Category Archives: হাওড়া

Puri Train: পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! পুজোয় পুরী যাওয়ার প্ল্যান? রেলের এই উদ্যোগে আপনি লাভবান

*পুজোর ছুটিতে পুরী ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে দ্রুত নিশ্চিত করুন টিকিট! এবারও আরও বেশি সুযোগ আপনার হাতের কাছে কলকাতা-পুরী স্পেশাল ট্রেনে ১৩,০০০ অতিরিক্ত বার্থ মিলবে। পুজোর মরশুমে বাঙালির ভ্রমণের অন্যতম ঠিকানা পুরী। প্রতিবেদনঃ রাকেশ মাইতি। সংগৃহীত ছবি। 
*পুজোর ছুটিতে পুরী ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে দ্রুত নিশ্চিত করুন টিকিট! এবারও আরও বেশি সুযোগ আপনার হাতের কাছে কলকাতা-পুরী স্পেশাল ট্রেনে ১৩,০০০ অতিরিক্ত বার্থ মিলবে। পুজোর মরশুমে বাঙালির ভ্রমণের অন্যতম ঠিকানা পুরী। প্রতিবেদনঃ রাকেশ মাইতি। সংগৃহীত ছবি।
*আসন্ন পুজোর মরশুমে পুরী ভ্রমণের আগ্রহ দারুন ভাবে বেড়েছে। একদিকে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য অন্যদিকে হিন্দু ধর্মের তীর্থস্থান জগন্নাথ দেবের মন্দির। প্রভু জগন্নাথ দর্শন হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত পুণ্যের। তাই সকল বয়সের মানুষের পুরী ভ্রমণের প্রতি থাকে আলাদা আকর্ষণ। সংগৃহীত ছবি। 
*আসন্ন পুজোর মরশুমে পুরী ভ্রমণের আগ্রহ দারুন ভাবে বেড়েছে। একদিকে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য অন্যদিকে হিন্দু ধর্মের তীর্থস্থান জগন্নাথ দেবের মন্দির। প্রভু জগন্নাথ দর্শন হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত পুণ্যের। তাই সকল বয়সের মানুষের পুরী ভ্রমণের প্রতি থাকে আলাদা আকর্ষণ। সংগৃহীত ছবি।
*ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে পুরী বলতে ট্রেনে যাত্রা বেশি পছন্দের। ট্রেনে যাত্রা কেবল সাশ্রয়ী নয়, এটি আনন্দদায়কও। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এবং অতিরিক্ত ভ্রমণের চাপকে সামাল দিতে ইস্টার্ন রেলওয়ে অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা কলকাতা ও পুরীর মধ্যে চলাচল করবে। সংগৃহীত ছবি। 
*ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে পুরী বলতে ট্রেনে যাত্রা বেশি পছন্দের। ট্রেনে যাত্রা কেবল সাশ্রয়ী নয়, এটি আনন্দদায়কও। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এবং অতিরিক্ত ভ্রমণের চাপকে সামাল দিতে ইস্টার্ন রেলওয়ে অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা কলকাতা ও পুরীর মধ্যে চলাচল করবে। সংগৃহীত ছবি।
*এই উদ্যোগের ফলে ১৩,০০০ অতিরিক্ত সিট বা আসন থাকছে। ০৩১০১ কলকাতা-পুরী স্পেশ্যাল ট্রেনটি প্রতি বৃহস্পতিবার ০৩.১০.২০২৪ থেকে ২৮.১১.২০২৪ (৯ টি ট্রিপ) পর্যন্ত কলকাতা থেকে রাত ১১:৫০ টায় ছাড়বে এবং পরের দিন সকাল ০৯:৩৫ টায় পুরীতে পৌঁছবে। সংগৃহীত ছবি। 
*এই উদ্যোগের ফলে ১৩,০০০ অতিরিক্ত সিট বা আসন থাকছে। ০৩১০১ কলকাতা-পুরী স্পেশ্যাল ট্রেনটি প্রতি বৃহস্পতিবার ০৩.১০.২০২৪ থেকে ২৮.১১.২০২৪ (৯ টি ট্রিপ) পর্যন্ত কলকাতা থেকে রাত ১১:৫০ টায় ছাড়বে এবং পরের দিন সকাল ০৯:৩৫ টায় পুরীতে পৌঁছবে। সংগৃহীত ছবি।
*০৩১০২ পুরী-কলকাতা স্পেশ্যাল ট্রেনটি প্রতি শুক্রবার ০৪.১০.২০২৪ থেকে ২৯.১১.২০২৪ (৯ টি ট্রিপ) পর্যন্ত পুরী থেকে দুপুর ৩'টেয় ছাড়বে এবং পরের দিন রাত ২'টোয় কলকাতায় পৌঁছাবে। ট্রেনটি উভয় দিকেই আন্দুল, খড়গপুর, বালাসোর, ভদ্রক, কটক, ভুবনেশ্বর এবং খুরদা রোড স্টেশনগুলিতে থামবে। সংগৃহীত ছবি। 
*০৩১০২ পুরী-কলকাতা স্পেশ্যাল ট্রেনটি প্রতি শুক্রবার ০৪.১০.২০২৪ থেকে ২৯.১১.২০২৪ (৯ টি ট্রিপ) পর্যন্ত পুরী থেকে দুপুর ৩’টেয় ছাড়বে এবং পরের দিন রাত ২’টোয় কলকাতায় পৌঁছাবে। ট্রেনটি উভয় দিকেই আন্দুল, খড়গপুর, বালাসোর, ভদ্রক, কটক, ভুবনেশ্বর এবং খুরদা রোড স্টেশনগুলিতে থামবে। সংগৃহীত ছবি।
*ট্রেনে এয়ার-কন্ডিশনড, স্লিপার ক্লাস এবং জেনারেল সেকেন্ড ক্লাসের আসন থাকবে। রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান হয়, ০৩১০১ কলকাতা-পুরী স্পেশ্যাল ট্রেনটির টিকিট PRS এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে বুক করা যাবে। রেলের এই উদ্যোগে এই পুজোর মরশুম আর বেশি স্পেশাল ভ্রমণ প্রিয় মানুষের কাছে। সংগৃহীত ছবি।
*ট্রেনে এয়ার-কন্ডিশনড, স্লিপার ক্লাস এবং জেনারেল সেকেন্ড ক্লাসের আসন থাকবে। রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান হয়, ০৩১০১ কলকাতা-পুরী স্পেশ্যাল ট্রেনটির টিকিট PRS এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে বুক করা যাবে। রেলের এই উদ্যোগে এই পুজোর মরশুম আর বেশি স্পেশাল ভ্রমণ প্রিয় মানুষের কাছে। সংগৃহীত ছবি।

