Category Archives: হাওড়া

Chess News: বিয়ের পর ৬ বছর খেলা হয়নি, এখন শেখান প্রিয় দাবা খেলা, এবার প্যারাগুয়েতে হলেন সেরা মহিলা খেলোয়াড়

আবারও জগত সভায় শ্রেষ্ঠ ভারত, এবার এক গৃহবধুর হাত ধরে। প্যারাগুয়ে ওপেন ইন্টারন্যাশনাল চেস টুর্নামেন্ট ' আন্তর্জাতিক এই দাবা প্রতিযোগিতায় মহিলাদের শীর্ষস্থানে ভারতের মিলি ঘোষ। বলা বাহুল্য এই টুর্নামেন্টে তিনি একটি খেলাতেও পরাজয় স্বীকার করেননি। ফলাফল জয় অথবা ড্র।
আবারও জগত সভায় শ্রেষ্ঠ ভারত, এবার এক গৃহবধুর হাত ধরে। প্যারাগুয়ে ওপেন ইন্টারন্যাশনাল চেস টুর্নামেন্ট ‘ আন্তর্জাতিক এই দাবা প্রতিযোগিতায় মহিলাদের শীর্ষস্থানে ভারতের মিলি ঘোষ। বলা বাহুল্য এই টুর্নামেন্টে তিনি একটি খেলাতেও পরাজয় স্বীকার করেননি। ফলাফল জয় অথবা ড্র।
অষ্টম শ্রেণী থেকে দাবা প্রশিক্ষণ শুরু। ৯৫, ৯৬ ও ৯৯ প্রতিবার রাজ্য দাবায় প্রথম তিনজনের মধ্যে একজন। ১৯৯৯ এ বিহার ' আন্ডার ১৯ উইমেন্স এ চ্যাম্পিয়ন। এরপর ২০০০ সালে বিয়ে হাওড়ায় চলে আসেন। প্রায় ছ'বছর পর আবার দাবা ময়দানে ফেরা। প্রথম বছরই বাংলায় মেয়েদের ৪ র্থ হয়ে জাতীয় দাবা দলে অংশ গ্রহণ।
অষ্টম শ্রেণী থেকে দাবা প্রশিক্ষণ শুরু। ৯৫, ৯৬ ও ৯৯ প্রতিবার রাজ্য দাবায় প্রথম তিনজনের মধ্যে একজন। ১৯৯৯ এ বিহার ‘ আন্ডার ১৯ উইমেন্স এ চ্যাম্পিয়ন। এরপর ২০০০ সালে বিয়ে হাওড়ায় চলে আসেন। প্রায় ছ’বছর পর আবার দাবা ময়দানে ফেরা। প্রথম বছরই বাংলায় মেয়েদের ৪ র্থ হয়ে জাতীয় দাবা দলে অংশ গ্রহণ।
এরপর সাংসারিক জীবনে প্রবেশ। সংসার ও ব্যস্ততার মধ্য থেকে আবার প্রায় ছ'বছর পর দাবায় ফেরা। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ২০০৬ সালের পর আবার প্রতিযোগিতামূলক দাবা টুর্নামেন্টে যোগ দেওয়া।
এরপর সাংসারিক জীবনে প্রবেশ। সংসার ও ব্যস্ততার মধ্য থেকে আবার প্রায় ছ’বছর পর দাবায় ফেরা। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ২০০৬ সালের পর আবার প্রতিযোগিতামূলক দাবা টুর্নামেন্টে যোগ দেওয়া।
নিজের দাবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বহু ছাত্র-ছাত্রী সফলতা পেয়েছে। এর মধ্যে কেউ ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার, কেউ রাজ্য দাবা চ্যাম্পিয়ন। কেউ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন কেউ আবার ইন্টারন্যাশনাল রেটিং প্রাপ্ত।
নিজের দাবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বহু ছাত্র-ছাত্রী সফলতা পেয়েছে। এর মধ্যে কেউ ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার, কেউ রাজ্য দাবা চ্যাম্পিয়ন। কেউ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন কেউ আবার ইন্টারন্যাশনাল রেটিং প্রাপ্ত।
 নামি কয়েকটি স্কুলে প্রশিক্ষণ দেওয়া। একই সঙ্গে অনলাইনে বিদেশেও প্রশিক্ষণ দেন। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ব্যস্ত। সময়ের অভাবে নিজের অনুশীলন ঠিক মত হয়ে উঠত না।
নামি কয়েকটি স্কুলে প্রশিক্ষণ দেওয়া। একই সঙ্গে অনলাইনে বিদেশেও প্রশিক্ষণ দেন। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ব্যস্ত। সময়ের অভাবে নিজের অনুশীলন ঠিক মত হয়ে উঠত না।
শৈশব থেকেই বিদেশে খেলতে যাবার ইচ্ছা তো ছিলই। তবে উপযুক্ত অনুশীলনের অভাবের কারণে এবার কিছুটা ইতস্ত ছিল। তবে পরিবার এবং প্রিয়জনদের কথাতেই এই আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাওয়া। হাওড়ার গৃহবধূর এই কৃতিত্বে বাংলা তথা গোটা দেশের মানুষ গর্বিত।
শৈশব থেকেই বিদেশে খেলতে যাবার ইচ্ছা তো ছিলই। তবে উপযুক্ত অনুশীলনের অভাবের কারণে এবার কিছুটা ইতস্ত ছিল। তবে পরিবার এবং প্রিয়জনদের কথাতেই এই আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাওয়া। হাওড়ার গৃহবধূর এই কৃতিত্বে বাংলা তথা গোটা দেশের মানুষ গর্বিত।
এ প্রসঙ্গে মিলি ঘোষ জানান, এই সাফল্যের পেছনে বেশ কিছু মানুষের অবদান রয়েছে। স্কুল জীবনে বন্ধু সঞ্চারী। খেলোয়াড় জীবনে স্বাতী মোহতা সিনিয়র খেলোয়াড়, সমস্ত কোচ ও কোচ অঞ্জন স্যার এছাড়াও যে মানুষটার সবথেকে বেশি অবদান সে হল আমার স্বামী মানস ঘোষ।
এ প্রসঙ্গে মিলি ঘোষ জানান , এই সাফল্যের পিছনে বেশ কিছু মানুষের অবদান রয়েছে। যেমন স্কুল জীবনে বন্ধু সঞ্চারী, খেলোয়াড় জীবনে স্বাতী মোহতা সিনিয়র খেলোয়াড়, সমস্ত কোচ ও কোচ অঞ্জন স্যার এছাড়াও যে মানুষটার সব থেকে বেশি অবদান হল আমার স্বামী মানস ঘোষ।

