Category Archives: দক্ষিণ ২৪ পরগনা

Lok Sabha Election 2024: আগে এসেছিলেন শুভেন্দু, সভা শুরুর আগে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ‘শুদ্ধ’ করল তৃণমূল

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূল কংগ্রেসের হাইভোল্টেজ সভা। সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে আগেই। সভা শুরুর জন্য অপেক্ষা করছে সকলে। কিন্তু তখনই দেখা গেল গোটা মাঠ জুড়ে গঙ্গা জল ছিটোতে শুরু করেছেন একদল মহিলা! ব্যাপারটা ঠিক কী?

খোঁজ নিয়ে জানা গেল শতাধিক মহিলা গঙ্গাজল নিয়ে আসছেন মাঠে। সভা শুরুর আগে মাঠ ধোওয়া হবে। এরপরই শুরু হবে সভা। এমনই দৃশ্য নজরে এলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুরে। আসলে কৃষ্ণচন্দ্রপুর বিবেক ময়দানে কয়েকদিন আগেই তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সভা করে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর সেই একই মাঠে সভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু সভা শুরুর আগে তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা গঙ্গাজল ছিটিয়ে গোটা জায়গাটিকে ‘পরিশুদ্ধ’ করেন।

আরও পড়ুন: কচি নয়, এখানে লাউ পাকলে তবেই বিক্রি হয়! মেলে বেশি দাম

এই মাঠ শুদ্ধিকরণের জন্য স্থানীয় পাতালগঙ্গা থেকে মেয়েরা জল নিয়ে আসে। লাইনে দিয়ে জল ছড়িয়ে ছড়িয়ে মাঠে আসতে থাকে তারা। এরপর এই মাঠের চারিদিকে জল ছড়ায়। এরপর স্টেজেও জল ছড়ায়। তারপরই শুরু হয় তৃণমূলের সমাবেশ। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়িক লাভলি মৈত্র বলেন, বাংলার যেখানে যেখানে শুভেন্দু অধিকারী যাবেন, সেই মাটি ধুতেই হবে। এই উদ্যোগ বাংলার মায়েদেরই নিতে হবে।

নবাব মল্লিক

Fruit Cultivation: স্বস্তির বৃষ্টিতে আরও মিষ্টি আম-লিচু! শুধু করতে হবে ছোট্ট এই কাজটা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাংলার আকাশে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এখন টানা কদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে অঝোর ধারায় বর্ষণ হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। টানা তাপপ্রবাহের পর এই বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের জীবনে। তবে এই বৃষ্টির উপযোগিতা এখানেই থেমে থাকছে না। স্বস্তির বৃষ্টিতে এবার আরও মিষ্টি হয়ে উঠবে আপনার বাগানের আম, লিচু। শুধু তার জন্য করতে হবে ছোট্ট একটা কাজ।

আম ও লিচু দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় চাষ হয়‌। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় এই দুই রসালো ফলের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। তাছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার লিচু বিশ্ব বিখ্যাত। এখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি রাজ্যের বাইরেও রফতানি হয় লিচু। তবে টানা তাপপ্রবাহ এবারের লিচু চাষ শেষ করে দিতে বসেছিল। তবে দেরিতে হলেও অবশেষে বৃষ্টি শুরু হাওয়ায় ফলন ভাল হ‌ওয়ার পাশাপাশি লিচুর স্বাদও এবার অনেকটা বেশি হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

আরও পড়ুন: চাল-চোরকে ধরিয়ে দিল CCTV ফুটেজ!