Viral News: স্বর্গ ছেড়ে পথে নেমেছেন যমরাজ ও চিত্রগুপ্ত! তবে প্রাণ নিতে নয়, প্রাণ বাঁচাতে

হাওড়া: স্বর্গ ছেড়ে পথে নেমেছেন যমরাজ ও চিত্রগুপ্ত! প্রাণ বাঁচাতেই পুলিশের পাশে তাঁরা। দুর্ঘটনা কমাতে রাস্তায় নেমেছেন যমরাজ ও চিত্রগুপ্ত! সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বছরভোর সরকারি নানা কর্মসূচি। এই দৃশ্য হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশের পাঁচলা থানার অন্তর্গত।

ট্রাফিক আইন না মেনে চলা বাইক আরোহীদের শিক্ষা দিতে এমন উদ্যোগ। পাঁচলা আজিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে পাঁচলা থানা, পাঁচলা আজিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় একটি ট্রাফিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আরও পড়ুন: বিয়ে করলে শুধু কাকুকেই করব’! কাকুর গলায় মালা দিয়ে কী বললেন নিজের ভাইঝি?

হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ ​​কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্য উদ্দেশ্য হল নিরাপদ ড্রাইভিং অনুশীলন। বাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে রোড র‍্যালি এবং পথনাটক বা অভিনয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বা চালকদের সতর্কতা। এ বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন করতে, ট্রাফিক নিয়মভঙ্গকারী চালকদের হাতে গোলাপ এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ফুল এবং মিষ্টি তুলে দেন পাঁচলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।

আরও পড়ুন: কেন দেরি হচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে? কারণ জানলে বিস্মিত হবেন

এদিনের এই কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য হল, সাধারণ মানুষ বা চালকদের দায়িত্বশীল ড্রাইভিং অভ্যাসের মধ্য দিয়ে দুর্ঘটনা কমানো। যে সমস্ত বিষয়গুলি বাইক আরোহীদের ক্ষেত্রে সর্বদা মেনে চলা প্রয়োজন তা হল, হেলমেট পরা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা, অবস্থায় গাড়ি চালানো এড়িয়ে চলা, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি না চালানো, ওভারটেক বা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ির না চালানো। অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হল ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানোর রীতি সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া। এ বিষয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা প্রসার ঘটাতে না পারলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

RG Kar Medical College: শিরোনামে আরজি কর, এই হাসপাতালের পুরো নাম কী? প্রতিষ্ঠাতা কে জানেন? চমকে যাবেন

হাওড়া: সংবাদ শিরোনামে কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল। জানেন আরজি কর হাসপাতালের তৈরির ইতিহাস? হাওড়ায় পৈতৃক ভিটের ফটকে জ্বল জ্বল করছে ডাক্তার আরজি কর-এর নাম।

সেই সময়ের বিলেত ফেরত একজন বিখ্যাত ডাক্তার। বিলেত ফেরত হলেও এ ডাক্তারের মধ্যে বিন্দুমাত্র নেই অহংকার বোধ। এ ডাক্তারের অধিকাংশ রোগীই দীন-দরিদ্র। গরিব মানুষের কাছে এ ডাক্তার যেন স্বয়ং ভগবানই বটে। যদিও তাঁর সঙ্গ দিয়েছেন সে সময়ের বেশ কিছু অন্য ডাক্তারও। এমনটাই জানালেন,  কর বাড়ির অন্যতম সদস্য পার্থ কর।

বর্তমানে কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল সংবাদ শিরোনামে। ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে। যে কারণে সারা বাংলা-তথা দেশ তোলপাড়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ পথে নেমে এর সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন। ঐতিহাসিক এই হাসপাতালের নামের সঙ্গে জুড়ে ভয়ানক কাণ্ড। কিন্তু এই হাসপাতাল সৃষ্টি এবং স্রষ্টার ইতিহাস জানেন কি?

