Tag Archives: Offbeat destination

Offbeat Travel in North Bengal: উত্তরবঙ্গের এই গ্রামে অচেনা পাখি আর দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের শোভা, নতুন ঠিকানা হোক অফবিট মাইরুং গাঁও

হোমস্টের জানালা খুললেই সুবিশাল হিমালয়ান রেঞ্জ! সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন এই পাহাড়ি গ্রামে।
হোমস্টের জানালা খুললেই সুবিশাল হিমালয়ান রেঞ্জ! সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন এই পাহাড়ি গ্রামে।
নির্জন নিরিবিলিতে রূপের ডালি নিয়ে বসে রয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম মাইরুং গাঁও। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে। একেবারে চোখ জুড়ানো ট্যুরিস্ট স্পট । নেওড়া ভ্যালি ন্যাশানাল পার্ক দিয়ে ঘেরা পাহাড়ি গ্রাম।
নির্জন নিরিবিলিতে রূপের ডালি নিয়ে বসে রয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম মাইরুং গাঁও। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে। একেবারে চোখ জুড়ানো ট্যুরিস্ট স্পট । নেওড়া ভ্যালি ন্যাশানাল পার্ক দিয়ে ঘেরা পাহাড়ি গ্রাম।
যারা পাখির ছবি তুলতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য এই মাইরুং গাঁও একেবারে স্বর্গরাজ্য। হোমস্টের জানালা খুললেই দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙবে ভোরবেলা। জানালা খুলে বাইরে তাকিয়ে দেখুন। মেঘ সরলেই সামনেই হিমালয়ের রেঞ্জ দেখে মন ভাল হয়ে যায় সকলের।
যারা পাখির ছবি তুলতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য এই মাইরুং গাঁও একেবারে স্বর্গরাজ্য। হোমস্টের জানালা খুললেই দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙবে ভোরবেলা। জানালা খুলে বাইরে তাকিয়ে দেখুন। মেঘ সরলেই সামনেই হিমালয়ের রেঞ্জ দেখে মন ভাল হয়ে যায় সকলের।
গ্রামের অনেক ছোট ছোট হোম স্টে রয়েছে। ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে হোমস্টে গুলির সামনে। পাহাড়ি নির্জনতাকে যদি প্রকৃত অর্থেই অনুভব করতে চান তবে মাইরুং গাঁওয়ের কোনও বিকল্প নেই।
গ্রামের অনেক ছোট ছোট হোম স্টে রয়েছে। ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে হোমস্টে গুলির সামনে। পাহাড়ি নির্জনতাকে যদি প্রকৃত অর্থেই অনুভব করতে চান তবে মাইরুং গাঁওয়ের কোনও বিকল্প নেই।
এই গ্রামে তেমন লোকজনের আনাগোনা নেই। তাই এটিকে এখনও ভার্জিন অফবিট ডেস্টিনেশন হিসাবেই মনে করা হয়। মাত্র ৮ কিমি দূরেই আলগারা। আসার পথে চোখে পড়বে ফুটে আছে রডোডেনড্রন। এখান থেকে আপনি আলগারা, ইচ্ছেগাঁও, রামধুরাতেও যেতে পারবেন।
এই গ্রামে তেমন লোকজনের আনাগোনা নেই। তাই এটিকে এখনও ভার্জিন অফবিট ডেস্টিনেশন হিসাবেই মনে করা হয়। মাত্র ৮ কিমি দূরেই আলগারা। আসার পথে চোখে পড়বে ফুটে আছে রডোডেনড্রন। এখান থেকে আপনি আলগারা, ইচ্ছেগাঁও, রামধুরাতেও যেতে পারবেন।
এনজেপি অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে যেতে পারেন মাইরুং গাঁও। না হলে কম পয়সায় বাসে চলে যান কালিম্পং। সেখান থেকে শেয়ার কারে আপনার গন্তব্য মাইরুং গাঁও। (রিপোর্টার-- অনির্বাণ রায়)
এনজেপি অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে যেতে পারেন মাইরুং গাঁও। না হলে কম পয়সায় বাসে চলে যান কালিম্পং। সেখান থেকে শেয়ার কারে আপনার গন্তব্য মাইরুং গাঁও। (রিপোর্টার– অনির্বাণ রায়)

