Category Archives: কোচবিহার

River Erosion: বঙতি নদীর ভাঙনে রাতের ঘুম উড়েছে

কোচবিহার: বর্ষার শুরু থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে, বহু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোচবিহার জেলার মানসাই, তোর্ষা সহ একাধিক ছোট নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার খাপাইডাঙা এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বঙতি নদী। গত দু’বছর ধরে বর্ষাকালে এই নদীর ভাঙনের জেরে বহু কৃষি জমি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এবার‌ও ফুঁসে উঠেছে বঙতি নদী। ফলে চাষ জমির পাশাপাশি বসত ভিটে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু বর্মন জানান, বঙতি নদী একসময় তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিল। তবে ভাঙনের কারণে নদী বর্তমানে তাঁর বাড়ি থেকে হাত খানেক দূরত্বের মধ্যে চলে এসেছে। নদীর ভাঙনে তাই প্রতিনিয়ত আতঙ্কে রাত কাটাতে হচ্ছে। এমন আরও বেশ কিছু বাড়ি নদীর একেবারে কাছে চলে এসেছে। যেকোন‌ও মুহুর্তে বাড়িগুলি নদীর গর্ভে চলে যেতে পারে। বছরের অন্যান্য সময় এই নদীতে জল থাকে না বললেই চলে। তবে বর্ষার মরশুম এলেই নদী একেবারে আগ্রাসী রূপ নিয়ে নেয়।

আর‌ও পড়ুন: জল শোধনের যন্ত্র অকেজো, ঘোলা জলে চরম দুর্ভোগ বালুরঘাটে! ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি

এলাকার বাচ্চারা স্কুলে যেতে এবং মানুষ চলাচল করতে যে রাস্তা ব্যবহার করে, সেই রাস্তার একাংশ‌ও নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে হয়ত এলাকায় আর রাস্তা থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সরকারিভাবে এখনও নদীর ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যদিও খাপাইডাঙা পঞ্চায়েতে প্রধান হলধর রায় জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই জেলার প্রশাসনিক স্তরে কথা বলেছেন। দ্রুত নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সার্থক পণ্ডিত

Skin Care: ফুটফুটে হবে আপনার মুখ! ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করুন লাল এই গুঁড়ো, স্কিনে ম্যাজিক হবে

*ত্বকের পরিচর্যায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে আদি সময় থেকেই। তবে বাজারে এই লাল চন্দন খুব সহজে না পাওয়া গেলেও অনলাইনে এই চন্দন খুব সহজেই পাওয়া যায়।
*ত্বকের পরিচর্যায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে আদি সময় থেকেই। তবে বাজারে এই লাল চন্দন খুব সহজে না পাওয়া গেলেও অনলাইনে এই চন্দন খুব সহজেই পাওয়া যায়।
*অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, বেশ কিছু উপায় মেনে এই লাল চন্দন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে শুধু এই চন্দন ব্যবহার করলে তার উপকার পাওয়া যাবে না।
*অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, বেশ কিছু উপায় মেনে এই লাল চন্দন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে শুধু এই চন্দন ব্যবহার করলে তার উপকার পাওয়া যাবে না।
*ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকের আছে। এর থেকে মুক্তি পেতে লাল চন্দনের গুঁড়োয় কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মেখে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই উপকার মিলবে।
*ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকের আছে। এর থেকে মুক্তি পেতে লাল চন্দনের গুঁড়োয় কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মেখে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই উপকার মিলবে।
*ত্বক টান টান করতে চাইলে লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে পাকা কলা মিশিয়ে ফেস প্যাক বানাতে হবে। প্যাকটি মুখে মেখে পনেরো মিনিট রেখে ধুতে হবে। নিয়ম করে এই প্যাক ব্যবহার করলে অল্প দিনেই উপকার মিলবে।
*ত্বক টান টান করতে চাইলে লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে পাকা কলা মিশিয়ে ফেস প্যাক বানাতে হবে। প্যাকটি মুখে মেখে পনেরো মিনিট রেখে ধুতে হবে। নিয়ম করে এই প্যাক ব্যবহার করলে অল্প দিনেই উপকার মিলবে।
*স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এক চামচ লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে আধ কাপ পাকা পেঁপে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ একেবারে স্ক্রাবারের মতন কাজ করবে। মৃতকোষ দূর করে ত্বকের হারানো উজ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।
*স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এক চামচ লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে আধ কাপ পাকা পেঁপে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ একেবারে স্ক্রাবারের মতন কাজ করবে। মৃতকোষ দূর করে ত্বকের হারানো উজ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।