সম্পূর্ণ কাহিনি শুনলে অবাক হবেন। ১৯০০ সালের কাছাকছি অবিভক্ত বাংলার ব্রিটিশ শাসনাধীন। সে সময় দেশে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ তো ছিলই না, সারা দেশে হাতে গোনা কয়েকজন ডাক্তার। স্কটল্যান্ড থেকে ডাক্তারি পাশ করে এই বাংলা তথা নিজের বাড়ি হাওড়ায় ফিরে এসেছিলেন। জানা যায়, বাবা দুর্গাদাস কর ছিলেন অভিভক্ত বাংলায় মেডিক্যাল অফিসার। তিনি ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বেলগাছিয়া থেকে দমদম বাড়ি বাড়ি সাইকেল চালিয়ে ঘুরছেন ডাক্তার।

আরও পড়ুন: নেমপ্লেট আছে, মানুষটাই আর নেই! খাঁখাঁ করছে সোদপুরের চেম্বার, হাওয়ায় শুধু ভাসছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’!

মাথায় একটা টুপি আর সাইকেলে ঝোলানো ক্যামবিসের ব্যাগ। রোগী দেখাই শেষ নয়, নানা ভাবে সহযোগিতা এমনকী ওষুধ কেনার পয়সাও দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু। বিলেত ফেরত ডাক্তারের দরিদ্র রোগীদের জন্য এত কদর, ভাবতে অবাক লাগার মতোই বটে। এমনও শোনা যায়, ১৮৯৯ সালে প্লেগ তখন কলকাতায় মহামারীর আকার নিয়েছে। সেই সময়ে উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরে রোগীদের সেবা করে চলেছেন এক আইরিশ মহিলা।

জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে নিয়োজিত এক ডাক্তারও রোগীদের বাঁচাতে উত্তর কলকাতা চষে ফেলছেন। রোগ থেকে বাঁচার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিছুদিন পরে সেই বিদেশিনী ও চিকিৎসকের আলাপ হল। প্লেগের সংক্রমণ রুখতে ও মৃত্যুর হার কমাতে দু’জনে একজোট হয়ে কাজ করলেন তাঁরা। সেই আইরিশ মহিলা হলেন ভগিনী নিবেদিতা। আর সেই ডাক্তার কে জানেন? তিনি হলেন ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন

কলকাতার সেরা হাসপাতালগুলির মধ্যে একটি হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। বিখ্যাত এই হাসপাতালের স্রষ্টা হলেন হাওড়া বেতরের ডা রাধাগোবিন্দ কর। সারা বাংলার মানুষের চিকিৎসার সুবিধার্থে একজন ডাক্তার সারাটা জীবন লড়াই করেছেন। হাওড়া জেলার রামরাজাতলা স্টেশনে থেকে সামান্য দূরত্বে বেতড়ের বিখ্যাত কর বাড়ি। ডা রাধাগোবিন্দ কর এর জন্মভিটে। ১৮৫০ সালের ২৩ অগাস্ট তাঁর জন্ম। জানা যায়, রাধাগোবিন্দ কর হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাঠ গ্রহণের জন্য ১৮৮০ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন।

১৮৮৩ সালে ডাক্তারি পড়তে কলকাতা ছেড়ে স্কটল্যান্ডে পাড়ি দেন রাধাগোবিন্দ। ১৮৮৭ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাবিদ্যার শ্রেষ্ঠ অলংকারে ভূষিত হলেন MRCP হয়ে। বিদেশে ডাক্তারি করার সুযোগ থাকলেও তিনি ফিরে এলেন এই বাংলায়। একজন বিলেত ফেরত ডাক্তার হয়ে এ বাংলার অসহায় গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন। সেই সময় চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনা হত ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থায়। বাঙালি সন্তানরা ডাক্তারি পড়তে সমস্যায় পড়তেন। চিকিৎসা স্বাস্থ্যের একাধিক বই তিনি লেখেন। ১৮৭১ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম বই ‘ভিষগবন্ধু’।

এর পরবর্তীতে ভাবেন। এদেশের মানুষের জন্যে একটি হাসপাতাল তৈরি করবেন। হাসপাতালের অর্থ সংগ্রহ করতে সে সময় এই বিলেত ফেরত ডাক্তার ভিক্ষা পর্যন্ত করেছেন। তখনকার দিনে কলকাতার বড়লোকদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করেছেন। বড়লোক বাড়িতে কোনও আনন্দ অনুষ্ঠান হলে সেই বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন ভিক্ষা চাইতেন ‘অনুরোধ, কিছু টাকা পয়সা যদি সাহায্য করেন, খুব উপকার হয়, সবার জন্য একটা হাসপাতাল তৈরি করতে পারি’।

