Category Archives: পশ্চিম বর্ধমান

West Bardhaman News : দশম, দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় নম্বরের মেলা, নজরকাড়া সাফল্য দুর্গাপুরের এই স্কুলের 

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : বিগত এক দশকে দুর্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি হয়েছে অনেকটা। একাধিক নামিদামি স্কুল, কলেজ পথ চলা শুরু করেছে শহরের বুকে। কিন্তু শহরে যতগুলি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পুরানো ডিএভি মডেল স্কুল। ১৯৭৫ সালে এই স্কুল হাতেগোনা কিছু পড়ুয়াদের নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল। যেখানে এখন বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা কয়েক হাজার। আর সেই বিদ্যালয়ের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীরা রাখলেন নিজেদের সাফল্যের ছাপ। শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ এবছরও বজায় রাখল দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুল।

এই বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল হয়েছে নজর কাড়া। নম্বরের ভিত্তিতে ৯৭% নম্বর পেয়ে এই বিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রিয়া জৈন। দ্বাদশ শ্রেণীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় ৫৬৫ জন। যাদের মধ্যে ১০৩ জন পেয়েছেন ৯০% এর উপর নম্বর পেয়েছেন। ৩৫ জন পড়ুয়া বিভিন্ন বিষয়ে পেয়েছেন ১০০ শতাংশ নম্বর। দ্বাদশ শ্রেণীতে বিদ্যালয়ে গড় পাসের হার ৭৭ ৭৭.৯৯ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের এক আধিকারিক। এই বিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রিতে ১০০% নম্বর পেয়েছেন দুজন। বায়োলজিতে ১০০% নম্বর পেয়েছেন একজন পড়ুয়া। পেইন্টিংয়ে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ১৯ জন পরীক্ষার্থী। অ্যাকাউন্টান্সিতে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তিনজন পড়ুয়া। এছাড়া বিজনেস স্টাডিজে দু’জন এবং হেলথ কেয়ারে একজন পরীক্ষার্থী ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন।

আরও পড়ুন : ফ্লাইওভারের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ল ডাম্পার! খলনায়ক টায়ার…

অন্যদিকে এই বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর অর্থাৎ এসএসইতে গড় পাশের হার ৮০ শতাংশের বেশি। বিদ্যালয় ৩৯১ জন পড়ুয়া দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় বসেছিলেন। যার মাধ্যমে ৯৮.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে এই বিদ্যালয়ের প্রথম স্থান অধিকার করেছেন উমঙ্গ। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ৯৮.৪ শতাংশ নম্বর। অন্যদিকে তৃতীয় স্থান অধিকারী পড়ুয়া পেয়েছেন ৯৮ শতাংশ নম্বর। দশম শ্রেণীতে বিদ্যালয়ের গড় পাশের হার ৮১.৯১ শতাংশ। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ৮৬ জন বিভিন্ন বিষয়ে এক শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ডিএভি মডেল স্কুলে দশম শ্রেণীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মত বিষয় পড়ানো হয়। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের ২১ জন পড়ুয়া ১০০% নম্বর পেয়ে নজর কেড়েছেন শহরের।

আরও পড়ুন : ভোট দেওয়ার অন‍্য ছবি! বাড়ি বসে ভোট দিতে মন চায় না, বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও বুথে পৌঁছলেন অনিল

দুর্গাপুর ডিএভি মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল পাপিয়া মুখার্জি সফল পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পড়ুয়ারা নিজেদের প্রচেষ্টায় নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করেছেন। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের লাগাতার প্রয়াস বিদ্যালয়ের এই উজ্জ্বল সাফল্যকে ধরে রেখেছে। একই সঙ্গে তিনি পড়ুয়াদের পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকদেরও। পাশাপাশি, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য পড়ুয়াদের পাশাপাশি তিনি অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, যেভাবে ধীরে ধীরে শহরের শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক সাফল্যের মুকুট এসে জুড়ে ডিএভি মডেল স্কুলের মাথায়, তা আগামী দিনে আরও উজ্জ্বল হবে। পড়ুয়া, অভিভাবকদের, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীদের সমগ্র সহযোগিতায় এই সাফল্য বারবার আসে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নয়ন ঘোষ

