Category Archives: কোচবিহার

Fishing Equipment: বর্ষা আসলেই বাড়ে চাহিদা, কী এই ‘ট্যাপাই’ বলুন তো? উত্তরবঙ্গের লোক সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে এই উপকরণ!

কোচবিহার: বর্ষার মরশুম আসতেই জেলায় মাছ ধরতে হিড়িক দেখা যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন গ্রাম্য এলাকা গুলিতে। আজও জেলার বিভিন্ন গ্রাম্য এলাকা গুলিকে মাছ ধরতে ব্যবহার হয় বিশেষ এক উপকরণ। স্থানীয় ভাষায় এই উপকরণের নাম “ট্যাপাই”। নামটা একটু অদ্ভুত রকমের, তবে এই উপকরণটির কাজ দেখলে যে কেউ আরও অনেকটাই অবাক হবে যে কেউ। এই সম্পূর্ণ জিনিসটি তৈরি করা হয় বাঁশের মাধ্যমে। বাঁশের রকমারি মাপের কাঠি ও সুতো দিয়ে বানানো হয় এটি। তারপর মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করা হলে মাছ ভিতরে ঢুকে আর বেরতে পারে না।

ট্যাপাই প্রস্তুতকারী আরতি মোদক জানান, “এই ট্যাপাই তৈরি করতে সমগ্র লাগে অনেকটাই। তবে তার চাইতে বেশি বেশি অসুবিধার বিষয় হল সারাদিনে একটির বেশি ট্যাপাই বানানো যায় না। তাই এই জিনিস বিক্রি করে মুনাফার পরিমান হয় অনেকটাই কম। মূলত এই কারণে আগে এই জিনিসের দারুণ প্রচলণ থাকলেও, বর্তমান সময়ে খুব একটা বেশি চোখে পড়ে না এই জিনিস। যদিও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন এলাকায় এখনও এই জিনিস তৈরি হয়। এছাড়া গ্রাম বাংলার মানুষ মাছ ধরতে এখনও এই উপকরণ ব্যবহার করে থাকে।”

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এছাড়া ট্যাপাই প্রস্তুতকারী আরেক ব্যক্তি রামকান্ত মোদক জানান, “আগে এই জিনিসের প্রচলণ বেশি থাকায় বেশি মুনাফা পাওয়া যেত। তবে এখন এই জিনিসের প্রচলন কমে যাওয়ার কারণে বিক্রি করে সঠিক মুনাফা অর্জন হয় না। ফলে ট্যাপাই প্রস্তুতকারীরা অনেকেই এই পেশা বদলে নিয়েছেন।” ট্যাপাই বিক্রেতা সুজন ভাট জানান, “এক একটি ট্যাপাই বিক্রি করে মোট লাভ থাকে ১৫ শতাংশ। ফলে বিক্রি করে লাভ থাকলেও বিক্রি কমেছে আগের তুলনায়। তবে বর্ষার সময় এই জিনিসের চাহিদা বেড়ে ওঠে অনেকটাই।”

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

তবে উত্তরবঙ্গের লোক সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই উপকরণ। তাইতো জেলায় এই উপকরণ এখন চোখে খুব একটা না পড়লেও সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়নি। এখনও কিছু মানুষ পেশার তাগিদে কিংবা নেশার বসেই এই উপকরণ ব্যবহার করছেন। তাইতো বর্ষার সময় আসলেই এই জিনিসের চাহিদা বেড়ে ওঠে কয়েকগুণ। তখন চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পারেন না প্রস্তুতকারীরা।

Sarthak Pandit

Viral Fruit: আম, কাঁঠাল, লিচু নয়…বাজার কাঁপাচ্ছে ভাইরাল ‘এই’ ফল! প্রচুর গুণ! দৌড়ে আনুন বাজার থেকে

