করে এগোতে যান আন্দোলনকারীরা।হাওড়া ব্রিজেও চলছে তুমুল অশান্তি। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশের জলকামান। ফোরশোর রোডেও ধরা পড়ে একই অশান্তির ছবি। অন্যদিকে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুুলিশের লাঠিচার্জ এবং বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে  বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট ডাকল বিজেপি। মঙ্গলবার বিকেলে দলের সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ধর্মঘট। সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নেমে বনধ সফল করতে আবেদন জানিয়েছেন সুকান্তবাবু। এদিন মোতায়েন ছিল ৬,০০০ পুলিশকর্মী। হাওড়া যাওয়ার পথে ব্যারিকেড করা হয় কমবেশি ১৯টি জায়গায়। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার একাধিক জায়গায় বড় ব্যারিকেড তৈরির পাশাপাশি নামানো হয় পুলিশ, র‍্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্স। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, ফরশোর রোড এবং লক্ষ্মীনারায়ণতলা এবং মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরি করা হয় ।

নবান্নের আশপাশে গলির মুখগুলোও ঘিরেও ফেলা হচ্ছে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে হাওড়ায় জখম হয়েছেন ব়্যাফের এক জওয়ানের। মাথা ফেটে গিয়েছে চণ্ডীতলা থানার সিআইয়ের। আহত পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করলেন আন্দোলনকারীরাই। খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি হাওড়া এবং সাঁতরাগাছিতে। খিদিপুর মনসাতলায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ইট ছোঁড়াছুঁড়ি। রেড রোড বন্ধ করে চলছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে মাথা ফাটল এক পুলিশ।

আরও পড়ুন: কলে ভাল করে শুনতে পান না, স্মার্টফোনের স্পিকার ঠিকমতো কাজ করে না? সহজ টিপস্ মেনে সারিয়ে ফেলুন

বেলা যত গড়ায় ততই ঝাঁজ বাড়ে আন্দোলনের। বেলা আড়াইটে নাগাদ নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় একদল আন্দোলনকারী। নবান্ন থেকে তাঁদের দূরত্ব ছিল মাত্র ১০০ মিটার। যদিও মিনিট তিনেকের মধ্যেই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। বেলা গড়াতেই খিদিরপুর, হেস্টিংস, রেড রোড, এম জি রোড দিয়ে মিছিল নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেয়। হেস্টিংস, রেড রোড এবং এম জি রোডে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। ফের জলকামান চালাতে শুরু করে তারা। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। শুধু তাই নয়, একের পর এক গার্ডরেল কার্যত উপড়ে ফেলেন জনতা। জাতীয় পতাকা ওড়াতে শুরু করেন তাঁরা। অপরদিকে পুলিশও আন্দোলনকারীদের কার্যত বোঝাতে থাকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এর পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়ায় পুলিশ। এ দিকে, গার্ডরেল ভেঙে ফেলতেই ময়দানে নামে পুলিশের র‌্যাফ। ছোড়া হয় জলকামান। আর পুলিশের বাহিনী এগিয়ে যেতেই পিছু হটতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। তবে শুধু সাঁতরাগাছি নয়, হাওড়া ব্রিজের উপরে থাকা গার্ডরেলও সরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পাল্টা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ‘বুক পেতেছি গুলি কর, জাস্টির ফর আরজি কর’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিসের’ মতো স্লোগান তুলে ধেয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন: ঘটনার দিন নিয়ে ৭ ‘জরুরি’ প্রশ্ন, এবার সিবিআই জেরার মুখে কলকাতা পুলিশের অফিসার! যা ঘটল…

পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে কখনও আন্দোলনকারীদের চাপে, পাথর বৃষ্টির মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। যদিও পর মুহূর্তেই আবার নতুন রণসজ্জায় এগিয়ে আসে উর্দিধারীরা। সকাল থেকেই হাওড়া ময়দানে মিছিল করতে দেখা যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকেও। দেখা যায় মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষকেও। আহত পুলিশ কর্মীর পাশেও হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানেও ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তুমুল ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে। লাগাতার কাঁদানে গ্যাস চার্জের মধ্যে রাস্তা আকড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বহু আন্দোলনকারীকে। পুলিশ-আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ফরশোর রোডও।

রাকেশ মাইতি

History of Bengal Boat: ‘দোল দোল দোল, তোল পাল তোল’- নৌকা শুধু এক রকম নয়, ইলিশ মাছ ধরতেও লাগে আলাদা নৌকা, দেখুন

হাওড়া: বাংলার নৌকা, নদী মাতৃক বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সারা বাংলা জুড়ে বহু নদী প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর গুলির চরিত্র বিভিন্ন রকম। নদীর চরিত্র এবং স্থানীয় মানুষের পেশার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন নৌকা প্রচলিত এই বাংলায়। আবার বেশ কিছু নৌকা এক সময় বহু প্রচলিত থাকলেও, কালের নিয়মে বিলুপ্তি হয়েছে এ সময়।

এক সময় মানুষের যাতায়াত বা জিনিসপত্র আদান-প্রদানে প্রধান মাধ্যম ছিল নদী বা জলপথ। বর্তমানে সড়ক বা আকাশ পথে যাতায়াতে বেশি নির্ভর মানুষ। জলপথের প্রচলন কম হলেও, এই বাংলায় বর্তমানে যাতায়াত এবং জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যেতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ রকম নৌকা প্রচলন রয়েছে এই বাংলায়। সে সমস্ত নৌকার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা, বিস্তারিত জানাচ্ছেন নৌকা বিশেষজ্ঞ স্বরূপ ভট্টাচাৰ্য।

পণ্য পরিবহণ ও জেলেদের মাছ ধরার কাজেও নৌকার ব্যবহার হয়ে থাকে৷ নৌকা প্রধানত কাঠ দিয়ে তৈরি৷ মাছ ধরার ডিঙ্গি আকারে ছোট, আবার পণ্য পরিবহণের নৌকা আকারে বেশ বড়৷ ছই বা ছাউনি তৈরিতে বাঁশ বব্যহার করা হয়৷ খোলকে জলনিরোধ করার জন্য আলকাতরা ব্যবহার করা হয়৷ লগি তৈরি হয় বাঁশ থেকে পাল তৈরি হয় শক্ত কাপড় জোড়া দিয়ে৷

আরও পড়ুন – Women’s T20 World Cup 2024: নেতৃত্বে হরমনপ্রীত কউর, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কারা পেলেন দলে জায়গা, দেখে নিন মহিলাদের টিম

গঠনশৈলী ও পরিবহণের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের নৌকার প্রচলন রয়েছে, যেমন: ছিপ, বজরা, ময়ুরপঙ্খী, গয়না, পানসি, কোষা, ডিঙ্গি, পাতাম, বাচারি, রফতানি, ঘাসি, সাম্পান, ভেলা ও কলার ভেলা৷ বর্তমানে নৌকায় মোটর লাগানো শুরু হয়৷ এর ফলে নৌকা একটি যান্ত্রিক নৌযানে পরিণত হয়৷ এই যান্ত্রিক নৌকাগুলি শ্যালো নৌকা নামে পরিচিতি লাভ করে৷

বাতনাই নৌকা :- মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত নৌকা বাতনাই, যা পদি নামেও পরিচিত৷  এই নৌকাগুলো চালাতে ১৭ থেকে ১৮ জন মাঝি লাগত৷  এতে ১৪০ থেকে ১৬০ টন মাল বহন করা যেত৷  এই ধরনের নৌকায় থাকত বিশাল আকারের চার কোনা একটি পাল৷ যান্ত্রিক নৌকার ব্যবহারের কম খরচ ও কম সময় লাগে বলে এ নৌকার ব্যবহার কমে গেছে৷

