Tag Archives: Water logged

Water Logging: জল যন্ত্রণা মেমারি কালনা রাস্তায়! প্রতিবাদে অবরোধ জাবুইয়ের বাসিন্দাদের

মেমারি: মেমারি থানার জাবুইয়ে বর্ধমান কালনা রোডের ওপর দিয়ে বইছে জল। তার ফলে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।রাস্তার ওপর দিয়ে জল বইছে, ফলে বড় গাড়ি যেতে পারলেও অসুবিধা সম্মুখীন হচ্ছে ছোট গাড়িগুলি।

ফলে ছোট গাড়িগুলি ঘুর পথে জাবুই থেকে কন্দর্পপুর হয়ে যাওয়া শুরু করলে স্থানীয়রা সেই রাস্তা অবরোধ করে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: ‘‘জলপ্রপাতের কাছে ধস নামবে৷ সব ধ্বংস হয়ে যাবে৷’’ ম্যাগাজিনের গল্পই বাস্তব হয়ে ফিরল বিপর্যস্ত কেরলে

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা বেহাল। প্রশাসনকে বলে কোন সুরাহা হয়নি। তার ওপর গ্রামের রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলি যাতায়াতের ফলে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তা মেরামতের দাবিতে বাধ্য হয়ে তাঁরা অবরোধ করেছেন।

পরে মেমারি ২ এর বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা। এদিকে বিঘের পর বিঘে জমি জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা।

আরও পড়ুন: ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আটঘণ্টার দুঃসাহসিক অভিযান, কেরলে রক্ষা পেল চার শিশুর প্রাণ

শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির দু’নম্বর ব্লকের বিজুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কন্দর্পপুর গ্রামে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘কন্দর্পপুর গ্রামের ভিতরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘ বেশ বছর ধরে কাঁচা রাস্তার ওপর দিয়েই যাতায়াত করছেন এলাকার মানুষজন।’’

সম্প্রতি ভারি বর্ষণে কালনা বর্ধমান রোডের একাংশ জলে নিমজ্জিত হওয়ায় চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে টোটো-সহ ছোট চার চাকা গাড়ি গুলো। তাই কন্দর্পপুর গ্রামের ভিতর দিয়ে  যখন ওই গাড়িগুলি পাস করছিল। তখন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা।

একদিকে প্রবল বর্ষণে কাদায় পরিপূর্ণ গ্রামের ভিতরে রাস্তা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বহু রাস্তা নির্মাণ হলেও এখনও পর্যন্ত  গ্রামের ভিতরে রাস্তাটি নির্মাণ হয়নি বলেই দাবি করছেন গ্রামবাসীরা।

ওই ভাঙা রাস্তার উপর দিয়েই সারাদিন ধরে চলাচল করছে গাড়ি। যাতে অবিলম্বে তাঁদের রাস্তা পাকা করা হয় , সেই দাবিতেই বিক্ষোভের শামিল হলেন গ্রামবাসীরা।

প্রায় দু ঘন্টা চলে অবরোধ। তবে জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়৷অবশেষে ঘটনাস্থলে আসে মেমারি দু’নম্বর ব্লকের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য৷ তিনি গ্রামবাসীদেরসমস্যা সমাধানের ব্যপারে আশ্বস্ত করেন।

পৌঁছায় মেমারি থানার সাতগেছিয়া ফাঁড়ির পুলিশও। আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক জায়গায় রাস্তার পাশের নাকাশিগুলি দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানে অনেক অস্থায়ী দোকান হয়ে গিয়েছে। স্থায়ী নির্মাণও হয়েছে।

অনেক জায়গার নাকাশিগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। তার ফলে জল বের হওয়ার পথ পাচ্ছে না। সেই জল রাস্তায় উঠে আসছে। এর ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।

ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, কেন রাস্তার ওপর জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে তা দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Bangla Video: জল জমার সমস্যা দূর করতে গিয়ে এ কী বেরিয়ে এল! দেখলে আপনিও চমকে উঠবেন

হাওড়া: বর্ষাকালে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় জলজমার সমস্যা নতুন নয়। গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে বহু এলাকায় যথারীতি জল জমেছে। জোর তৎপরতায় সেই সব জমা জল দ্রুত বের করার কাজ চলছে। কিন্তু হাওড়ার সাঁকরাইলে জমা জলের সমস্যা দূর করতে গিয়ে যা দেখলেন এলাকাবাসীরা তা শুনলে আপনার চোখও কপালে উঠে যাবে। দেখা গেল নিকাশি নালা বন্ধ করে সেখানে তুলে দেওয়া হয়েছে আস্ত প্রাচীর!