আনারসের মরসুম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর আনারসের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। তাইতো আনারস খেতে বহু মানুষ পছন্দ করে থাকেন। তবে সাধারণ ভাবে আনারস খেলে অনেকসময় টক লাগে। তাই অনেকেই আনারস এমনি কেটে খেতে পছন্দ করেন না।
আনারসের মরসুম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর আনারসের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। তাইতো আনারস খেতে বহু মানুষ পছন্দ করে থাকেন। তবে সাধারণ ভাবে আনারস খেলে অনেকসময় টক লাগে। তাই অনেকেই আনারস এমনি কেটে খেতে পছন্দ করেন না।
তাইতো এবার আনারসের মরসুমে জেলায় দারুণ ভাইরাল হয়েছে আনারস মাখা। কোচবিহারের এক মাখা ফলের দোকানে মাত্র ২০ টাকা প্রতি প্লেট মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে এই মাখা ফল। এছাড়া কোন মানুষ চাইলে গোটা আনারস কিনে মাখিয়ে নিতে পারেন মাত্র ৫০ টাকা দামে।
তাইতো এবার আনারসের মরসুমে জেলায় দারুণ ভাইরাল হয়েছে আনারস মাখা। কোচবিহারের এক মাখা ফলের দোকানে মাত্র ২০ টাকা প্রতি প্লেট মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে এই মাখা ফল। এছাড়া কোন মানুষ চাইলে গোটা আনারস কিনে মাখিয়ে নিতে পারেন মাত্র ৫০ টাকা দামে।
মাখা ফল বিক্রেতা বাচ্চু হক জানান, ‘‘আনারস সারা বছর পাওয়া যায় না। ফলে এই একটা মরসুমে আনারসের চাহিদা দেখতে পাওয়া যায়। তবে আনারস মাখা খেলে স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই বেশিরভাগ মানুষ মাখা এই আনারস খেতেই বেশি পছন্দ করছেন।’’
মাখা ফল বিক্রেতা বাচ্চু হক জানান, ‘‘আনারস সারা বছর পাওয়া যায় না। ফলে এই একটা মরসুমে আনারসের চাহিদা দেখতে পাওয়া যায়। তবে আনারস মাখা খেলে স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই বেশিরভাগ মানুষ মাখা এই আনারস খেতেই বেশি পছন্দ করছেন।’’
সকল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ এই ফল কিনতে ভিড় করছেন। ২০ টাকা প্লেটের এই মাখা ফল বিক্রি হচ্ছে বেশ অনেকটাই। তাইতো ভাল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে পারছেন তিনি। এছাড়া এই মাখা ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।
সকল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ এই ফল কিনতে ভিড় করছেন। ২০ টাকা প্লেটের এই মাখা ফল বিক্রি হচ্ছে বেশ অনেকটাই। তাইতো ভাল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে পারছেন তিনি। এছাড়া এই মাখা ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।
দোকানের দুই গ্রাহক বাবলু বর্মন ও পাপাই রায় জানান, "এই মাখা ফল খেতে বেশ ভাল লাগে। এছাড়া মুখের রুচি যেমনি বাড়ে। তেমনি এই মাখা ফল সর্দি, কাশি ও জ্বরের জন্য বেশ অনেকটাই উপকারী। তাই সকলের এই ফল খাওয়া উচিত।"
দোকানের দুই গ্রাহক বাবলু বর্মন ও পাপাই রায় জানান, “এই মাখা ফল খেতে বেশ ভাল লাগে। এছাড়া মুখের রুচি যেমনি বাড়ে। তেমনি এই মাখা ফল সর্দি, কাশি ও জ্বরের জন্য বেশ অনেকটাই উপকারী। তাই সকলের এই ফল খাওয়া উচিত।”
কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, "আনারস এই মরসুমে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। তবে এই আনারস মাখা যেভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এতে আরও কিছু উপকারিতা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এটি খেলে শরীরের উপকার হবে। তবে বেশি মাত্রায় খাওয়া ভাল হবে না।"
কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “আনারস এই মরসুমে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। তবে এই আনারস মাখা যেভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এতে আরও কিছু উপকারিতা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এটি খেলে শরীরের উপকার হবে। তবে বেশি মাত্রায় খাওয়া ভাল হবে না।”
ঠান্ডা গরমের এই মরশুমে আনারস থেকে পাওয়া উপকারিতা দারুণ কাজে আসে। মরসুমি বিভিন্ন রোগের থেকে রক্ষা করতে দারুণ ভাবে সক্ষম এই আনারস। ফলে এই মরসুমে সুযোগ পেলেই আনারস মাখা খাওয়া উচিত। এতে কিন্তু শরীরের ক্ষতির চাইতে লাভ হবে অনেকটাই বেশি। ফলে সুস্বাদু এই মাখা ফলের স্বাদ নিতে পারবেন ছোট থেকে বড় সকলেই।
ঠান্ডা গরমের এই মরশুমে আনারস থেকে পাওয়া উপকারিতা দারুণ কাজে আসে। মরসুমি বিভিন্ন রোগের থেকে রক্ষা করতে দারুণ ভাবে সক্ষম এই আনারস। ফলে এই মরসুমে সুযোগ পেলেই আনারস মাখা খাওয়া উচিত। এতে কিন্তু শরীরের ক্ষতির চাইতে লাভ হবে অনেকটাই বেশি। ফলে সুস্বাদু এই মাখা ফলের স্বাদ নিতে পারবেন ছোট থেকে বড় সকলেই।

