Tag Archives: paddy cultivation

Drum Seeder Paddy Cultivation: এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ফলন হবে অনেক বেশি, খরচ পড়বে কম

পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত এই জেলা। অনেকে আবার পূর্ব বর্ধমান জেলাকে ধানের গোলা বলে থাকেন। পাশাপাশি এই জেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফুল, পাট চাষ হয়। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তনসহ নানান কারণে জন্য ধান চাষিদের খরচ ও পরিশ্রম ক্রমশ বাড়ছে। সার, চারা, জল নিয়ে একটা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় ধান চাষিদের। এছাড়াও চারা রোপণের জন্য মজুরদের মজুরি বাবদ’ও বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হয়। আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে চারা রোপণের জন্য শ্রমিক পাওয়া যায় না। সঠিক সময়ে শ্রমিক না মেলায় অনেক সময় চাষিদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এবার আর চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই।

ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে সহজেই করতে পারবেন ধান চাষ। কিন্তু কী এই ড্রাম সিডার পদ্ধতি? কীভাবেই বা এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-১ ব্লক বীজ খামারের কর্মী হেমন্ত দাস জানিয়েছেন, বীজ প্রথমে জলে ভিজিয়ে নিতে হয়। তারপর সেখান থেকে অল্প অঙ্কুর বের হলে সেটাকে শোধন করে নিতে হয়। সেই বীজ ড্রাম সিডারের ড্রামের মধ্যে রাখতে হয়। তারপর চাকাযুক্ত ড্রাম সিডার মেশিন জমির মধ্যে দিয়ে লাইন বরাবর টানলে সেখান থেকে সমানভাবে বীজ পড়তে থাকে। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাছ তৈরি হয়। সাধারণ পদ্ধতির থেকে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেক সুবিধাজনক।

আরও পড়ুন: মাথা দোলানো পুতুল! রথের বাজারে দেদার বিক্রি

পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম-১ ব্লকের বীজ খামারে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে শ্রমিক বাবদ খরচ কম পড়ছে। এছাড়াও অনেক তাড়াতাড়ি বীজ রোপণ হয়ে যাচ্ছে। রোগ, পোকার আক্রমণ কম থাকার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে চাষ করলে জল কম লাগবে। স্বভাবতই জলের খরচ কমে যাবে অনেকটাই। বর্তমানে আউশগ্রাম-১ ব্লকের বেশকিছু চাষি এই পদ্ধতির মাধ্যমে চাষও শুরু করেছেন। এই বিষয়ে বৃন্দাবন আঁকুড়ে নামে এক চাষি বলেন, এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করে আমি খুশি। অল্প সময়ের মধ্যেই বীজ রোপণ করা যাচ্ছে। এছাড়াও আমাদের খরচও অনেক কম হচ্ছে।

সবমিলিয়ে সাধারণ পদ্ধতিতে ধান চাষের থেকে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেকটা সুবিধাজনক। মজুর খরচের পাশাপশি কমে যাবে জলের খরচও। এছাড়াও অল্প সময়ের মধ্যে বীজ রোপণ করা যাবে এবং ফলনও পাওয়া যাবে অনেকটা আগে। এই পদ্ধতিতে ধান চাষের জন্য চাষিদের নির্দিষ্ট ব্লকের এডিএ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Farming Tips: কয়েকগুণ বেশি ফলন পেতে বীজ শোধন জরুরি, এই পদ্ধতিতে ধান গাছের পরিচর্যা করুন

মালদহ: আমন ধানের মরশুম শুরু। এখন কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করছেন। এই সময় কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। তবেই বীজতলা থেকে ভাল চারা তৈরি হবে। আর তার হাত ধরেই আগামীতে ধানের ফলন ভাল পাবেন কৃষকরা।

বীজতলা তৈরি নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষিকর্তারা। এই সমস্ত পরামর্শ মেনে বীজতলা তৈরি করতে পারলে কোন‌ও সমস্যা থাকবে না ধান চাষে। এতে ধানগাছে কীট-পতঙ্গের উপদ্রব কম হবে বা রোগ কম হবে। এইজন্য আগে অবশ্যই বীজ শোধন করে বীজতলায় ফেলতে হবে। অধিকাংশ কৃষকেরাই এখনও বীজ শোধন করছেন না। ফলে ধানের ফলন ভাল হচ্ছে না। ফলন ভাল পেতে হলে সবার প্রথমে বীজ শোধন করতে হবে।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে আবর্জনার পাহাড়! রোগীকে নিয়ে এসে দূষণের শিকার হচ্ছেন পরিজনরা

উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করতে হবে। জল যেন না জমে থাকে। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল রাখতে হবে বীজতলার। বীজতলার চওড়া কম রাখতে গেলে সহজেই কৃষকেরা সঠিক পরিচর্যা করতে পারবেন। মাঝেমধ্যে হাত নিড়ানি দিয়ে আগাছা মুক্ত করতে হবে বীজতলার। এইভাবে বীজতলার পরিচর্যা করতে পারলে ভাল চারা গাছ তৈরি হবে। যদি কোনও কারণে চারা লাল হয়ে যায়, সেই সময় সার, কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। মালদহ জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার বলেন, চারা গাছ বীজতলা থেকে তোলার সাত দিন আগে অবশ্যই দানায় বিষ দিতে হবে। এর ফলে ধান রোপন করার পর রোগ বা পোকার আক্রমণ কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ দানাবিষ চারা গাছের শিকড়ে থেকে যায়। কুড়ি দিন পর্যন্ত এই বিষের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকে।

ধান রোপন করার সময় রোগের আক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই চারা তোলার সাত দিন আগে দানা বিষ প্রয়োগ করলে এই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত বছর জেলায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। গত বছর ফলন হয়েছিল ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। মালদহ জেলায় মূলত হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল ও পুরাতন মালদহ ব্লকে সবচেয়ে বেশি আমন ধান চাষ হয়। এছাড়াও জেলার অন্যান্য ব্লকগুলিতেও ধান চাষ হয়ে থাকে। বর্ষার মরশুমের শুরুতেই ধানের বীজতলা তৈরি হচ্ছে। এই সময়টা ধানের ভাল ফলন পাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বীজতলা ভাল হলে ভাল ফলন পাওয়ার পথটা অনেকটাই সুগম হয়ে যায়।

হরষিত সিংহ

Farmers Crisis: বিএসএফ কালভার্ট বন্ধ রাখায় বাংলাদেশ সীমান্তে মারাত্মক ক্ষতি চাষিদের!

উত্তর দিনাজপুর: লাগাতার কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের বহু এলাকা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর অঞ্চলের গোটগাও, উদগ্রাম, রাধিকাপুর এলাকার কয়েকশো বিঘা জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকরা।

এই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারনে আনুমানিক দুই হাজার একর ধান জমি জলে ডুবে গিয়েছে। ফলে মাথায় হাত রাধিকাপুরের ধান চাষিদের। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা গোটগাও-এর ধান চাষি মোজাফফর হোসেন বলেন, ধানি জমি বৃষ্টির জলে গত সাতদিন ধরে ডুবে থাকায় চাষাবাদ করতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ, পাশে বিএসএফ-এর কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে যেখান দিয়ে জল পাস হয় সেই জল যাওয়ার জায়গা বিএসএফ জ‌ওয়ানরা বন্ধ করে রেখেছেন।

আরও পড়ুন: পাচারের আগেই উদ্ধার বহুমূল্যের কাঠ

এই পরিস্থিতিতে এখানকার চাষিদের জমির জল কোন‌ও দিক দিয়েই বের হতে পারছে না। জল বের না হওয়ার কারণে তাঁদের জমিতে ধানের রোঁয়া লাগাতেও পারছেন না। ফলে জমিতে ধান লাগানোর ক্ষেত্রে তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন। টাঙ্গন নদীর জল যেভাবে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে যেকোনও সময় দুকূল ছাপিয়ে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে। আর তাহলে চাষিরা ভিটেমাটি হারা হবেন বলেও আশঙ্কা।

এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বৈশ্য বলেন, জমিতে দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকায় সমস্যা পড়ছেন এলাকার কৃষকরা।রাধিকাপুরে বিএসএফ জ‌ওয়ানরা রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া কালভার্টগুলি বন্ধ করে রাখায় চাষের জমিতে জমা জল বের হতে পারছে না। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন আলোচনার ভিত্তিতে জরুরি সমাধান সূত্র বের করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।

পিয়া গুপ্তা

Minimum Water Farming: বৃষ্টির অভাবে কীভাবে কম জলে চাষ করবেন? এক ঝটকায় জেনে বাজিমাত করুন