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকা, যেমন জয়নগর, কুলতলি, বারুইপুর এই সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে লিচু ও আমের চাষ দেখা যায়। শেষে বৃষ্টির দেখা মেলায় হাসি ফুটেছে এখানকার কৃষকদের মুখে। এই প্রসঙ্গে কৃষি বিশেষজ্ঞের মতামত হল, আম বোটা সহ পাড়তে হবে। পাড়ার পর আম উল্টো করে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। এতে আটা ঝরে যাবে, আমের গায়ে দাগ লাগবে না। আম কার্বাইড দিয়ে পাকানো উচিত নয়। প্রয়োজনে মাত্রা বুঝে ইথিলিন গ্যাস স্পে করে আম পাকানো যেতে পারে। লিচুর জলসোনা রোগ রুখতে লিচু বাগানে বিভিন্ন দিকে নাইলনের নেট ব্যবহার করতে পারলে এতে গরম হাওয়া থেকে ঠেকানো যাবে। আম ও লিচু পাড়ার দু’সপ্তাহ আগে কার্বেন্ডাজিম ও ম্যানকোজেবের দুটিকে একসাথে মিশিয়ে স্প্রে করলে ছত্রাক জনিত রোগ থেকে বাঁচানো যেতে পারে।

সুমন সাহা

Higher Secondary Result 2024: পান বরজে কাজ করে ৯২ শতাংশ নম্বর! আইআইটিতে পড়তে চায় পুষ্পেন্দু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। সেই ফল প্রকাশিত হতেই দেখা গিয়েছে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের এক ছাত্র পুষ্পেন্দু হালদার ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। কিন্তু এই বিপুল সাফল্যের পর চিন্তায় পড়েছে পুষ্পেন্দুর পরিবার। পুষ্পেন্দুর বাবা প্রসেনজিৎ হালদার পানবরজে কাজ করেন। পুষ্পেন্দুও অবসর সময়ে বাবার কাজে সহযোগিতা করেন। এভাবেই কাটছিল সময়। টিউশন পড়ানোর মত টাকা ছিল না পুষ্পেন্দুর পরিবারে। সেজন্য স্কুলের কোচিং নিত পুষ্পেন্দু‌।

আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, বাড়ল পাশের হার, এ বছর পাশ ৯০ শতাংশ পড়ুয়া

উচ্চমাধ্যমিকের ফল বের হতেই দেখা গিয়েছে সে ৫০০ এর মধ্যে পেয়েছে ৪৬০। বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৬, গণিতে ৯৯, রসায়নবিদ্যায় ৮৫, পদার্থবিদ্যায় ৯০। মোট ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। আগামী দিনে তার স্বপ্ন জেই(অ্যাডভান্স) পরীক্ষা দিয়ে আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।
এই বিপুল সাফল্যেল পর রাধাকান্তপুর গ্রামে বইছে খুশির জোয়ার।

এ নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি জানিয়েছেন, “পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে উঠে আসা উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের নাম পুষ্পেন্দু। তার স্বপ্ন পূরণের প্রধান অন্তরায় আর্থিক সমস্যা। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ ছাত্রের পাশে থেকে সাহায্য করে, তাহলে পুষ্পেন্দুর স্বপ্ন সফল হতে পারে। ছেলেটি লাজুক প্রকৃতির। নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসত। কোনরকম প্রাইভেট টিউশন না নিয়েই তার এই ফল। আগামীদিনে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। ওর ইচ্ছা পূরণ হোক। সেটাই এখন চাই আমরা।’

নবাব মল্লিক

Lok Sabha Election 2024: সভা থেকে ফেরার সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত ২০ তৃণমূল সমর্থক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নির্বাচনী সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় আহত হলেন ২০ জন। রায়দিঘির ঘটনা। ইঞ্জিন ভ্যান উলটে ২০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক আহত হন।

মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাপী হালদারের সমর্থনে সভা ছিল। সেই সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তৃণমূল কর্মীর সমর্থকরা। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী বাপী হালদার। সূত্রের খবর, রায়দিঘির মান্নার চকের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, ইঞ্জিনভ্যানটির সামনে একটি বাইক চলে এসেছিল। তাকে বাঁচানোর জন্য ইঞ্জিনভ্যানের চালক সজোরে ব্রেক কষেন। তাতেই ইঞ্জিনভ্যানটি উল্টে যায়।

আরও পড়ুন: বাঘের আক্রমণে নয়, নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অন্য কারণে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীর মৃত্যু

ওই ইঞ্জিনভ্যানের পিছনে পিছনে আসা আরও একটি ভ্যান’ও এরফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর আশেপাশে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। আহতরা সকলেই দিঘিরপাড়ের বকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। আহত ২০ জনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ডায়মন্ডহারবার মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার পর আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান বিধায়ক অলক জলদাতা। গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বাপী হালদার। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বাপী হালদার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

নবাব মল্লিক

Fisherman Death: বাঘের আক্রমণে নয়, নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অন্য কারণে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীর মৃত্যু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের বাঘের পেটে যাওয়াটা কোন‌ও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু এবার আর বাঘের আক্রমণে নয়, মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হল এখানকার এক তরুণ মৎস্যজীবীর। মৃত ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন লস্কর (১৮)।

মর্মান্ত ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত চরাবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমড়োখালি কাছারিপাড়া গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে করে নিয়ে যায়। নিয়মমাফিক ওই মৎস্যজীবীর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: জেলার মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আর শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না

প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, এদিন বাড়ির অদূরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। নদীতে পাতা জাল তুলতে গিয়ে কোন‌ওভাবে জলের টানে ভেসে যান। বেশ কিছুক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর গ্রামের বাকিরা বিষয়টি টের পান। এরপর তাঁরা ছুটে আসেন নদীর ধারে। তারপর নদীতে নেমে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি চলে।

প্রায় ছয় ঘণ্টা পর খোঁজ মেলে সালাউদ্দিনের। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। এত কম বয়সী এক তরুণের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ। পরিজনদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও শোকে ভেঙে পড়েছেন। এদিকে ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সুমন সাহা

Lok Sabha Election 2024: নেতাজিকে প্রণাম করে সুভাষগ্রামে প্রচারে সৃজন

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: সুভাষগ্রামের নাম উঠলেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা মনে পড়ে যায়। এটি হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ভিটে। সুভাষগ্রামের কোদালিয়াতে তাঁর পৈতৃক ভিটে। আর সেই থেকে এলাকার নাম সুভাষগ্রাম হয়ে ওঠে। সেখানেই এবার ভোট প্রচারে গেলেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

সুভাষগ্রামের কোদালিয়ায় নেতাজীর পৈত্রিক ভিটেতে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করে আশেপাশের এলাকায় প্রচার করেন যাদবপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি এদিন সুভাষগ্রাম এলাকার প্রতিটা মানুষের সঙ্গে দেখা করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানায় এবং এদিন তিনি প্রচারের ফাঁকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধানের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: গাছের ডালে বাঁধা হাঁড়িতে রাখা জল মেটাচ্ছে পাখিদের তৃষ্ণা

পরে সৃজন বলেন, প্রচারের পথে তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের বাড়ি পড়লে সেখানে গিয়েও ভোট চাইবেন। তিনি জানান, যাদবপুরের সব ভোটারের কাছে যাচ্ছেন। তাই কে তৃণমূল, কে বিজেপি দেখছেন না। নেতাজীর মুর্তিতে মাল্যদান করে তিনি বলেন, বাংলার এইসব আইকনরা আর‌এস‌এস-এর হাতে পড়ে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি বাংলার এই ঐতিহ্য বজায় রাখার লড়াই’ও লড়ছেন।

সুমন সাহা

West Bengal Higher Secondary Results: মাধ্যমিকের পরে উচ্চ মাধ্যমিকেও জয়জয়কার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের! সেরা দশে ছয় পড়ুয়া

নরেন্দ্রপুর : মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আবারো মেধা তালিকায় জয়জয়কার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। আর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মেধা তালিকায় সাতজনের মধ্যে ৬ জন পরীক্ষার্থী নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। প্রথম দশের মধ্যে সারা রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে সৌম্যদীপ সাহা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫, শতাংশের ৯৯% নম্বর পেয়েছে সে।

দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী উত্তর ২৪ পরগনার এস রোড বরিশাল কলোনি এলাকার বাসিন্দা হলেও সে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই পড়াশোনা করছে এই কৃতি ছাত্র। আর এই খবর পাওয়া মাত্রই তার বাবা মা থেকে পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত খুশি। পরবর্তীতে স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে এগোতে চাই সে। ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে নিলয় চট্টোপাধায় তার প্রাপ্ত নাম্বার ৪৯১, যুগ্মভাবে দুজন নবম স্থান অধিকার করেছে অদ্বিতীয় বন্দোপাধ্যায় ও অর্ক সাহা, এদের দুজনের প্রাপ্ত নাম্বার ৪৮৮, দশম স্থান অধিকার করেছে আবারওদুজন সোহম মুখার্জি ও শুভজিৎ ঘোষ।

এ প্রসঙ্গে ষষ্ঠ স্থান অধিকারী নিলয় চট্টোপাধায়  তিনি জানান খেলাধুলা, মোবাইল ফোন না ঘাঁটা, নিয়মানুবর্তিতা ও পড়াশুনা করা তার এই সাফল্যের চাবিকাঠি । রামকৃষ্ণ মিশনের অবদান অনস্বীকার্য। আগামীদিনে স্ট্যাটিসটিকস নিয়ে পড়াশুনা করার ইচ্ছে আছে বলে জানায় নিলয়। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের। প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে এই স্কুলের ছয় পরীক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: Guru Shukra Asta Effect 2024: আগামী ৬ জুন পর্যন্ত ৩ রাশির হাতে জীবনের সব থেকে বেশি টাকা, বৃহস্পতি-শুক্রের অস্তে মালামাল জাতক-জাতিকারা

আরও পড়ুন: Shani Jayanti 2024: রাত পোহালেই শনি জয়ন্তী! সর্বার্থ সিদ্ধিযোগে বাজিমাত ৩ রাশির, ৩১ বছর পরে বিরাট সাফল্য, রাতারাতি রাজা হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

আর এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও এই স্কুলের প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন ছয় পরীক্ষার্থী । আবাসিক বিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে জানান প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ। পাশাপাশি তাঁর দাবি, স্কুলের ছাত্রদের মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত রাখা হয়। সেটাও সাফল্যের কারণ বলে মনে করেন তিনি।

সুমন সাহা

South 24 Parganas News: ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে মিলবে পাকা বাড়ি, স্টিকার পড়ছে সুন্দরবনে!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লোকসভা নির্বাচনের পর গরীর, দু:স্থ পরিবারের জন্য দেওয়া হবে পাকা বাড়ি। এই নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে স্টিকার মারছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ঘূর্ণিঝড় আমফান ও ইয়াসের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বাসিন্দারা। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর, মথুরাপুর এক নম্বর ও মথুরাপুর দু’নম্বর সহ কুলপি ব্লকের বহু বাসিন্দা এখনও আবাস যোজনার আওতায় পাকা বাড়ি পায়নি।বহু বাসিন্দা আবার বছরের পর বছর আবাস যোজনায় আবেদন জানিয়েও মেলেনি বাড়ি।এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।

আরও পড়ুন:  ধান থেকে আয় হচ্ছে না তেমন, সুন্দরবনে বিকল্প চাষের উদ্যোগ

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ‘বাংলার বাড়ি আমরাই দেব। বাংলার বাড়ি বাংলাই গড়ে দেবে।’এই ঘোষণার পর আশায় বুক বাঁধেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বাসিন্দারা। এবার সেই বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সদস্য উদয় হালদারও জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন। তিনি জানিয়েছেন ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়ে যাবে। আমারা সেজন্য মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই কাজ করছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: বৃষ্টিতে স্বস্তি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ, আতঙ্ক গ্রাস করেছে সুন্দরবনকে! কেন?