নিকাশি নালা বন্ধ করে প্রাচীর তুলে দেওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এলাকার জল বেরোতে পারেনি। এর ফলে কয়েক শো পরিবার জলমগ্ন অবস্থায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। যে কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জল থই থই করছে এলাকায়। এলাকায় জল জমার সমস্যার সমাধান করতে গিয়েই জমা মাটির স্তুপের পিছনে কংক্রিটের প্রাচীরে দেখা পাওয়া যায়। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার খোঁজ চালাচ্ছেন স্থানীয়রা।

আর‌ও পড়ুন: শতাব্দী প্রাচীন বটগাছ বাঁচাতে এ কী করল প্রাক্তনীরা! শুনলে ধন্য ধন্য করবেন

এই ঘটনা হাওড়ার দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতে এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ সত‍্যেন বোস রোডের নিচ দিয়ে যাওয়া নিকাশি নালা বন্ধ করে দেওয়াতেই এই পরিস্থিতি হয়েছে। মানুষকে দুর্ভেগে ফেলতে এমন নিম্ন মানসিকতার কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া খাতুন নিজে দেখে এসে পরিস্থিতি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস‍্য বলেন, আমরা মানুষের দুর্ভোগ মেটাতে নালা পরিস্কার করতে যাই। চারজনের একটি দল ৬ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া মাটির স্তুপ সরাতেই প্রাচীরটি সামনে আসে। যদিও এই ঘটনা কে বা কারা ঘটেছে তা জানা যায়নি।

রাকেশ মাইতি

Heavy Rainfall: বাড়িতেও শান্তি নেই! টানা বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে জল

পূর্ব বর্ধমান: বর্ষা আসতেই জেলার একাধিক জায়গায় ধরা পড়ল জল যন্ত্রণার সেই চেনা ছবিটা। কোথাও এক হাঁটু, কোথাও বা তারও বেশি জল দাঁড়িয়ে। বৃহস্পতিবার থেকে একটানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। দুশ্চিন্তায় বহু মানুষ।বৃহস্পতিবার সারাদিন দফায় দফায় চলেছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। শুক্রবারও বিশেষ বদলায়নি সেই ছবিটা। আর এই বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গা।

পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী-১ ব্লকের জালুইডাঙা, গৌরাঙ্গপাড়া এলাকায় জমা জলে দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী। রাস্তা পেরিয়ে জল ঢুকে পড়েছে বাড়ির ভিতরেও। আর সেই জমা জলের মধ্যেই নিত্যদিনের কাজ করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই অবস্থা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা পাপিয়া বসাক বলেন, ঘরের মধ্যে জল ঢুকে গিয়েছে। কল, বাথরুম সব ডুবে গিয়েছে। লোকের বাড়ি থেকে পানীয় জল আনতে হচ্ছে। প্রতিবছর এই সমস্যা হয়। জল নিকাশির কোনও ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি।

আর‌ও পড়ুন: মাত্র এক দিনের বৃষ্টিতেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয়

পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী-১ ব্লকের এই এলাকায় প্রতি বছর বর্ষা এলেই জল জমে পরিস্থিতি বেহাল হয়ে ওঠে। একটানা বৃষ্টি হলেই কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। এই বছরেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই ধরা পড়ছে সেই চেনা ছবি।

এলাকার কোথাও এক হাঁটু, কোথাও বা কোমর সমান জল জমেছে। আর সেই জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এই প্রসঙ্গে এলাকার আর এক বাসিন্দার বক্তব্য, প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে এই একই সমস্যা হচ্ছে। সাপের আতঙ্কে আমাদের দিন কাটাতে হচ্ছে এখন। চরম সমস্যায় রয়েছি। পাশাপাশি এই জমা জলের কারণে এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bangla Video: এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা দেখলে আপনিও নিজের সন্তানকে পাঠাতে চাইবেন না!