Road Accident: ফ্লাইওভারের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ল ডাম্পার! খলনায়ক টায়ার…

পশ্চিম বর্ধমান: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল অন্ডাল কাজোরা এলাকার মানুষ। এই দুর্ঘটনার শিকার একটি ডাম্পার। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ডাম্পার চালকের। জাতীয় সড়কের রেলিং ভেঙে সার্ভিস রোডের ওপর পড়ে যায় ফ্লাই অ্যাশ ভর্তি ডাম্পারটি। তার ফলেই মৃত্যু হয় ডাম্পার চালকের। অন্যদিকে দুর্ঘটনার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে।

এই দুর্ঘটনা দেখে রীতিমত ভয় পেয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। কিন্তু কীভাবে হল এই দুর্ঘটনা? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তাঁদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। তাঁরা বলেন, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজোরা এলাকা থেকে অন্ডালের দিকে যাচ্ছিল ডাম্পারটি। কিন্তু হঠাৎ করেই তার টায়ার ফাটার বিকট শব্দ শোনা যায়। তার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ডাম্পার চালক। ডাম্পারটি জাতীয় সড়কের ফ্লাইওভারের রেলিং ভেঙে সার্ভিস রোডের উপর এসে পড়ে।

আরও পড়ুন: শহরকে বাঁচাতে ডিজিটাল উদ্যোগ! এই বাংলায় যা হল…

এই প্রসঙ্গে স্থানীয়রা বলছেন, সেসময় সৌভাগ্যবশত সার্ভিস রোডের উপর কোনও গাড়ি বা বাইক চালক ছিলেন না। না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সেক্ষেত্রে এই দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। অন্যদিক এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। নিয়ে আসা হয় ক্রেন। ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার ফলে ডাম্পারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। দীর্ঘ এক ঘণ্টা চেষ্টা করার পর ডাম্পারের কেবিন থেকে চালকের দেহ বের করা হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে এই দুর্ঘটনা দেখে রীতিমতশিউরে উঠছেন স্থানীয়রা।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বন্দি জনমত! চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

পশ্চিম বর্ধমান: চতুর্থ দফায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার এই কেন্দ্রে সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। ভোটদানে ভোটারদের ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। নতুন ভোটারদের মধ্যে দেখা গিয়েছে উদ্দীপনা। একইসঙ্গে বয়স্ক ভোটারদেরও নানান প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভোট দিতে আসতে দেখা গিয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন। তার আগে এখনও রাজ্যে তিনটি দফার নির্বাচন বাকি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের জনমত এখন বন্দি রয়েছে স্ট্রংরুমে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে স্ট্রংরুম এলাকাটি। স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় যাতে কোন‌ও ফাঁকফোকর না থাকে সেদিকে নজর রয়েছে প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: খোল-করতাল নিয়ে ভোট প্রচারে তৃণমূল

উল্লেখ্য, আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে করা হয়েছে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম। এখানেই আগামী ৪ জুন পর্যন্ত বন্দি থাকবে আসানসোলবাসীর জনমত। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে স্ট্রংরুম এলাকাটি। জনমত যাতে সুরক্ষিত থাকে তার জন্য নিরাপত্তার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে কমিশন এবং প্রশাসনের তরফ থেকে।

প্রসঙ্গত, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সোমবার নির্বাচন-পর্ব সম্পূর্ণ হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে, তেমন অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। এমনটাই জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে। পাশাপাশি ভোটদানের হারও বেশ ভাল বলেই জানা গিয়েছে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপির প্রার্থী ছিলেন এস এস আলুওয়ালিয়া এবং বাম প্রার্থী ছিলেন জাহানারা খান।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: গণতন্ত্রের অধিকার তাঁদেরও, শত লাঞ্ছনার শিকার হয়েও ভোট উৎসবে সামিল হওয়ায় পিছপা নন

দুর্গাপুর: ছেলেবেলা থেকেই জীবনযুদ্ধে সামিল। সংগ্রামেই কাটে দিন। পরিবার পরিজনের কাছে চিরকালই তাঁরা অবহেলিত। সমাজের মানুষেরাও বাঁকা চোখে দেখে তাঁদের। রুটিরুজির টানে রোদ, জল, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। অনেক সময় মানুষের লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় তাঁদের। কারণ তথাকথিত সমাজে তাঁরা তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ।

