Category Archives: হাওড়া

Bangla Video: হাওড়ার এই আশ্রম অনাথ মেয়েদের জীবন গড়ার ঠিকানা হয়ে উঠেছে

হাওড়া: মহিলা শিক্ষার প্রসারে অনন্য ভূমিকায় হাওড়ার প্রণব কন্যা সংঘ আশ্রম। হাওড়া জেলা সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের দুস্থ পরিবারের মেয়েরা সুশিক্ষিত হচ্ছে এই আশ্রমের হাত ধরে। দুঃস্থ পরিবারের মেয়েদের দেখভাল তথা শিক্ষার প্রসারের জন্য ২০০০ সালে হাওড়া শহরে প্রতিষ্ঠা হয় এই আশ্রম।

সন্ন্যাসিনী দেবদত্তা নন্দময়ী ২০০০ সাল থেকে এই আশ্রম চালাচ্ছেন। ২০০১ সালে বন্যা কবলিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৭ জন অসহায় মহিলা নিয়ে শুরু হয়েছিল হাওড়ায় এই আশ্রম। বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলার প্রায় ২৫ জন পড়ুয়া রয়েছে এখানে। এখানে অনাথ ও পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লেখাপড়া ও থাকার সুবন্দোবস্ত আছে। তৃতীয় শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লেখাপড়া ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই আশ্রমে। এখানে থেকেই হাওড়া গার্লস স্কুলে হয় লেখাপড়া।

আর‌ও পড়ুন: রাখি তৈরি বদলে দিয়েছে এই গ্রামের অর্থনীতি

এখানে ভর্তির ক্ষেত্রে কিছু নির্ণায়ক বিষয় আছে বলে জানিয়েছেন প্রণব কন্যা সংঘ আশ্রমের মাতাজী সন্ন্যাসিনী দেবদত্তা নন্দময়ী। মেয়েদের আর্থিক অবস্থা, নিরাপত্তা, অনাথ হলে প্রকৃত অনাথ কিনা, পড়াশোনায় মেয়েটা কতটা আগ্রহী এই সব দিক বিবেচনা করে তারপর ভর্তি নেওয়া হয়। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষার পর মেয়েদের নির্বাচন করা হয়। ৩ বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত মেয়েরা এই আশ্রমে থাকে। পরবর্তীকালে অনেকের বিয়ে হয়, অনেকে আবার উচ্চ শিক্ষার জন্য কলেজে ভর্তি হয়।

রাকেশ মাইতি

Health Tips: ৩-৪ দিনের জ্বর, অসহ্য গা-হাত-পায়ে ব্যথা! ভাইরাল জ্বর থেকে সহজে মুক্তির উপায় জানালেন চিকিৎসক

হাওড়া: বর্ষা আগমনে গ্রীষ্মের তাপ থেকে স্বস্তি মিলেছে। তবে এই বর্ষায় শুরু হয়েছে মানুষের অন্য সমস্যা, এই সময় দারুন ভাবে জ্বরে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বাড়ছে। এই জ্বর প্রায়শই আর্দ্র, স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় ছড়িয়ে পড়া ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে উদ্ভূত হয়। বর্তমান সময়ে দারুণভাবে চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাস জ্বর। এই জ্বর মানেই অসহ্য গা হাত পা ব্যথা। খিদে মন্দা বা খাবারে অরুচি। একবার আক্রান্ত হলে ৩-৪ দিন কাবু।

এই জ্বর থেকে কীভাবে রক্ষা এবং আক্রান্ত মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে? বিশিষ্ট চিকিৎসক জানাচ্ছেন, জ্বরের লক্ষণ এবং তার প্রতিকার। মূলত ফ্লু ভাইরাসের আক্রমণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে। পাশাপাশি ধীরে ধীরে মাথা তুলছে ডেঙ্গি। ঋতু পরিবর্তনের সময় অসুখও যেন হাত ধরেই আসে। কারণ এই সময়ে ভাইরাস জ্বরের ভয় থাকে সবচেয়ে বেশি, সেইসঙ্গে সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা তো রয়েছেই।

আরও পড়ুনঃ জেলার ঐতিহ্য এই বাস! পর্যটকদেরও দারুণ পছন্দের! পুজোর আগে চালুর ভাবনা

আবহাওয়া বদলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভাইরাল ফ্লু। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তবে মূলত আবহাওয়ার সঙ্গে শরীরের নিজস্ব তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতা সহজে মানিয়ে উঠতে না পারা ও বাড়তে থাকা দূষণ নেপথ্যের কারণ। দূষণের কারণে পরিবেশে অ্যালার্জেন ক্রমেই বাড়ছে। ফলে অ্যালার্জির হানা একটা বড় সমস্যা| সেই সুযোগে ভাইরাস বা কিছুক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢুকে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এই বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলছে। সাধারণত ভাইরাল ফ্লু-তে ঘুষঘুষে জ্বর যেমন থাকে, আবার ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বরও উঠতে পারে। ভাইরাল জ্বরের বৈশিষ্ট্য হল শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। এটি মাঝারি থেকে গুরুতর হতে পারে।

ভাইরাল জ্বরের সময় পেশী এবং জয়েন্টের যন্ত্রণা বাড়ে। ভাইরাল জ্বরে মাথাব্যথা সাধারণ এবং মাঝারি থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। অনেক ভাইরাল সংক্রমণের কারণে গলা ব্যথা এবং ক্রমাগত কাশি হতে পারে। নাক বন্ধ হওয়া, হাঁচি এবং নাক দিয়ে জল পড়া ঘন ঘন লক্ষণ, বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ক্ষেত্রে। ভাইরাস জ্বর হলে তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকেও জ্বর তিন-চার দিনে না কমলে রক্ত পরীক্ষাও করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানান চিকিৎসক মনোসিজ জানা।

রাকেশ মাইতি

Durga Puja Special Train: পুজোর মজা শুরু, জমবে ছুটি, স্পেশ্যাল ট্রেনে করুন ট্যুর, সস্তায় হবে আরাম, রুট ম্যাপ রইল

পুজো স্পেশাল ট্রেন! এবার যাত্রী সুবিধার্থে স্পেশাল ট্রেন ঘোষণা ভারতীয় রেলের। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। পুজো মানে নতুন পোশাকে পুজোর আনন্দ। একইসঙ্গে বহু মানুষের কাছে পুজো মানে ভ্রমণের মরশুম। সারা বছরের কর্মব্যস্ততার মধ্যে পুজোর ছুটিকেই বেড়াতে যাবার আদর্শ সময় মনে করেন। সেই দিক থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী সাচ্ছন্দ বজায় রাখতে বিশেষ উদ্যোগ রেলের।
পুজো স্পেশাল ট্রেন! এবার যাত্রী সুবিধার্থে স্পেশাল ট্রেন ঘোষণা ভারতীয় রেলের। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। পুজো মানে নতুন পোশাকে পুজোর আনন্দ। একইসঙ্গে বহু মানুষের কাছে পুজো মানে ভ্রমণের মরশুম। সারা বছরের কর্মব্যস্ততার মধ্যে পুজোর ছুটিকেই বেড়াতে যাবার আদর্শ সময় মনে করেন। সেই দিক থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী সাচ্ছন্দ বজায় রাখতে বিশেষ উদ্যোগ রেলের।
এই পুজোর মরশুমে যে সমস্ত স্পেশাল ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল তা হল-৬ ই অক্টোবর থেকে মালদা টাউন থেকে - উদনা প্রতি রবিবার। ওই ট্রেন প্রত্যেক মঙ্গলবার উদনা থেকে ফিরবে।
এই পুজোর মরশুমে যে সমস্ত স্পেশাল ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল তা হল-৬ ই অক্টোবর থেকে মালদা টাউন থেকে – উদনা প্রতি রবিবার। ওই ট্রেন প্রত্যেক মঙ্গলবার উদনা থেকে ফিরবে।
হাওড়া থেকে খাঁকিপুরা প্রতি রবিবার। মঙ্গলবার খাঁকিপুরা ছেড়ে আসবে।হাওড়া থেকে ভিড় কম করতে, ১ লা অক্টোবর থেকে শুরু, আসানসোল থেকে খাঁকিপুরা ট্রেন চলবে প্রতি মঙ্গলবার।
হাওড়া থেকে খাঁকিপুরা প্রতি রবিবার। মঙ্গলবার খাঁকিপুরা ছেড়ে আসবে।হাওড়া থেকে ভিড় কম করতে, ১ লা অক্টোবর থেকে শুরু, আসানসোল থেকে খাঁকিপুরা ট্রেন চলবে প্রতি মঙ্গলবার।
৫ ই অক্টোবর থেকে শুরু, শিয়ালদহ থেকে গোরখপুর, প্রতি শনিবার ও সোমবার।৫ ই অক্টোবর থেকে শুরু হাওড়া থেকে রক্সুল প্রতি শনিবার। রক্সুল ছাড়বে প্রতি রবিবার।
৫ ই অক্টোবর থেকে শুরু, শিয়ালদহ থেকে গোরখপুর, প্রতি শনিবার ও সোমবার।৫ ই অক্টোবর থেকে শুরু হাওড়া থেকে রক্সুল প্রতি শনিবার। রক্সুল ছাড়বে প্রতি রবিবার।
পুজোয় দিল্লি গামী যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ৪ র্থ অক্টোবর শুরু আসানসোল থেকে আনন্দবিহার ট্রেন প্রতি শুক্রবার।
পুজোয় দিল্লি গামী যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ৪ র্থ অক্টোবর শুরু আসানসোল থেকে আনন্দবিহার ট্রেন প্রতি শুক্রবার।
৭ ই অক্টোবর থেকে শুরু, মালদা টাউন থেকে আনন্দবিহার প্রতি সোমবার। ৮ ই অক্টোবর এই ট্রেন দিল্লি ছাড়বে।এছাড়াও আরও বেশ কিছু পুজো স্পেশাল ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতীয় রেল।( Reporter-রাকেশ মাইতি)
৭ ই অক্টোবর থেকে শুরু, মালদা টাউন থেকে আনন্দবিহার প্রতি সোমবার। ৮ ই অক্টোবর এই ট্রেন দিল্লি ছাড়বে।এছাড়াও আরও বেশ কিছু পুজো স্পেশাল ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতীয় রেল।( Reporter-রাকেশ মাইতি)

Fast Food: ৩৫ বছরেও বাড়েনি তেলেভাজার দাম! মাত্র এক টাকা মেলে চপ-ফুলুরি-শিঙাড়া

হাওড়া: জনপ্রিয় ১ টাকার তেলেভাজা! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, একদম সত্যি। এই চড়া মূল্যের বাজারে মাত্র ১ টাকায় তেলেভাজা। যেখানে পাঁচ টাকা বা দশ টাকার কমে তেলে হাজার কথা ভাবা যায় না। সেই বাজারে এমন স্বল্প দামের তেলেভাজা অবাক করার মতই বটে। আরও অবাক করার বিষয় হল এই তেলে ভাজা বিগত ৩০ -৩৫ বছর দাম অপরিবর্তন। যে কারণে এই দোকানে এলে প্রথম ক্রেতা দাম শুনেই চমকে যান। মাত্র এক টাকা মূল্যে চপ ফুলুরি শিঙাড়া কচুরি নিমকি।

আরও পড়ুনঃ ১ মিনিটেই হবে কাজ! নোংরা জল জমে আটকে বেসিন? ৪ ঘরোয়া জিনিসেই কেল্লাফতে

হাওড়া সলপ বাজারের বিখ্যাত গোপালের তেলেভাজা। সকাল সন্ধ্যা গরম তেল ভাজা কিনতে ক্রেতাদের ভির। যদিও আজকের দিনে সর্বত্র অলিগলিতে বহু তেলে ভাজার দোকান। তবুও এখানে তেলে ভাজা বলতে প্রথমেই এই গোপালের তেলেভাজার কথা মনে আসবে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে, গোটা জেলায় জনপ্রিয় এই এক টাকার তেলেভাজা। এক টাকার তেলে ভাজা দিবে কিঞ্চিত লাভের পরিমান, তা দিয়েই চলে বিক্রেতা গোলাপ দে আর সংসার। আসলে এমন কাণ্ড, ঘটানোর মূল কারণ হল। মানুষকে অল্প মূল্য তেলেভাজা খাওয়াবেন বাবাকে দেওয়া কথা রাখতেই প্রায় ৩৫ বছর মাত্র এক টাকায় তেলে ভাজা বিক্রি করছেন তিনি। আর এই তেলেভাজা চেখে দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা এসে হাজির হয়।

স্থানীয় মানুষদের কথায়, গোপাল বাবুর এক টাকার তেলেভাজা প্রায় সকলের পছন্দের। আসলে কম দাম হলেও স্বাদ মন্দ নয়। ছেলে বুড়ো সকলেই পছন্দ করেন। বিশেষ করেবাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের অল্প টাকার টিফিন বলতেই গোপালদার দোকান। এ প্রসঙ্গে বিক্রেতা গোপাল দে জানান, প্রায় ৩৫ বছর তেলেভাজার দাম এক টাকা রেখেছি। আসলে দাম এমন কম হওয়ার কারণ বাবাকে কথা দিয়েছিলাম। মানুষকে অল্প মূল্য তেলে ভাজা খায়াবো। সেই থেকে আজও তেলে ভাজা এক টাকা মূল্যে বিক্রি করছি।রাকেশ মাইতি

Independence Day 2024: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত হাওড়ার  বিশেষভাবে সক্ষম সাঁতারু রিমো 

হাওড়া: এবার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত ভারতের প্যারা সুইমার রিমো সাহা। যিনি ইতিমধ্যে দুবার ইংলিশ চ্যালেন অতিক্রম করেছেন। একদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অন্যদিকে আর্থিক সমস্যা। সমস্ত বেড়াজালকে ছিন্ন করে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছেন রিমো।

হাওড়ার ৩৪ বছর বয়সী প্যারা-সাঁতারু রিমো সাহা ইংলিশ চ্যানেল দুটি পথ অতিক্রম করার সময় ইতিহাস রচনা করেছিলেন। প্রথম বাঙালি যিনি তার প্রথম প্রচেষ্টায় দুইভাবে ইংলিশ চ্যানেলে প্রবেশ করেন। রিমো ছিলেন ছয় সদস্যের ভারতীয় প্যারা সাঁতার দলের একজন। তিনিই প্রথম এশিয়ান যিনি ৭০ কিলোমিটার সাঁতার ৩১ ঘন্টা ৪৯ মিনিটে সম্পূর্ণ করেছেন।

এবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হতে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রণ পেলেন রিমো সাহা। পাঁচটি স্বতন্ত্র জাতীয় রেকর্ড রয়েছে তাঁর দখলে। জাতীয় স্তরে ৫২ টি সোনা,৩৮ টি রুপো এবং ২০ টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। তিনি ২০১০ এ দিল্লি কমনওয়েলথ গেমস এবং ২০১০ এ চায়না প্যারা এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।

এছাড়াও তিনি দুবার ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেছেন। ২০০৯ সালের বিশ্ব গেমসে তার বিভাগে রুপো জিতেছিলেন রিমো। ছোটবেলায় পোলিও রোগে আক্রান্ত রিমো সাহাকে ডাক্তাররা সাঁতারকে ব্যায়ামের একটি ফর্ম হিসাবে গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে যা খেলাধুলায় তার অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সাহায্য করছে।

আরও পড়ুনঃ GK: নেই কোনও জাতীয় পশু! এমন দেশের নাম বলুন তো দেখি, উত্তর দিতে হোঁচট খাচ্ছেন অনেকেই

রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত রিমো বলেন,”এই বিশেষ দিনে সরকার থেকে আমি রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রণ পেয়ে সত্যিই গর্বিত।” তিনি আশা করেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ই যেন তাঁদের মতো প্যারা-সাঁতারুদের উৎসাহিত করবে |

রাকেশ মাইতি

Hilsa-Ilish: মাথায় হাত বাঙালির! আর কি ‘সেরা’ ইলিশের স্বাদ মিলবে না? কেন, কী কারণ? তুমুল চিন্তা

পদ্মার ইলিশ পাওয়া আরও অনিশ্চয়তা। ইতিমধ্যেই ভারত বাংলাদেশ রফতানি বন্ধ। এবার কি তাহলে সত্যি পদ্মার ইলিশের আশায় জল পড়ে গেল। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।
পদ্মার ইলিশ পাওয়া আরও অনিশ্চয়তা। ইতিমধ্যেই ভারত বাংলাদেশ রফতানি বন্ধ। এবার কি তাহলে সত্যি পদ্মার ইলিশের আশায় জল পড়ে গেল। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের সরাসরি প্রভাব পড়েছে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে। প্রতিবছর পুজোর মরশুমে হাওড়ার মাছ বাজারে পদ্মার ইলিশের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এবার চাহিদা থাকলেও আশা মিটবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ ব্যবসায়ীদের মধ্যেও।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের সরাসরি প্রভাব পড়েছে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে। প্রতিবছর পুজোর মরশুমে হাওড়ার মাছ বাজারে পদ্মার ইলিশের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এবার চাহিদা থাকলেও আশা মিটবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ ব্যবসায়ীদের মধ্যেও।
দিন চারেক ধরে ফের দেশ জুড়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ায় দু'দেশের মধ্যে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইলিশ পাতে পড়বে কিনা এ বিষয়ে চিন্তা বেড়েছে এপার বাংলার মানুষের।
দিন চারেক ধরে ফের দেশ জুড়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ায় দু’দেশের মধ্যে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইলিশ পাতে পড়বে কিনা এ বিষয়ে চিন্তা বেড়েছে এপার বাংলার মানুষের।
বেনাপোল এবং পেট্রাপোল সীমান্তে ফের সমস্ত ট্রাক দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার হাওড়া মাছ বাজারে বাংলাদেশ থেকে মাছ ভর্তি ট্রাক ঢোকার কথা থাকলেও কোনও ট্রাক আসেনি মাছ বাজারে।
বেনাপোল এবং পেট্রাপোল সীমান্তে ফের সমস্ত ট্রাক দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার হাওড়া মাছ বাজারে বাংলাদেশ থেকে মাছ ভর্তি ট্রাক ঢোকার কথা থাকলেও কোনও ট্রাক আসেনি মাছ বাজারে।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৮ থেকে ১০ টি ট্রাকে প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন পাবদা, পারশে, ভেটকি, ট্যাংড়া, পমফ্রেট এবং অন্যান্য মাছ আমদানি হয়। আবার ভারত থেকে ১০ থেকে ১২টি ট্রাকে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন বোয়াল, রুই, কাতলা, ভেটকি, কাজরি এবং অন্যান্য মাছ বাংলাদেশে রফতানি হয়।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৮ থেকে ১০ টি ট্রাকে প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন পাবদা, পারশে, ভেটকি, ট্যাংড়া, পমফ্রেট এবং অন্যান্য মাছ আমদানি হয়। আবার ভারত থেকে ১০ থেকে ১২টি ট্রাকে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন বোয়াল, রুই, কাতলা, ভেটকি, কাজরি এবং অন্যান্য মাছ বাংলাদেশে রফতানি হয়।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি টাকা করে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি কীভাবে তারা সামাল দেবেন, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি কতদিনে কাটে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরবে সে দিকে তাকিয়ে সকলে।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি টাকা করে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি কীভাবে তারা সামাল দেবেন, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি কতদিনে কাটে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরবে সে দিকে তাকিয়ে সকলে।

Howrah News: রাস্তা নাকি মরণ ফাঁদ! সলোপ ব্রিজ লাগোয়া সার্ভিস রোডে আতঙ্কে চালক-যাত্রী উভয়ে 

হাওড়া: রাস্তা নাকি মরণ ফাঁদ! সলোপ ব্রিজ লাগোয়া সার্ভিস রোডের বেহাল দশা। রাস্তা এতটাই খারাপ যে দিনে কয়েকদিনে একাধিক টোটো উল্টে যাওয়ার ঘটনা বলেই অভিযোগ। বিপদে বাইক আরোহীরাও, প্রতি মুহূর্তে রাস্তা পার হতে গিয়ে আহত হচ্ছে বহু মানুষ। বাইক সাইকেল টোটো উল্টে পড়ে হাত পা ভাঙার ঘটনা বহু, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় ও পথ চলতি মানুষের। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। অসংখ্য টোটো লড়ি যাত্রী বোঝাই বাস যাতায়াত করছে এই বিপজ্জনক রাস্তায়। যেকোনও মুহূর্তে বড়সড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা স্থানীয় ও পথচলতি মানুষের। এই সমস্যা আরও গুরুতর হয় গত দেড় থেকে দু’মাস। রাস্তার উপর তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির জমা জল সেই গর্ত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: বর্ষার উত্তাল গঙ্গা, দুই হাত বাঁধা! তারমধ্যেই সাঁতার, তারপর যা করলে হাওড়ার তরুণ

চালকদের কথায়, সাবধানতা অবলম্বন করেও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা মিলছে না। ফলে টোটোয় চাপতে ভয় করছে যাত্রীরা। এমনটাই অভিযোগ টোটো চালকদের। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের কথায় জানা যায়, সারাদিনে টোটো উল্টে যাওয়া ও বাইক আরোহী দুর্ঘটনায় পড়া। এমন ঘটনা বহু। রাস্তায় বড় বড় গর্ত, স্থানীয়রা ইট পাথর দিয়ে সাময়িক দুর্ঘটনা কমানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু গত দেড় থেকে দুই মাস রাস্তার বেহাল দশা। সড়ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। দারুণ ব্যস্ততম রাস্তা এটি, প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায়। এ প্রসঙ্গে চালক ও পথ চলতি মানুষের অভিযোগ, যাত্রীরা যানবাহনে উঠতেই ভয় করছে। এই রাস্তা পারাপার করতে নিজেরাও ভয়ে রয়েছি। দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে রাস্তা মেরামত হচ্ছে না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Special train: তারকেশ্বর গেলে সোনায় সোহাগা! বাড়ছে ৮ জোড়া ট্রেন, দাঁড়াতে হবে না টিকিটের লাইনেও

কলকাতা: শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তেরা। তারকেশ্বর পৌঁছনোর জন্য রেলপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ব রেল দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালানো শুরু করেছে।

শ্রাবণী মেলার বিশেষ দিনগুলিতে  হাওড়া এবং তারকেশ্বরের মধ্যে অতিরিক্ত ৪ জোড়া এবং শেওড়াফুলি – তারকেশ্বরের মধ্যে অতিরিক্ত ৪ জোড়া ই.এম.ইউ স্পেশাল ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল। দর্শনার্থীরা যাতে মন্দির দর্শন করে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারেন তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: আম নিয়ে শিশুদের লড়াই থেকে তিনজনের যাবজ্জীবন… ৪০ বছর পরে কমল শাস্তি

এবছর শ্রাবণী মেলায় তারকেশ্বরে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৯.৩৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে টিকিট বিক্রিতে আয়ও বেড়েছে ১০৭.৭৭%। যাত্রী সংখ্যার এই বৃদ্ধিতে আশার আলো দেখছে রেল। সেই যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিল রেল।

দর্শনার্থীরা যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন, সেই জন্য রেলের তরফ থেকে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে তারকেশ্বর স্টেশনে। অতিরিক্ত ইউটিএস কাউন্টার খোলা হয়েছে। ভিড়ের সময়ে আরপিএফ এবং কমার্শিয়াল ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে ও নামতে সহায়তা করছেন, সেই সঙ্গে স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছেন। অতিরিক্ত টিকিট চেকিং স্টাফ, আরপিএফ এবং সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবীদের যাত্রীসহায়তায় নিযুক্ত করা হয়েছে।  মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরী রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশে বন্ধ পেট্রাপোলে যাত্রী পরিষেবা! রুটি-রুজিতে টান কুলিদের

এছাড়াও, এবছরে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল মোবাইল ইউটিএস চালু।  এই মোবাইল ইউটিএসের মাধ্যমে রেলের বুকিং কর্মীরা চলতে ফিরতেই প্লাটফর্মে যাত্রীদের অসংরক্ষিত টিকিট ইস্যু করে দিচ্ছেন যাতে তাদের কষ্ট করে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে না হয়।

Sucess Story Of Swimmer: বর্ষার উত্তাল গঙ্গা, দুই হাত বাঁধা! তারমধ্যেই সাঁতার, তারপর যা করলে হাওড়ার তরুণ

হাওড়া: দুই হাত বেঁধে হুগলি নদীতে সাঁতার কেটে রেকর্ড গড়লেন মুকেশ! দুই হাত বেঁধে প্রায় ১০০০০ মিটার সকলকে চমকে দিয়েছে সে। তার এই কৃতিত্বে এলাকায় দারুন ভাবে সাড়া পড়েছে। সদা চঞ্চল হুগলি নদীতে সাঁতার কাটা মোটেও সহজ নয়। তার উপর বর্ষায় উত্তাল এই হুগলি নদীতে সাঁতার কাটতে বেশ কসরত করতে হয় সাঁতারুকে।

সাঁতারের জগতে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা এই ঘটল হাওড়ায়। সেই দিক থেকে দুই হাত বেঁধে সাঁতার আশ্চর্যজনকই বটে। আর এই সাঁতারা দেখতেই নদী পাড়ে ভিড় জমে বহু মানুষ। দুই হাত বেঁধে সাঁতার, একটানা প্রায় দুই ঘন্টা সাঁতার। শুনতে অবাক মনে হলেও, এই অসাধ্য সাধন করেছেন হাওড়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুকেশ গুপ্তা। এই কৃতিত্বের যুবকের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নথিভুক্ত হয়েছে।

—- Polls module would be displayed here —-

আরও পড়ুন – What is That: আকাশ থেকে নাকি রুপো ঝরে পড়ছে! কোথায় জানেন, কাঁড়িকাঁড়ি রুপো কুড়োতে হুড়োহুড়ি

সংস্থার পরিদর্শক এক কর্তা জানিয়েছেন, মুকেশই ভারতে প্রথম ব্যক্তি যিনি এত অল্প সময়ে দুই হাত বেঁধে সাঁতার কেটে রেকর্ড করেছেন। মধ্য হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে সাঁতার কাটা শেষ করার পরে, মুকেশকে একটি প্রশংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলরও।

এদিন সকাল ৬.৫৫ মিনিটে বালির জগন্নাথ ঘাটে নদীতে প্রবেশ করেন মুকেশ। তার দুই হাত বাঁধা ছিল। ১০ হাজার মিটার সাঁতার শেষ করে তিনি রামকৃষ্ণপুর ঘাটে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান প্রাক্তনকাউন্সিলর। এ প্রসঙ্গে মুকেশ বলেন, যে তিনি সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেভাবে কোনও সাড়া মেলেনি বলেই জানিয়েছেন মুকেশ। ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাবেন। প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্রী রাই বলেন, আর্থিক সংকটের পর মুকেশ আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Rakesh Maity

Howrah News: নদীকে আঁকড়েই জীবন জীবিকা! এভাবেই দিন চলে শ্যামপুরের মানুষের

হাওড়া: নদীর সঙ্গে ওদের সম্পর্ক নিবিড়, বর্ষায় নদী জলে পুষ্ট হলে আর পাঁচটা মানুষ কাছে যেতে ভয় পেলেও সে সময় নদীকে আরও আঁকড়ে ধরে ওরা। নদী ওদের মা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান যোগান দেয় নদী। দিন কিবা রাত। রোদ ঝড় বৃষ্টিতে নদীর উপর ভর করেই চলে বুদ্ধদেব ঝোড়োদের সংসার। নদীর বুকে মীন ধরে দিন গুজরান গ্রামের কয়েকশ পুরুষ-মহিলা। ভরা বর্ষা আর শ্রাবণের ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দামাল রূপনারায়ণের সঙ্গে লড়াই করে দিনান্তের আহার জুগিয়ে চলেছে হাওড়ার শ্যামপুরের গোপীনাথপুর, আন্টিলাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েকশো মানুষ।

আরও পড়ুন: ১৯৬ দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা! নেপালি তরুণের সঙ্গী সাইকেল আর তাঁবু, পৌঁছলেন হাওড়ায়

প্রতিদিন কাক ভোরে উঠে যা নিয়ে বের হওয়া। রহস্যময় রূপনারায়ণ নদের পাড় ধরে মীন ধরা। নদের পাড় বরাবর দুই -তিন কিঃমিঃ যাতায়াত করে ৩-৪ ঘন্টা চিংড়ির মীন ধরে আবার ঘরে ফেরে। আবারও বিকেল থেকে শুরু করে রাত্রি ৮ পর্যন্ত একই ভাবে ধরে মীন। মীন কিনতে গ্রামে পাইকার আসে রাতের দিকে। আমদানি কম হলে দাম একটু বেশি হয়, তখন এক টাকা পিস। আবার বেশী ধরা হলে ২৫ পয়সা পিস। কোনও কোনও দিন আবার জালে মীন পড়েই না। সে দিন এক বেলার খাবার দু’বেলা ভাগ করে খেতে হয় তাদের। সংসার চালাতে পরিবারের স্বামী,স্ত্রী উভয়কে হাতে নিতে হয়েছে মীন ধরার জাল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরিবারের পুরুষ মহিলা মিলে সর্ব সাকুল্যে ৩০০ – ৪০০ টাকা আয়। যা দিয়ে এই চড়া দ্রব্যমূল্যের এই সময়ে দিন চালানো বড় দায়। কোনও মতে দিন এনে দিন খাওয়া। তবু মীন ধরে দিন চলে যায় হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের কয়েকশো মানুষের।

রাকেশ মাইতি