Tag Archives: Flood

West Medinipur News: বন্যার আশঙ্কা ঘাটালে, সমাধানের সূত্র কি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান? কী সেই প্রকল্প?

পশ্চিম মেদিনীপুর: বন্যা এবং ঘাটাল পারস্পরিক সমার্থক। প্রতি বছর সামান্য বৃষ্টি এবং বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বানভাসি হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। সব হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয় ঘাটালের মানুষকে। বছরের পর বছর ধরে যেন এই চিত্র কিছুতেই বদলায় না। বাড়িঘর ভেঙে যাওয়া শুধু নয়, প্রতি বছর বর্ষা এলেই স্থানীয় মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। তাই ঘাটালের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। বারবার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার মুখে শোনা গিয়েছে মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়নের কথা। তবে বাম আমল থেকে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ হল না ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান।

ভোটে জিতে তিন বারের সাংসদ দেব তদ্বির করেছেন, সেই দিকে তাকিয়ে সকলে। প্রসঙ্গত, ঝুমি নদীতে জল বাড়ার কারণে একাধিক বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। ঘাটালের মনসুকা এলাকায় ধীরে ধীরে জল প্রবেশ করছে। বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষজন। তাই সকলেই চান ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন।

আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক মিনিটের টর্নেডোর মতো ভয়াল ঝড়! লন্ডভন্ড হুগলির একের পর এক গ্রাম

কী এই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান?
প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। শিলাবতী, ঝুমি ও কংসাবতী নদীর জল বাড়লে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রূপনারায়ণ দিয়ে সেই জল বেরিয়ে গেলে সমস্যা কিছুটা কাটে। কিন্তু, তা না হওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন।

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা, উত্তরে হড়পা বান! কোন কোন জেলায় সতর্কতা?

জলের তলায় চলে যায় রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ত্রাণ শিবির, প্রতিবেশীর পাকা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন মানুষ। নৌকায় করে চলে যাতায়াত। তাই এই সমস্যার সমাধানে সকলের দাবি ছিল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। বাম সরকারের সময় সেই মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত হয় কিন্তু এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। ইতিমধ্যেই নবনির্বাচিত সাংসদ দেবের উদ্যোগে তৎপরতা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মূলত ঘাটালকে ঘিরে থাকা মূল নদী এবং শাখা নদীগুলির নিয়মিত ড্রেজিং করা। যাতে সেগুলির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং বন্যার হাত থেকে ঘাটালের মানুষ রক্ষা পান। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পাম্প হাউস তৈরি, নদীপথ সংস্কার করা, স্থানীয় খালগুলিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং খাল সংস্কারের করা এই মাস্টার প্ল্যানের অংশ।

আরও পড়ুন: ১৪ লাখের চাকরি, ৬০০ বর্গ গজ জমি… বড় পুরস্কার পাচ্ছেন সিরাজ, কে দিচ্ছে জানেন?

শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে ঘাটালের নদী ও খালগুলিতে লক গেট বাসানো এই প্রকল্পের লক্ষ্য। একই সঙ্গে, জমা জল এবং বাড়তি জল নির্দিষ্ট পথে এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করাও এই প্ল্যানের মধ্যে রয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যান শুধু ঘাটালকেন্দ্রিক নয়, বাস্তব রূপ পেলে উপকৃত হবেন ডেবরা, সবং, পিংলা, পাঁশকুড়া-সহ একাধিক ব্লকের বাসিন্দারা।

তবে কবে বাস্তবায়িত হবে সেই প্ল্যান? এলাকায় জল বাড়ছে। ক্রমশ রাতের ঘুম ছুটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রশাসনের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে। দ্রুত মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন হবে, প্রতিশ্রুতি প্রশাসনিক আধিকারিকদের।

ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলা! নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা  

আগরতলা: ভারী বৃষ্টিপাতের দরুণ রাজ্যের দক্ষিণ জেলার বর্তমান পরিস্থিতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি জানান, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজস্ব দফতরের সচিব এবং মৌসম বিভাগের (আইএমডি) কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাঃ সাহা জানিয়েছেন, আইএমডি রিপোর্ট অনুসারে, বিলোনিয়ায় সর্বোচ্চ ২১৪.৪০ মিলিমিটার (মিমি) বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সাব্রুম ও বগাফাতে যথাক্রমে ১৫২.০০ মিমি এবং ৮০.০০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