পূর্ব বর্ধমান: বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার রাস্তায় জমে রয়েছে হাঁটু সমান জল। সেই জল পেরিয়েই প্রতিদিন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। মাঝে মধ্যেই কাদা জলের মধ্যে পড়ে গিয়ে আঘাত‌ও পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে। পূর্বস্থলী-২ ব্লকের কাষ্ঠশালি চড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

পূর্ব বর্ধমানের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের এই রাস্তায় অল্প বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু জল জমে যায়। এই জল জমে থাকার কারণে ছোট ছোট পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে খুবই সমস্যা হয়। অনেক অভিভাবক তাঁদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পান। বাধ্য হয়ে আমাদের বুঝিয়ে পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে হয়। এছাড়াও এই জমা জলের জন্য মশার উপদ্রব বেড়ে নানান অসুখ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: জল কিনতেই বেরিয়ে যাচ্ছে সব টাকা! বৃষ্টির অভাবে পাট পচাতে গিয়ে মাথায় হাত চাষিদের

বর্ষাকাল শুরু হলেই বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকার মত ছবি ধরা পড়ে। তবে বিদ্যালয়ের সামনে এভাবে জল জমে থাকার বিষয়টি বেশ আশ্চর্যজনক। রীতিমত পায়ের জুতো হাতে নিয়ে ক্ষুদে পড়ুয়াদের প্রবেশ করতে হচ্ছে বিদ্যালয়ে। এভাবে প্রতিদিন যাতায়াত করতে থাকলে পড়ুয়াদের শরীর খারাপও হতে পারে বলে মত নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকের। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

রাস্তায় আর দাঁড়াবে না জল! মেশিনেই সাফ হয়ে যাবে রাস্তার জমা জল! বড় ঘোষণা

ঝড়-বৃষ্টির জেরে হাবরার জমা জলের সমস্যার সমাধানে অবশেষে স্ট্রম ওয়াটার ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন চালু করল পৌরসভা। হাবরা পৌর এলাকার সাত আট এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকায় প্রতিবছরই বৃষ্টির জমা জলে এলাকার মানুষকে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হত। জমা জলের কারণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে হাবরা পৌর এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের দাবি ছিল জল সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক পৌরসভা। এর পরই রাজ্যের নগর উন্নয়ন দফতর ও হাবড়া পৌর সভার উদ্যোগে তৈরি হওয়া অত্যাধুনিক পাম্পিং স্টেশনের সূচনা হল। দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষের উপস্থিতিতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরদারপাড়া এলাকায় উদ্বোধন করা হয় এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্পিং স্টেশনের।

Water Logged Road: অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা যেন ডোবা!

উত্তর ২৪ পরগনা: অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ল সুন্দরবনের একাংশ। রাস্তা যেন ডোবার চেহারা নিয়েছে। এমনই বেহাল অবস্থা হিঙ্গলগঞ্জের। বর্ষার বৃষ্টির তীব্রতা বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।

উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও তেমনভাবে বৃষ্টি শুরু হয়নি। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে আছে রাস্তা। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়ছে পথচারী থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের দাবি, বছরের পর বছর এমনই অবস্থায় পড়ে আছে হিঙ্গলগঞ্জের স্যান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আমবেরিয়া বাজার থেকে ৩ নম্বর ফেরিঘাটের রাস্তা।

আর‌ও পড়ুন: পুকুরের ৭-৮ ফুট তলায় পড়ে থাকা কিশোরের দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দিলেন সুকুমার! সুন্দরবনে ম্যাজিক

স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, রাস্তা সংলগ্ন এলাকার সমস্ত বাড়ির জল বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর জমতে শুরু করে। এলাকায় নর্দমা বলে কিছু নেই। সে কারণেই অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে থাকে এখানকার রাস্তাঘাট। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোন‌ও ফল হয়নি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বর্ষার বৃষ্টিপাত পূর্ণদমে শুরু হলে পরিস্থিতি অনেক জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা। তা থেকে বিপদ ঘটে যেতে পারে বলেও কেউ কেউ ভয় পাচ্ছেন।

জুলফিকার মোল্যা

Water Logged Problem: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন আরামবাগের একাধিক ওয়ার্ড, ঘরের মধ্যে জল থৈ থৈ