Dooars Offbeat Destination: প্রকৃতির কোলে অল্প খরচে ছুটি কাটাতে চান? আসুন ভুটান পাহাড় ও চাবাগানের মাঝে এই একফালি জায়গায়

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: সরস্বতীপুজো মানেই শীত প্রায় শেষের পথে। শীতের শেষ মরসুমে অস্থির মন পাহাড় যেতে চাইছে? মন খোঁজে নতুন ডেস্টিনেশন। ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে দিন পেরিয়ে যায় কিন্তু ডেস্টিনেশন আর পছন্দ হয় না। তবে আর চিন্তা নয়, আমরা দিচ্ছি আপনার মনপসন্দ ঠিকানা। এখানে গেলেই চোখে পড়বে এক দিকে ডুয়ার্সের জঙ্গল অন্যদিকে ভুটান পাহাড়।একঘেয়েমি কাটাতে ঘুরে আসুন ‘লাল ঝামেলা’ বস্তি থেকে।

নাম শুনে ঘাবড়াবেন না। একবার যদি সমস্ত দ্বিধা কাটিয়ে চলে আসেন তাহলে আর ফিরে যেতে চাইবেন না! এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন ভাল হবেই। এই বস্তির সঙ্গে কোনও মিল নেই মহানগরীর কোনও ঘিঞ্জি বস্তির। নেই কোনও “ঝামেলাও”। একদিকে সবুজ চা বাগান আর একদিকে যত দূর চোখ যায় ভুটান পাহাড়। ভারত ভুটানের সীমান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডায়না নদী। সকালে নদীর কলকল শব্দে আর ভুটান থেকে ভেসে আসা ঘন্টাধ্বনিতেই ঘুম ভাঙে এখানকার পর্যটকদের।

আরও পড়ুন : বিউটি পার্লার থেকে প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক কনে! হতাশ বরকে নিয়ে বিয়ের আসর থেকে খালি হাতে ফিরলেন বরযাত্রীরা

এবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই বস্তির নাম লাল ঝামেলা বস্তি। সত্যি কি এখানে কোনও ঝামেলা হয়? না, এ সবের কোনও বালাই নেই। শোনা যায়, চা বাগানের দুই আদিবাসী শ্রমিক নেতা লাল শুকরা ওঁরাও এবং ঝামেলা সিং-এর নাম থেকেই বস্তির নাম লাল ঝামেলা বস্তি। প্রায় ৫০০ পরিবারের বসবাস এখানে। এলাকায় পৌঁছনো মাত্রই স্থানীয় এলাকাবাসীই আপনাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাবেন টুরিস্ট স্পটে। তাহলে, এ বার শীত শেষ হওয়ার আগে চলেই আসুন এই বস্তিতে।

Offbeat Travel Destination: জানালা খুললেই হিমালয়! মেঘপিওনের চিঠি পেতে কম খরচে আসুন বনপাহাড়ের এই গ্রামে

