Tag Archives: Madhyamik

Missing School Student: ফল প্রকাশের আগের দিন থেকে নিখোঁজ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, ১৫ দিন পরেও সন্ধান নেই সায়নের

কোচবিহার: নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ১৫ দিন। এখনও খোঁজ মেলেনি খাগড়াবাড়ির মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সায়ন দাসের। ফোন করলে সুইচ অফ বলছে। ফলে প্রবল উদ্বেগে দিন কাটছে পরিবারের সদস্যদের।

পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই নিখোঁজ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সন্ধানে নেমে পড়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সায়নের সব বন্ধুদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ‌ও করেছে। কিন্তু বিশেষ একটা এগোনো সম্ভব হয়নি। সেভাবে কোন‌ও কিছু জানতে না পারায় পুলিশ অদ্ভুত এক ধোঁয়াশার মধ্যে আছে। অন্যদিকে দু’সপ্তাহ পরেও ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নিখোঁজ থাকায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: নাতিরা দৌড়ে চলে এলেও পারল না দাদু, বজ্রপাতে ফের কৃষকের মৃত্যু

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধে নাগাদ সায়ন বন্ধুদের সঙ্গে সাগরদিঘি চত্বরে ঘুরতে গিয়েছিল। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ। চলতি বছরের রামভোলা হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল সে। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়বে বলে পড়াশোনাও শুরু করে দিয়েছিল। তবে আচমকাই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগের দিন রাতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর থেকে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধান নেই।

সায়নের মামা উজ্জ্বল দাস জানান, সায়নের ছেলেবেলাতেই বাবা মারা গিয়েছিল। তারপর থেকে তার মা বেসরকারি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করে ছেলেকে বড় করে তোলেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন সায়ন দাসের পরনে ছিল ধূসর ও সাদা রঙের বিন্দু ওয়ালা একটি ফুল হাতা গেঞ্জি, নেভি ব্লু কালারের ট্রাকসুট, সাদা জুতো। এছাড়াও একটি কালো চামড়ার পিঠ ব্যাগ ছিল তার সঙ্গে। যদি কোনও ব্যক্তি সায়নের খোঁজ পান তবে অবশ্যই ৯৭৭৫০৮১৯১০ নম্বরে যোগাযোগ করবেন।

সার্থক পণ্ডিত

Madhyamik Result 2024: ওরাও পারে! মাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের

পশ্চিম মেদিনীপুর: ওরা আর পাঁচজনের মতই স্বাভাবিক। ওরাও পারে। কেউ গান, কেউ নাচ, কেউ আবার বেশ সাবলীলভাবে আবৃত্তিও। এবছর মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য বেশ কয়েকজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রীর। ওদের মধ্যে কেউ ঠিকমত হাঁটতে পারে না, কেউ কথা বলতে পারে না ঠিকভাবে।তবুও নিজের জেদ এবং ইচ্ছেতে মাধ্যমিকে বেশ ভাল নম্বর পেয়ে পাস করেছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তিন কৃতি ছাত্রী। বড় হয়ে ওদের ইচ্ছে কেউ নার্স হবে, কেউ আবার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেমেয়েদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আবার তাদের মধ্যে একজন চায় বড় হয়ে বাচিক শিল্পী এবং গানের প্রশিক্ষিকা হওয়ার।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের একটি বেসরকারি আবাসিক হোমে থেকে পড়াশুনা করে নজরকাড়া সাফল্য জুটেছে দাঁতন ব্লকের তিন বিশেষভাবে সক্ষম কৃতি ছাত্রীর। দাঁতন ব্লকের বাসিন্দা হাবিবা খাতুন এবারে মাধ্যমিকে পেয়েছে ৩১৭ নম্বর, কুহেলি দাস পেয়েছে ৩৯৩ এবং পাপিয়া প্রামাণিক পেয়েছে ২৯৪ নম্বর। তাদের এই সাফল্যে খুশি হোম কর্তৃপক্ষ থেকে পরিবারের সকলে। প্রসঙ্গত ছোট থেকেই শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম তারা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হলেও পড়াশোনা, নানান বৃত্তিমূলক কাজের পাশাপাশি নৃত্যেও অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে হাবিবা এবং পাপিয়ার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের অসাধারণ দক্ষতা নজর কাড়ে সকলের। শুধু তাই নয়, কুহেলি দারুন গান ও আবৃত্তি করে। বড় হয়ে তারাও স্বপ্ন দেখে আর পাঁচজনের মতো। নিজের জেদে আজ সফল মাধ্যমিকে।