Vegetables Price Hike: প্রবল বৃষ্টিপাতে হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম! পকেট পুড়ছে মধ্যবিত্তদের

বেশ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে জল বেড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর। প্লাবন পরিস্থিতি ও ভাঙনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বহু এলাকায়। এই কারণে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা। আর এর ফলেই বাজারের কমে গিয়েছে সবজির জোগান।
বেশ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে জল বেড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর। প্লাবন পরিস্থিতি ও ভাঙনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বহু এলাকায়। এই কারণে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা। আর এর ফলেই বাজারের কমে গিয়েছে সবজির জোগান।
দাম বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের। তাই পকেটে চাপ পড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারের এসে সবজি কিনতে ব্যাপক নাজেহাল হচ্ছেন। বৃষ্টি পরিস্থিতি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন সবজি বিক্রেতাদের একাংশ।
দাম বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের। তাই পকেটে চাপ পড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারের এসে সবজি কিনতে ব্যাপক নাজেহাল হচ্ছেন। বৃষ্টি পরিস্থিতি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন সবজি বিক্রেতাদের একাংশ।
বাজারের এক সবজি বিক্রেতা সমীর সাহা জানান, “বৃষ্টির ফলে বাজারে যোগান কমেছে সমস্ত সবজির। তাই জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির। আর বাজারের সবজির দামের এই বৃদ্ধির ফলে বিক্রি কমেছে।
বাজারের এক সবজি বিক্রেতা সমীর সাহা জানান, “বৃষ্টির ফলে বাজারে যোগান কমেছে সমস্ত সবজির। তাই জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির। আর বাজারের সবজির দামের এই বৃদ্ধির ফলে বিক্রি কমেছে।
বর্তমানে আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, লঙ্কার দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা, বরবটির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা এবং লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বর্তমানে আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, লঙ্কার দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা, বরবটির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা এবং লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বাজারের এক ক্রেতা অজিত শীল জানান, “বেগুনের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, কাকরোলের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, শশার কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা এবং দেশি আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে বৃষ্টি যদি না কমে এই দাম আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এভাবেই ধীরে ধীরে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বেশিরভাগ সবজির দাম।” ক্রেতারা বাজারে এসে সামান্য পরিমাণে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেশি জিনিস কেনার ইচ্ছে থাকলেও দামের জন্য পেরে উঠছেন না।
বাজারের এক ক্রেতা অজিত শীল জানান, “বেগুনের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, কাকরোলের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, শশার কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা এবং দেশি আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে বৃষ্টি যদি না কমে এই দাম আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এভাবেই ধীরে ধীরে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বেশিরভাগ সবজির দাম।” ক্রেতারা বাজারে এসে সামান্য পরিমাণে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেশি জিনিস কেনার ইচ্ছে থাকলেও দামের জন্য পেরে উঠছেন না।
বাজারে আরেক সবজি বিক্রেতা বাবলু সরকার জানান, “বাজারের সবজির দাম শুনে বেশি সবজি কিনতে সাহস পাচ্ছেন না ক্রেতারা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ক্রেতাদের পকেটের মধ্যে আরও অসম্ভব চাপ পড়বে। তবে এই দাম তখনই কমবে যখন বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি না হয়ে একটানা রোদের দেখা মিলবে।" বর্তমান সময়ে বাজারের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে রীতিমত চিন্তায় রয়েছেন অধিকাংশ মানুষেরা।
বাজারে আরেক সবজি বিক্রেতা বাবলু সরকার জানান, “বাজারের সবজির দাম শুনে বেশি সবজি কিনতে সাহস পাচ্ছেন না ক্রেতারা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ক্রেতাদের পকেটের মধ্যে আরও অসম্ভব চাপ পড়বে। তবে এই দাম তখনই কমবে যখন বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি না হয়ে একটানা রোদের দেখা মিলবে।” বর্তমান সময়ে বাজারের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে রীতিমত চিন্তায় রয়েছেন অধিকাংশ মানুষেরা।

Torsa River Erosion: বৃষ্টির জলে ফুঁসছে তোর্ষা, আতঙ্কে কোচবিহারবাসী

কোচবিহার: বর্ষার মরশুম শুরুর সময় থেকেই ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রত্যেকটি নদীর। বর্তমানে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ নদীতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কোচবিহারে তোর্ষা নদীর পরিস্থিতি এক‌ই। নদী তীরবর্তী এলাকার ভাঙন ও প্লাবন পরিস্থিতিতে গভীর দুশ্চিন্তায় ভুগছে এলাকাবাসী।