বুক ভরে নিশ্বাস নিতে আর অপার শান্তি পেতে সকলের মন যেন মুখিয়ে থাকে। আপনার বেড়ানোর তালিকায় তাহলে রাখতে পারেন কোলাখাম।
বুক ভরে নিশ্বাস নিতে আর অপার শান্তি পেতে সকলের মন যেন মুখিয়ে থাকে। আপনার বেড়ানোর তালিকায় তাহলে রাখতে পারেন কোলাখাম।
পাহাড়ের নির্জনতায় এক অপূর্ব গ্রাম। মনের শান্তি প্রাণের আরাম। পাহাড় বলতে যা কিছু চান, সবটা আছে এখানে।
পাহাড়ের নির্জনতায় এক অপূর্ব গ্রাম। মনের শান্তি প্রাণের আরাম। পাহাড় বলতে যা কিছু চান, সবটা আছে এখানে।
এনজেপি থেকে কোলাখামের দূরত্ব প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। এনজেপি থেকে টানা গাড়িতে চলে যেতে পারেন কোলাখাম। যাওয়ার পথে যা দেখবেন সেটাও সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।
এনজেপি থেকে কোলাখামের দূরত্ব প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। এনজেপি থেকে টানা গাড়িতে চলে যেতে পারেন কোলাখাম। যাওয়ার পথে যা দেখবেন সেটাও সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।
কোলাখাম যখন যাবেন তার প্রধান আকর্ষণ হল ছাঙ্গে জলপ্রপাত। সেটা দেখতে কিন্তু একেবারেই ভুলবেন না।
কোলাখাম যখন যাবেন তার প্রধান আকর্ষণ হল ছাঙ্গে জলপ্রপাত। সেটা দেখতে কিন্তু একেবারেই ভুলবেন না।
নেওরাভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের এলাকায় কোলাখাম। এই রাস্তা দিয়েই অনেকে ট্রেকিং করেন। কাজেই আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন তাহলে তো কথাই নেই।
নেওরাভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের এলাকায় কোলাখাম। এই রাস্তা দিয়েই অনেকে ট্রেকিং করেন। কাজেই আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন তাহলে তো কথাই নেই।
কোলাখামে ১৫টার মতো হোমস্টে আছে। ভাড়া ৪ সজ্জার ঘর ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। সারাদিন রাত এর খাবার খরচ ৫০০ টাকা জন প্রতি দিন প্রতি।
কোলাখামে ১৫টার মতো হোমস্টে আছে। ভাড়া ৪ সজ্জার ঘর ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। সারাদিন রাত এর খাবার খরচ ৫০০ টাকা জন প্রতি দিন প্রতি।

Dooars Offbeat Destination: পাহাড়, ঝরনা, চাবাগানে ঘেরা ডুয়ার্সের এই জায়গা কম খরচে বেড়ানোর সেরা ঠিকানা

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি : নতুন বছর পড়তেই শীত তো জাঁকিয়ে পড়েছে উত্তরে। বেশ কিছু দিন ধরেই বইছে বেশ কনকনে ঠান্ডা বাতাস, চারদিক ঢেকেছে ঘন সাদা কুয়াশায়। শীতের থাবায় কাবু সকলেই। তবে এই শীতে পাহাড় কিংবা ডুয়ার্স ঘুরতে যেতে মন টানে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এদিকে পকেটের খরচের কথাও মাথায় রাখতে হয় বেশির ভাগ মধ্যবিত্তেরই।

কিন্তু আর চিন্তা নয়, সস্তায় ডুয়ার্স ভ্রমণের জন্য রইল সেরা এক ঠিকানা। কম খরচায় ডুয়ার্স বেড়াতে হলে চলে আসুন এই জায়গায়। নাম তার চেল। পাহাড়ি ঝরনা থেকে শুরু করে পাহাড়ি নদীর তীরে বসে শীতকালের মিঠে রোদ পোহানো সঙ্গে অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মেলবন্ধনের মধ্যে খানিক সময় কাটালে মন ভাল হবেই।

এ বার ভাবছেন কোথায় এই জায়গা? কীভাবেই বা যাবেন? তা হলে জানুন, মালবাজার স্টেশন থেকেই প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেই চলে যেতে পারবেন এই নতুন পর্যটনকেন্দ্র আম্বেক চা বাগানে। গেলে একেবারেই হতাশ হবেন না। এই সবুজ চাবাগানের মধ্য দিয়েই গেলেই পৌঁছে যাবেন ডুয়ার্সের গরুবাথানে।

আরও পড়ুন : শুধু এই সামান্য কাজ! শীতেও সতেজ হয়ে উঠবে আপনার শুকিয়ে যাওয়া তুলসিগাছ

