Tag Archives: Pond

Miracle Pond For Couple Love: দূর-দূরান্ত থেকে আজও নবদম্পতি ছুটে আসেন এই মিরাকেল পুকুরে, ডুব দিলেই দাম্পত্য প্রেম হবে অক্ষয়

 দূর দূরান্ত থেকে নব দম্পতিরা এই মন্দিরে এসে বিয়ের টোপর সহ বিভিন্ন সামগ্রীর পুজো দেন। তারপর মন্দিরের পাশে পুকুরে সেগুলি বিসর্জন দিয়ে স্নান করেন। কথিত আছে এই দেবকুন্ড মন্দিরে এই নিয়মে পুজো করে স্নান করলে নাকি দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। Photo- Representative 
দূর দূরান্ত থেকে নব দম্পতিরা এই মন্দিরে এসে বিয়ের টোপর সহ বিভিন্ন সামগ্রীর পুজো দেন। তারপর মন্দিরের পাশে পুকুরে সেগুলি বিসর্জন দিয়ে স্নান করেন। কথিত আছে এই দেবকুন্ড মন্দিরে এই নিয়মে পুজো করে স্নান করলে নাকি দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। Photo- Representative
কারণ এই দেবকুন্ড মন্দিরের সঙ্গে জড়িত মসনামঙ্গল কাব্য। বর্তমান দেবকুন্ড মন্দির প্রাঙ্গণেই নাকি দেবতারা লখিন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এখান থেকেই বেহুলা তাঁর স্বামী লখিন্দরকে জীবিত করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই এই দেবকুন্ড মন্দির তৈরি হয়। প্রতিবছর জৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় এখানে পুজো হয়। পুজো উপলক্ষে এখানে বিশাল মেলা বসে এখন।
কারণ এই দেবকুন্ড মন্দিরের সঙ্গে জড়িত মসনামঙ্গল কাব্য। বর্তমান দেবকুন্ড মন্দির প্রাঙ্গণেই নাকি দেবতারা লখিন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এখান থেকেই বেহুলা তাঁর স্বামী লখিন্দরকে জীবিত করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই এই দেবকুন্ড মন্দির তৈরি হয়। প্রতিবছর জৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় এখানে পুজো হয়। পুজো উপলক্ষে এখানে বিশাল মেলা বসে এখন।
পুর্ণার্থী অপরাজিতা দাস বলেন, বিয়ের পর এখানে সকলেই মুকুট মালা বিসর্জন করে স্নান করে। এই দেবকুন্ডু পুকুরে স্নান করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। বহু মানুষ এখানে আসেন। মনসামঙ্গল কাব্যে এই পুকুরের উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে এই জায়গাটি পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরে। এই নারায়ণপুর গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বেহুলা নদী।  Photo- Representative
পুর্ণার্থী অপরাজিতা দাস বলেন, বিয়ের পর এখানে সকলেই মুকুট মালা বিসর্জন করে স্নান করে। এই দেবকুন্ডু পুকুরে স্নান করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। বহু মানুষ এখানে আসেন। মনসামঙ্গল কাব্যে এই পুকুরের উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে এই জায়গাটি পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরে। এই নারায়ণপুর গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বেহুলা নদী।  Photo- Representative
কথিত আছে এই নদীর উপর দিয়েই বেহুলা তাঁর স্বামী লখিন্দরের দেহ কলার ভেলায় করে নিয়ে গিয়েছিলেন।বর্তমানে দেবকুন্ড মন্দিরটি বিএসএফ ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থিত। তাই বছরের অনান্য সময়ে এই মন্দিরে কেউ প্রবেশ করতে পারেনা। বছরের এই একটি নির্দিষ্ট সময়েই মন্দির খোলা হয়। Photo Courtesy- Debashish's Collections/ Facebook 
কথিত আছে এই নদীর উপর দিয়েই বেহুলা তাঁর স্বামী লখিন্দরের দেহ কলার ভেলায় করে নিয়ে গিয়েছিলেন।বর্তমানে দেবকুন্ড মন্দিরটি বিএসএফ ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থিত। তাই বছরের অনান্য সময়ে এই মন্দিরে কেউ প্রবেশ করতে পারেনা। বছরের এই একটি নির্দিষ্ট সময়েই মন্দির খোলা হয়। Photo Courtesy- Debashish’s Collections/ Facebook
সেই সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে সমস্ত বাধা তুলে দেওয়া হয়। এইদিন সকলেই অবাধে ক্যাম্পের ভিতরে মন্দির ও মেলা দর্শনে যেতে পারেন। মন্দিরের সেবায়েত অম্বর কুমার খাঁ বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এই মন্দিরে ও পুকুরের স্নান করার ভিড়।
সেই সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে সমস্ত বাধা তুলে দেওয়া হয়। এইদিন সকলেই অবাধে ক্যাম্পের ভিতরে মন্দির ও মেলা দর্শনে যেতে পারেন। মন্দিরের সেবায়েত অম্বর কুমার খাঁ বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এই মন্দিরে ও পুকুরের স্নান করার ভিড়।
মূলত এখানে রাজবংশী ও পোলিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা আসেন। মনসামঙ্গল কাব্যে এই পুকুরের উল্লেখ রয়েছে। মানুষের বিশ্বাস এখানে স্নান করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। Photo- Representative Input- Harshit Singha
মূলত এখানে রাজবংশী ও পোলিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা আসেন। মনসামঙ্গল কাব্যে এই পুকুরের উল্লেখ রয়েছে। মানুষের বিশ্বাস এখানে স্নান করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। Photo- Representative Input- Harshit Singha

Youth Death: ভোটের ছুটিতে দেদার আনন্দ, বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে নেমে তলিয়ে গেল যুবক

হাওড়া: বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে স্নান করতে যাওয়াই কাল হল। সোমবার জেলার মানুষ যখন ব্যস্ত ভোট উৎসবে, ঠিক সেই সময় নিঃশব্দে ঝরে গেল একটা তরতাজা প্রাণ। সুদীপ্ত নস্করের বয়স ২০ বছর হলেও ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এদিকে সোমবার ভোটগ্রহণ ঘিরে গোটা হাওড়া জেলায় ছুটি ছিল। তাই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল সুদীপ্ত। তারপর আর বাড়ি আসেনি সে। দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হয় এই যুবকের।

ঘটনাটি ঘটেছে পাঁচলার গঙ্গাধরপুর পানিহিজলি সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে , মৃত ওই যুবকের বাড়ি সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত ধুলাগোড় গ্রামে। বাড়ি থেকে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার দূরত্বে এই পুকুরে এদিন কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে স্নান করতে এসেছিল সুদীপ্ত। ফাঁকা জলাভূমির মাঝে বিশাল আকারের পুকুরটি গত কয়েক বছর আগে খনন করা হয়েছিল। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর ওই পুকুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমেছিল ওই যুবক। কিন্তু সে সাঁতার জানত না। তাই হঠাৎ তলিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: জল পান করতে এসেও শুকনো গলায় ফিরতে হচ্ছে হাতির দলকে, পরিচিত দৃশ্য দেখতে না পেয়ে হতাশ পর্যটকরা

এলাকার মানুষের থেকে খবর পেয়ে দুপুর ১ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছয়। এরপর ওই গভীর পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় সুদীপ্তর দেহ। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পাঁচলা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি উলুবেড়িয়ায় পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা।

রাকেশ মাইতি

Bangla Video: টাইম কল থাকলেও এই গ্রামের মানুষ পরম তৃপ্তিতে পুকুরের জল পান করে!

বাঁকুড়া: রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় পানীয় জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। তবে জানেন কি বাঁকুড়ার একটি গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে কল থাকলেও অধিকাংশই সেই জল ব্যবহারই করেন না! কি, অবাক হচ্ছেন তাই তো? বাঁকুড়া শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রোডের উপরে অবস্থিত বেলবনি গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে ঠাকুরপুকুর। এই পুকুরের জলই পান করেন বেলবনি ছাড়াও সংলগ্ন একাধিক গ্রাম।

সকাল ছয়টা থেকে জল নিতে বড় বড় প্লাস্টিকের জার, হাঁড়ি, কলসি এবং বোতল নিয়ে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। কেউ কেউ আবার পুকুর থেকেই জল তুলে পান করেন এক নিমেষে। গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, ঠাকুর পুকুরের জলে রান্না খুব ভাল হয় এবং দীর্ঘ দিন ধরে এই জল পান করেও কেউ অসুস্থ হননি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। মূলত পূর্ব পুরুষের আমল থেকেই চলে আসছে এই রীতি। এই পুকুরে কাপড় কাচা, বাসন মাজা কিংবা স্নান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র পানীয় জলের জন্যই ব্যাবহার করা হয় এই পুকুর।

আরও পড়ুন: অভিজিতের সমর্থনে প্রচারে আসছেন মোদি, তমলুকে ঝড় তুলতে চায় বিজেপি

বেলবনি গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন বাড়িতে বাড়িতে লাগানো রয়েছে জলের কল। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, সেই জল তারা পান না করে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। নিজেদের সুবিধা মত পুকুরের জল এবং কলের জল ব্যাবহার করেই কাজ চালাচ্ছেন বেলবনির মানুষ। গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমন্ত দেব বলেন, এই পুকুরে কাউকে নামতেই দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র পান করার জলের জন্য আমরা এই পুকুরকে ব্যবহার করি। বেলবনির বাসিন্দা যারা দিল্লি কিংবা মুম্বইতে রয়েছেন তাঁরাও বাড়ি এলে এই জল নিয়ে যান সঙ্গে করে।

বেলবনি গ্রামের গৃহবধূ সাগরি মাঝি রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকেন পুকুরের জল। যদিও তার বাড়িতে লাগানো রয়েছে দু-দুটি কল। সাগরি মাঝি বলেন, বাড়িতে কল লাগানো থাকলেও আমরা পুকুরের জল পান করি এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করি। কেউ কোনদিন অসুস্থ হননি। এই জলে খুব ভাল রান্না হয়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Two Teenage Girls Death: বড়দের ছাড়াই একসঙ্গে পুকুরের স্নান করতে গিয়েছিল, ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই কিশোরীর…

কোচবিহার: আচমকাই পুকুরে ডুবে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। আকস্মিক এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ঘুঘুমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গাঙ্গালের কুঠিতে। পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় ওই দুই কিশোরী। স্থানীয়রা দ্রুত দুজনকে উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই কিশোরীর একজনের নাম মৌসুমী পারভিন (১২)। অপরজনের নাম নুর বানু (৯)। এদিন দুপুরে দুজনে একসঙ্গে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। আচমকাই জলে ডুবে যায় তারা। স্থানীয়রা তৎপরতার সঙ্গে দুজনকে উদ্ধার করেন জল থেকে। তারপর দ্রুত তাদেরকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

আরও পড়ুন: পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজে এসেছিলেন, নদীতে নামতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই তরুণীর

কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে জলে ডুবে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। একইসঙ্গে গ্রামের দুই কিশোরীর মৃত্যুতে সকলে ভেঙে পড়েছেন।

সার্থক পণ্ডিত

South Dinajpur News: পুকুরের জলে ভাসছে ওটা কী? কাছে ‌যেতেই চোখ কপালে স্থানীয় বাসিন্দাদের

দক্ষিণ দিনাজপুর: বালুরঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচা গলা নগ্ন দেহ। এরপরেই এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এরপর ওই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ চা-কফি ছাড়ুন, গরমে সকাল-বিকেল খান ঘরে তৈরি এই পানীয়! রোদ ছুঁতে পারবে না, শরীর থাকবে ঠান্ডা

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও পর্যন্ত যানা যায়নি। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি মৃতের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এক দুদিন আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

মাঠের আশেপাশে কোন ঘরবাড়ি না থাকার ফলে নজরে আসেনি স্থানীয়দের৷ এলাকা জুড়ে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়াতেই স্থানীয় বাসিন্দারা খোঁজখবর শুরু করলে মৃতদেহ বিষয়টি নজরে আসে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা বালুরঘাট থানা খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে বালুরঘাট থানা পুলিশ।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bizarre News: গ্রামের মানুষ মানেন পবিত্র পুকুর, সেখান থেকে উঠে এল ৩৫ কেজি ওজনের বিশাল ওই …, গ্রামবাসীদের আর আটকে রাখে কে

