Tag Archives: handicraft

Bamboo Product: কাঁচা বাঁশের এই জিনিস তৈরি করে দু’হাত ভরে রোজগার করুন

কোচবিহার: সাধারণভাবে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাঁশ। এই বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য কিংবা নকশাও তৈরি করা যায়। ঘর সাজানোর উপকরণ থেকে শুরু করে দরকারি উপকরণ তৈরি করা যায় বাঁশ দিয়ে। কাঁচা বাঁশ দিয়ে আরেক ধরনের জিনিস তৈরি করা যায়, যাকে গ্রাম বাংলায় ধারি বলে চেনে মানুষজন। এই ধারি তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা সম্ভব।

কোচবিহারে তুফানগঞ্জ এলাকার বিশ্বনাথ রায় নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এই ধারি তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ রায় জানান, এই ধারিগুলি তৈরি করতে খুব একটা বেশি খরচ হয় না। শুধুই কাঁচা বাঁশ কিনতে এবং শ্রমিকদের মজুরিতে যেটুকু খরচ হয়। তবে এই ধারি কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়। মধু এবং রেশম শিল্পে এই ধারির ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সময়ে এই ধরির প্রচুর পরিমাণে অর্ডার আসে তাঁর কাছে।

আরও পড়ুন: দুর্গম মনিরাং শৃঙ্গ অভিযানে জলপাইগুড়ির ৯ অভিযাত্রী

এই ধারি তৈরির দুই শ্রমিক বাদল শেখ ও মহম্মদ নুর ইসলাম জানান, কাটা বাঁশ ফাটিয়ে তার ফালা বের করে নিতে হয়। এবার সেই ফালাগুলিকে হাতের মাধ্যমে বুনতে হয়। তাহলেই তৈরি হয়ে যায় এই বিশেষ ধারি। দিনে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয়টি ধারির বেশি তৈরি করা যায় না। মূলত ধারির মাপের উপর নির্ভর করে তা তৈরি করতে কতক্ষণ সময় লাগবে। অনেকে মালদহ থেকে কোচবিহারে এসে এই ধারি তৈরির কাজ করেন।

সার্থক পণ্ডিত

Jute Bag: প্লাস্টিক সরিয়ে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগ তৈরিতে রোজগারের দিশা

দক্ষিণ দিনাজপুর: পাট জাত জিনিসের চাহিদা জেলা জুড়ে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ফলে এই পাট দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে বহু মানুষ বালুরঘাট শহরে ভিড় করছেন। আশেপাশের বহু মহিলাদের পাটজাত সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় কয়েক মাস ধরে চলছে এই প্রশিক্ষণ পর্ব। মহিলারা যাতে পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নিজেদের হাতে তৈরি একাধিক ডিজাইনের ছোট বড় হাতব্যাগ, পুতুল, ফুলদানি সাধারণ মানুষদের মন জয় করেছে।

প্রসঙ্গত, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এই যুগে পরিবেশকে বাঁচানই আমাদের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় বারবার প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, প্লাস্টিক ব্যবহার ও প্রকৃতিতে মিশে যেতে অক্ষম প্লাস্টিক বর্জ্য সাংঘাতিক ক্ষতি করছে পৃথিবীর ভারসাম্যের। আর এই সুযোগেই উঠে আসছে পাটের ব্যাগ তৈরি এবং ব্যবহারের চল। পাট যথেষ্ট পরিবেশ বান্ধব। পাটের সূক্ষ সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা এই ব্যাগ সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যায়। কোন‌ওরকম পরিবেশ দূষনের সম্ভাবনা নেই। তাই পাটের তৈরি এইসব ব্যাগের বহুল ব্যবহার ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টির সুযোগে চা বাগান শ্রমিকদের বাড়ি তছনছ করল বুনো হাতি

এমনকি বর্তমানে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে অন্যতম হল পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করা। দেশের পাশাপাশি পাটের তৈরি এইসব জিনিসের চাহিদা আছে বিদেশের বাজারে‌ও। দূষণ রুখতে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ জোগাচ্ছে সরকার‌ও। এই সকল জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আর সেক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। সহজলভ্য পাটের কাজ শিখে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তাঁরা।

