Tag Archives: traditions

King for One Day: লোকসভা ভোটের মুখে রাজতন্ত্রের উত্থান! সৈন্যসামন্ত নিয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজা, দেখুন ভিডিও

মুর্শিদাবাদ: ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে সমগ্র বিশ্ব। ঠিক সেই সময়ই দেশে রাজতন্ত্রের উত্থান! সৈন্য সামন্ত নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ালেন রাজা।

আর‌ও পড়ুন: গমের ভাল ফলন পেতে কী করবেন? র‌ইল কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমান জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বহরানে সৈন্য-সামন্ত নিয়ে ঘোড়ায় টানা রথে চড়ে ঘুরলেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধ রাজা। যদিও তিনি মাত্র একদিনের রাজা। রাজার নাম অম্বিকা প্রশাদ চট্টরাজ।

দেশ স্বাধীন হয়ে গণতন্ত্রের পথে তার খুঁটি মজবুত করলেও প্রতি ১২ বছর অন্তর একদিনের জন্য রাজতন্ত্রে ফিরে যায় এই বহরান গ্রামটি। শুধু প্রতীকি রাজতন্ত্র তা নয়, এই একটি দিনে এখানে রাজার কথাই শেষ কথা। তিনি কাউকে শাস্তি দিলে তা সকলে মাথা পেতে মেনে নেন। বছরের পর বছর ধরে একদিনের এই প্রথা চলে আসছে।

ভালো কাজের জন্য মেলে উপহার, আবার খারাপ কাজ করলে মেলে শাস্তি দন্ড। একশো বছর ধরে এই রীতি চলে আসছে গ্রামে। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামটিতে বারো বছর অন্তর জয় দুর্গা পুজো হয়। আর সেই জয় দুর্গা পুজো উপলক্ষে একদিনের জন্য এই রাজতন্ত্রের আসর বসে। গ্রামের ব্রাহ্মন বাড়ির একজনকে রাজা সাজিয়ে ঘোরার গাড়িতে চাপিয়ে এবং সৈন্য সামন্ত দিয়ে সিংহাসনে বসিয়ে ঘোরানো হয় গোটা গ্রামে। এই বছর ৮৫ বছরের অম্বিকা প্রশাদ চট্টরাজকে রাজা সাজিয়ে ঘোরানো হয় গ্রামে, ধরা হয় এটাই রাজার রাজত্ব। আবার রাজার অনুমতি নিয়ে শুরু হয় জয় দুর্গার পুজো।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

একদিনের এই রাজাকে দেখার জন্য দূর দুরান্ত থেকে ছুটে এসেছিল মানুষজন। এমন একটি প্রথা আগামী দিনেও বজায় রাখতে চান বহরান গ্রামের বাসিন্দারা।

কৌশিক অধিকারী

Rang Panchami 2024: আসছে রং পঞ্চমীর পুণ্যতিথি, কী করলে সংসারে শান্তি আসবে, দূর হবে আর্থিক কষ্ট, জানুন

রঙ পঞ্চমীতে শিবলিঙ্গতে দিন জলের সঙ্গে তিল ও গুড়। শনি ও মঙ্গল গ্রহ শান্ত হবে।জানালেন জ‍্যোতিষী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। ( প্রতিবেদন: অনন্যা দে)
রঙ পঞ্চমীতে শিবলিঙ্গতে দিন জলের সঙ্গে তিল ও গুড়। শনি ও মঙ্গল গ্রহ শান্ত হবে।জানালেন জ‍্যোতিষী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। ( প্রতিবেদন: অনন্যা দে)

 

কিছু জায়গায় হোলির ৫ দিন পরে রংপঞ্চমীর উৎসবও উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে, বিশেষ করে রংপঞ্চমীতে বিশেষ আয়োজন করা হয়।
কিছু জায়গায় হোলির ৫ দিন পরে রংপঞ্চমীর উৎসবও উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে, বিশেষ করে রংপঞ্চমীতে বিশেষ আয়োজন করা হয়।

 