এর পাশাপাশি ভারী বর্ষণে মুহুরী ও লোগাং নদীতে জলের উচ্চতার স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মুহুরীর জলস্তর ২৬.৬০ মিটার রয়েছে। যা ২৩.৬০ মিটারের প্রত্যাশিত বন্যা স্তরকে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও সেটা ২৭.৫০ মিটারের ক্রিটিক্যাল স্তরের নীচে রয়েছে। লোগাং নদীর জলস্তর ২৪.৫০ মিটার বইছে, যা ২৪.০০ মিটার জলস্তরের বিদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডাঃ সাহা আরও জানান, মুহুরী নদীর জল নিরাপদ সীমা অতিক্রম করেছে। বন্যায় প্লাবিত মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা শুরু হয়েছে। বিলোনিয়া ও শান্তিরবাজার শহর এলাকা থেকে জলে প্লাবিত মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিলোনিয়া মহকুমায় এ পর্যন্ত ৬টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরও জানান, টানা ভারী বর্ষণে গাছ উপড়ে পড়ায় অবরুদ্ধ সড়কগুলো সাফাই করার জন্য ইতিমধ্যে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে “আপদা মিত্র, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্স, টিএসআর, বিদ্যুৎ নিগম, বন দফতর-সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান রাখেন, এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

প্রশাসন সার্বিক পরিস্থিতির উপর গুরুত্ব সহকারে নজর রেখে চলছে এবং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় বসবাসকারী জনগণকে সতর্ক থাকার এবং যেকোনও জরুরী পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Flood Situation: নদী নাকি রাস্তা! চেনাই দায়, গোঘাটে বন্ধ যান চলাচল, একা বৃষ্টির দোষ নয়, স্থানীয়দের অভিযোগের তীর কোন দিকে?

হুগলি: রাজ্য সড়ক না খরস্রোতা নদী দেখলে বোঝা যাবে না। একটানা বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা গোঘাটের সাতবেড়িয়া এলাকায়। টানা বৃষ্টিতে জল মগ্ন রাজ্য সড়ক। যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল যানচলাচল। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেটিং করে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজ্য সড়কের যান চলাচল। যার ফলে সমস্যায় তিন জেলার মানুষ।

আরামবাগের উপর দিয়ে বয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর, কংসাবতী। আর লাগাতার বৃষ্টিতে ফুঁসছে সেই সব নদীর জল স্তর। সেখানেই গোঘাটের কাছে কংসাবতীর শাখা নদী আমদরের জল উপচে গিয়েছে গোঘাটের সাতবেড়িয়া এলাকার রাজ্য সড়কের উপর। যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেও বিপদসঙ্কুল পারাপার করছে সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩০ সেকেন্ডের তাণ্ডব, প্রবল ঝড়ে উড়ে গেল ৩০ টি বাড়ির চাল! সাত সকালেই নামল অন্ধকার, লন্ডভন্ড এই এলাকা

হুগলির গোঘাট থেকে বদনগঞ্জগামী রুটের কামারপুকুর সাতবেড়িয়ে এলাকায় রাজ্য সড়কের এমনই অবস্থা। সাতবেড়িয়ে এলাকায় রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে স্রোত বইছে জলের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিক মতো খাল সংস্কার না করা ও অন্যদিকে এই জায়গায় রাজ্য সড়ক অনেক নীচু হওয়ার জন্য এই সমস্যা প্রায় প্রতি বছরই ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।

এবারেও একই সমস্যা, একদিকে টানা দু’দিন বৃষ্টি ও অন্যদিকে বাঁকুড়ার দিক থেকে জল বিভিন্ন খাল হয়ে এই এলাকায় জমা হয়ে উপচে যায়। আর জেরেই জল বইতে শুরু করে রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জল উঠে যায় রাজ্য সড়কের উপর। শনিবার থেকে বন্ধ যান চলাচল। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। সকাল থেকে ভীড় এলাকায়।

আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

যদিও চরম সমস্যায় সাধারণ মানুষ। এই রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে খুব সহজেই আরামবাগের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার একটা অংশ যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু এদিন জল উঠে যাওয়ার জেরে এই সমস্ত এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকেই গন্তব্যে বেড়িয়েও পৌঁছাতেই পারলো না।আবার অনেকে ঘুর পথে পৌঁছাচ্ছে গন্তব্যে। তবে সকাল থেকেই পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন এলাকায়।

রাহী হালদার

Flood: বাঁধে বিরাট ফাটল! হু হু করে ঢুকছে জল, চিন্তা বাড়াচ্ছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি, ভেসে যেতে পারে এই এলাকা

পূর্ব বর্ধমান: বাঁধে ফাটল। ডুবতে বসেছে জামালপুরের আঝাপুর। একদিকে ভারি বর্ষণ। অন্যদিকে, ডিভিসি জল ছেড়েছে। আর তাতেই বিপত্তি। পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার অন্তর্গত আঝাপুর গ্রামের ভীমের পুল সংলগ্ন দাস পাড়া এলাকায় খালের মাঝে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্ত দিয়ে গ্রামে হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে জল।

ইতিমধ্যেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু না হলে রাতের মধ্যেই বেসে যাবে গ্রাম আতঙ্কে এলাকাবাসী। স্থানীয় ক্যানেলের গেটম‍্যানকে বিষয়টি জানালে তিনি জানিয়েছেন আগামীকাল শুক্রবারের আগে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব নয়। তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের কপালে । গ্রামে বেশ কিছু মাটির বাড়ি রয়েছে। সেগুলিতে জল ঢুকলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি অবিলম্বে বাঁধ মেরামত করা হোক।

আরও পড়ুন: হেলায় ফিরিয়ে দিয়েছেন ১০ লক্ষ! রাহুল গান্ধির সেলাই করা জুতো বেচবেন না, অনড় রামচেট

ক’দিন আগেই বৃষ্টির অভাবে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক ব্লকে চাষবাস প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুকিয়ে যাচ্ছিল মাঠ ঘাট। পুকুরে জল কমে আসছিল। মনেই হচ্ছিল না এটা ভরা বর্ষাকাল। গতকাল আর আজ সকাল থেকে জায়গায় জায়গায় নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিভিসির সেচখাল গুলো দিয়ে জল ছাড়া চলছে। আর তাতেই বিপত্তি তৈরি হয়েছে জামালপুর ব্লকের অঝাপুরের দাসপাড়া এলাকায়।

বিডিও অফিসের এক আধিকারিক জানান, আঝাপুর গ্রামের ভীমের পুল সংলগ্ন দাসপাড়া এলাকায় খালের মাঝে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামে হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে জল। অবিলম্বে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু না হলে রাতের মধ্যেই ভেসে যেতে পারে গ্রাম, এমন আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই রাস্তায় দেখা দিয়েছে ফাটল।

‍আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

এখন সেই  আতঙ্কে রাতের ঘুম ছুটেছে এলাকাবাসীর। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে নজরদারি চালানো হচ্ছে। জল ঢোকা আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে জল যেভাবে গ্রামে ঢুকছে তাতে চিন্তিত  গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, গ্রামে বেশ কিছু মাটির বাড়ি রয়েছে। জল ঢুকলে সেগুলির ক্ষতির আশংকা রয়েছে। দ্রুত বাঁধ মেরামতে হাত লাগানো হোক চাইছেন তাঁরা।

Alipurduar News: বর্ষায় আর বন্যা নয়! ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশনে আশা দেখছে আলিপুরদুয়ার

আলিপুরদুয়ার: প্রতি বছর বর্ষায় ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর জলে ভাসে আলিপুরদুয়ার জেলা সহ জলপাইগুড়ি জেলার কিছুটা অংশ।রাজ‍্য বিধানসভায় ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এবারে সমস‍্যার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে বলে আশা করছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।

