Tag Archives: ICDS

ICDS Centre: প্রাণ হাতে নিয়ে চলা! এই ‘ভয়াবহ’ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে ভীত অভিভাবকরা

পুরুলিয়া: ছোট ছোট শিশু ও প্রসূতি মায়েদের জন্য তৈরি করা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষাদানের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় ছোট ছোট শিশুদের। কিন্তু এই অঙ্গন‌ওয়াড়ি কেন্দ্রের ভয়াবহ অবস্থা ভয় ধরিয়েছে অভিভাবকদের মনে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের কুমড়া পঞ্চায়েত এলাকার জঙ্গলের মাঝে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে চলে গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেটি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এখানেই চলছে সেটি। কিন্তু ছাউনি না থাকায় রোদ, জল, ঝড়, বৃষ্টির মধ্যেই বারান্দায় চলছে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবার বন্টনের কাজ।

ওই কেন্দ্রে প্রবেশ করলেই দেখা যায় মাথার উপর খোলা আকাশ। দেওয়ালে ধরেছে ফাটল, মুহুর্তেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। ঝোপে ঝাড়ে ভর্তি, মাঝে মধ্যেই সাপ ও বিভিন্ন বিশাক্ত পোকামাকড় ঢুকে পড়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। মাথার উপর টিনের আচ্ছাদনটুকুও নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সরকারি পরিষেবা দিচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকেরা।

আর‌ও পড়ুন: ফুঁসতে থাকা অজয়ের জন্য কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা সঙ্কটের মুখে!

এই বিষয়ে অভিভাবকেরা বলেন, তাঊরা অনেকটাই আতঙ্কের মধ্যে বাচ্চাদের এই আইসিডিএস সেন্টারে পাঠাচ্ছেন। যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত বলেন, যে সমস্ত আইসিডিএস সেন্টারগুলি ভগ্নদশা হয়ে রয়েছে সেগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করার জন্য বিডিওদের বলা হয়েছে। সে তালিকা হাতে পাওয়ার পর আমরা খুব শীঘ্রই এই আইসিডিএস সেন্টারগুলিকে মেরামত করার উদ্যোগ নেব।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Bankura News: জঙ্গলমহলের গ্রামে আস্ত রেলের বগি এল কীভাবে? কাছে যেতেই যা কাণ্ড ঘটল…

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল এলাকায় রেলপথ নেই, তবে দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের গ্রামে তৈরি হল নতুন রেলপথ? শুনে অবাক লাগছে? চোখে দেখলে আরও অবাক হবেন! তবে আসন ব্যাপারটা ভিন্ন। রানিবাঁধের রুদড়া পঞ্চায়েতের নারাণপুর গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হল রেলপথের উপর রেল কোচ দিয়ে। রেলগাড়ির আদলে অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র, যা নজর কেড়েছে বাসিন্দাদের। আকর্ষণীয় এই কেন্দ্র আকৃষ্ট করছে এলাকার কচিকাচাদের ।সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম রেল কোচের আদলে তৈরি এই কেন্দ্র, যা আলোড়ন ফেলেছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে কেন্দ্র থাকলেও অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের ঘর ছিল না। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গ্রামের অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের ঘর তৈরির। রানীবাধ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরআইডিএফ প্রকল্প থেকে ওই কেন্দ্রের ঘর তৈরি হল। যার ব্যয় বরাদ্দ প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। কংক্রিটের ওই কোচের মধ্যে তৈরি হয়েছে দুটি দরজা,ভিতরে মাঝে হলঘর ,একপাশে রান্নাঘর, একপাশে শৌচাগার । চত্বরে বসেছে নলকূপ। ব্লক প্রশাসন জানায়, আরআইডিএফ প্রকল্প থেকে রেল কোচের আদলে ওই কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। মডেল ছাড়াও এলাকার আকর্ষণীয় ওই কেন্দ্র খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হবে।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

বাসিন্দারা বলেন, গ্রামের বাচ্চা থেকে তাঁরা সকলেই খুশি। এলাকায় রেল যোগাযোগ নেই। সেই রেলপথ-সহ রেল দেখার স্বাদ মিটছে সকলের। ইতিমধ্যেই পাশাপাশি এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসুক মানুষজনের আনাগোনা বেড়েছে নারাণপুর গ্রামে। বাইরের প্রচুর মানুষ আসছেন। মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরও ভাল লাগছে তারা জানান।