চিকিৎসক হিসেবে অর্জিত অর্থের সমস্তটাই দান করে গিয়েছেন মেডিক্যাল স্কুল ও হাসপাতাল স্থাপনে। বেলগাছিয়ায় ১২ বিঘে জমি কিনে নেন ডাক্তার কর। সেখানেই গড়ে ওঠে হাসপাতাল। আত্মপ্রকাশ করে বেলগাছিয়া মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু সেই নাম বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯১৬ সালের ৫ জুলাই মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন লর্ড কারমাইকেল। তাঁর সম্মানে বদলে যায় নাম। দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ হিসেবেই পরিচিত ছিল এই চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্রটি। ১৯৪৮ সালে তীব্র আর্থিক সঙ্কটের সময় ফের নাম বদলের দাবি ওঠে।

পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় অবশ্য তা হতে দেননি। তাঁর উদ্যোগেই ডা রাধাগোবিন্দ করের নামেই কলেজের নাম রাখা হয় ‘আর জি কর’। যদিও বর্তমান সময়ও দু’জন ডাক্তার রয়েছেন এই কর বাড়িতে। সেকাল থেকে একাল সমাজ ও সাধারণ মানুষের জন্য হাওড়ার কর পরিবারের নানা কর্মকাণ্ড জারি রয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবার সদস্য পার্থ কর জানান, ‘আমরা কোন প্রশ্নের উত্তর চাইছি না, আমরা চাইছি এই বর্তমান সমস্যার দ্রুত সমাধান। যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এই হাসপাতাল বাংলার মানুষের সেবায় থাকুক। পরবর্তী সময়ে কোনও ভাবে এমন সমস্যার সম্মুখীন না হয় হাসপাতাল।’

(রাকেশ মাইতি)

Heavy Rain: তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বাড়ি! ঘরে ছিল ২ শিশু-সহ ৫, তারপর যা ঘটল…

হাওড়া: প্রবল বৃষ্টির জেরে বাড়ি ভেঙে আহত দুই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে ভারী-মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত। কয়েকদিন ধরে ভারী-মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতেই ভেঙে পড়ল বসত বড়ি। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ পশ্চিম বাউড়িয়ার চক পাড়া এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঘরে বসে জরির কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন। আর ঠিক তখনই প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। ঘটনার জেরে ওই বাড়ির তলায় চাপা পড়ে যায় দুই শিশু ও তিন মহিলা। প্রবল চিৎকারে আশপাশের লোকেরা এসে উদ্ধার করে তাঁদের। সাফিয়া বেগম ও নাসিরা বেগমকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে যায় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে ওই দুই মহিলা সেখানেই চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুনঃ উঁচু পাহাড়-নদী-জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গা পর্যটকদের চুম্বকের মতো টানে, পুজোয় ঘুরে আসুন

এ প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর সেখ মেহবুব রহমান বলেন, ঘটনার পর খবর আসে। তিনি সমস্ত মানুষকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সতর্ক থাকার আশ্বাস দেন। দুর্ঘটনাস্থলে পরিদর্শনের আশ্বাস দেন। তিনি আরও জানান, প্রয়োজনে পৌরসভার সহযোগিতায় ওই পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করব আমরা।

রাকেশ মাইতি

R G Kar Protest: স্কুল ছুটির পর শিক্ষক পড়ুয়া ও অভিভাবক এক‌যোগে প্রতিবাদে সামিল হাওড়ায়

হাওড়া: শিক্ষক সমাজের ডাকে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ মিছিল! প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় বৃষ্টি নিয়ে মিছিলে সামিল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ। এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয় জগৎবল্লভপুরের ভূরশূট ব্রাহ্মণপাড়া ও পাইকপাড়া গ্রামে। প্রতিদিন শহর থেকে গ্রামীণ হাওড়ার পথে ঘাটে শিক্ষাঙ্গন চত্বরে ছড়িয়ে পড়েছে ন্যায় বিচারের দাবি। মজবুত হচ্ছে ছাত্র ও শিক্ষক সমাজের প্রতিবাদ। আর.জি করে নৃশংস নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে প্রতিবাদে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল গ্রামে।

আরও পড়ুন: গান হল প্রতিবাদের ভাষা! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গান বাঁধলেন সঙ্গীত শিল্পী অর্পণ