Sarthak Pandit

Monsoon Diet: পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ডাল, কিন্তু বর্ষায় খেলেই বিপদ! কারণ জেনে সতর্ক হোন

আমাদের রোজকার খাবার পাতে থাকা ডাল দারুণ সমস্ত পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ডালে যেমনি ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তেমনি ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে ভরপুর মাত্রায় থাকে।
আমাদের রোজকার খাবার পাতে থাকা ডাল দারুণ সমস্ত পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ডালে যেমনি ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তেমনি ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে ভরপুর মাত্রায় থাকে।
কিছু ডালে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং আয়রন-সহ নানা খনিজও পাওয়া যায়। এসব পুষ্টির গুণেই একাধিক রোগব্যাধিও দূরে থাকে। অপরদিকে ডাল খেলে পেটও ভর্তি থাকে দীর্ঘক্ষণ।
কিছু ডালে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং আয়রন সহ নানা খনিজও পাওয়া যায়। এসব পুষ্টির গুণেই একাধিক রোগব্যাধিও দূরে থাকে। অপরদিকে ডাল খেলে পেটও ভর্তি থাকে দীর্ঘক্ষণ।
তবে অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান,
তবে অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “ডাল খাওয়া উপকারী হলেও বর্ষাকালে ডাল খাওয়া একটু এড়িয়ে চলাই ভাল। নাহলে আর্দ্র পরিবেশে আমাদের পাচনতন্ত্রে বেশ প্রভাব পড়ে।
বেশ কিছু বাড়িতে বিউলির ডাল খেতে দেখা যায়। তবে এই ডাল হজম করা কঠিন। যে কারণে এমন আর্দ্র পরিবেশে বেশি বিউলির ডাল খেলে ব্লোটিংয়ের সম্ভবনা থাকে।
বেশ কিছু বাড়িতে বিউলির ডাল অনেকটাই পছন্দ করতে দেখা যায়। তবে এই ডাল হজম করা কঠিন। যে কারণে এমন আর্দ্র পরিবেশে বেশি বিউলির ডাল খেলে ব্লোটিংয়ের সম্ভবনা থাকে।
রাজমা ডালের গুণেই হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এবং রাজমা খেলে ভরপুর এনার্জিও পাওয়া যায় শরীরের জন্য। তবে রাজমা খাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে বর্ষার সময় বেশি মাত্রায় খেলে।
রাজমা ডালের গুণেই হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এবং রাজমা খেলে ভরপুর এনার্জিও পাওয়া যায় শরীরের জন্য। তবে রাজমা খাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে বর্ষার সময় বেশি মাত্রায় খেলে।
লুচি দিয়ে ছোলার ডাল সকলের পছন্দ। তবে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও এই ডাল বর্ষাকালে না খাওয়াই ভাল। কারণ হজম করা সহজ নয়। ফলে গ্যাস, ব্লোটিং এবং অ্যাসিডিটি হতে পারে।
লুচি দিয়ে ছোলার ডাল সকলের পছন্দ। তবে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও এই ডাল বর্ষাকালে না খাওয়াই ভাল। কারণ হজম করা সহজ নয়। ফলে গ্যাস, ব্লোটিং এবং অ্যাসিডিটি হতে পারে।

Cooch Behar News: পঞ্চায়েত প্রধান গেলেন কোথায়! নিখোঁজ পোস্টার ঘিরে তুফানগঞ্জে উত্তেজনা

তুফানগঞ্জ: কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার অন্দরানফুলবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটল এক অবাক করা কাণ্ড। এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের নামেই এলাকায় লাগানো হল নিখোঁজ পোস্টার। এছাড়া প্রধানের পদত্যাগেরও দাবি করা হয়েছে এই পোস্টারে। এগুলি লাগানো হয় অন্দরানফুলবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত দত্তপাড়া এলাকায়। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অন্দরানফুলবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ননীবালা বর্মন নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প পেতে ভীষণ অসুবিধায় পড়ছে। তাই পঞ্চায়েত প্রধানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।’