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের চিত্তরঞ্জন মাহাতো বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই বাচ্চারা প্রথম বর্ণপরিচয় শেখে। বাচ্চারা যাতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে পছন্দ করে সেই কথা ভেবেই রানীবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আকর্ষণীয়ভাবে রেলের কোচের আদলে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।

দেখলে মনে হবে কোনও রেল লাইনের উপর একটি রেলগাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে বাচ্চারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র যেতে আকৃষ্ট হবে বলেমনে করছেন অনেকেই। তবে এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু করা হয়নি। কবে থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু হবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষজন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

ICDS Centre: মামারবাড়ির পরিবর্তে এবার থেকে অঙ্গনওয়াড়িতে শিশুদের অন্নপ্রাশন! পুরোটা জানলে আপনি…

নদিয়া: মামার বাড়িতে তরিবত করে শিশুদের অন্নপ্রাশনের দিন বুঝি শেষ হতে চলল। কারণ এবার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হবে শিশুদের অন্নপ্রাশন! ব্যাপারটা ঠিক কী? সরকারি নির্দেশে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৭-৯ মাস বয়সী শিশুদের অন্নপ্রাশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের অন্নপ্রাশনের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৭২ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারে সাত মাস থেকে নয় মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে একজনের অন্নপ্রাশন আয়োজন করা হয়। সেই উপলক্ষে প্রদান করা হয় পুষ্টিকর খাবার।

আর‌ও পড়ুন: রাতেও জঞ্জাল পরিষ্কার হবে শহরে! সাড়া ফেলতে চলেছে এই মিউনিসিপ্যালিটি

ঘটা করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের অন্নপ্রাশন আয়োজন করায় যথেষ্ট খুশি অভিভাবকরা। রীতিমত পঞ্চ ব্যঞ্জন রান্না করে পায়েস, মিষ্টি সহযোগে ঠিক মামারবাড়ির মত করে ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করে অন্নপ্রাশন উৎসব পালন করা হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের পাশাপাশি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অন্তর্গত শিশুদের অভিভাবকরা সকলেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এমন অভিনব উদ্যোগ সফল করতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা জয়ন্তী রায় দত্ত যে ভূমিকা রেখেছেন সকলে তার প্রশংসা করেছেন। এই উপলক্ষে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ায় খুশি হয়েছেন সকলে।

মৈনাক দেবনাথ

Children Starving: থালা হাতে খাবারের অপেক্ষায়, এ কী হাল অঙ্গন‌ওয়াড়ির শিশুদের!

পুরুলিয়া: প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকাগুলিতে শিশু ও মায়েদের জন্য করা হয়েছে আইসিডিএস কেন্দ্র। ‌এই কেন্দ্রে মূলত শিশুরা পুষ্টিকর খাবার ও প্রাথমিক শিক্ষা পেয়ে থাকেন। পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের শিরকাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ আদিবাসী অধ্যুষিত একটি গ্রাম পাটটার। এই গ্রামে রয়েছে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ‌কিন্তু এই কেন্দ্রে প্রায় দিনই সঠিক সময়ে আসে না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। ‌ যার ফলে বেশিরভাগ দিনই সমস্যায় পড়তে হয় ছোট ছোট শিশুদের। ‌এই দিনও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এইদিন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল অভিভাবকেরা।

এই গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই দিন সঠিক সময়ে অঙ্গন‌ওয়াড়ি কর্মীরা না আসায় আইসিডিএস কেন্দ্র তালা বন্ধ ছিল। খাবারের অপেক্ষায় থালা হাতে বসে রয়েছেন অভিভাবক সহ বাচ্চারা। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকার দেখা না মেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকেরা। এরপরে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পৌঁছলে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অবিভাবকরা।

আর‌ও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে পাহাড়ি নদী, কাজে যোগ দিতে গিয়ে ভেসে মৃত্যু চা শ্রমিকের

গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই কেন্দ্রে শিশুদের ঠিকমত লেখাপড়া হয় না, অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীদের খেয়াল খুশি মত চলে এই কেন্দ্র। বাচ্চাদের দিয়ে আনানো হয় রান্নার জল। এই বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, তাঁর বাচ্চা অসুস্থ থাকায় সেন্টারে আসতে পারেননি। অন্যান্য দিন সঠিক সময়ে সেন্টার খোলা হয়।

এই বিষয়ে স্থানীয় সিরকাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনজুরুল আনসারি বলেন, আমার কাছে এরকম কোনও খবর নেই। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। এই দিন এই ঘটনার ফলে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অভুক্ত হয়ে ফিরে যেতে হয় শিশুদের।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Nadia News: খোলামেলা রান্না, পড়াশুনা বিহীন তেহট্টের আইসিডিএস সেন্টারে মেলে শুধু মিড ডে মিল!