সাম্পান:- বিভিন্ন ধরনের নৌকার মধ্যে সাম্পান সবচেয়ে পরিচিত৷  এদেশের লোকগীতি ও সাহিত্যে এই সাম্পানের উল্লেখ পাওয়া যায়| সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে বেড়ায় সাম্পান৷ এই নৌকাগুলির সামনের দিকটা উঁচু আর বাঁকানো, পিছনটা থাকে সোজা৷  প্রয়োজনে এর সঙ্গে পাল থাকে আবার কখনও থাকে না৷ এক মাঝিচালিত এই নৌকাটি মাল পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হয়৷

বজরা নৌকা :- আগের দিনে জমিদার এবং বিত্তশালীদের নৌভ্রমণের শখের বাহন ছিল বজরা৷  এতে খাবার-দাবার ঘুমানো সহ নানা সুবিধা থাকত৷ কোনও পালও লাগানো হত৷ এতে চারজন করে মাঝি থাকত। যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতির কারণে বহু আগে এই নৌকার কদর কমেছে ৷

ডিঙি নৌকা :- সবচেয়ে পরিচিত নৌকা হচ্ছে ডিঙি৷ নদী পারাপার, মাছ ধরা ও অন্যান্য কাজে এই নৌকাটি ব্যবহার করে৷ আকারে ছোট বলে এই নৌকাটি চালাতে একজন মাঝিই যথেষ্ট৷ মাঝে মধ্যে এতেও পাল লাগানো হয় | এখনো গ্রামগঞ্জে ডিঙির দেখা মেলে৷

কোসা :- বর্ষাকালে চরাঞ্চলে বা বিলে ডোঙা দেখা যায়৷ অন্যান্য নৌকার মতো এর গলুইয়ের কাঠ বড় থাকে না৷  অঞ্চল বিশেষে এর আকার ছোট বড় দেখা যায়| কোষা মূলত পারিবারিক নৌকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷  হাটবাজার, স্বল্প দূরত্বে চলাচলের কাজে লাগে৷ একটি আদর্শ কোষা নৌকাতে আটজনের মতো যাত্রী বহন করা যায়৷

ইলশা নৌকা :- ইলিশ মাছ আহরণে জেলেরা এই নৌকা ব্যবহার করে থাকে বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে৷ এসব নৌকাও পাল লাগানো থাকে৷ এছাড়াও বেশ কিছু নৌকো রয়েছে যেগুলো বর্তমানে বহু প্রচলিত আবার কোনও নৌকা হয়তো হারিয়ে যাবার পথে৷

Rakesh Maity

Rodda Arms Heist: তাঁর লুণ্ঠিত অস্ত্রেই বুড়িবালামের তীরে মরণপণ সংগ্রাম বাঘা যতীনের, স্মরণ রডা কোম্পানির অস্ত্র লুণ্ঠনের নায়ক বিপ্লবী শ্রীশ মিত্রকে

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: বিপ্লবী শ্রীশ মিত্রকে মনে রাখতে অস্ত্র লুণ্ঠন দিবস পালন হাওড়ার গ্রামে! স্বদেশী যুগের বিখ্যাত ঘটনা  রডা কোম্পানির অস্ত্রলুন্ঠন দিবস উদযাপন হল স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভারতের চরম ন্থী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রায় প্রথম পর্বে ১৯১৪ সালের ২৬ অগাস্ট ঘটেছিল দুঃসাহসিক রডা কোম্পানির অস্ত্র লুন্ঠন। এই লুন্ঠিত অস্ত্র ( তৎকালীন বিচারে অত্যাধুনিক মাউজার পিস্তল ) বেশ কিছু ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। বুড়িবালাম নদীর তীরে বিপ্লবী বাঘা যতীন এই লুন্ঠিত অস্ত্রেই তাঁর ঐতিহাসিক অসমসাহসী সংগ্রাম চালিয়েছিলেন। কালজয়ী এই সংগ্রাম ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রাথমিকভাবে ছাপ ফেলেছিল। সেই অস্ত্র লুঠের মূল কারিগর ছিলেন হাওড়া আমতার তরুণ শ্রীশ।

এই রডা কোম্পানির অস্ত্র লুন্ঠনের মূল নায়ক ছিলেন আমতার রসপুরের ভূমিপুত্র শ্রীশ মিত্র ওরফে হাবু। তিনি অস্ত্র লুন্ঠনের পরিকল্পনা নিয়েই রডা কোম্পানির চাকরি নিয়েছিলেন। কোম্পানিতে আধুনিক মাউজার পিস্তল এলে শ্রীশ মিত্র ও তাঁর সঙ্গীরা পরিকল্পনা করে ৫০ টি মাউজার পিস্তল ও ৪৬০০০ কার্তুজ লুন্ঠন করেন। জানা যায়, ব্রিটিশ পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে শ্রীশ অসমে আত্মগোপন করেন। কিন্তু তার পর তাঁর সন্ধান মেলেনি। আবার কেউ কেউ বলেন, ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতোই তাঁরও অন্তিম জীবন রহস্যের মোড়কে আবৃত।

আরও পড়ুন : গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপা, বদহজম সাফ নিমেষে! শুধু খাওয়ার সময় মানুন এই ছোট্ট নিয়ম

তাঁর আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে সেভাবে পরিচিত নয় বললেই চলে। সেই ইতিহাস বীর বিপ্লবী কথা তুলে ধরতে ঐতিহাসিক রডা কোম্পানির অস্ত্র লুন্ঠন দিবসটি পালন করল আমতা আওড়গাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপস্থিত ছিলেন লেখক, হাওড়া জেলা ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সম্পাদক সায়ন দে, শিক্ষক সৌমেন মণ্ডল।সকলে এই দিবসটির তাৎপর্য এবং অস্ত্র লুণ্ঠনের মুখ্য নায়ক শ্রীশ মিত্রের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানশিক্ষক প্রদীপরঞ্জন রীত বলেন  “শ্রীশ মিত্র ওরফে হাবু মিত্র  আমতার ভূমিপুত্র। তাঁর জন্য আমরা গর্বিত। আমাদের কাছে দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা চাই স্কুলে ইতিহাসের সরকারি পাঠ্যপুস্তকে শ্রীশ মিত্রের অবদান আরও বিশদে তুলে ধরা হোক।

(ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)

Nabanna Abhijan: নবান্নের সামনেই চলে এল বিক্ষোভকারীরা! দফায় দফায় ইটবৃষ্টি, রেড রোড বন্ধ, ছুটে গেল বিরাট পুলিশ বাহিনী

কলকাতা: নবান্ন অভিযান ঘিরে রীতিমতো  ধন্ধুমার পরিস্থিতি নবান্নতে। নবান্নের একেবারে সামনে চলে এলেন বিক্ষোভকারীরা। নবান্ন থেকে ১০ মিটার দূরে হঠাৎই বিক্ষোভকারীরা চলে আসেন। ১৫ থেকে ২০ জন বিক্ষোভকারী হঠাৎই চলে আসেন নবান্ন থেকে ১০ মিটার দূরে হরদেব চ্যাটার্জি রোডের সামনে। খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি হাওড়া এবং সাঁতরাগাছিতে। খিদিপুর মনসাতলায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ইট ছোঁড়াছুঁড়ি। রেড রোড বন্ধ করে চলছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে মাথা ফাটল এক পুলিশ

বিশাল পুলিশবাহিনী এনে পরে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। নবান্নের সামনে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা সত্ত্বেও চলে আসেন বিক্ষোভকারীরা। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত নবান্ন চত্বর। হাওড়া ব্রিজ থেকে সাঁতরাগাছি, এলাকাজুড়ে ধুন্ধমার পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন: কলে ভাল করে শুনতে পান না, স্মার্টফোনের স্পিকার ঠিকমতো কাজ করে না? সহজ টিপস্ মেনে সারিয়ে ফেলুন

আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা পুলিশের। ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই বসেই স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ।

আরও পড়ুন: পিঁপড়ের উত্‍পাতে নাজেহাল? রান্নাঘর খাবার রাখাই দুষ্কর, ৪ সহজ টিপস্ জেনে নিন, আপনার বাড়িতে পিঁপড়ের ‘নো এন্ট্রি’ গ‍্যারান্টি

প্রসঙ্গত, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের আহ্বানে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক। হাওড়া-কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিলের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে কলকাতা ও হাওড়ার বেশ কিছু রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ।

Commonwealth Karate Championship: অর্থের অভাবে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে কুশলের?