Independence Day 2024: ইলেকট্রিক আলোয় ফুটে উঠেছে দেশনায়ক নেতাজির পোর্ট্রেট, স্বাধীনতা দিবসের আগে বড় উদ্যোগ

হাওড়া: এই বছর ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে সারা দেশ জুড়ে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু | ভারতের স্বাধীনতা-অর্জন আন্দোলনের এক অতি-উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র। আর ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ভারতের এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পোর্ট্রেট বাড়ির ছাদে ১৮-২০ ফুট জায়গায় স্ট্রিং লাইটে ফুটিয়ে তুলেছেন। যা করতে সময় লেগেছে ৭-৮ ঘণ্টা। মহান দেশনেতা সুভাষ চন্দ্র বসুকে সকলের সামনে তুলে ধরতেই তাঁর এই অনন্য পোর্ট্রেট তৈরি বলে জানান সৌরভ সামন্ত।

আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে শহর ঘুরছেন পুরসভার চেয়ারম্যান, কারণ জানলে অবাক হবেন

বাগনানের সৌরভ গণিতে স্নাতক। সৌরভ লেখাপড়া এবং পারিবারিক ব্যবসা সামাল দিয়ে অবসর সময় ভালবাসেন ছবি আঁকতে। ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দিন ১৫ অগস্ট। এই দিনে ২০০ বছরের পরাধীনতার অন্ধকারের জাল ছিঁড়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ভারত। এই দিনটিকে শুধুমাত্র স্বাধীনতা পাওয়ার দিন নয়, একই সঙ্গে যাঁরা দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের সম্মান জানানোরও দিন।

সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন কিংবদন্তি নেতা, যুগে যুগে বাঙালিদের জন্য সর্বত্র যিনি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থেকেছেন। তাঁর অনুরাগীদের কাছে সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন ‘নেতাজি’| প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টার প্রচেষ্টায় শিল্পী এই স্ট্রিং লাইটের পোর্ট্রেট তৈরি করেছেন যা এক কথায় অনবদ্য।

রাকেশ মাইতি

Howrah News: বিপজ্জনক ৪০ বছরের প্রাচীন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র! আতঙ্ক নিয়েই চলছে ক্লাস

হাওড়া: বিপদ মাথায় নিয়েই শিশুদের পঠন-পাঠন, বিপজ্জনক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র! পুরানো জরাজীর্ণ মাটির গাঁথুনি ইটের দেওয়াল। রাস্তার পার্শ্ববর্তী খোলা দালানের উপর স্কুল ওদের। পুরানো একটা ছোট্ট ঘর, মেঝেতে বড় বড় গর্ত। সেই গর্তে লেপে দেওয়া হয়েছে কাদা। ওই অন্ধকাছন্ন আধভাঙা দরজার ঘরে খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাখা হয়। ঘরের সামনের রাস্তা সংলগ্ন বারান্দায় চলে পঠন-পাঠন। ডোমজুর ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণবাড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা। এতগুলো শিশুদের নিয়ে প্রতিদিন ভয়ে থাকেন শিক্ষিকা। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিশু খাদ্য রান্না। শিশু শিক্ষা কেন্দ্র পোকামাকড় টিকটিকির আস্তানা। যে কারণে ভরসা করে শিশুদের সেখানে খাবার দিতেই ভয় পান শিক্ষিকা। নেই ইলেকট্রিক পরিষেবা। প্রচন্ড গরমে হাত পাখার হওয়াতেই শিশুদের শান্ত করে রাখেন দুই দিদিমণি।

আরও পড়ুন: শরীর দুর্বল, কাঁপুনি, হাত-পায়ে ব্যথা, কী হয়েছে? সাধারণ জ্বর ভেবে ছাড় দেবেন না, পরিণতি ভয়াবহ

এমন ভয়ানক অবস্থা যেখানে শিশুদের পাঠিয়ে অভিভাবকরাও চিন্তিত। তবে বাধ্য হয়েই পাঠাতে হয় বলেই জানান একাংশের মানুষ। গ্রামের দুটি মাত্র অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র। এটি কাছাকাছি অন্যটা অনেকটা দূর। তাই ঝুঁকি নিয়ে তাই ঝুঁকি নিয়ে ছেলে ছেলেমেয়েদের পাঠাতে বাধ্য তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সাল থেকে স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে শুরু হয় স্কুল। তার পর থেকে বহু বছর কেটে গেছে বর্তমানে ভয়ানক রূপ নিয়েছে স্কুলটি। গ্রামের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর বিপদ আশঙ্কায় দারুন ভাবে চিন্তিত স্থানীয়রা। নানা সমস্যার সম্মুখীন অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রটি। জমি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে শিশুদের মাথার উপর বিপদ খাড়া হয়েছে বলেই জানান স্থানীয়রা। দিন যত গড়াচ্ছে বিপদের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে।এ প্রসঙ্গে বিকাশ শ্রাবন্তী সাহা জানান, সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যার কথা জানিয়ে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Viral Fever: শরীর দুর্বল, কাঁপুনি, হাত-পায়ে ব্যথা, কী হয়েছে? সাধারণ জ্বর ভেবে ছাড় দেবেন না, পরিণতি ভয়াবহ

রাজ্য জুড়ে বর্ষার প্রকোপ | ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই রয়েছে | কিন্তু এর মধ্যে সাধারণ জ্বর, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি নির্বাচন করা মুশকিল হয়ে পড়ে | যার জেরে সঠিক সময় চিকিৎসা হয় না৷ (রাকেশ মাইতি)
রাজ্য জুড়ে বর্ষার প্রকোপ | ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই রয়েছে | কিন্তু এর মধ্যে সাধারণ জ্বর, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি নির্বাচন করা মুশকিল হয়ে পড়ে | যার জেরে সঠিক সময় চিকিৎসা হয় না৷ (রাকেশ মাইতি)
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জ্বরের আসল রূপ বোঝা | কারণ এইসময় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মত মশাবাহিত রোগগুলির প্রবণতাও বেশি থাকে | আবার জ্বরটি নেহাতই সাধারণ ভাইরাল জ্বরও হতে পারে | জেনে নিন চিকিৎসক বিপ্লব মণ্ডলের কাছ থেকে কীভাবে সাধারণ জ্বর এবং ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মধ্যে পার্থক্য বুঝবেন |
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জ্বরের আসল রূপ বোঝা | কারণ এইসময় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মত মশাবাহিত রোগগুলির প্রবণতাও বেশি থাকে | আবার জ্বরটি নেহাতই সাধারণ ভাইরাল জ্বরও হতে পারে | জেনে নিন চিকিৎসক বিপ্লব মণ্ডলের কাছ থেকে কীভাবে সাধারণ জ্বর এবং ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মধ্যে পার্থক্য বুঝবেন |
রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ| এর মধ্যে যদি ২ থেকে ৭ দিন টানা জ্বর গা, হাত, পা এবং মাথা ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে। এমনকি ডেঙ্গিতে ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যায়৷ ম্যালেরিয়ার জ্বরে তাপমাত্রা খুব বেড়ে যায় | সঙ্গে ঠাণ্ডা লাগা | ঘাম হওয়া এমনকি খুব কাঁপুনিও হয় | যে কাঁপুনি ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা স্থায়ী হয় | সঙ্গে দোসর মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেশিতে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব | এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ| এর মধ্যে যদি ২ থেকে ৭ দিন টানা জ্বর গা, হাত, পা এবং মাথা ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ডেঙ্গির উপসর্গ রয়েছে। এমনকি ডেঙ্গিতে ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যায়৷ ম্যালেরিয়ার জ্বরে তাপমাত্রা খুব বেড়ে যায় | সঙ্গে ঠাণ্ডা লাগা | ঘাম হওয়া এমনকি খুব কাঁপুনিও হয় | যে কাঁপুনি ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা স্থায়ী হয় | সঙ্গে দোসর মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেশিতে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব | এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণ জ্বর বছরের যে কোনও সময় হতে পারে | তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই রোগ বেশি হতে দেখা যায় | এছাড়া বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে প্রায়শ জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকে |
সাধারণ জ্বর বছরের যে কোনও সময় হতে পারে | তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই রোগ বেশি হতে দেখা যায় | এছাড়া বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে প্রায়শ জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকে |
*সাধারণ জ্বরের লক্ষণগুলো হল:* সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে সর্দি, গলাব্যথা, শরীরে হালকা ব্যথা, দুর্বলতার মতো উপসর্গ থাকে| হঠাৎ জ্বর আসে এবং কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে | শরীর-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করে | জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশিও থাকে | মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে খিদে কমে যায় ও বমি বমি ভাব থাকে |
*সাধারণ জ্বরের লক্ষণগুলো হল:* সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে সর্দি, গলাব্যথা, শরীরে হালকা ব্যথা, দুর্বলতার মতো উপসর্গ থাকে| হঠাৎ জ্বর আসে এবং কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে | শরীর-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করে | জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশিও থাকে | মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে খিদে কমে যায় ও বমি বমি ভাব থাকে |

Chinese Manja: ঘুড়ির মরশুমে সাক্ষাৎ মৃত্যু দূত চিনা মাঞ্জা, রাস্তায় বেরোলেই ঘিরে ধরছে আতঙ্ক

হাওড়া: ঘুড়ির মরশুম ক্রমশ এগিয়ে আসছে। বিশ্বকর্মা পুজোয় কলকাতা সহ গ্রাম বাংলার আকাশ আজও ঘুড়িতে ছেয়ে যায়। অবশ্য তার আগে থেকেই অনেকে অল্প বিস্তর ঘুড়ি ওড়ানো শুরু করে। তবে ঘুড়ির মরশুম এগিয়ে এলেই এখন আতঙ্ক বাড়ে চিনা মাঞ্জা নিয়ে। গত কয়েক বছরের ঘড়ির সুতো বা চিনা মাঞ্জায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন, এমনকি প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটেছে।

চিনা মাঞ্জার সুতোয় কাবু পশু-পাখি থেকে মানুষ সকলেই। প্রশাসন চিনা মাঞ্জার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তাতে রাস টানা যাচ্ছে না। বেআইনিভাবে বিভিন্ন দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে চিনা মাঞ্জা। জেলা থেকে শুরু করে কলকাতার রাজপথ সর্বত্রই বিপদ বাড়াচ্ছে এই সুতো। বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ঘুড়ির মরশুমে চিনা মাঞ্জার কারণে কার্যতম মারণ ফাঁদ হয়ে ওঠে।

আর‌ও পড়ুন: নিচে হাতি উপরে হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তার! প্রাণ হাতে নিয়ে চলছে ফসল পাহারা

এমনকি এই সুতো রেলের ওভারহেড তারে জড়িয়ে ট্রেন চলাচলে পর্যন্ত বিঘ্ন ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রেল দফতর। বিপদ এড়াতে রেলের তরফে লাইন সংলগ্ন স্থানে ঘুড়ি ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চিনা মাঞ্জার বিপদ সম্পর্কে আমজনতা কী বলছে? হাওড়া জেলা জুড়ে গ্রাম ও শহর সর্বত্রই এই চিনা মাঞ্জা নিয়ে আতঙ্ক নজরে এল। বিশেষ করে সাইকেল ও বাইক আরোহীরা বিষয়টি নিয়ে বেশ আতঙ্কিত। কয়েকদিন আগে হাওড়া জেলার বাগনানে এক বাইক আরোহী যুবকের গলায় চিনা মাঞ্জা সুতো জড়িয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সলপ সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াতকারী এক বাইক আরোহী চিনা মাঞ্জায় আহত হলেন।

এই সকল ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবেশকর্মী চিত্রক প্রামাণিক জানান, নাইলন মাঞ্জা সুতো বিক্রি সম্পূর্ণ বেআইনি ও নিষিদ্ধ। তারপরেও কিছু মানুষ নিজেদের চিত্ত বিনোদনের জন্য নাইলন মাঞ্জায় ঘুড়ি ওড়ায়। এই নাইলন মাঞ্জা বা চিনা মাঞ্জার জন্য প্রতি বছর অসংখ্য পাখি আহত হয় ও তাদের মৃত্যু হয়। রাস্তায় বাইকে করে যাওয়ার সময় এই নাইলন মাঞ্জায় গলা আটকে বহু মানুষ গুরুতর আহত হয় এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

রাকেশ মাইতি

Independence Day: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর পদধূলিতে ধন্য হাওড়ার এই গ্রাম

হাওড়া: ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ এই কথা শুনলে আপামর দেশবাসীর মনে  পড়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন তরুণ বিপ্লবীর আত্ম বলিদানের কথা। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে এই তাঁর গাথা। এই কথা জড়িয়ে রয়েছে বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জীবনে। দেশ সেবায় অল্প বয়সে প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন সে সময়ের অল্পবয়সী যুবক।

১৯০৮ সালে অত্যাচারী ব্রিটিশ কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে, আত্মগোপন করেছিলেন এক রাত্রিরের জন্য মামার বাড়িতে। হাওড়া বাগনানের দেউল গ্রাম এখান থেকে চলে যাওয়ার পরেই মোজাফ্ফরপুরে ধরা পড়েন ক্ষুদিরাম। তারপরই “হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী”।

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে হাওড়ার বাগনানের দেউলগ্রাম। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাগনানের দেউলগ্রাম ধন্য হয়েছিল বিপ্লবী ক্ষুদিরামের পদধূলিতে। কারণ দেউলগ্রামে ছিল ক্ষুদিরামের মামা বাড়ি। উল্লেখ্য ক্ষুদিরামের মা মারা যান তখন, যখন ক্ষুদিরামের বয়স ছিল মাত্র চার বছর। দিদির কাছেই মানুষ হয়েছিলেন তিনি।

