Category Archives: নদিয়া

Higher Secondary Topper 2024: রসায়নে ভয় জয় করে কুশল উচ্চ মাধ্যমিকে নবম! রইল কৃতীর সাফল্যের রহস্য

মৈনাক দেবনাথ, তেহট্ট: মামার সাজেশনেই কেমিস্ট্রিতে বাজিমাত! স্কুলের পরীক্ষায় রসায়নবিজ্ঞানে ৪০ পাওয়া ছাত্রই আজ উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায়। এ বছর নদিয়ার তেহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের কুশল ঘোষ জেলায় প্রথম এবং রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ এবং সর্বমোট ৯৭.৬ শতাংশ। এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও বেশিরভাগ বিষয়তেই তিনি পেয়েছিলেন ৯০ এর উপরে নম্বর। ছোটবেলা থেকেই টিভিতে খেলাধুলো কিংবা সিনেমা খুব একটা বেশি দেখা হয়নি কুশলের। তবে খেলাধুলো করতে তাঁর ভাল লাগত।

দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঁচটি টিউশন পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত বিদ্যালয় উপস্থিত থাকত সে। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং টিউশনের শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য বলে জানান তিনি। বিশেষ করে  ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর মামাকে। যিনি নিয়মিত তাঁকে বাড়িতে পড়াশোনা করতে সাহায্য করতেন।

তার প্রিয় বিষয় জীবন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান। রসায়ন বিজ্ঞানের প্রতি কিছুটা ভয় থাকলেও পরীক্ষার আগে মামার দেওয়া সাজেশন পড়েই বাজিমাত করেন তিনি! জানান, মামার দেওয়া প্রত্যেকটি সাজেশন পেয়ে পরীক্ষায় যথেষ্ট ফলাফল এসেছে তাঁর। ফলাফল ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ার তাঁর বাড়িতে, পাড়ায় এবং বিদ্যালয়ে। প্রত্যেকেই এসে অভ্যর্থনা জানিয়ে যাচ্ছে তাকে। তাঁর ইচ্ছে ভবিষ্যতে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে একজন সফল ডাক্তার হওয়ার।

আরও পড়ুন : বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, কলাবিভাগে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম ভাঙা টিনের ঘরের মেধাবী

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিনি জানান, সেল্ফ স্টাডির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং শিক্ষকেরা যা পড়াচ্ছেন প্রত্যেকটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া জরুরি। কোনও কিছু বাদ যাওয়া যাবে না। তার কারণ উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসটি খুবই বড়। এছাড়াও তিনি জানান ‘‘আমার শিক্ষক বলতেন স্টাডি আর রিভিশনের রেশিও হবে ১:৩। আর আমি সেই রেশিওতেই পড়াশোনা করতাম।’‘

কুশলের সাফল্যে তাঁর পরিচিত মহলে এখন উচ্ছ্বাসের রেশ।

Offbeat News: সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সব নিয়ম মেনে মাথা মুড়িয়ে বাবার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন মেয়ের

মৈনাক দেবনাথ, নদিয়া: সমস্ত সামাজিক বাধা পেরিয়ে মাথা কামিয়ে বাবার অন্ত্যেষ্টির কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নিবেদিতা ঘোষ দাস। শান্তিপুর শরৎকুমারী স্কুল লেলিন সরণির বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সি নারায়ণচন্দ্র ঘোষের চার মাস আগে হৃদযন্ত্রের গোলযোগ হয়। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে উঠেছিল যে একাধিক চিকিৎসকদের দেখিয়েও কোনও ফল হয়নি। প্রত্যেকেই জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন বড়জোর মাস কয়েক আয়ু আছে তাঁর।

