Tag Archives: Corn Cultivation

Corn Cultivation: তীব্র রোদে চাষের ক্ষতি হলেও হাসছেন এখানকার কৃষকরা! ভুট্টার গল্প শুনলে আপনিও…

আলিপুরদুয়ার: এবারের অস্বাভাবিক গরমে অন্যান্য ফসল উৎপাদন ও কৃষিকাজে যখন ক্ষতি হচ্ছে ঠিক সেই সময় হাসি ফুটেছে ভুট্টা চাষিদের মুখে। এই গরম তাঁদের কাছে শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ চড়া রোদে সহজেই শুকিয়ে যাচ্ছে ভুট্টা দানা।

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার প্রকোপ থেকে ভুট্টা চাষ যে বেঁচে গিয়েছে তেমনটা নয়। বরং এই চরম আবহাওয়া আলিপুরদুয়ার জেলায় ভুট্টা চাষে যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। কিন্তু উৎপাদিত ভুট্টা দানা এই চড়া রোদে সহজে এবং দ্রুত শুকাতে পারায় দিনের শেষে মুখে হাসি ফিরেছে চাষিদের

আলিপুরদুয়ার জেলার এক নম্বর ব্লকে গেলে দেখা যায় মাঠে ত্রিপল বিছিয়ে ভুট্টা দানা শুকিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। সাধারণত ভুট্টা একটি আদ্র ফসল। ভুট্টা দানা যখন ছাড়িয়ে নেওয়া হয় তখন দানাগুলি আদ্র থাকে। সেগুলি পুরোপুরি না শুকোলে খোসা বের হয় না। এই খোসা বের হলে তবেই সেগুলিকে বাজারজাত করে থাকেন চাষিরা। এই শুকনো ভুট্টা দিয়ে তৈরি হয় পপকর্ন।

আরও পড়ুন: পাটের জমিতে তিল চাষ করে চমক শিক্ষকের! ইউটিউব ভিডিও এনে দিল সাফল্য

এই বিষয়ে চাষি প্রদীপ বর্মন জানান, এই তাপপ্রবাহে কষ্ট হচ্ছে সকলেরই। ভুট্টার ফলনও কম হয়েছে। কিন্তু ভুট্টা দানা শুকানোর জন্য তাপমাত্রার প্রয়োজন ছিল, তা এই কদিনে মিলেছে। ভুট্টা দানা পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে। এই কারণে আমরা খুশি।

ভুট্টা দানা শুকানোর জন্য ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এক সপ্তাহ এই তাপমাত্রাতে ভুট্টা দানা থাকলেই খোসা বেরিয়ে আসে। এই টানা রোদের ফলে সেটা সহজেই সম্ভবপর হয়েছে।

অনন্যা দে

Corn Cultivation: বৃষ্টির দেখা নেই, প্রবল তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে ভুট্টা চাষিরা

উত্তর দিনাজপুর: প্রবল তাপপ্রবাহে মাথায় হাত উত্তর দিনাজপুরের ভুট্টা চাষিদের। ধান ও পাট চাষের পর এই জেলায় সবথেকে বেশি চাষ হয় ভুট্টার। কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ , হেমতাবাদ, ইটাহার সহ জেলার ৯ টি ব্লকেই প্রচুর পরিমাণে ভুট্টা চাষ হয়। কিন্তু অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে পুড়ে যাচ্ছে জেলার একের পর এক ভুট্টা ক্ষেত। এই সময় কিছুটা বৃষ্টির দরকার ছিল। কিন্তু তার অভাবে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন ভুট্টা চাষিরা।

এই পরিস্থিতিতে অল্প কিছু সংখ্যক কৃষক পাম্প চালিয়ে সেচের ব্যবস্থা করলেও অনেকেই আর্থিক সঙ্গতির অভাবে সেই পথে পা বাড়াতে পারেননি। ফলে শেষ পর্যন্ত ভুট্টা চাষের কী হাল হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন সকলে। উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু কৃষক ঋণ নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কীভাবেঋণ শোধ করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না।

আর‌ও পড়ুন: ভোট প্রচারে ‘অনুব্রত’ দাওয়াইয়ে মিলল স্বস্তি!