হাওড়া: অর্থাভাবে কমনওয়েলথ ক্যারাটেতে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত কুশলের। হাতে আর মাত্র কয়েক মাস, ব্যয় লক্ষাধিক টাকা। কোথা থেকে জোগাড় হবে সেই অর্থ এখন তা মূল চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আদৌ কি সেই টাকা যোগাড় করে প্রতিযোগিতার মঞ্চে উপস্থিত হতে পারবেন হাওড়ার কুশল ঘোষ?

আরও পড়ুন: কিশোরীদের হাত ধরে তাইকোন্ডে বড় সাফল্য মালদহে

ছেলের প্রতিভা যাতে পূর্ণ বিকাশ পায় তার জন্য এতদিন প্রায় সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা চালিয়েছে পরিবার। কিন্তু আর পেরেও তাঁরা। প্রতিভা থাকা সত্বেও অর্থের অভাবে কমনওয়েলথ ক্যারাটের মত বড় মঞ্চে আমার স্বপ্ন আদৌ পূরণ হবে কিনা সেই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন কুশল। তবে এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন। চেষ্টা করছেন যাতে সব বাধা পেরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলা কমনওয়েল ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে দেশকে সেরা করতে পারেন।

গত প্রায় ৮ বছর রাজ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় একাধিক সাফল্য পেয়েছেন কুশল। বিশ্ব মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দেশের হয়ে একাধিক স্বর্ণ পদক জয় করেছে হাওড়া কোলড়া’র কুশল ঘোষ। দিন আনি দিন খাওয়া পরিবারে বিদেশে খেলতে যেতে কখনও মায়ের গয়না বন্ধক রেখে অর্থ ধার নিতে হয়েছে। কিন্তু এখন আর সেই উপায়টাও নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার কমনওয়েলথ ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে হলে কয়েক লক্ষ টাকা লাগবে। কুশলের আশা শেষ মুহূর্তে হলেও কেউ এগিয়ে এসে তাঁকে সাহায্য করবেন।

রাকেশ মাইতি

Janmashtami 2024: শারদোৎসবের থেকে কম নয়! জন্মাষ্টমীতে মানুষের ভিড় হাওড়ার এই মণ্ডপে, মেলে শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কারও

