Tag Archives: Drainage System

Bangla Video: জমা জলের যন্ত্রণায় কাহিল, শেষে রাস্তা কেটে নিকাশির ব্যবস্থা নাগরিকদের

উত্তর ২৪ পরগনা: জমা জলের যন্ত্রণায় রাস্তা কেটে জল নিকাশি ব্যবস্থা করল পৌরনাগরিকরা। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে জল জমে রয়েছে। একদিকে বিষাক্ত সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ছে অন্যদিকে জমা জলে রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ঘরের মধ্যে জল ঢুকে রয়েছে তা এখনও বের হয়নি। নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত বেহাল দশা তাই এবার বসিরহাট ও মালঞ্চ রোডের ট্যাটরা মিত্র পাড়ায় রাস্তা কেটে জল বের করার ব্যবস্থা করল এলাকার বাসীরা।

লাগাতার বৃষ্টির ফলে দীর্ঘদিন ধরে জল জমে যাওয়ার এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা পিছের রাস্তা কেটে দিয়ে জল নিকাশির ব্যবস্থা করল। এর ফলে যান চলাচলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: দোল দোল দোল, তোল পাল তোল’- নৌকা শুধু এক রকম নয়, ইলিশ মাছ ধরতেও লাগে আলাদা নৌকা, দেখুন

এদিন, ২০নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিনিধি পরিমল মজুমদার বলেন, এই জায়গাটা অত্যন্ত নিচু একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষেরা এই অভিযোগটা করেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সেটা আমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। তবে খুব শীঘ্র নিকাশি ব্যবস্থা ভাল হোক, নতুনভাবে সাজানো হোক এলাকা পরিকল্পনা তবেই হয়ত প্রতিবছরের এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারে সাধারণ মানুষ।

Bangla Video: জল জমার সমস্যা দূর করতে গিয়ে এ কী বেরিয়ে এল! দেখলে আপনিও চমকে উঠবেন

হাওড়া: বর্ষাকালে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় জলজমার সমস্যা নতুন নয়। গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে বহু এলাকায় যথারীতি জল জমেছে। জোর তৎপরতায় সেই সব জমা জল দ্রুত বের করার কাজ চলছে। কিন্তু হাওড়ার সাঁকরাইলে জমা জলের সমস্যা দূর করতে গিয়ে যা দেখলেন এলাকাবাসীরা তা শুনলে আপনার চোখও কপালে উঠে যাবে। দেখা গেল নিকাশি নালা বন্ধ করে সেখানে তুলে দেওয়া হয়েছে আস্ত প্রাচীর!

নিকাশি নালা বন্ধ করে প্রাচীর তুলে দেওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এলাকার জল বেরোতে পারেনি। এর ফলে কয়েক শো পরিবার জলমগ্ন অবস্থায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। যে কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জল থই থই করছে এলাকায়। এলাকায় জল জমার সমস্যার সমাধান করতে গিয়েই জমা মাটির স্তুপের পিছনে কংক্রিটের প্রাচীরে দেখা পাওয়া যায়। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার খোঁজ চালাচ্ছেন স্থানীয়রা।

আর‌ও পড়ুন: শতাব্দী প্রাচীন বটগাছ বাঁচাতে এ কী করল প্রাক্তনীরা! শুনলে ধন্য ধন্য করবেন

এই ঘটনা হাওড়ার দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতে এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ সত‍্যেন বোস রোডের নিচ দিয়ে যাওয়া নিকাশি নালা বন্ধ করে দেওয়াতেই এই পরিস্থিতি হয়েছে। মানুষকে দুর্ভেগে ফেলতে এমন নিম্ন মানসিকতার কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া খাতুন নিজে দেখে এসে পরিস্থিতি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস‍্য বলেন, আমরা মানুষের দুর্ভোগ মেটাতে নালা পরিস্কার করতে যাই। চারজনের একটি দল ৬ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া মাটির স্তুপ সরাতেই প্রাচীরটি সামনে আসে। যদিও এই ঘটনা কে বা কারা ঘটেছে তা জানা যায়নি।

রাকেশ মাইতি

Road Block: লাগাতার বৃষ্টির মধ্যেই পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

পূর্ব বর্ধমান: লাগাতার বৃষ্টির মধ্যেই পথে নেমে এলেন গ্রামবাসীরা। করলেন রাস্তা অবরোধ। কিন্তু কেন? জল যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রীতিমত রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ চালিয়ে যান।