কোচবিহার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং কারিশাল পঞ্চায়েত এলাকা তোরসা নদীর কারণে ভাঙন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এই এলাকায় নদীর আগ্রাসী রূপ ভাঙন ও প্লাবন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙনের ফলে নদী একেবারে বসত জমির পাশে চলে এসেছে। ফলে প্রতিনিয়ত চিন্তায় দিন কাটাতে হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের।

আর‌ও পড়ুন: টাইম কলে জল পড়ে না, আসছে না ট্যাঙ্কার, হাহাকার কুলটিতে

এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন মিঁয়া জানান, দীর্ঘ সময় ধরে জেলা প্রশাসনের কাছে বারংবার আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই এলাকা সংরক্ষণের জন্য যে নদী বাঁধের প্রয়োজন ছিল সেই বাঁধ আজও তৈরি হয়নি। বিভিন্ন মহল থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। বর্তমানে ভাঙনের ফলে নদী একেবারে বসতবাড়ির কাছে চলে এসেছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এলাকার আরও দুই বাসিন্দা নরেশ রায় ও সফিকুল হোসেন জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। নদীর জল আরেকটু বাড়লেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তখন এই এলাকার মানুষদের নিকটবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিতে হবে। এদিকে কোচবিহারের সেচ দফতর থেকে জানানো হয়েছে, তোর্ষা নদীর জলস্তরের উপর প্রতিনিয়ত নজর রাখা হচ্ছে। যেকোনও ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আছে।

সার্থক পণ্ডিত

North Bengal weather update: বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গে, আরও পাঁচ দিন চলবে চলবে দুর্যোগ, আর কী পূর্বাভাস?

শিলিগুড়ি: দক্ষিণবঙ্গের ঠিক বিপরীত অবস্থা উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ যেখানে টানা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় বৃষ্টি চাইছেন, উত্তরবঙ্গে সেখানে অতি বৃষ্টি। টানা ভারী বৃষ্টির জেরে বিপাকে উত্তরবঙ্গের মানুষ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আরও পাঁচ দিন প্রবল বৃষ্টি চলবে।

আরও পড়ুন: লাচুংয়ে আটকে ১২০০ ভারতীয় পর্যটক, রয়েছেন বিদেশিও, তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ

আজ অর্থাৎ শুক্রবার অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং জেলায়। এই তিন জেলার কয়েক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং এবং কোচবিহার জেলার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের অন্য তিন জেলা- মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।

আরও পড়ুন: গরম থেকে অবশেষে স্বস্তির খবর, বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে, দিনক্ষণ জানাল হাওয়া অফিস

শনিবারও আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই সঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে মালদা, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে। শনিবারের মতোই আবহাওয়ার পরিস্থিতি বজায় থাকবে রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে তিস্তার জলস্তর। সমতলে মুষল ধারায় বৃষ্টির সঙ্গে সকাল ১০টায় তিস্তার বাঁধ থেকে ১৭৬৩.৪২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, ফলে জলস্তর বেড়েছে তিস্তা নদীর। বিপদের আশঙ্কায় জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি বসিয়েছে পুলিশ। নদীতে নেমে কাঠ সংগ্রহ বন্ধ করতে নিশেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড় এবং সমতলের জঙ্গল থেকে প্রচুর পরিমান কাঠ তিস্তা নদীতে ভেসে আসে। সেই কাঠ সংগ্রহ করতে নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন তিস্তার পারের বাসিন্দারা। বিপজ্জনক এই প্রবনতা বন্ধ করতেই নজরদারি বসাল পুলিশ। সেই সঙ্গে তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধির দিকে ক্রমাগত নজর রাখছে প্রশাসন, আপাতত বাংলা-সিকিম লাইফলাইন ১০ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে পর্যটক এবং যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করছে।

Beatel Leaf Price Hike: প্রবল বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে পান গাছ! জেলায় হু হু করে বাড়ছে পান পাতার দাম

কোচবিহার: কোচবিহারে ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের কারণে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে বেশিরভাগ চাষ জমি। ফলে ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে পড়েছেন পান চাষিরা। পান গাছের গোড়ায় জল জমে যাওয়ার কারণে পচন ধরে যাচ্ছে পান গাছে। ফলে ক্রমশ দাম বেড়েই চলেছে বাজারে বিক্রি হওয়া পানের। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই অসুবিধায় পড়েছেন এই দাম বৃদ্ধির কারণে। জেলার এই বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তবে আগামী দিনে পানের দাম আরোও কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান সময়ে তিনটি পানের দাম ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বাজারে।

দীর্ঘ সময়ের প্রবীণ পান চাষি নির্মল দে জানান,”বহু বছর ধরে পান চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। তবে এই প্রথম জেলায় এত বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ক্ষতি হচ্ছে পান চাষের। পানের বরজের ভেতরে জল জমে যাওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে পান গাছ। মূলত এই কারণেই বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন পানের। তবে এতে কৃষকদের কোন লাভ হচ্ছে না। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদেরকেও। চলতি বছরে পান চাষের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি না কমে তবে এই অসুবিধা আরোও অনেকটাই বেড়ে উঠবে বলে মনে করছেন তিনি।”

কোচবিহারের বাজারের এক পান বিক্রেতা প্রদীপ পাল জানান,”বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ পানের পাতা পঁচে যাচ্ছে। বেশকিছু পানের পাতা কালো হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতারা পান কিনতে চাইছেন না। ক্ষতি হচ্ছে দোকানের। বাজারে পানের যোগান কম থাকায় পানের দাম বৃদ্ধি হয়েছে অনেকটাই। এক্ষেত্রে বৃষ্টির প্রভাব না কমা পর্যন্ত পানের দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। তবে যদি বৃষ্টি কমে সেক্ষেত্রেও পানের দাম কবে কমবে, তাও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে পান-প্রেমীদের অনেকটাই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বাজারের দাম বৃদ্ধির কারণে।”

আরও পড়ুনঃ Team India: সুপার এইটের আগে ভারতীয় দলে বড় বদল? শেষ ম্যাচে ৩ পরিবর্তন দলে! জেনে নিন বিস্তারিত

আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলার পান চাষের ক্ষেত্রে অসুবিধা বহাল থাকবে। এক্ষেত্রে সকল পান চাষিদের অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির ফলে ক্রেতারা পান কিনতে সঠিক আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। বিক্রি কমে যাওয়ার ফলে পানের পাতা বিক্রির ব্যবসায় অনেকটাই মন্দা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

Sarthak Pandit

Risk River Crossing: প্রবল বৃষ্টিতে ধরলা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি, ভাঙল সাঁকো

কোচবিহার: এই বছর বর্ষার শুরু থেকেই ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। সেইসঙ্গে শুরুতেই জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে এখানকার নদীগুলিতে। এমনটা অতীতে দেখা যায়নি। কোচবিহার জেলার ছবিটা এর থেকে আলাদা কিছু নয়। মাথাভাঙা মহকুমার অন্তর্গত ধরলা নদী পারাপার করতে মানুষকে বর্তমানে ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। কারণ, এই এলাকার নদী পারাপারের জন্য থাকা বাঁশের সাঁকোটি সম্প্রতি জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই নৌকায় করে নিত্য যাত্রা করতে হচ্ছে।

এবার বর্ষার শুরুতেই জলস্তর বেড়ে গিয়েছে ধরলা নদীর। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বর্মন জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এই নদী পারাপার করার জন্য এই পথে চলাচল করেন তাঁরা। এতে রাস্তা অনেকটা কম লাগে এবং সময় বাঁচে অনেকটাই। তবে বর্ষার শুরুতেই যেভাবে নদীর সাঁকো ভেঙে গিয়েছে তা বিরল ঘটনা। ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে অনেকটাই অসুবিধায় পড়ছে স্থানীয়রা। এখন অনেক বেশি সময় লাগছে এপার থেকে ওপারে যেতে।

আর‌ও পড়ুন: চিতাবাঘের ভয়ে কেউ স্কুলে আসছে না, ধনীরামপুরে অঘোষিত বনধ

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সোফিয়াল মিঁয়া জানান, এই রাস্তাটি চলাচল করার জন্য অনেকটাই সহজ হয়। নাহলে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। ফলে অনেকটাই অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে। তাই এই পথে চলাচল করলে সকলের অনেকটাই সুবিধা হয়। তবে এই নদীর সাঁকো ভেঙে যাওয়ার ফলে তাঁরা অসুবিধায় পড়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকায় স্থায়ী ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানানো হলেও কোন‌ও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

