শিলিগুড়ি: কথায় আছে, চেষ্টা থাকলে সবকিছুই সম্ভব। আর এই চেষ্টা যেকোনও বয়সেই আপনি করতে পারেন। আসলে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু কোনদিনই আমাদের ইচ্ছাগুলোকে আটকে রাখতে পারবে না, যদি থাকে আমাদের চেষ্টা। আর সেই চেষ্টা করেই সফল শিলিগুড়ির শান্তি সিংহ। বয়সকে নেহাতই একটা সংখ্যা বানিয়ে ৬১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন পদক নিয়ে এসেছেন তিনি। আগামীতে জুন মাসে অযোধ্যায় আয়োজিত হতে চলা ন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় খেলতে যাবেন তিনি।
যে বয়সে মানুষ খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন সেই বয়সে আন্তর্জাতিক স্তরে দৌড় শুরু করেছিলেন শান্তি। ছোটো থেকেই খেলাধুলোর প্রতি মন ছিল তাঁর। তবে বিয়ে হওয়ার পর সব বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ওই ইচ্ছে শক্তির জেরে ২০১৫ সাল থেকেই শিলিগুড়ি ট্রেন ক্লাবের পক্ষ থেকে আবার ময়দানে পা রাখেন তিনি। এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। লোকাল থেকে শুরু করে ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিক গেম খেলেই চলেছেন শান্তি সিংহ। অ্যাথলেটিকসের দুনিয়ায় তাঁর নাম এখন বিপুল চর্চিত।
আরও পড়ুন: মা হয়েছে রিমঝিম ও গরিমা, নতুন সদস্যদের দেখতে পর্যটকদের ভিড় রসিকবিলে
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল মিট খেলে সেখান থেকে লং যাম্পে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার দিয়াগামা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাবস্থাপনায় যে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে শিলিগুড়ি ৫ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেকে বিভিন্ন বিভাগে পদক জিতেছিলেন। সেখানে পদক জেতেন শান্তি সিংহ’ও। সেখানে লং যাম্প ও তিন হাজার কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
এখন শান্তি দেবীর বয়স ৬১ বছর। তিনি কিন্তু এখনও খেলা ছাড়েননি। আগামী ২ জুন অযোধ্যায় বেঙ্গল মাস্টার অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে আবার ন্যাশনাল মিটে অংশ নেবেন। জানিয়েছেন শরীর সুস্থ রাখার জন্য এখনও খেলাধুলো চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনির্বাণ রায়
কৃষি এবং পর্যটনকে মাথায় রেখে সানডে হাটের পক্ষ থেকে হিমালয়ান স্ট্রবেরি ফেস্টিভ্যালের আয়োজন। কার্সিয়ং মহকুমার অধীনে চিমনি গ্রামে এই প্রথম কৃষি-পর্যটন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
চিমনি গ্রামের কৃষি-উৎপাদন, হস্তশিল্প এবং তাঁত সহ বাকি জিনিস এই উৎসবে প্রাধান্য পাবে । একই সঙ্গে থাকবে স্ট্রবেরি রেসিপি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফ্যাশন।
আয়োজকরা চিমনি এলাকা বেছে নিয়েছেন কারণ কার্সিয়ং-এর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম, এই এলাকার গ্রামের সংস্কৃতিকে পর্যটন শিল্পে তুলে ধরাই তাদের মূল লক্ষ্য।
আগামী ১৮ ই মে চিমনি গ্রামের স্ট্রবেরি ফার্ম, কার্সিয়ং-সোনাদা এলাকার সানডে হাট কৃষক সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হবে।
এই উৎসবে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন এলাকা থেকে জৈব স্ট্রবেরি চাষকারী বিপুল সংখ্যক কৃষক জড়ো হবেন ৷এছাড়াও স্থানীয় জনগণ কৃষি-পর্যটন সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে।
শিলিগুড়ি: তীব্র দাবদাহে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে গাছের ডালে জলের পাত্র বাঁধার ব্যবস্থা করল শিলিগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শিলিগুড়ি ফুলেশ্বরী মোড়ের কাছে রাস্তা লাগোয়া একাধিক গাছের ডালে জলের পাত্র বেঁধে দেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। মূলত তীব্র গরমে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি সংগঠনের তরফে স্থানীয়দের বিষয়টি দেখভালের আবেদন করা হয়। তাদের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রাও।
