Category Archives: আলিপুরদুয়ার

Darjeeling: দার্জিলিংয়ে এবার জিতবে কে? বিমল গুরুঙ যা বললেন, তোলপাড় পড়ে গেল

আলিপুরদুয়ার: ডুয়ার্স ও পাহাড়ে লোকসভা নির্বাচনে জয় হবে বিজেপি-র। তবে কম মার্জিনে জয় হবে বলে দাবি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুঙের। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই তিনটি লোকসভা আসনে বিজেপি জয়ী হবে। কিন্তু ২০১৯ সালের তুলনায় এবার ভোটের ব্যবধান অনেক কমবে বলে দাবি করেন বিমল গুরুং।

আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটান সীমান্ত জয়ঁগাতে এসেছিলেন মোর্চা নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে। এদিন জয়ঁগা মঙলাবাড়িতে স্থিত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডুয়ার্সের মুখ্য কার্যালয়ে এলাকার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেন বিমল গুরুং।এই বৈঠকের পর বিমল গুরুং জানান, “বিজেপির জয় হবে এটা সত্য। তবে পাহাড়ে ভোট ব্যবধান অনেক কমবে। এছাড়া আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এলাকাতেও কমবে ভোটের ব্যবধান।”

আরও পড়ুন: হাজার-হাজার মানুষ অপেক্ষায়, তবুও পৌঁছতে পারলেন না অভিষেক! যা ঘটল, মন খারাপ বীরভূমের

তৃণমূল এবার জোর টক্কর দেবে বলে দাবি বিমল গুরুঙের। কারণ পাহাড়ে তৃণমূলের মুখ এবারে এক ভূমিপুত্র। তাঁর সঙ্গে পাহাড়বাসীর আবেগ জড়িয়ে। যদিও পাহাড় ও শিলিগুড়ির জন্য অনেক কাজ করেছেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। এদিন বিমল গুরুং আরও জানান, ডুয়ার্স ও তরাইয়ে  তাদের সংগঠন মজবুত করার জন্য ময়দানে নেমেছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় সভা করছেন।

 —– Annanya Dey

Viral Radish Pickle Recipe: পান্তা ভাতের সঙ্গে মুলোর আচার! পাঁচ মিনিটে তৈরি হবে! তুমুল ভাইরাল এই আদিবাসী রেসিপি

আলিপুরদুয়ার: পান্তা ভাতের সঙ্গে মুলোর আচার এই গরমে খেয়ে থাকেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বিশেষ করে আদিবাসীদের মধ্যে মুন্ডারা পান্তা ভাতের সঙ্গে এই পদটি ব্যবহার করে থাকেন। গরমের দিনে পান্তা ভাত খেয়ে থাকেন বাঙালিরা। এই পান্তা ভাতের সঙ্গে কেউ খেয়ে থাকেন মসুর ডালের বড়া, আবার কেউ খেয়ে থাকেন পেঁয়াজি।

পান্তা ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন পদ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চলছে প্রথম থেকেই। আদিবাসী মহল্লাতে গেলে দেখা যায় পান্তা ভাতের সঙ্গে তারা খেয়ে থাকেন মুলোর আচার।তবে এই আচার তেল, মশলা দিয়ে তৈরি হয় না। আচারটি তৈরি হয় ভিন্নভাবে।

আরও পড়ুন: বই কেনার টাকা ছিল না! সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়! উচ্চ মাধ্যমিকে দশম, বৃষ্টির লড়াই চোখে জল আনবে!

মুলো কেটে শুকিয়ে রাখা হয়। যেদিন আচার খাবার মন চায় সেদিন শুকিয়ে রাখা মুলো বের করে গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে হয় আধ ঘণ্টা।এরপর আলু ও লঙ্কা পুড়িয়ে নিতে হয় হালকা করে। পুড়িয়ে নেওয়া আলুর খোঁসা ছাড়িয়ে নিতে হয়। তা এমনিতেই নরম হয়ে যায়।এরপর পেঁয়াজ কেটে নিতে হয়। আলু, পেঁয়াজ, মুলো, লঙ্কা লবণ দিয়ে মেখে নিতে হয়। এরপর তা পরিবেশন করা হয় পান্তা ভাতের সঙ্গে।