এই প্রসঙ্গে মাথাভাঙা সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার শ্রীবাস ঘোষ জানান, বৃষ্টির কারণে নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। নদীর গতিবিধি প্রতিনিয়ত নজরে রাখা হচ্ছে। বিপদ এড়াতে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে নদী তীরবর্তী স্থানীয়দের। ক্রমাগত নদীর জল বৃদ্ধি ও ভাঙন শুরু হওয়ার কারণে চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয়রা। তবে এত কিছুর মধ্যেও কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার অব্যাহত রয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে অব্যর্থ! রোজ খান প্রায় বিনা পয়সার ঘরোয়া এই ৫ খাবার, একদিনও ভুলবেন না

*উচ্চ কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ডেকে আনে হার্ট অ্যাটাক। এই প্রতিটা রোগই হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে যুক্ত। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে গেলে কোলেস্টেরল থেকে ব্লাড সুগার, সব কিছুকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
*উচ্চ কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ডেকে আনে হার্ট অ্যাটাক। এই প্রতিটা রোগই হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে যুক্ত। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে গেলে কোলেস্টেরল থেকে ব্লাড সুগার, সব কিছুকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
*অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, আয়ুর্বেদিক উপাদানের সাহায্য নিতে পারলে খুব সহজেই এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে বেশকিছু খাবারের রোজ খেতে হবে।
*অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, আয়ুর্বেদিক উপাদানের সাহায্য নিতে পারলে খুব সহজেই এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে বেশকিছু খাবারের রোজ খেতে হবে।
*প্রতিদিন সকালে এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খাওয়া বেশ উপকারী। রসুন রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে থাকে।
*প্রতিদিন সকালে এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খাওয়া বেশ উপকারী। রসুন রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে থাকে।
*আমলকি, বয়রা ও হরিতকিকে একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা গুঁড়ো বেশ উপকারী। প্রতিদিন জলে দু'চামচ করে এই গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে অনেকটাই। শরীর ও সুস্থ রাখে এই গুঁড়ো।
*আমলকি, বয়রা ও হরিতকিকে একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা গুঁড়ো বেশ উপকারী। প্রতিদিন জলে দু’চামচ করে এই গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে অনেকটাই। শরীর ও সুস্থ রাখে এই গুঁড়ো।
*জোয়ান শুধু মুখশুদ্ধি হিসেবে কাজ করে না। দূর করে হজমের ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া সমস্যাও। পাশাপাশি এটি মানসিক চাপ কমাতেও দারুণ ভূমিকা নেয়। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলের কমায়।
*জোয়ান শুধু মুখশুদ্ধি হিসেবে কাজ করে না। দূর করে হজমের ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া সমস্যাও। পাশাপাশি এটি মানসিক চাপ কমাতেও দারুণ ভূমিকা নেয়। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলের কমায়।
*আয়ুর্বেদে অর্জু‌নের ছাল হল একটি শক্তিশালী ওষুধ। ধমনীতে প্লাক জমতে দেয় না এই উপাদান। অর্জু‌নের ছালের গুঁড়ো খেলে রক্তচাপ বাড়ে না। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় অনেকটাই।
*আয়ুর্বেদে অর্জু‌নের ছাল হল একটি শক্তিশালী ওষুধ। ধমনীতে প্লাক জমতে দেয় না এই উপাদান। অর্জু‌নের ছালের গুঁড়ো খেলে রক্তচাপ বাড়ে না। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় অনেকটাই।
*শিলাজিত সাধারণত পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই আয়ুর্বেদিক উপাদান। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
*শিলাজিত সাধারণত পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই আয়ুর্বেদিক উপাদান। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

Cooch Behar News: আচমকা বজ্রপাত! মর্মান্তিক ঘটনায় মুহূর্তে প্রাণ গেল বিএসএফ জওয়ানের

মেখলিগঞ্জ: কর্তব্যরত থাকা অবস্থায় আচমকাই বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের তিনবিঘা এলাকায়। গতকাল গভীর রাত থেকে প্রচণ্ড বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয় বিস্তীর্ণ জেলা জুড়ে। আর তাতেই এই ঘটনা সামনে আসে সকাল হলেই। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় রীতিমত থমথমে পরিস্থিতি তিনবিঘা সীমান্ত এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, “মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ির তিনবিঘা করিডর সীমান্তে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন বিপি শর্মা। সেই সময় আচমকাই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে মৃত্যু হয় ওই বিএসএফ জওয়ানের।” উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বেই দিনহাটার গীতালদহ সীমান্ত এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় এক বিএসএফ জওয়ানের। আবারও এক কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে সেনা কর্মীরা।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, “মৃত ওই জওয়ানের নাম বিপি শর্মা। তাঁর বাড়ি বিহার রাজ্যে। তিনি বিএসএফের ৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের ভীম আউট পোস্টে হেড কনস্টেবল পদে নিযুক্ত ছিলেন।” প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, মৃত ওই জওয়ানের দেহ ময়নাতদন্তের পর বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