স্বাভাবিকভাবেই এই খবর শুনে পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও বাবার কিছু শেষ ইচ্ছের কারণে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তাঁর ছোট মেয়ে।পরিবার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণবাবু অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসকেরা সময় বেঁধে দেওয়ার পরে তিনি তাঁর মেয়েকে বলে গিয়েছিলেন মৃত্যুর পরের সম্পূর্ণ ক্রিয়াকর্ম তার মেয়েই যেন করেন। এছাড়াও তিনি তার কর্নিয়াগুলি দান করে গিয়েছিলেন যাতে তাঁর কর্নিয়ার জোরে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান অন্য কোনও দৃষ্টিহীন মানুষ।

এরপর নারায়ণবাবুর মৃত্যুর পরে তাঁর ছোট মেয়ে নিবেদিতা বাবার সৎকার থেকে শুরু করে পুত্রসন্তানদের মতো একইভাবে চুল বিসর্জন দিয়ে সব নিয়ম অনুসরণ করে বাবার সমস্ত পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বহুদিনের আর একটি ইচ্ছেও একইসঙ্গে পূরণ হল তাঁর। চুল কামানোর পরে সেই চুল ক্যানসার আক্রান্ত রোগীকে দান করেন তিনি।

আরও পড়ুন : আরাধ্য দেবতার আসনে বিশ্বকবির বিগ্রহ, এই মন্দিরে পূজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যদিও সামাজিকভাবে বাবার মৃত্যুর পরে কন্যাসন্তানদের এভাবে পারলৌকিক কাজ করতে সচরাচর দেখা যায় না, প্রথা ভেঙে এই ধরনের ব্যতিক্রমী কাজ করার জন্য কোন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে নিবেদিতা জানান, “এটা আমার বাবা বলে গিয়েছিলেন আমি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছি। কন্যাসন্তানই আমার মুখাগ্নি করবে। আমার বাবা আমাকেই বলে গিয়েছিলেন। দিদি এসেছিলেন। দিদিও তাঁর সাধ্যমতো কাজ করে গিয়েছেন। পরিবার-সহ আত্মীয়স্বজনেরাও উচ্ছ্বসিত এই ছকভাঙা কাজে।

একজন পুত্রসন্তান যা যা করেন, আমি মেয়ে  হয়ে আমার বাবার জন্য সেই কাজগুলিই করেছি”। প্রথাগত রীতি ভুলে ব্যতিক্রমী কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তার পরিবার-সহ আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকেও। তাঁরা প্রত্যেকেই জানাচ্ছেন প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত ইচ্ছে থাকে। নিজের বাবার জন্য এই কাজ করেছেন। তার জন্য খুশি সকলেই।

Accident: সাত সকালে জাতীয় সড়কে ভয়ঙ্কর ঘটনা! সামান্য টোটো নদিয়ায় এ কী করল! শিউরে ওঠা কাণ্ড

নদিয়া: জাতীয় সড়কের উপর পরপর তিনটি গাড়িতে আগুন। সাতসকালে পরপর তিনটি গাড়িতে আগুন লাগার কারণে ব্যাপক আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে দমকল এবং পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বাবলা ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের।

জানা গিয়েছে, বাবলা ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের অদ্বৈত পাঠ সংলগ্ন এলাকায় সার বোঝাই একটি পাঞ্জাব লরি দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ একটি টোটো এসে ওই পঞ্জাব লরিতে ধাক্কা মারতেই আগুন লেগে যায় টোটোটিতে। সেই আগুন আচমকা দাঁড়িয়ে থাকা সার বোঝাই লরিতে লেগে যায়। ঠিক তখনই পাশ দিয়ে যাচ্ছিল একটি চিপস এবং পাপড় বোঝাই গাড়ি। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেই গাড়িটিতেও আগুন লেগে যায়। নিমেষের মধ্যে তিনটি গাড়িতেই আগুন দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম অবস্থায় টোটো চালককে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ দমকা হাওয়ায় তোলপাড়, আজও উত্তর-দক্ষিণের জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টি, কবে থেকে বাড়বে গরম? জানুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁড়িয়ে থাকা সার বোঝাই গাড়ির চালক এবং খালাসী তখন চা খাওয়ার জন্য রাস্তায় নেমেছিল। অন্যদিকে, চিপস এবং পাপড় বোঝাই গাড়ির চালক এবং খালাসি গাড়িতে আগুন লাগা দেখে নেমে পালিয়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আছে শান্তিপুর থানার পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে দমকলের একটি ইঞ্জিন।