Annanya Dey

Leopard Death: রাতের অন্ধকারে বেঘোরে প্রাণ গেল চিতাবাঘের

আলিপুরদুয়ার: আবার‌ও বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল পূর্ণ বয়ষ্ক চিতাবাঘের। মাদারিহাটের ঘটনা। গভীর রাতে একটি গাড়ি নিয়ম না মেনে দ্রুতগতিতে চলছিল। এরফলে চিতাবাটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পরে ভোরবেলায় এলাকার মানুষ বাইরে বেরিয়ে দেহ পড়ে থাকতে দেখে।

জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে মাদারিহাট এলাকার প্রধান সড়ক ধরে চিতাবাঘটি রাস্তা পার হচ্ছিল। সেই সময় দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। গাড়িটিকে পাওয়া যায়নি। ভোর হলে স্থানীয়রা রোজের মত বাড়ির বাইরে বেরিয়ে চিতাবাঘটির দেহ দেখতে পান। এরপর তাঁরাই বনবিভাগে খবর দেন।

আরও পড়ুন: সভা থেকে ফেরার সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত ২০ তৃণমূল সমর্থক

এরপর জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলদাপাড়া প্রকৃতিবিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠায়। ঘাতক গাড়ির সন্ধানে তল্লাশির শুরু করেছে বন দফতর। খতিয়ে দেখা হচ্ছে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ। গাড়ির নম্বর দেখে তার মালিকের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এদিকে অজ্ঞাতপরিচয় ঘাতকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

অনন্যা দে

WB HS Result 2024: ১০টায় ঘুম থেকে উঠেও উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায়! চমকে দেওয়া ফল আলিপুরদুয়ারের অন্বেষার

আলিপুরদুয়ার: সকাল সাড়ে ১০টায় ঘুম থেকে উঠেও উচ্চ মাধ‍্যমিকে রাজ‍্যে নবম আলিপুরদুয়ারের অন্বেষা দত্ত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে তাঁর।

আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার সীমানায় অবস্থিত খোলটা এলাকায় বসবাস অন্বেষার। একান্নবর্তী পরিবারের মেয়ে। এলাকাটি এমন, যেখানে মেয়েদের বিয়ে যত তাড়াতাড়ি দেওয়া যায় তার ব‍্যবস্থা করেন বাবা-মায়েরা।

আরও পড়ুন: ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল, ৯০ শতাংশ পাশ! রেজাল্ট দেখুন সরাসরি এক ক্লিকে

সেখানে দাঁড়িয়ে মেয়েকে শিক্ষিত করার জন‍্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অন্বেষার বাবা। মেয়েকে চার কিলোমিটার দূরে স্কুলে দিয়ে আসা, টিউশনে নিয়ে যাওয়া সব করতেন তাঁর বাবা। অন্বেষা বাবার এই অবদানের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান। কলাবিভাগ নিয়ে পড়ে রাজ‍্যে নবম হবেন তা তিনি বুঝতে পারেনি।

এই বিষয়ে অন্বেষা বলেন, “খুব ভোরে উঠে কখনও পড়িনি। যেটা ভুল হত, সেটা বেশি করে পড়তাম। মন যেটা পড়তে বলত সেটাই পড়তাম।” ইংরেজি বিষয়টি ভালবাসেন অন্বেষা। ভবিষ‍্যতে এই বিষয় নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান তিনি। অন্বেষার সাফল‍্যে খুশি গ্রামবাসীরা।

Annanya Dey

HS 1st Boy: কোহলির ভক্ত, উচ্চ মাধ্যমিকের ‘ফার্স্ট বয়’ অভীক যা বলল, শুনে চমকে উঠছেন সকলে!

আলিপুরদুয়ার: ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির বড় ভক্ত। ক্রিকেটে রয়েছে আগ্রহ। তবে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার চাপে মাঠমুখী হতে পারেননি। অ‍্যাস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানী হতে চায় উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম অভীক দাস।

তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ার পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ব অরবিন্দ নগর এলাকায়। পড়ার চাপে ক্রিকেট খেলতে পারেননি তো কী হয়েছে। ফাঁকা সময় পেলে গোয়েন্দা গল্পের বইয়ে মনোনিবেশ করেছেন অভীক। রহস‍্য তাকে বরাবর আকর্ষণ করে। সে আলিপুরদুয়ার ম্যাক উইলিয়াম স্কুলের ছাত্র। উচ্চ মাধ‍্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। রাজ‍্যে মেধা তালিকায় প্রথম তিনি।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর অবস্থা এত খারাপ! টাল খেয়ে গিয়েছে পূর্ব দিকে, ভারতের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের খবর

মাধ্যমিক ২০২২-এ রাজ্যে চতুর্থ হয়েছিল এই পড়ুয়া। এবারে একবারে প্রথম স্থান অর্জন করবেন তা তিনি বুঝতে পারেননি। তবে আশা ছিল প্রথম পাঁচে থাকবেন। পড়াশুনো ব্যতিত কিছুই করতেন না তিনি। দিনে ৮-১০ ঘন্টা পড়াশুনো করতেন। ফিজিক্স পড়তে ভালোবাসেন। হয়ত ফিজিক্সে নম্বর ভাল এসেছে বলেই তাঁর বিশ্বাস। অভীক বলেন, “একটা সারপ্রাইজ পেলাম। প্রথম হব আশা রাখিনি। উত্তরের নাম উজ্জ্বল করতে পারলাম এতেই আমি গর্বিত। ভবিষ্যতে উত্তরের নাম আরও উজ্জ্বল করতে চাই।”

এদিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁর নাম মেধা তালিকায় প্রথমে আসার পর থেকেই শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। বাবা প্রবীর দাস পেশায় শিক্ষক ও মা একজন গৃহবধূ। বর্তমানে তাঁর বাড়িতে চলছে মিষ্টি মুখের পালা।

—- Annanya Dey

Bangla Video: গাছের ডালে বাঁধা হাঁড়িতে রাখা জল মেটাচ্ছে পাখিদের তৃষ্ণা

আলিপুরদুয়ার: পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ একদল যুবকের। গাছের ডালে হাঁড়ি বেঁধে তাতে জল ঢেলে এই প্রখর গ্রীষ্মে পাখিদের তৃষ্ণা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মহাকালগুড়ি এলাকায়। সেই হাঁড়িতে প্রতিদিন নিয়ম করে জল ঢালছেন এলাকার যুবকরা।

প্রচন্ড দাবদাহে কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিঘার পর বিঘা ভুট্টা ক্ষেত জলের অভাবে মরে যাচ্ছে। খাল বিলে জল নেই। ফলে অসহায় পাখিরাও পান করার মত জল পাচ্ছে না কোথাও। মানুষের কষ্ট হলেও তারা নানান উপায়ে পানীয় জল জোগাড় করতে পারে। কিন্তু পাখিদের তো আর সেই সুযোগ নেই। তাই তাদের জন্য এগিয়ে এসেছে মহানুভ একদল যুবক।

আরও পড়ুন: টেনে নিয়ে গিয়েছিল বাঘ, মৃতদের পরিবারকে চার সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ করে ক্ষতিপূরণ

এই সময়ে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে জল ভর্তি করে রাখছেন উত্তর মহাকালগুড়ি এলাকার কিছু যুবক। ‌গ্রামের ১৫ টি গাছে মাটির হাড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে তাতে জল ভর্তি করে রাখছেন যুবকরা। আর সেখান থেকেই তৃষ্ণা মেটাতে জল পান করছে পাখিরা। প্রতিদিন সকালে উঠেই জল দেওয়ার জন্য জঙ্গলে চলে যান ওই যুবকরা।গাছে উঠে জল দিয়ে নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে যান রাহুল, বিশালরা। কামাখ্যাগুড়ি ভলেন্টিয়ার অর্গানাইজেশন-এর সঙ্গে যুক্ত এই যুবকরাবরাবরই বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকেন।

অনন্যা দে

HS Result 2024 1st Boy Avik Das: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম অভীক ভবিষ্যতে কী হতে চান? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন

আলিপুরদুয়ার: অ‍্যাস্ট্রো-ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানী হতে চান উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম অভীক দাস। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ার পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ম্যাক উইলিয়াম স্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।

মাধ্যমিক ২০২২-এ রাজ্যে চতুর্থ হয়েছিলেন এই পড়ুয়া। এবারে একবারে প্রথম স্থান অর্জন করবেন তা তিনি বুঝতে পারেননি। তবে আশা ছিল প্রথম পাঁচে থাকবেন। পড়াশোনা ছাড়া কিছুই করতেন না তিনি। দিনে ৮-১০ ঘন্টা পড়াশুনো করতেন।

আরও পড়ুন: জেলার জয়জয়কার! উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪-এ প্রথম দশে কারা? দেখুন সম্পূর্ণ মেধাতালিকা

ফিজিক্স পড়তে ভালবাসেন অভীক। তাই হয়তো ফিজিক্সে নম্বর ভাল এসেছে বলে তাঁর বিশ্বাস। অভীক জানান, “একটা সারপ্রাইজ পেলাম। প্রথম হব আশা রাখিনি। উত্তরের নাম উজ্জ্বল করতে পারলাম এটাতে আমি গর্বিত। ভবিষ্যতে উত্তরের নাম আরও উজ্জ্বল করতে চাই।”

আরও পড়ুন: ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল, ৯০ শতাংশ পাশ! রেজাল্ট দেখুন সরাসরি এক ক্লিকে

এদিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাঁর নাম মেধাতালিকায় প্রথমে আসার পর থেকেই শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। বাবা প্রবীর দাস পেশায় শিক্ষক ও মা একজন গৃহবধূ। বর্তমানে তাঁর বাড়িতে চলছে মিষ্টি মুখের পালা।

Annanya Dey

Madhyamik Result 2024: পানের দোকান চালিয়েও মাধ্যমিকে সাফল্য দিনমজুরের ছেলের! দুচোখে তার স্বপ্ন বিজ্ঞানী হওয়ার

আলিপুরদুয়ার: ইচ্ছে বিজ্ঞান নিয়ে পরে বিজ্ঞানী হওয়ার। কিন্তু জেলার হিন্দি মাধ্যম স্কুলে নেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সুবিধা। এদিকে বাইরে গিয়ে পড়ার সামর্থ নেই মনু শার।

আরও পড়ুনঃ ICSE-তে নজর কাড়া সাফল্য উত্তরবঙ্গের! রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম ওদলাবাড়ির স্বপ্নজিৎ!

বাধ্য হয়ে সাহায্যের আবেদন করছেন মনু শা। এ যেন ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো। বাবা দিন মজুরের কাজ করেন। সংসার চালাতে ছোট পানের দোকান চালান মনু শা। এই পানের দোকান চালিয়ে পড়াশুনো করেছেন তিনি। মাধ্যমিকে হিন্দি মাধ্যমে কালচিনি ব্লক টপার তিনি। ঘরে রয়েছে একটি মাত্র বাল্ব। তা দিয়েই পড়াশুনো করতেন মনু। মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৫৪০।

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তাঁর। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও হিন্দি মাধ্যমের বিদ্যালয়ে নেই সেই সুযোগ। মনু শা জানিয়েছেন, “ছোট থেকে হিন্দি মাধ্যমে পরে এসেছি। এখন মাধ্যম পরিবর্তন করতে পারব না। ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনো করতে পারলেও তা খরচ সাপেক্ষ। যা আমাদের পরিবারের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়।”

ছোট গ্রামে থেকে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দুচোখ ভরে দেখে মনু। তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে হয়ত কেউ আসবেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে, বিশ্বাস রয়েছে মনুর।

Annanya Dey

Tourism: জলদাপাড়া ও বক্সা জঙ্গলজুড়ে দেখা নেই পর্যটকের! কারণ জানালেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

আলিপুরদুয়ার: এবারে গরমের ছুটিতে পাহাড়মুখী পর্যটকেরা। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার পর্যটন শিল্পে দেখা গিয়েছে ভাটা।

আরও পড়ুনঃ ICSE-তে নজর কাড়া সাফল্য উত্তরবঙ্গের! রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম ওদলাবাড়ির স্বপ্নজিৎ!