দক্ষিণ ২৪পরগনা: এই বছর বর্ষা যথাসময়ে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে অনেকটাই দেরি করেছে। অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকলেও তেমন একটা বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টির ঘাটতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিকাজ। এই পরিস্থিতিতে কম জলে চাষাবাদের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৃষ্টির ঘাটতি সত্ত্বেও ইতিমধ্যে অনেক চাষি ধানের বীজ রোপণের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির চাষের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন সবজি ও ধানের বীজের জন্য লাগে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে দক্ষিণবঙ্গে কৃষিকাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এই নতুন পদ্ধতি মেনে ধানের বীজ রোপণ করলে বেশি জলের প্রয়োজন হবে না। অল্প জলেই ধানের বীজতলা রক্ষা করা যাবে। কিন্তু কীভাবে?

আর‌ও পড়ুন: হাইটেনশন লাইনে হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই কর্মীর মৃত্যু, জখম আর‌ও তিন

অল্প জলে চাষাবাদ নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন নিমপীঠ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী। বৃষ্টি না হলে ধান চাষের ক্ষেত্রে জলসেচের দরকার পড়ে। যদি জল সেচের ব্যবস্থা না থাকে সেক্ষেত্রে সুধা পদ্ধতির মাধ্যমে বীজতলা প্রস্তুত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই বীজতলা তৈরির পদ্ধতির বিশেষত্ব হল- ১ বিঘা জমিতে ধান চাষের জন্য শুধুমাত্র এক কাঠ জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করলেই হবে। আর কম বীজতলা তৈরি করলে জলও লাগবে কম। তবে সেক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি মেনে মাটি প্রস্তুত করার আগে গোবর সার, ইউরিয়া, জিঙ্ক সালফেট সহ বেশ কিছু উপাদান মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। যেখানে জল অনেকটাই কম লাগবে। এই পরামর্শ মেনে কৃষিকাজ করে এই বছর বহু চাষি উপকৃত হচ্ছেন।

সুমন সাহা

Cultivation Crisis: বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক ঘাটতি বৃষ্টির, ধান ও সবজি চাষ সঙ্কটে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণবঙ্গে দেখা দিয়েছে ব্যাপক বৃষ্টির ঘাটতি। যার জেরে ব্যাপক অসুবিধায় পড়েছেন কৃষকরা। ধানের বীজতলা প্রায় নষ্টের মুখে। সবজি চাষও সঙ্কটে পড়েছে। এদিকে আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ষা প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়। তবু কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা নেই।পরিসংখ্যান বলছে, জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে ৭২ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি থাকতে চলেছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ফসল উৎপাদন ব্যাপকভাবে ধাক্কা খাবে। সেই সঙ্গে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বেন দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা।

আর‌ও পড়ুন: অবৈধ দখলদার নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে আসানসোল, এডিডিএ চালু করল হেল্পলাইন নম্বর

বর্ষা ঢুকে যাওয়ার পরেও বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে পাওয়ার টিলার অথবা ট্রাকটর দিয়ে হাল দেওয়া হচ্ছে।‌ কিন্তু বৃষ্টির অভাবে সেগুলিও পড়ে রয়েছে, চাষ করা যাচ্ছে না। সবজি চাষের জন্যও অসুবিধা হচ্ছে সকলের। জলাশয় থেকে জল দিতে হচ্ছে বাগানে। এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন। ৭২ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা সম্ভব হবে সেই চিন্তায় রয়েছে তাঁরা।

এই নিয়ে কৃষি স্থায়ী কমিটির সদস্য তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিষয়ে তো কারুর হাত নেই। কৃষকদের কম জলে সবজি চাষ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। যার ফলে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন তাঁরা।

নবাব মল্লিক

Less Rain Paddy Seed: কম বৃষ্টিতেও দুর্দান্ত ফলন হবে ধানের!