হুগলি: রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন আরামবাগ পুরসভার বেশকিছু ওয়ার্ড। বৃষ্টির ফলে নোংরা জল রাস্তা উপচিয়ে ঢুকে পড়েছে বাড়ির ভিতরে। জল যন্ত্রণা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। উপযুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসীরা। পুরসভার তরফে জল নিকাশির জন্য পাম্প বসিয়ে জল বের করার কাজ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতভর টানা বৃষ্টি হয় আরামবাগে। আর সেই বৃষ্টির জল জমেই জলমগ্ন পরিস্থিতি পুর এলাকার ২, ৩, ৬ ও ১৯ ওয়ার্ড সহ বেশ কিছু এলাকায়। জল ঢুকেছে সরকারি ব্যাঙ্কের ভেতরেও। অন্যদিকে রাস্তায় এক হাঁটু সমান জল জমার পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢুকেছে। তার জেরে রান্না ছেড়ে দিয়ে ঘরের আসবাবপত্র সামলাতে ব্যস্ত বাসিন্দারা। অভিযোগ, প্রায়শই ভারী বৃষ্টি হলেই জল জমে এই সমস্ত এলাকায়। পুরসভার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় মুর্শিদাবাদের চার প্রতিযোগী!

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রানি রায় বলেন, বছর তিনেক ধরে বৃষ্টি হলেই জল ঢুকছে বাড়ির ভেতরে। দিন কয়েক আগে বৃষ্টিতেও জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল গোটা এলাকা। জল ঢুকেছে বাড়ির ভেতরে। এক হাঁটু সমান জলে ডুবে গেছে খাট-বিছানা। সকাল থেকে পাম্প লাগিয়ে জল বের করার চেষ্টা চলছে পুরসভার তরফ থেকে। পাশাপাশি এলাকার মানুষরা নিজেদের উদ্যোগে আরও একটি পাম্প ভাড়া করে এনে জল বের করার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

এই বিষয়ে আরামবাগের উপ-পুরপ্রধান মমতা মুখোপাধ্যায় জানান, আন্ডার গ্রাউন্ড ড্রেনের কাজের জন্য একটু সমস্যা হয়েছে। তবে পাম্প দিয়ে সকাল থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে জমা জল বের করার চেষ্টা করছে পুরসভা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখছেন কাউন্সিলররা।

রাহী হালদার

Water Logged: জল যন্ত্রণায় স্কুলছুট ছেলেমেয়েরা, অতিরিক্ত পোশাক নিয়ে বেরোতে হয় রোজগেরেদের

হাওড়া: বর্ষাকালে এলেই জল যন্ত্রণা চরমে ওঠে। শিশু থেকে বয়স্ক কেউই ভোগান্তি থেকে বাদ যায় না। কখনও হাঁটু সমান, আবার কখনও বুক সমান জল পেরোতে হয়। ফলে লাটে উঠেছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা।

এমনই দুর্বিষহ অবস্থা পাঁচলার বিকিহাকোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিহাটি চড়কতলার। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস থেকে শুরু করে নবান্ন’তে পর্যন্ত জানিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা দিন মজুরি করে সংসার চালান। কিন্তু এই জল যন্ত্রণার কারণে তাঁদের অনেকেই ঠিক করে কাজে পর্যন্ত যেতে পারছেন না। সাধারণ গ্রামবাসীরাও বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ জমা জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষধর সাপ! এদিকে জমা জলের কারণে অতিরিক্ত এক সেট পোশাক নিয়ে বেরোতে হচ্ছে রোজগেরেদের। জমা জল পেরিয়ে গিয়ে পোশাক পাল্টে কর্মস্থলে পৌঁছচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প ঘিরে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা

স্থানীয়দের কথা থেকে জানা গিয়েছে, এলাকাটা নিচু। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বর্ষার কয়েকটা দিন শুধু জল জমে থাকত। কিন্তু বর্তমানে একটানা কয়েক মাস জল জমছে। একটি কারখানার পাঁচিল নির্মাণের পর থেকেই এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তার ফলে জমা জল নামতেই চাইছে না। মানুষের বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ছে নোংরা জল। তা থেকে চুলকানি সহ নানান ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

এই প্রসঙ্গে রানিহাটির লালমোহন কোলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবব্রত সানা জানান, ওই এলাকা থেকে প্রায় ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই বিদ্যালয়ে পড়ে। কিন্তু এলাকার জমা জলের সমস্যার কারণে বছরের অধিকাংশ সময়ে কুলের আসতে পারে না। এর ফলে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে সেই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে।

রাকেশ মাইতি

Farmers Crisis: বিএসএফ কালভার্ট বন্ধ রাখায় বাংলাদেশ সীমান্তে মারাত্মক ক্ষতি চাষিদের!

