Category Archives: কোচবিহার
River Erosion: বাঁধের অংশ তলিয়ে গিয়েছে নদীতে, আতঙ্কের প্রহর গুনছে গ্রামের মানুষ
কোচবিহার: টানা বৃষ্টির জেরে জেলার বেশিরভাগ নদীতেই ভাঙনে চিত্র ফুটে উঠেছে। তোর্ষা থেকে মানসাই নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত বহু মানুষ। এরই মাঝে আবার রায়ডাক নদীর ভাঙন দেখা দেওয়ায় চিন্তায় ঘুম উড়েছে আরও অসংখ্য লোকজনের।
কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বারোকোদালি-১ অঞ্চলের লাঙল গ্রামে রায়ডাক নদীর ভাঙনের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এবারের বর্ষায় নদী ফুঁসে উঠতেই বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই নদী বাঁধের একাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হয়ত এলাকায় বাকি নদী বাঁধেও ফাটল দেখা দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। ফলে নদীর জল লোকালয়ে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সালিশি সভায় ভয়ঙ্কর ঘটনা! তর্কাতর্কির মধ্যেই বেরিয়ে এল ধারাল অস্ত্র, তারপর…
এলাকার এক বাসিন্দা স্বপ্না দাস জানান, এক বছর আগে থেকে নদী বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই ক্রমাগত ভাঙন হয়েই চলেছে। এবারে নদী বাঁধের অনেকটা অংশ তলিয়ে গিয়েছে। তাই এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তা নেই বললেই চলে। নদী ভাঙন রোধে বাঁশের খাঁচা দেওয়া হলেও লাভ হয়নি। বর্তমানে যেকোনও মুহূর্তে নদী লোকলয়ে প্রবেশ করতে পারে বলে সকলের আশঙ্কা। বাঁধের উপরে ছিল বিদ্যুতের তারের খুঁটি। সেই খুঁটি ইতিমধ্যেই নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। ফলে এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। জলের পাইপ লাইন বাঁধের ভেঙে যাওয়ার কারনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ফলে জল সরবরাহও বন্ধ হয়ে রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাত হলে আর ঘুম হয় না। কখন যে কী হয় তা বোঝা দুষ্কর। ফলে পরিবার নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে কার্যত সারারাত জেগেই কাটান তাঁরা।
সার্থক পণ্ডিত
Nanotechnology Road: কোটি টাকা খরচে তৈরি ন্যানো প্রযুক্তির রাস্তার বছর ঘুরতেই বেহাল দশা
কোচবিহার: দু’বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই রাস্তা। ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা এই রাস্তা নিয়ে সেই সময় ব্যাপক প্রচার হয়েছিল। নানান পত্রপত্রিকায় বড় বড় করে খবর ছাপা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই যাবতীয় উৎসাহ মাটি হয়ে গিয়েছে। রীতিমত বেহাল দশা আধুনিক প্রযুক্তির এই রাস্তার। এবার বর্ষার কদিনের টানা বৃষ্টিতেই এই রাস্তায় তৈরি হয়েছে ইয়া বড় বড় গর্ত। ফলে চলাচল করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা।
দু’বছর আগে কোচবিহারের অন্দরানফুলবাড়ির এই রাস্তা নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩৯ টাকা বরাদ্দ করেছিল। উত্তরবঙ্গের মধ্যে এখানেই প্রথম ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই রাস্তাটি ভাঙতে শুরু করেছিল। বর্তমানে এই রাস্তার একেবারে বেহাল দশা। এত কম সময়ে ন্যানো প্রযুক্তির রাস্তা কী করে ভেঙে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণের গুণমান সঠিক ছিল কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