তেহট্ট: খোলামেলা রান্না ,পড়াশুনা বিহীন  আইসিডিএস সেন্টারে মিড ডে মিল আর কতদিন? সামনেই বর্ষাকাল, দেখুন তেহট্টের এই  অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চেহারা। আছে ক্ষুদে ছাত্র ছাত্রী , আছে মিড ডে মিল ! তবে পঠন পাঠন কিংবা রান্নার জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা। প্রতিবেশী এক বাড়ির ভাঙা মাটির রান্নাঘরেই রান্না হচ্ছে, এবং সেই খাবার দেওয়া হচ্ছে গাছের তলায় যেখানে খোলা আকাশের নিচে পাতা সহ বিভিন্ন পাখির মল মূত্র কিংবা কীটপতঙ্গ পড়তে পারে যখন তখন। সামনেই বর্ষাকাল, আইসিডিএস সেন্টারে পাকাপোক্ত কোন ঘর বাড়ি না থাকার কারণে পড়াশোনার বিষয়ে অলিখিত ছুটি তবে এই অব্যবস্থার মধ্যেই রান্না এবং খাবার খাওয়ানোর বিষয় চালু রয়েছে।

আরও পড়ুন: কল্যাণী আইটিআই লুমিনাস ক্লাবের এ বছরের দুর্গা পুজোর থিম কী জানেন? রয়েছে বিরাট চমক!

ঘটনাটি নদিয়ার তেহট্ট থানার তাবুপাড়ায়। সেখানে ২৫৯ নম্বর আইসিডিএস সেন্টার থাকলেও নেই ঘর বাড়ি প্রতিবেশীর এক বাড়ির খোলামেলা রান্নাঘরে চলছে শিশুদের মিড ডে মিলের ব্যবস্থা। রত্না রায়ের মতন বেশ কিছু অভিভাবক অভিভাবকের অভিযোগ করেন শিশুদের খাদ্য খাবারের বিষয়ে এমনিতেই খুব সচেতন থাকতে হয় কিন্তু এখানে সরকারি ব্যবস্থায় সর্বত্র অসচেতনতা এবং অব্যবস্থা। অবিলম্বে তাদের শিশুদের জন্য উপযুক্ত গৃহ এবং রান্নার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তারা।বেতাই দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিকি বিশ্বাস জানিয়েছেন তারা সাত মাস হল এই পঞ্চায়েত গঠন করেছেন আগের পঞ্চায়েত কেন করেনি তা তার জানা নেই। তবে তিনি অবশ্যই বিষয়টি বিডিওর সঙ্গে আলোচনা ভিত্তিক নিষ্পত্তি করবেন।

আরও পড়ুন: মাত্র ১০ টাকার আম পোড়ার শরবতের লোভেই ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ!

বিধায়ক তাপস সাহা অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এই প্রথম বিষয়টি সম্পর্কে জানলেন, বিডিও অফিসে কর্মদক্ষের মাধ্যমে বিডিওর সঙ্গে আলোচনা ভিত্তিক নিরাপদে শিশুদের পঠন-পাঠন এবং খাবার খাওয়ার বিষয়ে সমাধানের ইঙ্গিত দেন।পার্শ্ববর্তী যে বাড়িতে রান্না হচ্ছে সেই পরিবার প্রধান পিনাকী ভদ্র জানান এই সেন্টারে যিনি রাঁধুনী ছিলেন তিনি অন্য একটি সেন্টারের দিদিমনি হয়ে চলে গেছেন যাওয়ার সময় অন্য একজনকে দিদিমনির দায়িত্ব দিয়ে গেলেও তিনি অনিয়মিত আসেন সেন্টারে তবে রাধুনী হিসেবে যিনি রান্না করছেন তার রান্নার গুণগত মান যথেষ্ট ভালতবে সরকার থেকে যেভাবে রান্নার উপকরণ পান সেভাবে তিনি দায়িত্ব নিয়ে রান্না করেন, বর্ষাকালে তার বাড়ির ঘরে এবং বারান্দায় শিশুরা কোনরকমে ঠাঁই নেয় তবে পড়াশোনা হয় না। অভিভাবক এবং অভিভাবকেরা থাকেন গাছ তলায়। যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের এইরকম দুরবস্থা অভিভাবকেরা কখনই মেনে নেন না তাই তাদের মধ্যেও রয়েছে যথেষ্ট ক্ষোভ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

