Tag Archives: Cyclone Remal Updates

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড় রিমল কেটেছে! তবে দিঘায় গেলে সমুদ্রে নামতে পারবেন? দেখুন জরুরি আপডেট

দিঘায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেও সোমবার দিঘা জুড়ে মাইকিং চলছে, দুপুরের পর দিঘার সৈকত সরণী এবং বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে সতর্কতামূলক মাইকিং করে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় বিমলের প্রভাব সে অর্থে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথা দিঘায় পড়েনি। ভারী বৃষ্টি ঝড়ো হওয়া ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি জেলায়। (সৈকত শী)
দিঘায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেও সোমবার দিঘা জুড়ে মাইকিং চলছে, দুপুরের পর দিঘার সৈকত সরণী এবং বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে সতর্কতামূলক মাইকিং করে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় বিমলের প্রভাব সে অর্থে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথা দিঘায় পড়েনি। ভারী বৃষ্টি ঝড়ো হওয়া ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি জেলায়। (সৈকত শী)
রবিবার মধ্যরাতের পর ঘূর্ণিঝড় উপকূল ভাগে আছড়ে পড়ার পরেই দিঘার আবহাওয়ার উন্নতি হয়। সকাল থেকে দিঘায় মেঘলা আকাশ থাকলেও ভারী বৃষ্টি হয়নি। এমনকি কমেছে হাওয়ার গতিবেগ। মনোরম আবহাওয়া বিরাজ করছে দিঘায়। তবুও দিঘা জুড়ে সতর্কতার মাইকিং প্রশাসনের।
রবিবার মধ্যরাতের পর ঘূর্ণিঝড় উপকূল ভাগে আছড়ে পড়ার পরেই দিঘার আবহাওয়ার উন্নতি হয়। সকাল থেকে দিঘায় মেঘলা আকাশ থাকলেও ভারী বৃষ্টি হয়নি। এমনকি কমেছে হাওয়ার গতিবেগ। মনোরম আবহাওয়া বিরাজ করছে দিঘায়। তবুও দিঘা জুড়ে সতর্কতার মাইকিং প্রশাসনের।
সোমবার সকাল থেকেই দিঘায় মনোরম আবহাওয়া হওয়ার জন্য পর্যটকেরা সমুদ্র নামতে ভিড় করে সৈকত সরণীতে। বহু পর্যটক সৈকত সরণীতে দাঁড়িয়ে দিঘার সৌন্দর্য উপভোগ করে। মনোরম আবহাওয়া হওয়ায় পর্যটকদের খোশ মেজাজে দেখা যায় সমুদ্র সৈকত সরণীতে।
সোমবার সকাল থেকেই দিঘায় মনোরম আবহাওয়া হওয়ার জন্য পর্যটকেরা সমুদ্র নামতে ভিড় করে সৈকত সরণীতে। বহু পর্যটক সৈকত সরণীতে দাঁড়িয়ে দিঘার সৌন্দর্য উপভোগ করে। মনোরম আবহাওয়া হওয়ায় পর্যটকদের খোশ মেজাজে দেখা যায় সমুদ্র সৈকত সরণীতে।
দিঘায় মনোরম আবহাওয়া থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা মূলক মাইকিং প্রচার করা হয় সৈকত সরণি জুড়ে। সোমবার দুপুর থেকেই শুরু হয় দিঘায় মাইকিং। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমনকি পর্যটকদের সমুদ্রের কাছাকাছি যেতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
দিঘায় মনোরম আবহাওয়া থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা মূলক মাইকিং প্রচার করা হয় সৈকত সরণি জুড়ে। সোমবার দুপুর থেকেই শুরু হয় দিঘায় মাইকিং। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমনকি পর্যটকদের সমুদ্রের কাছাকাছি যেতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেও জোয়ারের সময় বাতাসে উত্তাল দিঘার সমুদ্র। ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে গার্ড ওয়ালে আর সমুদ্রের এই ভয়ংকর সুন্দর রূপ দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেছেন সৈকত সরণীতে। ফলে পর্যটকদের সতর্ক করতে দিঘা জুড়ে মাইকিং করা হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেও জোয়ারের সময় বাতাসে উত্তাল দিঘার সমুদ্র। ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে গার্ড ওয়ালে আর সমুদ্রের এই ভয়ংকর সুন্দর রূপ দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেছেন সৈকত সরণীতে। ফলে পর্যটকদের সতর্ক করতে দিঘা জুড়ে মাইকিং করা হয়।
এমন কী সোমবারও সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রসঙ্গত ইয়াস পরবর্তী সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আরও সতর্ক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ফলে পুরোপুরি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে সূর্য না ওঠা পর্যন্ত দিঘায় বাড়তি নজরদারি প্রশাসনের। ২৭ মে সোমবারও দিঘা সৈকত সরণীতে দেখা গেল নুলিয়া-সহ পুলিশের কড়া নজরদারি। তবে দুর্যোগ প্রায় কেটে গেলেও প্রশাসনের এই কড়া নজরদারিতে কিছুটা হলেও হতাশ পর্যটকেরা।
এমন কী সোমবারও সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রসঙ্গত ইয়াস পরবর্তী সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আরও সতর্ক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ফলে পুরোপুরি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে সূর্য না ওঠা পর্যন্ত দিঘায় বাড়তি নজরদারি প্রশাসনের। ২৭ মে সোমবারও দিঘা সৈকত সরণীতে দেখা গেল নুলিয়া-সহ পুলিশের কড়া নজরদারি। তবে দুর্যোগ প্রায় কেটে গেলেও প্রশাসনের এই কড়া নজরদারিতে কিছুটা হলেও হতাশ পর্যটকেরা।