আর‌ও পড়ুন: চোখে না দেখেও মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর

সকলে ৮০-৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। দাঁতনের একটি আবাসিক হোমে থেকে পড়াশুনা করে পরীক্ষা দিয়েছে তারা। হোমের আবাসিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে শিখেছে পড়াশুনা। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দাঁতন বীণাপাণি গার্লস হাইস্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে সফলতা জুটেছে তাদের। বড় হয়ে বিশেষ সক্ষম ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাজ করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে হাবিবা। নিজে একজন চাহিদাসম্পন্ন হয়েও অন্যদের এগিয়ে দিতে চায় সমাজের মূল স্রোতে।

অন্যদিকে পাপিয়া চায় বড় হয়ে নার্স হতে। পড়াশোনা করে মনে ভয় নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে সফলতা পেয়েছে সে। শুধু তাই নয়, কুহেলির গানের গলা শুনলে মুগ্ধ হবেন। আর পাঁচজনের মতো গান, কবিতা আবৃত্তি করতে পারে সে। তার ইচ্ছে গান, কবিতার প্রশিক্ষক হয়ে অন্যদের শিক্ষা দেওয়া। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হলেও যে তারা কোনও অংশে পিছিয়ে নেই, তা একবার প্রমাণ করল এই তিন মেয়ে। পড়াশুনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তাদের। তাদের এই সাফল্যে খুশি হোম কর্তৃপক্ষ। আরও সামনের দিকে এগিয়ে দিতে চায় তারাও।

রঞ্জন চন্দ

Madhyamik Result 2024: চোখে না দেখেও মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর

বীরভূম: প্রতিবন্ধী একটা শব্দ মাত্র। মনে জোর থাকলে সব অসম্ভব‌ই যে সম্ভব হতে পারে তা প্রমাণ করল তিন ছাত্র। দৃষ্টিহীন এই তিন ছাত্র এবার মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে দুই ছাত্র আবার তাদের পরিবারের প্রথম প্রজন্ম যারা মাধ্যমিক পাস করল।

বীরভূমের বাবুল মাহার ৬২৫ নম্বর ও পাঁচড়া গ্রামের আব্দুল মিয়ান ৫৯৯ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার মুসতাসিন ওয়াশি ৬১৩ নম্বর পেয়েছে। তিনজনই সিউড়ি শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের ছাত্র।

আর‌ও পড়ুন: বসিরহাটের এক‌ই মাদ্রাসা থেকে ফাজিলের মেধাতালিকায় প্রথম দুই

এই তিন দৃষ্টিহী পড়ুয়ার ইচ্ছে ছিল, মাধ্যমিকে ভাল ফল করে তারা শিক্ষকতার পথে এগিয়ে যাবে। কিন্তু এই সাফল্যের পর আর শিক্ষকতার কথা ভাবছে না। বিশেষ করে এই তিন দৃষ্টিহীন ছাত্রের পরিবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের বর্তমান পরিণতি দেখে কিছুটা শঙ্কিত। তাঁরা চাইছেন ছেলেরা অন্য পথে এগোক।

সিউড়ির শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট ফর সাইটলেসের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ দাস জানান, এরা তিনজনই আবাসিক ছাত্র হিসাবে স্কুলে থেকে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ভাল ফল করেছে। আপাতত তাদের কলা বিভাগে কলকাতায় ভর্তি করে দেওয়া হবে। তাদের পাশে স্কুল ও সরকার সবসময় আছে।

সৌভিক রায়

Madhyamik Result: মেয়ের পড়াশোনার জন‍্য গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছিলেন দুই কৃতির বাবা-মা! প্রথম দশে একই স্কুলের দুই কন‍্যা

পূর্ব বর্ধমান: বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ মাধ্যমিকের ফলাফল। গত বছরের তুলনায় এবছর পাসের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ খানিকটা। রাজ্যে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু জেলার পড়ুয়ারা। এবং তারই মধ্যে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলাও।

এবছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১ থেকে ১০ এর মধ্যে রয়েছে সাত জন। যার মধ্যে বর্ধমান শহরের তিন জন পড়ুয়া রয়েছে। তবে বর্ধমান শহরের তিনজনের মধ্যে দু’জন একই স্কুলের পড়ুয়া। একই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে মাধ্যমিকে একজন অষ্টম স্থান অধিকার করেছে, এবং অন্যজন অধিকার করেছে দশম স্থান।