আম্বেক চা বাগানের কিছু দূরে রয়েছে আরও একটি নতুন পর্যটন কেন্দ্র চেল। আই লাভ চেল লেখা ফলকের সামনে ছবি, রিলস তুলতে দেখা যায় দূর থেকে আসা পর্যটকদেরও। শুধুই যে ঘোরার জন্য এই গন্তব্য তা নয়, এই নতুন জায়গাগুলিতে রয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য সুব্যবস্থাও। থাকা-খাওয়া নিয়ে খরচ একদম সাধ্যের মধ্যেই।

Weekend Trip: শীতের নরম রোদে ইতিহাসের আমেজ! কম খরচে ঘুরে আসুন মালদহের কাছেই বাংলার প্রাচীন রাজধানী গৌড় থেকে

হরষিত সিংহ, মালদহ: শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রাচীন বাংলার রাজধানী। মালদহ শহর থেকে খুব কাছে প্রাচীন এই নিদর্শন। হাতে মাত্র একদিন সময় নিয়েই ঘুরে আসুন। শুধুমাত্র জেনে নিন যোগাযোগ ব্যবস্থা আর কীভাবে ঘুরবেন। মালদহ টাউন স্টেশন থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের এই ধ্বংসাবেশ রয়েছে। মালদহ শহর থেকে ছোট গাড়ি বা টোটো, অটো করেও ঘোরা সম্ভব গৌড়। অটো বা টোটো বা ছোট গাড়ি করে গেলেই গৌড়ের সমস্ত বিশেষ জায়গায় গুলি ঘোরা যাবে।

এই গৌড়ে রয়েছে রামকেলি। যেখানে বৈষ্ণব ধর্মের বহু নিদর্শন রয়েছে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পদচিহ্ন পর্যন্ত রয়েছে এই রামকেলি ধামে। এর পরই গৌড়ের একের পর এক একাধিক নিদর্শন রয়েছে যেগুলি আপনি দেখতে পারবেন। গৌড়ের চারদিক আমবাগানে ঘেরা মনোরম পরিবেশ। শীতের এই আবহাওয়ায় ঘুরতে পর্যটকদের কোন সমস্যায় হবে না গৌড়ের বিভিন্ন প্রান্ত। ইতিহাসবিদ এম আতাউল্লাহ বলেন, ” মালদহের পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম এই গৌড়। পর্যটকরা এখানে এলে ইতিহাস জানতে পারবেন, মনোরম পরিবেশে ঘুরতে পারবেন।”

শশাঙ্কের হাতে প্রতিষ্ঠিত গৌড় দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে বাংলার রাজধানী ছিল। চার শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একাধিক রাজবংশ শাসন করেছেন।বর্তমানে এটি বাংলার ইসলামিক আমলের দর্শনীয় ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অন্যতম। ইতিহাস এবং তার সঙ্গে স্থাপত্যকলা মিলে মিশে রয়েছে এই প্রাচীন শহর গৌড়ে।

গৌড় এক সময় মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। অষ্টম শতাব্দী থেকে একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত, বাংলার পাল রাজবংশের শাসনের অধীনে ছিল। বাংলার বৌদ্ধ জীবনযাত্রার অনুসরণে এই শহরের ব্যাপক উত্থান হয়েছিল সেই সময়। পাল রাজাদের শাসনের পরে সেন রাজবংশের শাসন ঘটে, যা মুঘল এবং আফগানরা দ্বাদশ শতাব্দীতে দখল করে।

আরও পড়ুন : কোলেস্টেরলের সমস্যায় ডিম খাওয়া যায়? ডিম খেলে কি কোলেস্টেরল বেড়ে যায়? জানুন পুষ্টিবিদের মত

গৌড় খিলজি বংশ, মামলুক সলতানত, বলবান রাজবংশ এবং তুঘলক সলতানতের রাজধানী শহর ছিল। প্রাচীন এই শহরের বহু ধ্বংসাবেশ বর্তমানে এখনো রয়ে গেছে, বর্তমান মালদহের মহদীপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। ইতিহাসের বহু সাক্ষী এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে এখানে। যা দেখতে পর্যটকেরা এখনো ভিড় করেন গৌড়ে।