ভুটান পাহাড়ের জল এসে মিশলে ভয়াল রূপ ধারণ করে আলিপুরদুয়ার জেলার বাসরা,কালজানি,সংকোশ, বিরবিটির মত নদীগুলি। এছাড়াও জলপাইগুড়ির ডায়না,জলঢাকা নদী ভয়াবহ রূপ নেয়। ভুটান সীমান্ত এলাকা জয়গাঁ, কালচিনি, কুমারগ্রাম, টোটোপাড়া, বানারহাট, চামুর্চি, নাগরাকাটার বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা যায় বন‍্যা পরিস্থিতি। ভুটান পাহাড়ে বাঁধ না থাকায় এই সমস‍্যা দেখা যায় প্রতি বছর। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চল, কৃষিজমি, চা বাগান ও বন‍্যপ্রাণ।

ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে তার পুরোপুরি হিসেব মেলেনি। এই সমস‍্যার কথা বিধানসভায় তুলে ধরেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।ভুটানের নদীগুলিকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়? বর্তমানে সেটি বড় প্রশ্ন।যদিও এটি আন্তর্জাতিক বিষয় এবং কেন্দ্রের এক্তিয়ারভুক্ত। তবুও কেন্দ্রের নজরে এই বিষয়টিকে আনতে বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে জানান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।

তিনি জানান,”প্রতি বছর ভুটানের জল ঢুকে ধ্বংসলীলা চালায় আলিপুরদুয়ার জেলায় ও ডুয়ার্সের কিছু অংশে। রাজনীতির রঙ ভুলে সকলে এগিয়ে এলেই এই সমস‍্যা মিটবে।”

আরও পড়ুন- রুপোলি পর্দায় আসছেন সলমনের বোনের পুত্র? আয়ানের ‘পার্টি ফিভার’ ভিডিও শেয়ার করলেন ‘ভাইজান’

ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন নিয়ে রাজ‍্যসভাতেও শীঘ্রই কথা বলবেন সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক। জেলা বাঁচানো প্রধান লক্ষ্য বলে জানালেন তিনি।

অনন্যা দে 

Dam Broke Flood: বাঁধ ভেঙে প্লাবিত পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর, হু হু করে ঢুকেছে নোনা জল

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল গোবর্ধনপুর। ফলে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবর্ধনপুর গ্রামের দক্ষিণে প্রায় ১২০০ মিটার বাঁধ ভেঙেছে। গ্রামের দক্ষিণেই রয়েছে বঙ্গোপোসাগর। ওই অংশে কোনও চর না থাকায় ঢেউগুলি সজোরে আছড়ে পড়ে বাঁধে। যার জেরে প্লাবিত হয়েছে পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর গ্রাম।

নোনা জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শতাধিক বাড়ি। কয়েকশো বিঘা জমিও নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে আর কৃষিকাজ করা যাবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক দাস বলেন, বারবার এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত সকলে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁদের মত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো উচিৎ বলে জানান। জল কবে নামবে তাও বুঝতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। পুকুরে নোনা জল ঢুকে মাছ মারা গিয়েছে। বিপদ এড়াতে প্রায় একশোটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ক্লাসরুমকে গুদামঘর বানিয়ে স্কুলেই ব্যবসা শিক্ষিকার, নিরুপায় পড়ুয়াদের ঠাঁই বারান্দায়

পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা বলেন, গোবর্ধনপুরের দক্ষিণ অংশে বহুবার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ওই এলাকায় সমুদ্রের ঢেউয়ের দাপট থাকায় বার বার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙা বাঁধের কিছুটা দূরে ফের কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখন জল নামার অপেক্ষায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

নবাব মল্লিক

Flood Situation: ভুটানে টানা বৃষ্টিতে বিপন্ন কালচিনি, ক্রমশ ভয় বাড়ছে

আলিপুরদুয়ার: ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জটিল পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের একাংশে। বেড়েছে পানা নদীর জল। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা বাড়ছে। তবুও একপ্রকার বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই নদী পাড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করছেন স্থানীয় রাধারানি, চুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দারা।

কালচিনি ব্লক দিয়ে বয়ে চলেছে পানা নদী। চুয়াপাড়া, রাধারানি এলাকা রয়েছে পানা নদীর পাশে। বর্ষা এলেই সমস্যা বাড়ে এই এলাকাগুলিতে। টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে এই নদীর। ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির ফলে পানা নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। যদিও এক ঘণ্টা বৃষ্টি না হলে কোমর সমান জল নিয়ে এই নদী পারাপার করেন বাসিন্দারা। পানা নদী পাড় করতে গিয়ে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন গাড়ি চলকেরা। গাড়ি নদী দিয়ে নিয়ে যেতে গেলেই খারাপ হচ্ছে যন্ত্রাংশ। কিন্তু শুকনো দিনে নদীর কোনও অস্তিত্ব‌ই দেখা যায় না এই এলাকায়।