আরও পড়ুন: ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই দুঃসংবাদ! গুলি করা খুন করা হল প্রাক্তন ক্রিকেটারকে

এই পোস্টারের বিষয়ে এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান ননীবালা বর্মন ঠিক মতো দফতরে আসেন না। ফলে বহু মানুষকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। দিনের পর দিন ঘুরতে হয় পঞ্চায়েত দফতরে। এছাড়া সময় মতো পরিষেবাও তিনি দেন না। ফলে অসুবিধা বেড়েছে এলাকায়। রাস্তায় বেহাল দশা থেকে শুরু করে অন্যান্য আরও অসুবিধা রয়েছে। ফলে ক্ষুব্ধ মানুষেরা এই কাজ করেছেন। যদি এতে পঞ্চায়েত প্রধানের হুশ ফেরে। তাহলে হয়তো এলাকার পরিস্থিতির কিছুটা বদল হবে।”

আরও পড়ুন: প্রসবের সময় মারা যান স্ত্রী! দেহ সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… জানলে আপনিও শিউরে উঠবেন

তবে এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ননীবালা বর্মন দাবি করেন, বেশ কিছু দিন যাবৎ কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে পঞ্চায়েতে দফতরে যেতে বাধা দিচ্ছে। তাই বাড়িতে থেকেই পরিষেবা দিতে হচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, এই নিয়ে দ্রুত জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন, এলাকার মানুষ সবটা জানে, সময়মতো আগামী ভোটের ফলাফলে এর যোগ্য জবাব পাবে দুষ্কৃতীরা। তবে এই গোটা ঘটনা নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।

Hair Care Tips: পার্লারের খরচ বাঁচবে, ঘরোয়া টিপসে চুল হবে আরও সিলকি-মোলায়েম! মা-দিদিমাদের টোটকা, কখনও ফেল হবে না

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মহিলা থেকে পুরুষ চুলের নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। খুশকি, চুল পড়া, দু'মুখো চুল, শুষ্ক চুলের সমস্যায় চুলের বারোটা বেজে যায় একেবারেই।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মহিলা থেকে পুরুষ চুলের নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। খুশকি, চুল পড়া, দু’মুখো চুল, শুষ্ক চুলের সমস্যায় চুলের বারোটা বেজে যায় একেবারেই।
অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, চুলের সমস্যায় আগেই ওষুধ প্রযোগ করা আগেই উচিত নয়। এতে চুলের সমস্যা বেড়ে সম্ভবনা বেড়ে যেতে পারে। এবং চুলের ক্ষতি হতে পারে।
অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, চুলের সমস্যায় আগেই ওষুধ প্রযোগ করা আগেই উচিত নয়। এতে চুলের সমস্যা বেড়ে সম্ভবনা বেড়ে যেতে পারে। এবং চুলের ক্ষতি হতে পারে।
চুলের সকল সমস্যার একটি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। বাড়িতে ব্যবহৃত টক দই দিয়েই করা সম্ভব চুলের সমস্যার সমাধান। চুলে টক দই নিয়ম করে মাখলে দুর্দান্ত উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
চুলের সকল সমস্যার একটি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। বাড়িতে ব্যবহৃত টক দই দিয়েই করা সম্ভব চুলের সমস্যার সমাধান। চুলে টক দই নিয়ম করে মাখলে দুর্দান্ত উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করতে পারে এই টক দই। যদি চুলে টক দই মাখা যায় নিয়ম করে। তবে রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের সতেজতা ফিরিয়ে আনে দারুণ ভাবে সক্ষম এটি।
চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করতে পারে এই টক দই। যদি চুলে টক দই মাখা যায় নিয়ম করে। তবে রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের সতেজতা ফিরিয়ে আনে দারুণ ভাবে সক্ষম এটি।
খুশকির সমস্যা কমিয়ে দিতে দারুণ ভাবে সক্ষম এই টক দই। নিয়ম করে ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এই টক দই। ফলে মাথার খুশকি দূরে থাকে সহজেই।
খুশকির সমস্যা কমিয়ে দিতে দারুণ ভাবে সক্ষম এই টক দই। নিয়ম করে ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এই টক দই। ফলে মাথার খুশকি দূরে থাকে সহজেই।
দুই চামচ মেথি দানা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে ভেজানো মেথি মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হবে। সেই পেস্টের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে হেয়ার প্যাক বানানো যাবে।
দুই চামচ মেথি দানা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে ভেজানো মেথি মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হবে। সেই পেস্টের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে হেয়ার প্যাক বানানো যাবে।
চুল ভাল মতন আঁচড়ে নিতে হবে প্রথমে। তারপর ব্রাশের সাহায্যে হেয়ার প্যাক চুল ও স্ক্যাল্পে মেখে নিতে হবে। এরপর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রেখে ভাল মতন শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।
চুল ভাল মতো আঁচড়ে নিতে হবে প্রথমে। তারপর ব্রাশের সাহায্যে হেয়ার প্যাক চুল ও স্ক্যাল্পে মেখে নিতে হবে। এরপর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রেখে ভাল মতন শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।
টক দই চুলকে নরম করে দেয়। তাই সপ্তাহে এক থেকে দুই বারের বেশি টক দইয়ের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা উচিত নয়। অবশ্যই নিয়ম মেনেই এই প্যাক ব্যবহার করুন উপকার পেতে।
টক দই চুলকে নরম করে দেয়। তাই সপ্তাহে এক থেকে দুই বারের বেশি টক দইয়ের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা উচিত নয়। অবশ্যই নিয়ম মেনেই এই প্যাক ব্যবহার করুন উপকার পেতে।