পরে ক্ষুদিরামের বাবা বিয়ে করেন হাওড়ার দেউল গ্রামের সুশীলা ভঞ্জকে। জানা যায়, বিয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায় মারা যান ক্ষুদিরামের বাবা। বাল্য বিধবা সুশীলা ফিরে আসেন হাওড়া জেলার পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁষে দেউলগ্রামেই বাবার বাড়ি।

আরও পড়ুন: টকটকে লাল নয়, ঘন নীল! বলুন তো কোন প্রাণীর রক্তের রং নীল? এক লিটারের দামই ১০ লাখ!

কথাগুলি জানিয়েছেন সুশীলা দেবীর সম্পর্কিত নাতবৌ অশীতিপর বৃদ্ধা গৌরী ভঞ্জ। উল্লেখ্য বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের হাবিবপুরে ক্ষুদিরামের জন্ম। ত্রৈলোক্যনাথ বসু ও মা লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু’র মা মারা যাওয়ার পর দিদির কাছে থাকতেই শুনেছিলেন বাবার দ্বিতীয় বিয়ের কথা ও দেউল গ্রামে তার আরেক মায়ের কথা।

আরও পড়ুন: খিদে পেলেই বাচ্চাকে দুধের সঙ্গে খেতে দিচ্ছেন এই জিনিস! আকছার হচ্ছে এই ভুল, স্বাস্থ‍্যের দফারফা, সাবধান করলেন চিকিত্‍সক

১৯৭১ সালে সুশীলা মারা যান। কিংসফোর্ড মামলায় অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম আত্মগোপন করতে সৎমা সুশীলার কাছে এসেছিলেন। যদিও সুশীলা দেবী ও এলাকার কয়েকজন রাজি হননি সেদিন। সে দিন বাধ্য হয়ে মাটি গুদামে রাত কাটিয়ে কাক ভোরে ফিরে যান ক্ষুদিরাম। পরে ইংরেজদের হাতে ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়।সেই প্রথম ও শেষ বারের মত তাঁর মামা বাড়ি বাগনানে দেউলগ্রামে এসেছিলেন ক্ষুদিরাম। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী রয়েছে হাওড়ার এই স্থান।রাকেশ মাইতি

Indian National Flag: ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস বিষয়ে প্রদর্শনী হাওড়ায়

হাওড়া: ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাসের প্রদর্শনী চলছে হাওড়ার গান্ধী গ্লোবাল চ্যাপ্টারের তরফ থেকে। দেশ ও জাতীয় পতাকার প্রতি মানুষের আরও বেশি প্রেম জাগাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ | বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জাতীয় পতাকার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতেই এই ভাবনা বলেই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ১৫ অগাস্ট দেশের স্বাধীনতা উদযাপন করবে আপামর ভারতবাসী, উত্তোলিত হবে জাতীয় পতাকা| ভারতের জাতীয় পতাকার এই বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাইয়ের সাংবিধানিক সভায় | এই পর্যায়ের আসার আগে বহুবার পাল্টেছে জাতীয় পতাকার নকশা |

আরও পড়ুনঃ সোনাঝুড়ি হাট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! চালু নতুন নিয়ম, এবার সপ্তাহে কদিন খোলা থাকবে হাট?

ভারতের জাতীয় পতাকার যাত্রা শুরু হয় কলকাতার পার্সিবাগান স্কোয়ারে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে| ভারতীয় উপমহাদেশের স্বদেশী ও বয়কট সংগ্রামের সময় এটি ঘটেছিল | সে সময়ে পতাকাটিতে লাল, হলুদ এবং সবুজের তিনটি অনুভূমিক স্ট্রাইপ রয়েছে। যেখানে হিন্দি ভাষায় বন্দে মাতরম শব্দগুলি খোদাই করা হয়েছে | ১৯০৭ সালে বার্লিনে ভারতের জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী হয়। এই পতাকায় ছিল তিনটি রঙ। এরপর ১৯১৬ সালে আরও একটা ভারতীয় পতাকার নকশা দেখতে পাওয়া যায়| ১৯২০ সালে জাতীয় পতাকার অভাব অনুভব করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ওই বছরই গান্ধীজির কাছে জাতীয় পতাকার একটা নকশা প্রস্তাব করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। সেই পতাকায় ভেঙ্কাইয়াকে সাদা রঙ ও চরকা অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন গান্ধীজি। চরকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় পতাকাটি তৈরি হয় খদ্দর কাপড়ের। ১৯৩১ সালে ফের জাতীয় পতাকার নকশা পাল্টান পি. ভেঙ্কাইয়া।