জঙ্গলভিত্তিক পর্যটন শিল্প আলিপুরদুয়ারে। তবে শুধু জঙ্গল নয় এখানে এলে দেখা যায় ভুটান পাহাড়ের সৌন্দর্য। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলার চিলাপাতা, রাজাভাতখাওয়া, বক্সা, জয়ন্তী, জলদাপাড়া পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় যেমন পর্যটকদের থাকার হোটেল রয়েছে, তেমনই রয়েছে হোমস্টে। এলাকার বাসিন্দারা দুটো টাকা লাভের আশায় এই হোমস্টের ব্যবসা চালাচ্ছেন। সমস্তরকমের সুবিধা থাকে হোমস্টে গুলিতে।

প্রতিবছর গরমের ছুটিতে প্রচুর পর্যটকদের আগমন হয় ডুয়ার্সে। এবার আর দেখা নেই পর্যটকদের। হাতে গোনা পর্যটকদের দেখে মন ভরছে না পর্যটন ব্যবসায়ীদের। পর্যটক না দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তাঁদের অনুমান অত্যাধিক গরমের কারণে কেউ আসতে চাইছে না ডুয়ার্স-এ। এবছর অতিরিক্ত গরম পড়ায় সব পর্যটক পাহাড় মুখো হচ্ছে ডুয়ার্সে আসছে না পর্যটক। এমনকী পর্যটকদের পছন্দের জায়গা চিলাপাতাতে পর্যটকদের দেখা নেই। ভোট, গরমের ছুটি একসঙ্গে শুরু হওয়ার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জুন মাসের মাঝে বর্ষার কারণে বন্ধ হয়ে যাবে জঙ্গল। পর্যটক তখন এমনিও আসবে না বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বক্সাতেও এক ছবি। পর্যটন ব্যবসায়ী লাল সিং ভুজেল জানান, “বক্সার পর্যটন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বন দফতর এক একসময় এক এক আইন লাগু করছে। আগে জয়ন্তী পর্যটকরা নিজেদের গাড়ি নিয়ে যেত এখন সেটা নিয়ে যেতে পারে না। প্যাকেজ ট্যুরিজম পর্যটকদের পছন্দ নয়।” গরমের ছুটিতে কী ব্রাত্য থেকে যাবে আলিপুরদুয়ার পর্যটন? উঠছে প্রশ্ন।

Annanya Dey

Alipurduar News: ১৫ দিন লুকিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে খাঁচায় লেপার্ড! স্বস্তি চিঞ্চুলা চা বাগানে

আলিপুরদুয়ার: লেপার্ডের আক্রমণে সম্প্রতি আহত হয়েছিলেন এক মহিলা শ্রমিক। তারপরেই পাতা হয় খাঁচা।এদিন সকালে খাঁচায় দেখা মেলে এক লেপার্ডের। ১৫ দিনের মাথায় খাঁচাবন্দি হল লেপার্ড। চা বাগান থেকে বন দফতরের পাতা খাঁচায় খাঁচাবন্দি হল লেপার্ড।‌

মঙ্গলবার সাতসকালে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের চিঞ্চুলা চা বাগান থেকে লেপার্ডটি উদ্ধার হয়। এদিন সকালে চা বাগানের ৮ নম্বর সেকশনে খাঁচাবন্দি লেপার্ডটিকে দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা বন দফতরে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানা মোবাইল রেঞ্জের বন কর্মীরা।

আরও পড়ুন:গরমে হিট শসা মাখা! নতুন রেসিপিতে মজেছে আলিপুরদুয়ার

খাঁচাবন্দি লেপার্ডটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শ্রমিকদের তরফে জানা যায় এলাকায় লেপার্ডের উপদ্রব অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি লেপার্ডের আক্রমণে একজন মহিলা শ্রমিক আহত হয়েছিল। এরপর তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে বন দফতরের তরফে খাঁচা বসানো হয় বাগানে। লেপার্ড টি উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন শ্রমিকরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey