Tag Archives: Cyclone Dana
Cyclone Dana Updates: এবারও হার মানল ঘূর্ণিঝড! ‘দানা’-র আগে সুন্দরবনে এলেন ‘তিনি’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘ঝড়ের আগে কান্তি আসে’। এ শুধু কোনও প্রবাদ নয়। যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে সুন্দরবনবাসীর কাছে এই কথা ধ্রুব সত্যি। এবারও তিনি আসলেন ঝড়ের আগেই। এবার ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আতঙ্কে কাপছে সুন্দরবন। ঝড় আসার আগে এসে নদীবেষ্টিত এলাকায় ঘুরলেন তিনি। কখনও বাইকে চেপে, কখনো আবার পায়ে হেঁটে পৌঁছে গেলেন বিভিন্ন এলাকায়।
বিপদে কাছের বন্ধুকে কাছে পেয়ে হাসি ফুটেছে অনেকের মুখে। পূর্বের ঝড়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষজনকে সচেতন করেন তিনি। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সকলকে ঝড় নিয়ে সচেতন করেন। তিনি জানান, আগে আয়লা ঝড় এসেছিল এরকম রাতে। সেবার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এবারেও ঝড় আসছে রাতে তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে, বিপদমুক্ত থাকতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় দানা বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে আছড়ে পড়বে উপকূল এলাকায়। প্রশাসনও সতর্ক রয়েছে সেজন্য। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের মত করে একটি ক্যাম্প খুলেছেন। খুব অসুবিধা হলে সেখানে যেতে বলেছেন সকলকে। কথা বলেছেন মাঝিদের সঙ্গেও। এবার তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে অনেককেই। বিভিন্ন নদীর ঘাটে গিয়ে স্থানীয়দের ঝড় নিয়ে সচেতন কেরেছেন তিনি।
নবাব মল্লিক
Cyclone Dana Updates: ধেয়ে আসছে ‘দানা’! এখন অবস্থান কোথায়? কত দ্রুত এগোচ্ছে? দেখে নিন নিজের ফোনেই, জানুন বিশদে
Cyclone Dana Updates: ‘দানা’-র প্রভাবে একী অবস্থা দিঘার! নদী ও সমুদ্র বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন
Cyclone Dana: উত্তাল নদী, নড়বড়ে এ নদী বাঁধ! দানার আতঙ্কে কাঁটা সুন্দরবনের মানুষ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূল তীরবর্তী এলাকার নদী ও সমুদ্র। ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকায় জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলা জুড়ে জারী করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমস্ত উপকূল তীরবর্তী এলাকায় জারী করা হয়েছে সতর্কতা।হুগলি নদী, এছাড়া হাতানিয়া – দোহানিয়া, চিনাই নদী ,গোসাবার বিভিন্ন নদী এছাড়াও,পাথর প্রতিমার রায়মঙ্গল থেকে শুরু করে একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় জারিকরা হয়েছে সতর্কতা ।ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যে নদী উত্তাল। নদী উত্তাল থাকার কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এমনকি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার তীরবর্তী এলাকার যে সকল ফেরী পরিষেবা রয়েছে সে সকল ফেরী পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাতে পড়বে না ইলিশ? ‘দানা’র দাপটে বিপদে রুপোলি শস্য! ঘূর্ণিঝড়ে বড় আশঙ্কা
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকার মাটির নদী বাঁধ গুলির ওপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী চালানো হচ্ছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রান্তিক এলাকা থেকে মানুষজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের।
সুমন সাহা
Cyclone dana updates: হানা দিতে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, বিপদে পড়লে কীভাবে পাবেন সাহায্য? প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থা
Digha: তেড়ে আসছে দানবীয় ‘দানা’! তীব্র শক্তিশালী ঘূর্নিঝড়ের আগেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটল দিঘায়, যা করল পর্যটকরা…শুনলে ভয়ে কাঁপবেন
Pet Care during Cyclone Dana: আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা! কীভাবে পোষ্যদের নিরাপদে রাখবেন? ওদের ভালর জন্য কী কী করবেন, ভুলেও করবেন না কোন কাজ? জানুন
Cyclone Dana Fear: দানা আতঙ্কে আগেই জল ছাড়ল মাইথন-পাঞ্চেত জলাধার, কতটা জল ছাড়া হল? ফের কি জল ছাড়তে হবে?
আসানসোল ও দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : দানা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পড়তে শুরু করেছে। ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। তার আগে প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে সব রকম প্রস্তুতি। প্রস্তুতি নিয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।
বাংলায় যাতে বানভাসি পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আগে থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ছাড়া হয়েছে জল। ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবারই ডিভিসির মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ১৫ হাজার কিউসেক জল। ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে পাঞ্চেত জলাধার থেকে। যে কারণে জল ছেড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজও।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কঠিন সব রোগে ভুগছেন সলমান-ক্যাটরিনা-রণবীর-অনুষ্কা, এসব নিয়ে কেউ খোঁজই রাখে না!
প্রায় ৪৫ হাজার ৯০০ কিউসেক জল মঙ্গলবার ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। মূলত বাঁধগুলির জল ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে আগে থেকে জল ছেড়ে রাখা হয়েছে বলে খবর। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ল্যান্ডফলের পর যদি ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ঝাড়খণ্ডের দিকে হয়, তাহলে পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন হলে দামোদরের জলাধারগুলিতে হু-হু করে জল এসে ঢুকবে। তখন প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়তে হবে। সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য আগের থেক কিছুটা জল ছেড়ে জলাধারগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের ভয়! শিয়ালদহ থেকে ১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল, রইল তালিকা
অন্যদিকে, গতবার ঘূর্ণিঝড়ের সময় অন্ডাল বিমানবন্দর জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। শিল্পাঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানের জন্য অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক রয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদক্ষেপ করা না হলেও, সময় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসনও।
নয়ন ঘোষ