এক কৃষক মোহন মণ্ডল জানান, গত বছর এই সময় বৃষ্টি হলেও এবারে বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে ভুট্টা সহ অন্যান্য ফসলের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে পাম্প সেট দিয়ে জল দিতে তিন হাজার টাকার মত খরচ হয়। তাই অনেক কৃষকের পক্ষেই পাম্প সেট দিয়ে জল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে বিঘা প্রতি ভুট্টা চাষে প্রায়‌ ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে ভুট্টা চাষে অনেক টাকা খরচ হলেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবারে লাভ তো দূরের কথা খরচ‌ই উঠবে না বলে অনেক কৃষকের আশঙ্কা।

পিয়া গুপ্তা

Bengali News: পশুখাদ্য হিসাবে ভুট্টা গাছের বিকল্প ব্যবহার, শুরু পরীক্ষা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভুট্টা তো আমরা সকলেই কমবেশি খেয়েই থাকি। অনেকেই পুরনো ধাঁচে ভুট্টা পুড়িয়ে খান। তবে আজকাল বেবিকর্ণ বা পপকর্ন রূপে খাওয়ার প্রচলন বেড়েছে। এই ভুট্টা ক্ষেত থেকে তুলে নেওয়ার পর বিঘার পর বিঘা জমিতে পড়ে নষ্ট হয় ভুট্টাগাছ। সেই ভুট্টা গাছের পরীক্ষামূলকভাবে বিকল্প ব্যবহার শুরু হল।

আর‌ও পড়ুন: ডালিম গাছের তলায় ধ্যানে বসে সরস্বতী হয়ে ওঠেন সতী মা! ৩০ একর জুড়ে চলছে তাঁর মেলা

রায়দিঘির খাড়িতে পশুখাদ্য হিসাবে ভুট্টাগাছের ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা শুরু করল কৃষি দফতর। এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করছে আত্মা প্রকল্পের আধিকারিকরা। মথুরাপুর-২ ব্লকের খাড়িতে কয়েক বিঘা জায়গার উপর গড়ে উঠেছে ভুট্টা বাগান। সেখানে ডিএমআরএইচ ১৩০৮ ও এলকিউএমএইচ১ প্রজাতির ভুট্টার চাষ হচ্ছে। এগুলি সার্টিফায়েড ভুট্টা প্রজাতি। সম্প্রতি এই জায়গাটি কৃষি দফতরের আধিকারিকরা পরিদর্শন করেন। উৎপাদিত ভুট্টা বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভ হতে পারে বলে তাঁরা জানান। পাশাপাশি পরিত্যক্ত ভুট্টা গাছের বিকল্প ব্যবহার নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ভুট্টা গাছের অন্যান্য অংশ ফেলে না দিয়ে সেগুলিকে পশুখাদ্য হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে লাভ হবে কৃষকদের। গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে এই ভুট্টাগাছ ব্যবহার করলে গবাদি পশু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা।

নবাব মল্লিক

Alipurduar News: জলের অভাবে ক্ষতি ভুট্টা চাষে! চিন্তায় কালচিনির কৃষকেরা

আলিপুরদুয়ার: পর্যাপ্ত জলের অভাবে ভুট্টা চাষে ব‍্যাপক ক্ষতি। কালচিনি ব্লকজুড়ে কৃষকদের মাথায় হাত। কোনও কৃষকই এবারে ৩০ শতাংশের বেশি ভুট্টা ঘরে তুলতে পারেননি। আলিপুরদুয়ার জেলার মধ‍্যে কালচিনি ব্লকেই ভুট্টার চাষ হয়। এই চাষের জন‍্য যা যা পরিকাঠামো প্রয়োজন সবটাই রয়েছে কালচিনি ব্লকে। এলাকার কৃষকেরা বছরে দু’বার ভুট্টা ফলান। এই ভুট্টা বাজারে বিক্রি করেন। পাশাপাশি পাঠান হয় বাইরের জেলাগুলিতে।

কিন্তু এবারে তা আর হবে না। জলের অভাবে প্রতিটি জমির ৭০% ভুট্টা জমিতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন ক্ষতি এর আগে কৃষকেরা দেখেননি। কৃষকদের তরফে জানা যায়,বৃষ্টি না হওয়ার কারণ তো রয়েছে। পাশাপাশি জলসেচ না থাকায় এই সমস‍্যা হল। বৃষ্টির আশায় কৃষি দফতরে বিষয়টি তারা জানাননি। জলনিকাশী ব্যবস্থা যুক্ত বায়ু চলাচলে সক্ষম এমন হালকা বেলে, দোঁয়াশ মাটিতে ভুট্টা ভাল হয়। মাটিতে যথাযথ জৈব পদার্থ থাকা বাঞ্ছনীয়। কারন ভুট্টা প্রচুর পরিমানে মাটির খাবার টেনে নেয়। সামান্য আম্লিক মাটিতে ভুট্টা চাষ ভাল হয়।

আরও পড়ুন:ডাস্ট অ্যালার্জি মানে শুধু ধুলোবালি নয়, আপনার বিছানার চাদর-চুলে-ত্বকে বাসা বাঁধে এমন পরজীবী কীট! জানুন

বর্ষাকালীন চাষে আলাদা করে জলসেচ দেওয়ার প্রয়োজন থাকে না। বিশেষ ক্ষেত্রে জলনিকাশির ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন হয়। কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, ভুট্টা গাছ জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা জল সহ্য করতে পারে না, হয় গাছ পচে যায় নয় ব্যাপক রোগ পোকার আক্রমণে গাছের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তেমনি আবার জমিতে জলটান থাকলেও ভুট্টা পরিপুষ্ট হয় না ফলে বাজারজাতকরনের সমস্যা থাকে। এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন কৃষি দফতরের কর্তারা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey

Corn Cultivation : মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে পতিত জমিতে চাষ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন আদিবাসি মহিলারা

বীরভূম : রাজ্য সরকারের যে কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মাটির সৃষ্টি প্রকল্প। এই প্রকল্পে জেলা প্রশাসন স্থানীয় আটটি স্বনির্ভর দলকে সাবলম্বী করতে উৎসাহিত করছে।বীরভূমের রাজনগরের সিসল ফার্মের পড়ে থাকা জমিতে করা হচ্ছে ভুট্টা চাষ। ভুট্টার পাশাপাশি বর্ষার বাদাম থেকে শুরু করে আড়হর ডাল চাষও হচ্ছে এই জমিতে। কৃষি দফতর সূত্রের খবর মোট প্রায় ৮২ বিঘা জমিতে খরা অঞ্চলের উপযোগী চারটি ফসল লাগানো হয়েছিল।

মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল পতিত জমিকে চাষের উপযুক্ত করে তোলা। অথবা,এক ফসলি জমিকে দু ফসলি করে তোলা এবংবিকল্প উপায় কাজে লাগিয়ে প্রান্তিক মানুষের আয়ের উৎস বাড়ানো। আনুমানিক ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ প্রকল্পের সূচনা হয়।প্রকল্পের আততায় ছিল বীরভূমের রাজনগর,দুবরাজপুর,খয়রাশোল,মোহাম্মদ বাজার, ইলামবাজার, রামপুরহাট ১, নলহাটি ১,সিউড়ি ১ সহ মোট ১০ টি ব্লক।

আরও পড়ুন :আড়াইশো গাছ পাট্টা নিয়ে চার মাসে আয় লাখ টাকা, কীসের ব্যবসা? জানলে অবাক হবেন!

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায় সিসল ফার্মের জমিতে কাজ করার জন্য কাছাকাছি আদিবাসী গ্রামের মোট আটজন মহিলাকে নির্বাচন করেছিল প্রশাসন। পতিত হয়ে পড়ে থাকাএই সমস্ত জমিতে ফসল ফলিয়ে খুশি ওই সমস্ত আদিবাসী মহিলারাও। প্রশাসনের তরফে মহিলা স্বনির্ভর দলকেচাষ করতে উৎসাহ দেওয়াই নয়, পাশাপাশি ফসল বিক্রির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : শীতের সেরা নলেন গুড়ের মিষ্টি এবার সহজেই তৈরি করুন বাড়িতে, জানুন কীভাবে?

প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর, পশু পাখির খাবারতৈরির জন্য ভুট্টা কিনতে আগ্রহী হয়। ইতিমধ্যেইওই দফতরের সঙ্গে স্বনির্ভর দলগুলির চুক্তিও হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এভাবে প্রশাসনের চেষ্টায় মহিলাদের স্ব নির্ভর গড়ে তোলা হলে আগামী দিনে গ্রামীন অর্থনীতিও অনেকটাই উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সৌভিক রায়

Agriculture: খরচের দ্বিগুণ হবে লাভ! ভুট্টা চাষ করলেই হবে বিপুল আয়! জানুন বিস্তারিত  

জলপাইগুড়িঃ রাজ্যের তথা দেশের প্রধান কৃষি ফসল হল ধান। আর এখন কৃষকরা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। এদিকে ধানের পর বিকল্প চাষ হিসেবে ধূপগুড়ি ব্লকে আমন ধান ঘরে তোলার পাশাপাশি বেশিরভাগ কৃষক ইতিমধ্যেই আলু চাষের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি আলু চাষ হয়ে থাকে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। কিন্তু আলু চাষে খরচ যেমন বেশি তেমনি গত কয়েক বছরে আলু চাষ করে সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পারেনি কৃষকরা। উল্টে অনেক কৃষক ঋণ নিয়ে আলু চাষ করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বারংবার। তাই এবার প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে কৃষি দফতরের সহযোগিতায় ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন অধিকাংশ কৃষক।

আরও পড়ুনঃ বিরিয়ানির মধ্যে ওটা কী! চোখ কপালে উঠল সকলের, তুলকালাম কাণ্ড! দেখুন ভিডিও

আগে ধান চাষের পর আলু চাষেরই প্রস্তুতি নিতেন অধিকাংশ চাষি। কিন্তু চড়া দামে নিম্নমানের আলুর বীজ কেনা, রোগ পোকার আক্রমন এসবের মাঝে লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণই হত বেশি। ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হত কৃষকদের। যে কারণে ধূপগুড়ি কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে একাধিকবার কৃষকদের বিকল্প চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের সঙ্গে এ নিয়ে শিবির করে আলোচনা সভাও করা হয়। বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা হয় কৃষকদের। আর কম খরচে কৃষকরা যাতে ভুট্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে। এবার রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরের সহযোগীতায় ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভান্ডানী এলাকার প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে হতে চলেছে ভুট্টা চাষ।আর এই ভুট্টা চাষের জন্য ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি ব্লক কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের হাতে ভুট্টা বীজ তুলে দেওয়া হয়েছে।

এলাকার কৃষকদের কথায়, “ভুট্টা চাষ করলে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাছাড়া সরকারীভাবে আমাদের ভুট্টা চাষ করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে যে কারণে আমরা খুশি। অন্যদিকে, আলু চাষে খরচ বেশি কিন্তু লাভ কম হয়। তাই আমরা ভুট্টা চাষে মনযোগ দিয়েছি। “এ বিষয়ে ধূপগুড়ির-সহ কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন বলেন, “আলু ছাড়াও যে অন্য ফসল চাষ করা যায় এবং লাভবান হওয়া যায় সেটা কৃষকদের বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে বোঝানো হয়।” তিনি আরও বলেন, “কৃষকরা গত দু’বছর আলু চাষ করে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই ফসলের মধ্যে ডাইভারসিফিকেশন বা বৈচিত্র্যতা আনা দরকার। এতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ক্ষতিও কম হবে।” কৃষি দফতরের তরফ থেকে কৃষকদের হাতে ইতিমধ্যেই ভুট্টা বীজ তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তীতে রাসায়নিক সার, অনুখাদ্য, কীটনাশক দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। কৃষি দফতরের এহেন উদ্যোগে খুশি কৃষকরা।

সুরজিৎ দে