Cyclone Remal Update: হাওড়াতেও রিমলের দাপট! মৎস্যজীবীদের ঘর ভাঙল শ্যামপুরের গ্রামে

হাওড়া: রিমলের রেশ রয়েছে গ্রামে-গ্রামে, আর তাতেই অসহায় অবস্থা উপদ্রুত সেই মানুষদের! এই দুর্যোগের দিনে হাওড়ার শ্যামপুর দুই ব্লকের সাইবেরিয়া গ্রামে ঘরহারা বেশ কিছু মানুষ। আমফান ও ইয়াশ-এর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল সাইবেরিয়া গ্রামের মানুষের জীবন। এবারেও তাই হল৷

শ্যামপুর দুই ব্লকের ডিহি মন্ডল ঘাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সাইবেরিয়া গ্রামটিতে মূলত মৎস্যজীবী শ্রেণির মানুষের বাস। অধিকাংশ মানুষই রূপনারায়ণের বুক থেকে মাছ ধরে জীবন যাপন করেন। স্বাভাবিক ভাবে আমফান ইয়াশ বা রিমল-এর মত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দারুণ ভাবে পড়ে এই মানুষগুলির জীবনে। সেই কারণেই ঘূর্ণিঝড় রিমল আছড়ে পড়ার আগে আমফান বা ইয়াশের স্মৃতি মনে করে মানুষ দারুণ আতঙ্কে ছিলেন তাঁরা। রবিবার গভীর রাতে রিমল আছড়ে পড়ে, আমফান ইয়াশের মতো ক্ষতিকর না হলেও, এই ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাবে সাইবেরিয়া গ্রামের বেশ কিছু মানুষ অসহায় হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে।

সাইবেরিয়া গ্রামে অধিকাংশ কাঁচা বাড়ি গ্রামে বেশিরভাগ মৎস্যজীবী পরিবার। গত দু’বছর আগে ইয়াশ-এর তাণ্ডবের ক্ষত এখনও মানুষের মধ্যে রয়ে গেছে। এর মধ্যেই ধেয়ে আসে রিমল। ঝড়ের দাপটে গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। দমকা ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির ফলে এখনও মানুষের মধ্যে রয়েছে আতঙ্কের রেশ। কিছু পরিবার ঘর ছাড়া হয়ে, এমতবস্থায় ত্রান শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক অফিস এবং স্থানীয় বেশ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অসহায় মানুষদের জন্য ত্রান শিবিরে খোলেন। এই দুর্যোগের দিনে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

রাকেশ মাইতি

Cyclone Remal: বৃষ্টি ভিজে নদীবাঁধ সারাচ্ছেন গ্রামবাসীরাই! ঘূর্ণিঝড়ের পরে ক্যানিং-গোসাবা-বাসন্তিতে একই ছবি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঝড় হোক বা বৃষ্টি, এই বাঁধ আঁকড়ে নিজেদেরকেই পড়ে থাকতে হয়। বারে বারে বাঁধ ভেঙে জমি বাড়িতে জল ঢুকে যায়। ভিটে মাটি আঁকড়ে ধরে বাঁচেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা।

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মারণফাঁদ… মামাবাড়ি এসে খেলা করতে করতে প্রাণ গেল ১৩ বছরের কিশোরের

গোসাবার রাঙাবেলিয়াতে গতকাল, রবিবার রাতে রিমল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সুন্দরবনে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার পাশাপাশি সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকায় নদীবাঁধে ফাটল ধরে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকে পড়েছে। সেই মতো গোমর নদীবাঁধে বেশ কিছু জায়গায় ধস নামে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।

সকাল থেকে সেই নদী বাঁধে প্লাস্টিক ও ত্রিপল দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কারণ সকাল থেকে সুন্দরবনের ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলী এই সমস্ত এলাকায় ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে অনবরত বৃষ্টি পড়েই চলেছে। আর তাই যাতে নতুন করে জলস্তর বেড়ে নদীবাঁধ ভেঙে না যায়, তারই প্রস্তুতি চলছে। কারণ আয়লা, আমফানের সময় নিজেদের চোখের সামনে দেখতে হয়েছে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছিল। তাঁদের বাড়িঘর চাষের জমি সবকিছু একে একে নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে দেখেছিলেন তাঁরা। তাই চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়েই বাঁধ সারানোর কাজে লেগে পড়েছেন নিজেরা।

সুমন সাহা

Cyclone Remal Effects: ঘূর্ণিঝড় রিমলের ঝাপটায় গাছ, বৈদ্যুতিক পোল ভেঙে চুরমার… বন্ধ রাজ্য সড়ক, বিপর্যস্ত জেলার জনজীবন

মুর্শিদাবাদ: রিমল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল আগেই। তবে সোমবার সকাল থেকেই গোটা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ব্যাপক ভাবে চলল বৃষ্টিপাত। অন্যদিকে গাছ ভেঙে পড়ে থাকার কারণে বন্ধ থাকল রাজ্যে সড়ক।

আজ, সোমবার, সারাদিন ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। রেজিনগর থেকে ফারাক্কায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। দিনভর হচ্ছে বৃষ্টি। কখনও কখনও মাত্রা বাড়ছে বৃষ্টির।

সোমবার সকালে ইসলামপুরের হেরামপুর পাঁচরাহা বাজারের মোড়ে ঝড়ে ভেঙেছে গাছও। অন্যদিকে গাছ ভেঙে বন্ধ হয়ে পড়ে ডোমকল বক্সিপুর রাজ্যসড়ক। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সেখালীপাড়া এলাকায়। ঘটনার জেরে রাস্তা অবরোধ হয়ে পড়ে। আটকে পড়ে যান চলাচল।

রবিবার থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় রিমল ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি। যার ফলে বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। গাছ ভেঙে রাস্তা বন্ধ। ভেঙে পড়েছে ইলেকট্রিক পোলও।

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মারণফাঁদ… মামাবাড়ি এসে খেলা করতে করতে প্রাণ গেল ১৩ বছরের কিশোরের

তবে স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ গাছ কেটে যান চলাচল মুক্ত করার জন্য রাস্তা পরিষ্কারের জন্য তোড়জোড় শুরু করে। দু’ঘন্টা পরে চারচাকা থেকে বড় গাড়িগুলি চলাচল করতে সক্ষম হয়।

রিমলের প্রভাবে সোমবারও দক্ষিণববঙ্গের জেলাগুলি জুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।

জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে জেলার ফেরিঘাটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় ২০ জনের এনডিআরএফ টিম ও ১০ জনের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল এসেছে। রিমল ঝড়ের প্রভাব বিস্তার করেছে মুর্শিদাবাদ জেলাতেও।