জগৎবল্লভপুরের ভূরশূট ব্রাহ্মণপাড়া ও প্রখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা.মহেন্দ্রলাল সরকারের স্মৃতি বিজড়িত গ্রামে। শিক্ষক সমাজের ডাকে ব্রাহ্মণপাড়া হাইস্কুল এর সামনের মাঠ‌ থেকে ডা.মহেন্দ্রলাল সরকারের বাস্তভিটা পর্যন্ত পথ পরিক্রমা করে এসে একতা মানববন্ধন এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল। ব্রাহ্মণপাড়া হাইস্কুলের সিংহভাগ শিক্ষক এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। স্কুলের সময়ের শেষ হতে ইউনিফর্ম ছেড়ে শিক্ষার্থীরা হাজির হয়। দুর্যোগ উপেক্ষা করে সচেতন শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ, এবং গ্রামের মহিলা,শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এই প্রতিবাদ মিছিলে এক সঙ্গে পা মেলায়।এই মিছিলে দাবি ওঠে–‘দোষীদের শাস্তি চাই’,‘আমরা অন্যায়ের বিচার চাই’,‘নারী নির্যাতন বন্ধ হোক’।

আরও পড়ুন: আর জি কর কান্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি শ্রীরামপুর মহকুমায়

এদিন স্কুল ছুটির পর ব্রাহ্মণপাড়া হাইস্কুল (উঃ:মা)-এর শিক্ষকদের পরিচালনায় মিছিলটি শুরু হয়। ঘন্টা দেড়েকের কর্মসূচি, শুরু থেকে যতটা সময় গড়ায় স্থানীয় মানুষের যোগদান বাড়ে মিছিল বড় হতে থাকে। উপেক্ষা করে শিক্ষক ছাত্র এক হয়ে এই বর্ষাতে দিনে প্রতিবাদের সুর তোলে। প্রতিবাদী কন্ঠস্বর একই সঙ্গে মাইকিং। শিক্ষক সমাজের ডাকে স্কুল ছুটির পর এই মিছিলে ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের কাতারে কাতারে ছাত্র-যুব,মহিলারা উপস্থিত হতে থাকে। প্রত্যেকেই বাড়ি থেকে নিজ‌ নিজ উদ্যোগে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করে।এলাকায় নারী মর্যাদা রক্ষা ও নারী সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Recipe: আলু-বেগুন ভর্তায় একঘেয়েমি? বানিয়ে ফেলুন ওপার-বাংলার কুমড়োর ভর্তা

হাওড়া: পদ্মা পাড়ের এই ভর্তা জনপ্রিয় গঙ্গা পাড়েও! অল্প সময়ে বানিয়ে নিন মিষ্টি কুমড়োর ভর্তা। এপার-বাংলায় ভর্তা বলতে প্রথমেই মাথায় আসে আলু, ডাল বা বেগুন ভর্তার কথা। কিন্তু এবার নতুনত্ব আনতে বানিয়ে ফেলুন কুমড়োর ভর্তা।

এই সহজ ভর্তা তৈরিতে প্রয়োজন মিষ্টি কুমড়ো, পেঁয়াজ, টম্যাটো, শুকনো লঙ্কা, অল্প রসুন, ধনেপাতা সর্ষের তেল ও নুন। প্রথমে কুমড়োর খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নিন। এরপর পরিমাণ মতো নুন এবং হলুদ মাখিয়ে কেটে রাখা কুমড়ো তেলে ভেজে নিন। টম্যাটো, পেঁয়াজ,রসুন, কাঁচা লঙ্কা ভেজে নিন। আলাদা করে শুকনো লঙ্কা ভেজে রাখুন। ধনেপাতা দিতে চাইলে ছোট করে কুঁচিয়ে রাখুন। সমস্ত উপকরণ ভাজা হলে, শুকনো লঙ্কা পিষে নিন, তার সঙ্গে টম্যাটো এবং কুমড়ো মেখে নিন। একসঙ্গে পেঁয়াজ রসুন মিশিয়ে উপর থেকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। সমস্ত উপকরণ মেশানো হলে, পরিমাণ মত ডো বানিয়ে পরিবেশন করুন।

রাকেশ মাইতি

Job Fair: বড় খবর! হাওড়ায় জব ফেয়ার প্রায় এক হাজার চাকরি প্রার্থীর ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা

হাওড়া: প্রায় এক হাজার চাকরি প্রার্থীর উপস্থিতিতে জব ফেয়ার সাঁকরাইলে! উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পড়ুয়াদের জীবিকামুখী করে তুলতে উদ্যোগী হল সি কম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এন্ড স্কিল ইউনিভার্সিটি | তাঁদের ক্যাম্পাসে ‘জব ফেয়ার’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থাতে ইন্টার্নশিপ এবং চাকরির ব্যবস্থা করবেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কলেজ পড়ুয়ারাও এই ‘জব ফেয়ারে’ অংশগ্রহণ করে চাকরির সুবিধা পায়। প্রায় এক হাজার চাকরিপ্রার্থীদের উপস্থিতিতে জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হল হাওড়ার সাঁকরাইলে ।

আরও পড়ুনঃ অত্যন্ত কম ফি দিয়ে এই কোর্স করুন, সহজেই চাকরি পাবেন, জেনে নিন বিশদে

সি কম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এন্ড স্কিল ইউনিভার্সিটির ও বোর্ড অফ প্রাকটিক্যাল ট্রেনিং ইস্টার্ন রিজিওন মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া মাস তিনেক আগে চুক্তিপত্র সাক্ষরিত হয়। গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে ইস্টার্ন রিজিওনের ১ লক্ষ ২০ হাজার চাকরির দরকার। এই ‘জব ফেয়ার’ -এর মাধ্যমে উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে সফ্ট স্কিল এবং আরও নানা ট্রেনিং দেওয়া। যাতে তাঁরা ইন্টারভিউতে নিজেদের উপযুক্ত করে তৈরী করতে পারে। ইন্টার্নশিপ হিসাবে ১ বছরের ট্রেনিং-এ ৯ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে শংসাপত্র দেওয়া হবে। যেটা পরবর্তীকালে তাঁদের কাজের অভিজ্ঞতা হিসাবে কার্যকর হবে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাজুয়েট, জেনারেল স্নাতক বিএ, বিএসসি, বিকম ছাত্র-ছাত্রী যারা বিগত ৫ বছরের মধ্যে পাশ করে বেরিয়েছে তাঁরা ইন্টারভিউ এর জন্য উপযুক্ত ।

সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এন্ড স্কিল ইউনিভার্সিটির ডাইরেক্টর শৈবাল সেনগুপ্ত জানান, ‘উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পর চাকরি না পেয়ে অনেক পড়ুয়ারা ভুল পথে চলে যান। সঠিক সুযোগ না থাকার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তাই বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা জব ফেয়ারের এই আয়োজন ।’

রাকেশ মাইতি

Rail: রেল স্টেশনেই এবার বড় আয়ের সুযোগ! হাওড়া-শিয়ালদহ সহ প্রচুর স্টেশনে দারুণ ব্যবস্থা! কী করতে হবে?

হাওড়া: এবার আপনার হাতের কাছে সুবর্ণ সুযোগ! রেলওয়ে স্টেশনে ও.এস.ও.পি.(OSOP) স্টল দিয়ে স্বাবলম্বী হন। পূর্ব রেল ইতিমধ্যেই হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদহ ও আসানসোল স্টেশন সহ অন্যান্য বিভিন্ন স্টেশনে ও.এস.ও.পি. (এক স্টেশন এক পণ্য - One Station One Product) স্টল স্থাপন করেছে। যেখানে স্থানীয় শিল্পী এবং শিল্পোদ্যোগীরা তাদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন। (প্রতিবেদন: রাকেশ মাইতি)
হাওড়া: এবার আপনার হাতের কাছে সুবর্ণ সুযোগ! রেলওয়ে স্টেশনে ও.এস.ও.পি.(OSOP) স্টল দিয়ে স্বাবলম্বী হন। পূর্ব রেল ইতিমধ্যেই হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদহ ও আসানসোল স্টেশন সহ অন্যান্য বিভিন্ন স্টেশনে ও.এস.ও.পি. (এক স্টেশন এক পণ্য – One Station One Product) স্টল স্থাপন করেছে। যেখানে স্থানীয় শিল্পী এবং শিল্পোদ্যোগীরা তাদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন। (প্রতিবেদন: রাকেশ মাইতি)
বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের হ্যান্ডক্র্যাফট শিল্পীদের জন্য বেশ কার্যকরী। যারা তাদের পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ পায় না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা এখন সহজেই তাদের তৈরি হ্যান্ডক্র্যাফট গুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারছেন এবং এর মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে সফল হচ্ছেন। হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত প্রায় ১০০ টি স্টেশনে এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ১০০ টির কাছাকাছি স্টেশনে এক স্টেশন এক পণ্য প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের হ্যান্ডক্র্যাফট শিল্পীদের জন্য বেশ কার্যকরী। যারা তাদের পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ পায় না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা এখন সহজেই তাদের তৈরি হ্যান্ডক্র্যাফট গুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারছেন এবং এর মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে সফল হচ্ছেন। হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত প্রায় ১০০ টি স্টেশনে এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ১০০ টির কাছাকাছি স্টেশনে এক স্টেশন এক পণ্য প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় হাওড়া, আদিসপ্তগ্রাম, অম্বিকা কালনা, আরামবাগ, আজিমগঞ্জ জংশন, বগিলা, চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়া সহ বিভিন্ন স্টেশনে স্টল স্থাপন করা হয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে দত্তপুকুর, পিয়ালী, লালগোলা, ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট সহ আরও অনেক স্টেশনে এই স্টলগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় হাওড়া, আদিসপ্তগ্রাম, অম্বিকা কালনা, আরামবাগ, আজিমগঞ্জ জংশন, বগিলা, চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়া সহ বিভিন্ন স্টেশনে স্টল স্থাপন করা হয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে দত্তপুকুর, পিয়ালী, লালগোলা, ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট সহ আরও অনেক স্টেশনে এই স্টলগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
এই স্টলগুলোর জন্য যারা ১৫ দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫০০ টাকা (জিএসটি সহ) এবং ২০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। ৩০ দিনের জন্য যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা (জিএসটি সহ) এবং ৪০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এর বাইরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত চার্জ প্রযোজ্য হবে।
এই স্টলগুলোর জন্য যারা ১৫ দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫০০ টাকা (জিএসটি সহ) এবং ২০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। ৩০ দিনের জন্য যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা (জিএসটি সহ) এবং ৪০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এর বাইরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত চার্জ প্রযোজ্য হবে।
বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলী www.er.Indianrailways.gov.in ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। স্থানীয় শিল্পী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ, যেখানে তারা সহজেই তাদের পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন এবং যাত্রীরা সস্তায় তাদের পছন্দের হ্যান্ডক্র্যাফট পণ্য পেতে পারছেন। এই উদ্যোগটি উভয় পক্ষের জন্যই অত্যন্ত লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলী www.er.Indianrailways.gov.in ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। স্থানীয় শিল্পী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ, যেখানে তারা সহজেই তাদের পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন এবং যাত্রীরা সস্তায় তাদের পছন্দের হ্যান্ডক্র্যাফট পণ্য পেতে পারছেন। এই উদ্যোগটি উভয় পক্ষের জন্যই অত্যন্ত লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে যারা যুক্ত রয়েছেন, এই স্টলগুলোতে তাদের পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকে অর্ডারও পাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাদের একদিকে আয়, অন্যদিকে নিয়োগের সুযোগ বেড়েছে। যারা আগে এর সুযোগ পেতেন না, তাদের আর্থ সামাজিক উন্নতি হচ্ছে এবং তারা একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের পথে এগোচ্ছেন।
ইতিমধ্যে যারা যুক্ত রয়েছেন, এই স্টলগুলোতে তাদের পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকে অর্ডারও পাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাদের একদিকে আয়, অন্যদিকে নিয়োগের সুযোগ বেড়েছে। যারা আগে এর সুযোগ পেতেন না, তাদের আর্থ সামাজিক উন্নতি হচ্ছে এবং তারা একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের পথে এগোচ্ছেন।
পূর্ব রেল এই ও.এস.ও.পি. (OSOP) স্টলের মাধ্যমে "ভোকাল ফর লোকাল" এবং "লোকাল টু গ্লোবাল" ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করছে, যাতে স্থানীয় শিল্প দূর বিস্তার লাভ করে, খুব সহজে বিশ্বায়ন সম্ভব হয়। ইন্ডিয়ান রেলওয়ের এই ব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সাফল্যের দিক থেকে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা।
পূর্ব রেল এই ও.এস.ও.পি. (OSOP) স্টলের মাধ্যমে “ভোকাল ফর লোকাল” এবং “লোকাল টু গ্লোবাল” ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করছে, যাতে স্থানীয় শিল্প দূর বিস্তার লাভ করে, খুব সহজে বিশ্বায়ন সম্ভব হয়। ইন্ডিয়ান রেলওয়ের এই ব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সাফল্যের দিক থেকে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা।