জলপাইগুড়ি :  এ কেমন অদ্ভুত কাণ্ড!  এই জিনিসকে আগলে রেখে ভগবান রূপে পুজো করছেন এখানকার বাসিন্দারা। কাকে ভগবান মানা হচ্ছে জানলে অবাক হবেন। একটি মাছের মৃতদেহকে আগলে রেখে পুজো করছে এই এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু কেন? এ ধরণের কাজ হচ্ছে কেন  সেই কারণটাই এবার ফাঁস৷

 জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ সংলগ্ন মহারাজা পুকুরে ভেসে ওঠে একটি অতিকায় মৃত মৃগেল মাছ। যা চোখে পড়া মাত্রই ভিড় জমে যায় চাক্ষুষ করার জন্য। দূরদূরান্তের বহু মানুষ আসছেন অবাক করা এই দৃশ্য দেখতে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মাছটির ওজন কমপক্ষে ৩৫ কেজি। পাশাপাশি মহারাজ পুকুর এলাকাবাসীর কাছে পবিত্র পুকুর হিসেবেই পরিচিত। আর পাঁচটা পুকুরের মতো সেখানে শৌচকর্ম, জামা কাপড় ধোয়া, বাসন মাজা এই ধরণের কাজ করেন না তাঁরা। বরং এই পুকুরকে এক্কেবারে পবিত্র হিসেবে মেনে সর্বস্তরের মানুষই প্রণাম করেন। তাই এ কারণেই নাকি পুকুরের মৃত মাছটিকে ভগবান মেনে পুজো করেছেন ।

আরও পড়ুন – ICC T20 World Cup 2024: বিশ্বকাপের জন্য সেরা ১৫ বাছতে গিয়ে ‘ঘেঁটে ঘ’ টিম ম্যানেজমেন্ট, ধাঁধা সলভ করতে গিয়ে নাকানিচোবানি রোহিত-আগরকর-দ্রাবিড়ের

এমনকি মাছটিকে নাকি পুকুর পাড়েই সমাধিস্থ করা হবে সব নিয়ম রীতি মেনে। ওই পবিত্র পুকুরে মাছটির মৃত্যু কি করে হল? এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সম্ভবত বয়সের কারণেই অতিকায় মাছটির মৃত্যু হয়েছে। যদিও ভদ্রেশ্বর এলাকার বাসিন্দা আখতার মহম্মদ জানান, ‘‘জাতিভেদে সর্বস্তরের মানুষই পুকুরটিকে পবিত্র হিসেবেই মানে। তবে মাছটির কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তিনি জানেন না।” এদিন এলাকায় যেতেই চোখে পড়ে মৃত মৃগেল মাছটিকে আগলে রেখে পুজো করছে গ্রামবাসীরা।

তাঁদের ধারণা এই মাছ গ্রামের দেবতা। সেই দেবতার মৃত্যু হল। এরপর নিয়ম মেনেই মাছটিকে পুজো করে পুকুর পাড়েই সমাধিস্ত করা হবে। এ প্রসঙ্গে পরিবেশপ্রেমী তাপস রায় জানান, “এই পুকুরটি রাজগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী পুকুর। সম্ভবত কোচবিহার কিংবা পিট্টুগড়ের মহারাজা এই পুকুরটি খনন করেছিলেন। পুকুরের বিশেষত্ব হল বিশাল পুকুরের চারপাশে প্রচুর গাছ থাকলেও পুকুরের জলে কোনও পাতা ভাসে না। এলাকায় প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরটির ভূমিকা রয়েছে।”

সবমিলিয়ে সত্যিই কিন্তু বেশ রহস্যের চাদরে মোড়া এই মহারাজ পুকুর। আপাতত মৃত মাছটিকে সমাধিস্ত করার কাজেই ব্যস্ত এলাকাবাসী।

Surajit Dey

Viral Video: ‘কামনা সাগরে’ ডুব দিলেই মিলছে টাকা-সোনা! জেনে নিন কোথায়

উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ‘কামনা সাগর’। স্থানীয় এই পুকুরে ডুব দিলেই মিলছে টাকা। ভাগ্য ভাল থাকলে মিলছে সোনাও। দিন কেউ ৫০০ বা কেউ হাজার টাকাও পাচ্ছে ‘কামনা সাগর’ থেকে। বর্তমানে টাকার আশায় দিনভর এই পুকুরে ঝাপাচ্ছেন যুবকেরা।