বুধবার সকালে কয়েকঘন্টার বৃষ্টিতে ভেসেছে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা‌। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮ মিলিমিটারে।‌ যা স্বাভাবিকের থেকে বেশি।
বুধবার সকালে কয়েকঘন্টার বৃষ্টিতে ভেসেছে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা‌। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮ মিলিমিটারে।‌ যা স্বাভাবিকের থেকে বেশি।
এই বৃষ্টির জেরে জনজীবন ব্যহত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। রাতের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
এই বৃষ্টির জেরে জনজীবন ব্যহত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। রাতের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
দুপুরে বৃষ্টি থামলেও আকাশের মুখ ভার রয়েছে। ঘন কালো মেঘে ছেয়েছে সুন্দরবনের আকাশ।
দুপুরে বৃষ্টি থামলেও আকাশের মুখ ভার রয়েছে। ঘন কালো মেঘে ছেয়েছে সুন্দরবনের আকাশ।
ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার জেরে নদী ও সমুদ্রের জলের স্তর বেড়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে এখানে।
ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার জেরে নদী ও সমুদ্রের জলের স্তর বেড়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে এখানে।
কৃষকদের অনেকের এখনও মাঠে ধান পড়ে রয়েছে। সেই ধান নষ্ট হওয়ায় চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
কৃষকদের অনেকের এখনও মাঠে ধান পড়ে রয়েছে। সেই ধান নষ্ট হওয়ায় চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
আগামী রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়ার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না। সর্বক্ষণ আকাশে কালো মেঘ থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা।
আগামী রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়ার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না। সর্বক্ষণ আকাশে কালো মেঘ থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা।

Calcutta High Court: টেনে নিয়ে গিয়েছিল বাঘ, মৃতদের পরিবারকে চার সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ করে ক্ষতিপূরণ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঘের আক্রমণে মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের। চার সপ্তাহের মধ্যে সুন্দরবনের মৃত দুই মৎস্যজীবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ৫ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী বৈধভাবে মাছ ধরতে গিয়ে বা মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৎস্যজীবীদের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা। কুলতলির বাসিন্দা দুই মৃত মৎস্যজীবীর পরিবার‌ও ক্ষতিপূরণের জন্য বারবার প্রশাসনের কাছে দরবার করে। কিন্তু তা না মেলায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তাঁরা। সেই মামলার শুনানি শেষে রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুই মৃত মৎস্যজীবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: আসানসোলে শত্রুঘ্ন’র প্রচারে চমক

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল কুলতলির কাঁটামারির বাসিন্দা দিলীপ সর্দারের। দিলীপের স্ত্রী শেফালি সর্দার জানান, বন দফতরের বৈধ অনুমতি নিয়েই জঙ্গলে গিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু বন দফতর-সহ সমস্ত সরকারি দফতরে আবেদন নিবেদন করেও ক্ষতিপূরণ মেলেনি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মৈপিঠের বাসিন্দা অমল দণ্ডপাঠকে বাঘে আক্রমণ করেছিল ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দিন দু’য়েক পর ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি তিনি প্রয়াত হন। স্ত্রী তপতীর দাবি, অমলও বৈধ অনুমতিপত্র নিয়েই জঙ্গলে ঢুকেছিলেন। তবু ক্ষতিপূরণ দিতে গড়িমসি করে প্রশাসন।

মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বাঘে আক্রান্ত পরিবারগুলির অধিকার নিয়ে কাজ করছে। এর আগে এপিডিআর-এর উদ্যোগেই কুলতলির বাসিন্দা শান্তিবালা নস্কর স্বামী লখিন্দর নস্করের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে গিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ পান শান্তিবালা। এবারও এপিডিআর-এর উদ্যোগেই গত সপ্তাহে আদালতের দ্বারস্থ হন শেফালি, তপতীরা। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী ছিলেন কৌশিক গুপ্ত এবং শ্রীময়ী মুখোপাধ্যায়। শ্রীময়ী বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে দুই পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রত্যন্ত এলাকার এইসব মানুষজন আগে আদালত পর্যন্ত পৌঁছতে পারতেন না। এখন আসছেন। ফলে বিচারও পাচ্ছেন। এপিডিআর-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল বলেন, নানা অজুহাতে এদের ক্ষতিপূরণ আটকে রাখে প্রশাসন। ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয় পরিবারগুলি। আমরা চাই, কোনও গড়িমসি না করে বাঘের আক্রমণে মৃত ও জখম প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

সুমন সাহা