Knowledge Story: পদ্মায় ভাসছেন রবীন্দ্রনাথ, সেই বজরা এখন আপনার হাতের নাগালেই! কোথায় জানলে চমকে উঠবেন

হাওড়া: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদ্মানদীর বুকে ভেসে বেড়ানো সেই নৌকা এখন হাওড়ায়! রবীঠাকুর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এই নৌকায় পদ্মা নদীতে ভেসে বেড়াতেন। এটি একটি বজরা নৌকা। যদিও এটিকে কবিগুরু পদ্মাবোট নামে উল্লেখ করেছেন। আর বজরা বা পদ্মাবোটের অনুকরণে তৈরি নৌকা। আকারে ক্ষুদ্র হলেও হুবহু সেই নৌকার মতই কারুকার্য থেকে সুবিধা। সমস্ত রকম ব্যবস্থা একাধিক কক্ষ। বারান্দা ব্যালকনি যার মধ্যে সহজেই দিনের পর দিন রাতের পর রাত কাটাতেন কবিগুরু। সেই নৌকার অনুকরণে ক্ষুদ্র বজরা বা পদ্মাবোট তৈরি করেছেন নৌকা বিশেষজ্ঞ স্বরূপ ভট্টাচার্য।

একদা জমিদারির সূত্রে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে এসেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পদ্মার রূপে অভিভূত হলেন তিনি |এক বিকেলে পদ্মায় ভাসালেন তার বজরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বজরার নাম দিয়েছিলেন ‘পদ্মা’| কখনও বা পদ্মার পাড়ে বসে আবার কখনও বজরা পদ্মায় ভেসে লিখেছেন নানান কবিতা ও গান। দ্বারকানাথ ঠাকুরের আমলে তৈরী সেই বোট ছিল ঠাকুরবাড়ির অন্যতম এক বাহন। দ্বারকানাথ দেবেন্দ্রনাথের ব্যবহারের পর সেই বোট রাখা হয় শিলাইদহে। পদ্মাবোটে চড়ার পর থেকে কলকাতার বনেদিয়ানা ছেড়ে গ্রাম বাংলার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম পরিচয়। আর রবীন্দ্রনাথের পদ্মাবোটকে বাস্তবে ছোট আকারে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন নৌকা বিশেষজ্ঞ স্বরূপ ভট্টাচার্য যিনি এই নৌকাটি বানিয়েছেন হাওড়ায়। আর তাঁর বানানো নৌকাটির আকার প্রায় ১৮ ইঞ্চি অর্থাৎ ১ হাত প্রায়।