কৌশিক অধিকারী

Cyclone Remal: রিমলের তাণ্ডবে বাঁধে ভাঙন, ভেঙে পড়ছে বাড়ি, মাথায় হাত সন্দেশখালির রায়মঙ্গলের মানুষের

বসিরহাট: রিমলের তাণ্ডবে ভেঙে পড়ল মাটির বাড়ি, ভাঙন সন্দেশখালির রায়মঙ্গলে। ঘূর্ণিঝড় রিমলের তান্ডবলীলা বিপর্যস্ত সুন্দরবনের একের পর এক এলাকা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি নদীমাতৃক এলাকায় রবিবারের পর থেকে এখনওপর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডব চলছে।

ইতিমধ্যে সন্দেশখালির আতাপুর, মনিপুর এলাকায় রায়মঙ্গল নদীর জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে, বেশ কয়েক জায়গায় নদী বাঁধের ফাটল দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি দুর্বল বাঁধ মেরামতির জন্য শেষ দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন।

অপর দিকে সুন্দরবন অঞ্চল লাগোয়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ইছামতি নদীর তীরবর্তী এলাকা বরুনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বরুনহাট গ্রামে মাটির বাড়ি ঝড়ের তান্ডবে তছনছ হয়েছে। বৃদ্ধা জাহানারা গাজীর দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। ইছামতির পাড়েই বাড়ি। রিমল ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ করে দিয়ে গেছে তার বাড়িঘর। সব মিলিয়ে গতকাল রাত থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডবে অসহায় সীমান্ত সুন্দরবন এলাকার মানুষ।

জুলফিকার মোল্যা

Cyclone Remal Death News: মর্মান্তিক! ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মারণফাঁদ… মামাবাড়ি এসে খেলা করতে করতে প্রাণ গেল ১৩ বছরের কিশোরের

শান্তিপুর: বৃষ্টির মধ্যে খেলার ছলে বৃষ্টির জমা জলে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু এক কিশোরের। নদিয়ার সোনডাঙা থেকে শান্তিপুরে মামাবাড়ি বেড়াতে এসে রাস্তার পাশে মাটিকাটা গর্তে জমা জলে খেলা করতে গিয়ে মৃত্যু ১৩ বছরের কিশোরের। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত অদ্বৈত লেন এলাকায়।

পরিবার সূত্রে খবর, দিন সাতেক আগে নদিয়ার বেথুয়াডহরি সোনডাঙার বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সুমন বাগচী তার মামার বাড়িতে আসে। এরপর প্রায় ১০ দিন ধরে মামার বাড়িতেই থাকছিল সে।

এরপর রবিবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে সমগ্র নদিয়া জেলা জুড়ে শুরু হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত, তার সঙ্গে দমকা হাওয়া। যার জেরে বিভিন্ন জায়গায় জমে যায় জল। কিশোরের মামাবাড়ির কাছেই খুঁড়ে রাখা হয়েছিল একটি বিশালাকার গর্ত। বৃষ্টির কারণে সেই গর্তে ভরাট হয়ে গিয়েছিল জল। এরপর সোমবার সকালে মামার ছেলের সঙ্গে খেলতে গিয়ে বৃষ্টির জলভর্তি ওই গর্তের কাছে যেতেই আচমকা সে জলে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তার মামার ছেলে ছুটে এসে পরিবারে খবর দেয়।

আরও পড়ুন: ঝড়ের দাপটে রাতেই উড়ে গেল টিনের চাল! থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু নিয়ে অসহায় পরিবার

পরিবার-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে ওই জলাশয় থেকে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় কিশোরকে উদ্ধার করে। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

খবর দেওয়া হয় মৃত ওই কিশোরের পরিবারকে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস। দুর্ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং রাস্তার পাশে মাটি কেটে তা ভর্তি না করার জন্যই আজ মৃত্যু হল কিশোরের, দাবি এলাকাবাসীর।

Mainak Debnath

Cyclone Remal Effects: ঝড়ের দাপটে রাতেই উড়ে গেল টিনের চাল! থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু নিয়ে অসহায় পরিবার

নদিয়া: ঝড়ের দাপটে রাতে উড়ে গেল টিনের চাল। দুই শিশু-সহ পরিবারের দু’টি ঘরে ছিলেন চারজন। ঘুমের মধ্যেই টিনের চাল উড়ে গিয়ে পড়ল চাষের জমিতে, ভয়ানক পরিস্থিতি নদিয়ার শান্তিপুরে। গতকাল রাত থেকেই নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে রিমলের দাপট, বৃষ্টির পরিমাণ হালকা থেকে মাঝারি হলেও ঝড়ে তাণ্ডবে অতিষ্ঠ মানুষ। চাষের জমি থেকে শুরু করে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনজীবন।

নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর চর এলাকায় অলকা মাহাতোর টিনের ঘর সম্পূর্ণ চাল উড়ে গিয়ে পড়ে মাঠের চাষের জমিতে। ঘরে তখন ঘুমাচ্ছিলেন ছেলে দেবাশিস, বৌমা বিথিকা এবং দুই নাতি যাদের বয়স সাড়ে তিন এবং ছয় বছর।

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎহীন এলাকা, ভেঙে পড়ছে একের পর এক নদীবাঁধ! ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটায় হিঙ্গলগঞ্জে প্রবল ক্ষতি, রাত জেগে চলছে বাঁধ সারাই

ওই রাতেই দু-একজন প্রতিবেশী এসে তাঁদের কৃষিজাত ঔষধের ব্যবসার জিনিসপত্র বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচায় এবং ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র কোনওরকমে প্লাস্টিক ঢেকে রক্ষা করে। তবে আতঙ্কে দু’চোখের পাতা এক হয়নি। এলাকারই পার্শ্ববর্তী পাড়ার সিভিল ডিফেন্স কর্মীর বাড়ি। তিনি ডিউটি অবস্থায় না থাকা সত্ত্বেও মানবিক কারণে ছুটে এসে ওই পরিবারের পাশে যোগাযোগ করে জেলা কন্ট্রোল রুম এবং এসডিডিএমও আধিকারিকের সঙ্গে। সেখান থেকেও পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস মেলে।

অন্যদিকে স্থানীয় কাউন্সিলর বিকাশ চন্দ্র সাহা আপাতত পুরসভার পক্ষ থেকে দু’টি ত্রিপল দিয়ে তাদের সাময়িক সহযোগিতার কথা বলেন, তবে গৃহ আবাস যোজনার বিষয়ে তালিকাভুক্ত আছে বলেই জানান তিনি। ওই বাড়ির এক শিশু থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। সে বিষয়েও স্থানীয় রক্তদাতা সংস্থা হিসেবে সুনামের সঙ্গে জেলা ভিত্তিক কাজ করা সেতুর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, ওই বাচ্চাকে তাঁরা দুর্যোগের মধ্যেই গাড়ি করে রক্ত দিয়ে নিয়ে আসবেন।

Mainak Debnath

Bankura News: বাদ গেল না ‘ফলের রাজা’ও! বাঁকুড়ার আম্রপালির ঘাড়ে রিমলের খাঁড়া

বাঁকুড়া: আমের নাম মুখে আনলেই পশ্চিমবঙ্গের যে দুটি জেলা সবার প্রথমে মনে আসত সেগুলো হল মালদা এবং মুর্শিদাবাদ। বর্তমানে এই দুই জেলার সঙ্গে নতুন সংযোজন হয়েছে বাঁকুড়া জেলার নাম। বরং বলাই যায় যে স্বাদে ও গন্ধে মালদা মুর্শিদাবাদের আমকে প্রায় পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে বাঁকুড়া জেলার আম। শুধুমাত্র স্থানীয় বাজারগুলি নয়, জেলা এবং রাজ্যের আমের চাহিদা মিটিয়ে গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে গেছে বাঁকুড়া জেলার উৎপাদিত আম।