স্বাভাবিক ভাবেই একই স্কুলের দুজনের এহেন সাফল্যে খুশি শহরবাসী। যারা অষ্টম এবং দশম স্থান অধিকার করেছে তারা দুজনেই বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। ইন্দ্রানী চক্রবর্তী ৬৮৬ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে এবং ৬৮৪ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছে সম্পূর্না তাঁ।

আরও পড়ুন: গরমে রোজ দই খাচ্ছেন? তলে তলে বাড়ছে না তো ইউরিক অ‍্যাসিড? জেনে নিন

অষ্টম স্থানাধিকারী ইন্দ্রানী চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে জানায়, “পরীক্ষার আগে প্রায় ১৩-১৪ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। সাতটা সাবজেক্টে আমার মোট সাত জন শিক্ষক ছিল। পড়াশোনার বাইরে গল্পের বই পড়তে ভাল লাগে, গান শুনতে ভাল লাগে মাঝে মাঝে টিভিও দেখি। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। তার কারণ আমার বাবার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু তিনি হতে পারেননি। তাই বাবার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই। আমার একটা এক্সপেক্টেশন ছিল যে র‍্যাংক করব। আমার এই সাফল্যের প্রধান যারা সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন আমার মা বাবা এবং শিক্ষকরা। “

অন্যদিক বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী দশম স্থানাধিকারী সম্পূর্না তাঁ জানায়, “আমার এই ফলাফলের জন্য আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। আশা করেছিলাম ভাল রেজাল্ট হবে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মেধাতালিকায় ঢুকতে পারব সেটা আশা করিনি। আমি স্কুল টিচারদের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। শিক্ষকরা যেভাবে গাইড করেছিলেন সেভাবে পড়াশোনা করে পরীক্ষার প্রিপারেশন নিয়েছিলাম। আমার কোনও বাঁধা ধরা পড়তে বসার টাইম ছিল না। যখন ভাল লাগত তখন পড়াশোনা করতাম এবং যতটা পড়া থাকত সেই পড়া শেষ করে তবেই উঠতাম। প্রত্যেকটা বিষয়ের জন্য আমার একজন করে শিক্ষক ছিলেন। অবশ্যই মা বাবা এবং স্কুলের শিক্ষকদের জন্যই আমার আজকের এই সাফল্য তাছাড়া আমি নিজেও অনেক পরিশ্রম করেছি। প্রত্যেকটা বিষয়ে আমার পছন্দের তার মধ্যে অংক সবথেকে বেশি ভালো লাগে। বড় হয়ে ডাক্তার হবার ইচ্ছা রয়েছে। আমার মনে হয় এই ডাক্তার প্রফেশনে থাকলে অনেক মানুষের সেবা করতে পারব সেই কারণেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।”

তবে জানা গিয়েছে এই দুজন পড়ুয়ার আসল বাড়ি গ্রামে। অষ্টম স্থানাধিকারী ইন্দ্রানীর বাড়ি খণ্ডঘোষ ব্লকের একটি গ্রামে। তার বাবা তাকে পড়াশোনার জন্য গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে আসে। অন্যদিকে সম্পূর্নার বাড়িও রায়না থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে। ভালভাবে পড়াশোনা করানোর জন্য তার বাবাও তাকে বারো বছর আগে বর্ধমান শহরে নিয়ে আসে। এই দুজন পড়ুয়ায় এখন বর্ধমান শহরে বসবাস করে। গ্রাম থেকে শহরে এসে এহেন সাফল্য পাওয়ায় খুশি হয়েছে সম্পূর্না এবং ইন্দ্রাণীর পরিবার। দুজনের পরিবারের তরফেই জানানো হয়েছে আগামী দিনে ওদের সাফল্যের জন্য যথাযথ ভাবে সহযোগিতা করা হবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Madhyamik Result: পাশের হারে সেরার মুকুট হারাল পূর্ব মেদিনীপুর! জেলা থেকে মেধা তালিকায় কতজন? জানুন