Offbeat Destination: কম খরচে শীতের ছুটি কাটান পরিযায়ী পাখিদের সঙ্গে! জেনে নিন বেড়ানোর সেই ঠিকানা

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলাতে অনেকেই আসেন  ইতিহাসের সন্ধানে ।কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলার এক জলাশয় রয়েছে সেখানে গেলেই দেখা মিলবে পরিযায়ী পাখির। শীতের মরশুমে এই পরিযায়ী পাখির দল আসছে হাজারে হাজারে। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী মুনিগ্রামে ছাইপুকুরে জলাশয়ে অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে দেখা যাচ্ছে হাজারো পরিযায়ী পাখিকে। সাগরদিঘী মুনিগ্রামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র লাগোয়া এই জলাশয়ে বিগত তিনবছর ধরে তারা আসছে। মুনিগ্রামে জলাধার পাশেই এই পরিযায়ী পাখী দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা। শীতের আমেজে ভিন দেশ ও ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী পাখির আগমন হয়েছে সাগরদিঘীতে। বিভিন্ন রকমের পাখি চোখে পড়ছে গ্রামবাসীদের।

আরও পড়ুন : শীতকাল মানেই রুটি বেগুনপোড়া? এই খাবার রোজ খেলে কী হয়, জানেন!

স্থানীয়দের দাবি, কয়েক বছর হল এই পরিযায়ী পাখি দেখা যাচ্ছে এই এলাকার জলাশয়ে। তবে পর্যটকদের ভিড় হলেও চোরাশিকারিদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। পরিযায়ী পাখিদের সুরক্ষিত জন্য কাউকে ঢিল ছুড়তে দেওয়া হয় না। এবং বনদফতর উদ্যোগে অস্থায়ী ভাবে পাহারা বসানো হয়েছে ।

মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘিতে এই পরিযায়ী পাখি দেখতে ও শীতের আমেজ কাটাতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। তবে পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ দাবি জানিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। বনদফতর কাছে আবেদন জানিয়েছেন এই পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ জন্য। যদিও শীতের আমেজে পরিযায়ী পাখির আগমনে সাগরদিঘী মুনিগ্রামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র লাগোয়া এই জলাশয়ে পরিযায়ী পাখির ভিড় একে অনন্য পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলেছে।

Offbeat Destination: পটে আঁকা শান্ত নদীর পাশেই প্রাচীন মন্দির, শীতের ছুটিতে স্বল্প খরচে ঘুরে যান ঘরের কাছে এই গ্রাম থেকে

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: শীতকাল মানেই ঘুরতে যাওয়া। খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে পছন্দের জায়গায় কিছু ছবি তোলা। কাজের বাইরে মানসিক শান্তির জন্য অফবিট ডেস্টিনেশন খুঁজে বেড়ান প্রত্যেকেই। তবে একদম হাতের কাছেই রয়েছে সুন্দর মনোরম জায়গা। পাশেই প্রবাহিত হয়েছে শান্ত নদী, প্রাচীনতার ছাপকে এখনওবয়ে নিয়ে চলেছে পাশে থাকা একাধিক মন্দির। শীতের ছুটিতেই নয়া ডেস্টিনেশন হোক বিপ্লবের মাটি মেদিনীপুরের এই জায়গা। প্রকৃতির টানে প্রাচীন মন্দির দর্শন করতে অনেকেই ছুটে যান জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া। যদিও মন্দিরের জেলা বলা হয় বাঁকুড়াকে। কিন্তু জঙ্গলমহলের মেদিনীপুর জেলাতেও রয়েছে বহু প্রাচীন মন্দির।

বিক্ষিপ্ত নয়, একই সঙ্গেপাশাপাশি অবস্থান বহু মন্দিরের। কলকাতা থেকে খুব কাছে রয়েছে মন্দির গ্রাম। মেদিনীপুর জেলা শহর থেকে অনতি দূরে নদীর পাড়ে রয়েছে মন্দিরময় পাথরা গ্রাম। প্রাচীন সময়ের একাধিক মন্দির এই গ্রামে রয়েছে বলে গ্রামটিকে বলা হয় মন্দিরময় গ্রাম। শীতের ছুটিতেই সকলে বেড়াতে পছন্দ করেন। কেউ কেউ পছন্দ করেন নদী, সাগর। কেউ আবার প্রাচীন কোনও ইতিহাসের নিদর্শন দেখতে ভালবাসেন। তবে এই গ্রামে এলে মুগ্ধ হবেন আপনিও।