বর্তমানে বাঁকুড়া , সিমলাপাল, রায়পুর এবং শালতোড়ার পতিত জমি আর কংসাবতীর সেচ খালের দু’পাশের লাগানো গাছ থেকে উৎপাদিত আম্রপালি, হিমসাগর, চৌষা, মল্লিকা ,ল্যাংড়া এখন পশ্চিমবঙ্গের আপামর বাঙালির শেষের পাতের প্রিয় খাবার। তবে এই বছর আমের চাহিদা থাকলেও বাঁকুড়ায় আমের ফলন গত বছরের মাত্র ১০ শতাংশ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আম চাষিরা। তার ওপরে ঝড় হলে সেই স্বল্প ফলনও আর দেখা যাবে না বলেই অনুমান কৃষকদের।

আরও পড়ুন-  শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন রিমল! ভয়ঙ্কর দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরেও কি চলবে তাণ্ডব? আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

বাজারে আম্রপালি আম ঢোকার কথা ১০-১৫ দিনের মধ্যে। গত বছর আম চাষিদের গাছ ছিল আমে ভরতি। এইবছর ছবিটা পরিবর্তন হয়েছে কিছুটা। ফলন কমেছে অর্ধেকের চেয়েও কম। এই অবস্থায় সামান্য ঝড় ঝাপটা হলেই ২০২৪ সালের বাঙালির পাতে পড়বে না আম্রপালি। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে কালে ৫০-৭০ টাকা কিলো দরে এই আম বিক্রি হলেও এই বছর আম্রপালি আমের দাম জোগান না থাকায় দাম বেড়ে যেতে পারে আরও কিছুটা। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী রিমলের প্রভাব খুব একটা পড়বে না বাঁকুড়া জেলায়। কিন্তু সামান্য ঝড় হলেই বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে কৃষকদের। এমনকি পরবর্তীকালে আম চাষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা।

আরও পড়ুন-    চরম আর্থিক অনটন! দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয়, খরচ বাঁচাতে যা করতেন নায়িকা…! বিখ্যাত পরিচালকের মেয়ের রোজগার শুনলে আঁতকে উঠবেন

তবে কি বাঙালির শেষ পাতে দু-এক কুচি আম্রপালি পড়বে? এই প্রশ্নের উত্তর রিমলের পরই স্পষ্ট হবে কারণ আর কয়েকটা দিন পরেই গাছের আম ঘরে তুলতে পারবেন বাঁকুড়ার চাষিরা। বাঁকুড়ার বাজারে কিছুটা আম সরবরাহ করতে পারলেও বাইরের বাজারে রপ্তানির সম্ভাবনা খুবই কম।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Remal Cyclone Update: বন্ধ ফেরি, একটানা বৃষ্টি, দমকা-দামাল হাওয়া, রিমলের প্রভাবে বিপর্যস্ত পূর্ব বর্ধমান

পূর্ব বর্ধমান: ঘূর্ণিঝড় রিমলের ভালই প্রভাব পড়ল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে চলছে একটানা বৃষ্টি। দুর্যোগ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে কালনা, কাটোয়াতেও।

রিমলের জেরে বন্ধ নদিয়া – পূর্ব বর্ধমান সংযোগকারী শান্তিপুর – কালনা নৃসিংহপুর ফেরিঘাট। বন্ধ যাত্রী ও ভেসেল পরিষেবা। রিমলের জেরে গতকাল রাত থেকে বন্ধ ভাগীরথীর কালনা – শান্তিপুর  সংযোগকারী নৃসিংহপুর ফেরিঘাট। কাটোয়াতেও ভাগীরথীতে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। দু’দিন আগে থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাগাতার প্রচার চালানো হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। ফেরিঘাট বন্ধ রাখার কথা আগেই বলা হয়েছিল। তবে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া এবং ব্যাপক বৃষ্টির কারণে গতকাল রাতেই বন্ধ হয়েছে নৃসিংহপুর ফেরিঘাট। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। কেউ ঘাটে বসেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন। কেউ আবার বিকল্প রাস্তায় গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। বৃষ্টির কারণে বাস এবং অটো চলাচল কম। রাস্তায় মানুষে দেখা নেই বললেই চলে।