এরপর ঘটনাস্থলে আসে আরও একটি ইঞ্জিন। সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত গাড়িতে আগুন জ্বলছিল। অন্যদিকে, আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে নিরন্তর দমকলকর্মীরা। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, টোটো গাড়ির ব্যাটারি থেকেই এই আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে কী কারণে হঠাৎ আগুন লাগল তা জানতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

Mainak Debnath

Mango: এ বছর কি আর পাতে পড়বে না সকলের প্রিয় আম? ঘটে গেছে ভয়াবহ ঘটনা! কত দাম হবে এবার?

নদিয়া: বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় ফল আম, আমকে ফলের রাজাও বলা হয়। বাংলায় বিভিন্ন প্রজাতির আম পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন জেলায়। মালদহ জেলার পাশাপাশি নদিয়া জেলার শান্তিপুর, কৃষ্ণগঞ্জ, আমঘাটা ইত্যাদি এলাকাতেও একাধিক আমবাগান রয়েছে যেখান থেকে জনপ্রিয় হিমসাগর আম রফতানি করা হয় রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে।

তবে এ বছরের প্রথম দিকেই আমের ফলন খুব বেশি গাছে দেখা যায়নি। গত বছরের পরিসংখ্যানে তুলনায় এ বছর আমের ফলন অনেকটাই কম হবে বলে জানিয়েছিলেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। এ প্রধান কারণ হিসেবে কৃষি বিজ্ঞানীরা জানান, অনেক সময় দেখা যায় এক-দু’বছর ফলন দেওয়ার পরে পরবর্তী বছরে বিশ্রাম নেয়। অর্থাৎ সেই গাছে কোনও নতুন পাতা অথবা মুকুল আসে না।

আরও পড়ুনঃ দিঘা-মন্দারমনিতে চরম উত্তাল সমুদ্র, রাজ্যে আর কতদিন চলবে ঝড়বৃষ্টি? কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি? জানিয়ে দিল আলিপুর

এ বছরটা বেশিরভাগ গাছেরই বিশ্রামের বছর। তার উপর যে কিছু সংখ্যক গাছে মুকুল ধরেছিল তীব্র দাবদাহে এবং বৃষ্টিপাতের অভাবে সেই সমস্ত মুকুলের বেশিরভাগই রোদে পুড়ে গিয়েছে কিংবা মুকুল থেকে আমের কুড়ি হওয়ার পরে তা আর বাড়েনি। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষীরা।

নদিয়ার শান্তিপুর, কৃষ্ণগঞ্জ, আমঘাটা বিভিন্ন এলাকার আম চাষিরা আমাদেরকে জানান, প্রত্যেক বছরের মত এ বছরেও তারা লক্ষাধিকটাকা খরচ করে আম বাগানের বায়না নিয়েছেন। এমনিতেই এ বছর আমের ফলন কম তার উপর পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাতের অভাব ও সূর্যের প্রখর দাবদাহের কারণে আমের কুড়ি কিংবা মুকুল সমস্ত পুড়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই ব্যাপক হারে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তাদের। আর মাস খানেক পরেই থাকবে জামাইষষ্ঠীর বাজার, সেই সময় বাঙালির খাওয়ার পর শেষ পাতে স্বাভাবিক নিয়মেই আমের দেখা মেলে। তবে এ বছর চাহিদা অনুযায়ী যোগান না থাকায় আমের দাম তুলনামূলক বৃদ্ধি পেতে পারে বলে এমনটাই মনে করছেন আড়ৎদারেরাও।

Mainak Debnath

Nadia News: শুধু আইপিএল নয়, নিলামে খেলোয়াড় কেনাবেচা হয় এখানেও!