গ্রামের মধ্যেই রয়েছে একাধিক কারুকার্যমন্ডিত মন্দির। মন্দিরে পুজো না হলেও মন্দিরের কারুকার্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব নজর কাড়ে ভ্রমণপিপাসুদের। একাধিক মন্দিরে রয়েছে টেরাকোটার নানা শিল্পের কাজ। মন্দিরের দেওয়ালে খোদিত করা আছে নানা দেবদেবীর মূর্তিও।

আরও পড়ুন : ‘এক্সট্রা’ থেকে হলেন ‘সেনসেশন’! ‘জামাল কুদু’ রাতারাতি পাল্টে দিল এই বিদেশিনীর জীবন

মেদিনীপুর শহরের অনতিদূরে ইতিহাসের উপাদানে ভরপুর পাথরা গ্রাম, আজ আর ততটা অপরিচিত নয়। ছোট্ট গ্রামের মধ্যে একাধিক মন্দিরের অবস্থান এই গ্রামকে পরিচিতি এনে দিয়েছে। মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার গেলে কাঁসাই নদীর তীরে ছোট সুন্দর গ্রাম পাথরা। মন্দিরের কারুকার্য ও গ্রামের ইতিহাস শোভিত করবে আপনার মনকে। জানতে পারবেন ইতিহাসের নানা কাহিনী।

কাঁসাই নদীর ধারে নির্জন পরিবেশে এক মন্দিরনগরী, চারপাশে ফুলের বাগান, পর্যটকদের জন্য আবাস প্রভৃতি নিয়ে এক পর্যটনস্থলের নয়া ডেস্টিনেশন এই পাথরা। তাই শীতের ছুটিতে দেরি না করে একবারের জন্য ঘুরে আসুন মন্দিরময় এই গ্রাম থেকে। বাড়ির বড় এবং ছোটদের জন্য ঘোরার অন্যতম ডেস্টিনেশন এই গ্রাম।