আরও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাত সকালে ইকো পার্কে এ কী দৃশ্য! দেখে হতবাক সকলে
এলাকার বাসিন্দা মলিন বর্মন জানান, এই রাস্তা দিয়ে বলরামপুর হাইওয়েতে ওঠা যায় খুব সহজেই। পাশাপাশি এখান দিয়ে তুফানগঞ্জেও খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যায়। ফলে প্রতিদিন বহু মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তবে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় অসংখ্য মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে উঠেছে।
বাইক আরোহী সুজিত দাস জানান, এই রাস্তার এমনই বেহাল দশা হয়ে রয়েছে যে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত ঢুকতে চায় না। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারেই অসম্ভব। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। এই রাস্তা খারাপ থাকায় মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এই বেহাল রাস্তার বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তিনি এই বিষয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি। এই অবস্থায় বেহাল রাস্তাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষ ও নিত্য যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
সার্থক পণ্ডিত
Water Logging Problem: জলে ভাসছে চিলাখানার শিঙ্গিমারি, প্রবল বৃষ্টিতে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ
কোচবিহার: গত বেশ কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে কোচবিহারে। এই টানা বৃষ্টিতে রীতিমত ফুলে ফেঁপে উঠেছে সমস্ত নদী। এছাড়াও বৃষ্টিপাতের কারণে বহু লোকালয়ে জল জমে গিয়েছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। জমা জলে ভাসছে চিলাখানার শিঙ্গিমারি এলাকা।
বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই এই শিঙ্গিমারি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা নিয়ে বহুবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান মিঁয়া জানান, এই এলাকার জল জমার সমস্যা নতুন নয়। বর্ষাকাল এলেই একদিকে বৃষ্টির জল, অপরদিকে নদীর জল দুইয়ে মিলে অবস্থা একেবারে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। নোংরা জমা জল একেবারে ঘরে ঢুকে পড়ার উপক্রম হয়।
আরও পড়ুন: মোষকে বাঁচাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পুলকার
এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আমিনা বিবি জানান, প্রতিবছর বর্ষা নামলেই বিপুল পরিমাণ জল জমে যায় এলাকায়। দীর্ঘ সময় ধরে এলাকায় কোনও সঠিক জল নিকাশির ব্যবস্থা নেই। ফলে জল নামতে চায় না। উল্টে নদী থেকে ঘোলা জল এসে এলাকায় উপস্থিত হয়। কারণ নদীর অধিকাংশ জায়গায় সঠিকভাবে বাঁধ দেওয়া নেই। ফলে দু’দিকের চাপে ভোগান্তি চরমে ওঠে এলাকাবাসীদের। ঘরের ভেতরে পর্যন্ত জল ঢুকে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
গোটা বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জল না কমা পর্যন্ত কোনও প্রকার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। ফলে আপাতত কষ্টের মধ্যেই দিন কাটাতে হবে গ্রামবাসীদের।
সার্থক পণ্ডিত
Skin Care: ত্বক উজ্বল করতে ঘরোয়া এই জিনিস ব্যবহার করছেন? আজই বন্ধ করুন! নচেৎ কিছুদিনেই সর্বনাশ