১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই স্বাধীন ভারতের একটি জাতীয় পতাকা তৈরি প্রস্তাব দেন পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু | প্রস্তাব হয় সেই পতাকায় ওপরে থাকবে গেরুয়া রঙ | মাঝে সাদা এবং তলায় গাঢ় সবুজ রঙ সমান পরিমাণে থাকবে| মাঝখানের সাদা রঙের মধ্যে থাকবে অশোকের ধর্মচক্র | জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দেশের যুব সমাজের কাছে তুলে ধরতে পেরে দারুন আনন্দিত সংগ্রাহক ইন্দ্রনাথ বারুই। এ প্রসঙ্গে ইন্দ্রনাথ বাড়ুই জানান, শৈশব থেকে নানা দুষ্প্রাপ্য জিনিস সংগ্রহের প্রতির নেশা। তার মধ্যে অন্যতম হল ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস চর্চা। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল এই প্রদর্শন। এই প্রদর্শনের প্রধান উদ্দেশ‍্য মানুষের মনে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগ্রত করা, এমন টাই জানালেন হাওড়ার গান্ধী গ্লোবাল চ্যাপ্টারের সম্পাদক সৌম্য |

রাকেশ মাইতি

Biswakarma puja- Indian Railways: আসছে বিশ্বকর্মা পুজো, ঘুড়ির উৎসবে বিঘ্ন ঘটতে পারে ট্রেন চলাচলে! কারণ জানাল রেল

হাওড়া: ঘুড়ির উৎসব ব্যাঘাত ঘটাতে পারে রেল পরিষেবায়, ঘটতে পারে প্রাণহানিও। সে দিকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা দিল ভারতীয় রেল। বিশ্বকর্মাপুজো আসন্ন, আর এই বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি উড়ানো ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

কলকাতা এবং হাওড়ার শহর এবং শহরতলির অনেক জায়গাতেই প্রচুর ঘুড়ি উড়ে। কিন্তু অনেকসময় এই ঘুড়ি ওড়ানোই সাধারণ মানুষের জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে। রেলওয়ে ট্র্যাক সংলগ্ন এলাকায় ঘুড়ি উড়ানোর সময় সেই ঘুড়ি যদি কোনও ভাবে প্যান্টোগ্রাফ বা ওভারহেড তারে লেগে জড়িয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল এবং এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে চলেছে।

আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নিয়ে পলাতক ভাই, দিদিকে গণধর্ষণ তরুণীর পরিবারের! অভিযোগ রেকর্ড করা হয় দৃশ্য

ওভারহেড তারগুলি উচ্চ ভোল্টের ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় ঘুড়ি ওড়ানোর সময়ে অসতর্ক হলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অন্য দিকে, ঘুড়ির সুতো ওভারহেড ইকুইপমেন্টস (OHE)-এর সঙ্গে জড়িয়ে যেতে পারে, যাতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে এবং যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হতে পারে।

আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হাই কোর্টে, কবে শুনানি?

ঘুড়ির সুতোয় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়ে যাত্রীদের অযথা হয়রানি কিংবা সুতো হাই -ভোল্টেজ তারে সুতো জড়িয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন এই নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে। রেলওয়ে ট্র্যাকের সামনে ঘুড়ি না ওড়ালে এই ধরনের দুর্ঘটনা আটকানো যাবে বলেই মন ভারতীয় রেলের।

Weight Loss Tips: ঠিক ‘এত’ চামচ তেল দিন রান্নায়…! পুজোর আগে কমে যাবে ২-৪ কেজি ওজন, মানুন এই ডায়েট