Weight Loss Tips: ডায়েটিং, এক্সারসাইজ-এও ওজন কমছে না? মেনে চলুন এই সহজ টিপস, ৭ দিনের মধ্যে ওজন কমতে শুরু করবে

পুজোর আগেই ওজন কমিয়ে ছিপছিপে ফিগার চান? ডায়েটিং-ওয়ার্ক আউট কিছু করেই ওজন কমাতে পারছেন না? চিন্তা করবেন না! এই সহজ উপায়ে খুব তাড়াতাড়ি কমে ওজন! পুজোর আগেই আপনি 'স্লিম-ট্রিম'
পুজোর আগেই ওজন কমিয়ে ছিপছিপে ফিগার চান? ডায়েটিং-ওয়ার্ক আউট কিছু করেই ওজন কমাতে পারছেন না? চিন্তা করবেন না! এই সহজ উপায়ে খুব তাড়াতাড়ি কমে ওজন! পুজোর আগেই আপনি ‘স্লিম-ট্রিম’
কীভাবে ঝটপট ওজন কমাবেন? চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, ওজন না কমার নেপথ্যে থাকতে পারে বিভিন্ন কারণ। প্রথমেই এই কারণগুলি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেই ওজন-সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
কীভাবে ঝটপট ওজন কমাবেন? চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, ওজন না কমার নেপথ্যে থাকতে পারে বিভিন্ন কারণ। প্রথমেই এই কারণগুলি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেই ওজন-সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
কায়িক পরিশ্রমের পর পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। নাহলে শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। সঠিক ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, ফলে ওজন বাড়ে।
কায়িক পরিশ্রমের পর পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। নাহলে শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। সঠিক ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, ফলে ওজন বাড়ে।
 ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময় বিঘ্নিত হয় বেশি মোবাইল ব্যবহারে। মোবাইল থেকে বার হওয়া ‘নীল আলো' ক্ষতি করে। এতে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে গিয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময় বিঘ্নিত হয় বেশি মোবাইল ব্যবহারে। মোবাইল থেকে বার হওয়া ‘নীল আলো’ ক্ষতি করে। এতে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে গিয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
সকালে উঠে শরীরচর্চা স্বাস্থ্যের জন্য যতটা ভাল, ততটাই রাতে ঘুমের জন্যও উপকারী। দেরিতে ওঠার অভ্যাস এবং সঠিক সময়ে শরীরচর্চা না করা ওজন কমানোর পথে বাধা হতে পারে।
সকালে উঠে শরীরচর্চা স্বাস্থ্যের জন্য যতটা ভাল, ততটাই রাতে ঘুমের জন্যও উপকারী। দেরিতে ওঠার অভ্যাস এবং সঠিক সময়ে শরীরচর্চা না করা ওজন কমানোর পথে বাধা হতে পারে।
ওজন কমানোর শরীরচর্চা করতে নির্দিষ্ট সময় ও একাগ্রতা প্রয়োজন। অনেকে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এক্সারসাইজ করেন, বাকি দিন বাদ রাখেন। এতে আখেরে কোন-ও ফল-ই মেলে না। মাথায় রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য রোজ শরীরচর্চা প্রয়োজন।
ওজন কমানোর শরীরচর্চা করতে নির্দিষ্ট সময় ও একাগ্রতা প্রয়োজন। অনেকে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এক্সারসাইজ করেন, বাকি দিন বাদ রাখেন। এতে আখেরে কোন-ও ফল-ই মেলে না। মাথায় রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য রোজ শরীরচর্চা প্রয়োজন।
সারাদিনের খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের সমতা রাখা প্রয়োজন। সকালে স্বাস্থ্যকর খাবারে প্রোটিনের ঘাটতি রাখা চলবে না। আবার বেশি প্রোটিন খেয়ে ফেললেও চলবে না।
সারাদিনের খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের সমতা রাখা প্রয়োজন। সকালে স্বাস্থ্যকর খাবারে প্রোটিনের ঘাটতি রাখা চলবে না। আবার বেশি প্রোটিন খেয়ে ফেললেও চলবে না।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। সেই খাবার খেতে হবে সময় মেনে। সময় নেই বলে দুপুরের খাওয়া বাদ দিয়ে রাতে একটু বেশি খাওয়া চলবে না। শরীরচর্চার পরও ওজন না কমার অন্যতম কারণ এটি।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। সেই খাবার খেতে হবে সময় মেনে। সময় নেই বলে দুপুরের খাওয়া বাদ দিয়ে রাতে একটু বেশি খাওয়া চলবে না। শরীরচর্চার পরও ওজন না কমার অন্যতম কারণ এটি।