ICDS Centre: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে হানাবাড়ি বলে ভ্রম হতে পারে! আতঙ্ক নিয়েই চলছে পড়াশোনা

দক্ষিণ দিনাজপুর: এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দেখলে হানাবাড়ি বলে মনে হতে পারে। জীর্ণ কঙ্কাল চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পরিত্যক্ত এই বাড়ির ছাদ থেকে মাঝেমধ্যেই খসে পড়ে চাঙর। এই অবস্থার মধ্যেই চলে শিশুদের পড়াশোনা। পরিস্থিতি এমনই যে যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাতশালা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থা ঠিক এমনই।

এই বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সন্তানদের পাঠাতে ভয় পান অভিভাবকরা। এই প্রসঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা ও শিক্ষিকার দাবি, বারবার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। বালুরঘাট ব্লকের জলঘর পঞ্চায়েতের চকভাতশালার ১৫৯ নম্বর সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্প কেন্দ্র বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থা বেহাল। এখানে ৩০ জনের বেশি পড়ুয়া আছে।

আরও পড়ুন: প্রচন্ড গরমে এই টম্যাটো চাষ করলেই হবে উপরি রোজগার

গ্রামের একমাত্র অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এটি৷ এর দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে যত দিন যাচ্ছে সেই ফাটল তত বেড়ে চলেছে। সেন্টারের উপরের টিনও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বৃষ্টি হলেই জল পড়ে ঘরে। সেদিন অলিখিতভাবে ক্লাস ছুটি হয়ে যায়। দুটি ঘরের একটিতে রান্না ও একটিতে পড়াশোনা করনো হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা জানান, তাঁরা সুপারভাইজার সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বিষয়টি জানিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। স্কুল চত্বরে একটি মার্ক-টু টিউবওয়েল থাকলেও সেটা প্রায় চার বছর হয়ে গেল অকেজো। রান্নার জল গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে আনতে হয়। এমন বেহাল অবস্থার কারণে এখানে দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

ICDS Centre: অঙ্গন‌ওয়াড়ি কেন্দ্র না পার্টি অফিস? খোলা আকাশের নিচেই শিশুদের রান্না

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খোলা আকাশের নিচে রান্না হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। ১৭৫ জন শিশু ও গর্ভবতী মহিলার খাবার প্রতিদিন এভাবেই অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হয়। ঘটনাটি বারুইপুরের। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির বেহাল দশার কথা জানাজানি হতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে আইসিডিএস সেন্টারগুলির বেহাল দশার ছবি। কখনও খাবারের মধ্যে কোন‌ও বিষাক্ত জিনিস পড়ে আছে, আবার কখনও কখনও খারাপ খাবার দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় গন্ডগোলের ছবি উঠে আসে। আর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ফরিদপুর আইসিডিএস সেন্টারের বেহাল ছবি ধরা পরল। এখানে ঢোকার সময় মনে হতেই পারে এটা শাসক দলের দলীয় কার্যালয় বুঝি!

আর‌ও পড়ুন: ভারতীয় ভূখণ্ডে পরাধীনের মত বসবাস! তবু ভোট দেয় গদাইচর

আইসিডিএস সেন্টারের নামের পাশেই জ্বলজ্বল করছে শাসক দলের প্রতীক চিহ্ন। ভিতরে দুটি ঘর রয়েছে। ঘরের মধ্যে পাখা থাকলেও নেই কোন‌ও আলোর ব্যবস্থা। তাই ঘরের ভিতরটা প্রায় অন্ধকার বললেই চলে। তারপর আসা যাক আইসিডিএস সেন্টারের রান্নাঘরে। রান্নাঘরে উনুন আছে, কিন্তু নেই মাথার ছাদ। খোলা আকাশের নিচেই রান্না করতে হয় এখানকার কর্মীদের। ফলে যে কোন‌ও মুহূর্তেই রান্না হওয়ার সময় খাবারের মধ্যে বিষাক্ত কিছু পড়ার সম্ভাবনা আছে।

দীর্ঘ ৬ মাস ধরে এভাবেই খোলা আকাশের নিচে রান্না হচ্ছে। বিষয়টি পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। লোকসভা ভোটের মুখে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এমন বেহাল ও বিপজ্জনক অবস্থা নিয়ে স্বভাবত‌ই আলোচনা শুরু হয়েছে।

সুমন সাহা