জেলার অন্যতম জন্মাষ্টমী উৎসব পালন রঘুদেবপুর পাঁচলা মোড়। সোমবার আরতি ও পূজার্চনা। সারা বছর অপেক্ষার শেষে এবার ৯ বর্ষে আরাধনায় কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাসঙ্ঘে।
জেলার অন্যতম জন্মাষ্টমী উৎসব পালন রঘুদেবপুর পাঁচলা মোড়। সোমবার আরতি ও পূজার্চনা। সারা বছর অপেক্ষার শেষে এবার ৯ বর্ষে আরাধনায় কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাসঙ্ঘে।
জন্মাষ্টমী উৎসব সর্বত্র পালিত হলেও প্রায় সম্পূর্ণ জেলার মানুষের আকর্ষণ থাকে এটি। এখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ নিয়ম মেনে পুজো অনুষ্ঠান থেকে প্রতিযোগিতা যা সর্বস্তরের মানুষকে আকর্ষণ করে।
জন্মাষ্টমী উৎসব সর্বত্র পালিত হলেও প্রায় সম্পূর্ণ জেলার মানুষের আকর্ষণ থাকে এটি। এখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ নিয়ম মেনে পুজো অনুষ্ঠান থেকে প্রতিযোগিতা যা সর্বস্তরের মানুষকে আকর্ষণ করে।
প্রতি বছরের মতো এবছরও শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী মহোৎসব সমারোহ। পাঁচ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান হয় এখানে।
প্রতি বছরের মতো এবছরও শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী মহোৎসব সমারোহ। পাঁচ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান হয় এখানে।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে প্রতিমা দর্শন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ। এছাড়াও মণ্ডপসজ্জা মানুষকে প্রবল আকর্ষণ করে।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে প্রতিমা দর্শন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ। এছাড়াও মণ্ডপসজ্জা মানুষকে প্রবল আকর্ষণ করে।
পুজোর কয়েকটা দিন মানুষের ঢল নামে মণ্ডপ প্রাঙ্গণে। রঘুদেবপুর পাঁচলা মোড় ডোমজুড় বাউড়িয়া রোডের সংযোগ স্থল।
পুজোর কয়েকটা দিন মানুষের ঢল নামে মণ্ডপ প্রাঙ্গণে। রঘুদেবপুর পাঁচলা মোড় ডোমজুড় বাউড়িয়া রোডের সংযোগ স্থল।

Rain Update: চরম বিপজ্জনক! রাস্তাতেই লুকিয়ে মরণফাঁদ, প্রাণ হাতে নিয়েই যা চলছে…, দেখলে শিউরে উঠবেন

হাওড়া: সার্ভিস রোড না নদী! বর্ষায় বিপজ্জনক জাতীয় সড়কে প্রাণ হাতে নিয়ে ‌যাতায়াত, সমস্যায় পথ চলতি মানুষ! একটু বৃষ্টিতেই জল থই থই নাজেহাল অবস্থা মানুষের। কয়েক বছরে সমস্যা আর বেড়ে চলেছে বলেই অভিযোগ স্থানীয় মানুষের।

ভারী বৃষ্টি হলে জল পৌঁছে যায় জাতীয় সড়কে। এই সমস্যা হাওড়ার পাঁচলা ধামিসা মোড় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। রাস্তার উপর প্রায় হাঁটু সমান জমা জল। ঠিকমত অনুসরণ করা যায় না রাস্তা, এর ফলে বেড়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

আরও পড়ুন-   বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

বৃষ্টির দিনে নানা কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল হয়। সেই দিক থেকে জল জমার ফলে বিপদের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে এলাকায়। ফলে চিন্তা বেড়েছে মানুষের। স্থানীয় মানুষের কথায় জানা যায়, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই সমস্যায় পড়তে হয় পথ চলতি মানুষ। প্রতিদিন অসংখ্য সাইকেল বাইক থেকে বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করে। জলমগ্ন রাস্তার উপর বড় যানবাহন যাতায়াত করলে জলের ঢেউয়ে সাইকেল বাইক আরোহীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই সার্ভিস রোড ব্যবহার করি জাতীয় সড়কে ওঠে। গত প্রায় চার বছর আরও সমস্যা বেড়েছে। এখানে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটেছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। এ বিষয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অফিসে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ জানালেও মেলেনি সুরাহা। কবে এই জল জমা সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সেই দিকে তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।

রাকেশ মাইতি

Howrah News: চরম অর্থাভাব কাটিয়ে বিদেশে পাড়ি, যোগব্যায়ামে বিশ্ব মঞ্চে সোনা জিতলেন বাংলার মেয়ে

হাওড়া: আবারও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করলেন বঙ্গতনয়া! দেশের হয়ে আগেও একাধিক সাফল্য ছিনিয়ে এনেছেন হাওড়ার সুস্মিতা দেবনাথ। কিছু দিন আগে দুবাইতে অনুষ্ঠিত যোগব্যায়াম প্রতিযোগিতায় সোনা জেতেন সুস্মিতা। এবার শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক যোগব্যায়াম প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন।

চরম আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে সাফল্যের শিখরে সুস্মিতা। শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় জোড়া পদক জিতলেন সুস্মিতা। এর আগে দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় তিনটি পদক জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন সুস্মিতা। সেই বার প্রতিযোগিতায় অংশ করতে মায়ের গয়না বন্ধক রাখতে হয়েছে। এরপরই শ্রীলঙ্কায় এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসনের যোগ্যতা অর্জন করলেও অর্থাভাবে সুস্মিতার শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা।

আরও পড়ুন: কেকেআরের বড় চমক! কলকাতার নেতৃত্ব দিতে পারেন ভারতের অধিনায়ক, জোরালো জল্পনা

যদিও তাঁর আত্মীয় পরিজন ও সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় সমস্যার সমাধান হয়েছে। অনেকেই আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন সুস্মিতাকে। তাঁদের হতাশ করেননি সুস্মিতা। শ্রীলঙ্কার মাটি থেকে জোড়া পদক জিতে সকলের আস্থার মর্যাদা রেখেছেন। শ্রীলঙ্কায় এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসনে আর্টিস্টিক সোলো বিভাগে সোনা জিতেছেন সুস্মিতা।

আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় ইনকাম ট্যাক্স রেইড, ১০ দিন ধরেও টাকা গোনা শেষ হয়নি! কত নগদ উদ্ধার হয় জানেন?

এই প্রসঙ্গে সুস্মিতা বলেন, “আর্টিস্টিক সোলো বিভাগে সোনা জিতেছি। ট্র্যাডিশনাল ইভেন্টে রুপো পেয়েছি। এত মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সকলের জন্য পদক জিততেই হবে, এমন শপথ নিয়েই প্রতিযোগিতায় নেমেছিলাম”।

Crime News: ভয়ঙ্কর! সবাই ঘুমনোর পরই শুরু হত স্ত্রীর…, চরম নৃশংসতায় অকালে প্রাণ গেল স্বামীর, কী করতেন? জানলে অবাক হবেন

হাওড়া: স্ত্রী’র অবৈধ সম্পর্কের পথের কাঁটা স্বামী! তাই স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিল স্ত্রী এমনটাই অভিযোগ মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায়। মৃতর পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরকীয়া সম্পর্কের জেড়ে তিলে তিলে শেষ হয়েছে তাদের ছেলে। প্রায় ১২ বছর আগে ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তাদের ছ’বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে বেশ আনন্দে চলছিল তাদের জীবন। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে থেকে মৃতর স্ত্রীর গতিবিধি ঠিক লাগছিল না। ছেলের বিরুদ্ধে স্ত্রী এমন বিপদের জাল বুনছে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি পরিবারের কেউ।

অবৈধ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পথের কাঁটা নিজের স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিয়মিত ভুল ওষুধ খাওয়ানোর ফলেই মৃত্যু ঘটে ব্যক্তির। রেডিমেড পোশাক প্রস্তুতকারক মৃত নাসিম আলী ( ৪০)। পরিবারের অভিযোগ, মৃত নাসিম আলীর সদ্দাররের স্ত্রী পাশের পাড়ার এক ওষুধ দোকানী যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামীকে মারতে বয়ফ্রেন্ড ওষুধ দিত সেই ওষুধ প্রতিদিন স্বামী খাওয়াত স্ত্রী। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকার পর হঠাৎই সমস্যা গুরুতর হয়।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

কিছুদিন আগে শরীরে ঘা বা ফোসকা নিয়ে ভর্তি হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে পরীক্ষার পর জানতে পারা যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুল ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। তার ফলেই এই মারাত্মক সমস্যা। সমস্যা এতটাই গুরুতর হয় ডাক্তার সেই সময় জানায় বাঁচিয়ে তোলা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে কয়েকদিন লড়াই করার পর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় নাসিম আলীর। আরও জানা যায়, কেন তাকে এই ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছিল, কোন প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছিল এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি অভিযুক্ত স্ত্রী।

আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

এর ফলেই পরিবার মনে করছে পরকীয়া সম্পর্কের জন্যই এই ঘটনা। এ বিষয়ে মৃতর পরিবার ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতর স্ত্রীর নামে। অভিযোগের ভিত্তিতে ময়না তদন্ত হয় শুক্রবার দেহ বাড়িতে আনা হয় এবং দেহকে কবরস্থ করার পর এলাকার বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এদিকে ওই দিন রাতেই ওষুধ দোকানের মালিকের দোকান বাড়ি ভাঙচুর হয়। ছুটে আসেন বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতর স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। ওষুধ দোকানের মালিক এলাকা থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে। দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন মৃতার পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশী।

রাকেশ মাইতি

Tulsi Benefits : ভাইরাল জ্বরে জিভে স্বাদ নেই? যা খাচ্ছেন তাই-ই তেতো ঠেকছে? রুচি ফেরাবে এই তুলসি

মুখের রুচি ফেরাতে অভ্যর্থ তুভেষজ গুণে ভরপুর তুলসি। সেই আদিকাল থেকে এই পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে।
মুমুখের রুচি ফেরাতে অভ্যর্থ তুভেষজ গুণে ভরপুর তুলসি। সেই আদিকাল থেকে এই পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে।
তুলসি পাতা জ্বর,সর্দি-কাশি সারায়,বাড়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
তুলসি পাতা জ্বর,সর্দি-কাশি সারায়,বাড়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বিভিন্ন রকমের তুলসি পাতা পাওয়া যায়। সবুজ তুলসি ব্রণের সমস্যায় দারুন কার্যকরী। ত্বকের সংক্রমন দূর করে, এক্সিমা ও শ্বেতী সারাতে অব্যর্থ এই তুলসি। এই তুলসি সারায় সর্দি-কাশি, ভাল রাখে চুল।
বিভিন্ন রকমের তুলসি পাতা পাওয়া যায়। সবুজ তুলসি ব্রণের সমস্যায় দারুন কার্যকরী। ত্বকের সংক্রমন দূর করে, এক্সিমা ও শ্বেতী সারাতে অব্যর্থ এই তুলসি। এই তুলসি সারায় সর্দি-কাশি, ভাল রাখে চুল।।
সাদা তুলসি বা বাবুই তুলসি বা দুলালী তুলসী নামেও পরিচিত। মিন্ট তুলসির দু-চারখানা পাতা নাকে জমা সর্দি সারাতে ও গলা ব্যথা দমনে কার্যকরী।
সাদা তুলসি বা বাবুই তুলসি বা দুলালী তুলসী নামেও পরিচিত। মিন্ট তুলসির দু-চারখানা পাতা নাকে জমা সর্দি সারাতে ও গলা ব্যথা দমনে কার্যকরী।
বহু গুণে ভরা তুলসি। অরুচি ভাব কাটাতে বা মুখের রুচি ফেরাতে তুলসি পাতার জুড়ি নেই। বিশেষ করে জ্বরের পর খাবারে অরুচি দেখা দিলে তুলসি কার্যকর। ডক্টর মনোসীজ জানা জানান, ১-২ টি তুলসী পাতা একটু মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ৪-৫ দিন খেলেই মুখে রুচি ফিরবে। ডায়াবেটিকরা মধু ছাড়া তুলসী পাতা খেতে পারেন।
বহু গুণে ভরা তুলসি। অরুচি ভাব কাটাতে বা মুখের রুচি ফেরাতে তুলসি পাতার জুড়ি নেই। বিশেষ করে জ্বরের পর খাবারে অরুচি দেখা দিলে তুলসি কার্যকর। ডক্টর মনোসীজ জানা জানান, ১-২ টি তুলসী পাতা একটু মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ৪-৫ দিন খেলেই মুখে রুচি ফিরবে। ডায়াবেটিকরা মধু ছাড়া তুলসী পাতা খেতে পারেন।