Offbeat Destination: বছর শেষের ছুটির দিনগুলিতে গন্তব্য হোক রায়চক ফোর্ট 

বছর শেষের দিনগুলিতে আপনার গন্তব্য হোক রায়চক ফোর্ট। ফোর্টের ভিতরে ঘুরলে দেখতে পাবেন ইতিহাসের দলিল। ১৭৮৩ সালে জলদস্যুদের প্রবেশ রুখতে গঙ্গার ধারে তৈরি হয়েছিল এই দুর্গ।
বছর শেষের দিনগুলিতে আপনার গন্তব্য হোক রায়চক ফোর্ট। ফোর্টের ভিতরে ঘুরলে দেখতে পাবেন ইতিহাসের দলিল। ১৭৮৩ সালে জলদস্যুদের প্রবেশ রুখতে গঙ্গার ধারে তৈরি হয়েছিল এই দুর্গ।
ব্রিটিশ জেনারেল রেজিনাল্ড ওয়াটসন তাঁর পরিবার নিয়ে থাকতেন এখানে। স্বাধীনতার পরবর্তীকলে পুরোটাই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। এখন সেখানে গড়ে উঠেছে বিলাসবহুল হোটেল।
ব্রিটিশ জেনারেল রেজিনাল্ড ওয়াটসন তাঁর পরিবার নিয়ে থাকতেন এখানে। স্বাধীনতার পরবর্তীকলে পুরোটাই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। এখন সেখানে গড়ে উঠেছে বিলাসবহুল হোটেল।
কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে রায়চক। ডায়মণ্ড হারবারের ছোট একটি জনপদ এই রায়চক। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ৫৫ কিলোমিটার। এখানকার অন্যতম পরিচিতি হল দুর্গের আদলে তৈরি পাঁচতারা হোটেল।
কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে রায়চক। ডায়মণ্ড হারবারের ছোট একটি জনপদ এই রায়চক। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ৫৫ কিলোমিটার। এখানকার অন্যতম পরিচিতি হল দুর্গের আদলে তৈরি পাঁচতারা হোটেল।
বছরের প্রায় সবসময়েই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে এখানে। এখানে হুগলী নদীর পাড়ে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে সারাদিন কাটাতে পারেন আপনি। অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ হলে লঞ্চে করে নদীর বুকে ঘুরতে পারবেন আপনি।
বছরের প্রায় সবসময়েই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে এখানে। এখানে হুগলী নদীর পাড়ে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে সারাদিন কাটাতে পারবেন আপনি।অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ হলে লঞ্চে করে নদীর বুকে ঘুরতে পারবেন আপনি।
রায়চকে দু-একদিনের জন্য থাকতেও পারেন। এখানে একাধিক হোটেল রয়েছে। তবে অল্প খরচে রাত্রিবাসের জন্য হোটেল চাইলে ডায়মন্ড হারবারে চলে যেতে পারেন।
রায়চকে দু-একদিনের জন্য থাকতেও পারেন। এখানে একাধিক হোটেল রয়েছে। তবে অল্প খরচে রাত্রিবাসের জন্য হোটেল চাইলে ডায়মন্ড হারবারে চলে যেতে পারেন।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার স্টেশনে নেমে অটো বা কোনও গাড়ি ধরে রায়চক পৌঁছাতে পারবেন আপনি। ধর্মতলা থেকে রায়চকগামী বাসেও উঠতে পারেন আপনি। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের ঘুরে আসুন রায়চক।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার স্টেশনে নেমে অটো বা কোনও গাড়ি ধরে রায়চক পৌঁছাতে পারবেন। ধর্মতলা থেকে রায়চকগামী বাসেও উঠতে পারেন আপনি। তাহলে আর অপেক্ষা কীসের, ঘুরে আসুন রায়চক।

Travel Destinations: বড়দিনের ছুটিতে নিরিবিলিতে ‘সবুজের কোলে’! কম খরচে ঘুরে আসুন অফবিট ‘এই’ জায়গা থেকে

দার্জিলিং: উত্তরবঙ্গের যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে শান্তির খোঁজে পর্যটকরা ভিড় করেন, বিজনবাড়ি হল তাদের মধ্যেই অন্যতম।
দার্জিলিং: উত্তরবঙ্গের যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে শান্তির খোঁজে পর্যটকরা ভিড় করেন, বিজনবাড়ি হল তাদের মধ্যেই অন্যতম।
পাহাড়ে ঘেরা সবুজে সাজানো অসাধারণ এই জায়গায় দিন কয়েকের অবসরযাপন জীবনভর এক স্বর্ণালী স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে।
পাহাড়ে ঘেরা সবুজে সাজানো অসাধারণ এই জায়গায় দিন কয়েকের অবসরযাপন জীবনভর এক স্বর্ণালী স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে।
ভোর হওয়া মাত্রই শুরু হয়ে যায় পাখিদের কলতান। হোমস্টের বারান্দাতে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে দেখতে পাবেন খরস্রোতা রঙ্গিতের বয়ে চলা।
ভোর হওয়া মাত্রই শুরু হয়ে যায় পাখিদের কলতান। হোমস্টের বারান্দাতে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে দেখতে পাবেন খরস্রোতা রঙ্গিতের বয়ে চলা।
সবজির পাশাপাশি কমলালেবু ও আনারসেরও চাষ হয় এখানে। এছাড়াও এলাকাজুড়ে রয়েছে রং-বেরঙের নানা পাহাড়ি ফুল। যা শোভা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
সবজির পাশাপাশি কমলালেবু ও আনারসেরও চাষ হয় এখানে। এছাড়াও এলাকাজুড়ে রয়েছে রং-বেরঙের নানা পাহাড়ি ফুল। যা শোভা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ট্রেনে করে চলে আসুন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ি বুক করে সরাসরি চলে আসুন বিজনবাড়ি। তার পর পায়ে হেঁটে চলে যান হোম স্টে-তে।
ট্রেনে করে চলে আসুন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ি বুক করে সরাসরি চলে আসুন বিজনবাড়ি। তার পর পায়ে হেঁটে চলে যান হোম স্টে-তে।
দার্জিলিংয়ের অফবিট পর্যটনস্থান এই বিজনবাড়ি। ফলে খরচটা অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু দিন প্রতি ২ হাজার টাকা খরচ পড়তে পারে।
দার্জিলিংয়ের অফবিট পর্যটন স্থান এই বিজনবাড়ি। ফলে খরচটা অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু দিন প্রতি ২ হাজার টাকা খরচ পড়তে পারে।

Offbeat Destination: বন্য জন্তু দর্শনের পাশাপাশি বাউলগান-ছৌনাচ! অল্প খরচে বেড়ান এই অফবিট ঠিকানায়

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া : একঘেয়ে বেড়ানোর ঠিকানা বদলে অনেকেই অফবিট ডেস্টিনেশনের সন্ধানে থাকেন। অফবিট ও অ্যাডভেঞ্চার টুরিজমের তালিকায় অনেকের কাছেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড় ছুঁয়ে থাকা খয়রাবেড়া পর্যটন কেন্দ্র। এটা এখন আর অযোধ্যা পাহাড়ের সাইট সিয়িং নয়। এই কেন্দ্র এখন আক্ষরিক অর্থেই একটি টুরিস্ট স্পট। ফলে অন্যরকম পর্যটনের স্বাদ নিতে পর্যটকেদের ভিড় জমাতে দেখা যায় এই জায়গায়।

এখানে রয়েছে পায়ে পায়ে অ্যাডভেঞ্চার। লম্বা টানা অযোধ্যা পাহাড় রেঞ্জে ঘন সবুজ অরণ্য। সেই সঙ্গে নীল জলরাশি। আর তার চারপাশ জুড়েই ঘন জঙ্গল। চোখের সামনে এমন ল্যান্ডস্কেপ ভেসে উঠলে যে কেউ যেতে চাইবেন। তাই রীতিমতো অফবিট টুরিজমের আমেজ উপভোগ করছেন পর্যটকরা।

অফবিট টুরিজমের পাশাপাশি খয়রাবেড়ায় বাড়তি পাওনা বাউলগান। সন্ধ্যা নামলেই খয়রাবেড়া লেকের পাশ থেকে ভেসে আসে বাউল গান। এই খয়রাবেড়ার পাশেই বুড়দা গ্রামের বাসিন্দা তথা গাইড মিঠুন সিং মুড়ার বাড়ি। তিনি গাইডের পাশাপাশি পর্যটকদের বাউল গান শোনান। ট্রেকিং-এর পথ বাতলে দিয়ে পর্যটকদের সঙ্গীও হন। দিনভর সাইট সিয়িং করে এসে বাউল আর বাঁশির সুরে রিসর্ট-এ বসেই পুরুলিয়ার লোকশিল্পেও ডুবে দিতে পারেন পর্যটকেরা।

আরও পড়ুন : রাখী গুলজার ফের বাংলা ছবিতে, পরিচালনায় শিবপ্রসাদ-নন্দিতা

খয়রাবেড়া রিসর্টে থাকছে ছৌ নাচ দেখারও সুযোগ। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দেখা মিলতে পারে চিতল হরিণ, গোল্ডেন জ্যাকেল,খরগোশের। আর ট্রেকিং পথে বন্য শূকর, হায়না, এমনকি বুনো হাতিরও মুখোমুখি হয়ে যেতে পারেন। এই লেকে বোটিং করারও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও ফিশিং , বাস্কেটবল , ভলিবল , ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ রয়েছে খয়রাবেড়ার রিসর্ট-এ। শহরের কোলাহল থেকে নিরিবিলিতে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম সেরা ঠিকানা হতেই পারে এই খয়রাবেড়া।‌