সুস্মিতা গোস্বামী

Handicraft Fair: মহিলাদের নিয়ে বহরমপুরে বিরাট কাণ্ড! জানলে আপনিও…

মুর্শিদাবাদ: নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে পাথেয় করে যাতে ওরা আগামীদিনে সাবলম্বী হতে পারে তার‌ই চেষ্টা। আর তাই স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের নিয়ে বহরমপুর গার্লস কলেজে আয়োজিত হল উদ্ভাবনী হস্তশিল্প ও প্রদর্শনী মেলা।

বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্যোগে ও বহরমপুর মহারানি কাশীশ্বরী গার্লস হাই স্কুল, গোরাবাজার শিল্পমন্দির গার্লস হাই স্কুল ও মহিলাদের নিয়ে কাজ করা দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার উদ্বোধন করেন বহরমপুর গার্লস কলেজের অধ্যক্ষা হেনা সিনহা। নিজেদের হাতে তৈরি সুন্দর সুন্দর জিনিস, সেইসঙ্গে হাতে তৈরি নানারকম খাবারের পসরা সাজিয়ে ১৬ টি স্টল দেয় ছাত্রীরা। বিকিকিনিও হচ্ছে খুব ভাল। নিজেদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে সকল ছাত্রীরা যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেই বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করতেই মূলত এই হস্তশিল্প ও প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: কেমন আছে জাতীয় সড়ক? নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করল আইআইটি খড়গপুর

উদ্যোক্তাদের কথায়, আগামী দিনে ছাত্রীদের আরও কর্মদ্যোগী করতে হবে। তাই এই হস্তশিল্প মেলার আয়োজন। নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পশরা সাজিয়ে বসেছিলেন ছাত্রীরা। প্রায় ৫০০-এর বেশি ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিলেন এই প্রতিযোগিতায়। কেউ হাতে আঁকা ছবি, কেও বা হাতের তৈরি গয়না, এমনকি ফুচকা, ঘুগনি, পাঁপড় ও পাপরি চাটের স্টল দেয়।

ছাত্রীদের কথায়, যে উপার্জন হবে সেটা দিয়ে আগামী দিনে আরও ভাল করে হস্তশিল্পের কাজ করা যাবে। এমনকি আগামী দিনে বাবা-মার কাছ থেকে টাকা না নিয়েই নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে এই হস্তশিল্প করতে পারবেন বলেই দাবি ছাত্রীদের। অন্যদিকে, এই উদ্যোগে খুশি শিক্ষিকারাও। তাঁরা জানান, এই উদ্ভাবনী উদ্যোগ আগামী দিনে ছাত্রীদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

কৌশিক অধিকারী

Cane Craft: প্লাস্টিকের রমরমায় অবলুপ্তির পথে হুগলির বেত শিল্প

হুগলি: একটা সময় ছিল যখন বেতের ঝুরি বা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি হত ঝুড়ি কুলের মতন একাধিক সামগ্রী। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের রমরমা বাজারে অবলুপ্তির পথে বেত ও কঞ্চির সামগ্রী। যার ফলে কমছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা কারিগরদের সংখ্যা। বর্তমান সময়ে হুগলিতে হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার রয়েছে যারা বেতের কুলো, ঝুড়ি এই সমস্ত দৈনন্দিন গৃহস্থলীর সামগ্রী বানানোর কাজে যুক্ত। তবে পরবর্তী প্রজন্ম মুখ ফিরিয়েছে এই কাজ থেকে।