ঝড়ের কারণে জেলার অনেক এলাকাতেই গাছ ভেঙেছে। ঝুলে গিয়েছে বৈদুতিক তার। রিমল ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কন্ট্রোলরুম খুলেছে কাটোয়া পুরসভা। রিমল  আতঙ্ক কাটাতে এবং শহরবাসীকে ঝড়ের সম্পর্কে সতর্ক করতে রবিবার  সন্ধে থেকে শহরে মাইকে প্রচার শুরু করে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। নাগরিকদের সবরকম সাহায্য কর‍তে চব্বিশ ঘণ্টা কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানান।কাটোয়া পুরসভার কন্ট্রোল রুমের নম্বর 8918159867

ঘূর্ণিঝড় রিমল মোকাবিলায় তৎপর কালনা পৌরসভাও। কালনা পৌরসভার রবীন্দ্র ভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এ প্রসঙ্গে  কনজারভেন্সি বিভাগের সভাপতি তথা দশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিল বসু জানান, ” যে-কোনও বিপর্যয়ের জন্যই আমরা রবিবার থেকেই তৈরি রয়েছি।  ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট-এর কর্মীদের পাশাপাশি গাছ কাটা,গাছ তোলার  সমস্ত উপকরণ মজুদ রাখা হয়েছে। রবিবারের মত সোমবারও ২৪ ঘণ্টা  খোলা থাকছে এই কন্ট্রোল রুম।”

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড় রিমলের ভয়ঙ্কর তাণ্ডব! ভেঙে পড়ল দোতলা বাড়ির একাংশ, গুরুতর আহত এক মহিলা

হুগলি: ঘূর্ণিঝড় রিমলের দাপট শুরু হয়েছে রবিবার রাত সাড়ে ১১ টা থেকে। হুগলি জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার কারণে একাধিক জায়গায় দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। গতকালের রাত তিনটে নাগাদ ঝড়ের মধ্যে ভেঙে পড়ে পরিতক্ত বাড়ির এক বড় অংশ। ঘটনায় গুরুতর আহত হন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়া এলাকায়।

আহত পরিবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছে ক্ষতিপূরণের জন্য। ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়ার বাবুরবাজারে ৭ নং ফেরিঘাট ষ্ট্রীটের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তরুন পাড়ুই। তাদের বাড়ির পাশেই ছিল এক পুরাতন পরিত্যক্ত বাড়ি। গতকাল রাত্রে ওই পরিতক্ত বাড়ির দোতলা বাড়ির একাংশ হুড়মুড়িয়ে এসে ভেঙে পড়ে । সেই সময় পাশের বাড়িতেই ছিলেন তরুণের পরিবার।

আরও পড়ুন-    চরম আর্থিক অনটন! দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয়, খরচ বাঁচাতে যা করতেন নায়িকা…! বিখ্যাত পরিচালকের মেয়ের রোজগার শুনলে আঁতকে উঠবেন

বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে তরুণের বাড়িতে। ইটের টুকরো ছিটকে এসে ঘটনায় আহত হয় তরুণের স্ত্রী শুকতারা পারুই। সংঙ্গাহীন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ির নিচে থাকা তিনটি সাইকেল, ও একটি বাইক দেওয়াল চাপা পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। তরুণের বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে । যদিও পরিত্যক্ত বাড়িটি বেশ পুরনো। খবর পেয়ে আজ সকালে যায় ভদ্রেশ্বর পুরসভার কর্মীরা , তারা গিয়ে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়।

আরও পড়ুন-  শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন রিমল! ভয়ঙ্কর দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরেও কি চলবে তাণ্ডব? আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

তরুণ পাড়ুই জানান, গতকাল রাতে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলাম সে সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনে দেখি পাশের বাড়ির একাংশ ভেঙে আমাদের বাড়ির উপর পড়ে। একাধিকবার তাদের জানিও কোনওরকম ব্যবস্থা করেনি। আমার নিজের ঘরেও ফাটল ধরেছে। স্ত্রীর মাথায় আঘাত লেগেছে ।আমার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন।

রাহী হালদার