কিন্তু তাঁদেরও যে রয়েছে গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার। আর তাইতো ভোট উৎসবে তারাও শামিল হয়েছেন গণতন্ত্রে শরিক হতে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় চলছে চতুর্থ দফার ভোট। পশ্চিম বর্ধমানের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকায় বসবাস করেন প্রায় ২০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।

জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ভোটার তাঁরা। তাঁদের মধ্যে তিনজন দুর্গাপুরের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিয়ে দিয়েছেন। যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁরা হলেন নাগেশ্বরী প্রসাদ রায়, তুলতুলি কিন্নার, সোনালী কিন্নার। এ বিষয়ে কিন্নর গোষ্ঠীর প্রধান নাগেশ্বরী প্রসাদ রায় জানান, দীর্ঘ প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে তিনি ভোট দিচ্ছেন। সরকারি বিশেষ সুযোগসুবিধা তিনি না পেলেও গণতন্ত্রের শরিক তিনি। সরকারের কাছে তাঁর বিশেষ কোনও চাহিদাও নেই। যেভাবে জীবন চলছে সেভাবেই চলবে।

আরও পড়ুন: হাতে আর বেশি সময় নেই… শুরু হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, ঝড়ের আশঙ্কাও রয়েছে দক্ষিণের জেলা ঝাড়গ্রামে! আবহাওয়ার জরুরি বার্তা

এ বিষয়ে এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কি পাঁজা বলেন, প্রতিবারই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা নিজের ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করেন। এ বছরও তাঁরা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছেন।

খাদ্যবস্ত্রের প্রয়োজনে রাস্তায়-রাস্তায় কাটে তাঁদের গোটা জীবন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। বহু লড়াইয়ের পর তাঁরা গণতন্ত্রের অধিকার পেয়েছেন। ‌তাই ভোটের এই উৎসবে তাঁরাও সমান ভাবে অংশীদার।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Lok Sabha Election 2024: ভোট দেওয়ার অন‍্য ছবি! বাড়ি বসে ভোট দিতে মন চায় না, বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও বুথে পৌঁছলেন অনিল

পশ্চিম বর্ধমান : চতুর্থ দফায় সকাল থেকে আসানসোলে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটদান পর্ব। সকাল ৭ টার আগে থেকেই ভোটারদের লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে।

আর এই ভোট পর্বে ধরা পড়েছে নানান ছবি। ভোট দিয়েছেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট প্রার্থীরা। কিন্তু তার মধ্যেই ধরা পড়েছে অন্য ছবি। যার কাছে ভোট যেন বড় উৎসব।

আরও পড়ুন: YouTube-ভিডিও থেকে কত টাকা আয় হয়? ১ মিলিয়ন ভিউজ হলে কত রোজগার হয়? ৯৯% লোকজনই জানেন না

বয়স্ক এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য বাড়িতে বসে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বাড়িতে বসে ভোট দেওয়ার সেই মজা নেই, তাই বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও তাই বুথে গিয়েই সোমবার সকাল সকাল ভোট দিলেন অনিল কুমার সিং। বিশেষ গাড়িতে চেপে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ভোটকেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তিনি।

অনিল কুমার সিং বলছেন, এখন তিনি এই বিশেষ গাড়িটি পেয়েছেন ইসকো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। কিন্তু আগে তিনি এই বিশেষ গাড়ি ছাড়া ভোট দিতে যেতেন। তার পায়ে সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বয়স বেশি নয়। তাছাড়াও বাড়িতে বসে ভোট দেওয়ার মজা নেই বলেই মনে করেন তিনি। সে কারণেই তিনি ভোটের সময় ছুটে যান বুথে ভোট দিতে।

আরও পড়ুন: অনিয়মিত পিরিয়ড, ক্র‍্যাম্প, অসহ‍্য যন্ত্রণা? মহৌষধের মতো কাজ করবে এই ‘চা’! বাড়তি পাওনা-কমবে ওজন