নদিয়া: চলছে আইপিএল, স্ব শরীরে মাঠে না যাওয়া যুবসমাজের কাছে অ্যান্ড্রয়েড এর মধ্য দিয়ে নেশায় পরিণত হয়েছে । রয়েছে এই সংক্রান্ত একাধিক অ্যাপস যাতে টাকা লাগিয়ে সর্বস্বান্ত হবারও নিদর্শন কম নেই । তবে সেসব বিতর্কের বিষয়, মফস্বল এলাকায় এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ক্লাব আয়োজন করে থাকেন সকলকে মাঝেমুখি করানোর জন্য এবং প্লেয়ারদের কিছুটা সম্মান বৃদ্ধি এবং পারিশ্রমিক তাদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে। তবে ক্রিকেটে ইদানিং এই ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেলেও ফুটবলে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় না।কিন্তু নদিয়ার শান্তিপুর ঢাকা পাড়া নেতাজী সংঘের মাঠে শুরু হল ডিএসএল অর্থাৎ ঢাকা পাড়া সুপার লিগ।

আরও পড়ুন: মনের জোরই সব, ক্যানসারে বাদ পড়েছে ডানহাত! বাঁ-হাতে লিখেই মাধ্যমিকে বাজিমাত শুভজিতের

প্রতি মঙ্গলবার এবং রবিবার দুটি করে খেলা হবে বলে জানা গেছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন নতুন প্রজন্মকে মুঠোফোনের থেকে বের করে আনতে ও ফুটবল খেলাকে কিছুটা ত্বরান্বিত করতে এবার শান্তিপুর ঢাকা পাড়া নেতাজী সংঘের মাঠে আয়োজন করা হলো ঢাকা পাড়া সুপার লিগের। গোটা শান্তিপুরের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব থেকে ৫০ জন ফুটবল খেলোয়াড়কে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ৩০ জন শান্তিপুরের খেলোয়াড় ও বাকি ২০ জন বাইরের।ঢাকা পাড়া সেভেন স্টার, ব্ল্যাক প্যান্থার, ঢাকা পাড়া ইলেভেন, ঢাকা পাড়া রেঞ্জার, থাকা পাড়া এক্স আই এই পাঁচটি ফ্রাঞ্চাইজি মিলে সেই সমস্ত ফুটবল খেলোয়াড়দের পয়েন্টের মাধ্যমে নিলামে কিনেছেন।কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫০০ পয়েন্ট জমা রেখে তবেই এক একটি খেলোয়াড়কে বাছাইয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন ফ্রাঞ্চাইজি গুলি। দেড় হাজার পয়েন্টের ১০ টি প্লেয়ার কেনা যাবে সেক্ষেত্রে ৪ টি প্লেয়ার বাইরের, এবং ৬ টি প্লেয়ার শান্তিপুরের নিজস্ব ক্লাবের হতে হবে।

আরও পড়ুন: বাবার জুতোয় পা গলালেন মেয়ে, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশায় শ্রদ্ধা ভক্তভানু ও অভিনেতা কন্যার

প্রত্যেক খেলায় থাকবে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার। এছাড়াও সেরা গোলকিপার সেরা ডিফেন্স ইত্যাদি পুরস্কার থাকবে ফাইনালে রয়েছে টাকার পুরস্কারও। রেজিস্ট্রেশন ফর্ম এর মাধ্যমে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই নিলামে বসার করেছিলেন আবেদন।আপাতত ঢাকা পাড়া সুপার লিগ নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে সকল ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। অন্যদিকে ফুটবল প্লেয়াররাও খুশি কারণ তারা পারিশ্রমিক কিংবা সাম্মানিকভাবে কিছুই পেতেন না এযাবৎকালের ব্যবস্থার ফলে সরাসরি ফ্রাঞ্চাইজির দেওয়া অর্থ কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন নিজেদের খেলার মূল্য ভিত্তিক মূল্যায়ন তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারছেন তারা। তাই সম্মানিত হয়ে খেলার প্রতি আরও দায়বদ্ধতা বেড়েছে বলেই তারা মনে করছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Akshay Tritiya : অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে বাড়ির দরজায় এই কাজটি করে রাখুন, ফলাফল পাবেন হাতেনাতে