জ‍্যোতিষী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী জানান,"রঙ পঞ্চমীতে আবীর দেওয়া উচিত ইষ্ট দেবতাকে।পাশাপাশি কুন্ডলিতে শনি ও মঙ্গলের অবস্থান খারাপ হলে শিবলিঙ্গে জল অর্পণ করতে হবে।"
জ‍্যোতিষী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী জানান,”রঙ পঞ্চমীতে আবীর দেওয়া উচিত ইষ্ট দেবতাকে।পাশাপাশি কুন্ডলিতে শনি ও মঙ্গলের অবস্থান খারাপ হলে শিবলিঙ্গে জল অর্পণ করতে হবে।”

 

এই বছর রঙপঞ্চমী ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ পালিত হবে। চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথি ২৯ মার্চ ২০২৪ রাত ০৮ টা ২০ মিনিটে শুরু হবে এবং ৩০ মার্চ ২০২৪-এ পঞ্চমী তিথি শেষ হবে রাত ৯ টা ১৩ মিনিটে। এই অবস্থায় উদয় তিথি অনুযায়ী ৩০ মার্চ রঙপঞ্চমী উদযাপন করা উপযুক্ত হবে।
এই বছর রঙপঞ্চমী ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ পালিত হবে। চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথি ২৯ মার্চ ২০২৪ রাত ০৮ টা ২০ মিনিটে শুরু হবে এবং ৩০ মার্চ ২০২৪-এ পঞ্চমী তিথি শেষ হবে রাত ৯ টা ১৩ মিনিটে। এই অবস্থায় উদয় তিথি অনুযায়ী ৩০ মার্চ রঙপঞ্চমী উদযাপন করা উপযুক্ত হবে।

 

Neelsasthi 2024 Rituals: আসছে নীলষষ্ঠী, সন্তানের কল্যাণে মহাদেবকে কোন জিনিস অর্পণ করবেন, কীভাবে পুজো করবেন, জেনে নিন

বহু যুগ ধরে বাংলায় প্রচলিত নীলষষ্ঠীর পুজো৷ সন্তানের মঙ্গল ও কল্যাণকামনায় দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে পুজো দেন মায়েরা৷
বহু যুগ ধরে বাংলায় প্রচলিত নীলষষ্ঠীর পুজো৷ সন্তানের মঙ্গল ও কল্যাণকামনায় দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে পুজো দেন মায়েরা৷

 

এ বছর ১৩ এপ্রিল পালিত হবে নীলষষ্ঠী ব্রত৷ এই তিথিতে দেবাদিদেব মহাদেবকে কোন কোন জিনিস অর্পণ করা হবে, কীভাবে পুজো করবেন, জেনে নিন৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ মেহতা৷
এ বছর ১৩ এপ্রিল পালিত হবে নীলষষ্ঠী ব্রত৷ এই তিথিতে দেবাদিদেব মহাদেবকে কোন কোন জিনিস অর্পণ করা হবে, কীভাবে পুজো করবেন, জেনে নিন৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ মেহতা৷

 

দেবাদিদেব মহাদেবকে অর্পণ করুন গঙ্গাজল, কাঁচা দুধ এবং দই৷ নিবেদন করুন গোটা ফল, বেলপাতা ও আকন্দফুল৷
দেবাদিদেব মহাদেবকে অর্পণ করুন গঙ্গাজল, কাঁচা দুধ এবং দই৷ নিবেদন করুন গোটা ফল, বেলপাতা ও আকন্দফুল৷

 

উপবাসরত ব্রতীরা সন্তানের মঙ্গলকামনায় প্রদীপ বা মোমবাতি প্রজ্বলন করুন৷ প্রচলিত কথায় একে বলা হয় ‘নীলের বাতি’৷
উপবাসরত ব্রতীরা সন্তানের মঙ্গলকামনায় প্রদীপ বা মোমবাতি প্রজ্বলন করুন৷ প্রচলিত কথায় একে বলা হয় ‘নীলের বাতি’৷

 

সাত্তিক আহার গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করুন৷ এই তিথিতে ভাত বা চালের তৈরি কোনও খাবার খাবেন না৷
সাত্তিক আহার গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করুন৷ এই তিথিতে ভাত বা চালের তৈরি কোনও খাবার খাবেন না৷

 

নীলষষ্ঠীতে মহাদেবকে রুদ্রাক্ষ অর্পণ করুন৷ পাশাপাশি নিবেদন করতে পারেন ডমরুও৷
নীলষষ্ঠীতে মহাদেবকে রুদ্রাক্ষ অর্পণ করুন৷ পাশাপাশি নিবেদন করতে পারেন ডমরুও৷

 

এই পবিত্র তিথিতে মহাদেবকে নিবেদন করুন তামা বা রুপোনির্মিত সাপ৷ দিতে পারেন ত্রিশূলও৷
এই পবিত্র তিথিতে মহাদেবকে নিবেদন করুন তামা বা রুপোনির্মিত সাপ৷ দিতে পারেন ত্রিশূলও৷

Neel Sashthi Vrat 2024: সন্তানের মঙ্গলকামনায় নীলষষ্ঠী ব্রত করেন? এভাবে পুজো করলে সন্তানের কল্যাণ ও শুভ হবে

সন্তান সন্ততির মঙ্গল ও কল্যাণকামনায় গৃহিণীরা নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করেন। যুগ যুগ ধরে এই লৌকিক পার্বণ পালিত হয়ে আসছে বাংলার ঘরে ঘরে।
সন্তান সন্ততির মঙ্গল ও কল্যাণকামনায় গৃহিণীরা নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করেন। যুগ যুগ ধরে এই লৌকিক পার্বণ পালিত হয়ে আসছে বাংলার ঘরে ঘরে।

 

সাধারণত চৈত্র মাসে চড়কপুজোর একদিন বা দু’দিন আগে পালিত হয় নীলষষ্ঠী ব্রত।
সাধারণত চৈত্র মাসে চড়কপুজোর একদিন বা দু’দিন আগে পালিত হয় নীলষষ্ঠী ব্রত।

 

এ বছর নীলষষ্ঠী ব্রত পালিত হবে বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল৷ সেদিনই সব রীতিনীতি পালন করে সন্তানের মঙ্গলকামনায় পুজো করবেন মায়েরা৷
এ বছর নীলষষ্ঠী ব্রত পালিত হবে বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল৷ সেদিনই সব রীতিনীতি পালন করে সন্তানের মঙ্গলকামনায় পুজো করবেন মায়েরা৷

 

নীলষষ্ঠী আসলে ভগবান শিবের পুজো। সন্তানের মঙ্গলকামনা করা হয় বলে এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ‘ষষ্ঠী’ শব্দটি। তাই সেদিন যে তিথিই হোক না কেন, বলা হয় নীলষষ্ঠী।
নীলষষ্ঠী আসলে ভগবান শিবের পুজো। সন্তানের মঙ্গলকামনা করা হয় বলে এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ‘ষষ্ঠী’ শব্দটি। তাই সেদিন যে তিথিই হোক না কেন, বলা হয় নীলষষ্ঠী।

 

এই ব্রত পালনের সময় কী কী করবেন, কীভাবে পুজো দেবেন, জেনে নিন। বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী।
এই ব্রত পালনের সময় কী কী করবেন, কীভাবে পুজো দেবেন, জেনে নিন। বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী।

 

দেবাদিদেব মহাদেবের পুজোয় অভিষেকে শঙ্খধ্বনি করা হয় না। সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
দেবাদিদেব মহাদেবের পুজোয় অভিষেকে শঙ্খধ্বনি করা হয় না। সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

 

মহাদেবের মাথায় জল ঢালার জন্য লোহা বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার করবেন না। সব সময় পিতল, তাম্রপাত্র বা অন্য কোনও ধাতুর পাত্র থেকে জল অর্পণ করুন।
মহাদেবের মাথায় জল ঢালার জন্য লোহা বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার করবেন না। সব সময় পিতল, তাম্রপাত্র বা অন্য কোনও ধাতুর পাত্র থেকে জল অর্পণ করুন।

 

প্যাকেটের দুধের বদলে নিবেদন করুন গরুর খাঁটি দুধ। দুধ না পেলেও ক্ষতি নেই। শুধু জলেই মহাদেব সন্তুষ্ট।
প্যাকেটের দুধের বদলে নিবেদন করুন গরুর খাঁটি দুধ। দুধ না পেলেও ক্ষতি নেই। শুধু জলেই মহাদেব সন্তুষ্ট।

 

মহাদেবের পুজোয় তুলসিপাতা ব্যবহার করবেন না। সাদা ফুল অর্পণ করলেও চম্পা ও কেতকী ফুল পুজোয় দেবেন না।
মহাদেবের পুজোয় তুলসিপাতা ব্যবহার করবেন না। সাদা ফুল অর্পণ করলেও চম্পা ও কেতকী ফুল পুজোয় দেবেন না।

 

মহাদেবের পুজোয় সিঁদুরও ব্যবহার করতে নেই। রাখবেন না হলুদ রঙের কোনও জিনিসও।
মহাদেবের পুজোয় সিঁদুরও ব্যবহার করতে নেই। রাখবেন না হলুদ রঙের কোনও জিনিসও।

 

নারকেলের জল শিবপুজোয় নিবেদন করবেন না। অর্পণ করতে পারেন ডাবের জল। চালের গুঁড়ো কখনওই দেবেন না। সৌভাগ্য ও শুভ ফল পেতে দিন গোটা আতপ চাল।
নারকেলের জল শিবপুজোয় নিবেদন করবেন না। অর্পণ করতে পারেন ডাবের জল। চালের গুঁড়ো কখনওই দেবেন না। সৌভাগ্য ও শুভ ফল পেতে দিন গোটা আতপ চাল।

 

নীলপুজোয় অবশ্যই পাঠ করবেন নীলষষ্ঠীর ব্রতকথা। এ দিন উপবাস ভঙ্গ করুন সাত্তিক আহার গ্রহণ করে।
নীলপুজোয় অবশ্যই পাঠ করবেন নীলষষ্ঠীর ব্রতকথা। এ দিন উপবাস ভঙ্গ করুন সাত্তিক আহার গ্রহণ করে।

Bride in Palanquin: স্মৃতি উস্কে ফিরল পুরনো দিন, নতুন বউ শ্বশুরবাড়িতে এলেন পালকি চেপে

মৈনাক দেবনাথ, নদিয়া: ঐতিহ্য পরম্পরা রক্ষা করতেই পালকিতে বউ নিয়ে আসার সাবেকি রীতি আবারও ফিরে আসছে, ডাকা হচ্ছে ঝুমুর নাচ শিল্পীদেরও। ‘পালকিতে বউ চলে যায়’ গান গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হন সঙ্গীতশিল্পী মিতা চট্টোপাধ্যায়। সে গান আজ সকলেরই মনে গাঁথা। গুনগুনিয়ে ওঠে ৮ থেকে ৮০ সকলেই, কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় সে দৃশ্য বোধহয় ক্রমশ বিরল হয়ে পড়ছিল। অথচ সেই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অনেকেই। তবে কিছু পরিবার এখনও আছেন যাঁরা তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান চিরস্মরণীয় করে রাখতে এবং এ ধরনের বহু প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যত।

নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের হিজুলি ঘোষপাড়া এলাকায় এইরকমই এক নিদর্শনের দেখা মিলল। কনে বর দু’জনেই একই পাড়ায় বেড়ে উঠেছে ছোটবেলা থেকে একই সঙ্গে। প্রথমে তাঁদের পছন্দের পরবর্তীতে পরিবারের সম্মতিতে চার হাত এক হওয়ার দিন। এই উপলক্ষে সন্ধ্যায় বসেছিল প্রীতিভোজ। যদিও মাত্র পাঁচটি বাড়ির ব্যবধান, বিয়ের পর নতুন বউ বাড়ি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁরা শান্তিপুরের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে ভাড়া করেছেন সম্পূর্ণ লোহার তৈরি একটি পালকি। সামনে চারজন, পিছনে চারজন-মোট আটজন বেহারা এবং দুজন দারোয়ান-সহ একটি দল হাজির।