সার্থক পণ্ডিত

Mango Mojito: ঠান্ডা মোজিতোয় মজবে মন! দোকানে যেতে হবে না, বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই, শিখে নিন সহজ রেসিপি

কোচবিহার: কিউবা দ্বীপের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঠান্ডা পানির নাম মোজিতো। তবে এই মোজিতো বর্তমান সময়ে কিউবা দ্বীপের বাইরেও বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষেরা এই মোজিতো নিজেদের মতন করে নতুন স্বাদে রূপান্তরিত করেছে। তবে এবার কোচবিহারে একেবারেই নতুন স্বাদের এক মোজিতো তৈরি করা হল।

এই বিশেষ স্বাদের মোজিতো তৈরি করা হলো পাকা আম দিয়ে। মূলত এই কারণেই এই মোজিতো নাম ম্যাঙ্গো মোজিত রাখা হয়েছে। এই নতুন স্বাদের মোজিতো পছন্দ করছেন সকলেই। নিজেদের জন্য কিংবা বাড়িতে আসা অতিথিদের জন্য তৈরি করতেই পারেন এই বিশেষ ঠান্ডা পানীয়।

আরও পড়ুন: রাজভবনে ঢুকতে পারলেন না শুভেন্দু! রাজ্যের রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

রান্নায় অভিজ্ঞ গৃহবধূ মাধবী চৌধুরী জানান, “বর্তমান সময়ে তীব্র গরম এবং আমের মরশুম। আমের স্বাদ অনেকের পছন্দের। তবে মোজিতো মধ্যে এই যে বিশেষ আমের স্বাদ কিন্তু যে কোন মানুষের নজর আকর্ষণ করবেই। খুব স্বল্প খরচে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা সম্ভব এই বিশেষ স্বাদের ম্যাঙ্গো মোজিত।’’

সামান্য কিছু পাতি লেবু, পুদিনা পাতা, টক ঝাল মিষ্টি মশলা, চিনি, সোডা এবং আমের পাল্প মিশিয়ে তৈরি হয় এই বিশেষ পানীয়। সময় লাগে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এক একটি গ্লাসে দুই থেকে তিনটি লেবুর টুকরো, ছয় থেকে সাতটি পুদিনা পাতা এবং দুই চা চামচ মশলা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। চিনি দিতে হয় নিজেদের স্বাদ অনুযায়ী। তবে এই পানীয় একবার মুখে নিলেই মুহূর্তে স্বস্তি দেয় মনকে।

আরও পড়ুন: সর্বগ্রাসী আগুন কাড়ল ৪৫ ভারতীয়র প্রাণ! কুয়েতের জতুগৃহে পুড়ে মৃত্যু বাংলার এক শ্রমিকেরও

তিনি আরও জানান, “এই ম্যাঙ্গো মোজিত যেকোনও মানুষের দারুণ পছন্দ হবে এটুকু নিশ্চিত। নিজেদের জন্য কিংবা বাড়িতে আসা অতিথিদের জন্য এই পানিও তৈরি করতে পারেন। গরমের সময় মুহূর্তে স্বস্তি দিতে পারবে এই ঠান্ডা পানীয়। ইতিমধ্যেই যাঁরা এই ঠান্ডা পানীয় খেয়েছিলেন তাঁদের বাড়িতে এসে। তাঁরা আবারও এই পানীয়ের স্বাদ নিতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তাই একেবারেই সহজ এবং সামান্য খাটনিতে বানানো এই পানিও সকলের মনে দাগ কাটতে পারবে।” তাই বাড়িতে অন্যান্য ঠান্ডা পানীয় ব্যবহার না করে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর এই ঠান্ডা পানীয় বানিয়ে স্বাদ পারেন। এতে যেমনি গরমের প্রভাব কমবে মুহূর্তে। তেমনি বিশেষ এই পানীয়ের স্বাদ মুগ্ধ করে তুলবে।

Sarthak Pandit