River Dam Erosion: টানা বৃষ্টিতে মানসাই নদী বাঁধে ভাঙন! চিন্তায় ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের

কোচবিহার: নিশিগঞ্জ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এই এলাকার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে মানসাই নদী। বেশ কিছুটা সময় ধরে এই এলাকার মানসাই নদীর বাঁধের বেহাল দশা। বাঁধের বেশ কিছুটা অংশে ভাঙন দেখা গিয়েছে। চলতি বছরে এই ভাঙন আরও কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় কারণে চিন্তায় ঘুম উড়েছে স্থানীয় মানুষদের।

এলাকার এক বাসিন্দা দুলাল বিশ্বাস জানান,”দীর্ঘ বেশ কিছুটা সময় ধরে নদী বাঁধের একেবারেই কাছে চলে এসেছে নদী। ফলে ভাঙন হয়েই চলেছে ক্রমাগত। বর্তমানে বেশ কিছু বাঁশের খাঁচা বসানো হয়েছে নদীর ভাঙন রোধ করতে। কিন্তু তাতে বাঁধ মানছে না নদীর জল।”

আরও পড়ুন:রাতে বালিশের নীচে এক টাকার কয়েন বা কয়েকটি এলাচ রেখে দেখুন, সকালে নিজেকেই নিজে চিনতে পারবেন না

এলাকার বাসিন্দা জয়া বিশ্বাস জানান,”এলাকায় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টির বেশি পরিবার বসবাস করে। নদী বাঁধের কারণে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত রয়েছেন তাঁরা। তবে যদি কোনোও কারণে নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। তবে নদীর জল এলাকায় ঢুকে পড়বে।” যেকোনও সময় নদীর জল ঢুকে বানভাসি হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে এলাকার মানুষদের। তাই তাঁরা চান দ্রুত এই নদী বাঁধের সংস্কার।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Sarthak Pandit

Eco-friendly Ornaments: প্রতিমার অঙ্গে কী সেই বিশেষ সাজ? বিসর্জনের পর ক্ষতি হবে না পরিবেশের

ভেটাগুড়ি: দুর্গাপুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই। তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। তবে শুধুই প্রতিমা শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা নয়। পাশাপাশি কাজ শুরু হয়েছে প্রতিমার অলংকার শিল্পীদেরও। শিল্পীদের এবার কাজের চাপ এখন থেকেই রয়েছে অনেকটা বেশি। চলতি বছরে অলংকার শিল্পীরা তৈরি করছেন দুর্গা প্রতিমার পরিবেশ বান্ধবগয়না, যা ইতিমধ্যেই নজর আকর্ষণ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন পুজো কমিটির।