১০ মে শুক্রবার দেশ জুড়ে পালিত হবে অক্ষয় তৃতীয়া। এবং এই দিনে গজকিশোরী যোগ এবং ধনযোগ তৈরি হওয়ার ফলে যে কোনও কাজে সঠিক টোটকা জানলে সেই কাজের ব্যাপক গুরুত্ব লাভ করা যায়।
১০ মে শুক্রবার দেশ জুড়ে পালিত হবে অক্ষয় তৃতীয়া। এবং এই দিনে গজকিশোরী যোগ এবং ধনযোগ তৈরি হওয়ার ফলে যে কোনও কাজে সঠিক টোটকা জানলে সেই কাজের ব্যাপক গুরুত্ব লাভ করা যায়।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই বাড়ির আর্থিক উন্নয়নের জন্য এছাড়াও বাড়িতে যদি বাস্তবতা সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রেও এই কাজটি করলে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষী রাহুল দে।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই বাড়ির আর্থিক উন্নয়নের জন্য এছাড়াও বাড়িতে যদি বাস্তবতা সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রেও এই কাজটি করলে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষী রাহুল দে।
বাড়িতে যদি বাস্তবত সমস্যা থাকে এবং বাড়ির আর্থিক উন্নয়ন একদমই থমকে যায় অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে এই কাজটি করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে এমনটাই জানাচ্ছেন জ্যোতিষী রাহুল দে।
বাড়িতে যদি বাস্তবত সমস্যা থাকে এবং বাড়ির আর্থিক উন্নয়ন একদমই থমকে যায় অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে এই কাজটি করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে এমনটাই জানাচ্ছেন জ্যোতিষী রাহুল দে।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকালে ২১ টি আম পাতা নিয়ে সেটি দড়ির মধ্যে একটি তোরণ বানাতে হবে। এরপর সেটিকে বাড়ির যে মেইন দরজাটি রয়েছে সেই দরজার উপরে টাঙিয়ে দিতে হবে।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকালে ২১ টি আম পাতা নিয়ে সেটি দড়ির মধ্যে একটি তোরণ বানাতে হবে। এরপর সেটিকে বাড়ির যে মেইন দরজাটি রয়েছে সেই দরজার উপরে টাঙিয়ে দিতে হবে।
এর ফলে তিনি জানাচ্ছেন সারা বছর গোটা বাড়ি জুড়ে একটি ইতিবাচক শক্তি কাজ করবে। এবং আর্থিক দিক থেকে উন্নতি হবে। এছাড়াও বাস্তবতা যদি কোনও সমস্যা থাকে সেটিও কেটে যাবে।
এর ফলে তিনি জানাচ্ছেন সারা বছর গোটা বাড়ি জুড়ে একটি ইতিবাচক শক্তি কাজ করবে। এবং আর্থিক দিক থেকে উন্নতি হবে। এছাড়াও বাস্তবতা যদি কোনও সমস্যা থাকে সেটিও কেটে যাবে।
সামনে অক্ষয় তৃতীয়া, আর এই দিনে একাধিক শুভ কাজের উদ্বোধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুজো পাঠ, যাত্রা, গমন ইত্যাদির সূচনা করে থাকি আমরা।
সামনে অক্ষয় তৃতীয়া, আর এই দিনে একাধিক শুভ কাজের উদ্বোধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুজো পাঠ, যাত্রা, গমন ইত্যাদির সূচনা করে থাকি আমরা।

Madhyamik Result 2024: মনের জোরই সব, ক্যানসারে বাদ পড়েছে ডানহাত! বাঁ-হাতে লিখেই মাধ্যমিকে বাজিমাত শুভজিতের