আরও পড়ুন : লর্ড ক্যানিংয়ের ডাইনিং টেবিলে ডিনার করতে চান? দোলের ছুটিতে ঘুরে আসুন চাবাগানের এই বাংলোয়

গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে নতুন দম্পতি এগিয়ে চলেছেন গ্রামেরই সুপ্রাচীন বাগদেবী মন্দির এবং স্থানীয় জগন্নাথ মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে। পিছনে রয়েছেন বর এবং কনেপক্ষ। আর এই উপলক্ষে গ্রামের রীতিমতো উৎসবের চেহারা নিয়েছে। হজুলি মোড় এলাকার চা বিক্রেতা সহদেব বাগ জানান বিগত ৫০ বছরের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা চোখে পড়েনি, তবে আগে পালকিতে এভাবেই নতুন কনে আসত। নতুনভাবে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সাবেকি রীতিনীতি ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি খুশি। ইভেন্ট ব্যবসায়ী কল্যাণ পাল জানান ‘‘এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিবাহে ইদানীং মাঝেমধ্যেই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় তাদের মতো বহু শিল্পীরা নিজেদের পেশায় উপার্জনের দিশা দেখছে।’’

Old Tradition: গাছে পাথর বাঁধলে ‘পূরণ হয় মনস্কামনা’-এই বিশ্বাসে জঙ্গল পেরিয়ে আজও মানুষের ঢল এই মন্দিরে

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি  : বইছে ফাগুনের হাওয়া। রঙিন আমেজের মাঝেই অক্ষুণ্ণ রয়েছে উত্তরের লোকাচার, রীতিনীতি। উত্তরের পাহাড়, জঙ্গল, নদী ঘেরা জলপাইগুড়ি জেলার আনাচে কানাচে আজও বহমান রয়েছে স্থানীয় লোকাচার এবং স্থানীয় দেবদেবীর পুজো অর্চনার ধারাবাহিকতা। তারই অন্যতম বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল ঘেষা লোটা দেবীর মন্দির।পূর্ণিমার রাত থেকেই জলপাইগুড়ি আসাম মোড় সংলগ্ন করলা ভ্যালি লোটাদেবী মন্দিরে ৬৭ তম কালী পুজো শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে মন্দির চত্বরে নেমেছে ভক্তদের ঢল। মূলত করলা নদী পেরিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। ওই স্থানে করলায় নেই কোনও সেতু। পুজোকে কেন্দ্র করে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী মেলাও।

প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমায় লোটাদেবী কালীর বাৎসরিক পুজোর সময় দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। মন্দিরের পাশে রয়েছে একটি পুকুর। এটি লোটাদীঘি নামে পরিচিত। মন্দিরের মায়ের পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ওই পুকুরে দুধ ঢেলেও পুজো দেন ভক্তরা। করলা নদীর উপর অস্থায়ী সেতু পেরিয়েই শয়ে শয়ে দর্শনার্থী আসছেন লোটা দেবী কালি মন্দিরে। আট থেকে আশির ভিড় উপরে পড়েছে এই প্রাচীন পুজো এবং মেলা ঘিরে।

আরও পড়ুন : কলা খেলে ব্লাড সুগার বাড়ে? ডায়াবেটিসে কলা খাওয়া চরম ক্ষতিকর? জানুন

পাশাপাশি, মেলায় জলপাইগুড়ি ব্রহ্মকুমারী সেন্টারের ভাই বোনের দ্বারা প্রদর্শনী স্টলেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্ব শান্তি কামনার লক্ষ্যে ব্রহ্মকুমারীর সেন্টারের পক্ষ থেকেও চলছে প্রচার । মেলা কমিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান ঘিরে দর্শনার্থী এবং মেলায় আগত দূরদূরান্ত মানুষের মধ্যে উন্মাদনাও দেখার মতো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত-সহ অসম, মেঘালয়, বিহার থেকেও বহু পুণ্যার্থী এই পুজো ও মেলায় আসেন। মেলায় স্থানীয় ও বহিরাগত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র ও খাবারের দোকান দিয়েছেন। মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা ও বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা। পুজো ও মেলা উপলক্ষে পুরো চত্বরটি আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।