তিনি আরও জানিয়েছেন, তার বাবার ৯০ বছরের বেশি বয়স হয়েছিল। তিনি বাড়িতে বসে ভোট দিতেন। দু’বছর আগে তিনি মারা যান। কিন্তু সে সময় যখন ভোট কর্মীরা বাড়িতে ভোটগ্রহণের জন্য যেতেন, তখনও তিনি বুথে এসেই ভোট দিতেন। ভোটের দিন সকাল সকাল তিনি বেরিয়ে পড়েন ভোট উৎসবে আনন্দের শামিল হতে। ভোট উৎসবের আমেজ গায়ে মেখে ভোট দেন তিনি। তারপর লক্ষ্য রাখেন এলাকায় কি হচ্ছে, না হচ্ছে সেইসব ঘটনার দিকে।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: ব্যাপক উৎসাহ নতুন ভোটারদের, সোশ্যাল মিডিয়া ভরল প্রথমবার ভোট দানের ছবিতে

পশ্চিম বর্ধমান: সোমবার ছিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এদিন সকাল থেকেই ভোটারদের লাইন দেখা গিয়েছে আসানসোলের বিভিন্ন বুথে। ভোটদানের হারও বেশ ভাল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে আসানসোলে নির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। যদিও আসানসোল লোকসভার অন্তর্গত পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় ছিল নতুন ভোটারদের। তবে সবচেয়ে লক্ষ্যনীয় ছিল নতুন ভোটারদের প্রথমবারের ভোটদানের উৎসাহ।

এদিন সকাল থেকেই প্রথমবারের ভোটারদের ভিড় নজরে পড়েছে বিভিন্ন বুথে। এতদিন তারা ভোট সম্পর্কে শুনেছেন। কিন্তু এ বছর তারা প্রথমবার ভোট দিয়েছেন। ভোট দেওয়ার আগে কিছুটা ভয় ছিল, ভীতি ছিল, সেই সঙ্গে ছিল প্রবল কৌতুহল। তবে ভোটদান শেষে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে তারা বুথ থেকে বেরিয়ে এসেছে। নতুন ভোটারদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভোট কর্মী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট, এমনকি ভিন রাজ্য থেকে আসা নিরাপত্তারক্ষীরাও।

আরও পড়ুন: বীরভূমের বুথে শিশুর মাতৃদুগ্ধ পানের পৃথক ব্যবস্থা, ভোটে সাবালক হল প্রশাসন

এই সহযোগিতার ফলে প্রথমবারের ভোটাররা নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোট দিতে পেরেছেন। উল্লেখ্য, এবারে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে নতুন ভোটের সংখ্যা। আর সেই ভোটারদের মধ্যেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্য ছবি ধরা পড়ল। ভোট দানের পর প্রথমবারের বহু ভোটারকে আঙুলে কালি লাগানো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে দেখা যায়।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Elections 2024: গ্রামে কখনও হয় না রাজনৈতিক প্রচার, তবুও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিলেন বাসিন্দারা সকলেই

দুর্গাপুর: সর্বত্র হল চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানেও হয়েছে নির্বাচন। পশ্চিম বর্ধমানের শিল্প শহর দুর্গাপুরেও হয়েছে ভোট। এই শিল্প শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত অন্যতম একটি গ্রাম হল করঙ্গপাড়া। প্রায় দেড়শো বছর পুরানো এই গ্রাম। বাংলা থেকে সচেতনভাবে নিজেদের আলাদা করে রেখেছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা৷ যেখানে ভোট হিংসা নিয়ে সর্বভারতীয় পর্যায়ে দুর্নাম বাংলার, সেখানে শিল্প শহর দুর্গাপুরের অন্যতম প্রাচীন জনপদ করঙ্গপাড়ার গল্প একশো আশি ডিগ্রি আলাদা। দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন এই প্রাচীন গ্রামে রাজনীতি পাত্তা পায় না৷

ভোট থাকলেও এই গ্রামে প্রচার, মিটিং মিছিল, দেওয়াল লিখন কোনও কিছুই হয় না। সমস্ত রাজনৈতিক দলের মানুষেরা এই গ্রামে বসবাস করলেও গ্রামে আজও পড়েনি রাজনীতির ছায়া। গ্রামের কোনও রাস্তায় নেই প্রার্থীর সমর্থনে ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন-ব্যানার৷ এবছরও প্রথা মেনে এলাকার পুরানো রেওয়াজকে মান্যতা দিয়েছে করঙ্গপাড়ার মানুষ। ভোটের দিনেও দেখা গেল একই চিত্র। এই দিনেও এই এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দান করেছেন।

আরও পড়ুনLok Sabha Election 2024: “ডাক্তারবাবু গো…”পোলিং বুথে অসুস্থ কর্মীর শুশ্রূষা করলেন বিজেপির চিকিৎসক প্রার্থী নিজেই

এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা বলেন , পূর্ব পুরুষদের আমল থেকেই তারা দেখে আসছেন তাদের এই গ্রামে কোনও রাজনীতির ছায়া নেই। যত বড়ই হেভিওয়েট প্রার্থী হোক না কেন তারা এই গ্রামের উপর দিয়ে কখনওই প্রচার করতে পারেন না। তারা চান আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও এই ধারা বজায় রাখুক।

দুর্গাপুরের ৩০ নং ওয়ার্ড করঙ্গ পাড়া। এই গ্ৰামে জনপদ প্রায় আট হাজারের কাছাকাছি। রাজনৈতিক সব দলের বসবাস হলেও এই গ্রামে রাজনীতির ছায়া নেই বললেই চলে। এই গ্রামে যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাইএই উদ্যোগ গ্রামবাসীদের। বছরের পর বছর তারা এই ধারাকেই বজায় রেখেছেন।তবে ভোটের দিনেতারা সুষ্ঠুভাবে আনন্দ সহকারে ভোট দিয়েছেন সকলেই।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Lok Sabha Election 2024: স্ত্রী পুজো দিলেন মঙ্গল কামনায়! ভোটারদের সঙ্গে সেলফি তুললেন শত্রুঘ্ন

এ দিন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা, নির্বাচনে ভাল ফলের প্রার্থনা করে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। পুজো পর্ব শেষে তিনি শত্রুঘ্নকে আশীর্বাদী টিকা দেন।
এদিন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা, নির্বাচনে ভাল ফলের প্রার্থনা করে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। পুজো পর্ব শেষে তিনি শত্রুঘ্নকে আশীর্বাদী টিকা দেন।
এ দিন ভোটপর্ব কেমন চলছে, তা পরিদর্শনে যান তৃণমূল প্রার্থী। অন্য দিকে তারকা প্রার্থীকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ভোটাররা। ভোটারদের সঙ্গে সেলফি তোলেন প্রার্থী।
এ দিন ভোটপর্ব কেমন চলছে, তা পরিদর্শনে যান তৃণমূল প্রার্থী। অন্য দিকে তারকা প্রার্থীকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ভোটাররা। ভোটারদের সঙ্গে সেলফি তোলেন প্রার্থী।
ভোটের দিন দুপুরের দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হন। প্রথমে যান আসানসোলের ইদ্গা এলাকার একটি বুথে। তারপর যান দলীয় কার্যালয়ে।
ভোটের দিন দুপুরের দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হন। প্রথমে যান আসানসোলের ইদ্গা এলাকার একটি বুথে। তারপর যান দলীয় কার্যালয়ে।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সকাল থেকেই সবার নজর ছিল তার দিকে। কিন্তু ভোটের দিন কী করলেন তিনি?
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সকাল থেকেই সবার নজর ছিল তার দিকে। কিন্তু ভোটের দিন কি করলেন তিনি?
এদিন শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিজের জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, উপনির্বাচনের থেকেও এই লোকসভা নির্বাচনের ফল আরও ভাল হবে। অন্য দিকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিরোধীদের কটাক্ষও করেছেন।
এদিন শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিজের জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, উপনির্বাচনের থেকেও এই লোকসভা নির্বাচনের ফল আরও ভাল হবে। অন্য দিকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিরোধীদের কটাক্ষও করেছেন।

Lok Sabha Elections 2024: এককালে সকলের থেকে দূরে থাকতেন, আজ ‘তাঁরা’ গণতন্ত্রের উৎসবের শামিল, ওঁরা কারা জানেন?

পুরুলিয়া: রাজ্যে চলছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। ভোর থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন বুথগুলিতে। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরেও চলছে নির্বাচন। সমস্ত জায়গায় রয়েছে কড়া নজরদারি। ‌দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব দিগন্ত। দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের ২১১ নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমানে ১৬৮ জন ভোটার রয়েছেন এই বুথে। ‌এককালে এই বুথের বেশির ভোটারই ছিল কুষ্ঠ আক্রান্ত। ‌গ্রামের শেষ প্রান্তে ছিল এই কেন্দ্র। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা করিয়ে অনেকেই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এখন হাতে গুনে ১২-১৫ জন রোগী রয়েছেন এলাকায়। আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জীবন।

এ প্রসঙ্গে এলাকার ভোটাররা বলেন, এককালে তাঁদের এই এলাকার নাম ছিল কুষ্ঠ কলোনী। এই নাম থাকার কারণে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হত তাদের সন্তানদের। সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হত। বর্তমানে এলাকার নাম কুষ্ঠ কলোনী পরিবর্তন করে নব দিগন্ত দেওয়ায় তাদের অনেক ক্ষেত্রে উপকার হচ্ছে। তারা অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আর এ বছর তাদের এই বুথ মডেল বুথ করায় তারা ভীষণই খুশি। ‌

আরও পড়ুনঃ থমথমে বোলপুর! ‘তাঁর’ অনুপস্থিতিতে ফিকে ভোট! কী বলছে অনুব্রতর পাড়া-বুথ? জানুন

কুষ্ঠ রোগ, যার নাম শুনলেই আপন মানুষও পর হয়ে যেত। পরিবার পরিজনের কাছে বোঝা হয়ে উঠত এই রোগে আক্রান্তরা। ‌ভীষণ দুর্বিসহ হয়ে উঠত জীবন। সিংহভাগ সমস্য দূর হলেও মানুষের মনে আজও কুষ্ঠ রোগ নিয়ে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা থেকে গিয়েছে। কুষ্ঠ রোগীদের সঙ্গে আপনজনরাই অস্পৃশ্যের মত আচরণ করে। দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব দিগন্ত এলাকার মানুষেরাও জীবন যুদ্ধে অনেকখানি লড়াই করে ফিরে এসেছেন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে। ‌ আনন্দের সঙ্গে আজ তারাও ভোট দান করলেন।

শমিষ্ঠা ব্যানার্জি

Lok Sabha Election 2024: কোনও বুথে শুধুই গোলাপি রঙের ছড়াছড়ি, কোনও বুথে সবুজের থিম! দুর্গাপুরে ভোট যেন উৎসব

আজ চতুর্থ দফার নির্বাচন। ভোট হচ্ছে রাজ্যের ৮ টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে রয়েছে আসানসোল এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র দুটি।
আজ চতুর্থ দফার নির্বাচন। ভোট হচ্ছে রাজ্যের ৮ টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে রয়েছে আসানসোল এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র দুটি।
ভোটপর্বকে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজে গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র অর্থাৎ বুথগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
ভোটপর্বকে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজে গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র অর্থাৎ বুথগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার অন্তর্গত দুর্গাপুরে রয়েছে ৯ টি মহিলা পরিচালিত বুথ। এই বুথগুলোর যাবতীয় দায়িত্বে আছেন মহিলা ভোট কর্মীরা। মহিলা পরিচালিত বুথগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোলাপি রঙে।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার অন্তর্গত দুর্গাপুরে রয়েছে ৯ টি মহিলা পরিচালিত বুথ। এই বুথগুলোর যাবতীয় দায়িত্বে আছেন মহিলা ভোট কর্মীরা। মহিলা পরিচালিত বুথগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোলাপি রঙে।
আবার, দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় অথবা নবদিগন্ত কমিউনিটি হলের মত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে অন্যভাবে। সবলিমিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবের মত সেজে উঠেছে জেলা।
আবার, দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় অথবা নবদিগন্ত কমিউনিটি হলের মত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে অন্যভাবে। সবলিমিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবের মত সেজে উঠেছে জেলা।
এছাড়াও দুর্গাপুর গার্লস হাইস্কুল অর্থাৎ ২৪৯, ২৫০,২৫১ নম্বর বুথ সাজানো হয়েছে অন্য ভাবনায়। এই বুথ সাজানোর ক্ষেত্রে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া।
এছাড়াও দুর্গাপুর গার্লস হাইস্কুল অর্থাৎ ২৪৯, ২৫০,২৫১ নম্বর বুথ সাজানো হয়েছে অন্য ভাবনায়। এই বুথ সাজানোর ক্ষেত্রে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া।