আরও পড়ুনঃ দাঁতে হলদে ছোপ, হারিয়েছে ঔজ্জ্বল্য! একটা কলা দিয়ে ঝকঝকে মুক্তোর মতো হাসি! জানুন পদ্ধতি

যেখানে রবীন্দ্রনাথের বজরা বা পদ্মাবোটের আকার ছিল আনুমানিক ৪০-৪৫ হাত। সাধারণ নৌকার থেকে এই নৌকার পার্থক্য হল এই নৌকা অনেক বেশি সৌখিন। আর রবি ঠাকুরের শখের এই নৌকা বানাতে আলাদা আনন্দ রয়েছে বলছেন নির্মাতা। আগেও একটি বজরা নৌকা বানিয়েছেন, এটি দ্বিতীয়। প্রথমটির থেকে এই নৌকাটির কারুকার্য আরও সৌখিন। যেভাবে বড় নৌকা তৈরি হয় সেই প্রক্রিয়াতেই এই ক্ষুদ্র নৌকাটি তৈরি।

রবীন্দ্রনাথের পদ্মাবোটের তক্তা জোড়া দেওয়ার জন্য জলুই নামে এক পিন দিয়ে তক্তা জোড়ার কাজ করেন বলে জানালেন স্বরূপ ভট্টাচার্য। শুধু তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদ্মাবোটের মতো নৌকার ডেকের বসার ঘর, শোবার ঘর এইরকম আলাদা আলাদা করে তৈরী করছেন স্বরূপবাবু। রবীন্দ্রনাথের নৌকা চলত পাল আর মাস্তুল দিয়ে এই নৌকাও তৈরী হয়েছে তেমনভাবে।এমনকি নৌকার উপরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে রেলিং। এ প্রসঙ্গে নৌকা বিশেষজ্ঞ স্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, এই নৌকাটি তৈরি করতে বিদেশ থেকে কাঠ আমদানি করা হয়। নদীমাতৃক বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে নানা নৌকা নদীতে ভেসে বেড়ায়। কোনওটি হারিয়ে গেছে কোনটি হারিয়ে যাবার পথে আবার কোন নৌকোটির আকারগত ভাবে পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ নৌকাগুলি নিজের হাতে বানাচ্ছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল এই পদ্মাবোট বা বজরা। প্রায় একমাস অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে পূর্ণতা পেয়েছে এই বজরা।

রাকেশ মাইতি

Mysterious Red Car: আচমকা গ্রামের ভেতর ঘুরছে লাল রঙের রহস্যময় গাড়ি! তারপর যা ঘটল জগৎবল্লভপুরে

হাওড়া: গ্রামে কখনও এদিক, কখনও আবার ওইদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি গাড়ি। লাল রঙের গাড়িটি দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। আচমকা গ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরছে কেন গাড়িটি? কখধ‌ও মোড় মাথায় যাচ্ছে, আবার কখনও রাস্তার পার্শ্ববর্তী অংশে আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ছে।

গাড়িটির গতিবিধি ভাল ঠেকছিল না জগৎবল্লভপুরের বাসিন্দাদের। তাই গ্রামের মানুষ নজর রাখতে থাকে গাড়িটিতে। তাঁদের মনে ভয়ও হয় অচেনা গাড়ির এমন গতিবিধি দেখে। এমন ঘটনা দেখে এলাকার বাসিন্দারা বেশ কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় যেটা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে তা হল ঐ গাড়ির পিছনে বাঁধা একটি মোটরসাইকেল। এমন আজব ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি গ্রামে। সন্দেহভাজন গাড়িটির পিছনে বাঁধা নম্বর প্লেট বিহীন একটি বাইক। সেই সমেত জগৎল্লভপুরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ায় গাড়িটি।

আরও পড়ুন: আদালতের মলখানায় এটা কী! সামান্য বেখেয়ালেই ধুলো হয়ে যেত সবাই

স্থানীয়রা কৌতূহলবশত এগিয়ে এসে দেখেন ওই লাল রঙের গাড়ির মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটি আটকে চালককে জিজ্ঞসাবাদ শুরু করেন। গাড়িতে এতগুলো সিসি ক্যামেরা দেখে সন্দেহ হয় সবার। সবমিলিয়ে আমজনতা মোটেও আন্দাজ করতে পারেনি আসলে কী হতে চলেছে। গাড়িটিকে আটক করার পর গ্রামবাসীরা জগৎবল্লভপুর থানায় খবর দেন। জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ এসে গাড়ির চালক সহ গাড়িটিকে আটক করে জগৎবল্লভপুর থানায় নিয়ে যায়। এই রহস্যময় গাড়ির আসল উদ্দেশ্য কী তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

রাকেশ মাইতি