পুরুলিয়া: বৃষ্টির দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টি হচ্ছে না জেলা পুরুলিয়াতেও। অথচ প্রতিবছরই এই সময়টাতেই ধানের বীজ বপন করেন চাষিরা। তাই কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে চাষিদের বীজ বিতরণ করা হয়ে থাকে এই সময়টায়। যদিও এরই মধ্যে এক দুর্দান্ত পথ দেখাচ্ছে কৃষি দফতর। এবার কম বৃষ্টিতেও হবে দুর্দান্ত ধন চাষ।

বৃষ্টির দেখা সেভাবে না মিললেও পুরুলিয়া জেলা কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে চাষিদের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বাঘমুন্ডি ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তার উদ্যোগে ধানবীজ বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়। জানা গিয়েছে, এই ব্লকের মাঠা অঞ্চলের পোঁড়া, বান্দুডি ও চাউনিয়া গ্রামের প্রত্যেক কৃষককে ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি পোশাক পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে, হাল ফিরেছে তাঁতিদের

এইদিন বাঘমুন্ডি সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসের সামনেই এই বীজ বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা অঙ্কিত কুমার ঘোরাই কৃষকদের হাতে ধানবীজ তুলে দেন।‌ জানান, আগামীদিনে কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষিজ যন্ত্রপাতি প্রদান করবে কৃষি দফতর। তিনি আরও বলেন, ধানের যে বীজ কৃষকদের বিতরণ করা হয়েছে সেগুলো মূলত খরা প্রবণ বীজ ফলে বৃষ্টি কম হলেও দিব্যি ফসল উৎপন্ন হবে।

বৃষ্টি কম হলেও এই বীজের মাধ্যমে ফলন যথেষ্ট ভাল হয়। তাই কৃষকেরা যাতে ভালোভাবে ধান উত্তোলন করতে পারেন, সেই চিন্তা করেই এই বীজ প্রদান করা হয়েছে। এতে স্বল্পবৃষ্টিতেও কৃষকেরা ধান চাষ করতে পারবেন। এই বীজ পেয়ে খুশি কৃষকেরা। এতে তাদের অনেকটাই উপকার হবে। কৃষি দফতরের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Paddy Cultivation: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে দেরি, ধানের চাষ শুরুই করতে পারছেন না কৃষকরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আসব আসব করেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আর ঢুকছে না। গত ১৫ দিন ধরে উত্তরবঙ্গেই আটকে আছে মৌসুমী বায়ু। ফলে ভয়াবহ আর্দ্রতার অভিঘাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। শুধু শরীর খারাপ হচ্ছে তাই নয়, বর্ষা দেরিতে আসায় ক্ষতি হচ্ছে কৃষিকাজে। ধানের বীজ রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা।

এখনও বর্ষার বৃষ্টির শুরু না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধান চাষিরা। এখানে বেশিরভাগ কৃষক ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। ফলে আবহাওয়ার এমন তুঘলুকি আচরণে মাথায় হাত ধান চাষিদের। অন্যান্য বছর এমন সময় ধানের বীজ রোপণ করে চাষের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষকরা। কিন্তু এই বছর ভয়াবহ গরম ও বর্ষা না থাকায় চাষের জমিতে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। কোথাও আবার সামান্য বৃষ্টি হলে সেই সামান্য বৃষ্টির জল ধরে ধান রোপণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা।

আর‌ও পড়ুন: ৬ বছর পর মিটল সমস্যা, কাকদ্বীপে চালু ঘটিহারা সেতু

প্রয়োজন মত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এখনও পর্যন্ত অনেক কৃষক জমিতে ধানের বীজ রোপণ করতে পারেননি। আবার কোথাও জল না থাকায় প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচা করেই জল নিয়ে আসছেন। মূলত শ্যালো বা মিনি পাম্পের উপরে ভরসা করতে হচ্ছে ধান চাষের জন্য। এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন যদি না ঘটে তবে এই বছর ধান চাষে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকছে।

সুমন সাহা

Improved Paddy Seed: বন্যায় ডুবে যাওয়া জমিতেও ফলবে ধান! কৃষকের মুখে হাসি ফোটাল কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র

পূর্ব মেদিনীপুর: জেলার ধান চাষিদের পাশে জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চলেছেন কৃষকরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল ধান। তবে নানান সময়ে বন্যা, অতি বৃষ্টির কারণে ধান চাষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। আর তাতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে উন্নতমানের ধান বীজ তৈরি করে জেলার চাষিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। ফলে অতি বৃষ্টির ফলে ধান চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫ টি ব্লকে ধান চাষ হয়। পূর্ব সবচেয়ে বেশি চাষ হয় আমন ধানের। জেলার প্রতিটি ব্লক মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। মূলত বর্ষার জলে এই ধানের চাষ হয় জেলাজুড়ে। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে বহু ব্লক জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ধান চাষের জমিও জলের তলায় চলে যায়। জলের তলায় ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ফসল ঘরে আসে না চাষিদের। তবে জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের এই উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে চালু হিট স্ট্রোক ওয়ার্ড! গরম থেকে বাঁচাতে পদক্ষেপ

কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে উন্নতমানের বীজ উৎপন্ন করা হয়েছে। স্বর্ণভূমি স্যাব ওয়ান নামে এই বীজ ধান জলমগ্ন ও বন্যা কবলিত এলাকার ধান চাষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই ধানের চারা রোপনের পর জলে পচে সহজ নষ্ট হয় না। এই ধানের চারা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত জলের তলায় থাকার পর জল সরে গেলে আবারও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে এবং ফসল দেয়।

এই বিষয়ে জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বীজ গবেষক সুমন মণ্ডল জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আমন ধান চাষ বর্তমানে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চাষিদের ক্ষতি হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে জলে ডুবে লড়াই করতে সক্ষম, এমন বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। জেলায় মোট চার ধরনের উন্নতমানের বীজ ধান চাষিদের দেওয়া হচ্ছে।

সৈকত শী

South Dinajpur News: উল্টে গেল ধানবোঝাই ট্রাক্টর! প্রাণ হারাল ২৭ বছরের চালক

দক্ষিণ দিনাজপুর: ধান বোঝাই ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের কাকনা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত ওই যুবকের নাম পরিমল টুডু (২৭), বাড়ি তপন ব্লকের ডাইন মালঞ্চা এলাকায়।

আরও পড়ুনঃ ফুঁসছে সাগরে! রাতেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রিমল, ঝড়ের সময় কী করবেন, আর কী করবেন না, জেনে নিন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই দিন সকাল থেকেই মাঠ থেকে ট্রাক্টর দিয়ে ধান ঢোলাই এর কাজ চলছিল। ট্রাক্টর করে ধান নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় উঠতেই ট্রাক্টর বোঝাই ধানের গাড়িটি উল্টে যায় সেই ধান বোঝাই ট্রাক্টরের নীচে চাপা পড়ে চালক পরিমল টুডু।

বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় তপন থানায়। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসলেও কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁকে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Watermelon Cultivation: ধানের গোলায় তরমুজের রমরমা! মন বদলাচ্ছে চাষিদের

পূর্ব বর্ধমান: ধানের গোলা নামে পরিচিতি পূর্ব বর্ধমানেই ধান চাষ ছেড়ে তরমুজ চাষ করছেন চাষিরা। তাতে লাভ‌ও হচ্ছে অনেক বেশি। চাষিরা ধান চাষ বন্ধ রেখে নিজেদের জমিতে তরমুজ চাষ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে তুলনায় বেশি আয় করছেন।

বর্ধমান-কাটোয়া রোডের মধ্যে কৈচরের কাছে রয়েছে যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রাম। আর এই যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রামের‌ই বেশ কিছু চাষি ধান চাষের পরিবর্তে এখন তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কৃষক তপন কুমার ঘোষ জানান, প্রথম এই জায়গায় ১৯৯৩ সালে তরমুজ চাষ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁকে দেখে বাকিরাও তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। গত ২-৩ বছর তরমুজ চাষের প্রচলন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আগে শেওড়াফুলি থেকে তরমুজের বীজ কিনে আনতে হত, কিন্তু এখন দিয়ে যায়। ধান চাষ ছেড়ে এখন অনেকেই তরমুজ চাষে মেতেছেন। কারণ ধান চাষের থেকে এই চাষ অনেক বেশি লাভ হয়।

আরও পড়ুন: সরকারি নার্সারিতে আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে চারাগাছ

বর্ধমান-কাটোয়া রোড দিয়ে যাতায়াত করলেই যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রামের কাছে, প্রধান সড়কের দু’পাশে তাকালেই চোখে পড়বে এই তরমুজ চাষিদের। জমি থেকে তুলে আনা একদম টাটকা তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন তাঁরা। সারাদিনে যাতায়াতের পথে বহু মানুষ এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাটকা তরমুজ কিনে নিয়ে যান। এভাবে জমির টাটকা তরমুজ কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি হচ্ছেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী