Category Archives: হাওড়া
Bjp Candidate: রাস্তার বাঁকেই ঘটল ভয়াবহ ঘটনা! টোটো ভিতরে BJP প্রার্থী, হঠাৎ গেল উল্টে! তারপর…
হাওড়া: প্রচারে বেড়িয়ে টোটো উল্টে গুরুতর জখম বিজেপি প্রার্থী! সোমবার প্রচারে বেরিয়ে টোটো উল্টে জখম হলেন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় পাল চৌধুরী। ভোট প্রচার শুরু থেকেই জেলা জুড়ে জোর কদমে প্রচারে দেখা গিয়েছে উলুবেড়িয়া বিজেপি প্রার্থীর।
জানা যায়, সোমবার শ্যামপুরে নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওড়া থেকে প্রচার শুরু করেন টোটোয় চেপে। দুপুর দেড়টা নাগাদ বারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজনকোল এলাকায় টোটো টার্ন নিতে গেলে তার টোটোটি উল্টে যায়।
আরও পড়ুন: মুহূর্তে যেন দানব এসে পড়ল শরীরের উপর, ৫ শিশুর ভয়ঙ্কর মৃত্যু! ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা
সূত্র মারফত জানা যায়, হাওয়ার দাপটে উল্টে যায়। তৎক্ষণাৎ বিজেপি কর্মী ও আশপাশের লোকজন দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর সেখান থেকে ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় বলে জানা যায়।
এই দুর্ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় পাল চৌধুরীর কলার বোনে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়, ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন টোটো চালকও।
—– রাকেশ মাইতি
Bonsai: একটা বনসাইয়ের দাম ১০ লক্ষ টাকা! বাংলাতেই আছে সেই বিরল বাগান
হাওড়া: এই বাংলায় রয়েছে বনসাইয়ের এক বিশাল সাম্রাজ্য! দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ এই বনসাই সাম্রাজ্যের টানে ছুটে আসেন বাংলায়। আরও অবাক করা তথ্য হল, এখানে এক হাজার টাকার বনসাই থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা দামের পর্যন্ত বনসাই পাওয়া যায়।!
বর্তমানে মানুষের মধ্যে বাড়িতে বাগান তৈরি বা ছাদবাগান গড়ে তোলার প্রবণতা ভাল মত বেড়েছে। আর সেই ছাদ বাগান বা একফালি ব্যালকনিতে লাগানো গাছের তালিকায় সবসময়ই উপরের দিকে থাকে বনসাই। দীর্ঘদিন গাছ লাগানো গাছ নিয়ে চর্চা করার পর অনেককেই দেখা যায় বনসাই নিয়ে মেতে উঠতে। বনসাইয়ের প্রতি মানুষের একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। গাছ ভালবাসেন এমন মানুষের বাড়িতে একটা দুটো বনসাই খুব স্বাভাবিকভাবে দেখাই যায়।
আরও পড়ুন: ‘ভদ্র মানুষ’ খলিলুর নাকি আবার ‘হাতে’ আস্থা রাখবে জঙ্গিপুর? পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপিও
দেশ-বিদেশের মানুষ হাওড়ার প্রণব মল্লিককে ‘বনসাই কিং’ নামে চেনে। তবে প্রণববাবুর নামের থেকেও বেশি পরিচিত তাঁর ‘পি কে হর্টিকালচার ‘। দীর্ঘ প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে গাছ নিয়ে চর্চা করছেন। বর্তমানে প্রণববাবুর বয়স য় ৬০ বছর। জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে গাছের সঙ্গে। স্কুল জীবন থেকে বনসাই তৈরিতে তাঁর হাতেখড়ি। প্রণববাবুর হাতে তৈরি বনসাই দেখে মুগ্ধ হবে যে কোনও গাছপ্রেমী মানুষ। দুই একখানা রাজ্য ছাড়া দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তে প্রণব বাবুর তৈরি বনসাই পৌঁছে যায়। এছাড়াও আমেরিকা, জার্মান, বাংলাদেশেও তাঁর তৈরি বনসাইয়ের যথেষ্ট চাহিদা আছে।
রাকেশ মাইতি
Lok Sabha Election 2024: অবাক কাণ্ড! আচমকা মিষ্টির দোকানে বিজেপি প্রার্থী! কারণ জানলে অবাক হবেন
হাওড়া: জেলায় বিজেপিকে প্রথম করতে মিষ্টির দোকানে হাজির খোদ বিজেপি প্রার্থী! রাজনীতিতে মিষ্টত্ব নিয়ে আসতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিম্বলের প্রতীকী মিষ্টি। বাজারে এনেছে হাওড়ার একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান। সেই মিষ্টি নিয়ে জেলার রাজনীতি তোলপাড়। সিম্বল মিষ্টির চাহিদার ভিত্তিতে এগিয়ে রাখা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। মিষ্টির চাহিদায় দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি ছিল বলেই জানা গিয়েছে। এবার সেই মিষ্টির দোকানে হাজির হলেন হাওড়া সদর বিজেপি প্রার্থী ডা: রথীন চক্রবর্তী।
LIVE : লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ তৃতীয় দফা ভোটগ্রহণ
আরও পড়ুনঃ অর্জুনগড়ে রাজনৈতিক সমাবেশে হাজির তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক
বিজেপি প্রার্থীর এই উপস্থিতি খবর শুনে সেই দোকানে বিজেপি কর্মী সমর্থকও পৌঁছয়। এই ঘটনাকে মনে করা হচ্ছে বিজেপিকে জেলায় প্রথম স্থানে আনতেই বিজেপি প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ড। এ প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলছেন ভোট মানে গণতন্ত্রের উৎসব। আর বাঙালির কাছে মিষ্টি ছাড়া উৎসব ? ভাবাই যায় না। তাই ভোটের আগে মিষ্টির দোকানের মালিক তৈরি করেছেন সব দলীয় কর্মীদের জন্য হরেকরকম মিষ্টি। ওই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতীকের সন্দেশ। প্রতি সন্দেশের দাম ১০০ টাকা।
প্রচারের ফাঁকে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা ঢ়ু মারছেন দোকানে। নিজেরা সন্দেশ খাচ্ছেন এবং লোকেদের খাওয়াচ্ছেন। গত কয়েকদিন আগে সেখানে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মিষ্টি সর্বাধিক চাহিদা। মিষ্টির দোকানের মালিক সৈকত পাল জানিয়েছেন “রাজনীতি মানে হিংসা নয়। মানুষের সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টত্ব বাড়াতে এই ধরনের মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলেরই পছন্দ মতো মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। নেতা ও কর্মীরা নিজেরাও খাচ্ছেন এবং অন্যদের খাওয়াচ্ছেন।”
তবে মিষ্টির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মিষ্টি বেশি বিক্রি হচ্ছে। হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং হাওড়া শহরের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেখা গেল দোকানে। তিনি নিজেও পদ্মফুল ছাপের সন্দেশ খেলেন এবং কর্মীদের খাওয়ালেন। তিনি বলেন “বাংলার ঐতিহ্যবাহী সন্দেশের মধ্যে একটি সন্দেশ আছে। এটা সন্দেশখালীর রোদন ভরা সন্দেশ নয়। এই সন্দেশ মানুষে মানুষে সম্পর্ককে মিষ্টি করে। হাওড়ায় মেট্রো রেল সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এখানকার মানুষকে উন্নয়নের বার্তা দিতে চাইছেন। সেদিন খুব দুরে নেই পদ্মফুল মিষ্টি গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে।”
মধ্য হাওড়ার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বলেন “আমাদের দলের সন্দেশের বেশি বিক্রি দেখে বেশ ভাল লাগছে। জোড়া ফুল প্রতীকের সঙ্গে কর্মীদের একটা আবেগের সম্পর্ক আছে। তাই কর্মীরা এখানে এসে মিষ্টি খাচ্ছেন এবং খাওয়াচ্ছেন। ভোট মানে তো উৎসব। তাই এই ধরনের মিষ্টির আলাদা গুরুত্ব আছে দলীয় কর্মীদের কাছে।” ভোটের আগে শহর রাজনৈতিক মিষ্টিতে মজেছে নেতা কর্মীরা। এবার দেখার মানুষের চাহিদার দিক থেকে কোন মিষ্টি এগিয়ে। বিজেপি প্রার্থী ডাঃ রথীন চক্রবর্তী জানান, ‘আসল মিষ্টি মানুষের মনের মধ্যে প্রবেশ করেছে। অপেক্ষা করে আছে ভারতীয় জনতা পার্টির বিকশিত কমল তার উপর সন্দেশ মিষ্টি।’
রাকেশ মাইতি
AC Coach in Trains: এসি কামরায় ঢুকে পড়ে একটু ঠান্ডার মজা নিচ্ছেন! টিকিট কাটা যাত্রীদের হালত খারাপ, বড় পদক্ষেপ রেলের
Lok Sabha Election 2024: ভোটের আগেই ‘ফলাফল’! কে এগিয়ে জানেন? হাওড়ার এই মিষ্টির দোকানে গেলেই মিলবে উত্তর…!
হাওড়া: ভোটের আগেই ফলাফল! এই ভোটের মুখে মিষ্টির দোকান মুখী সাধারণ ভোটার থেকে নেতা কর্মী। ভোট নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে চলছে ভোটের মহড়া। দিল্লির সিংহাসন দখল লড়াইয়ের আঁচ বাংলায়। ভোটের উত্তাপ জেলা গুলিতেও, শহর থেকে গ্রামের পাড়ার অলিগলিতে। সাধারণত ভোট জয়ের আনন্দ উৎযাপনের সময় মিষ্টি মুখের তাগিদেই রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা ভোট পরবর্তীতে মিষ্টির দোকানে হাজির হন, তবে এবার উল্টো ছবি হাওড়ায়। ভোটের আগেই দলে দলে যে কারণে মানুষ হাওড়া এই মিষ্টির দোকানে হাজির হচ্ছেন।
জেলায় ভোট এখনও দিন ১৫ বাকি, জেলা জুড়ে জোরদার প্রচার অভিযান। ২০-তে ভোট, ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই ভোটের উত্তাপ বেড়ে চলেছে। এমন সময় হাওড়া ময়দান সংলগ্ন একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে ভিড় জমাচ্ছে রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা। এই দোকানে বহু ভ্যারাইটি মিষ্টির সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বিজেপি কংগ্রেস এবং সিপিআইএম রাজনৈতিক দলের প্রতীকে মিষ্টি।
এই দোকানে আসা ক্রেতাদের নজরে আসছে এই প্রতীকী মিষ্টি। ইতিমধ্যে জেলা জুড়ে দারুণ সারা ফেলেছে এই মিষ্টি। পর পর চার রাজনৈতিক দলের মিষ্টি সাজানো রয়েছে, এর মধ্যে যে মিষ্টি সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে সে বিচারেই মিষ্টির দোকানে মিলছে ভোটের ফলাফল।
এ প্রসঙ্গে বিক্রেতা সৈকত পাল জানান, যেমন ভালবাসা ছাড়া সম্পর্ক হয় না, তেমনি মিষ্টি ছাড়া রাজনীতি হয় না। সেইদিক থেকে গুরুত্ব রেখেই তৈরি মিষ্টি। মোট চার ধরনের মিষ্টি প্রতিটির দাম একশো টাকা প্রতি পিস। চাহিদার দিক থেকে সব থেকে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকী মিষ্টি। তারপর বিজেপি দলের প্রতীকী মিষ্টির চাহিদা রয়েছে।
রাকেশ মাইতি
Bangla Video: ওদের জন্য শহরজুড়ে বসল জলের পাত্র
হাওড়া: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। সকাল ১০ টার পর থেকে নিতান্তই প্রয়োজন না থাকলে আর রাস্তায় বেরোচ্ছে না কেউ। কিন্তু মানুষের কাছে যে সুযোগ আছে তা তো আর পথকুকুর বা অন্যান্য পথচারী প্রাণীদের নেই। এই গরমে শারীরবৃত্তীয় কারণে সারমেয়দের কষ্ট আরও বেশি হয়। তাছাড়া তীব্র তাপে চারিদিক শুকিয়ে যাওয়ায় তারা ঠিক করে জল পান’টুকুও করতে পারছে না। এই অবস্থায় পথকুকুরদের জন্য এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাওড়া শহরজুড়ে জলের পাত্র বসাল পুরসভা।
আরও পড়ুন: পটে আঁকা ছবি গরম থেকে মুক্তির পথ দেখাবে!
এই গরমে হাওড়া পুরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পওশম হাওড়ার’ এমন উদ্যোগের ফলে কুকুরদের পাশাপাশি বিড়াল, পাখিরাও স্বস্তি পাবে। হাওড়া পুরসভা, শরৎ সদন, মেট্রো গেট, কোর্ট চত্বর, মঙ্গলা হাট সহ ৩০ টি জায়গায় এই জলের পাত্র বসানো হয়েছে। যেখানে এই গরমের দিনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশু এবং পাখিরা তৃষ্ণা মেটাতে পারবে।
এই প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা শৈলেশ উপাধ্যায় জানান, তাঁরা সারা বছরই এই ধরনের কাজ করেন। এবার এই গরমে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাঁরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
রাকেশ মাইতি
Pet Care: গরমে প্রিয় পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়ছে? সুস্থ রাখতে কী করবেন? জানুন চিকিৎসকের মত
হাওড়া: এই গরমে পোষ্যকে কিভাবে সুস্থ রাখবেন! কী কারণে হঠাৎ প্রিয় পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বহু চেষ্টা করেও কারণ জানতে পারছেন না। হয়ত অজান্তে ছোটখাট ভুল এর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডাক্তারি মতে গরমে মানুষের থেকে কয়েক গুণ বেশি কষ্টে থাকে পোষ্য। এই গরমে কোন ধরনের খাবার উপযুক্ত, আবার কোন ধরনের খাবার শরীর অসুস্থ রাখতে পারে পোষ্য’র। এ বিষয়ে বেসিক ধারণা থাকা দরকার মানুষের। এই সময় ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোক, ডিসটেম্পার, হেপাটাইটিস, পারগো, ইনফ্লুয়েঞ্জর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে পোষ্যর।
গরমে দিশেহারা মানুষ পাশাপাশি নাজেহাল হতে হচ্ছে পশু পাখিদের। শরীর সুস্থ রাখতে ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সেই দিক থেকে পশু পাখিদের শরীর ঠিক রাখতে কি কোন সতর্কতা মেনে চলতে হবে জানুন। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন ডা: তাপস কুমার সাঁতরা। এই গরমে পোষ্যকে সুস্থ রাখতে ছায়া এবং ঠান্ডা জায়গার বিশেষ প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে পর্যাপ্ত জলের দিকে, খাবার জল গরম না হয়, পরিবর্তন করে দিতে হবে কিছুক্ষণ অন্তর।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে! জানুন বৃষ্টির খবর
একইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে একবারে বেশি পরিমাণ খাবার না হয়। বারবার অল্প অল্প খাবার দেওয়া। দারুণ গরমে মানুষ শরীর সুস্থ রাখতে সাদা মাটা খাবার গ্রহণ করে। পশুপাখিদের ক্ষেত্রেও একইভাবে গুরুত্ব রাখতে হবে খাবারে। যদিও পোষ্য কুকুরদের ভ্যাকসিন অনেকটা নিরাপদ রাখে। সেই তুলনায় রাস্তার কুকুর বিড়ালের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে শরীর খারাপের।এই গরমে পোষ্যর স্নান করানো প্রয়োজন, তবে খুব রোদ্দুরের উত্তাপের সময় স্নান করানো একেবারেই উচিত নয়। অল্প সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
রাকেশ মাইতি
Madhyamik Result 2024: অর্থাভাবে টিউশন ছাড়াই মাধ্যমিক! সুমনা পেল ৯০ শতাংশ নম্বর
মথুরাপুর: অর্থের অভাবে কোনও রকম টিউশন ছাড়াই এবছর মাধ্যমিকে বসেছিল কৃষ্ণচন্দ্রপুরের সুমনা হালদার। সেই সুমনাই এবার মাধ্যমিকে পেল ৯০ শতাংশ নম্বর। তার প্রাপ্ত নম্বর হয়েছে ৬৪৭।
এবছর কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে সুমনা। সুমনার বাবা সুভাষ হালদার বাতাসা তৈরি করে। তিন ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান সুমনা।
বাতাসা তৈরি করে যেটুকু অর্থ উপার্জন হয় সেটুকু দিয়েই কোনওরকমে সংসার চলে যায় তাদের। কোনওরকম টিউশন না পাওয়ায় ছাত্রীটি স্কুলেই শিক্ষকদের কাছে কোচিং করত। এভাবেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে সে।
বৃহস্পতিবার রেজাল্ট বের হলে দেখা যায় তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলাতে ৯১, ইংরেজিতে ৮৫ অংকে ৮৭, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯০, ভূগোলে ৯৯।
কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে। ভবিষ্যতে সুমনার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য তার পাশে থাকার চেষ্টা করা হবে জানিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি। এখন দেখার ভবিষ্যতে সুমনা আরও কতদূর এগিয়ে যেতে পারে।
নবাব মল্লিক
Howrah News: বৈশাখ এলেই বাড়ি বাড়ি ঘোরেন নবকুমার! শিশু মনে রবীন্দ্র প্রেম জাগাতে চলে অক্লান্ত প্রয়াস
হাওড়া: শিশু মনে রবীন্দ্র প্রেম জাগাতে অভিনব ভাবনা নব কুমারের! বয়স ষোলো হবার আগেই দৃষ্টিশক্তি প্রায় পুরোটাই হারিয়েছিলেন নবকুমার ব্যানার্জি। জীবনে প্রতিবন্ধকতা আসায় কখনও থেমে থাকেননি। একদিকে প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেও জয় করে তার স্বপ্ন সঙ্গীত জগতের মানুষ হয়ে ওঠা, তা নিজের ইচ্ছা নিজের পূরণ করেছেন। হয়ে উঠেছেন একজন সুদক্ষ তবলা বাদক। অদম্য তার ইচ্ছা বলেই নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এই সাংস্কৃতিক চর্চায় ব্রতী হয়েছেন। মনোবলের জোরেই রুজি রুটির টানে তবলা শেখাতে আজও যান বাড়ি বাড়ি।ছেলেবেলা থেকেই একজন সাংস্কৃতিক প্রেমী মানুষ। বিশেষ করে রবীন্দ্র প্রেমী। অন্ধত্ব সত্ত্বেও ছেলেবেলা থেকেই রবীন্দ্র নজরুল সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে ছুটে যেতেন। আর এই রবীন্দ্র প্রেম থেকেই বর্তমানে নিয়েছেন এক উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: ধরাধামে বৃষ্টির আশায় পথে নামল একদল খুদে! বাঁকড়ায় ধুলোট উৎসব
যে সমস্ত শিশু এখনও জানেনি কে এই রবীন্দ্রনাথ? প্রকৃত রবীন্দ্রনাথের পরিচয় যাদের কাছে ঘটেনি আজও? তাদেরকে রবীন্দ্রনাথকে চেনান।গ্রামের যে সব শিশুরা স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নানা ছলেবলে তাদেরকে শোনাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গল্প। আর এই কৌশলেই শিশুদের মনে রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে নিয়ে নানা কৌতূহল বা প্রশ্ন জন্মাচ্ছে শিশু মনে। এর ফলে একটু একটু করে নিজেরা নিজেদের মত করে কবিতা উচ্চারণের চেষ্টা জাগে শিশুদের। এটাই ভীষণভাবে ভাললাগা হাওড়ার নবকুমার বাবুর। তিনি গ্রীষ্মের তীব্র দাবদহকে উপেক্ষা করে ছুটছেন মানুষের বাড়ি বাড়ি। তার একটাই আর্জি বাবা মেয়েদের কাছে, ছেলেদের যেনো পাঠায় রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। আর গ্রামের তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে এগিয়ে এসেছেন তার পাশে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাকেশ মাইতি