আর‌ও পড়ুন: নজরদারিতে কি কিছুটা কমল দাম? সবজি বাজার নিয়ে কী বলছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা

পানা নদীর উপর আগে থেকে কোনও সেতু ছিল না। কিন্তু এই বর্ষায় লাগাতার বৃষ্টির জেরে নদীর জল গ্রামগুলিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। বর্তমানে স্থানীয়রা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কোনওক্রমে খরস্রোতা নদীটি পারাপার করছেন। পানা নদীর জল বাড়লেই সংলগ্ন এলাকাগুলির প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা সমস্যায় পড়েন। কেন না সমস্ত রসদ যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

অনন্যা দে

North Bengal Flood Situation: টানা বর্ষণে উত্তাল তোর্ষা! চা বাগানে হু হু করে ঢুকছে নদীর জল

আলিপুরদুয়ার: গত দু’সপ্তাহের একনাগারে বৃষ্টিতে ফুঁসছে তোর্ষা নদী। জলস্তর এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের। ইতিমধ্যে কূল ছাপিয়ে তোষা্র জল ঢুকতে শুরু করেছে বিচ চা বাগানে। ভাঙছে বাগানের জমি।

টানা বৃষ্টিতে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে রাতের ঘুম উড়েছে বিচ চা বাগানের ফরেস্ট লাইনের বাসিন্দাদের। এই এলাকার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা তোর্ষা নদী। এই নদীতেই এসে মিলিত হয় ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর জলও। ফলে প্রতি বর্ষাতেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে তোর্ষা।

আর‌ও পড়ুন: আফগানি রাবাব-এর টানে ছেড়েছেন চাকরি! সেই বাদ্যযন্ত্র এখন অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা মাতাচ্ছে

ইতিমধ্যেই, এলাকার কয়েকশো মিটার জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বিচ চা বাগানের এই ফরেস্ট লাইন এলাকায় ১৫০ পরিবারের বাস। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরানো হয়ে উঠেছে যে শীঘ্রই প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ না নিলে হয়ত গোটা এলকাটাই ধীরে ধীরে তোর্ষায় তলিয়ে যাবে। এই আশঙ্কার কথা নিজেদের মুখে চালিয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা। এই ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব। তিনি এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। এই বিষয়ে সভাধিপতি বলেন, নদীতে অনেকটা জল রয়েছে। এই মুহূর্তে নদীতে কাজ করা সম্ভব নয়। তবে বিকল্প উপায়ে কীভাবে বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধান করা যায় তা দেখছি।

আগেই সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগান ভাঙনের কবলে পড়েছিল। এবার বিচ চা বাগানে একই পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় চা বাগানে শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমত আশঙ্কিত বাগান মালিকরা।

অনন্যা দে

Malda News: তিন নদীর জলস্ফীতিতে প্লাবিত বামনগোলা, জলমগ্ন আটটি স্কুল, জলবন্দি মানুষ

মালদহ: একসঙ্গে তিন তিনটি নদীর জলস্ফীতি। আর এতেই বানভাসি মালদহের বামনগোলা। সরকারি হিসেবেই জলমগ্ন আটটি স্কুল। গ্রামীণ যোগাযোগের রাস্তা জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো বসবাস জলবন্দি মানুষের। মালদহের বামনগোলায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে মালদহের জেলাশাসক, সভাধিপতি-সহ প্রশাসনের দল।

শুক্রবার দিনভর বামনগোলা ব্লকের চাঁদপুর, গোবিন্দপুর-মহেশপুর এবং জগদলা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। হাড়িয়া নদী, পুনর্ভবা নদী এবং টাঙ্গন নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে মালদহের বামনগোলা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢুকেছে। রাস্তার ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জলবন্দি হয়ে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রশাসনের হিসেবেই জলমগ্ন হয়ে রয়েছে অন্তত আটটি সরকারি স্কুল।

