Tag Archives: Villagers

Villagers Protest: খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি, কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছিল স্থানীয় প্রশাসন। প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের উত্তর দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের লস্করপাড়া এলাকায়। খেলার মাঠ নষ্ট করে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদে পরে ব্লক অফিসে গিয়ে স্মারকলিপিও দেন গ্রামবাসীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় উত্তর দুর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মাঠ রয়েছে। ওই মাঠে স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি গ্রামের ছেলেরাও খেলাধুলো করে। সম্প্রতি ওই মাঠের উপর দিয়েই একটি রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করে পঞ্চায়েত। এর জন্য কয়েক দিন ধরে মালপত্র ফেলা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে কাজ শুরুর তোরজোড় হয়। এরপরই বহু গ্রামবাসী জড়ো হয়ে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন: ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে বড় কাণ্ড, ১০ কোটি টাকা দিয়ে হচ্ছে এই কাজ!

গ্রামবাসীরা জানান, মাঠের উল্টো দিকে একটি মাত্র পরিবারের বাস। সেই পরিবারের কথা ভেবেই ওই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে বহু ছেলেমেয়ে খেলাধুলো থেকে বঞ্চিত হবে বলে দাবি তাঁদের। পঞ্চায়েত সূত্রে পাল্টা দাবি, স্কুল-সহ পুরো জায়গাটার মালিক ওই পরিবার। স্কুলের জায়গা তাঁরা দান করে দিয়েছেন। কিন্তু মাঠ সহ অন্যান্য জায়গা তাঁদের মালিকানাধীন আছে। সেই জায়গায় রাস্তা তৈরির জন্য ওই পরিবারের তরফে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মতই রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকর পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের। অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই এলাকায় রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই পঞ্চায়েত সদস্য সালেয়া গাজি বলেন, রাস্তা তৈরির ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমি মাঠ নষ্ট করে রাস্তা তৈরি সমর্থন করি না। গ্রামবাসীদের প্রতিবাদে আমার সমর্থন রয়েছে।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রায় একশো বছরের কাছাকাছি মাঠটি খেলাধুলোর জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ হঠাৎ সেখানে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এক শ্রেণির নেতার মদতে রাস্তা তৈরি করে ধীরে ধীরে ওই মাঠ দখল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা রাস্তা তৈরির বিরুদ্ধে নই। কিন্তু খেলার মাঠ বাঁচিয়ে রাস্তা হোক।

গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। ওই জায়গায় রাস্তা তৈরির জন্য পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মত পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। স্কুলের পাশ দিয়েই মাঠের উপর রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। ওখানে রাস্তা হলে শুধু ওই পরিবার নয়, স্কুলের পড়ুয়া, অঙ্গনওয়াড়ির পড়ুয়া, নলকূপে জল নিতে আসা গ্রামবাসীরা সকলে উপকৃত হতেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্লক দফতরের তরফেও জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সুমন সাহা

Child Abduction: ছেলে ধরা সন্দেহে গণধোলাই নয়, উল্টো ছবি বসিরহাটে

উত্তর ২৪ পরগনা: ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাই হঠাৎই নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। তবে এবার সেই ঘটনাতেই উলোট পুরাণ দেখা গেল ওই জেলার‌ই বসিরহাটে। মারধরের পরিবর্তে উপযুক্ত নথি পেয়ে সন্দেহভাজন যুবককে পরিবারের হাতে তুলে দিল গ্রামবাসীরা।

ছেলে ধরা গুজবে কান না দেওয়া সংক্রান্ত সচেতনতার বার্তা দিলেন গ্রামবাসীরা। গভীর রাতে ছেলে ধরা সন্দেহে আটকে রাখল যুবককে। কিন্তু তাকে এতটুকু মারধর করা হয়নি। গুজবে কান না দিয়ে উপযুক্ত প্রমাণের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন বসিরহাট মহাকুমার মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশুপতি মোড় এলাকার বাসিন্দারা।

আর‌ও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করতে হবে দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত! সতর্কবার্তা পেতেই যা করলেন হকাররা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২৫-এর এক যুবক সন্ধের পর থেকে ওই এলাকায় একটি বস্তা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। সেই সময় এলাকার কিছু যুবকের সন্দেহ হয় সে বুঝি ছেলে ধরা। এই খবর চাউর হতেই বাসেই বসিরহাট পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দিঘির পাড়ের বাসিন্দারা জড়ো হতে শুরু করেন। এলাকায় পরিস্থিতি রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হয় কিন্তু এলাকার কিছু যুবক ওই সন্দেহজনকে একটা জায়গায় আটকে রেখে জেরা শুরু করেন। এই সময় কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে ছেলে ধরা সন্দেহে মারধর করার চেষ্টা করলেও তাদের আটকে দেওয়া হয়। জেরায় ওই যুবক তার বাড়ির ঠিকানা জানান। জানা যায় বসিরহাট পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রীমোহিনী এলাকায় বাড়ি। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন স্থানীয় কাউন্সিলরকে সঙ্গে করে এনে উপযুক্ত নথিপত্র দেখায়। তারপর সন্দেহভাজন ওই যুবককে পরিজনদের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে গ্রামবাসীরা পরিষ্কার জানিয়েছেন, চারিদিকে ছেলে ধরা গুজবে মারধর চলছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সেই গুজবের কোন‌ও সত্যতা নেই। তাই উত্তেজিত হয়ে প্রথমেই মারধর করার পরিবর্তে ধৈর্য্য ধরে সবটা শোনা এবং বিচার বিবেচনা করা উচিত।

জুলফিকার মোল্যা

Bangla Video: টাইম কল থাকলেও এই গ্রামের মানুষ পরম তৃপ্তিতে পুকুরের জল পান করে!

বাঁকুড়া: রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় পানীয় জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। তবে জানেন কি বাঁকুড়ার একটি গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে কল থাকলেও অধিকাংশই সেই জল ব্যবহারই করেন না! কি, অবাক হচ্ছেন তাই তো? বাঁকুড়া শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রোডের উপরে অবস্থিত বেলবনি গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে ঠাকুরপুকুর। এই পুকুরের জলই পান করেন বেলবনি ছাড়াও সংলগ্ন একাধিক গ্রাম।

সকাল ছয়টা থেকে জল নিতে বড় বড় প্লাস্টিকের জার, হাঁড়ি, কলসি এবং বোতল নিয়ে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। কেউ কেউ আবার পুকুর থেকেই জল তুলে পান করেন এক নিমেষে। গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, ঠাকুর পুকুরের জলে রান্না খুব ভাল হয় এবং দীর্ঘ দিন ধরে এই জল পান করেও কেউ অসুস্থ হননি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। মূলত পূর্ব পুরুষের আমল থেকেই চলে আসছে এই রীতি। এই পুকুরে কাপড় কাচা, বাসন মাজা কিংবা স্নান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র পানীয় জলের জন্যই ব্যাবহার করা হয় এই পুকুর।

আরও পড়ুন: অভিজিতের সমর্থনে প্রচারে আসছেন মোদি, তমলুকে ঝড় তুলতে চায় বিজেপি

বেলবনি গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন বাড়িতে বাড়িতে লাগানো রয়েছে জলের কল। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, সেই জল তারা পান না করে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। নিজেদের সুবিধা মত পুকুরের জল এবং কলের জল ব্যাবহার করেই কাজ চালাচ্ছেন বেলবনির মানুষ। গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমন্ত দেব বলেন, এই পুকুরে কাউকে নামতেই দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র পান করার জলের জন্য আমরা এই পুকুরকে ব্যবহার করি। বেলবনির বাসিন্দা যারা দিল্লি কিংবা মুম্বইতে রয়েছেন তাঁরাও বাড়ি এলে এই জল নিয়ে যান সঙ্গে করে।

বেলবনি গ্রামের গৃহবধূ সাগরি মাঝি রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকেন পুকুরের জল। যদিও তার বাড়িতে লাগানো রয়েছে দু-দুটি কল। সাগরি মাঝি বলেন, বাড়িতে কল লাগানো থাকলেও আমরা পুকুরের জল পান করি এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করি। কেউ কোনদিন অসুস্থ হননি। এই জলে খুব ভাল রান্না হয়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Lok Sabha Election 2024: এই গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে যেতে হয়

পূর্ব বর্ধমান: এই বাংলায় ভোটকে উৎসবের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নির্বাচনের দিন আর পাঁচটা জায়গার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছবি থাকে বাংলায়। সর্বত্র যেন সাজো সাজো রব। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের চরবিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে বিষয়টা সম্পূর্ণ অন্যরকম। বরং প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটা নির্বাচনেই ভোট দিতে চান তাঁরা।

বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে এই চরবিষ্ণুপুর। কাটোয়া-২ ব্লকের এটি একটি গ্রাম। তবে এই গ্রামটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। এই গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী নদী। ফলে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে গ্রামটি। ভাগীরথী নদীর দুই পাড়ে একই গ্রাম অবস্থিত। ফলে চরবিষ্ণুপুর গ্রামের ভাগীরথীর এক পাড়ের বাসিন্দাদের ভোটের দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে অন্য পাড়ে গিয়ে ভোট দিতে হয়।