Cooch Behar News: উন্নয়নের টাকার কী হল কেউ জানেনা! জল কাদায় ধুঁকছে প্রাচীন ডোডেয়ার হাট
কোচবিহার: একটা সময় রাজ আমলে জেলার বেশকিছু এলাকায় বড় হাট বসত। আজও সেই এলাকাগুলিতে হাট বসে সপ্তাহের দুইদিন। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার পসরা সাজিয়ে বসে হাটের দিন গুলিতে। জেলা শহর কোচবিহারের এমনই একটি প্রাচীন হাটের নাম ডোডেয়ার হাট। রাজ আমলের প্রাচীন হাট হলেও দীর্ঘ সময় ধরে এই হাটের অবস্থা একেবারেই জরাজীর্ণ।
তবে একটা সময় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক সহায়তায় হাটের সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছিল। তারপর অতিক্রম হয়ে গিয়েছে সাতটা বছর। উন্নয়ন তহবিলের টাকায় কিছু কাজ হয়েছে। তবে বেশিরভাগ টাকা তছরুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ী অঙ্কুর দাস জানান,”হাটের এই সমস্যা বর্তমানে অনেকটাই তীব্র হয়ে উঠেছে। বহুবার ব্যবসায়ীদের ও ক্রেতাদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তবে আখেরে কোনও লাভ হয়নি।”
আরও পড়ুন:ফুটফুটে হবে আপনার মুখ! ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করুন লাল এই গুঁড়ো, স্কিনে ম্যাজিক হবে
হাটে আসা এক প্রবীণ ক্রেতা জগদীশ বর্মন জানান,”নানা সমস্যার কারণে হাটে ক্রেতার অনেক কমে গিয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান না করলে আগামী দিনে ক্রেতারা হয়তো আর হাটে আসতে চাইবেন না।” বর্তমানে ব্যাপক ভোগান্তির পরেও সপ্তাহে দু’দিন হাট বসেছে এখানে। সকলে বর্তমানে দ্রুত এই রাজ আমলের পুরনো হাটের সংস্কার চান।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Sarthak Pandit
River Cleaning Man: নেশার বশেই নদী পরিষ্কার করেন ইনি, কারণ জানলে আরও অবাক হবেন
কোচবিহার: জেলার সদর শহরের একেবারেই পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে তোর্ষা নদী। এই নদীর একটি অংশ জঞ্জাল এবং আগাছায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। মূল নদী থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কারণে জৌলুস হারিয়েছে এই অংশটি। ফলে সারাটা বছর আগাছা, কচুরিপানা ও জঞ্জালে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। নদীর এই অংশে জঞ্জাল ও আগাছা থাকার কারণে সাপের উপদ্রব’ও বেড়েছে। দু’পাশে বেশ কিছু জনবসতি রয়েছে। সেই এলাকায় প্রায়শই নদীর এই অংশ থেকে সাপ ঢুকে পড়ার কথা শোনা যায়। এখানে নির্বিষ থেকে শুরু করে বিষধর সাপেরাও রয়েছে। গোখরো, কালাচ, দাঁড়াস, কেউটে, শঙ্খচূড়, অজগর সাপ প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় রাজকুমার দাস তোর্ষা নদীর আবর্জনাাময় অংশটি পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রতি বর্ষায় তিনি এই কাজ করেন। থার্মোকলের ভেলা তৈরি করে তাতে চেপে একাই নদীতে নেমে জঞ্জাল পরিষ্কার করতে থাকেন। এমন উদ্যোগ প্রসঙ্গে রাজকুমারবাবু জানিয়েছেন, তিনি পেশায় একজন অতি ক্ষুদ্র মাপের জেলে। নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। ফলে নোংরা নদী দেখলেই তাঁর খারাপ লাগে। তিনি প্রতি বছর এভাবেই নদী পরিষ্কার করেন। বছরের অন্যান্য সময় নদী পরিষ্কার করা যায় না জল না থাকার কারণে। তবে বর্ষায় জল বাড়লে সহজেই নদী পরিষ্কার করা সম্ভব হয়। তাই বর্ষা এলেই লেগে পড়েন এই কাজে।
আরও পড়ুন: সুভাষের বাল্য অবস্থা থেকে এখনের সমাজ, অভিনয় নাকি বাস্তবতা?
তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে এই কাজ করেন তিনি। এরজন্য সরকারিভাবে কিংবা কারোর কাছ থেকে পারিশ্রমিক বাবদ একটা টাকাও নেন না তিনি। তবে তাঁর কাজে অনেকের উপকার হয় এবং নদী পরিষ্কার হয়। তাই তিনি এই কাজ করে বেশ আনন্দ পেয়ে থাকেন। সম্পূর্ণ নদী পরিষ্কার করা তাঁর একার পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে তিনি যতটুকু পারেন নিজের উদ্যোগে তাঁর কাজের ফাঁকে তিনি করে থাকেন। বেশ কয়েকবছর ধরে বর্ষার মরশুম আসলেই একপ্রকার নেশার বশেই তিনি করেন এই কাজ। এতে তিনি প্রতিনিয়িত বহু মানুষের ভালবাসা পেয়ে থাকেন প্রচুর। বহু মানুষ অবাক হয়ে দাড়িয়ে তাঁর এই কাজ দেখে থাকেন।
সার্থক পণ্ডিত
Broken Bridge: নদীর জলের তোড়ে ভাঙল পারাপারের সাঁকো
কোচবিহার: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব নদীতেই জলস্তর বেড়েছে। রায়ডাক নদীর জলের স্তরও অনেকটাই বেড়েছে। তাঁর ফলেই ভেঙে গেল নদী পারাপারের বাঁশের সাঁকো। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের মনিরঘাট এলাকায় রায়ডাক নদীর ওপর এই বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে যায়। ফলে নদী পারপার করে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।
ভেঙে যাওয়া সাঁকোটি দিয়ে কুটি বাড়ি, বাঁশ রাজা, হরিরহাট, মান্তানি কালীবাড়ি, বক্সিরহাট চলাচল করে থাকেন শতাধিক মানুষ। ক্রমাগত নদীর জলস্তর বাড়তে থাকার কারণে কচুরি পানা আটকে ভেঙে যায় এই সাঁকোটি। মূলত বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী সহ বহু সাধারণ মানুষ ঘুরপথে যাতায়াত করছেন। এতে সময় লাগছে অনেকটাই বেশি এবং সমস্যায় হচ্ছে অনেকটাই। স্থানীয় বাসিন্দা মালতি মণ্ডল জানান, এই এলাকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। নিজেদের সুবিধার্থে এলাকাবাসীরা মিলেই এই সাঁকো তৈরি করেছিলেন। প্রতি বছরই এই সাঁকো তৈরি করা হয়। তবে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বাবা লোকনাথ কোথায় ধ্যান করত জানেন? স্মৃতি বিজড়িত প্রাচীন অশ্বত্থ গাছটি এখনও আছে
বছরের কিছু মাস ব্যবহার করা হয় এই সাঁকো। তারপর বর্ষা এলেই নদীর জলের তোড়ে ভেঙে যায় এই সাঁকো। বর্ষাকালে নদীর জলস্তর বেড়ে গেলে ঘুরপথে চলাচল করতে হয় নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীরা রায়ডাক নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু চাইছেন। তাহলে আর প্রতি বর্ষায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
সার্থক পণ্ডিত
Mamata Banerjee: মদনমোহন বাড়িতে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! ট্রেন দুর্ঘটনায় জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার
Mamata Banerjee: কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা! নতুন সাংসদকে কী পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর?
কোচবিহার: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার বিকেলেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখান তিনি চলে আসেন কোচবিহারে। মঙ্গলবার কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কোচবিহার আসলেই মদনমোহন মন্দিরে আসি। আমি আজকে পুজো দিতে এলাম। কোচবিহার শুধু নয়, সকল মানুষের মঙ্গলকামনায় আমি পুজো দিয়েছি।কোচবিহার হেরিটেজ টাউন। তার কাজ চলছে। মদনমোহন মন্দির দারুণ করে সাজানো হচ্ছে। দারুণ গেস্ট হাউজ হচ্ছে। আমরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রসারের কাজ করছি। আমি রাসমেলায় আসার আমন্ত্রণ পাই।’’
কোচবিহারের ফল নিয়ে দারুণ খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ফল এই লোকসভায় হয়েছে তা নিয়ে জেলার নেতাদের প্রশংসা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন নিজেদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। পারস্পরিক সৌজনতা বজায় রেখেই কাজ করতে হবে। নতুন সাংসদকে ভাল করে কাজ করা ও কেন্দ্রের আচরণের বিরুদ্ধে সরব হতে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সামনে সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে আপাতত কোনও কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। জানা গিয়েছে, পাশাপাশি উত্তরের বেশ কিছু জায়গায় খারাপ ফল নিয়ে তার খারাপ লাগার কথাও বলেছেন।