আরও পড়ুন: WhatsApp-এ শীঘ্রই বড়সড় বদল! ভেরিফায়েড ব্যাজ নিয়ে বিরাট খবর, কারা এই সুবিধে পাবেন

গত দু’দিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ত্রাণ এবং প্রশাসনের দল পাঠানোর দাবি করছিলেন। অভিযোগ ছিল প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দেখা যায়নি প্রশাসনকে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার বানভাসি এলাকায় পৌঁছে গেলেন সপার্ষদ মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। এদিন ওই এলাকায় পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল ও শুকনো খাবারের প্যাকেট, পানীয় জল, ত্রাণ শিবির চালু, রান্না করা খাবারের ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।

একইসঙ্গে সেচ দফতর অবিলম্বে ওই এলাকায় নদী বাঁধ মেরামতের নির্দেশ দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বামনগোলার বিডিওকে। এদিন এলাকা পরিদর্শনের সময় মালদহের জেলাশাসক ও সভাধিপতির কাছে এলাকায় সেতু তৈরির দাবি জানান বামনগোলার চাঁদপুর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, ফিবছর নদীর জল ফুঁসে উঠে ক্ষয়ক্ষতি বাড়াচ্ছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই। এই পরিস্থিতিতে স্থায়ী সমাধানের জন্য এলাকায় পাকা সেতুর দাবি তোলেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। এদিন মালদহে প্লাবিত এলাকায় পরিদর্শনে জেলা সভাধিপতি, জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও থেকে পুলিশ এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, জলপ্লাবিত এলাকার মানুষের পাশে থাকবে প্রশাসন। খাবার, পানীয় জল, ত্রান শিবির, বিদ্যুতের ব্যবস্থা-সহ একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্লাবনে কৃষি কাজের বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা গিয়েছে। কৃষি দফতর ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করছে। মানুষের দুর্ভোগ যাতে লাঘব করা যায় তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা হচ্ছে।

Flood Situation: টানা বৃষ্টিতে বানভাসি, ৯৩-এর বন্যার স্মৃতি ফিরল হ্যামিল্টনগঞ্জে

আলিপুরদুয়ার: ১৯৯৩ সালের বন্যার স্মৃতি ফিরে এল আলিপুরদুয়ার জেলার হ্যামিল্টনগঞ্জের বাসিন্দাদের মনে। টানা ভারী বর্ষণে বানভাসি গোটা এলাকা। ফলে প্রবল আতঙ্কিত বাসিন্দারা। এবারও কি বন্যার কবলে পড়তে হবে? বর্তমানে এই প্রশ্নটা ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের মনে।

টানা বৃষ্টির কারণে জলে ডুবে রয়েছে হামিল্টনগঞ্জ। প্রধান সড়কের উপর দিয়ে বইছে জল। যার কারণে আলিপুরদুয়ার শহরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হ্যামিল্টনগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা। জলমগ্ন হ্যামিল্টনগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। প্রবল বর্ষণ ও বেহাল নিকাশি দরুণ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। মানুষজনের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান সড়কে প্রায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে।

আরও পড়ুন: দিঘার রাস্তায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত ২, আশঙ্কাজনক আরও ২

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিকাশি ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে। অল্প বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে জমা জল ঢুকতে শুরু করেছে। প্রশাসনিকভাবে কোন‌ঝ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। হ্যামিল্টনগঞ্জে রয়েছে অগ্নি নির্বাপক কেন্দ্র। প্রধান রাস্তার উপর দিয়ে এমন জল বইছে যে কোথাও আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি পৌঁছতে পারবে না সেই এলাকায়। এক কথায় গৃহবন্দীএ এখানকার মানুষজন।

কোথা থেকে এত জল এলাকায় প্রবেশ করছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। এদিকে বাসরা নদীর জল উপচে পড়ছে। সব মিলিয়ে ১৯৯৩ সালের ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি উঁকি মারছে একটু বেশি বয়স্কদের মনে। সেই সময় মৃত্যু মিছিল দেখা গিয়েছিল এলাকায়। ক্ষতি হয়েছিল বাড়ি ঘরের। সেই দুঃসহ স্মৃতি যাতে আর না ফেরে সেটাই এখন সকলের একমাত্র প্রার্থনা।

অনন্যা দে