জানা গিয়েছে, গ্রামে জল ঢোকার কারণে একাধিক কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের মুরাতিপুর গ্রামে। দ্রুত গ্রামে জল নিকাশি ব্যবস্থার সুরাহা চেয়ে রাস্তায় নামতে কার্যতা বাধ্য হন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অত্যধিক জল ঢোকার কারণে ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। আর সেই কারণেই ভাতারের মুরাতিপুরে বাদশাহি সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা।

আর‌ও পড়ুন: ভাঙল ফেয়ার ওয়েদার ব্রিজ, বিপদ মাথায় নিয়ে যাতায়াত

এই প্রসঙ্গে কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, আমাদের মুরাতিপুর গ্রামে জলের জন্য অনেক বাড়ি ঘর ভেঙে গিয়েছে। নালা সংস্কার না করার জন্য এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দাবি অবিলম্বে এই নালা পরিস্কার করতেই হবে। ভাতারের মুরাতিপুরে বাদশাহী সড়ক প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে রাখেন গ্রামবাসীরা। পথ অবরোধের জেরে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বাইক, মোটরসাইকেল, ট্রাক চালকদের যানবাহন নিয়ে রাস্তায় জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ।

এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসীরা সকলের কাছে অবিলম্বে নালা সংস্কারের দাবি জানান। পরবর্তীতে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা এসে দ্রুত সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bangla Video: ১৮৩ বছরের স্কুল নানান সমস্যায় জর্জরিত, কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা

হাওড়া: একাধিক সমস্যায় জর্জরিত জেলার ঐতিহ্যবাহী স্কুল। ১৮৩ বছরের প্রাচীন হাওড়া মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশন। এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলে দেখা দিয়েছে নানান সমস্যা। এরফলে ছাত্রদের উপস্থিতির হার ব্যাপকভাবে কমেছে।

জানা গিয়েছে, অল্প বৃষ্টিতেই মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশনের চত্বর জলে থৈ থৈ দশা হয়ে পড়ে। সেই জলে নর্দমার নোংরা আবর্জনা মিশে থাকে। ওই নোংরা জল গায়ে লাগায় পড়ুয়াদের শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যার সূত্রপাত কয়েক বছর আগে। যতদিন গড়াচ্ছে সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। তবে এর থেকেও মারাত্মক অবস্থা স্কুলের ল্যাবরেটরি রুমের। ঝুঁকি নিয়েই নিয়মিত সেখানে পাঠদান চলে। যে কারণে ছাত্র-শিক্ষকরা রীতিমত আতঙ্কে থাকে।

আর‌ও পড়ুন: এই বাজারে আলুর অঢেল যোগান, ধর্মঘটের প্রভাবই নেই! ব্যাপক খুশি ক্রেতারা

প্রধান শিক্ষক জানান, দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে ল্যাবরেটরি রুমের জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় সর্বক্ষণ। স্কুলে দেওয়াল ঘেঁষে রয়েছে চা, পান-সিগারেটের দোকান। যেখানে সর্বদা জ্বলছে আগুন। এর থেকে যেকোনও মুহূর্তে অগ্নিসংযোগের মত ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। এই নানাবিধ সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন অভিভাবকরা। জীবনের ঝুঁকি জমা জল সরাচ্ছেন তাঁরা।

এই প্রসঙ্গে মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মণ্ডল জানান, এই সমস্ত সমস্যা কারণে ছাত্রদের উপস্থিতির হার কমছে। সমাধানের চেষ্টায় বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার অভিভাবকরা উদ্যোগী হয়েছেন সমস্যা সমাধানের। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান ঘটবে। আমরা আতঙ্ক মুক্ত হব, একই সঙ্গে সমস্ত ছাত্র স্কুলমুখী হতে পারবে।

রাকেশ মাইতি

Water Logging Problem: রাস্তায় হাঁটু সমান জল! প্রতিবাদে মহেশতলায় এ কী করল এলাকাবাসী

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাস্তায় জমে হাঁটু সমান জল। সেই জল ঠেঙিয়ে চলতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বর্ষা সেভাবে শুরু হয়নি, তারপরেও রাস্তায় এভাবে জল জমে থাকায় প্রবল দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও কোন‌ও সুরাহা হয়নি। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে মহেশতলা পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েল পাড়ার বাসিন্দারা।

দক্ষিণ শহরতলি মহেশতলার এই এলাকার নিকাশী ব্যবস্থার একেবারে বেহাল দশা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। প্রায় কয়েক মাস ধরে এই জল যন্ত্রণায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা। রাস্তার উপরে হাঁটু সমান নোংরা জল ঘেঁটে সমস্ত কাজকর্ম করতে হচ্ছে। পাশাপাশি এই রাস্তা দিয়ে সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জমা জল মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। এছাড়া রাস্তায় জল জমার কারণে বাইক ও সাইকেল থেকে পড়ে অনেকেই ইতিমধ্যে আহত হয়েছে। সেই বিপদ থেকে বাঁচতেঅনেকটা ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

আর‌ও পড়ুন: মেশিনে ৫ টাকা দিলেই বেরিয়ে আসবে স্যানিটারি ন্যাপকিন! ছাত্রীরা খুব খুশি

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সমস্যার কথা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন‌ও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য কয়েকবার রাস্তা অবরোধের করেছিলে তাঁরা। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবারেও বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই জল জমতে শুরু করেছে। আবারও নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকলের একটাই দাবি, দ্রুত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফিরিয়ে জল জমার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে হবে।

সুমন সাহা

Water Logged: জল মুক্ত এলাকার আশ্বাস পেতেই হাসি ফুটল আন্দুলবাসীর মুখে

হাওড়া: জল মুক্ত হবে এলাকা, এই আশ্বাস পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে আন্দুলের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে জমা জলের যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে আন্দুল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আড়গোড়ি এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা কে। বছরের অধিকাংশ সময় এলাকা জলমগ্ন থাকে। বর্ষার সময় বিভিন্ন এলাকার জল এসে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে সমস্যা আরও প্রকট করে তোলে। অবশেষে এই যন্ত্রণা দূর করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বর্ষায় এই বাংলার বহু মানুষের বাসস্থান জলের তলায় চলে যায়। পোকা-মাকড়, সাপের উপদ্রব বাড়ে। রাস্তাঘাটে জল জমলে অসুস্থদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া চরম সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। আন্দুলের এই এলাকায় জল জমে থাকার ফলে কোনও চিকিৎসক পর্যন্ত আসতে চান না। জমা জলের প্রভাব পড়ছে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার উপরেও। জল জমে ব্যাহত হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পঠন-পাঠন।

আর‌ও পড়ুন: অম্বুবাচীতে আমের দাম আকাশ ছোঁয়া, সামান্য কিনে নিয়ম রক্ষা ক্রেতাদের

অন্য দিকে জ্বর-জ্বালার মত সমস্যা ক্রমশই বাড়ছিল। এই সমস্যার সূত্রপাত প্রায় ১২-১৪ বছর আগে। ২০২১ সাল থেকে সমস্যা সমাধানে এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন দফতরের দ্বারস্থ হন সমস্যা সমাধানের জন্য।স্থানীয়দের অভিযোগ, নিচু জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক কারখানা তৈরি হচ্ছে এই এলাকায়। অন্যদিকে বড় বড় বিল্ডিং থেকে অবৈধভাবে প্রচুর পরিমাণে জল মিশছে ড্রেনে। তার জন্যই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার এই বেহাল দশা।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ড্রেনে যুক্ত অবৈধ পাইপ লাইন বন্ধ হবে বলেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমৃত বসুর পক্ষ থেকে। এলাকায় সুষ্ট নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এই প্রতিশ্রুতি পেয়েই খুশি স্থানীয়রা।

রাকেশ মাইতি

Howrah Drainage System: হাওড়ায় ইতিহাস! জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইনে নামবে ডুবুরি

হাওড়া: শহরের বুকে ইতিহাস। ম্যানহোল বা ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইন পরিষ্কারে নামছে ডুবুরি! বর্ষা এলেই হাওড়া শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে যায়। এর ফলে শহরবাসীরা প্রবল দুর্ভোগের মুখে পড়েন। সাধারণ মানুষকে সেই জমা জলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে হাওড়া পুরসভা এবার ম্যানহোল ও ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইন পরিষ্কারের ডুবুরি নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

হাওড়ার বেলেলিয়াস রোড বরাবর প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বরাবর ১৯, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যানহোল বা পাইপ লাইন রয়েছে। জল জমার সমস্যা দূর করতে, ম্যানহোল বা পাইপলাইন বর্ষার আগে পরিষ্কারের কাজ করেও এতদিন সমস্যার সুরাহা হয়নি। তবে গত বছর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, হাওড়া শহরের বেলেলিয়াস রোডের নিচ দিয়ে বহু বছর আগে তৈরি ম্যানহোল বা সুয়ারেজ লাইনে বেশ কিছু স্থানে ইটের প্রাচীর রয়েছে। যার ফলে নিকাশি লাইনের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৮০ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে। এর ফলে সহজে জল নামছে না শহর থেকে।

আর‌ও পড়ুন: বন্যায় ডুবে যাওয়া জমিতেও ফলবে ধান! কৃষকের মুখে হাসি ফোটাল কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র

ভূগর্ভস্থ নিকাশি পাইপ লাইনের মধ্যে প্রবেশ করে কংক্রিটের প্রাচীর ভাঙা এবং আবর্জনা পরিষ্কার করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। যে কারণে সমস্যার সমাধানে একটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে ড্রাইভার বা ডুবুরি নামানোর পরিকল্পনা করা হয়। হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এবার নিকাশি ব্যবস্থায় ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে বেশ কিছু ওয়ার্ডে জল জমার স্থায়ী সমাধান হবে, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে। এতে সাধারণ শহরবাসী দারুন খুশি হবে।

এই প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান সুজয় চক্রবর্তী জানান, সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হাওড়া পুরসভা। এবারও শহরে জমা জলের যন্ত্রণা দূর করতে ম্যানহোল বা সুয়ারেজ লাইনে ডুবুরি নামানো হচ্ছে। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, যার ফলে পুরসভার তরফ থেকে কর্মরত ওই ডুবুরির জীবন বিমা করানো হয়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ওই প্রাচীর ভেঙে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে। তবে প্রাচীরের আগে প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা স্তূপ রয়েছে। সেগুলো সরিয়ে দেওয়ার পর তবেই কংক্রিটের প্রাচীর ভাঙা সম্ভব হচ্ছে।

রাকেশ মাইতি

Lok Sabha election 2024: ভোট আসে আর যায়, জল যন্ত্রণার ছবিটা বদলায় না

পূর্ব মেদিনীপুর: দরজায় কড়া নাড়ছে আবারও একটা নির্বাচন। লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে মাত্র একদিন পরেই। ভোট মানে প্রতিশ্রুতি। আগের নির্বাচনগুলিতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জেলাজুড়ে জল যন্ত্রণার ছবি দূর করার। কিন্তু ভোট আসে আর যায়, বর্ষায় জেলাজুড়ে জলমগ্ন অবস্থার ছবি আর বদলায় না।

LIVE | লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ প্রথম দফার ভোট

সামান্য বৃষ্টিতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি প্রান্তই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কোথাও নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢোকে লোকালয়ে। কোথাও আবার বৃষ্টির জলে জমে হাঁটু সমান হয়ে যায়। ফলে বর্ষাকালে দুশ্চিন্তার মেঘ ভিড় করে সাধারণ মানুষের মনে। জেলা জুড়ে জল যন্ত্রণার সমস্যা এবার ভোটে বড় ইস্যু হতে চলেছে।

আর‌ও পড়ুন: স্ট্যান্ড ফ্যান-ওআরএস-বাথটবে ‘রয়েল’ আয়োজন রয়েল বেঙ্গলদের জন্য

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে একাধিক নদ-নদী, খাল-বিল রয়েছে। তবুও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির জমা জলে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। বৃষ্টির জমা জলে ভেসে যায় পুকুর ঘাট, ভেসে যায় চাষের জমি, ফুলের বাগান থেকে সবকিছু। বৃষ্টির জমা জলে সবথেকে ক্ষতির মুখে পড়ে জেলার চাষবাস। এই জেলার অর্থনীতি কৃষিকাজ নির্ভর। ফলে বৃষ্টির জমা জলে প্রতিবছর ক্ষতির মুখে পড়েন জেলার কৃষকরা। তাই এবার ভোটের মুখে আবারও একবার নদী-নালা খাল বিল সংস্কারের দাবি তুলল সাধারণ মানুষ। পরিষ্কার জানিয়েছেন, জল যন্ত্রণা যারা দূর করবে তাদেরকেই সমর্থন জানানো হবে।

LIVE | West Bengal Lok Sabha Election 2024 Phase one Voting in Cooch Behar, Alipurduar and Jalpaiguri

সৈকত শী