পূর্ব মেদিনীপুর: প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পাসের হারে দ্বিতীয় স্থানে। এর পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্কুল থেকে মোট সাত জন পরীক্ষার্থী রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা শহরের স্কুল জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ থেকে সপ্তম স্থান লাভ করেছে সুপম কুমার রায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। সুপম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ স্কুল থেকে পরীক্ষা দিলেও তার বাড়ি পাশের জেলায় পশ্চিম মেদিনীপুরে। তার বাবা পেশায় কৃষক। সুপন তার এই ভাল ফলের কৃতিত্ব শিক্ষকদের দেওয়ার পাশাপাশি তার নিজের দিদিকে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তার ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার।

অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রামকৃষ্ণ শিক্ষামন্দির হাই স্কুল থেকে নবম স্থান লাভ করেছে সাগর জানা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রটি মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল আশা করেছিল। আশানুরূপ ফল হওয়ায় খুশি ওই পরীক্ষার্থী-সহ পরিবারের লোকজন।

আরও পড়ুন: চার্জারের তার কাটা? তাতেই দিনরাত ফোন চার্জ? ব‍্যাটারির বারোটা বাজছে না তো? আসল সত‍্যি জানলে চমকে যাবেন

সাগর ও তার বাবা মা জানান, সবসময় বই নিয়ে পড়াশোনা করত না। যখন মন চাইত তখনই পড়াশোনা করত। সাগর আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। খড়গপুর আই আই টিতে আগামী দিনে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। সেই মতোই প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। তার এই সাফল্যের পিছনে শিক্ষকদের পাশাপাশি পরিবারের অবদান রয়েছে।

রামকৃষ্ণ শিক্ষা মন্দির হাই স্কুল থেকে সাগরের সহপাঠী সায়ক শাসমলও এবার মাধ্যমিকে ৬৮৫ নম্বর পেয়ে নবম স্থান অধিকার করেছে। সায়কের কথায়, বাবা মা-সহ পরিবারের লোকজন প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনি সে এত ভাল রেজাল্ট করেছে। তবে তার আশা ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল হবে।

নিয়ম করে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়াশোনা করা তার অভ্যেস ছিল না। মন চাইলে পড়াশোনা করত। ভবিষ্যতে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকা ও তবলা বাজানোই সিদ্ধ হস্ত সায়ক। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে ছবি আঁকা তবলা বাজানো চালিয়ে যেত সে। সেইসঙ্গে সায়কের আরও একটি শখ রয়েছে তা হল নানান ইলেকট্রনিক্স সাজ সরঞ্জাম নিয়ে নাড়াচড়া করা।

এই তিন কৃতি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সাফল্যের চাবিকাঠি যেন একটানা পড়াশোনা নয়, মন চাইলে মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা তাদের সাফল্যে পৌঁছে দিয়েছে। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছরের পর এই প্রথমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হারে প্রথম স্থানে নেই।

এবছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রায় ৬৪ হাজার ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মাধ্যমিকে পাসের হার ৯৫ শতাংশের ওপরে। এই জেলার স্কুলগুলি থেকে মোট সাতজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করেছে।

সৈকত শী

Madhyamik Result 2024: বাবা ডিম বিক্রেতা! জোটেনি বই-খাতা! তবুও মাধ্যমিকে দারুণ নম্বর! আর পড়া হবে তো অঙ্কিতার!

কোচবিহার: মাধ্যমিক ২০২৪ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে জেলা কোচবিহার থেকে গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে এক ছাত্র। তবে এর পাশাপশি মেধা তালিকায় স্থান না পেলেও ভাল ফল করেছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। জেলা কোচবিহারের কলাবাগান উচ্চ বিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছাত্রীর নাম অঙ্কিতা সাহা। এবারের মাধ্যমিকে সেও একজন সফল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৫৬১। শতাংশের নিরিখে তা প্রায় ৮০ শতাংশ।

তবে তাঁর পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। তাঁর বাবা বাদল সাহা পেশাগত ভাবে একজন ছোট মাপের ডিমের ব্যবসায়ী। এবং তাঁর মা পূর্ণিমা সাহা একজন গৃহবধূ। একেবারেই টানাটানির সংসার তাঁদের। এক কথায় বলতে গেলে নুন আনতে, পান্তা ফুরোয়! তবে এর মাঝেও অঙ্কিতার সাফল্য যেন তাঁর বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। অঙ্কিতা সাহা জানায়, “তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হলেন তাঁর বাবা। তাই বাবার রোজগারে সংসার চলে তাঁদের।

আরও পড়ুন: নামের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে ভাগ্য! এই সব নিয়ম মেনে নাম রাখুন সন্তানের!