প্রতিমা বিসর্জনের পর এই পরিবেশবান্ধব গয়নাগুলো পরিবেশের ক্ষতি করবে না, দাবি শিল্পীদের। তাছাড়াও, এই গয়নায় রয়েছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। শিল্পী অশোক বর্মন জানান, “এই পরিবেশবান্ধব গয়না তৈরি করা হচ্ছে শোলা ও কাগজ দিয়ে। ফলে এই গয়না বেশিদিন পরিবেশে থেকে পরিবেশের ক্ষতি করবে না।” বহু সময় ধরে তিনি দুর্গা প্রতিমার গয়না নির্মাণের কাজ করেন। চলতি বছরে বিগ বাজেটের পুজো থেকে শুরু করে সাধারণ পুজো মিলিয়ে মোট ৫০টি গয়না তৈরির অর্ডার পেয়েছেন তিনি। তাই এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হয়েছে তাঁকে।

বেশি দামের গয়না যেমন আছে, কম দামের গয়নাও বানিয়েছেন শিল্পীরা। অশোক জানান, এই গয়না মূলত প্রতিমার থিমের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করতে হচ্ছে। না হলে গয়নার সামঞ্জস্যতা থাকবে না। তাই খাটনি হচ্ছে অনেকটাই বেশি। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাঙালির উন্মাদনা থাকে অনেকটাই বেশি। তাই কাজের মান ভাল করার চাপও থাকে। নিপুণ হাতে, সময় নিয়ে তৈরি করতে হচ্ছে প্রতিমার অলংকারগুলি। মূলত এই কারণেই রেডিমেড অলংকারের চাইতে এই অলংকারগুলির চাহিদা রয়েছে বেশি। দেখতে সুন্দর মৌলিক ডিজাইনের গয়নার চাহিদাও তাই বেশি।

আরও পড়ুন-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় নিহত বাংলার যুবক! ২৭ বছর বয়সে প্রাণ দিলেন সেনা

চলতি বছরে কোচবিহারে বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে অনেকগুলি। সব পুজোর উদ্যোক্তারা এবার অনেকটাই আগে থেকে পুজো মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই প্রতিমা থেকে শুরু করে প্রতিমার অলঙ্কার শিল্পীদের চাপ বেড়েছে অনেকটাই। তবে চাপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ তাঁরা করছেন রীতিমতো দ্রুত গতিতে। শিল্পীদের আশা, এবার জেলার পুজোয় আকর্ষণ হতে চলেছে প্রতিমার পরিবেশবান্ধব গয়না।

সার্থক পন্ডিত

Coochbehar News: জল বাড়ছে নদীর! মাটির বাঁধ, আতঙ্কে দিন কাটছে অসম-বাংলা সীমান্তের মানুষের

বক্সিরহাট: গত বছর এলাকায় প্লাবন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়েছিল কোচবিহারের জনজীবন। চলতি বছর প্রবল বৃষ্টিতে বক্সিরহাটে নদীর জল বেড়েছে আবারও। যদিও এলাকায় একটি মাটির বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনিকভাবে। তবে সেই বাঁধ আদৌ কতটা কার্যকর তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নদীর জলের তোরে যে কোনও সময়ে সেই বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে পারে লোকালয়ে। ফলে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বাঁধ ভাঙলে ভেসে যাবে এলাকা। জল ঢুকে যাবে ঘরে ঘরে। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চাইছেন স্থানীয় মানুষদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব জানান, “গত বছর এলাকায় প্লাবন পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। তখন বহু মানুষের বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল জলের তলায়। সেই রেশ কাটতে অনেকটা সময় লেগেছে। এখন আবারও ক্রমাগত জল বাড়ছে নদীর। ফলে স্থানীয় মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।” তিনি জানান, এলাকায় যে নদীর বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই বাঁধ শুধুই মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধের দু’পাশে কোনও বাঁশের গার্ড ওয়াল দেওয়া হয়নি। ফলে নদীর জল বাড়লে, জলের ধাক্কায় বাঁধের মাটি নদী গর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এলাকার আর এক বাসিন্দা আয়ুব আলি জানান, তাঁর বাড়ির একেবারেই পাশে চলে এসেছে নদী। ফলে রাতে রীতিমতো চিন্তায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। বিগত বছরে নদীর জল ঢুকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল গোটা পরিবারকে। চলতি বছরে যদি সেই পরিস্থিতি দেখা দেয়, তবে কী ভাবে দিন কাটাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

আর এক বাসিন্দা বদরুল হকের কথায়, “এলাকায় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ পরিবার বসবাস করে। বর্তমানে সকলেই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। কী ভাবে দিন কাটবে জানি না। নদীর জল লোকালয়ে ঢুকতে আর মাত্র কিছুটা সময় বাকি।”

আরও পড়ুন- টাকা ফুরিয়েছে, রাখার জায়গাও! তবু কেন শপিং থামাতে পারছেন না এই তরুণী?