শান্তিপুর: আটটি জটিল অস্ত্রোপচারে ডানহাত বাদ গেলেও মনের জোরে মাধ্যমিক দিয়ে সফল ভাবে উত্তীর্ণ শান্তিপুরের শুভজিৎ। শান্তিপুর বাগাছরা স্কুল থেকে ১৮৩ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে অভিজিৎ। ১০ বছর বয়সে সাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তার ডান হাত।

তারপর কালের নিয়মে দিনের পর দিন অসুস্থ থাকার পর, হঠাৎই হাতে ক্যানসার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা জানান, তার হাত কেটে বাদ দিতে হবে। তারপরেই বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সমস্ত চিকিৎসা করেও, আর্থিক ভাবে সচ্ছল না থাকার কারণে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। তারপর কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাদ যায় ডান হাত।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন?

ঘটনায় রীতিমতো মনোবল ভেঙে পড়ে ২০২৪-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভজিৎ বিশ্বাসের। শুভজিতের বাবা কলকাতায় দিনমজুরির কাজ করে। মা লোকের বাড়িতে কাজ করে। কোনও রকমে সংসার চালান তাই আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকার কারণে মাসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে শুভজিৎ।

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

তবে দীর্ঘ প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে ২০২৪-এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ায় খুশি শুভজিৎ-সহ তার পরিবার। যদিও শুভজিৎ জানায়, যখন হাত কাটা যায় তারপর মনোবল ভেঙে পড়ে। কীভাবে পরীক্ষা দেবে। তারপর বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অদম্য জেদ চলে আসে শুভজিতের মাথায়। তারপর মনের জোরে বা হাত দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শুভজিৎ।

এরপর দেড় মাসের প্রবল অনুশীলনে বাঁ-হাতে লেখা প্র্যাকটিস করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর অঞ্চলের শুভজিৎ বিশ্বাস। তবে শুভজিৎ জানায়, সে ভেবেছিল পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না। তার কারণ জটিল অস্ত্রোপচার তারপর হাত বাদ যাওয়া এবং হাতে সময় কম থাকার কারণে পড়াশোনা একদম হয়নি। পরীক্ষার প্রশ্ন হয়েছিল অনেকটা কঠিন তবুও যেটুকু পড়াশোনা করেছিল তাতে করে সে ভেবেছিল তার পাশ করা খুব কঠিন।

কিন্তু বাড়িতে পরিবারের সহযোগিতা এবং তার মনের অদম্য জেদ তাকে সফলতার পথে অগ্রসর করেছে বলেই দাবি করে শুভজিৎ। তবে রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন শুভজিতের পরিবারের যদি রাজ্য সরকার তার পড়াশোনার জন্য এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে যদি আর্থিক কিংবা কোনও রকম সাহায্য করে তাহলে খুবই উপকৃত হয় শুভজিৎ এবং তার পরিবার।

Mainak Debnath

Nadia News: সোমবারেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির! দুশ্চিন্তার কালো মেঘ চাষিদের কপালে

কৃষ্ণগঞ্জ: চাষাবাদ করা দুর্বিসহ হয়ে উঠছে তীব্র দাবদাহে।রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে জেলা জুড়ে চলছে প্রবল খড়া। বৃষ্টির দেখা নেই। জমিতে চাষের ফসল পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন জলস্তর ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে তেমনি অনাবৃষ্টিতে চাষীদের ফসল প্রায় ধ্বংসের মুখে। জেলা জুড়ে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও মাঠে থেমে নেই চাষিদের কাজ। গাছ রোপন থেকে শুরু করে জমির পরিচর্যা সবই চলছে এই দাবদাহের মধ্যে।যদিও বলা হয়েছিল আবহাওয়া দফতর সূত্রে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি নামবে। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও নেমেছে। যার ফলে স্বস্তি মিলেছে বঙ্গবাসীর।

