প্রকৃতিতে যে কালো খাবারগুলি পাওয়া যায়, তার মূলে আছে অ্যান্থোসায়ানিন্স। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সাহায্য করে ওজন কমাতে। প্রাকৃতিকভাবে কালো এই খাবারগুলি বেলি ফ্যাট বা তলপেটের মেদ কমাতেও কার্যকর।
তলপেটের মেদ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য দু’দিকেই ক্ষতিকারক। একদিকে যেমন অসুখের কারণ হতে পারে এই মেদের বোঝা। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসে ঘাটতিরও কারণ হতে পারে এই মেদ। কোন কালো খাবারে মেদমুক্তি, বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল।
কালো বিনস বা ব্ল্যাক বিনসে আছে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। এর ফলে দীর্ঘ ক্ষণ পেটে থাকে। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে।
কালো চালে আছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ইনফ্লেম্যাশন এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কালো চাল।
ব্ল্যাকবেরিতে ক্যালোরি কম, জলীয় পরিমাণ বেশি। এতে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ে। ক্যালরি ইনটেক কম হয়।
বর্তমানে স্থূলতা এখন একটি বিরাট বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত মেদ অনেক রোগকেও ডেকে আনে। তবে ব্যস্ত সময় থেকে কিছুটা সময় হাঁটা বা দৌঁড়ানোর জন্য বের করলে, অনেক রোগ থেকেই মুক্তি পাবেন৷হাঁটা নাকি দৌঁড়ানো কোনটা শরীরের জন্য বেশি ভাল তা সবার আগে জানতে হবে৷ দিল্লির সিকে বিড়লা হাসপাতালের এইচওডি ফিজিওথেরাপি বিভাগের ডা. সুরেন্দর পাল সিং জানিয়েছেন শরীর ভাল রাখতে হাঁটা খুবই ভাল৷হাঁটা এবং দৌঁড়ানো উভয়ই শরীরের জন্য উপকারী। কার্ডিও ফিটনেসের জন্য একটি দুর্দান্ত উপায়। এটি যেমন শরীরের ক্যালরি কমায় তেমন চর্বি গলাতেই দারুণ কার্যকরী। এছাড়া এটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক রাখে।হাই ব্লাড সুগার, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যার জন্য কার্ডিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ঘুমের ধরণ এবং মানসিক চাপ কমায়। এছাড়াও এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।হাঁটা বা দৌড়ানো কোনটা বেশি উপকারী৷ চিকিৎসক জানিয়েছেন, উভয়েরই একই রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, তবে দ্রুত ক্যালরি পোড়ানোর জন্য দৌঁড়ানো সেরা বিকল্প।আমেরিকান কাউন্সিল অন এক্সারসাইজ অনুসারে, ১৬০ পাউন্ড ওজনের লোকেরা দৌঁড়ানোর প্রতি মিনিটে প্রায় ১৫.১ ক্যালরি পোড়ায়। এখন যদি একই ওজনের একজন ব্যক্তি হাঁটেন, তবে তিনি প্রতি মিনিটে ৮.৭ ক্যালরি পোড়াবেন।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঁটার চেয়ে দৌঁড়ানো অনেক বেশি ক্যালরি পোড়ায়। দু’টোই শরীরের জন্য ভাল৷ ওজন কমানোর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। রোজ হাঁটলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। দ্রুত পেটের মেদ কমাতে দৌঁড়ানো সবচেয়ে ভাল।
ওজন বৃদ্ধি এমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে দেশের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন এর মুখোমুখি হচ্ছেন। এই সমস্যা আরও বেড়ে যায় যখন সঠিক সাহায্য বা পরামর্শ নেওয়ার পরিবর্তে, আমরা ওজন কমানোর জন্য একটি ফ্যাড ডায়েট গ্রহণ করতে শুরু করি বন্ধু বা আত্মীয়ের পরামর্শে বা ইন্টারনেট থেকে।বাইরে খাওয়া এবং অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার মতো অভ্যাসের কারণে এই সমস্যা আরও বাড়ছে। এসবের পাশাপাশি আমাদের কিছু ভুলও আমাদের ওজন বাড়ায়। বিশেষত, সকালের এমন একটি ভুল যা এ নিমেষে ওজন বাড়িয়ে দিচ্ছে।এই অভ্যাসটা হল সকালের ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস। প্রায়শই লোকেরা মনে করে যে সকালের খাবার না খেয়ে তারা কম খাচ্ছে এবং এতে ওজন কমবে। কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় ভুল। সকালের খাবার না করা আপনার ওজন বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ।বিখ্যাত পুষ্টিবিদ কবিতা দেবগন বলেছেন যে আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই সকালের ব্রেকফাস্ট করতে হবে। প্রাতঃরাশ বাদ দিয়ে, আপনি কেবল আপনার বিপাককে নষ্ট করেন না বরং আপনার শরীরকে ভুল খাবার খেতে উত্সাহিত করেন।ধীরগতির বিপাকের কারণে আপনার ওজন বেড়ে যায়। আপনি যদি প্রাতঃরাশ না করেন তবে আপনি দুপুরের খাবারের সময় পর্যন্ত ক্ষুধার্ত থাকতে পারবেন না।পুষ্টিবিদ কবিতা দেবগন বলেন যে প্রায়শই কিছু লোক সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন বা ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যান এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্ষুধার্ত থাকেন। যাতে তারা দিনের শেষভাগে খেতে পারেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল অভ্যাস।আমরা যদি আয়ুর্বেদে বিশ্বাস করি, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সকালে ব্রেকফাস্ট করতে হবে এবং সূর্যাস্তের পর সন্ধ্যায় কিছু খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। তাছাড়া, একবারে বেশি খাওয়ার পরিবর্তে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়াই শরীরের জন্য ভাল। এতে হজমশক্তি ভাল হবে এবং আপনার মেটাবলিজম ভাল হবে।
নির্মেদ পেট সকলেরই স্বপ্ন৷ স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য-দু’ ক্ষেত্রেই তলপেট মেদবর্জিত থাকা প্রয়োজন৷ শারীরিক কসরতের সঙ্গে ডায়েটও অত্যন্ত জরুরি৷
কিছু ফল আছে যেগুলি ফ্ল্যাট বেলি বা মেদহীন পেট রাখতে সাহায্য করে৷ পুষ্টিগুণে ভরা এই ফল হজমে সাহায্য করে৷ বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা৷
আপেলের পলিফেনল শরীরের মেটাবলিজম রেট বা মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে তোলে৷ আপেলের যৌগ শরীরে মেদের পরিমাণ দ্রুত গলিয়ে ফেলতে সাহায্য করে৷ তাই ওয়েট ম্যানেজমেন্টের জন্য আপেল রাখুন ডায়েটে৷
কলার রেজিস্ট্যান্স স্টার্চ কাজ করে সল্যুবল ফাইবার হিসেবে৷ ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়িয়ে ফ্যাট বার্ন বা মেদ গলাতে কার্যকর কলার খাদ্যগুণ৷ তাই রোগা হতে চাইলে কলা খেতে ভুলবেন না৷
কমলালেবুর ভিটামিন সি সাহায্য করে শরীর থেকে অবাঞ্ছিত মেদ দূর করতে৷ এছাড়াও কমলালেবুর খাদ্যগুণ সর্দিকাশির প্রবণতা দূর করে৷
তরমুজ বা মেলনজাতীয় ফলে ক্যালরি খুবই কম৷ পাশাপাশি এই ধরনের ফল শরীরকে হাইড্রেটেট রাখে৷ একইসঙ্গে ব্লাড প্রেশার ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এই ফল৷ মেদ থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত তরমুজ খান৷
ওজন কমানোর পাশাপাশি হজমশক্তি উন্নত করে লেবু৷ এর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সাহায্য করে ডিটক্স প্রক্রিয়ায়৷ রোজ সকালে লেবুজল খেয়ে দিন শুরু করলে মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়৷
তলপেট এমন একটা জায়গা, যেখানে সহজেই মেদ জমে যায়৷ কিন্তু সেখান থেকে মেদ গলতে সময় লাগে অনেক৷ তলপেটের মেদ সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য-দু’য়ের জন্যই ক্ষতিকর৷
ফলমূল এবং শাকসবজি থেকে তৈরি কিছু স্বাস্থ্যকর রসের কথা জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর৷ তাঁর মতে এই পুষ্টিকর রস ডায়েটে রাখলে তলপেটের অবাঞ্ছিত মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে৷
পালংশাক এবং কেল দুটোই পুষ্টিগুণে ভরপুর৷ এই দুই শাকসবজি থেকে তৈরি রসে ক্যালরি কম, ফাইবার বেশি৷ পালং শাকে প্রচুর আয়রন৷ কেলে জলীয় অংশ বেশি৷ ওজন কমাতে, মেদ ঝরাতে এই দু’রকম রস ডায়েটে রাখুন৷
শশায় জলীয় অংশ ৯৫ শতাংশ৷ কিউয়িতে আছে ভিটামিন সি৷ এই কম্বিনেশনের জন্য এই রস হাল্কা, পুষ্টিমূল্যে ভরা এবং সুস্বাদু৷ তলপেটের নাছোড়বান্দা মেদ কমাতে এই রস খুবই কার্যকর৷
লাউয়ের রসে প্রচুর ফাইবার এবং ক্যালরি কম৷ তলপেটের মেদ ঝরানোর জন্য আদর্শ৷ সুস্বাদু ও ভিটামিন সি-তে ভরপুর করে তোলার জন্য লাউয়ের রসে মেশান আনারস এবং কমলালেবুর রস৷
আমলকির রস ক্ষারকীয় প্রকৃতির৷ হজমে সাহায্য করে এই ফলের রস৷ মেটাবলিজম হার বাড়িয়ে শরীর থেকে টক্সিন দূর করে৷ তলপেটের মেদ কমাতে অবশ্যই খান এই রস৷
গাজরের রসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে৷ শরীর থেকে সহজেই বর্জ্য বার করে এই আনাজের রস৷ হজম প্রক্রিয়া মসৃণ করে গাজরের রস৷ মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে অবাঞ্ছিত মেদ দূর করতে অবশ্যই পান করুন গাজরের রস৷
প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা ছোট থেকে বড় সকলের৷ গরম পড়তে না পড়তেই অনেকেই মদ খাওয়া অনেকটাই কমিয়ে দেন বরং তার বদলে ঠান্ডা বিয়ার খেতেই পছন্দ করেন। অনেকেই মনে করেন যে এই গ্রীষ্মে ঠান্ডা বিয়ার খেলে শরীর ঠান্ডা হয়৷তবে অনেকে আবার বলেন, গরমে অতিরিক্ত বিয়ার খেলে শরীর ঠান্ডা হলেও তলপেটে খুব তাড়াতাড়ি চর্বি জমতে শুরু করে৷ এটা কি আদৌ ঠিক ৷ বিয়ার খেলে কি পেটে চর্বি জমে? আসল সত্যিটা জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে৷ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের চিকিৎসক ড. ড্যানিয়েল অ্যালেন বলেন, পেটের কাছে জমে থাকা চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক।বিয়ার খেলে পেটের চর্বি বাড়ে, এমনটা এখন পর্যন্ত কোনও গবেষণা নেই যা প্রমাণ করেছে৷ তবে সীমিত পরিমাণে বিয়ার খেলে শুধু পাকস্থলীর চর্বি বাড়ে, এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য বিয়ার এবং অ্যালকোহলও দায়ী হতে পারে এমন জোরালো প্রমাণ রয়েছে।বিয়ার খেলে যেমন শরীরকে ঠান্ডা হয়। তেমনই এক ক্যান বিয়ার ১৫০ ক্যালরি পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারে। একই সময়ে, আপনি যখন অ্যালকোহল পান করেন, তখন এটি খিদেও বাড়িয়ে দেয়। এই কারণেই অ্যালকোহল বা বিয়ার খাওয়ার পরে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেশি হয়।সবচেয়ে বড় কথা হল আপনি যখন অ্যালকোহল খান, তখন এটি শরীরের চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতাকে বাধা দেয়। লিভার প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি বিপাক করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু যখন এটিকে অ্যালকোহল এবং এই জিনিসগুলিকে বিপাক করার বিকল্প দেওয়া হয়, তখন লিভার চর্বি বিপাক করতে আগ্রহ দেখায় না বরং অ্যালকোহল বিপাক করা শুরু করে। তাই পেটের কাছে চর্বি জমতে শুরু করে। সুতরাং উভয় পরিস্থিতিতেই অতিরিক্ত বিয়ার বা অ্যালকোহল খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।এই ক্যালোরি যে কোনও আকারে আসতে পারে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করে যেমন শরীরে ক্যালরি জমতে পারে তেমনি মিষ্টি জিনিস, অতিরিক্ত খাওয়া, ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরির জন্য দায়ী।চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, আপনি যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালরি গ্রহণ করেন এবং এই ক্যালোরিগুলি ব্যয় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম না করেন তবে তা ফ্যাটে রূপান্তরিত হবে। এবং এটি পেটের চর্বির জন্য দায়ী ফ্যাক্টর।পেটে জমে থাকা চর্বি কমাতে সবার আগে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত জিনিস নিয়ন্ত্রণ করুন। ক্যালরি বার্ন করতে, কঠোর পরিশ্রম করুন, আর নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বেশি করে সবুজ শাক-সবজি এবং তাজা ফলমূল খান। আপনি যদি ওয়াইন বা বিয়ার পান করেন তবে তা পরিমাণে খুব কম খাওয়াই শরীরের জন্য ভাল।
নির্মেদ পেট অনেক চেষ্টাই তো করেছেন। একবার ফলের উপর ভরসা করে দেখুন। ডায়েটে রাখুন বিশেষ কিছু ফল। পুষ্টিগুণে ভরা এই ফল সাহায্য করে হজমে। কমায় গ্যাস, অম্বল, বদহজম। কমিয়ে দেয় বাড়তি ওজন।
সেরকমই কিছু ফলের কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল। এই ফলগুলি ডায়েটে রাখলে মিলবে একগুচ্ছ উপকারিতা।
আপেলে আছে প্রচুর ফাইবার। সল্যুবল ফাইবার পেক্টিন সাহায্য করে পরিপাকে। খাওয়ার আগে আপেল খেলে ক্যালরি কম যায় শরীরে। আপেলের পলিফেনল মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে। ওয়েট ম্যানেজমেন্টে আপেল খুবই কার্যকর।
কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। তবে এর রেজিস্টান্স স্টার্চ সল্যুবল ফাইবারের মতো দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। এর পটাশিয়াম ওয়াটার রিটেনশন ও পেট ফাঁপা কমিয়ে দেয়। ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে কলা।
কমলালেবুতে ক্যালরি কম তবে ফাইবার বেশি। এর ভিটামিন সি সাহায্য করে বডি ফ্যাট কমাতে। ডায়েটে কমলালেবু থাকলে ওজন কমবে নিশ্চিন্তে।
তরমুজের গুণ শরীরকে হাইড্রেটেট রাখে। এতে ক্যালরি খুবই কম। শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রিত হয় ওজন এবং উচ্চরক্তচাপও। পেটের মেদ কমাতে তরমুজের ফালি জুড়িহীন।
ওজন কমাতে এবং হজমে সাহায্য করে লেবু। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সাহায্য করে ডিটক্স প্রক্রিয়ায়। এক গ্লাস লেবুর জল খেয়ে দিন শুরু করলে মেটাবলিজম বাড়ে। শরীরকে হাইড্রেটেট রাখে দীর্ঘক্ষণ।
টম্যাটোতে ক্যালরি কম, ফাইবার বেশি। ডায়েটে টম্যাটো থাকলে ক্যালরি ইনটেক কম হয়। এই ফলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইকোপেন ইনফ্লেম্যাশন কমায়। শরীরে মেদ জমতে বাধা পায়।
মোটা থেকে রোগা হওয়ার সময় আমাদের মধ্যে বেশির ভাগেরই লক্ষ্য থাকে তলপেটের মেদ কমানোর৷ সৌন্দর্য হানির পাশাপাশি কিডনি, হার্ট-সহ একাধিক অঙ্গের জটিল রোগ ডেকে আনে তলপেটের অতিরিক্ত চর্বি৷
দেহের এই অংশের মেদ কমানোর জন্য একাধিক টিপস দিয়েছেন পুষ্টিবিদ কেট প্যাটন৷ সঙ্গে দিয়েছেন ডায়েট চার্ট৷ তাঁর মতে এই টিপস এবং ডায়েট চার্ট মানলেই তলপেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে আসবে সাফল্য৷
কেটের মতে দিন শুরু করুন স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টে৷ খান এক চতুর্থাংশ কাপ ভর্তি বাদাম৷ সেখানে থাকতে পারে আমন্ড, পেস্তা, আখরোট৷ আমন্ড বা কাঠবাদাম খেলে সেটা আগের রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে৷
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খান এক চতুর্থাংশ ভর্তি কাপের কুমড়ো বা সূর্যমুখীর বীজ৷ শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি এই খাবার শরীরে মেটের পরিমাণ বাড়তে দেবে না৷
দিনের শুরুতে খান পছন্দসই একটা ফল৷ সঙ্গে দু’ চামচ ভর্তি বা ১০ টি ভেজানো আমন্ড৷
ব্রেকফাস্টে রাখুন হার্ড বয়েল্ড এগ, গমের আটার তৈরি বিস্কিট৷ প্রক্রিয়াজাত খাবারের তুলনায় তিনি জোর দিয়েছেন অপ্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরেই৷
ব্রেকফাস্টে পানীয়ের ব্যাপারে তিনি বলেছেন প্রোটিন শেকের সঙ্গে মিষ্টিছাড়া আমন্ড মিল্ক খাওয়ার জন্য৷ কলা এবং সয়া মিল্কের স্মুদি বানিয়েও খাওয়া যায় চিয়া সিডস দিয়ে৷ দুধের সঙ্গে খাওয়া যায় বেকড করা রাঙা আলুও৷
এই সুষম আহার যে একই দিনে সব খেতে হবে, তার কোনও মানে নেই৷ সপ্তাহের এক এক দিনে বেছে নেওয়া যায় পছন্দসই এক একটি স্বাস্থ্যকর অপশন৷
আঙুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ। জানেন কি আঙুরের তুলনায় কিশমিশ বেশি পুষ্টিকর। এতে ক্যালরি ও পুষ্টিমূল্য বেশি। আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ফাইবার ও অন্যান্য খনিজ।
কিশমিশ কীভাবে খেলে সেরা উপকার পাবেন, কীভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে এই শুকনো ফল খাবেন, সে বিষয়ে বলেছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা।কিশমিশের ফাইবার এবং টার্টারিক অ্যাসিড হজমে সাহায্য করে। বদহজম সংক্রান্ত সমস্যা কমায়। নিয়ন্ত্রণ করে ইনফ্লেম্যাশন।
এক মুঠো কিশমিশ রাতভর ভিজিয়ে রাখুন এক গ্লাস জলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান করুন ওই জল।
কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের নানা সমস্যা দূর করে ভেজানো কিশমিশ। নিয়ন্ত্রণে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য।
সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খেলে মেটাবলিজমের হার বেড়ে যায় অনেকটাই। ফলে কমে যায় বাড়তি ওজন। এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।
ভেজানো কিশমিশের গুণ তলপেটে মেদ জমতে দেয় না। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দিন শুরু করুন ভেজানো কিশমিশে।