উত্তর দিনাজপুর: লাগাতার কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের বহু এলাকা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর অঞ্চলের গোটগাও, উদগ্রাম, রাধিকাপুর এলাকার কয়েকশো বিঘা জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকরা।

এই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারনে আনুমানিক দুই হাজার একর ধান জমি জলে ডুবে গিয়েছে। ফলে মাথায় হাত রাধিকাপুরের ধান চাষিদের। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা গোটগাও-এর ধান চাষি মোজাফফর হোসেন বলেন, ধানি জমি বৃষ্টির জলে গত সাতদিন ধরে ডুবে থাকায় চাষাবাদ করতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ, পাশে বিএসএফ-এর কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে যেখান দিয়ে জল পাস হয় সেই জল যাওয়ার জায়গা বিএসএফ জ‌ওয়ানরা বন্ধ করে রেখেছেন।

আরও পড়ুন: পাচারের আগেই উদ্ধার বহুমূল্যের কাঠ

এই পরিস্থিতিতে এখানকার চাষিদের জমির জল কোন‌ও দিক দিয়েই বের হতে পারছে না। জল বের না হওয়ার কারণে তাঁদের জমিতে ধানের রোঁয়া লাগাতেও পারছেন না। ফলে জমিতে ধান লাগানোর ক্ষেত্রে তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন। টাঙ্গন নদীর জল যেভাবে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে যেকোনও সময় দুকূল ছাপিয়ে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে। আর তাহলে চাষিরা ভিটেমাটি হারা হবেন বলেও আশঙ্কা।

এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিতাই বৈশ্য বলেন, জমিতে দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকায় সমস্যা পড়ছেন এলাকার কৃষকরা।রাধিকাপুরে বিএসএফ জ‌ওয়ানরা রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া কালভার্টগুলি বন্ধ করে রাখায় চাষের জমিতে জমা জল বের হতে পারছে না। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন আলোচনার ভিত্তিতে জরুরি সমাধান সূত্র বের করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।

পিয়া গুপ্তা

Water Logging: বৃষ্টির জমা জল আটকে চরম ভোগান্তি, রাজবাড়িতে কমছে পর্যটকদের আনাগোনা

কোচবিহার: প্রবল বৃষ্টিতে সদর শহরের বেশ কিছু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র রাজবাড়ি। কিন্তু রাজবাড়ির সামনে বৃষ্টির জল আটকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এখানে আসা পর্যটকদের। ফলে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির জেরে জল আটকে পড়েছে এলাকায়। নিকাশি নালার বেহাল দশা থাকার কারণে জল নামতে পারছে না। ফলে জলের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে রাজবাড়ির সামনে।

রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা এক পর্যটক সুবর্ণা দাস জানান, রাজবাড়ির সামনে ড্রেনের নোংরা জল আটকে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। ওই জ্মা জল থেকে রীতিমত দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। পর্যটক ও সাধারন মানুষকে এই জল পেরিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। বৃষ্টি ক্রমাগত হয়েই চলেছে। আর বৃষ্টির ফলে জলের পরিমাণও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই এলাকায়। ফলে রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের এবং রাস্তা দিয়ে চলাচল করা স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচুর অসুবিধা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি জেলায়, বাঁধহীন এলাকায় আতঙ্ক

রাজবাড়ির সামনের এক ব্যবসায়ী মোতিলাল সাহা জানান, জল জমে থাকার কারণে রাজবাড়িতে পর্যটকের আনাগোনা অনেকটাই কমেছে। বৃষ্টির কারণে এই অসুবিধায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থার একেবারেই বেহাল দশার কারণে অসুবিধায় পড়ছেন বহু মানুষ। তবে গোটা বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কোন প্রকার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল দে জানান, কোচবিহার পুরসভা জল জমার বিষয় নিয়ে একেবারেই উদাসীন। ফলে অসুবিধা চরমে উঠেছে। 

গোটা বিষয় নিয়ে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দ্রুত গোটা বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই সমাধান কবে করা হবে সে বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষেরা। কোচবিহারের ঐতিহ্য রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সামনে কোচবিহারের যে চিত্র ফুটে উঠছে তা একেবারেই কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

সার্থক পন্ডিত