আরও পড়ুন: শান্তিপুরে বোনা কাপড়েই তৈরি হচ্ছে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম, ফিরছে সংসারের হাল

তবে পারদ নামলেও বৃষ্টির আকাল এখনও রয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে চাষিদের। ফসল বাঁচানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা মাঠ ঘাটের চাষিদের। এটাই যে তাদের প্রধান রুটি রুজি। আর বৃষ্টি না হলে একদিকে যেমন ফসলের ক্ষতি, অন্যদিকে ঋণ ধার করে চাষাবাদ করা সেগুলি একেবারে জলে চলে যাবে।। প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হবে চাষিরা। আর এমনই দুশ্চিন্তার ছবি দেখা গেল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায়। সেখানকার চাষিদের বক্তব্য একটাই বৃষ্টি চাই। না হলে পরিবার নিয়ে পথে বসে যেতে হবে। এমন খরায় কোনও ফসল টেকানো যাচ্ছে না। তাই ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা বৃষ্টি চাই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Bhanu Bandyopadhyay: বাবার জুতোয় পা গলালেন মেয়ে, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশায় শ্রদ্ধা ভক্তভানু ও অভিনেতা কন্যার

এবারের বিশ্ব হাসি দিবসে প্রখ্যাত অভিনেতা এবং হাস্য কৌতুকে কিংবদন্তী ভানু বন্দোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভক্তভানু অনুপম সরকারের নতুন সংলাপে কৌতুক নক্সা
এবারের বিশ্ব হাসি দিবসে প্রখ্যাত অভিনেতা এবং হাস্য কৌতুকে কিংবদন্তী ভানু বন্দোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভক্তভানু অনুপম সরকারের নতুন সংলাপে কৌতুক নক্সা “কর্তা বনাম গিন্নীর মধুর ঝগড়া” ৷
এখানেই তাদের সার্থকতা এবং কিংবদন্তী অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানবার আন্তরিক প্রচেষ্টা।
এখানেই তাদের সার্থকতা এবং কিংবদন্তী অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানবার আন্তরিক প্রচেষ্টা।
অভিনয় করেছেন গিন্নীর ভূমিকায় শ্রদ্ধেয় অভিনেতা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের সুযোগ্য কন্যা বাসবী ঘটক বন্দোপাধ্যায়, কর্তার ভূমিকায় অভিনেতা ভক্তভানু অনুপম সরকার, ভাষ্যে রেডিও সঞ্চালক খাস কৌশিক, সংলাপ এবং সম্পাদনায় অনুপম নিজেই ৷
অভিনয় করেছেন গিন্নীর ভূমিকায় শ্রদ্ধেয় অভিনেতা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের সুযোগ্য কন্যা বাসবী ঘটক বন্দোপাধ্যায়, কর্তার ভূমিকায় অভিনেতা ভক্তভানু অনুপম সরকার, ভাষ্যে রেডিও সঞ্চালক খাস কৌশিক, সংলাপ এবং সম্পাদনায় অনুপম নিজেই ৷
অন্যদিকে অভিনেত্রী বাসবী বন্দোপাধ্যায় জানান যে, এতদিন বাদে তিনি আবার কৌতুক নক্সা নিয়ে ফিরছেন ভক্তভানু অনুপম সরকারের জন্যই, বাবার কণ্ঠস্বর অনুপমের অনুকরণ কণ্ঠে খুঁজে পান, যে উপলব্ধি অত্যন্ত ভালোলাগা এবং আবেগের ৷
অন্যদিকে অভিনেত্রী বাসবী বন্দোপাধ্যায় জানান যে, এতদিন বাদে তিনি আবার কৌতুক নক্সা নিয়ে ফিরছেন ভক্তভানু অনুপম সরকারের জন্যই, বাবার কণ্ঠস্বর অনুপমের অনুকরণ কণ্ঠে খুঁজে পান, যে উপলব্ধি অত্যন্ত ভাললাগা এবং আবেগের ৷ “
 কর্তা বনাম গিন্নীর মধুর ঝগড়া
কর্তা বনাম গিন্নীর মধুর ঝগড়া” শীর্ষক কৌতুক নক্সাটি অবানিজ্যিক ভাবেই মুক্তি পাবে ৫ই মে ‘সমর্পণ’ ইউটিউব চ্যানেলে ৷ একই সঙ্গে ওই দিনই শোনা যাবে বেতারে ৷
অনুপম একজন রেডিও, টেলিভিশন এবং মঞ্চ অভিনেতা। অনুপম তার ব্যতিক্রমী কাজের মধ্যদিয়ে তিন বার তিনটি ভিন্ন বিষয়ে ''গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস'' অর্জন করেছেন।
অনুপম একজন রেডিও, টেলিভিশন এবং মঞ্চ অভিনেতা। অনুপম তার ব্যতিক্রমী কাজের মধ্যদিয়ে তিন বার তিনটি ভিন্ন বিষয়ে ”গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস” অর্জন করেছেন।
অনুপম বলেন, বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগ শ্রোতা এবং দর্শকের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। নেট দুনিয়াতে যেসব হাস্য রসাত্মক কন্টেন্ট আসছে, সেগুলির বেশিরভাগই দ্বের্থক। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না, সাবেকি কৌতুক প্রিয় শ্রোতাদের কাছে
অনুপম বলেন, বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগ শ্রোতা এবং দর্শকের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। নেট দুনিয়াতে যেসব হাস্য রসাত্মক কন্টেন্ট আসছে, সেগুলির বেশিরভাগই দ্বের্থক। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না, সাবেকি কৌতুক প্রিয় শ্রোতাদের কাছে “কর্তা বনাম গিন্নীর মধুর ঝগড়া” কৌতুক নকশা টি ফিরিয়ে দেবে এক নস্টালজিয়া।