প্রচণ্ড গরমে যখন মানুষের অবস্থা নাজেহাল সেখানে পাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ শিলিগুড়িতে প্রথম। কি করে এই ভাবনা এল জিজ্ঞেস করতেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি রাজু পাল বলেন,”পাখিদের সংখ্যা এমনিতেই দিন দিন কমে যাচ্ছে। কোভিড চলাকালীন যখন যানবাহন, কারখানা বন্ধ ছিল তখন আবহাওয়া বেশ ভাল ছিল। পাখির ঝাঁক দেখা যেত শহরে। তবে এখন দূষণের জেরে গরম বেড়েছে তৃষ্ণার্ত হয়ে পাখিরা এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। তাই তৃষ্ণা মেটাতেই পাখিদের জন্য এই এলাকার ১০টি গাছে আমরা জলের পাত্র লাগানোর ব্যবস্থা করেছি। আগামীতে শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমরা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে যান চারখোল! খাওয়া-থাকা খুব সস্তা! কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? জানুন
স্থানীয় বাসিন্দা রূপক কর্মকার বলেন,মানুষ যেখানে গরমে অস্বস্তিতে করছে সেখানে পাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ খুবই ভাল। আগে যেমন পাখি দেখা যেত, এখন শহরে তেমন পাখির দেখা মেলে না। এই গরমে জলের পাত্র লাগানোর পর জল খেতে তারা নিশ্চই আসবে। অন্যদিকে স্থানীয় এক দোকানদার সুরেন বর্মন জানান,”স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগ সত্যি খুব দারুণ। এখন মানুষ মানুষের জন্য ভাবে না কিন্তু তারা পাখিদের কথা অন্তত চিন্তা করছেন। আমার দোকানের পাশে তিনটি গাছে লাগানো হয়েছে ওই জলের পাত্রগুলি। জল শেষ হয়ে গেলে আমি সেখানে জল দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
অনির্বাণ রায়
ফের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস। গতকাল শিলিগুড়িতে সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি বিরামহীন বৃষ্টি খানিকটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে শহরবাসীকে।
কয়েকটি এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে বলেও আকাশের মতিগতিতে স্পষ্ট। তবে আগামিকাল থেকে আবহাওয়ার কিছুটি উন্নতি হতে পারে।
আজ শিলিগুড়ির পাশাপাশি জলপাইগুড়িতেও বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উত্তরবঙ্গের উপরের দিকে ৫ জেলা, অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস।
উত্তরের কিছু কিছু স্থানে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টি হতে পারে। সেই জন্য ওই জেলাগুলিতে জারি থাকছে হলুদ সতর্কতা।
উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।
বৃষ্টি হবে পাহাড়েও। শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতে মেঘ রোদের খেলা চলবে। রবিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে পারে।
শনিবার উত্তরে স্বস্তির আবহাওয়া বজায় থাকবে। মেঘলা থাকবে আকাশ। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার রদবদল হবে।
বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দার্জিলিং-এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।
*বছরভর পাহাড়ের টানে সিকিম ঘুরতে যান পর্যটকরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের সিকিমে আগমনের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমণ ঘটে বাংলা থেকেই। তবে পাহাড় ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ প্রতিটি পর্যটকদের কাছেই মাথাব্যথার কারণ। প্রতিবেদনঃ অনির্বাণ রায়। সংগৃহীত ছবি।
*এনজেপি থেকে বেশিরভাগ পর্যটকই গাড়ি ভাড়া করেছে যান সেক্ষেত্রে ভাড়া অনেকটাই পড়ে যায়। তাই খরচ বাঁচাতে বাসে মাত্র ১৯০ টাকায় আপনি সিকিম যেতে পারবেন এবং টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিটও কাটতে হবে না। সংগৃহীত ছবি।
*অনলাইন অ্যাপে আপনি নিজের পছন্দমত জায়গা বেছে এই টিকিট কেটে নিতে পারবেন। আপনি যদি শিলিগুড়ি থেকে সিকিম গাড়ি ভাড়া যেতে চান তবে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তু সস্তায় সিকিম যাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। সংগৃহীত ছবি।
*এ ক্ষেত্রে সিকিম যাওয়ার সরকারি বাসে বেশ কম ভাড়ায় আপনি সহজেই সিকিম চলে যেতে পারেন এবং সেই টিকিট অনলাইনেই কাটা যাবে। এখানে নন এসি ও এসি দু-ধরণের বাসই পাবেন। যে কোনও একটি ধরে ফেললেই হল। সংগৃহীত ছবি।
*সিকিম সরকারের বেশ আরামদায়ক বাস। লাগেজ রাখারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সেই বাসে চেপে চারপাশে পাহাড় দেখতে দেখতে চলে যেতে পারেন সিকিমে। ছবির মতো সুন্দর জায়গা। এতে আপনার বেড়াতে যাওয়ার খরচ অনেকটাই কমবে। সংগৃহীত ছবি।
*শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যেতে ভাড়া পড়বে মাথাপিছু ১৯০ টাকা। গ্যাংটকের ভাড়া ১৯০ টাকা। সকাল ৮’টায় সিকিম যাওয়ার এসি বাস ছাড়ে। সেই বাসের ভাড়া ৩৫০ টাকা। বেলার দিকে গ্যাংটক যাওয়ার বাস ৩০০ টাকাতেও আছে। সংগৃহীত ছবি।
*মঙ্গন যাওয়ার বাসের ভাড়া ৩৮৫ টাকা। পেলিং যাওয়ার বাসের ভাড়া ২২৫ টাকা। নামচি যাওয়ার বাস ভাড়া ২৫০ টাকা। জোড়থাং যাওয়ার বাসও ছাড়ে এখান থেকেই। আবার সিকিম থেকে শিলিগুড়ি ফেরার বাসও পাবেন। সংগৃহীত ছবি।
*সিকিম ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টের এক কর্মকর্তা জানান, ” আমাদের এখানে এখন অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশিরভাগ পর্যটক দক্ষিণবঙ্গ থেকে এখানে ঘুরতে আসেন। তবে বাসস্ট্যান্ডে এসে টিকিট কাটতে গেলে অনেক সময় টিকিট পেতে অসুবিধা হয়। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে টিকিট কাটার সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন বাড়িতে বসেই আগাম টিকিট কাটতে পারবেন পর্যটকরা।” সংগৃহীত ছবি।
গরমের ছুটিতে এবার প্রকৃতির কোলে এসির মজা উপভোগ করতে হলে ছুটে যেতেই হবে পাহাড়ি এই গ্রামে। গরমে একটু স্বস্তির খোঁজে প্রত্যেকেই। তীব্র গরমে আর ব্যস্ততম, কোলাহলপূর্ন জীবন থেকে একটু বিরতি নিতে হলে যেতে হবে কালিম্পংয়ের এই পাহাড়ি গ্রাম চারখোল-এ।
চারখোল। মানে চারদিক দিয়ে খোলা। এখানে প্রকৃতি যেন আপনার হাতের মুঠোয় । শুধু আপনার যে কোনো দিকে হাতটা বাড়ানোর অপেক্ষা, প্রকৃতি যেন গদগদ হয়ে উঠবে আপনার হাতের স্পর্শে । এ এক অদ্ভুত ভালবাসা ।
নিজেদের পছন্দমফিক খাবার অর্ডারের ব্যবস্থাও আছে, প্রয়োজন মতো পনির, দেশি মুরগির মাংস, খাসির মাংস ও পেয়ে যাবেন। তিন’চারদিন সময় কাটানোর জন্য জাস্ট দারুণ।আর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বিষয়টা একদমই কষ্টকর নয় বরং উপভোগ্য। খাবারের সঙ্গে রাতে থাকছে বারবিকিউ ও ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও।
শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ৭২ কিলোমিটার দুরে সুন্দর মনোরম পাহাড়ি গ্রামের মধ্যে অনবদ্য সুন্দর, পরিষ্কার ও নতুন ভাবে সাজিয়েছে প্রকৃতি। পরিবার ও বন্ধুবান্ধদের সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করুন গরমের ছুটির দিনগুলোকে।
এনজেপি রেল স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কালিঝোড়া হয়ে সামথার ফরেস্ট পেরিয়েই পৌছে যাবেন চারখোল। রাস্তা বেশ সুন্দর। সময় লাগে মাত্র ২ ঘন্টার মতো। কালিম্পং বাজার থেকে শেয়ার গাড়ির ব্যবস্থা আছে। এনজেপি থেকে রিজার্ভ গাড়ি করলে খরচ হনে ৩৫০০ টাকা ।
চারখোলে রয়েছে অনক হোম স্টে। বেশিরভাগই ডিলাক্স রুম। মাথাপিছু খরচ হবে ১২০০ টাকা, সঙ্গে প্রতিদিন খাওয়াদাওয়া নিয়ে। একটা ঘরে সর্বনিম্ন তিন জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। থাকবে সকালে চা, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভিনিং স্ন্যাকস্ আর ডিনার।
উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আগামী কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ঝড়ের তীব্রতা স্থানভেদে আলাদা হতে পারে।
হওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে,আগামী সাতদিন পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে ৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তন নেই ৷ সব জেলাতে বৃষ্টি হবে ৷
শুক্রবার সবকটি জেলায় বৃষ্টির পরিস্থিতির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বইবে ৷
সিটং আরেকটি ছোট পাহাড়ি জায়গা কার্শিয়াং এর কাছাকাছি ৪ হাজার হাজার ফুট উচ্চতায় আছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। ইউক্যালিপটাস গাছের এবং জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সূর্যের রশ্মি নিজের পথ খুঁজে নিয়েছে। পাথরের গায়ে সচ্ছ ও সাদা ঝরনা কেটে বেরিয়ে যাচ্ছে যা দেখলে মনে হবে আপনি একটি স্বর্গে এসে পৌঁছেছেন।
জোড়পোখরি: পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট শৈল শহর। দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত! জোড় কথার অর্থ দুই এবং পোখরি মানে হ্রদ। জোড়া সরোবর রয়েছে বলেই এই জায়গার নাম রাখা হয়েছে জোড়পোখরি। আপনি যদি জঙ্গল ভালবাসেন তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা।
চটকপুর: নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে আছে পাহাড়ি গ্রাম চটক। উচ্চতা হবে ৭৪০০ ফিট।ওইখানে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে অথরিটি থেকে একটি পাস বানিয়ে নিতে হবে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সরু পথ বেয়ে চলে যাচ্ছে চটকপুর গ্রাম অবধি । ব্যালকনিতে বসে আপনি হোমস্টে থেকে দেখতে পাবেন অপূর্ব সুন্দর মেঘে ঢাকা পর্বত এবং বরফাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া।
লেপচাজগৎ: লেপচাজগৎ-এ সূর্যোদয় একটি স্বর্গীয় দৃশ্য। এটি আরেকটি অফবিট গন্তব্য যা দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূর অবস্থিত। আপনি দার্জিলিং থেকে লেপচাজগৎ যেতে পারেন ঘুম স্টেশন হয়ে!রাত্রিবেলায় এই জায়গা থেকে দার্জিলিংয়ের আলোক মন্ডিত রূপ দেখে মুগ্ধ হবেন আপনি।
রামধুরা: দু’দিকে সারি সারি পাইন গাছ। তার মাঝখান দিয়ে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কালিম্পং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামধুরা! প্যারাগ্লাইডিং, বার্ডওয়াচিংও কিন্তু করতে পারেন এখান থেকে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে খাতায় কলমে ৮৬ কিমি আর বাগডোগরা থেকে ৮৯ কিমি এর মতো।
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর। দীর্ঘ সাত বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় দার্জিলিংয়ে চালু হল প্যারাগ্লাইডিং। দার্জিলিংয়ের সেন্ট পলস থেকে লেবং পর্যন্ত আকাশে আড়াই কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করতে পর্যটকদের খরচ পড়ছে ৩৫০০ টাকা। আগাম বুকিং করে তবেই প্যারাগ্লাইডিংয়ের আনন্দ নেওয়ার সুযোগ মিলছে। (অনির্বাণ রায়)
দার্জিলিংয়ের প্যারাগ্লাইডিংয়ের পরিচালক কর্মা শেরপা জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দু’জন গ্লাইডার এবং দুজন পাইলট প্যারাগ্লাইডিং পরিচালনা করছেন। রোজ ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকছে। কারণ, সকাল ১০টার পরে পশ্চিমী হাওয়া বইতে শুরু করায় প্যারাগ্লাইডিং করা সম্ভব হয় না। রোজ মাত্র ছ’জন পর্যটক এই প্যারাগ্লাইডিং এর সুযোগ পাবেন।
শূন্যে ভাসতে ভাসতে পর্যটকদের কাছে আরও সুন্দরভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগও থাকছে। তবে এই অ্যাডভেঞ্চারের আনন্দ নিতে পর্যটকদের ৫০০ টাকা দিয়ে আগাম বুকিং করতে হবে। বাকি টাকা দিতে হবে প্যারাগ্লাইডিংয়ের সময়। হোটেল থেকে পর্যটককে তুলে সেন্ট পলসে নিয়ে যাওয়া এবং লেবংয়ে নামার পর সেখান থেকে গাড়িতে পর্যটককে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে প্যারাগ্লাইডিং করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে পর্যটককে। কর্মা এ দিন বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের কাছ থেকে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে ফোন করে স্লট বুকিং-সহ অন্যান্য খোঁজখবর করছেন। কিন্তু আপাতত রোজ আমরা মাত্র ছ’জনকে পরিষেবা দিতে পারছি।’
জিটিএর অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের মুখ্য আহ্বায়ক দাওয়া শেরপার বক্তব্য, ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে উৎসাহ দিতেই জিটিএ এই পরিষেবা চালু করেছে। আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন অফিশিয়ালি সকলের সামনে আনা হবে। শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড অ্যাডভেঞ্চার সংস্থাগুলোকেই পরিষেবা দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কালিম্পং, দার্জিলিংয়ের পর এবার কার্সিয়াংয়েও প্যারাগ্লাইডিং পরিষেবা চালু করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি ট্রায়াল ফ্লাইট হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে ইতিমধ্যে সমীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, গিদ্দাপাহাড় থেকে শুরু হয়ে রোহিণীতে গিয়ে নামানো হবে।’ খুব তাড়াতাড়ি এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Posts navigation
Just another WordPress site