পুজোর আগে ওজন নিয়ে চিন্তা করছেন? খুব খুব সহজেই দু’চার কেজি অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। পুজোর আগে খোঁজখবর শুরু পোশাকের। অনলাইনের দৌলতে আরও হাতের মুঠোয়ে এই ফ্যাশনেবল পোশাকের দুনিয়া। কিন্তু মন খারাপের বিষয় হল, ওজন বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় পছন্দের পোশাক থেকে সরে আসতে হয়।
পুজোর আগে ওজন নিয়ে চিন্তা করছেন? খুব খুব সহজেই দু’চার কেজি অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। পুজোর আগে খোঁজখবর শুরু পোশাকের। অনলাইনের দৌলতে আরও হাতের মুঠোয়ে এই ফ্যাশনেবল পোশাকের দুনিয়া। কিন্তু মন খারাপের বিষয় হল, ওজন বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় পছন্দের পোশাক থেকে সরে আসতে হয়।
তবে কিছুদিন আগে থেকে খাবারে কিছু নিয়ম মানতে পারলে এই পুজোর শপিং আরও ফাটাফাটি হয়ে যায়। জীবনযাপনে অনিয়মের ফলে কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে উরু, কোমরেও। একটু নিয়ম মেনে ডায়েট করলে এক মাসে ৩-৪ কেজি ওজন ঝরানো অসম্ভব নয়। অনেকে আবার অনেক বেশি কড়াকড়ি করে ফেলে।
তবে কিছুদিন আগে থেকে খাবারে কিছু নিয়ম মানতে পারলে এই পুজোর শপিং আরও ফাটাফাটি হয়ে যায়। জীবনযাপনে অনিয়মের ফলে কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে উরু, কোমরেও। একটু নিয়ম মেনে ডায়েট করলে এক মাসে ৩-৪ কেজি ওজন ঝরানো অসম্ভব নয়। অনেকে আবার অনেক বেশি কড়াকড়ি করে ফেলে।
এ প্রসঙ্গে ডায়েটিশিয়ান অরিজিৎ দে জানাচ্ছেন, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করে দেন। কেবল তরল ডায়েট মেনে চলেন। এই প্রকার ডায়েটে আপনার ওজন দ্রুত ঝরবে বটে, কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। যে ডায়েট মেনে চলবেন তা হল।
এ প্রসঙ্গে ডায়েটিশিয়ান অরিজিৎ দে জানাচ্ছেন, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করে দেন। কেবল তরল ডায়েট মেনে চলেন। এই প্রকার ডায়েটে আপনার ওজন দ্রুত ঝরবে বটে, কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। যে ডায়েট মেনে চলবেন তা হল।
১) অতিরিক্ত ক্যালোরি-যুক্ত খাবার যেমন, ভাজাভুজি, কেক-মিষ্টি, চকোলেট, নরম পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার আগামী প্রায় এক মাস একেবারে এড়িয়ে চলুন।
১) অতিরিক্ত ক্যালোরি-যুক্ত খাবার যেমন, ভাজাভুজি, কেক-মিষ্টি, চকোলেট, নরম পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার আগামী প্রায় এক মাস একেবারে এড়িয়ে চলুন।
২) ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই এক মাস যেন জটিল কার্বহাইড্রেট-যুক্ত খাবারই খাওয়া হয়। যেমন সাধারণ পাউরুটির পরিবর্তে ব্রাউন ব্রেড, ভাত খেতে ইচ্ছা করলে ডালিয়া, ওটস, ময়দার বদলে আটার রুটি খাওয়া যেতেই পারে।
২) ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই এক মাস যেন জটিল কার্বহাইড্রেট-যুক্ত খাবারই খাওয়া হয়। যেমন সাধারণ পাউরুটির পরিবর্তে ব্রাউন ব্রেড, ভাত খেতে ইচ্ছা করলে ডালিয়া, ওটস, ময়দার বদলে আটার রুটি খাওয়া যেতেই পারে।
৩) একেবারে তেল-মশলা ছাড়া খাবার দু’-এক দিন খেয়ে নিলেও দীর্ঘ দিন খাওয়া যায় না। শরীরে কোনও জটিল রোগ না থাকলে একবারে তেল ছাড়া খাবার খাওয়া উচিতও নয়। ওজন ঝরাতে চাইলে সারা দিনের রান্নায় চার থেকে পাঁচ চামচ তেল ব্যবহার করতে পারেন। ডায়েটে মাখন না রাখাই ভাল।
৩) একেবারে তেল-মশলা ছাড়া খাবার দু’-এক দিন খেয়ে নিলেও দীর্ঘ দিন খাওয়া যায় না। শরীরে কোনও জটিল রোগ না থাকলে একবারে তেল ছাড়া খাবার খাওয়া উচিতও নয়। ওজন ঝরাতে চাইলে সারা দিনের রান্নায় চার থেকে পাঁচ চামচ তেল ব্যবহার করতে পারেন। ডায়েটে মাখন না রাখাই ভাল।
৪) বাঙালি রান্নায় আলুর চল ভীষণ বেশি। মাছের ঝোল থেকে বিরিয়ানি, সবেতেই আলু চাই-ই চাই! তবে ওজন ঝরাতে চাইলে কিন্তু দিনে এক থেকে দু’টুকরোর বেশি আলু খাওয়া যাবে না।
৪) বাঙালি রান্নায় আলুর চল ভীষণ বেশি। মাছের ঝোল থেকে বিরিয়ানি, সবেতেই আলু চাই-ই চাই! তবে ওজন ঝরাতে চাইলে কিন্তু দিনে এক থেকে দু’টুকরোর বেশি আলু খাওয়া যাবে না।
৫) ডায়েটে বেশি করে ফল রাখতে হবে। বাঙালিদের ফল খাওয়ার অভ্যাস কম, তবে ওজন ঝরাতে চাইলে দিনে একটি থেকে দু’টি ফল খেতেই হবে। এ ক্ষেত্রে কলা রোজ না খাওয়াই ‌ভাল। এতে অনেক ক্যালোরি থাকে। এ ছাড়া, যে কোনও মরসুমি ফলও খেতে পারেন।
৫) ডায়েটে বেশি করে ফল রাখতে হবে। বাঙালিদের ফল খাওয়ার অভ্যাস কম, তবে ওজন ঝরাতে চাইলে দিনে একটি থেকে দু’টি ফল খেতেই হবে। এ ক্ষেত্রে কলা রোজ না খাওয়াই ‌ভাল। এতে অনেক ক্যালোরি থাকে। এ ছাড়া, যে কোনও মরসুমি ফলও খেতে পারেন।
৬) ওজন ঝরাতে চাইলে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল কিন্তু খেতেই হবে। আর সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুমও ভীষণ জরুরি।
৬) ওজন ঝরাতে চাইলে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল কিন্তু খেতেই হবে। আর সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুমও ভীষণ জরুরি।
৭) বাজারে অনেক সংস্থাই দাবি করে তাদের ওষুধ, ক্যাপসুল কিংবা মিল সাপ্লিমেন্ট খেলে সহজেই অনেকটা ওজন কমানো যায়। কিন্তু ওজন কমানোর কোনও ‘শর্ট কাট’ নেই। এই প্রকার সাপ্লিমেন্ট একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এ সবের কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে হাজার রোগ।
৭) বাজারে অনেক সংস্থাই দাবি করে তাদের ওষুধ, ক্যাপসুল কিংবা মিল সাপ্লিমেন্ট খেলে সহজেই অনেকটা ওজন কমানো যায়। কিন্তু ওজন কমানোর কোনও ‘শর্ট কাট’ নেই। এই প্রকার সাপ্লিমেন্ট একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এ সবের কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে হাজার রোগ।
ডায়েটেশিয়ান অরিজিৎ দে আরও জানান, শরীরে কোনও রকম জটিল রোগ না থাকলে এই ডায়েট চার্ট মেনে চলতেই পারলেই প্রায় নিশ্চিত কয়েক কেজি ওজন কম হতে পারে।
ডায়েটেশিয়ান অরিজিৎ দে আরও জানান, শরীরে কোনও রকম জটিল রোগ না থাকলে এই ডায়েট চার্ট মেনে চলতেই পারলেই প্রায় নিশ্চিত কয়েক কেজি ওজন কম হতে পারে।