আরও পড়ুন: সাত সকালেই স্বস্তির নিঃশ্বাস, ঘুম থেকে উঠেই খুশির খবর

সোমবার এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ফলে যথারীতি এদিন সকাল থেকে নৌকা করে ভোট দিতে যাচ্ছে চরবিষ্ণুপুরের মানুষ। তবে শুধু চরবিষ্ণুপুর নয়, কালিকাপুর গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দাদেরও নদীর ওপারে ভোট দিতে যেতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই ভোট দিয়ে আসছে কাটোয়া-২ ব্লকের চরবিষ্ণুপুর , কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এই বিষয়ে চরবিষ্ণুপুর এবং কালিকাপুর গ্রামের সুতপা সরকার, শঙ্কর চৌধুরীরা বলেন, নদী ভাঙনের কারণে গ্রাম বিভক্ত হওয়ার পর থেকে এভাবেই চলে আসছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় ভোট দিতে যাওয়ার জন্য সেই ঝুঁকি নিতে হয় গ্রামের মানুষকে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Villagers Protest: প্রোমোটিংয়ের জন্য খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা! কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

হুগলি: কোন্নগরের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নপাড়া এলাকায় খেলার মাঠের উপর দিয়ে তৈরি হচ্ছিল রাস্তা। এদিকে ওই গ্রামের মানুষের কাছে খেলার মাঠটি হল আবেগের জায়গা। সেখানকার ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ওই মাঠে খেলাধুলো করে। তাই মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন গ্রামবাসীরা। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের বাধায় বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা তৈরীর কাজ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নপাড়ার বাদামতলার মাঠ বহুদিনের পুরনো। সেই মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল প্রমোটিংয়ের উদ্দেশ্যে। লক্ষ্য ছিল মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা নিয়ে গিয়ে পিছনের জমির কাছে পৌঁছে যাওয়া। যাতে ওই জমি পরবর্তীতে প্লটিং করে বিক্রি করা যায়। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম হয়ে উঠছিল গোটা গ্রাম। গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে আছেন খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এলাকায় গিয়েছিলেন শনিবার। রবিবার বিকেলে মাঠে খেলাধুলো চলাকালীন দেখা যায় মাঠের পশ্চিম দিক পরিষ্কার করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খবর পেয়েই প্রায় সকল গ্রামবাসী মাঠে এসে হাজির হন। যে ঠিকাদার রাস্তা তৈরির কাজ করছিলেন তাঁকে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শেষমেশ বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা তৈরির কাজ।

আর‌ও পড়ুন: দিন চলে যায়, ১০০ বছরের পুরনো শিল্পের শিল্পীদের কথা ভাবে না কেউ

ঠিকাদার পীযুষ মজুমদার জানান, তাপস নামে কেউ একজন তাঁকে এই কাজের বরাত দিয়েছেন। যদিও তাপসের টাইটেল কী বা বাড়ি কোথায় সেসব কিছুই বলতে পারেননি তিনি। তাপসকে নাকি কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃমমূল সদস্য নন্দদুলাল নস্কর বলেছিলেন রাস্তা করে নিতে। যদিও পঞ্চায়েত সদস্য সেই কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির কোন‌ও বিষয় নেই। বেশ কিছুদিন ধরে কানাইপুর নপাড়া অঞ্চলে জমি কেনা-বেচা চলছে। অনেকেই তাঁর কাছে আসেন বাড়ি তৈরির অনুমতি নিতে। তিনি অনুমতি দিয়েও দেন। মাঠের জমি দখল নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে শুনে তিনি নিজে ন’পাড়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানান ওই পঞ্চায়েত সদস্য।

ওই গ্রামের বাসিন্দার পরিষ্কার জানিয়েছেন, বহুদিন ধরে ওই মাঠে এলাকার ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে আসছে। সেই মাঠ কারোর ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার হতে দেবেন না। কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আচ্ছালাল যাদব বলেন, মাঠ দখল করে রাস্তা করা বা প্রমোটিং করা এটা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না। আমি গত পাঁচ বছর যখন প্রধান ছিলাম তখন আমার আতঙ্কে জমি মাফিয়ারা এলাকা ছেড়েছিল। এখন হয়ত সেই দিকে আর নজর দেওয়া হয় না, তাই এসব হচ্ছে। পঞ্চায়েতে যারা দায়িত্বে আছেন তাঁদের উচিত এগুলো দেখা।

রাহী হালদার