হুগলির ভদ্রেশ্বরের বিঘাটির পঞ্চায়েতের গৌরাঙ্গপুর গ্রামে একটা সময় গ্রামের সমস্ত পরিবার যুক্ত ছিল বেতের কাজের সঙ্গে। ঝুড়ি, কুলো, বেতের চেয়ার এই সমস্ত কিছুই বেত বা কঞ্চি দিয়ে তৈরি করতেন। আজও সেই কাজ করেন, তবে যুক্ত থাকা মানুষের সংখ্যা অনেক কমেছে। সেই সময় বাজারে এই সমস্ত জিনিসের চাহিদাও ছিল ভাল। কিন্তু কালের নিয়মে বেত-কঞ্চির জায়গা নিয়েছে প্লাস্টিক। অনেক কম খরচে ও কম দামে প্লাস্টিকের এই সমস্ত সামগ্রী বাজারজাত হচ্ছে। যার ফলে কমে কমেছে পরিবেশ বান্ধব সামগ্রীর চাহিদা। একটা সময় গৌরাঙ্গপুরের ঘরে ঘরে এই কাজ হলেও বর্তমানে মাত্র দুটি পরিবার যুক্ত রয়েছে ঝুড়ি তৈরির কাজের সঙ্গে।

আর‌ও পড়ুন: টিবি মুক্ত বাঁকুড়া, আদৌ কি সম্ভব? কী বলছেন সরকারি কর্তারা

এই বিষয়ে এক কারিগর জানান, কঞ্চির ঝুরি বানিয়ে বাজারজাত করার কোনও উপায় নেই। তাই হকার সেই ঝুড়ি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করেন। রিষড়া, হিন্দমোটর, কোন্নগর, উত্তরপাড়ার মত জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুরে এই বেতের ঝুড়ি বিক্রি করতে হয়। একটি ঝুড়ি বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা দামে। এই কাজ করতে শারীরিক পরিশ্রম ও দক্ষতা দুই’ যথেষ্ট প্রয়োজন। তবে এত পরিশ্রম করেও দিনের শেষে যখন তাঁদের সামগ্রী বিক্রি হয় না তখন হতাশা গ্রাস করে কারিগরদের। সেই কারণেই বহু কারিগর বদলেছেন নিজেদের পেশা।

বিঘাটির গৌরাঙ্গপুরে এখন মাত্র দুটি পরিবার বহন করে আসছে বেত শিল্পের ঐতিহ্য। তবে তাঁরা মনে করছেন তাঁদের পরে আর কেউই এ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না। কারণ পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এত কম উপার্জনে নিজেদের সংসার চালাতে পারবে না। তাই উপার্জন বাড়াতে অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বাকিরা।

রাহী হালদার

Bankura News: অসাধারণ হাতের কাজ! বাঁকুড়ার পটের গয়না, দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যাবে!

বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার ভরতপুরের মহিলা পট চিত্রশিল্পীরা তৈরি করছেন পটের গয়না।
বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার ভরতপুরের মহিলা পট চিত্রশিল্পীরা তৈরি করছেন পটের গয়না
কাপড়ের ব্যাগের উপর আঁকা হচ্ছে প্রাচীন পটচিত্র। বাণিজ্যিকরণের এই বিশেষ পদক্ষেপ
কাপড়ের ব্যাগ এর উপর আঁকা হচ্ছে প্রাচীন পটচিত্র বাণিজ্যিকরণের এই বিশেষ পদক্ষেপ।
এছাড়াও গ্লাসের উপর আঁকা হচ্ছে পটচিত্র। এর আগে পট কিংবা দেওয়ালেই সীমাবদ্ধ ছিল এই চিত্র গুলি
এছাড়াও গ্লাসের উপর আঁকা হচ্ছে পটচিত্র। এর আগে পট কিংবা দেওয়ালেই সীমাবদ্ধ ছিল এই চিত্রগুলি।
ব্যাগ,গহনা এবং ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করতে এগিয়ে এসেছেন গ্রামের মহিলা শিল্পীরা। কাজ শিখছে শিশুরাও
ব্যাগ গহনা এবং ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করতে এগিয়ে এসেছেন গ্রামের মহিলা শিল্পীরা। কাজ শিখছে শিশুরাও
বিশেষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পটের গহনা। এগুলিতে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্যের ছোঁয়া।
বিশেষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পটের গহনা। এগুলিতে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্যের ছোঁয়া।
ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে, নিজেদের জীবন জীবিকাতেও পটচিত্রের ব্যবহার করছেন শিল্পীরা।
ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে, নিজেদের জীবন জীবিকাতেও পট চিত্রের ব্যবহার করছেন শিল্পীরা।