Category Archives: হাওড়া

Howrah News: সহজে দেখা মেলেনা, হাওড়ায় মিলল বিরল সোনালী কচ্ছপ! দেখতে উপচে পরা ভিড়

হাওড়া: হাওড়ায় উদ্ধার সোনালী কচ্ছপ! এমন অস্বাভাবিক রঙের কচ্ছপ দেখে হুলুস্থূল এলাকায়। এলাকায় এই প্রথম সোনালী রঙের কচ্ছপের দেখা মিলল। জানা যায়, এটি ভারতীয় তিল কাছিম। যদিও তিল কাছিম খুব সাধারণ বিষয়, তবে এমন রঙের কচ্ছপ কম দেখা মেলে। মাছ ধরার মুগরী থেকে উদ্ধার হয় এই সোনালী কচ্ছপটি।

সাধারণত কচ্ছপ যে রঙের হয় তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই কচ্ছপটির গায়ের রঙ সম্পূর্ণ গোল্ডেন বা সোনালী। জানা যায়, বাউড়িয়া চকবানেখার বাসিন্দা মেহেবুব গায়েন মাছ ধরার জন্য তার বাড়ির পুকুর পাড়ে বসায় একটি মাছ ধরার মুগরী। সোমবার মুগরীতে ধরা পরে গোল্ডেন রঙের ওই তিল কাছিমটি। উদ্ধারের পর নিজের বাড়িতেই সযত্নে রেখেছিলেন মেহবুব বাবু।

এদিকে এলাকায় গোল্ডেন রঙের তিল কাছিম উদ্ধার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। কচ্ছপটি দেখতে রীতিমত এলাকার মানুষ দিনে দুপুর ভিড় জমাতে থাকে তার বাড়িতে। তবে কচ্ছপ উদ্ধারের পরেই মেহেবুব খবর দেয় বন দফতরে। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া ওই কচ্ছপটি মেহবুব গায়েন তুলে দেন বন দফতরের হাতে। জানা গেছে আপাতত রাখা হবে গরচুমুক প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে।

এ প্রসঙ্গে কচ্ছপ উদ্ধারকারী মেহেবুব গায়েন ওরফে বাপী বলেন দিন দিন কমে যাচ্ছে কচ্ছপের সংখ্যা, তার উপর এমন গোল্ডেন রঙের কচ্ছপ এই এলাকায় আগে দেখা যায়নি। সকালে উৎসাহিত, তাই কচ্ছপটির কোন ক্ষতি না হয় সে কথা ভেবেই বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া।

আরও পড়ুনঃ Bankura News: চিকেন-মাটন ফেল! বাঁকুড়ার ‘কুরকুরে ছাতু’ রাজ করছে বাজারে

অন্যদিকে উলুবেড়িয়া ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক রাজেশ মুখার্জী বলেন, উদ্ধার হওয়া গোল্ডেন রঙের ওই কচ্ছপটি আসলে তিল কাছিম বা ইন্ডিয়ান টার্সেল টার্টেল। সাধারণত লিউটিনো মরফোলজি বা জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে এমন হয় এদের গায়ের রঙ।

রাকেশ মাইতি

Howrah News: নৌকার সাম্রাজ্য শেষ!  অচলাবস্থা পঞ্চানন দিলীপ অমল মণিমোহনদের  

হাওড়া: নৌকার সাম্রাজ্য শেষে অচলাবস্থা পঞ্চানন দিলীপ আমল মনিমোহনদের! হাওড়া জেলার শ্যামপুর ব্লকের রূপনারায়ণের পূর্ব তীরে ডিহি মন্ডল ঘাট গ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রামে কয়েকশো মানুষ নৌকা তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল । তখন রূপনারায়ণ নদীতে প্রচুর ঢেউ ছিল নাব্যতা বেশি ছিল। প্রচুর মাছ পাওয়া যেত যে কারণে নৌকার চলছিল বেশি । তাই নৌকা তৈরি এবং নৌকার সারানোর কাজ প্রচুর ছিল। তখন বেশি ছোট্ নৌকা চলত। ধীরে ধীরে নদীর নাভ্যতা কম, নদীর জল থেকে ক্রমশ ফিকে হতে থাকে প্রবল ঢেউ। ঢেউ এর সঙ্গে সঙ্গে মাঝিদের মাথার উপর থেকে সরে যেতে থাকে নদীর আশীর্বাদ। এর ফলে নদীতে জাতীয় নৌকা বেড়ানো কম হয়। সারাদিনে কয়েকশ নৌকা চলতেছে সময়। বর্তমানে নদীর বুকে গুটি কয়েক শালতি নৌকা ভেসে বেড়ায়। সে সময় নৌকা কারিগড়দের হাতে প্রচুর কাজ ছিল। কাজের বাজার তিন দশক আগে পর্যন্ত বেশ ভালই ছিল।

আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, প্রাচীন ছোট নৌকা পৌঁছল গন্তব্যে

নদী ঘেরা বাংলায় একসময় পরিবহণের প্রধান মাধ্যম‌ই ছিল নৌকা। ফলে যথেষ্ট চাহিদা ছিল নৌ কারিগরদের। নতুন কাঠ দিয়ে নতুন নৌকা তৈরির পাশাপাশি পুরনো নৌকা মেরামত করেই আয় করতেন তাঁরা। কিন্তু নৌকা চালিয়ে রোজগারের উৎস ক্রমশ কমে যেতে থাকায় শ্যামপুর ব্লকের রূপনারায়ণের পূর্ব তীরে ডিহিমন্ডল ঘাট ও তৎসংলগ্ন গ্রামগুলোর মানুষ ধীরে ধীরে নৌকা কেন্দ্রিক জীবিকা থেকে সরে আসতে শুরু করেছে। আর তার জেরেই চাহিদা কমেছে নৌকার। ফলে কাজ নেই নৌকার কারিগরদের। বাংলার নদ-নদীতে ছোট্ নৌকা কতদিন চলেছিল তার কোনও ঐতিহাসিক উল্লেখ নেই। তবে মনে করা হচ্ছে কয়েক শত বছর ধরে ছোট্ নৌকার সঙ্গে পরিচিত এখনকার মানুষ। তাই ছোট্ নৌকা তৈরি করা পঞ্চানন মন্ডল দিলীপ মন্ডল এর মত মানুষের রক্তে রয়েছে নৌকার কাজ। পরিবারে একটি ঐতিহ্যগত দক্ষতা এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে ।

আরও পড়ুন: ভাড়ার এক চিলতে ঘরে ঢোকে না আলো, হাওড়ার ঘিঞ্জি বস্তিতে অভাবী দিন গুজরান মুঘল ‘বেগম’ ও বংশধরের

একটি ছোট্ নৌকা বানাতে পাঁচ জনের প্রায় ৫০ দিন লেগে যেত, শনাক্ত করা এবং কাঠ আনা থেকে শুরু করে নৌকা শেষ করা পর্যন্ত। একসময় শাল ও সেগুন দিয়ে ছোট নৌকা তৈরি হতো কিন্তু পরবর্তীকালে খিরিশ, অর্জুন ও বাবলা গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি করতে হত। অ্যান্থোপলিজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভিজিটিং ফেলো স্বরূপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এক সময় হাওড়া রূপনারায়ণ নদীতে মাছ শিকারি মাঝিদের কাজের উপযোগী ছিল এই নৌকা। ভি আকৃতির এই নৌকায় করে অনেক বেশি মাছ সংগ্রহ করার উপযুক্ত ছিল। বড় বড় ঢেউ কেটে এই নৌকা নদী থেকে সরাসরি সমুদ্রে পৌঁছানো যেত। দারুন পছন্দের ও ভরসার ছিল মাঝি-মল্লাদের ছোট্ নৌকা। নদীর চরবৃদ্ধির ফলে মাছ বোঝাই নৌকা ফেরার পথে নদীর চড়ে আটকে বিপদে পড়ত মাঝিরা। ফলে ধীরে ধীরে এই ছোট নৌকার চল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আর তাই দক্ষ নৌকা কারিগরদেরও সংসার চালাতে বাছতে হচ্ছে অন্য পেশা। কেউ ইঁটভাটায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছে,কেউ বা অন্য কোনও পেশার মাধ্যমে বেছে নিচ্ছেন রুজি রোজগারের পথ ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এ প্রসঙ্গে প্রবীণ নৌকা কারিগর পঞ্চানন মন্ডল জানান, নৌকা কারিগড়দের হাতে কাজ নেই। বাধ্য হয়ে অন্যান্য কাজে যুক্ত হয়েছে।নৌকা বিশেষজ্ঞ স্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, নদীর চরিত্র বদলের ফলেই নদীতে নৌকা চলাচল কম হয়েছে। সেই দিক থেকে আগের মত ডিহিমন্ডল ঘাট এলাকায় কয়েকশো নৌকা কারিগরদের হাতে কাজ পাওয়া অসম্ভব প্রায়।

রাকেশ মাইতি

Bangla Video: অপেক্ষার অবসান, প্রাচীন ছোট নৌকা পৌঁছল গন্তব্যে

হাওড়া: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। বৃহস্পতিবার সকালে বহু প্রতিক্ষিত ছোট নৌকো শ্যমপুরের ডিহিমণ্ডল ঘাট থেকে রূপনারায়ণে ভেসে জলপথে পাড়ি দিল কলকাতার উদ্দেশে।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে হাওড়া শ্যামপুর ব্লকের রূপনারায়ণ তীরবর্তী ডিহি মণ্ডল ঘাটে ব্রিটেনের সংস্থার হাত ধরে ছোট নৌকার কাজ শুরু হয়। নৌকাটি তৈরি করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। নভেম্বরে কাজ শেষ হলে মাঝিদের নিয়ম মেনে পুজো করে পরীক্ষামূলকভাবে নদীতে নামানো হয়েছিল। তারপর এক এক করে অনেকদিন নৌকাটি অবহেলিতভাবেই পড়ে ছিল ডিহিমন্ডল ঘাটে। প্রায় দু’বছর আগে রূপনারায়ণের তীরে তৈরি ছট নৌকাটি পৌঁছচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত গন্তব্যে।

আর‌ও পড়ুন: অমৃত ভারত প্রকল্পের টাকায় শান্তিপুরের স্কুলে পার্ক!

নৌকাটি তৈরি করেন ছোট নৌকা তৈরির দক্ষ কারিগর পঞ্চানন মণ্ডল। তিনি তাঁর চার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নৌকো তৈরির কাজে হাত লাগান। যদিও পঞ্চাননবাবু নিজে কাজে সেভাবে হাত দেননি। দাঁড়িয়ে থেকে চার ছেলেকে দিয়ে কাজ করিয়েছেন। এই প্রজেক্টের প্রধান ছিলেন, প্রফেসর জন কুপার, সহকারী জিসান আলি শেখ। এছাড়াও ছিলেন হরিয়ানা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর বসন্ত সিন্ধে, অ্যান্থোপলিজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভিজিটিং ফেলো স্বরূপ ভট্টাচার্য।

এক সময় সমুদ্র থেকে রূপনারায়ণ নদীর বুকে ভেসে বেড়াত ছোট নৌকা। কালের নিয়মে সেসব আজ অতীত। এক সময় হাওড়া রূপনারায়ণ নদীতে মাছ শিকারি মাঝিদের কাজের উপযোগী ছিল এই নৌকা। ভি আকৃতির এই নৌকা অনেক বেশি মাছ সংগ্রহ করার উপযুক্ত ছিল। দারুন পছন্দের ও ভরসার ছিল মাঝি-মল্লাদের ছোট নৌকা। নদীর চরবৃদ্ধির ফলে মাছ বোঝাই নৌকা ফেরার পথে নদীর চড়ে আটকে বিপদে পড়ত মাঝিরা। ফলে ধীরে ধীরে এই ছোট নৌকার চল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতদিন পর আবার তাঁর তৈরি নৌকা রূপনারায়ণে ভেসে জলপথে কলকাতার উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ায় দারুণ খুশি পঞ্চাননবাবু। তিনি আরও খুশি তাঁদের হাতে তৈরি নৌকাটি স্থান পাবে গুজরাটের ন্যাশনাল মেরিটাইম মিউজিয়ামে।

রাকেশ মাইতি

The Lost Mughal in Howrah Slum: ভাড়ার এক চিলতে ঘরে ঢোকে না আলো, হাওড়ার ঘিঞ্জি বস্তিতে অভাবী দিন গুজরান মুঘল ‘বেগম’ ও বংশধরের

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: বস্তিতেই দিন গুজরান করছেন মুঘল বংশের বেগম! ভারতের ইতিহাসে জ্বলজ্বল করছে মুঘল সম্রাটদের ইতিহাস। কিন্তু সেই বেগমের জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন। হাওড়ার বস্তিতেই চরম অভাবে দিন কাটাচ্ছেন মুঘলদের শেষ বেগম সুলতানা।

তবে বস্তি থেকেই লাল কেল্লার অধিকার চেয়ে লড়াই চালাচ্ছেন বাহাদুর শাহ জাফরের উত্তরধারার বেগম সুলতানা এবং বংশধর কামাল বখ্ত। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর বা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ দেশান্তরে নির্বাসিত হন। তাঁর বংশধরদের কেউ কেউ ভারতে চলে আসেন। তেমনই একজন উত্তরসূরি মির্জা মহম্মদ বেদার বখ্তার। তাঁর স্ত্রী সুলতানা বেগম।  তাঁর পরিবার নিয়ে সুলতানা বেগম বর্তমানে রয়েছেন হাওড়ার এক বস্তিতে। গৌরবময় বংশ পরিচয় হলেও মুঘল বেগমের ঠিকানা এখন গঙ্গা লাগোয়া বস্তি।

কলকাতার তালতলার পর, গত প্রায় চার দশকের বেশি সময় হাওড়ার এই বস্তির একখানা ভাড়াবাড়িতে ঠাঁই হয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকা, ছোট টালির ছাউনিতে কোনও রকমে মাথা ঢাকা। ছোট একখানি জানালা, ঘরের মধ্যে ঠিকমতো আলো পর্যন্ত প্রবেশ করে না। ছেলের হাতে কাজ নেই। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ভারতের শাসনভার চলে যায় ইংল্যান্ডের রানির হাতে।

আরও পড়ুন : সরষেবাটা, ভাপা তো অনেক খেলেন, এ বার সহজেই রাঁধুন ইলিশের কোরমা ও পোলাও! রইল চটজলদি রেসিপি

এর পর ভারত থেকে নির্বাসিত হন সিংহাসনচ্যুত বাহাদুর শাহ জাফর। রাজত্বহীন বাহাদুর শাহকে দিল্লি থেকে বন্দি করা হয়। বিচারে তাঁর নির্বাসনের সাজা ঘোষণা করা হয়। বাহাদুর শাহ এবং তার পরিবারের কয়েকজনকে তৎকালীন রেঙ্গুন-এ (ইয়াঙ্গন) পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৮৬২ সালে ইয়াঙ্গনে মৃত্যু হয় শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ-র। তাঁর পুত্র জওঁয়া বখ্ত, পৌত্র জামশেদ বখ্ত এবং প্রপৌত্র মির্জা মহম্মদ বেদার বখ্ত। ১৯৮০ সালে স্বামী মির্জা মহম্মদ বেদার বখ্তের মৃত্যুর পর ৪০০ টাকা পেনশন পেতেন সুলতানা বেগম। ২০১০ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের কাছে দরবার করার পর পেনশন বেড়ে ৬০০০ টাকা হয়।

সুলতানা বেগম জানান, ‘‘স্বাধীনতার পরও দেশের একাধিক রাজবংশের বড় বড় প্রাসাদ রয়েছে। মোটা টাকা পেনশন পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু আমাদের কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, ‘তাজমহল’ যে বংশের হাতে নির্মিত, সেই বংশধরদের নিজস্ব বাড়ি পর্যন্ত নেই। এখন ভরসা বলতে, মাত্র ছয় হাজার টাকা পেনশন পাই। এই অল্প টাকায় সংসার কার্যত অচল।’’

বছর তিনেক আগে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন মুঘল বেগম সুলতানা। আদালতে দাবি করেন ঐতিহাসির লালকেল্লা তাঁদের বংশের সম্পত্তি। তার ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছিলেন, বলে জানা গিয়েছে। যদিও সেই মামলা দিল্লি হাইকোর্টে গ্রহণ করা হয়নি। তবুও নিজের অধিকার এবং দাবি জিইয়ে রাখতে চান সুলতানা। এদিকে ৭১ বছর বয়সি সুলতানা বেগমের পেনশনের টাকার ভরসাতেই ঘর ভাড়া থেকে অন্ন সংস্থান, এমনকি চিকিৎসার খরচও চলে কোনওমতে।

Taaler Fuluri Easy Recipe: আসছে ভাদ্রমাস, মা-ঠাকুরমার হাতের চেনা স্বাদের তালের ফুলুরি বানান বাড়িতেই! রইল সহজ রেসিপি

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: ‘ তাল ফুলুরি ‘ পাকা তালের শ্রেষ্ঠ রেসিপির মধ্যে একটি। তাল ফুলুরি-র জনপ্রিয়তা দারুণ। গরমের দিনে কচি তালশাঁস মানুষের অত্যধিক আকর্ষণের। তালশাঁস শেষ হলেই মানুষ অপেক্ষায় থাকেন পাকা তালের। পাকা তাল মানেই ঘরে ঘরে তাল ফুলুরি। খুব সাধারণ একটি রেসিপি। যা কম-বেশি প্রায় সকলের পরিচিত। অল্প কয়েকটা উপকরণ দিয়েই তৈরি তাল ফুলুরি। মিষ্টি স্বাদের, তেলেভাজা গরম গরম বেশ লোভনীয় এই খাবার। পাকা তালের শাঁস বের করে অনেকই নতুন হাতে তাল ফুলুরি তৈরি করেন। মোটেও কঠিন কাজ নয়, তবে অনেকেরই হয়তো, নিজে হাতে তৈরি ফুলুরি ঠিক মত হয় না। তাঁদের জন্য এই সহজ রেসিপি। ঠিক যেন আগেকার দিনে মা ঠাকুরমার হাতে তৈরি তাল ফুলুরির স্বাদে ফিরে যাওয়া।

উপকরণ- পাকা তাল, পরিমাণ মতো চাল গুঁড়ি বা চালের গুঁড়ো, ময়দা, চিনি, পরিমাণমতো লবণ। অনেকই পছন্দ করেন জোয়ান বা মৌরি দিয়ে ফুলুরি।

আরও পড়ুন : দুধের চেয়েও বেশি! ক্যালসিয়ামের পাহাড়! এই খাবারগুলি নিয়মিত খেলেই হাড়ের সুস্থতা হাতের মুঠোয়

পদ্ধতি-প্রথমে পাকা তালের শাঁস এক বাটি নিন। তার সঙ্গে এক বাটি চাল গুঁড়ি মিশিয়ে নিন। এ বার তাতে অল্প পরিমাণ ময়দা দিয়ে ভাল করে মেখে, পরিমাণমতো চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এ বার অল্প অল্প জল দিয়ে পাতলা করে ব্যাটার বা মিশ্রণ তৈরি করুন। একদম পাতলা নয়। তবে গাঢ় করে গুলতে হবে। ওই ব্যাটারে স্বাদমতো লবণ দিয়ে, ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে ভাল করে ফেটানো হলে তবেই ফুলুরি ভিতরে ফাঁপা ভাব তৈরি হবে। ব্যাটারে তৈরি হলে ছোট ছোট করে গোলা  ছাঁকা ও ডুবো তেলে দিয়ে একটু কড়া করে ভেজে নিলেই তৈরি সুস্বাদু তাল ফুলুরি।

Howrah News: লজেন্স খেলনা বা বইখাতা নয়, ছোটদের এ কী বিতরণ করছেন এই শিক্ষক!

হাওড়া: দেশপ্রেম জাগাতে শিশু হাতে জাতীয় পতাকা! অল্প বয়স থেকেই শিশু মনে দেশপ্রেম থাকা প্রয়োজন। তা দেশ ও দশের কল্যাণ। সেইদিক গুরুত্ব রেখেই শিক্ষকের অভিনব উদ্যোগ। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জায়গাতে তিনি হাতিয়ার করেছেন দেশের জাতীয় পতাকা। এবার ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শিক্ষক সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন আমাদের দেশের জাতীয় পতাকা। আমাদের দেশ আমাদের এই মাতৃভূমি আর এই দেশের জাতীয় পতাকা আমাদের গর্বের। এই গর্ব দেশের ছেলে বুড়ো সমস্ত নাগরিকের। তাইতো আমরা শ্রদ্ধা ভক্তি ভরে আমাদের জাতীয় পতাকাকে মাথায় করে রাখি। সেই শ্রদ্ধা ভক্তি এদেশের শিশু মনে জাগাতেই পথে পথে ছোটছোট পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিচ্ছেন জাতীয় পতাকা।