Bangla Video: শান্তিপুরে বোনা কাপড়েই তৈরি হচ্ছে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম, ফিরছে সংসারের হাল

নদিয়া: সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম তৈরি করে হাল ফিরছে সংসারের। স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন মহিলারা। শান্তিপুরের বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাক তৈরির বরাত পেয়েছে। এর হাত ধরেই তৃণমূল স্তরের অর্থনীতিতে এক বড় বদল আসতে চলেছে আগামী দিনে।

নদিয়া জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাক তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগে এই পোশাকের জন্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যগুলির উপর নির্ভর করতে হত। কিন্তু এখন চিত্রটা বদলে গিয়েছে। ২০২১ সালে রাজ্যের গৃহীত নীতির ভিত্তিতে বসেছে অত্যাধুনিক তাঁত মেশিন। সেখানে উৎপাদিত কাপড়ে পড়ুয়াদের স্কুল ইউনিফর্ম তৈরি করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। ফলে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: গরম বাড়তেই বেড়েছে বিড়ির চাহিদা, যোগান দিয়ে উঠতে পারছেন না শ্রমিকরা

সরকারি স্কুলের ছেলেমেয়েরা এখন বিনামূল্যে ইউনিফর্ম পেয়ে থাকে। গোটা বিষয়টি ঘটেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও উদ্যোগে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানিয়েছেন শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ। নদিয়ার ২২২ টি স্কুলের জন্য শান্তিপুরের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে প্রথমে ২৬ হাজার ইউনিফর্ম তৈরির বরাত দেওয়া হয়। তারপর আরও ২৬ হাজার সেটের অর্ডার আসে। সর্বমোট ৫২ হাজার পড়ুয়ার ইউনিফর্ম তৈরি করছেন এখানকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। আগে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা মাপ নিয়ে পোশাক তৈরি করা হচ্ছিল। তবে বর্তমানে এই পদ্ধতিতে বদল এনে পড়ুয়াদের বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী স্কুল ইউনিফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। তাতে অনেকটাই সময় কম লাগছে।

মৈনাক দেবনাথ