সেজন্য খুব কষ্ট করেই তাঁকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। দরকার মতো বই, খাতা, পেন, পেন্সিল কিছুই পর্যাপ্ত ছিল না তাঁর। তাঁর বাবা অনেক কষ্ট করে তাঁকে যথা সম্ভব কিনে এনে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তবে সে স্কুল শিক্ষকের থেকে অনেকটাই সাহায্য পেয়েছে। শিক্ষকরা তাঁকে পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয়ে দারুণ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে ভবিষ্যতে সে একজন শিক্ষিকা হতে চায়। এবং তাঁর মতো দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে চায় সে।”

আরও পড়ুন: সাতটা শুকনো লঙ্কা বদলে দেবে জীবন! সব কাজে সাফল্য! সোনা ফলবে! হুহু করে আসবে টাকা! করতে হবে এই ছোট্ট কাজ

অঙ্কিতার মা পূর্ণিমা সাহা জানান, “মেয়ের সাফল্যে অনেকটাই খুশি তাঁরা। তবে মেয়ে আরও ভাল রেজাল্ট করবে আশা করেছিলেন তিনি। তবে মেয়ে ভবিষ্যতে সায়েন্স বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষিকা হতে চায়। তাই মেয়ের সাফল্যের জন্য যথা সম্ভব প্রচেষ্টা করবেন তিনি।” তবে অঙ্কিতার দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে এই সাফল্য অর্জন সকলের জন্য দৃষ্টান্ত। আগামী দিনে অঙ্কিতা আরও অনেক পড়ুয়াদের পথ দেখাবে ভাল ফল করার।

Sarthak Pandit

Madhyamik Result 2024: ইচ্ছেই শেষ কথা! অভাবের সংসারে মাধ্যমিকের ফলে চমক রিয়াজের, তবু একটা ‘কিন্তু’ থেকে গেল

বসিরহাট: বাবার ছোট্ট মুদির দোকান, মাধ্যমিকে তাক লাগাল সুন্দরবনের ছেলে রিয়াজ। মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান না পেলেও চমকে দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার হাসনাবাদের চকপাটলি হাইস্কুলের রিয়াজ হোসেন মোল্লা।

প্রত্যন্ত এলাকায়, এখানে না আছে কোনও লাইব্রেরি, ঠিক তেমনভাবে এলাকায় সাক্ষরতার হারও খুব বেশি নেই। এই প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৩.৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে এলাকায় রীতিমতো সাড়া ফেলেছে রিয়াজ। তবে রিয়াজের পাশাপাশি চকপাটলি হাইস্কুল থেকে যুগ্মভাবে ৯৩.৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে হয়েছে ইভানা নাসরিন সুলতানা, দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৩ শতাংশ। ইভানার বাবা পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক।

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান, অথচ চন্দ্রচূড়ের এই একটি বিষয় শুনে সকলে চমকে উঠছেন

হাঁসনাবাদের পাটলিখানপুর এলাকায় এক ঘরে বসবাস রিয়াজের। বাবা লিয়াকাত হোসেন মোল্লার রাস্তার পাশে ছোট্ট একটি মুদিখানার দোকান আছে। আর তা দিয়েই নিজের সামান্য উপার্জনে কঠোর পরিশ্রমে কোনও রকম দুই ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বছর মাধ্যমিকে চকপাটলি হাইস্কুল (উঃ মাঃ) বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল রিয়াজ। রিয়াজের প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৩। যার মধ্যে গণিতে ৯৮, ভূগোলে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৬, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৪, বাংলা ও ইতিহাস উভয় বিষয়েই ৯২ এবং ইংরেজিতে ৮৪ নম্বর তুলেছে সে।

আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মাধ্যমিকের প্রথম দশে কারা? দেখুন সম্পূর্ণ মেধাতালিকা

ছোট থেকেই গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়কে ভালবাসে রিয়াজ। পরবর্তীতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে সে চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু বাদ সাধছে আর্থিক অবস্থা। চোখ মুখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় নিজেকে মেলে ধরলেও তবে কি আর্থিক সঙ্গতি কাটিয়ে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে সে! যা নিয়ে এক চাপা উৎকন্ঠায় রিয়াজ ও তার পরিবার।

জুলফিকার মোল্যা

WBBSE Madhyamik Result 2024: রাত জেগে নয়, মাত্র তিন চার ঘন্টা পড়েই রাজ‍্যে নবম! বাঁকুড়ার অরুণিমা জানালেন সফলতার ‘সিক্রেট’

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলায় প্রথম এবং রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করলেন বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অরুণিমা চট্টোপাধ‍্যায়। বাঁকুড়ার মিলনপল্লীর বাসিন্দা এই ছাত্রী দিনে পড়াশোনা করতেন মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা।

রাত জেগে পড়াশোনা নয়। দুপুরে দু’ঘন্টা নিয়মিত ঘুম এবং রাতে সাড়ে দশটার মধ্যে আবার ঘুমিয়ে পড়তেন বাঁকুড়ার কৃতী ছাত্রী। প্রস্তুতির একটা বড় অংশ অরুণিমা সহায়তা পেয়েছে তার মা রুমা চট্টোপাধ‍্যায়ের। বাঁকুড়ার কৃতী ছাত্রী অরুণিমার মা বিকনা ক্ষীরদপ্রসাদ স্মৃতি বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা এবং বাবা অংশুমালি চট্টোপাধ‍্যায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।

আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই দু’বার আলাদা ব‍্যক্তির দ্বারা গর্ভবতী কিশোরী! সন্তানদের বিক্রি, অভিযুক্ত বাবা-মা…জানলে আঁতকে উঠবেন

বেশিরভাগটাই টিউশন এবং মায়ের কাছে বিশেষ করে ইংরেজির প্রস্তুতির সঙ্গে মিশন গার্লসের অবদানকে এগিয়ে রাখছেন অরুণিমা। বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অরুণিমার। অরুণিমা জানায় দিনে ৩-৪ ঘণ্টা পড়াশোনা করেই এসেছে চমকপ্রদ সফলতা।

দুর্দান্ত গান গায় বাঁকুড়ার কৃতী ছাত্রী অরুণিমা চট্টোপাধ‍্যায়। এছাড়াও আবৃত্তি করতেও বেশ সিদ্ধহস্তা সে। পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চার ঈর্ষণীয় উদাহরণ রাখলেন এই ছাত্রী। পড়াশোনাটা যে শুধুমাত্রই মুখস্ত এমনটা মনে করেন না অরুণিমা। তিনি জানান ধারণাগত বিদ্যা এবং চর্চাই বেশি সফলতা এনে দেয়। লম্বা মেধা তালিকায় নিজের নামের অপেক্ষা করতে করতে উত্তেজনা বাড়ছিল বলেই জানিয়েছেন কৃতী ছাত্রী। অবশেষে নিজের নাম শুনে ফেলেছেন সন্তুষ্টির নিশ্বাস।

অন্যান্য বছরের তুলনায় মেধা তালিকায় বাঁকুড়ার ওজন একটু কম ২০২৪ এর মাধ্যমিকে। তবে যে চারজন মেধা তালিকায় জায়গা করে বাঁকুড়ার ধ্বজা ওড়াচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে মূল কাণ্ডারী হলেন বাঁকুড়া শহরের বাঁকুড়া মিশন গার্লসের ছাত্রী অরুণিমা চ্যাটার্জী।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Madhyamik Result 2024 1st: অবিশ্বাস্য! মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান, অথচ চন্দ্রচূড়ের এই একটি বিষয় শুনে সকলে চমকে উঠছেন

কোচবিহার: প্রকাশিত হল মাধ্যমিক ২০২৪ পরীক্ষার ফলাফল। সকাল থেকেই ছিল সকল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা। চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে মোট ৭,৬৫,২৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী। এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭টি কম্পালসরি বিষয় এবং ৪৭টি ঐচ্ছিক বিষয় ছিল। স্কুলে অ্যাটেন্ডেন্স কম থাকলেও রাজ্যে শীর্ষে মেধাবী ছেলে, মাধ্যমিকে চমক দিয়েছে চন্দ্রচূড়।

এছাড়া এবার পাশের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে মোট ৮৬.৩১ শতাংশ। প্রথম দশে রয়েছে ৫৭ জন পরীক্ষার্থী। ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কোচবিহার থেকে এক ছাত্র। গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া ছাত্রের নাম চন্দ্রচূড় সেন। এই ছাত্র কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের পড়ুয়া। তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। যা শতাংশের নিরিখে ৯৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে তৃতীয় বীরভূমের পুষ্পিতা স্বপ্ন দেখে কীসের? নতুন পরীক্ষার্থীদের দিল দারুণ এক টিপস, জানুন

রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন জানান, “তাঁর এই সাফল্য শুধু তাঁর একার নয়, তাঁর বাবা-মা এবং সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন সকালে প্রথমে তার ফলাফল জানতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন তার বাবা-মা। পরবর্তীতে একে একে বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন আত্মীয় পরিজনরা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শুরু হয়ে যায় মিষ্টি মুখের পালা। তাঁর একটাই ইচ্ছে ভবিষ্যৎ দিনে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে একজন ভাল মানের চিকিৎসক হতে হবে তাঁকে। এবং গরিব দুঃস্থ মানুষদের সেবায় নিয়োজিত করতে হবে নিজেকে। এই মর্মে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে প্রস্তুতিও শুরু করেছে সে।”

আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মাধ্যমিকের প্রথম দশে কারা? দেখুন সম্পূর্ণ মেধাতালিকা

চন্দ্রচূড়ের মা মৌসুমী সেন জানান, “চন্দ্রচূড় ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিল। প্রাইমারি স্কুলে তাঁর ফলাফল ছিল বেশ অনেকটাই ভাল। তাইতো ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁকে অনেকটাই ভালবাসতেন। তাঁদের আশা ছিল মাধ্যমিকে সে ভাল ফলাফল করবে। তাইতো এই ফলাফলে সকলেই দারুণ খুশি। ভবিষ্যতে সে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে চিকিৎসা করতে চায়।”

চন্দ্রচূড়ের বাবা সুশান্ত সেন জানান, “ছেলের এই নজর কাড়া সাফল্যে দারুণ খুশি তিনি। আগামী দিনের সে যেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তাতেই পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তিনি।” তবে চন্দ্রচূড়ের এই সাফল্যে দারুণ খুশি জেলার মানুষেরা। আগামীতে চন্দ্রচূড় আরও ভাল ফলাফল করে কোচবিহারের নাম উজ্জ্বল করুক। এমনটাই প্রত্যাশা করছেন কোচবিহারের বাসিন্দারা।

Sarthak Pandit

Madhyamik Result 2024: পড়াশোনার পাশপাশি গানবাজনাতেও তুখর মাধ্যমিকের চতুর্থ তপোজ্যোতি

হুগলি: ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ১০ পর্যন্ত কোনও দিনও দ্বিতীয় হয় নি! সর্বদাই ক্লাসে প্রথম স্থান অর্জন করে এসেছে তপোজ্যোতি মন্ডল। এবার জীবনের প্রথম বড় বোর্ড পরীক্ষা মাধ্যমিক সেখানে ও চূড়ান্ত সফল। ৯৮.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকের চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে হুগলির আরামবাগ কামারপুকুরের তপজ্যোতি মন্ডল।

আরও পড়ুনঃ মেয়েদের কাছে হেরে গেল ছেলেরা! মাধ্যমিকে ছাত্রীদের জয়জয়কার, চমকে দিল বীরভূমের পুষ্পিতা

তপোজ্যোতির মাধ্যমিকের মোট প্রাপ্ত নম্বরের পরিমাণ ৬৯০। প্রথম থেকেই কামারপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র তপোজ্যোতি। বাবা সব্যসাচী মন্ডল তাতারপুর হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক। মা অদিতি মন্ডল তিনি গৃহিণী। মা-বাবার কাছেই দিনের বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা করতেন তপোজ্যোতি। বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তপোজ্যোতির।পড়াশোনা আর পাশাপাশি গান-বাজনা ও কবিতা লেখার প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে তার। সারাদিনে বইপত্র নিয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকলে বাবা সব্যসাচী তিনি বারণ করতেন ছেলেকে। বই পড়ার পাশাপাশি কবিতার বই তপোজ্যোতির পছন্দ গান গাওয়া তপজ্যোতির অন্যতম পছন্দের একটি কাজ।

ক্লাস ওয়ান থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি গান গাওয়া তার অন্যতম সখ। এই বিষয়ে তপোজ্যোতির বাবা সব্যসাচী বলেন, ছেলের রেজাল্ট নিয়ে কিছুটা আশাবাদী ছিলেন তাদের পরিবার। এক থেকে দশের মধ্যে থাকবে আশা করেছিলেন সেখানে চতুর্থ স্থান অর্জন করা মানে খুব ভালো ফল করেছে এমনটাই জানাচ্ছেন তার বাবা।

রাহী হালদার