আরও পড়ুন: ১৮৩ বছরের স্কুল নানান সমস্যায় জর্জরিত, কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা

শিক্ষকের এই উদ্যোগকে সাদরে গ্রহণ করছেন ছোট ছোট শিশুরা। গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে আনন্দে শিশুরা জাতীয় পতাকা গ্রহণ করছেন। এমনই দৃশ্য দেখা গেল হাওড়ার বাগানানে।১৯৪৭ সালের ২২ শে জুলাই ভারতীয় গণপরিষদে সিলেক্টেড হয়েছিল বর্তমান ভারতীয় জাতীয় পতাকার। অর্থাৎ আমরা যে জাতীয় পতাকাকে চিনি, তার জন্মদিন ছিল ২২ শে জুলাই। এই দিনকে সামনে রেখে এই কর্মসূচির সূচনা করলেন শিক্ষক। সোমবার হাওড়া বাগনান থানা এলাকার ডিএম বি মোড়ে স্কুল ছাত্রদের হাতে জাতীয় পতাকা উপহার দিতে দেখা গেল শিক্ষককে।তিনি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককের এমন কাণ্ড।

আরও পড়ুন:  প্ল্যাটফর্মের গাছ না কেটে প্রতিস্থাপন হাওড়া স্টেশনে! পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেলের

জানা গিয়েছে বাগনানের ছিলামপুর প্রাথমিক স্কুলের সহশিক্ষক মধুসূদন বাগ। বেশ কিছু জাতীয় পতাকা কিনে রেখেছেন তিনি। উদ্দেশ জাতীয় পতাকা উপহার দিয়ে জাতীয় পতাকা বিষয়ে তথ্য প্রদান এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করা তাঁর লক্ষ্য। ডি এম বি মোড়ে তিনি বেশ কিছু স্কুল ফেরত কিশোরদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি ছাত্রদের এও জানান, বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পতাকা হিসেবে ভারতের জাতীয় পতাকা স্বীকৃত হয়েছে। বলাই বাহুল্য এই তথ্যটি জানার পর, ছাত্ররা এ বিষয়ে আরও উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। আর এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন বেশ স্থানীয় ও পথ চলতি মানুষ, সেই সঙ্গে শিক্ষকের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানালেন সকলে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Patient Death: বারবার ডাকলেও আসলেন না চিকিৎসক, চোখের সামনে ছটফট করতে করতে যুবকের মৃত্যু!

হাওড়া: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ জগৎবল্লভপুরে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় জগৎবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সোমবার জগৎবল্লভপুর ইচ্ছানগরীর নিমতলা এলাকার বছর ৩৪-এর রাজু জেলে নামে এক যুবক জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। হঠাৎই তার মৃত্যু হয়।

মৃত যুবকের পরিজনদের থেকে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলেও রাজু সুস্থ ছিল। আত্মীয়দের হাত থেকে অল্প খাবারও খায়। উন্নতর চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানান সেখানকার চিকিৎসক। শুনে ব্যবস্থা করতে শুরু করেন পরীজনরা। অভিযোগ, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই জগৎবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ওই যুবকের দেহে একটি ইঞ্জেকশন দেন। তারপর হঠাৎই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

আর‌ও পড়ুন: বাংলার চাহিদা না মেটা পর্যন্ত ভিন রাজ্যে আলু রফতানি নয়!

পরিবার অভিযোগ করেছে, রাজু ছটফট করতে থাকলেও কোন‌ও চিকিৎসক আসেননি‌। বারবার ডাকা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে ওই যুবক। চিকিৎসক না আসাতেই ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাকেশ মাইতি

Bangla Video: ১৮৩ বছরের স্কুল নানান সমস্যায় জর্জরিত, কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা

হাওড়া: একাধিক সমস্যায় জর্জরিত জেলার ঐতিহ্যবাহী স্কুল। ১৮৩ বছরের প্রাচীন হাওড়া মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশন। এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলে দেখা দিয়েছে নানান সমস্যা। এরফলে ছাত্রদের উপস্থিতির হার ব্যাপকভাবে কমেছে।

জানা গিয়েছে, অল্প বৃষ্টিতেই মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশনের চত্বর জলে থৈ থৈ দশা হয়ে পড়ে। সেই জলে নর্দমার নোংরা আবর্জনা মিশে থাকে। ওই নোংরা জল গায়ে লাগায় পড়ুয়াদের শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যার সূত্রপাত কয়েক বছর আগে। যতদিন গড়াচ্ছে সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। তবে এর থেকেও মারাত্মক অবস্থা স্কুলের ল্যাবরেটরি রুমের। ঝুঁকি নিয়েই নিয়মিত সেখানে পাঠদান চলে। যে কারণে ছাত্র-শিক্ষকরা রীতিমত আতঙ্কে থাকে।

আর‌ও পড়ুন: এই বাজারে আলুর অঢেল যোগান, ধর্মঘটের প্রভাবই নেই! ব্যাপক খুশি ক্রেতারা

প্রধান শিক্ষক জানান, দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে ল্যাবরেটরি রুমের জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় সর্বক্ষণ। স্কুলে দেওয়াল ঘেঁষে রয়েছে চা, পান-সিগারেটের দোকান। যেখানে সর্বদা জ্বলছে আগুন। এর থেকে যেকোনও মুহূর্তে অগ্নিসংযোগের মত ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। এই নানাবিধ সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন অভিভাবকরা। জীবনের ঝুঁকি জমা জল সরাচ্ছেন তাঁরা।

এই প্রসঙ্গে মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মণ্ডল জানান, এই সমস্ত সমস্যা কারণে ছাত্রদের উপস্থিতির হার কমছে। সমাধানের চেষ্টায় বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার অভিভাবকরা উদ্যোগী হয়েছেন সমস্যা সমাধানের। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান ঘটবে। আমরা আতঙ্ক মুক্ত হব, একই সঙ্গে সমস্ত ছাত্র স্কুলমুখী হতে পারবে।

রাকেশ মাইতি

Howrah News: প্ল্যাটফর্মের গাছ না কেটে প্রতিস্থাপন হাওড়া স্টেশনে! পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেলের

হাওড়া: আবারও সংবাদ শিরোনামে হাওড়া স্টেশন! এবার কোন ত্রুটি বা দুর্ঘটনা নয়, প্রশংসা হাওড়া স্টেশনের। হাওড়ায় প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে স্থানে গাছ না কেটে প্রতিস্থাপন। বিশাল আকার গাছগুলি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিস্থাপন হল। গাছগুলির বয়স প্রায় ৫০ বছর। উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণের ভারসাম্যের বজায় রাখতে রেলের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে। পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগ হাওড়া স্টেশনে ২৪ নং নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ স্থল থেকে ৫০ বছরের বেশি পুরনো ৭টি গাছ সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এই গাছ গুলির মধ্যে তিনটি অশ্বত্থ, তিনটি বট এবং একটি কদম। নির্মীয়মান স্টেশন এলাকা থেকে গাছগুলিকে রেল মিউজিয়ামের বিপরীত দিকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পথচারী থেকে চালক… ছুটির দিনেই সবার পথ আটকান এঁরা, চাঁদা নয়, কারণ জানলে অবাক হবেন

বৃক্ষ প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রায় দুই মাস আগে, গাছের গোড়া থেকে কাণ্ডের স্তরের উপর কয়েক ফুট রেখে গাছগুলির উপরের অংশ ছাঁটাই করা। সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। সাফ এবং নিমসিলের মত রাসায়নিক নতুন পাতার বৃদ্ধির জন্য প্রয়োগ করা হয়েছিল। পরিচর্যার মাধ্যমে গাছগুলিকে প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় প্রথমে গাছের চারপাশে ২.০ মিটার গভীরতায় যত্ন সহকারে মাটি খুঁড়ে শিকড় গুলোকে আস্ত রাখা। এরপর অতিরিক্ত শিকড় কাটা এবং ২৫এমটি ক্রেন ব্যবহার করে সাবধানে গাছ উপড়ে ফেলা। আনুমানিক ১ কিলোমিটার দূরে গাছগুলিকে ট্রাকে করে তাদের নতুন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। SAAF এবং নিমসিল তেল দিয়ে আবার শিকড়ের পর্যবেক্ষণ করা।

আরও পড়ুন: স্কুলে ভেষজ উদ্যান, ঔষধি গাছ চিনছে পড়ুয়ারা

আগে থেকেই পরিখা খনন করা, জৈব রাসায়নিক সার দিয়ে তাদের সমৃদ্ধ করা। গাছগুলিকে পরিখার মধ্যে রাখা, মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দেওয়া। পুরো অপারেশনটি চলে প্রায় ১০ ঘন্টা। নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের পাশাপশি পরিবেশ সংরক্ষণের একটি অসাধারণ পদক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার , শ্রী সঞ্জীব কুমার বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা শুধুমাত্র গাছ লাগানোর মাধ্যমেই সম্ভব। বর্তমানে রোপিত একটি গাছ অনেক ভবিষ্যত প্রজন্মকে অক্সিজেন সরবরাহ করবে। এটি গাছ প্রতিস্থাপনের প্রথম এবং একমাত্র উদ্যোগ। হাওড়া বিভাগে, যেখানে সাতটি গাছ সফলভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। একসঙ্গে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Howrah News: পথচারী থেকে চালক… ছুটির দিনেই সবার পথ আটকান এঁরা, চাঁদা নয়, কারণ জানলে অবাক হবেন

হাওড়া: পথচলতি মানুষের রাস্তা আটকানো হচ্ছে। রবিবার ছুটির মেজাজে সবাই। সেই সময় এমন ঘটনার সম্মুখীন। ব্যস্ত সড়কে পথ আটকান, এমন দৃশ্য দেখে মাঝ রাস্তায় থমকে পড়ছে অনেকে। পথিক ও চালকদের অনেকেই মনে করেন হয়ত চাঁদার জুলুমবাজি। না চাঁদা বা অন্য কোনও বিষয় নয়। মানুষকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে রাস্তা আটকে। যাতে পরিবেশ সুস্থ থাকে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই পথচলতি মানুষ, সাইকেল বাইকে আরোহী. টোটো অটো বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের হাতে গাছ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই বর্ষায় প্রায় এক লক্ষ গাছ লাগানোর অঙ্গীকারবদ্ধ।

আরও পড়ুন: সস্তা শাকে মস্ত উপকার! নির্বংশ হবে জটিল রোগ, ‘এই’ শাকের পরোটার রেসিপি জেনে নিন

আম, জাম, পেয়ারা, নিম, আকাশমনি, শিশু, শাল, সেগুন, মেহগনি, চন্দন-সহ নানা গাছ। রবিবার ছুটির দিন হলেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গাছ নিয়ে হাজির হচ্ছেন হরেন বাবুরা। কখনও সাঁকরাইল, কখনও ধুলাগড়, গঙ্গাধরপুর, রানিহাটি, আবার কখনও পার্শ্ববর্তী জেলায়। সংগঠন বা সাধারণ মানুষের হাতে গাছ দিয়েই ছাড় নেই। কোথায় সেই গাছ বসাচ্ছেন, গাছ লাগিয়ে তার ছবি পাঠানো, গাছ বাঁচিয়ে রাখতে নানা পরিকল্পনা, গাছের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে তবেই মানুষের হাতে গাছ তুলে দেওয়া হচ্ছে।

পরিবেশে গাছের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর পাশাপাশি গাছ বড় করে অর্থনৈতিক লাভবান হওয়ারও পথ দেখাচ্ছেন তাঁরা। এতে মানুষ ভীষণভাবে উৎসাহিত।

এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা হরেন পাত্র বলেন, ”মানুষকে গাছ বসানোর প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত লাভের মুখ দেখাতে হবে। তবেই বেশি করে মানুষ এই দিকে আগ্রহ দেখাবে। আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। সকলকেই আমরা গাছ পোঁতার আবেদন জানাচ্ছি। কাউকে জোর নয়, আবার কেউ গাছ নিয়ে বসাবে না, এমন কাউকে গাছ দিচ্ছি না। প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত, মানুষের আগ্রহ বেশ ভালই রয়েছে গাছ বসাতে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই মরশুমে ১ লক্ষ গাছ আমরা প্রকৃত গাছ প্রেমী মানুষের হাতে তুলে দিতে পারব। মানুষের কাছে পৌঁছে, পরিবেশ রক্ষায় গাছ বসাতে এমন উদ্যোগকে সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।

রাকেশ মাইতি