প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ চাইছেন তিনিও। যদিও এখনও পর্যন্ত এলাকায় কোনও প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়নি। বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই মাটির বাঁধের বেশিরভাগ মাটি নিচে নেমে এসেছে। ফলে এই বাঁধ কতদিন নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে, সেটাই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের। স্থানীয়রা দ্রুত কোনও স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।

সার্থক পন্ডিত

Viral Mango Drink: মরশুম শেষেও বাজার মাতাচ্ছে আমের এই পানীয়! একবার চেখে দেখতেই পারেন

কোচবিহার: সুস্বাদু ও রসালো পাকা আম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আর সেই সুস্বাদু পাকা আম দিয়ে যদি তৈরি করা হয় ঠান্ডা পানীয়। তবে তো কোন কথাই নেই। ৮ থেকে ৮০ সকলের মন জয় করতে পারে সেই পানীয়। ইতিমধ্যেই আমের মরসুম প্রায় শেষের পথে। তবে বর্তমানে কিন্তু কোচবিহার সদর শহরের বুকে এক নতুন পানীয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খাঁটি আম ও খাঁটি দুধের পুষ্টি পাওয়া যাচ্ছে এই ঠান্ডা পানি এর মধ্যে। তাইতো সন্ধ্যে নামলেই বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই পানীয়ের খোঁজে।

আরও পড়ুনঃ খোলা না বেঁধে- কীভাবে চুল রেখে ঘুমাবেন? জানুন সঠিক নিয়ম! নাহলে হতে পারে ব্রেনের ক্ষতি!

দোকানের কর্ণধার মেহবা খুশবু জানান, “খুব সম্প্রতি তিনি এই দোকান শুরু করেছেন কোচবিহারের বুকে। সদর শহরের সাগরদিঘি সংলগ্ন এলাকায় তাঁর দোকান ইতিমধ্যেই অনেকটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা পানীয় রয়েছে তাঁর দোকানের মধ্যে। তবে বর্তমানে আমের মরসুম থাকার কারণে আমের একটি বিশেষ ঠান্ডা পানীয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই বিশেষ ঠান্ডা পানীয়ের নাম “ম্যাংগো মিল্ক সেক”। মাত্র ৬০ টাকা প্রতি গ্লাস দামে পাওয়া যাচ্ছে এই ঠান্ডা পানীয়। তাইতো বহু মানুষ হয়ে জমাচ্ছেন এই ঠান্ডা পানীয়ের স্বাদ নিতে।”

তিনি আরও জানান, “একটি সম্পূর্ণ পাকা আম, বেশ কিছুটা খাঁটি দুধ, এবং বিভিন্ন ধরনের মসলার সহযোগে এই ঠান্ডা পানীয় তৈরি করা হচ্ছে। এবং গ্লাসের উপরে দেওয়া হচ্ছে পেস্তা বাদাম ও চেরি। যার ফলে এই পানীয়ের গ্লাসটি দেখতে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।” দোকানের এক গ্রাহক কাজল কুমার নন্দী জানান, “দাম অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাওয়ার দেওয়া হচ্ছে এই পানীয়ের মধ্যে। ফলে ছোট থেকে বড় সকলেই এই পানীয়ের স্বাদ নিতে পারবে। এছাড়া এই পানীয় কিন্তু বর্তমান সময়ে বহু মানুষের কাছে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।”

মরসুম শেষে এই পানীয় আর পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে একাধিক। তবে দোকানের কর্ণধারের দাবী মরসুম শেষেও তিনি এই পানীয় একই রকম ভাবে বিক্রি করবেন দোকানের মধ্যে। দোকানের বিক্রি প্রায় ৯০ শতাংশ এই পানীয় একাই দখল করে রয়েছে। তাই তো এই পানীয় হাতছাড়া করতে চাইছেন না দোকানের কর্ণধার।

Sarthak Pandit