Sawan 2024: ভক্তির শক্তি অপার, শরীরে প্রতিবন্ধকতা কিন্তু মনে তো নেই, হুইল চেয়ারে করে বাবার মাথায় জল ঢাললেন দুই ভক্ত

হাওড়া: হুইল চেয়ার সম্বল করেই ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শৈবতীর্থে প্রীতম, কুশল! শ্রাবণ মাসে সারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শৈবতীর্থ হাজির হচ্ছে মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শৈব তীর্থক্ষেত্র তারকেশ্বর। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমগম ঘটে তারকেশ্বরে। এখানের জল ঢালার রীতি হল মন্দির থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বের শ্যাওড়াফুলি। সেখান থেকে গঙ্গার জল নিয়ে ভক্তরা হাজির হয় তারকেশ্বরের শিব মন্দিরে। রীতি মেনে প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল ভেঙে তারকেশ্বরে পৌঁছল দুই বন্ধু।

বিশেষভাবে সক্ষম প্রীতম ও কুশল। হুইল চেয়ার বা ক্যাচার ছাড়া উঠে দাঁড়ানো ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। তবে মনের ইচ্ছা প্রবল। হুইল চেয়ারে ভর করেই প্রীতম পৌঁছে যায় খেলার মাঠে, আবার একই ভাবে সংসারের হাল ধরতে হাতের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রীতম।

আরও পড়ুন – Wildlife near You: জঙ্গল খুব ভাল লাগে, কলকাতা থেকে একটু দূরেই এই জেলাতেই ওয়াইল্ড লাইফের ছড়াছড়ি, যাবেন নাকি

অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনার কুশল পেশায় প্রাইভেট টিউটর। প্রতিদিনের ব্যস্ততার কাটিয়ে আর পাঁচ জনের মত কুশল ও প্রিতমের প্রবল ইচ্ছা জাগ্রত তারকেশ্বরের তারকনাথ এর কাছে পৌঁছে বাবার মাথায় জল ঢালবে। ইচ্ছে মতোই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল প্রায় ১ মাস আগে। অবশেষে সেই ইচ্ছে পূরণ, কষ্ট হলেও ইচ্ছে পূরণ করতে পেরে বেজায় খুশি দু’বন্ধু।

এ প্রসঙ্গে হাওড়ার প্রীতম মেদ্দা জানায়, হুইলচেয়ার ম্যারাথন বা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ খুব সাধারন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার হুইল চেয়ারে পাড়ি দিয়ে তারকেশ্বরের বাবার কাছে পৌঁছানো একটা অন্য অভিজ্ঞতা। কষ্টের মধ্যে দিয়েও রয়েছে আনন্দ। আগামী দিনে এভাবেই বাবার কাছে পৌঁছতে চাই।অন্যদিকে কুশল মন্ডল জানায়, বিশেষভাবে সক্ষম হলেও ইচ্ছা থাকে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মত জীবন কাটানো। সেই ইচ্ছে থেকেই দ্বিতীয়বার তারকেশ্বরে পৌঁছানো। বাবার কাছে প্রার্থনা জীবনের পথ আরও সহজ হোক।

হুইল চেয়ারে নির্ভর মানুষও যাতে ইচ্ছা পূরণ করতে পারে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এগিয়ে আসা। যদিও এই ইচ্ছে পূরণে সাধন মানুষের সহযোগিতা কাম্য।সাধারনের তারকেশ্বর তীর্থে পৌঁছন খুব সাধারন বিষয় হলেও, বিশেষ ভাবে সক্ষম প্রীতম ও কুশলের এই মনবল অনন্য। তীর্থক্ষেত্রে আশা হাজারওমানুষ কুর্নিশ জানিয়েছে দুই বন্ধুর প্রচেষ্টাকে।

Rakesh Maity